Tag: tmc

tmc

  • Hooghly: মেয়ের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে মার! অভিযুক্ত তিন তৃণমূল নেতা

    Hooghly: মেয়ের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে মার! অভিযুক্ত তিন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রৌঢ়া মা এবং দুই মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত তিন তৃণমূল নেতা। নিচুজাত বলে গালি দিলে প্রথমে থানায় ডায়েরি করা হয়। এরপর পুলিশ কোনও তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় পালাটা তৃণমূল নেতারা অত্যাচার শুরু করে ওই পরিবারের উপর। এমনকী থানায় ডায়েরি তুলে নেওয়ার জন্য প্রথমে হুমকি, এরপর ধর্ষণ করার চেষ্টাও করা হয়। বাড়িতে ঢুকে মাকে সন্তানদের সামনেই বিবস্ত্র করা অত্যাচার করা হয়। একই ভাবে দুই মেয়েকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। এমন ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে হুগলিতে (Hooghly)।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Hooghly)

    স্থানীয় (Hooghly) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে ৫০ বছরের এক প্রৌঢ়া নিজের হুগলির বাড়িতে থাকতেন। ১২ বছর ধরে তাঁর স্বামী নিখোঁজ। মহিলা পরিচারিকার কাজ করতেন। এলাকায় তাঁকে নিচু জাত বলে খোঁটা দেওয়া শুরু করে এলাকারই তিন তৃণমূল নেতা। সম্প্রতি অত্যাচার বাড়ে, এলাকায় জল নেওয়া বন্ধ করে দেয় তৃণমূল নেতারা। এরপর একদিন অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকে বিবস্ত্র করে ব্যাপক মারধর করে। সন্তানদেরও মারধর করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া দুই মেয়েকে গণধর্ষণ করে মারার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথমেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    প্রৌঢ়ার বক্তব্য

    চুঁচুড়া (Hooghly) আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়ে প্রৌঢ়া বলেন, “অত্যাচার থেকে বাঁচতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানের পায়ে ধরি। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ না করে বিষয় নিয়ে মজা করেন। আমি সুবিচার চাই। এই সব মামলা করার সামর্থ নেই।” আবার প্রৌঢ়ার এক মেয়ে বলেন, “বাড়ি ফিরতে ভয় লাগে। শ্লীলতাহানি করেছে বাড়িতে ঢুকে। বোনের সঙ্গে আমারাও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, কীভাবে দেবো সেটা জানিনা।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন, “হুমকি বা ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। জাত তুলে গালাগাল দেওয়া হয়নি। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।” আবার এলাকার উপপ্রধানের বক্তব্য, “এই বিষয় খুব একটা গুরুতর কিছু নয়। আমার কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন বিষয়টি, বড় কিছু ঘটেনি।”

    বিজপির বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) বিজেপি নেতা ঘটনায় জানিয়েছে, “দলের নেতার না চাইলে এমন ঘটনা ঘটতে পাড়ে না। তৃণমূল এই নির্যাতনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতেই শাহজাহানকে গ্রেফতারের উঠল দাবি, লাঠি হাতে মহিলাদের বিক্ষোভ

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতেই শাহজাহানকে গ্রেফতারের উঠল দাবি, লাঠি হাতে মহিলাদের বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বা কোনও বিরোধীরা নয়, সন্দেশখালির মানুষ এবার তৃণমূলের ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামলেন। রীতিমতো লাঠি, বাঁশ হাতে বৃহস্পতিবার  পথে নামলেন সন্দেশখালির মহিলারা। এ বার তাঁদের সরাসরি দাবি, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহান, ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা এবং আরও এক তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে।

    কেন ফের পথে নামলেন মহিলারা? (Sheikh Shahjahan)

    ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালিতে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বিরোধী ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। সেটা টের পেয়ে বুধবার শাহজাহানের নিজস্ব বাহিনী এলাকায় মিছিল করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। আর সেটাই বুমেরাং হয়।  স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে শাহজাহান বাহিনীকে ভাগানোর পর বৃহস্পতিবার দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে আবার পথে নামলেন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা। বুধবার রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

    বিক্ষোভকারী মহিলাদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভরত মহিলাদের বক্তব্য, “শাহজাহানেরা (Sheikh Shahjahan)  দিনের পর দিন ধরে জমি দখল করেছেন। মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা যাব না। এতদিন শিবপ্রসাদ, শাহজাহানদের ভয়ে মুখ বুজে সমস্ত অত্যাচার সয়েছি। বাইরে থেকে গুন্ডা এনে আমাদের উপর অত্যাচার করত। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে, তাই রাস্তায় নেমেছি। কারণ,  পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে বলে শাহজাহানের কাছে যাও। শাহজাহান বলে শিবু হাজরার কাছে যাও। আমরা কোথায় যাব? এটা চলতে পারে না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাট থেকে দিল্লি পর্যন্ত ট্রেনের দাবি, রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাট থেকে দিল্লি পর্যন্ত ট্রেনের দাবি, রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট থেকে এবার সরাসরি দিল্লি পর্যন্ত ট্রেনের দাবিতে সরব হলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এনিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাতে লিখিতভাবে দাবিপত্র তুলে দিয়েছেন তিনি। মূলত, বালুরঘাট- গুয়াহাটি এবং বালুরঘাট-দিল্লি -এই দুই ট্রেনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এবার দূরপাল্লার ট্রেন চালু হবে বলে রেলমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, জেলার রেল উন্নয়নের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে আমি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করেছি। বালুরঘাট থেকে দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং গুয়াহাটির ট্রেনের দাবি রয়েছে। সরাসরি দিল্লি ও অন্যান্য ট্রেনগুলির দাবির বিষয়ে আমি রেলমন্ত্রীকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি। রেলমন্ত্রী আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, এই প্রান্তিক জেলা থেকে এই ট্রেনগুলি চলবে। আগামীতে জেলাকে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় অন্যতম বিশিষ্ট জায়গায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন বলে রেলমন্ত্রীর আশ্বাস দিয়েছেন। দেশের রাজধানী দিল্লি পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু হয়ে গেলে এই জেলার বাসিন্দারা চিকিৎসা থেকে শুরু করে পর্যটন ক্ষেত্রেও সুবিধা পাবে। এমনকী ব্যবসার ক্ষেত্রেও জেলাবাসীর সুবিধা হবে।

    পিট লাইনের কাজ শেষ পর্যায়ে

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট রেল স্টেশনে পিট লাইনের কাজ শেষ লগ্নে এসেছে। ফলে ওই লাইনে একাধিক ট্রেন রাখা যাবে। এদিকে দুদিন আগেই বালুরঘাট রেল স্টেশন পরিদর্শনে এসে উত্তর পূর্ব কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বালুরঘাট – গুয়াহাটির নতুন ট্রেনের প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন। ফলে, ফেব্রুয়ারিতেই নতুন ট্রেন চালু হতে পারে। অন্যদিকে, বালুরঘাট থেকে দূরপাল্লার ট্রেন চালুর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar) একাধিকবার পিট লাইনের কাজ খতিয়ে দেখে দ্রুত এ কাজটি সম্পন্ন করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। তাই এই কাজ শেষ লগ্নে।

    বিজেপি জেলা সভাপতির কী বক্তব্য?

    বিজেপির জেলার সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) জেলার উন্নয়নের জন্য যে ধরনের কাজ করছেন। পূর্বের কোনও সাংসদ বিধায়ক, এমনকী এই জেলার বর্তমান রাজ্যের মন্ত্রীও এমন উন্নয়ন করতে পারেনি। শাসকদলের মন্ত্রী বা বিধায়করাই বা কর্মসংস্থান বা যোগাযোগের জন্য কি করছেন? আসলে সুকান্ত মজুমদারের উন্নয়ন দেখে তৃণমূলের হিংসা হচ্ছে। তাই ভুল ভাল কথা বলছেন।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, সুকান্তবাবু রেল দিয়ে উন্নয়ন করছেন খুব ভালো কথা। দূরপাল্লার ট্রেনের জন্য দাবি করছেন। অথচ জেলার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের জন্য বুনিয়াদপুরের রেল ওয়াগন কারখানার কথা কেন লিখছেন না? রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই কারখানার কথা বলা হোক। প্রয়োজনে আমরাও সুকান্তবাবু সঙ্গে দিল্লিতে ধরনা দেব। সামনেই ভোট তাই নতুন নতুন রেলের চিঠি দিয়ে জেলা বাসীর মন জয় করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ তৃণমূল কর্মীর, চলল গুলি, পোলট্রি ফার্মে আগুন

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ তৃণমূল কর্মীর, চলল গুলি, পোলট্রি ফার্মে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় দাদাগিরি দেখাতে গিয়েছিল ফেরার “বেতাজ বাদশা” শেখ শাহজাহানের বাহিনী। তারপরই এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে পালিয়ে বাঁচলেন তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী দুই তৃণমূল কর্মী তো নদীতে লাফ মেরে লঞ্চে উঠে প্রাণে বাঁচেন। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল মাটি হারাচ্ছে। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sandeshkhali)

    গত কয়েক দিন ধরে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য শিবুপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁরা শেখ শাহজাহানের অনুগামী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই দুই তৃণমূল নেতা জোর করে এলাকার মানুষদের সম্পত্তি দখল করে মাছ চাষ করছেন। মাছের ভেড়ির লিজের টাকা পর্যন্ত দিচ্ছেন না। ফলে লিজের টাকা দেওয়া ও জমি ফেরতের দাবি  তুলে গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে বুধবার দুপুরে সন্দেশখালির ত্রিমোহিনীতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এই বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের বাইক বাহিনী সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের নানা রকম হুমকি দিতে শুরু করে। তারপরেই এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে তৃণমূলের বাইক বাহিনীকে লাঠি নিয়ে তাড়া করে এলাকাছাড়া করেন। দুজন তৃণমূল কর্মী তো নদীতে ঝাঁপ দেন।

    তৃণমূল নেতার পোলট্রি ফার্মে আগুন, চলল গুলিও

    এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাসিন্দাদের ভয় দেখানোর জন্য শূন্যে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে কয়েক হাজার এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, তৃণমূল বহিরাগত দুষ্কৃতী এনে এলাকায় অত্যাচার শুরু করেছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শান্তি ফেরানোর জন্য অবিলম্বে ওই দুই তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে। বুধবার রাতে শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নামানো হয়েছে র‍্যাফও।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময় সিপিএম ও বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। ১৫ জন তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন।” বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলার অবজারভার বিকাশ সিংহ বলেন, ‘এলাকার মানুষ বেশ কিছু দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তৃণমূল পরিকল্পনা করে সেই বিক্ষোভকারীদের ওপর অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করে। এলাকার ভিতরে ঢুকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী শূন্যে গুলি চালিয়েছে। পুলিশ তৃণমূল কর্মীদের হামলা চালাতে সাহায্য করেছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: সেচ দফতরের জমি প্লট করে বিক্রি করছেন তৃণমূল বিধায়কের ভাই! শোরগোল

    Paschim Medinipur: সেচ দফতরের জমি প্লট করে বিক্রি করছেন তৃণমূল বিধায়কের ভাই! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সরকারি জায়গায়! এবার সরাসরি শাসক দলের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ডেবরার (Paschim Medinipur) কংসাবতী নদীর পাশের বারাসতী গ্রামে বাঁধের সেচ দফতরের জায়গা দখল করে প্লট করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    ঠিক অভিযোগ কী (Paschim Medinipur)?

    জানা গিয়েছে, এলাকার বাঁধের পাড়ে থাকা গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ এই জায়গাটা সরকারি জায়গা। ডেবরা (Paschim Medinipur) ব্লকের বারাসতী এলাকায় কংসাবতী নদী বাঁধের জায়গা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই সেঁচের জায়গাও সরকারি জায়গা। জায়গা দেখিয়ে পছন্দ অনুসারে জায়গাকে চিহ্নিত করে কোনটা ৪০ হাজার, কোনটা ৫০ হাজার এবার কোনটা ৭০ হাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এলাকার বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের নামে তাঁর ভাইয়েরা এই কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীদের অবশ্য অভিযোগ বিডিও, জেলার আধিকারিক এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও জানিয়ে লাভ হচ্ছে না।

    বিধায়কের ভাইয়ের বক্তব্য

    ঘটনায় অভিযোগের কথা অস্বীকার করে ডেবরার (Paschim Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুনের ভাই এলাকাবাসীর অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, “অভিযোগ একেবার মিথ্যা। কেউ কিছু প্রমাণ করতে পারবেন না। যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে তিনি নিজেই সেচ দফতরের সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছে।”

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    স্থানীয় (Paschim Medinipur) পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, কিছু লোক পঞ্চায়েতে টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। যারা আজ অভিযোগ করছে তারা আগে তৃণমূল করত। পরে নির্দল হয়ে নির্বাচনে লড়াই করে।” তবে সেচের জমিকে অবৈধ ভাবে দখলের বিরুদ্ধে সরকার কোনও পদক্ষেপ কেন গ্রহণ করছেন না? এই বিষয়ে স্পষ্ট করে উত্তর দিতে পারেননি এই পঞ্চায়েত সদস্য।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ‘দেব কাজের কমিশন চাইছে’, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Dev: ‘দেব কাজের কমিশন চাইছে’, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দেব (Dev)। বকেয়া টাকা না পেয়ে করোনার সময় হাসপাতালে কাজ করা মহিলারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। কারণ, ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন দেব। তিনি বকেয়া টাকা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি পদ থেকে ইস্তফা দিতেই মহিলারা টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছিলেন সাংসদের কাছে। যা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়। এই আবহের মধ্যে একটি অডিও ক্লিপ সামনে এসেছে। যাতে সাংসদ দেবের নামে বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অডিও ভাইরাল হয়েছে। ফলে, নতুন করে আবার চর্চায় উঠে এসেছেন অভিনেতা দেব।

    কী রয়েছে অডিও ক্লিপে?

    জেলারই দাপুটে তৃণমূল নেতার কথোপকথন রয়েছে অডিও ক্লিপে।  যদিও অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। গলার স্বর শুনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই অনুমান করছেন, অডিওটি যাঁর, তিনি ঘাটালের তৃণমূল নেতা শঙ্কর দোলই। শঙ্কর ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি বর্তমানে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি। সেই অডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। তিনি সেখানে বলছেন, “আমি দিদিকে বলেছি, দেব (Dev) আমার কাছ থেকে কাজের কমিশন চাইছে। আমি তো দিদিকে বিষয়টি বলেছি। দিদি জানে তারপরেও ওকে এমপি করেছেন।” কথা প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কেন ওকে আমাদের রাজনীতিতে প্রয়োজন, এখানে সততা বলে কিছু নেই।” সাংসদ প্রতিনিধি রাম পদ মান্না বলেন, অডিওটি শঙ্কর দোলইয়ের।  এই বিষয়টি দেবের নজরেও আনা হয়েছে।

    এটা একটা চক্রান্ত!

    এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতা শঙ্কর দোলইয়ের বিরুদ্ধে আহুল উঠছে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই ভাইরাল অডিও নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কোথাও কোনও একটা চক্রান্ত রয়েছে। এটা মিথ্যা না সত্য, তা যাচাই না করে কিছু বলব না। আমার সঙ্গে দেবের কোনও ঝগড়া নেই।”

    অডিও নিয়ে মুখ খুললেন দেব (Dev)

    ভাইরাল অডিও নিয়ে সাংসদ দেব (Dev) বলেন, “আমার ওপর কিছু নির্ভর করে নেই। আমার যা করার, যা বলার, তা আমি দলকে বলে দিয়েছি। যে অডিও ক্লিপটি বেরিয়েছে, সেই মতো দেখলে, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আর ওর মধ্যে কিছু কথা হয়েছে। দিদিই উত্তরটা দেবেন। আমার কিছু বলার নেই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: শিল্পতালুকে কাজ চেয়ে আক্রান্ত স্থানীয়রা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Durgapur: শিল্পতালুকে কাজ চেয়ে আক্রান্ত স্থানীয়রা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রমিক নিয়োগকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুরের (Durgapur) পানাগড় শিল্প তালুকের  রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থার বটলিং প্লান্ট চত্বর। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল ব্লক নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে বুদবুদ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, স্থানীয়দের বাধায় কাজ করতে বাধা পান ঠিকাদার সংস্থা। স্থানীয়রা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। আর ঠিকাদারের হয়ে ব্লক নেতৃত্ব দালালি করতে আসে বলে অভিযোগ। তারা হামলা চালায়। ফলে, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) পানাগড় শিল্পতালুকে বটলিং প্লান্টে নতুন ঠিকাদার সংস্থা কাজের বরাত পেয়েছে। বুধবার বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে কারখানার সামনে জড়ো হন। তাঁরা বহিরাগতদের কার্যত ঢুকতে বাধা দেন। এরপরই ঠিকাদারের হয়ে দাঁড়ান তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। ব্লক নেতৃত্বে পক্ষ থেকে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলায় চারজন জখম হন। স্থানীয়দের বক্তব্য, কারখানায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে কাজ করাচ্ছে ঠিকাদার। আমরা সবাই তৃণমূল করি। অথচ আমাদের কাজ না দিয়ে বাইরের লোকজনকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এটা আমরা মেনে নেব না। তাই, আমরা বাধা দিতে গেলে ওরা হামলা চালায়। আসলে ঠিকাদারের হয়ে তৃণমূলের একাংশ দালালি করতে এসেছে। ওরা হামলা চালিয়েছে।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা জগবন্ধু বাউরি বলেন, নিয়ম মেনে ঠিকাদার কাজের বরাদ পেয়েছেন। তিনি কাজ করতে এলে কিছু মানুষ তাদের বাধা দেয়। আর বহিরাগতদের যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে গিয়েছে। আমরা চাই, যে ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন, তিনি যাতে সুষ্ঠভাবে কাজ করতে পারেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা রমণ শর্মা বলেন, শিল্পতালুকে গোষ্ঠী কোন্দলে নতুন নয়। আর টাকার বিনিময়ে কারখানায় নিজের লোক ঢোকানো হয়। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এবার সেই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের কোন্দলের জেরে প্লান্টের কাজ না বন্ধ হয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ, ওসির বিরুদ্ধে এফআইআর-এর দাবি করলেন শুভেন্দু

    Purba Medinipur: পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ, ওসির বিরুদ্ধে এফআইআর-এর দাবি করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বিরুদ্ধে ফের সন্ত্রাসের অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “ওসির বিরুদ্ধে জাতীয় তফশিলি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের কাছে এফআইআর করার দাবি জানাবো।” পুরাতন মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে বিজেপি সমর্থক পরিবারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল খোদ ওসির বিরুদ্ধেই। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুর-২ ব্লকের জুখিয়া পঞ্চায়েতের এক্তারপুর গ্রামে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Purba Medinipur)?

    গত রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এক্তারপুর গ্রামের ভূপতিনগর থানার পুলিশ গত বছর এলাকায় ঘটা একাধিক অশান্তির ঘটনায় বিজেপির স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুজিত দেবনাথকে অভিযুক্ত করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পুলিশ এরপর সোমবার দুপুরে এলাকায় তল্লাশি করে। শুধু তাই নয় এলাকার আরও দুই বিজেপি নেতা অনুপ দেবনাথ এবং মঙ্গল দেবনাথ নামক দুই ব্যক্তির বাড়িতে পুলিশ হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ পরিবারের মানুষের খাবার ছুড়ে ফেলে দেয়। বাধা দিতে গেলে বাড়ির মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুলিশ।

    স্থানীয় বিজএপির বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে শাসক দল তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিকে বন্ধ করার চেষ্টা করছে। চক্রান্ত করে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক, বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছে। পুলিশ পরিবারের খাবারের থালা ছুড়ে মেরেছে।”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যের দলিতেরা সুরক্ষিত নন। মমতার পুলিশ আইন ভেঙে তফশিলি জাতির মানুষের উপর হামলা করেছে। মারধর করা হয়েছে। অনুপ দেবনাথ ও মঙ্গল দেবনাথের বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে। এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। ওসির (Purba Medinipur) বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবি জানাই।” উল্লেখ্য আজ বুধবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যান শুভেন্দু।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের জেলা (Purba Medinipur) সভাধিপতি বলেন, “এলাকায় যারা সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে, পুলিশ তাদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে। বিধায়ক এবং বিরোধী দলনেতার অভিযোগ মিথ্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ফের কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, নিন্দার ঝড়

    Birbhum: ফের কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করে বীরভূমে (Birbhum)। কেষ্টর অনুগামীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। জেলার কোর কমিটি থেকে বাদ দিয়ে কেষ্ট বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কাজল সেখের ডানা ছাঁটা হয়। কিন্তু তারপরও শিক্ষা হয়নি! ফের অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় কাজল শেখের অনুগামীরা। সূত্রের খবর, হাতাহাতিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নানুরের থুপসারা অঞ্চলের ব্রাহ্মণখণ্ড গ্রামে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কেন হামলা? (Birbhum)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে (Birbhum) কাজল-কেষ্ট বিবাদ নতুন নয়। মুকুল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী কেষ্ট অনুগামী হিসেবে পরিচিত। কাজল শেখের অনুগামীদের সঙ্গে তিনি মেলামেশাও করেন না। কাজলের হয়ে তিনি কেন কাজ করেন না, এটাই তাঁর অপরাধ। আর সেই জন্যই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। কাজল অনুগামীদের হামলায় আহত হয়েছেন মুকুল শেখ। তিনি আবার থুপসরা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী সরিনা বিবিকেও বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয়েছে। হামলার জেরে ফেটেছে মাথা। হাতও ভেঙে গিয়েছে সরিনা বিবির। ছাড় পায়নি তাঁদের দুই মেয়ে। সব থেকে নির্মম ঘটনা হচ্ছে, তৃণমূল কর্মীর দুই মেয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কাজল অনুগামীরা তাদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী চরম আতঙ্কিত। তারা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণের নিন্দা করেছেন সকলে। থুপসারা অঞ্চলের যুব নেতা সেখ আজাহার, থুপসারা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জামরুল শেখ ও তৃণমূল নেতা আলম শেখের নেতৃত্বে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। আহতের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় নানুর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কাজল শেখ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তৃণমূলের দ্বন্দ্বে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এক বছর পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের

    Durgapur: তৃণমূলের দ্বন্দ্বে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এক বছর পর হুঁশ ফিরল প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার দখলে থাকবে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তাই নিয়ে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। আর ওই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ঘ এক বছর ধরে তালাবন্ধ উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তার জেরে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছিলেন প্রসূতি ও যক্ষারোগীরা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তালা ভাঙতে দৌড়তে হল বিডিওতে। এমনই নজিরবিহীন ঘটনাে ঘটেছে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার বুদবুদের দেবশালা অঞ্চলের পশ্চিম চণ্ডীপুরে।

    তৃণমূলের কোন্দলে তালা ঝুলেছিল উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে! (Durgapur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে আউশগ্রাম জঙ্গলমহলবাসীর সুবিধার্থে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার বুদবুদের দেবশালার কাঁকোড়ায় পশ্চিম চণ্ডীপুরে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। সেখানে দেবশালা অঞ্চলের কাঁকোড়া, কলমডাঙা, সহ ১০ টি গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা পেতেন। মূলত প্রসূতি, বয়স্ক ও যক্ষা রোগীরা বেশী উপকৃত হতেন। গত ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এলাকাটি জঙ্গলমহল। অনগ্রসর সম্প্রদায়ের বসবাস। সরকারি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির একাংশ দখল করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ক্লাবঘর করতে চেয়েছিল। তাই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে তালা ঝুলে যায়। অভিযোগ, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়েছিল। বিবাদের জেরে শেষ পর্যন্ত তালা ঝুলে যায় উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তার জেরে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ। বিপাকে পড়েন গর্ভবতী মা’য়েরা ও যক্ষা রোগীরা। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার আউশগ্রাম-২ বিডিও চিন্ময় দাস বুদবুদ থানার পুলিশকে নিয়ে দেবশালা অঞ্চলের পশ্চিম চন্ডিপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে  আসেন। তালা ভেঙে দেওয়া হয়।

    স্বাস্থ্যকর্মী কী বললেন?

    পশ্চিম চন্ডিপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী সোমা ঘোষ জানান, খুব অসুবিধে হচ্ছিল। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা সমস্যায় পড়ছিলেন। নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। যক্ষা রোগীদের জামতাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওষুধের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ফের পরিষেবা চালু হল।

    উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল কংগ্রেসের আউশগ্রাম-২ ব্লক সভাপতি আব্দুল লালন বলেন, “দল কখনই এধরনের কাজে মদত দেয় না। যারা তালা ঝুলিয়েছিল, তারা সমাজবিরোধী।” বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার ওবিসি মোর্চার সহ সভাপতি সৌমেন পাত্র বলেন,” তৃণমূলের কোন্দলের জন্য ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। এটা অমানবিক, বেদনাদায়ক ঘটনা। আশ্চর্যের বিষয়, বহু আবেদনের পর বন্ধ তালা ভাঙতে পুলিশ-প্রশাসনের এক বছর সময় লাগল। শাসকদলের কাছে কত’টা অসহায় পুলিশ ও প্রশাসন, এটা তারই প্রমাণ।”

    এবার তালা মারলে কড়া ব্যবস্থা

    আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বলেন, “কে বা কারা তালা ঝুলিয়েছিল, পুলিশকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। এরপর যদি কেউ তালা মারে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, তাহলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share