Tag: tmc

tmc

  • South 24 Parganas: বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত, আদালতে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ

    South 24 Parganas: বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যুর তদন্ত, আদালতে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। বিচারক পুলিশি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রয়োজনে অন্য তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার কথা তিনি বলেন। মূলত পুলিশি তদন্তে ওপর বিচারকের যে ভরসা নেই, তা এদিনের স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    আদালতের কী পর্যবেক্ষণ? (South 24 Parganas)

    জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)  বিষ্ণুপুর ১ ব্লকের দড়িকাওয়াডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০৯ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন ভোলানাথ মণ্ডল। নির্বাচনের পর ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার ও বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, তৃণমূলের মারের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথের। যদিও হাসপাতালের তরফে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে বলা হয়, লিভারজনিত সমস্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথের। যদিও হাইকোর্টে সেই রিপোর্টের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “একজন চিকিৎসকের ১৬১ ধারায় পুলিশ জবানবন্দি নিয়েছে। কিন্তু, সেই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মামলাকারীর।” মামলাকারীর বক্তব্য, বয়ান গ্রহণের কোনও ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়নি। কেন করা হয়নি সেটা স্পষ্ট নয়। তদন্তকারী অফিসার, ডিএসপিকে স্বচ্ছভাবে ভরসাযোগ্য তদন্ত করতে হবে। মামলাকারীদের প্রশ্নে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে, তাই পুলিশ স্বচ্ছভাবে, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করে আগামী শুনানিতে রিপোর্ট দেবে। না হলে অন্য এজেন্সিকে তদন্তের দায়িত্ব দেবে আদালত।”বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ মার্চ। তার আগে মামলাকারী তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে হলফনামা জমা দেবে।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী বললেন?

    মামলাকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, “চিকিৎসক থেকে সাক্ষী সবাইকে পুলিশ নিজের মতো করে বয়ান বলিয়ে নিয়েছে। তাই ভিডিয়োগ্রাফ করা হয়নি। আর ঠিক একই কারণে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। উল্টে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে কোনও কারণ ছাড়াই নোটিস পাঠিয়ে চাপে রাখছে পুলিশ।

    রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতকে কী বলা হল?

    রাজ্যের তরফে অবশ্য বলা হয়, “কোর্টের নির্দেশ মতো আমরা সব তদন্ত করছি। এখানে একটা অসুস্থ লোকের মৃত্যুকে রাজনীতির মোড়ক দিতে গিয়ে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দুর্নীতি বোঝাতে হাইকোর্টে ইডি’র আইনজীবীর মুখে সোনার কেল্লা, ফেলুদা প্রসঙ্গ

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের দুর্নীতি বোঝাতে হাইকোর্টে ইডি’র আইনজীবীর মুখে সোনার কেল্লা, ফেলুদা প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কোম্পানি লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে একই কথা জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। অপর দিকে প্রাথমিকে শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তদন্তের প্রক্রিয়ায় একদম সন্তুষ্ট নন তিনি। ফলে চাপ বাড়ল ইডি’র। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ।

    হাইকোর্টে ইডির বক্তব্য (Abhishek Banerjee)

    আজ হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সম্পত্তি সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, “আরও কিছু সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধও নিশ্চিত করার কাজ চলছে। এক অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তা এলেই তদন্তের আরও অগ্রগতি ঘটবে।”

    কী বললেন বিচারপতি?

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার (Abhishek Banerjee) দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তকারী অফিসারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “এভাবে সময় চলে গেলে প্রত্যেকে তদন্তের বাইরে চলে যাবে। তখন আর কিছু পাবেন না। এত দিনের সব পদক্ষেপ কাজে লাগবে না। আর কত দিন লাগবে?” উত্তরে আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, “প্রত্যেক পদক্ষেপে আমরা মামলায় জড়িয়ে পড়ছি। যে কোনও নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে।” আবার বিচারপতি বলেন, “আপনারা কি মনে করছেন খুব সহজ? অপারাধ যত সামনে আসবে, এই ধরনের মামলার চাপ আরও বাড়বে।” আবার উত্তরে আইনজীবী বলেন, “আমরা সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করছি। আমাদের নখ, দাঁত বের করে লড়াই করছি। পরবর্তী শুনানির দিন আমরা বিস্তারিত রিপোর্ট দেব।”

    সিবিআই-এর মুখে ‘সোনার কেল্লা’

    তৃণমূল নেতাদের (Abhishek Banerjee) দুর্নীতি নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লার উদাহরণ টেনে আইনজীবী বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বলেন, “এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন, তখন তাঁদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তাঁরা (ফেলুদা) সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানে দুর্নীতির মামলায় আমরাও আশাবাদী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান” মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান” মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগে চোর শুনলে রাগ করতেন, এখন ক্যাগ শুনলেই রেগে যান”। কার্যত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এমন মন্তব্য করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের সূচনা হবে। আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিজেপির বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার অনুমতি না মেলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে চোর চোর শুনলে রেগে যেতেন, এখন ক্যাগ শুনলে রেগে যান। চোর শব্দ শুনলে মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওঁর ঘুম ছুটে যায়। এখন ক্যাগ শব্দ শুনলে মুখ্যমন্ত্রী এবং শাসক দল লাফালাফি করছে। আমাদের প্রতিবাদ এবং সোচ্চারে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করতে বাধ্য হয়েছেন। ক্যাগ রিপোর্টে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর তথ্য রয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রচুর মানি ডাইভারশনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের আজ বিধানসভায় ক্যাগ নিয়ে আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি।”

    এফআইআর করার দাবি

    বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মলেন করে বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “আমরা ৮ তারিখ বাজেটে অংশগ্রহণ করব। এরপর ৯ তারিখ রাজ্যপালের কাছে যাব। ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং ক্যাবিনেটকে পার্টি করে এফআইআর করার দাবি জানাব।”

    বাজেটে শুভেন্দুর প্রত্যাশা

    পাশাপাশি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) প্রত্যশা করে বলেন, “টাটা গোষ্ঠীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনবে সরকার।” সেই সঙ্গে আরও বলেন, “আগামী বাজটে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে পারবে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা করবে সরকার। আশা করবো রান্না এবং পেট্রোপণ্যের যে কর রাজ্য সরকার নেয় তা বাজটে মুকুব করবে। সিভিক পুলিশ এবং আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করবে। সরকারি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    CAG Report: মমতা সরকারের ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটির দুর্নীতি! ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যাগ রিপোর্টে (CAG Report) ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গত বছর হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার দ্রুত শুনানি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। আগামী ১৯ তারিখের পর শুনানির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ বিধানসভায় ওই একই ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।

    জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে (CAG Report)

    ক্যাগ বা সিএজির রিপোর্টে (CAG Report) রাজ্যে হিসেবের গোলমাল মিলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে পাওয়া টাকার হিসেবের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। রাজ্যের পুর, নগরোন্নয়ন, শিক্ষা এবং পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। সিএজি রিপোর্ট মামলায় এবার দ্রুত শুনানির আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। 

    বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যের হিসেব নিয়ে কেন্দ্র যে সিএজি বা ক্যাগ রিপোর্ট পাঠিয়েছে, সেখানে অনিয়ম রয়েছে।” এবার একে সামনে রেখেই আজ বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান। একই ভাবে সরকারের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    বিধানসভায় বিজেপির আনা আলোচনার প্রস্তাবকে স্পিকার বাতিল করলে শুভেন্দু বলেন, “ক্যাগের রিপোর্টে সর্বত্র দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। কয়েকশো ভুয়ো অ্যাকাউণ্টের তথ্য মিলেছে। ভয়ঙ্কর সব তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারের ক্যাগ-আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এই রিপোর্টের কথা শুনেই তৃণমূল লাফাচ্ছে।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা পালটা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, “শুভেন্দু গতকাল দিল্লিতে গিয়ে ধমকানি চমকানি দিয়েছেন। বিভিন্ন নেতা এবং দফতরে গিয়ে দেখা করেছেন। কী আলোচনা হয়েছে বলছেন না। আগামী দিনে ইডি, সিবিআইকে পরিচালনা করা হবে। মমতা ২১ লাখ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই বিজেপি বদলার রাজনীতি করেছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    CAG Report: ক্যাগ রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় বিজেপির তুমুল বিক্ষোভ, আলোচনার দাবিতে সরব বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় ক্যাগ বা সিএজি রিপোর্টকে (CAG Report) ঘিরে সোচ্চার হয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির বিধায়ক ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁরা আলোচনার দাবিতে সরব হলে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন বিধানসভার স্পিকার। এরপর বিজেপি বিধায়করা সভার বাইরে বেরিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সিএজি রিপোর্টে কী বলা হয়েছে (CAG Report)?

    সিএজি (CAG Report) অর্থাৎ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়, ১ লক্ষ ৯৪ হাজার কোটি টাকার কোনও রকম খরচের হিসাব দেয়নি রাজ্যে মমতার সরকার। ফলে রাজ্যের মা-মাটি সরকারের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য শাসক দলের পক্ষ থেকে এই সিএজি রিপোর্টকে অস্বীকার করা হয়েছে। এবার আজ মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে বিজেপি এই আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে আলোচনার দাবি জানায়। এরপর বিধানসভায় ব্যাপক হট্টগোলের কারণে স্পিকার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন।

    সিএজি নিয়ে তদন্তের দাবি বিজেপির

    সিএজি (CAG Report) রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, আলোচনার কথা বলে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা করে বিজেপি। বিজেপির এই পরিষদীয় দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ ওঁরাও, শঙ্কর ঘোষ সহ মোট ছয় জন বিধায়ক। তাঁদের দাবি ছিল, সিএজি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে হবে। কিন্তু এই আলোচনায় সম্মতি দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    চোর চোর স্লোগান

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে আলোচনার অনুমতি না পেয়ে বিজেপি বিধায়কেরা সভার অন্দরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক স্লোগান দিতে শুরু করেন। এরপর শাসক দলের উদ্দেশ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে চোর চোর স্লোগান দেওয়া হয়। রেশন বণ্টন দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে শাসক দলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে স্লোগান দেওয়া হয়।

    বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য

    সিএজি (CAG Report) নিয়ে বিধানসভায় আনা বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব সম্পর্কে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “সিএজির রিপোর্টে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যদি কেউ কিছু করে না থাকেন তাহলে ভয় কিসের? স্পিকার তো নিরপেক্ষ, ওঁর উচিত ছিল আলোচনার অনুমতি দেওয়া।” উল্লেখ্য ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আর্থিক খরচের শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। আবার মোদি রাজ্যের মমতার সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি টাকার শংসাপত্র দেখায়নি। অবশ্য মমতা পালটা চিঠি লিখে জানান, ২০০২-৩ সালের হিসাব চাওয়া হয়েছে। সেই সময় তৃণমূল ছিল না রাজ্যে। সিএজি নিয়ে রাজ্যের রাজনীতি এখন ব্যাপক সরগরম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল’, দত্তক গ্রাম নিয়ে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল’, দত্তক গ্রাম নিয়ে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে তৎপর তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্যপূরণে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়া গ্রাম চকরামপ্রসাদে থমকে রয়েছে উন্নয়ন। গ্রামের উন্নয়নের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু, ওই গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে হাত দিচ্ছে না তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। ওই গ্রামে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূল জিতেছে। শুধুমাত্র বিজেপি সাংসদ দত্তক নিয়েছেন বলে ওই গ্রামের বেহাল রাস্তার উন্নয়ন করছে না বলে এদিন এমনই অভিযোগ তুলেছেন  সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ফলে, বেহাল রাস্তা নিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশনও দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    জেলা সদর বালুরঘাটের অদূরে ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ওই গ্রামের নাম চকরামপ্রসাদ। আর এস এসের স্বেচ্ছা সেবক শহিদ চুরকা মূর্মুর গ্রাম বলে খ্যাত ওই  তফসিলি ও আদিবাসী-প্রধান এই গ্রামটিকে প্রায় বছর তিনেক আগে ‘দত্তক’ নেন বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। গ্রামবাসী বিপ্লব দেবনাথ বলেন, যেহেতু এই গ্রামটি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নিয়েছেন। তাই এই গ্রামটি বিজেপির গ্রাম বলেই পরিচিত। তাই এই গ্রামের মানুষকে বঞ্চনা করতেই তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ এই রাস্তার কাজে হাত দিচ্ছে না। আমাদের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। এই গ্রামটি আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দত্তক নিয়েছে আর এই গ্রামে বেশিরভাগ বিজেপির। তাই প্রশাসন থেকে এই রাস্তাটি সংস্কার করছে না।

    ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও রাস্তা করছে না তৃণমূল (Sukanta Majumdar)

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, চকরাম গ্রামের মানুষের সঙ্গে তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। ওই গ্রামের রাস্তার জন্য আমি গত বছর মে মাসে ৫০ লক্ষ টাকা সাংসদ তহবিল থেকে দিয়েছি। কিন্তু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ তৃণমূলের নেতারা নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই রাস্তাটি করা যাবে না। তাই রাস্তাটি ফেলে রেখেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্বরিশ সরকার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাজ আটকে রাখার অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য। ওই  রাস্তার টেন্ডার ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে কাজ শুরু হতে একটু সময় লাগে। তবে, দ্রুত ওই রাস্তার কাজ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদাধিকার অনুযায়ী কাঁচরাপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কাঁচরাপাড়া পুরসভা। অথচ তিনি সেই পুরসভাতেই আর যান না। কার্যত কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে মুকুলপুত্রকে। পুরসভায় কেন যান না, তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি নিজেই।

    ঠিক কী বলেছেন শুভ্রাংশু? (Subhranshu Roy)

    শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বলেন, আমি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। আমাকে ট্রেড লাইসেন্স, অ্যাসেসমেন্ট দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দফতরে বেশিরভাগই অনলাইনে কাজ হয়ে যায়। ফলে, পুরসভায় আমার কোনও কাজ নেই। পুরসভায় গিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে হয়। এমনকী বিল্ডিং-এর অনুমোদনের দায়িত্ব রয়েছে আমার ওপর। তবে, সেটা দোতলা পর্যন্ত। তার ওপরে বিল্ডিং হলে তার দায়িত্ব চেয়ারম্যানের ওপরে রয়েছে। ফলে, এই দফতরে আমার বিশেষ কোনও কাজ নেই বললেই চলে। থাকল পড়ে বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব। তবে, এই কাজ করতে গেলে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। সেখানেও আমার কোনও স্বাধীনতা নেই। অথচ পুরসভাকে আরও অনেক ভালোভাবে চালানো যেতে পারত। অনেক বেশি রাজস্ব আদায় করা যেত। কিন্তু, কোনও কিছুই করা হচ্ছে না। আর পুরসভায় গিয়ে ঠুঁটো হয়ে চুপচাপ বসে থাকতে আমি রাজি নই। আমি এসবের কোনও তোয়াক্কা করি না। আর কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না। বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। জানা গিয়েছে, কাঁচরাপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান হচ্ছেন কমল অধিকারী। তিনি বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর ভাই।

    অর্জুনের পাশে দাঁড়িয়ে সোমনাথ-সুবোধকে তুলোধনা

    দিন দুয়েক আগে অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে শুভ্রাংশু (Subhranshu Roy) বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধনা করেছিলেন। দলের অনুমতি পেলে দুজনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানিয়েছিলেন। আর অর্জুনের বিরুদ্ধে বারবার সোমনাথ শ্যাম মুখ খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন তিনি। কারণ, সাংসদ তৃণমূলের শীর্য নেতৃত্বের কথা মতো দলে এসেছেন। যা বলার তা দলের ভিতরে বলা উচিত। সবমিলিয়ে শুভ্রাংশু রায়ের এই কোণঠাসা নিয়ে বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নাবালিকা খুনের সেই অস্ত্র কোথায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    Malda: নাবালিকা খুনের সেই অস্ত্র কোথায়? পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। মালদায় (Malda) নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিশন। এবার পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও সুরক্ষিত নয় কোনও নাবালিকা। ঠিক এই ভাবেই সরব হলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। 

    কী বলল জাতীয় কমিশন (Malda)?

    মালদা (Malda) শহরে নাবালিকা খুনের ঘটনায় এবার রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে। গতকাল রবিবার মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্য এবং জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। জাতীয় কমিশনের সদস্যরা ইতিমধ্যে পুলিশের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কমিশনের সদস্যা দিভিয়া গুপ্তার বক্তব্য, “নাবালিকা খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে আশ্বাস নেই। গত ২৯ জানুয়ারি থেকেই নিখোঁজ হয়েছিল নাবালিকা। তিন দিন ধরে পুলিশ কোনও সন্ধান দিতে পারেনি। এমনকি ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় পরিবারের সদস্যরাই। নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল কি না, সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ। খুন করার অস্ত্র কেন এখন উদ্ধার হয়নি?”

    কী বলল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন

    মালদা (Malda) শহরের নাবালিকা খুনের ঘটনায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যা যশবন্ত শ্রীমানি বলেছেন, “অভিযুক্ত সুনু কেশরী তদন্তে পুলিশের সঙ্গে ঠিক ভাবে সহায়তা করছে না। আমরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিতে বলেছি। বিচার ব্যবস্থাকে আরও কঠোর হতে হবে। অপরাধ প্রবণতাকে আটকাতে আরও সচেষ্ট হতে হবে। আমরা একাধিক সংশ্লিষ্ট জায়গায় চিঠি পাঠাবো।”

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত নাবালিকার পরিবারের বক্তব্য, যে চাকু দিয়ে খুন করা হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গতকাল মালদায় (Malda) গিয়েছিলেন এবং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “ঘটনার দিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা জেলা সফরে মালদাতেই ছিলেন। অথচ ঘটনা নিয়ে একটি বাক্য খরচ করেননি কেন? রাজ্যের নাবালিকাদের সুরক্ষা কোথায়?”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ‘কাটমানির বিনিময়ে হচ্ছে নিয়োগ’, তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুললেন ব্লক সভাপতি

    Durgapur: ‘কাটমানির বিনিময়ে হচ্ছে নিয়োগ’, তৃণমূল নেতাদের দিকে আঙুল তুললেন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয়দের কাজে নিয়োগের দাবিতে রবিবার দুর্গাপুরের (Durgapur) অন্ডাল বিমানবন্দরের প্রবেশপথের পাশে সমাবেশ করল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, কালোবরণ মণ্ডল, কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক মণ্ডল সহ অন্যরা। সেই সভায় তৃণমূলের একাংশ কাটমানির বিনিময়ে নিয়োগ করছে বলে সরব হন ব্লক নেতৃত্ব। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।

    কাটমানির বিনিময়ে নিয়োগ করছে তৃণমূল! (Durgapur)

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা শ্রমিক নেতা কালোবরণ মণ্ডল বলেন, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক (Durgapur) ও অন্ডাল ব্লকের একাধিক মৌজার জমি অধিগ্রহণ করেই অন্ডাল বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সেভাবে হয়নি। কর্তৃপক্ষ নিজের ইচ্ছেমতো বাইরে থেকে লোক এনে কাজে নিয়োগ করেছে। আগামী দিনে এই জিনিস আর মানা হবে না, নিয়োগে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কাজের ক্ষেত্রে উক্ত দুটি ব্লকের বেকার যুবক, যুবতীদের নিয়োগের দাবিতে সংগঠন কাজ করবে বলে জানান কালোবরণবাবু। পাশাপাশি কালোবাবু বলেন, একশ্রেণির নেতা কাটমানির বিনিময়ে এই প্রজেক্টে বাইরে থেকে লোক এনে নিয়োগ করছেন। নিজেদের পকেট ভরছেন। মঞ্চে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের সামনে কালোবরণ মণ্ডল নাম না করেই দলের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি বলেন, দলের জেলা নেতৃত্বদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন, না হলে আগামী দিনে এই বিমান বন্দর এলাকায় সামগ্রিকভাবে আন্দোলন হবে।

    শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    অভিজিৎবাবু বলেন, বিমানবন্দরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন থাকলেও তা সক্রিয় নয়। সংগঠনকে সক্রিয় করে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত নতুন কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটির নেতৃত্বেই সংগঠন শ্রমিক স্বার্থের কাজ করবে। আগামী দিনে বিমানবন্দর এলাকায় অনুসারী শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কর্মী নিয়োগ ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই বিষয়ে সংগঠনকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন অভিজিৎবাবু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: বৈঠকে ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি, পানিহাটিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Panihati: বৈঠকে ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি, পানিহাটিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটি (Panihati) পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়কে সরাতে তৎপর কাউন্সিলরদের একাংশ। দলীয় মিটিংয়ে কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশ ফের চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি জানান। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলও একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি উঠল (Panihati)  

    একদিকে ভাগাড় সমস্যা, অন্যদিকে রাস্তাঘাট, নিকাশি, স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ দৈনন্দিন পরিষেবা প্রদানে নাজেহাল অবস্থা পানিহাটি (Panihati) পুরসভার। পুর কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কথা এখন পানিহাটির মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে। পুরসভার পরিষেবা অব্যাহত রাখতে রবিবার সোদপুর সরকারি কোয়ার্টারে তৃণমূলের অফিসে দলের ৩৩ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সাংসদ সৌগত রায় এবং বিধায়ক নির্মল ঘোষ। বৈঠকের শুরুতে কাউন্সিলরদের একটা অংশ পানিহাটি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান মলয় রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন। অভিযোগ করেন, পুরসভা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান পরিবর্তনের দাবিও তোলেন তাঁরা। যদিও সৌগত রায় তাঁদের থামিয়ে দেন। সাংসদ তাঁদের উদ্দেশে বলেন, চাইলেই চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা যায় না। তার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমে দলকে সেটা জানাতে হয়। তারপর দল যদি মনে করে তবেই চেয়ারম্যান বদল সম্ভব। তখনই কাউন্সিলরদের তরফে কয়েকজন বলে ওঠেন দু-একদিনের মধ্যেই আমরা সেই চিঠি দলের কাছে পৌঁছে দেব। তাঁকে সামনে বসিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলের কাউন্সিলরদের একের পর এক উক্তিতে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েন চেয়ারম্যান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কাউন্সিলরদের বিরত করেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এরপরই পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব এদিনের বৈঠক থেকে উঠে আসে।

    নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে

    নতুন কমিটিতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পাঁচ সিআইসি সদস্য সহ দলের দুই কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্য এবং সম্রাট চক্রবর্তী রয়েছেন। এই দুজন আবার পানিহাটি (Panihati) শহর তৃণমূলের সভাপতি। দলীয় স্তরে ওই কমিটির তালিকা শীঘ্রই সাংসদ এবং বিধায়কের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে চেয়ারম্যানকে। নির্মল ঘোষ বলেন,  ‘পুরসভা যাতে ঠিকঠাকভাবে চলে তা নিয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে। ভাগাড়, রাস্তাঘাট সহ একাধিক ইস্যু এদিন আলোচিত হয়েছে। চেয়ারম্যানের শারীরিক সমস্যার কারণে কাজ পরিচালনায় একটু সমস্যা হচ্ছে। তাই চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর পছন্দ মতো কয়েকজনকে নিয়ে একটি কমিটি করার। ওই কমিটির তালিকা শীঘ্রই দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করেই কাজ করতে বলা হয়েছে। যাতে পুরবাসী কোনও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন’। 

    বৈঠকের বিষয়ে জানেন না দলের জেলা সভাপতি

    চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘কিছু বিষয় নিয়ে নিশ্চিত আলোচনা হয়েছে। এটা দলের ভিতরের বিষয়। বাইরে কিছু বলব না’। তবে দলের ব্যাপার হলেও রবিবারের বৈঠকের বিষয়ে দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তাপস রায়কে বিষয়টি না জানানোয় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এদিনের বৈঠকের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। দলীয় ব্যাপারে  দলের জেলা সভাপতিকে নিশ্চিতভাবে জানানো উচিত ছিল। সৌগত রায়, নির্মল ঘোষ আমাকে কিছু জানাননি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share