Tag: tmc

tmc

  • Ram Mandir: ৮ লক্ষ প্রদীপশিখায় রামের ছবি, তৃণমূল নেতার উদ্যোগে বিস্মিত ভাটপাড়া

    Ram Mandir: ৮ লক্ষ প্রদীপশিখায় রামের ছবি, তৃণমূল নেতার উদ্যোগে বিস্মিত ভাটপাড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন রাজ্যে সম্প্রীতির মিছিল করার জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো জেলায় জেলায় মিছিলের প্রস্তুতিও শুরু করেছেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। আর এই আবহের মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে হাঁটলেন ভাটপাড়ার তৃণমূল নেতা প্রিয়াংগু পাণ্ডে। তাঁর উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে রামের প্রতিচ্ছবি। বলা ভাল, রামের পুজোয় মেতে উঠেছেন এই তৃণমূল নেতা। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রামের বিশাল প্রতিচ্ছবি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ৮ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রামের প্রতিবিম্ব (Ram Mandir)

    ভাটপাড়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রিয়াংগু পাণ্ডে। তাঁর স্ত্রী পুরসভার কাউন্সিলর। একসময় অর্জুন বিরোধী নেতা হিসেবে ভাটপাড়ায় তিনি পরিচিত ছিলেন। যদিও সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্বের মধ্যে তিনি এখন নিরপেক্ষ। তবে, এলাকায় তাঁকে তৃণমূল নেতা হিসেবেই সকলেই জানেন। আর গত এক মাস ধরেই রামের মূর্তি তৈরি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। প্রায় ৮ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে ভাটপাড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রামের প্রতিচ্ছবি তৈরি করা হচ্ছে ভাটপাড়ায়। বিহারের শিল্পী অনিল কুমার এই কাজটি করছেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে শিল্পীদের নিয়ে এসে কাজটি করা হচ্ছে। মোট ১১৩ জন মিলে এই কাজ করছেন। এরমধ্যে শিল্পী রয়েছেন ১৩ জন। আর বাকি ১০০ জন শ্রমিক এক যোগে কাজ করে চলেছেন। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের দিন তৃণমূল নেতার উদ্যোগে বিশাল ষজ্ঞের পাশাপাশি পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাও রামের পুজোয় মাতবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূল নেতা প্রিয়াংগু পাণ্ডে বলেন, শিল্পী অনিল কুমার অযোধ্যায় ১৪ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে রামের প্রতিচ্ছবি তৈরি করেছেন। তিনি এবার ভাটপাড়ায় ৮ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে রামের প্রতিচ্ছবি তৈরি করছেন। রাজ্যে এতব়ড় রামের প্রতিবিম্ব আর কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূল নেতা হয়েও রামের পুজোয় ব্যস্ত কেন? তিনি বলেন, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। আর ধর্ম ধর্মের জায়গায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাম মন্দিরের ভোগের প্রসাদ! ১০০১ কেজি গোবিন্দ ভোগ চাল পাঠালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: রাম মন্দিরের ভোগের প্রসাদ! ১০০১ কেজি গোবিন্দ ভোগ চাল পাঠালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের ভোগের প্রসাদের জন্য ১০০১কেজি গোবিন্দ ভোগ চাল পাঠালেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা হল গোবিন্দ ভোগ চালের গাড়ি। এদিন সকালে বালুরঘাট বিজেপি কার্যালয় থেকে গাড়ি রওনা হয়। নারকেল ফাটিয়ে চাল ভর্তি গাড়ির শুভ কার্যকম করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। পাশাপাশি এদিন তাঁর প্রচেষ্টায় বালুরঘাট-হিলির রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হল।

     ১০০১ কেজি চাল পাঠানো হল (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন ২২জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দান সামগ্রী যাচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিখ্যাত গোবিন্দ ভোগ চাল এদিন আমরা পাঠালাম। এই গোবিন্দ ভোগ চাল পুজোর ভোগ রান্নায় ব্যবহার হয়, সেই কারণে আমরাও রাম মন্দিরের ভোগের জন্য ১০০১ কেজি চাল পাঠালাম। এছাড়াও সোমবার জেলায় সব জায়গায় নানা অনুষ্ঠান করা হবে। সন্ধ্যায় বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর পারে এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধ্যা আরতির আয়োজন করা হয়েছে।

    পুলিশ তৃণমূলের দালালি করতে গেলেই অশান্তি বাড়বে!

    রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলকে তোপ দাগেন। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন জেলায় জেলায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকা নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন,পুলিশ প্রশাসন শান্তভাবে থাকলেই হবে। তৃণমূলের দালালি করতে গেলেই অশান্তি বাড়বে। সাধারণ মানুষ, সাধারণ হিন্দু সমাজ ৫০০ বছর পর রাম মন্দির পেয়েছে। তারা রামের পুজো করবে। হিন্দুরা কোনওদিন কাউকে আক্রমণ করে না। বিদেশেও কোম্পানি খুলেছিলেন শঙ্কর আঢ্য! এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, এখন তো বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতারা কেন মাঝে মাঝে দুবাইয়ে যায়। দুবাইয়ে তারা কি লুকাতে যায় তা আমরা বুঝিনা। এখন বোঝা যাচ্ছে শঙ্কর আঢ্যর মতো একজন প্ৰাক্তন পুরসভার চেয়ারম্যান তার যদি দুবাইয়ে কোম্পানি থাকতে পারে। তাহলেই বাদবাকি তৃণমূল নেতাদের কী আছে দেখুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো,’ তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো,’ তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়নগরের সভার পাল্টা সভা জয়নগরের দক্ষিণ বারাসতের রেল মাঠে করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এই পাল্টা সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি। মূলত বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এই সভার আয়োজন করা হয়।

    মমতাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোডিয়াম-পটাশিয়ামের গন্ডগোল পুনরায় হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, কপিল মুনির আশ্রম তিনি বানিয়েছেন, এমনকী কালিঘাট-তারাপীঠও তিনি বানিয়েছেন। কি আর করা যাবে? কথাবার্তার কোনও ব্যালান্স নেই। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ৪৭ সালে বেলেঘাটায় এসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গান্ধীজিকে ফলের জুস খাইয়েছেন। রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন বলে তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন। দেশে আমরা আছি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাথার ঠিক নেই।

    ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি পিসি-ভাইপো

    সন্দেশখালি তৃণমূল নেতা শাহজাহানের প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, শাহজাহান ফেরার নয়, তাঁকে পুলিশ নিয়ে নিয়েছে। তাই, শাহজাহানকে কোনওদিন ধরতে পারবে না। এছাড়াও তিনি চাঞ্চল্যকর দাবি করেন শাজাহান কোথায় রয়েছে সেই খবর আমরা জানি, সরবেরিয়া থেকে ধামাখালির মধ্যে আত্মগোপন করে রয়েছে শাহজাহান। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিষ্ণুপুরের বিজেপি নেতা অগ্নিশ্বর নস্করকে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে। অথচ শাহজাহানকে গ্রেফতার করছেন। আর পুলিশ ধরতে গেলে কিছু পুলিশ রয়েছে তারাই শাহজাহানকে জানিয়ে দিচ্ছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই চোর মমতাকে আপনারা পাল্টাবেন, ততক্ষণ আপনাদের এই যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। যেদিন মমতা প্রাক্তন হবেন, আর চোর ভাইপো জেলে যাবেন, সেদিন মানুষ শান্তি পাবেন। তার আগে কোনও শান্তি পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। আমাদের লড়াই চলছে। তিনি আরও বলেন, সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা চোর নর্দমার কিট (কুণাল ঘোষ) সে তো বলে পিসি হল রামকৃষ্ণ দেব আর কয়লা ভাইপো হল স্বামী বিবেকানন্দ। আমার মনে হয়, ডাকাত আর চোরের যুগলবন্দি হলেন পিসি আর ভাইপো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara:  নাম না করে অর্জুনকে ফের তুলোধনা করলেন সোমনাথ

    Bhatpara: নাম না করে অর্জুনকে ফের তুলোধনা করলেন সোমনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অর্জুন সিংকে নিশানা করে আক্রমণ করলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। ভাটপাড়ায় (Bhatpara) খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের স্মৃতিতে জগদ্দল সার্কাস মোড়ে তাঁর বাড়ির কাছে এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই হাজির হয়েছিলেন বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম।

    অর্জুনকে নিয়ে কী বললেন সোমনাথ? (Bhatpara)

    অর্জুনের নাম না করে সোমনাথ বলেন,’ একই ঘর থেকে সকালে বিজেপি বেরোচ্ছে। সন্ধ্যেয় বেরোচ্ছে অন্য পার্টির লোক। একই ঘর থেকে দু-দুটো পার্টি, এরকম বহুরূপী চাল কীভাবে চলতে পারে? যে বা যারা এসব করছে তারা যেন ভেবে নেয় মানুষ মূর্খ নয়। এসব রাজনীতি আগে চলত। ২০১৯ সালের পরে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে ওই চালাকি এখন আর চলে না’। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি বিশেষ কারও সম্পর্কে কোনও কথা বলতে আসিনি। আমার প্রশ্ন, ভাটপাড়ার (Bhatpara) তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবের খুনিরা কারা, কীভাবে খুন করালো, কোন পরিবার থেকে বেরিয়ে খুন হচ্ছে সেটা কেন দেখা হবে না? দলীয় কর্মী খুনের পিছনে যে বা যারা আছে তাদের বিরুদ্ধে বলছি। এখানে ব্যক্তি কোনও বিষয়ই নয়’। এদিন জগদ্দলের বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন, ২০০৫ অথবা ২০০৬ সাল নাগাদ চোরাই গাড়িতে করে হেরোইন এবং আর্মস নিয়ে নেপাল বর্ডারে কে গ্রেফতার হয়েছিল তা খুঁজে বের করতে, না হলে তার কাছে থাকা হলুদ ফাইল আগামীদিনে এর উত্তর দেবে।  

    ভাটপাড়া পুরসভায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন

    বিধায়কের প্রশ্ন, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভা থেকে যে কোম্পানি সাড়ে চার কোটি টাকা নিয়ে রেখেছে, তার সঙ্গে কার যোগ আছে, কেন সেই টাকা পুরসভাকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না, কোনও মঞ্চ থেকে তার কেন জবাব নেই। আরও প্রশ্ন, ভাটপাড়া নৈহাটি সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতি,ভাটপাড়া পুরসভায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি, পেনশন ও মিড ডে মিলে দুর্নীতি সহ জুট মিল থেকে মাটি বিক্রি, কারখানার ভেতর থেকে লোহার স্ক্রাব বিক্রির কেন কোনও জবাব নেই সেই প্রশ্নও তোলেন বিধায়ক। উল্লেখ্য, যেসব দুর্নীতির কথা সোমনাথ বলছেন, সেই সময় ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন অর্জুন সিং। ফলে, অভিযোগের তির যে তার দিকেই তা একপ্রকার স্পষ্ট। যদিও সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘ কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা কারোর উদ্দেশ্যে আমি কিছু বলিনি। আমি শুধু ভিকি যাদব খুনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বলেছি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন!’ বেফাঁস হুমায়ুন

    Murshidabad: ‘অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন!’ বেফাঁস হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের একটা অংশের বিরোধ রয়েছে। প্রকাশ্যেই দলের সাংসদ আবু তাহের সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের রোষে পড়েন। শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো বেশি কথা বলার জন্য ধমক দেন। কিন্তু, বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই সুর চড়িয়েছেন। এবার তাঁর সরাসরি আঙুল অভিষেকের অফিসের দলীয় এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

     অভিষেকের অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন! (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, ‘কোনও চ্যাং-ব্যাং, ২৭-২৮ বছরের ছেলেরা ৬০, ৬২, ৭০ বছরের নেতৃত্বকে অবহেলা করবে, তাঁদের কর্তৃত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করবে, ভুল ট্রিটমেন্ট করা, মূল্যায়ন করা, মেনে নেওয়া যায় না। সেটা আমি সব মানব না!’ এসব বলার পাশাপাশিই অভিষেকের ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘অভিষেক সত্যিই যোগ্য নেতৃত্ব হয়ে উঠেছেন। তিনি শুধু ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নন। পাশাপাশি তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মমতার পরেই তাঁকে মানি। নবীনদের মধ্যে যদি প্রতিভা থাকে, তাঁরা নেতৃত্ব দিতেই পারেন। যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর নাম করে তাঁর অফিসের এক কর্মী তোলাবাজি করছেন। নিজে নিজের ব্লক সভাপতি ঠিক করে দিচ্ছেন। তা হলে আমাদের রাজনীতি করার মানে কী? অভিষেককে আমি নেতা মানি। তাঁর হুইপ মানতেও রাজি। কিন্তু, তাঁর নাম করে কেউ অনৈতিক কাজ করবে, সেটা মানা সম্ভব নয়। তিনি নিজের ক্ষমতা জাহির করতে গিয়ে বলেন, দলনেত্রী মমতা আমাকে দায়িত্ব দিলে লোকসভা ভোটে বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে দু’লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেখিয়ে দেব।’

    মমতার ধমক নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    শুক্রবার দলীয় বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো সকলের সামনেও হুমায়ুনকে ধমক দেন। সেই প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন,’ ধমকের কোনও বিষয় নয়। প্রবাদবাক্য রয়েছে, শাসন করার অধিকার তাঁরই থাকে যিনি ভালবাসেন। সোহাগ করতে জানেন। দিদি আমাকে স্নেহ করেন। তাই কোনও সময়ে ভুল করলে বকুনিও দেন। আমি মনে করি, গুরুজনের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। রাজনীতির ময়দানে তিনি গুরুজন। তাঁর কথায় কিছু মনে করি না। তাঁর প্রতি বলার কিছু নয়। যোগ্য নেতৃত্ব বলে মনে করি।’ এরপরই তিনি চেনা ঢঙে বলেন, ‘আমাকে চমকিয়ে-ধমকিয়ে লাভ নেই। আমি বহিষ্কার বা ওই ধরনের শাস্তির ভয় পাই না। তাঁর কথায়, দল ছাঁটাইয়ে প্রস্তুত আছে। কিন্তু দল ছাঁটাই করবে কি না দলকে ভাবতে হবে। ছাঁটাই করলে কোথায় রাস্তা খুঁজতে হয়, সঠিক মূল্যায়ন করতে হয় আমি জানি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি! বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা

    Panihati: চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি! বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাউন্সিলারদের নজিরবিহীন প্রতিবাদে ভেস্তে গেল পানিহাটি (Panihati) পুরসভার বোর্ড মিটিং। শুক্রবার বিকেলে মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়া শাসক দলের কাউন্সিলররা প্রকাশ্যে চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, পুরসভা সঠিকভাবে চলছে না। চেয়ারম্যানকে সরাতে হবে। উচ্চ নেতৃত্ব আমাদের সঙ্গে না বসলে আমরা বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নেব না। এরপর শাসক দলের কাউন্সিলররা হাজিরা খাতায় সই না করে বেরিয়ে যান। এই ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    পানিহাটির (Panihati) ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি করে কংগ্রেস ও সিপিএমের দখলে। বাকি তৃণমূলের। শুক্রবার ছিল বোর্ড মিটিং। সমস্ত পুরপ্রতিনিধির থাকার কথা থাকলেও তৃণমূলের ২৯ জন (পুরপ্রধান-সহ) এবং সিপিএম ও কংগ্রেসের দু’জন ছিলেন। দেখা যায়, একে একে সকলে এলেও বিধায়ক নির্মল ঘোষের পুত্র তথা চেয়ারম্যান পারিষদ তীর্থঙ্কর ঘোষ-সহ আরও তিন পুরপ্রতিনিধি, তাপস দে, স্বপন দাস ও সম্রাট চক্রবর্তী অনুপস্থিত। এদিন পূর্ব নির্ধারিত বোর্ড মিটিংয়ে পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার ও ফিনান্স অফিসার সহ সমস্ত কাউন্সিলররা হাজির ছিলেন। কিন্তু, বৈঠকের শুরুতে শাসক দলের কাউন্সিলররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রবীর ভটাচার্য নামে তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর প্রকাশ্যে পুরসভা সঠিকভাবে চলছে না বলে অভিযোগ তোলেন। অন্যান্য কাউন্সিলররা তাঁকে সমর্থন করেন। চেয়ারম্যানকে সরানোর দাবি জানিয়ে ২৮ জন পুরপ্রতিনিধি আলোচনাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান। দাবি তুললেন, পুরপ্রধান বদল করতে হবে! কারণ, তাঁর নেতৃত্বে কোনও কাজই ঠিক ভাবে হচ্ছে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের অন্দরে তীব্র জলঘোলা শুরু হয়েছে।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    শাসকদলের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে তাঁর দলেরই পুরপ্রতিনিধিদের এ হেন অনাস্থা প্রকাশের ঘটনা শুক্রবার ঘটেছে পানিহাটিতে (Panihati)। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটির সম্প্রসারণ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিতে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। আর সেই নির্মলবাবুরই খাসতালুক বলে পরিচিত পানিহাটিতে এমন ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এ দিন ঘটনার পর থেকেই পানিহাটিতে জল্পনা চলছে, তা হলে কি সত্যিই পুরপ্রধান বদল করা হবে? যদিও বিষয়টি নিয়ে নির্মলবাবু কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, কোরাম গঠন না হওয়ায় এদিন বোর্ড মিটিং সম্ভব হয়নি। বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে নতুন করে বোর্ড মিটিংয়ে দিনক্ষণ স্থির করা হবে।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতির কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যানের নিজের বিধানসভা এলাকার পুরসভার ঘটনা। তাই, দলের উচ্চ নেতৃত্ব বিষয়টি নিশ্চয়ই গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সম্প্রীতির মিছিলের নামে মমতা দাঙ্গা লাগাতে চাইছেন’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সম্প্রীতির মিছিলের নামে মমতা দাঙ্গা লাগাতে চাইছেন’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) । পুলিশের খাতায় তিনি এখনও ফেরার। তবে, যতদিন যাচ্ছে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। এরইমধ্যে সামনে এসেছে তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানেও জমি কেলেঙ্কারি! আর পিছনেও রয়েছে শাহজাহান। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। প্রায় দুসপ্তাহের কাছাকাছি তিনি এলাকা ছাড়া থাকায় এলাকার মানুষ এবার ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

    শহিদ পরিবারের জমিও রেকর্ড করে নিয়েছে শাহজাহানের পরিবার! (Sheikh Shahjahan)

     তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানেই জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির বেড়মজুর পঞ্চায়েত এলাকায় তেভাগা আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। জমি আন্দোলনে যুক্ত থেকে প্রাণ হারানো কৃষকদের জন্য রয়েছে শহিদ বেদীও। অভিযোগ, সেই বেদী সংলগ্ন গরিব চাষিদের জমি শাহজাহানের প্রত্যক্ষ মদতে তাঁর ভাই বেড়মজুরের অঞ্চল সভাপতি সিরাজউদ্দিন শেখ দখল করে নিয়েছেন। শহিদ বেদীর অবস্থা তথৈবচ। ভেঙে পড়ছে চাঙর। শহিদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, বেদীর দু’পাশে জমি ৯১১ নম্বর খতিয়ান, আরেকপাশে ২২২৩ ও ২২২৪ নম্বর খতিয়ানের জমি এখন সিরাজউদ্দিনের দখলে রয়েছে। অথচ এই জমি আমাদের বাবাদের নামে। আমরা এখানে চাষবাস করে খাই। হঠাৎ করে দেখি এই জমি ওঁদের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। আমাদের জমি দখল হয়ে যায়। আর দাদার দাপটে এলাকায় কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। কারণ, কেউ জমি দখলের বিষয়ে মুখ খুললে বিপদ। বাড়িতে এসে ভাঙচুর করবে, মারধর করবে। পাশেই দাঁড়িয়ে গ্রামেরই আরেক বৃদ্ধা বললেন,ধমক-চমক দেখায়। অন্য জমি থাকলেও, তা ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাবে। কোনও দিনই বিচার পাইনি, পাব বলে আশাই করি না। ইডি-র হামলার পর থেকে যদিও গ্রামে এখন আপাতত শেখ শাহজাহান কিংবা শেখ সিরাজউদ্দিন কারোরই টিকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বুকে বল নিয়ে সাহস করে এসব কথা বলে শাহজাহানের জমানায় অত্যাচারিত হওয়া পরিবারের লোকজন সুবিচার চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: সরকারি বাংলো খালি করতেই হবে! মহুয়ার আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    Mahua Moitra: সরকারি বাংলো খালি করতেই হবে! মহুয়ার আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে আগেই মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তাঁকে দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয় এরপর। দিল্লির সরকারি বাংলো খালি করার নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। বৃহস্পতিবারই তা খারিজ হয়ে গেল দিল্লি হাইকোর্টে। দিল্লি হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার হারিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।

    বাংলো খালি করার নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)

    কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বহিষ্কৃত এই তৃণমূল সাংসদকে বাংলো খালি করার নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। বৃহস্পতিবারই সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। সেখানেই খারিজ হল তাঁর আবেদন। মামলায় আদালতের সাফ বক্তব্য, মহুয়াকে (Mahua Moitra) সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ফলে তিনি আর ওই বাংলোয় থাকতে পারেন না।

    গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়

    গত মঙ্গলবারই মহুয়াকে বাংলো খালি করতে বলে কেন্দ্রের ডাইরেক্টরেট অফ এস্টেটস (ডিওই)। নোটিশে এও লেখা হয়, বাংলো খালি না হলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের রাস্তাতেও যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়। সেই সময়ই তাঁকে সময়সীমা দেওয়া হয় ৭ জানুয়ারির মধ্যে দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করার। কিন্তু মহুয়া তার পরেও নির্দেশ মানেননি। গত ৮ জানুয়ারি, ফের নোটিশ আসে মহুয়ার (Mahua Moitra) কাছে। কেন এখনও বাংলো খালি করেননি, তিন দিনের মধ্যে তার কারণ জানাতে বলা হয় তাঁকে। এরপরে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার আবার নোটিশ যায় মহুয়ার কাছে। মহুয়া হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার খারিজ হল তাঁর আবেদন।

     

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    Sheikh Shahjahan: তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের জমিতেও থাবা শাহজাহানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) । পুলিশের খাতায় তিনি এখনও ফেরার। তবে, যতদিন যাচ্ছে শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। এরইমধ্যে সামনে এসেছে তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানেও জমি কেলেঙ্কারি! আর পিছনেও রয়েছে শাহজাহান। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। প্রায় দুসপ্তাহের কাছাকাছি তিনি এলাকা ছাড়া থাকায় এলাকার মানুষ এবার ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

    শহিদ পরিবারের জমিও রেকর্ড করে নিয়েছে শাহজাহানের পরিবার! (Sheikh Shahjahan)

    তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থানেই জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির বেড়মজুর পঞ্চায়েত এলাকায় তেভাগা আন্দোলনের ইতিহাস রয়েছে। জমি আন্দোলনে যুক্ত থেকে প্রাণ হারানো কৃষকদের জন্য রয়েছে শহিদ বেদীও। অভিযোগ, সেই বেদী সংলগ্ন গরিব চাষিদের জমি শাহজাহানের প্রত্যক্ষ মদতে তাঁর ভাই বেড়মজুরের অঞ্চল সভাপতি সিরাজউদ্দিন শেখ দখল করে নিয়েছেন। শহিদ বেদীর অবস্থা তথৈবচ। ভেঙে পড়ছে চাঙর। শহিদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, বেদীর দু’পাশে জমি ৯১১ নম্বর খতিয়ান, আরেকপাশে ২২২৩ ও ২২২৪ নম্বর খতিয়ানের জমি এখন সিরাজউদ্দিনের দখলে রয়েছে। অথচ এই জমি আমাদের বাবাদের নামে। আমরা এখানে চাষবাস করে খাই। হঠাৎ করে দেখি এই জমি ওঁদের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। আমাদের জমি দখল হয়ে যায়। আর দাদার দাপটে এলাকায় কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। কারণ, কেউ জমি দখলের বিষয়ে মুখ খুললে বিপদ। বাড়িতে এসে ভাঙচুর করবে, মারধর করবে। পাশেই দাঁড়িয়ে গ্রামেরই আরেক বৃদ্ধা বললেন,ধমক-চমক দেখায়। অন্য জমি থাকলেও, তা ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যাবে। কোনও দিনই বিচার পাইনি, পাব বলে আশাই করি না। ইডি-র হামলার পর থেকে যদিও গ্রামে এখন আপাতত শেখ শাহজাহান কিংবা শেখ সিরাজউদ্দিন কারোরই টিকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বুকে বল নিয়ে সাহস করে এসব কথা বলে শাহজাহানের জমানায় অত্যাচারিত হওয়া পরিবারের লোকজন সুবিচার চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    Murshidabad: বহরমপুরের পর রানিনগর, তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সত্যেন চৌধুরীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম ওই যুবকের নাম মনোজ মণ্ডল (২৭)। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৬ জুলাই রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের চর ৫১ গ্রামে একটি বিষয় নিয়ে বাপি মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল রাজবীর মণ্ডল নামে এক যুবকের। অভিযোগ, সেইদিন বাপি ও তাঁর শাগরেদরা মিলে রাজবীর-সহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছিল। সেদিন বাপির সঙ্গী ছিলেন এদিনের জখম তৃণমূল কর্মী মনোজ মণ্ডল। আর তারই বদলা নিতে রাজবীররা কয়েকজন মিলে বুধবার রাতে মনোজের বাড়িতে ঢুকে হয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। যার একটি গুলি তাঁর পেটে লেগেছে। মনোজ বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে রানিনগরের গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কী বললেন?

     রানিনগর ২ ব্লকের নব নির্বাচিত সভাপতি মাহাবুব মুর্শিদ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। এই ঘটনা তারই জের। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ প্রকৃত দোষীদের ধরে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির রানিনগর মণ্ডল সভাপতি আশিক ইকবাল বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়। পুরানো ঝামেলার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share