Tag: tmc

tmc

  • Murshidabad: তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    Murshidabad: তৃণমূল বিধায়কের অনুগামীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফর শেষ করে চলে যাওয়ার পরই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রেজিনগরে। বিধায়ক অনুগামীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। থানায় অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রেজিনগর বিধানসভার বেলাডাঙা-২ ব্লকের পূর্ব চক্রের ব্লক সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান। তাঁর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলমের গন্ডগোল লেগেই ছিল। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে রবিউল জেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান। এরপরই আতাউরকে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে দলের অন্দরে চর্চা রয়েছে। ফলে, আতাউর এই বিষয় নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ। তাই, বিধায়কের সঙ্গে এলাকার কোনও কর্মী তৃণমূল করবে না বলে আতাউর ও তাঁর অনুগামীরা হুমকি দিতে থাকেন।আর এটা নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিবাদ চলছিল বিগত বেশকিছু দিন ধরে। শুক্রবার রাতে সেই বিবাদ চরম আকার ধারণ করে। জানা গিয়েছে, বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর লোকজনদের উপর আচমকা হামলা চালায় প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর রহমানের অনুগামীরা। অতর্কিতে তাঁদের উপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হন বিধায়কের চারজন অনুগামী। প্রথমে তাঁদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। পরে, সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজনকে ইতিমধ্যে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় রেজিনগর বিধায়কের পক্ষ থেকে যথারীতি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। পাশাপাশি অভিযোগের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেজিনগর থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

    আক্রান্তরা কী বললেন?

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, আমরা বিধায়কের নেতৃত্বের দল করি। বিধায়কের পার্টি অফিসে বসি। এটাই আমাদের অপরাধ। তাই, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আতাউর ও তাঁর অনুগামীরা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের বেধড়ক মারধর করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভার ফল বেরলেই রাজ্যে বিজেপি সরকার’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ ইস্যুকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী লোকসভা ভোটের ফল বের হওয়ার পর তৃণমূল সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে তিনি মুখ খুললেন। শুক্রবার চুঁচুড়ায় এসে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের ২ কোটি বাঙালি হিন্দুর ১৯৪৫ সাল থেকে লড়াই সফল হতে চলেছে। কারণ, যে বাঙালি হিন্দুরা ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ থেকে উৎপীড়িত হয়ে এসেছেন, এক কাপড়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের সহনাগরিকত্ব দেওয়া নরেন্দ্র মোদীর কমিটমেন্ট। অমিত শাহর তৈরি করা আইন কার্যকর হতে চলেছে। আর তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে খবর আছে, সিএএ পোর্টাল চালু হতে চলেছে। আইন তো আগেই হয়ে গিয়েছে। রুল ফ্রেম হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তা কার্যকরের দিকে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিনি ভাবছেন, আমার সিটগুলো সব গেল। কারণ, এখানে ৩৫টি আসন বিজেপি জেতা মানে, মমতা ধপ! তার পরের দিন বিজেপি সরকার।” সিএএ আইন যে এই মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার কার্যকরী করতে চলেছে তা বিরোধী দলনেতা এদিন আবারও তা স্পষ্ট করে দেন। আর সিএএ কার্যকরী হলে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে জোর ধাক্কা দেওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    সিএএ নিয়ে সওয়াল করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    রাম মন্দির উদ্বোধনের পর পরই লোকসভা ভোটের মুখে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে ফের বাংলার রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৮ জানুয়ারি কাকদ্বীপের এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “গ্যারান্টি দিচ্ছি, সাত দিনের মধ্যে সিএএ লাগু হবে।” ফলে, এই বিষয নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়। আর এদিন বিরোধী দলনেতা ফের সিএএ ইস্যুতে জোর সওয়াল করেছেন। ফলে, বাংলায় সিএএ কার্যকরী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা! কী করছে পুলিশ-প্রশাসন?

    Raiganj: তৃণমূলের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা! কী করছে পুলিশ-প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। দিনে দুপুরে নদীগর্ভ থেকে তোলা হচ্ছে বালি। রায়গঞ্জের (Raiganj) নাগর নদী থেকে দেদার বালি উত্তোলনের অভিযোগ। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনে দুপুরে বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগর নদী থেকে চলছে অবৈধ বালি পাচার। দিনের পর দিন নদীর বক্ষ থেকে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন। রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টরে বালি পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নাগর নদী থেকে ট্রাক্টরে চলছে দেদার বালি পাচার। গোটা ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

    নদী ভাঙনের আশঙ্কা (Raiganj)

    বালি পাচারের অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও রায়গঞ্জের (Raiganj) নাগর  নদী থেকে  প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছিল। মাঝে পুলিশ প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসায় সাময়িক গা ঢাকা দিয়েছিল বালি মাফিয়ারা। কিন্তু, ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের  অভিযোগ, ভোর রাত থেকেই নৌকা ও  ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। ট্রাক্টরে বালি লোড করে একে একে পাচার করা হচ্ছে মোটা টাকার বিনিময়ে। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। এরফলে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “প্রশাসন ও পুলিশের একাংশ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের মদতেই সক্রিয় বালি মাফিয়ারা। আর সেই জন্যই দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, “বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। বালি পাচারের কিছু অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ‘গুরুদেবকে প্রণাম করেছি’, অবস্থানে অনড় সুবল, তৃণমূলে থাকবেন তো?

    Purba Medinipur: ‘গুরুদেবকে প্রণাম করেছি’, অবস্থানে অনড় সুবল, তৃণমূলে থাকবেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে ফের অস্বস্তিতে দল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণাম করার কড়া মাশুল দিতে হয়েছে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সুবল মান্নাকে। পুরপ্রধানের পদ খুইয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার অনাস্থা এনে তাঁর পরিবর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশকে। এবার দলের প্রতি এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “গুরুদেবকে প্রণাম করেছি। মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য, তা আগামী লোকসভা নির্বাচনে বলব।” তবে নিজের অবস্থানে অনড় তিনি। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে থাকবেন তো? উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন প্রাক্তন পুরপ্রধান (Purba Medinipur)?

    কার্যত নাম না করে কাঁথির (Purba Medinipur) প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রবীণ তৃণমূল নেতা সুবল মান্না কটাক্ষ করে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির উদ্দেশে বলেন, “আমি গুরুদেবকে প্রণাম করেছি, তবে সেটা কোনও দলীয় মঞ্চ বা সভা ছিল না। একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে শিশিরবাবুকে প্রণাম করেছি। তিনি তো এখনও দলের সাংসদ। হাইকোর্টের রায়কে আমি মাথা পেতে নেব। আর যদি কেউ রায় না মানেন, তাহলে আমার কিছু করার নেই। যাঁরা আজকে বলেছেন, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, জ্ঞান, ধারণা এবং যোগ্যতা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। আমি হাইকোর্টের নির্দেশ দেখিয়েছি, মন্ত্রী ঠিক বলছেন না, বলছি একবার পড়ে দেখুন। পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি। মোট ১৫ টি মামলা অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে করেছি।”

    দলে থাকবেন তো সুবল?

    তবে কাঁথির (Purba Medinipur) প্রাক্তন তৃণমূল চেয়ারম্যানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সমানেই লোকসভার ভোট। এই ভোটকে কেন্দ্র করে এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা কি আদৌ দলে থাকবেন? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দলের প্রেক্ষিতে নির্বাচনের আগেই মাঠে নামতে শুরু করেছে বিজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপি তীব্র কটাক্ষ করেছে। কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, “গোয়াল ঘরে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। তবে এই বক্তব্য আমাদের নয়, তৃণমূল দলের বক্তব্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Contai Municipality: শিশিরকে ‘গুরুদেব’ বলার মাশুল! সরল সুবল, কাঁথির চেয়ারম্যান হলেন অখিল পুত্র

    Contai Municipality: শিশিরকে ‘গুরুদেব’ বলার মাশুল! সরল সুবল, কাঁথির চেয়ারম্যান হলেন অখিল পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠান মঞ্চে সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে আখ্যা দেওয়ায় মাশুল গুনতে হয়েছিল কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে। প্রথমে শোকজ এবং পরে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। এরপরই তিনি কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে সরে যান। ওই পদে কে চেয়ারম্যান হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্রকে নিয়ে দলে চর্চা শুরু হয়েছিল। অবশেষে দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী পুত্রের ওপর আস্থা রাখা হয়। নিয়ম মেনে এবার সেই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি।

    চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন সুপ্রকাশ (Contai Municipality)

    বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ১৬ জন এবং একজন নির্দল কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে সুপ্রকাশ গিরিকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে এদিন তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য। সুপ্রকাশবাবু এতদিন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সামলেচ্ছেন। তবে, তিনি এবার চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে ভাইস চেয়ারম্যান পদ খালি হয়ে যায়। দলের নির্দেশ মেনে ওই পদের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাউন্সিলর নীরঞ্জন মান্নার  নাম ঘোষণা করা হয়। তবে, এদিন তিনি শপথ গ্রহণ করেননি।

    ২২ মাস ৭ দিন চেয়ারম্যান ছিলেন সুবল

    ২০২২ সালে পুরভোটে অধিকারীদের খাসতালুক বলে পরিচিত কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) নির্বাচন হয়। ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে জয়ী হয়ে কাঁথি পুরসভায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। আর বিজেপি ৩টি এবং নির্দল পায় ১টি আসন। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী সুবলবাবু। চেয়ারম্যান হিসেবে বর্ষীয়ান সুবল মান্নার নাম আসে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকেই। চেয়ারম্যান হিসাবে চেয়ারে বসেন সুবলবাবু। চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সেই পদে ২২ মাস ৭ দিন ছিলেন। তবে, সম্প্রতি শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ বলে পা ছুঁয়ে প্রণাম করে অনাস্থা ভোটে সেই পদ খুইয়েছেন তিনি। দলীয় কাউন্সিলররা অনাস্থা আনেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুই নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, ব্যাপক ক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    North 24 Parganas: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ দুই নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, ব্যাপক ক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর আক্রমণের পর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। রাজ্যের পুলিশ তাঁর কোনও খোঁজ দিতে পারেনি। অপর দিকে এই প্রতাপশালী নেতার ঘনিষ্ঠ আরও দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বুধবার সন্দেশখালির (North 24 Parganas) সাধারণ মানুষ পথে নেমে তীব্র বিক্ষোভ দেখালেন। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকায় মানুষের জমি জোর করে দখল করে নোনাজল ঢুকিয়ে মাছের চাষ করা চলছে। কিন্তু মানুষের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চনা করা হয়েছে। প্রতিবাদে শতাধিক মানুষ সন্দেশখালি বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আজ।

    জানানো হয় লিখিত অভিযোগ (North 24 Parganas)

    সন্দেশখালি (North 24 Parganas) ২ ব্লকের বিডিও এবং ব্লক ভূমি দফতরে এলাকার মানুষ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “৭ নম্বর কলোনিতে উত্তম সর্দার ১৫০ বিঘা এবং ৮ নম্বর কাছারিপাড়ায় ৩০০ বিঘা জমি কেড়ে নিয়েছে। এখন এই জমিতে চলছে মাছের চাষ। গ্রামের মানুষকে বিঘা প্রতি ৬০০০ টাকা করে ইজারা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অল্প কিছু মানুষকে দিলে বাকি কাউকেই প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয়নি। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ দুটি খালও দখল করে নিয়েছে এই দুই তৃণমূল নেতা। থানা, ব্লক, এবং ভূমির অফিসে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি।”

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (North 24 Parganas) মলিন সিংহ বলেন, “আমাদের কাছ থেকে গড়ে এক বিঘা করে জমি দখল করে নিয়েছে এই তৃণমূলের নেতারা। ইজারার টাকা চাইতে গেল দেওয়া হয় হুমকি।” আবার এলাকার বিডিও অরুণ কুমার সামন্ত জানিয়েছেন, “একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, ব্লকের ভূমি দফতরকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।” আবার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির (North 24 Parganas) উত্তম সর্দার এবং শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ। একজন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং আরেকজন জেলা পরিষদের সদস্য। উত্তম বলেন, “টাকা অনেককে দিয়েছি, কিছু লোকের টাকা বাকি আছে। এখন মাছের দাম কম। কয়েকমাস পর দাম বাড়লে মাছ বিক্রি করে টাকা দিয়ে দেবো। কিন্তু সিপিএম-বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। সন্দেশখালি হল শাহজাহানের ঘাঁটি। বিরোধীরা কিছুই করতে পারবে না।” আবার এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (North 24 Parganas) বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ বলেন, “যাঁদেরকে তৃণমূল অত্যাচার করছে, তাঁরা এখন পথে নেমে আন্দোলন করছেন। এটা ট্রেলার, এরপর তৃণমূলের নেতারা পালানোর জায়গা পাবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Subhranshu Roy: বারাকপুরে ছত্রখান তৃণমূল, দলেরই দুই বিধায়ককে তুলোধনা করলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: বারাকপুরে ছত্রখান তৃণমূল, দলেরই দুই বিধায়ককে তুলোধনা করলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এবং বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের আগে বীজপুরের বিধায়ক কোথায় ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভ্রাংশু। সোমনাথ-সুবোধ জুটিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুকুলপুত্র। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী বলেছেন মুকুলপুত্র? (Subhranshu Roy)

    ৩০ জানুয়ারি কাঁচড়াপাড়ার বাবু ব্লকে রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে সাংসদ অর্জুন সিং-কে নিশানা করেছিলেন দুই বিধায়ক। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ নিয়েও তাঁরা সরব হয়েছেন। ২০২৪ সালে আগের মতো তাণ্ডব চালালে তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ পথে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই দুই বিধায়কের নিশানায় ছিলেন মূলত অর্জুন সিং। দুই বিধায়কের বক্তব্য রাখার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার তাঁর জবাব দিলেন বীজপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কাঁচড়াপাড়ার উপ-পুরপ্রধান শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। তিনি অর্জুন সিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের হাত ধরে সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই, তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার অর্থ দলীয় নেতৃত্ব তাঁরা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর নাম না করে মুকুলপুত্র বলেন, যিনি বা যারা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর তাণ্ডবের কথা বলছেন, তাঁরা তখন কোন দলে ছিলেন। তাঁর বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বীজপুরের বর্তমান বিধায়ক তখন তো বিজেপিতে ছিলেন। অপরদিকে নাম না করেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকেও আক্রমণ করেন শুভ্রাংশু। তিনি বলেন, যিনি বড় বড় কথা বলছেন। তিনি তো তৃণমূল সম্পর্সে কিছুই জানেন না। আর ২০১৯ সালের উন্নয়নের কথা বলছেন, তার আগে তাহলে উন্নয়ন হয়নি। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, দল অনুমতি দিলে আমি তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রস্তুত। আর তিনি দুই বিধায়ককে পরামর্শ দেওয়ার ঢঙে বলেন, যা বলার দলের অভ্যন্তরে বলা উচিত। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মমতার জেলা সফরের দিনই এলোপাথাড়ি গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন

    Murshidabad: মমতার জেলা সফরের দিনই এলোপাথাড়ি গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের পর এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থানার আমানিগঞ্জ। বুধবার রাতে এলোপাথাড়ি গুলিতে তৃণমূল কর্মীকে ঝাঁঝরা করে দিল দুষ্কৃতীরা। মৃতের নাম শ্যামবাবু রায়। সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বুধবারই জেলা সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক সেরে চলে যাওয়ার পর রাতেই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়। আর অভিযোগের তির তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তারা এখন নির্দল করে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কিছুদিন আগে বহরমপুরে তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করা হয়। তারপরই ফের তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আমানিগঞ্জ এলাকায় তৃণমূল কর্মী শ্যামবাবু রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠীর বিবাদ চলছিল। টিকিট না পেয়ে তারা নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিল। আর শ্যামবাবু তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোটে খেটেছিলেন। কিন্তু, গ্রামে নির্দল প্রার্থী জয়লাভ করে। ফলে, নির্দলরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে থাকে। মাঝে মধ্যে গন্ডগোল লেগেই থাকত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাবুর গ্রামে একটি বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে দাদার সঙ্গে তিনি খেতে যান। হামলাকারীদের সেই বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল। সেখানে পটকা ফাটানো নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, মিটেও যায়। এরপর শ্যামবাবু বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাস্তাতেই আটকায়। প্রথমে বেধড়ক মারধর করে। পরে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করা হয়। এরপরই হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালায়।

    চোখের সামনে ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ওরা

    নিহত তৃণমূল কর্মীর দাদা রামেশ্বর রায় বলেন, আমার ভাইয়ের পাঁচ মাসের সন্তান রয়েছে। ভাই মন দিয়ে তৃণমূল দলটা করত। হামলাকারীরা আগে তৃণমূল করত। এখন ওরা নির্দল করে। মাঝে মধ্যে ওরা মিটিং করে গ্রামে অশান্তি তৈরি করে। ভাইয়ের সঙ্গে আমি নিমন্ত্রণ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তাতেই ওরা আমাদের আটকায়। আমি কিছুটা পিছনে ছিলাম। ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখে আমি এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ দেখানোর সাহস পাইনি। আমি ছুটে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচাই। চোখের সামনে ভাইকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ওরা। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, হামলাকারীদের ফাঁসি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি কর্মীর খুনকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে পুলিশ”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি কর্মীর খুনকে দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে পুলিশ”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনাকে পুলিশ দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। কার্যত পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যে আগেও ভোট পরবর্তী হিংসা, পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরনির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ এবং হত্যার ঘটনায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে দেখা যায় বিজেপিকে। এবার শালবনীর মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    আজ বুধবার শালবনীতে মৃত বিজেপি কর্মী মিঠুন খামরুইয়ের বাড়িতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, “পরিকল্পনা করে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের যে কাজ করা দরকার ছিল, সেই কাজ করেনি। পুলিশ এককভাবে দায়িত্ব নিয়ে খুনকে আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা বলে প্রতিপন্ন করতে চাইছে। এর পিছনে শাসক দলের তৃণমূল দুষ্কৃতীরা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ দোষীদের আড়াল করতে চাইছে। বিজেপি পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে। সবরকম সহযোগিতা আমরা করব।”

    কীভাবে উদ্ধার মৃতদেহ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার একটি মেলা চলছিল এলাকায়। সেখানেই গিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মিঠুন খামরুই। রাতে আর তিনি বাড়িতে ফেরেননি। মঙ্গলবার পরের দিন সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় শালবনীর ভাদুতলা থেকে কর্ণগড় যাওয়ার রাস্তায় একটি কালভার্টের নীচে থেকে। যদিও এই মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। আবার বিজেপি কর্মীর ছেলে সৌভিক খামরুই জানিয়েছেন, “বাবাকে খুন করা হয়েছে। তবে কারা করেছে বলতে পারছি না।” তবে স্থানীয় বিজেপির দাবি, তাঁকে পরিকল্পনা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। দলের মৃত কর্মীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন এদিন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে দাদাগিরি, বিজেপি অফিসে লাগানো হল তৃণমূলের পতাকা

    Dakshin Dinajpur: মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে দাদাগিরি, বিজেপি অফিসে লাগানো হল তৃণমূলের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে চলল দাদাগিরি। বিজেপির কার্যালয়ে লাগানো হল তৃণমূলের পতাকা। ঘটনায় ক্ষোভ জানাল বিজেপি। গায়ের জোরে পার্টি অফিস দখলদারির চেষ্টা বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাটের মঙ্গলপুরে। এলাকায় এই ঘটনায় রাজনীতির আঙিনায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কেন তৃণমূলের পতাকা (Dakshin Dinajpur)?

    গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাটে প্রশাসনিক সভা করতে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে সমগ্র বালুরঘাট শহর তৃণমূলের পতাকা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়। এই অবস্থায় বালুরঘাটের মঙ্গলপুরে বিজেপির টাউন পার্টি অফিসের পশ্চিম দিক তৃণমূলের দলীয় পতাকা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের পতাকা দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপির তরফ থেকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) শহর মণ্ডল সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, “মঙ্গলপুরে অবস্থিত বিজেপির পার্টি অফিস আগে বিজেপির জেলা কার্যালয় ছিল। জেলা কার্যালয় স্থানান্তরিত হওয়ার পর বর্তমানে অফিসটি বালুরঘাট শহর মণ্ডল কার্যালয় হিসাবে রয়েছে। গতকাল সেই পার্টি অফিসে তৃণমূলের পতাকা ঝুলিয়ে দিয়ে দখল করার অপচেষ্টা করা হয়।” উল্লেখ্য, বিজেপির ওই পার্টি অফিসের পাশেই রয়েছে বালুরঘাট পুরসভার কমিউনিটি হল। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বালুরঘাট সফর উপলক্ষে কমিউনিটি হলের দিকে থাকা বিজেপি পার্টি অফিসের ঘরের দেওয়ালে তৃণমূলের দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপির ওই অফিসের মধ্যেই রয়েছে প্রাক্তন সৈনিক সংগঠনের একটি ঘর।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ-সভাপতি সুভাষ চকি বলেন, “বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা। যেখানে পতাকা লাগানোর কথা বলা হয়েছে তা একটি প্রাক্তন সৈনিক সংগঠনের অফিস। আর ওই দিকটায় রয়েছে বালুরঘাট পুরসভার কমিউনিটি হল। মুখ্যমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সেখানে দলীয় পতাকা টাঙানো হয়েছে, আবার সফর শেষে তা খুলে ফেলা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share