Tag: tmc

tmc

  • Sukanta Majumdar: ”সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছেন মমতা’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ”সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করছেন মমতা’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনই ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করতে চলেছে তৃণমূল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই আবহের মধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ২২ জানুয়ারি ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসায় উস্কানি দিতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতের উচিত হিংসায় উস্কানি দেওয়ার পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেওয়া। জানা গিয়েছে, এই মিছিলের জেরে রাজ্যে সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে, এমন দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই মনে করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।

    ‘সম্প্রীতি মিছিল’ করে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা (Sukanta Majumdar)

    বুধবার হুগলির ধনেখালিতে বিজেপির রাজ্য চিকিৎসক সেলের কো-কনভেনার ড. অরূপকুমার দাস বাড়িতে আসেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে তিনি বলেন, ২২ জানুয়ারি আপনারা জানেন যে রামমন্দিরের উদ্বোধন হচ্ছে। হিন্দু সমাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেদিন মন্দিরে মন্দিরে পুজো করবে। ভগবান রামের আরধানা করবে এবং যে দেবতার মন্দির, তাঁর আরাধনা করবে। এই পরিস্থিতিতে এই মিছিলের ডাক দিয়ে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উস্কানি দিয়ে হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। এই হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা আদালতের উচিত ভেস্তে দেওয়া।

    লাদেনের শেষ পরিণতির মতো খুঁজে পাওয়া যাবে না শাহজাহানকে!

    এ দিন তিনি শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না বলাটা ঠিক নয়। আসলে পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় এই নাটক করছে।  সত্যের অপলাপ হচ্ছে। বিচারপতি তো আর অত খুলে বলতে পারবেন না। বলা সম্ভবও নয়। পুলিশ জানে শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে আছে। দরাদরি চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। তবে এটা ঠিক একবার যখন ইডির গায়ে হাত দিয়েছে, অত সহজে ছাড় পাবে না। গুহায় লুকিয়ে থেকে লাদেন একসময় অডিয়ো – ভিডিয়ো বার্তা পাঠাত। লাদেনের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল সবাই জানে। কোথায় তাকে কবর দেয়া হয়েছিল কেউ জানে না। শেখ শাহজাহানেরও সেই রকমই একটা পরিণতি হবে। খুঁজে পাওয়া যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: শাগরেদের সঙ্গে আদালতে দেখা করাই হল খুনির কাল, পুলিশের জালে গ্রেফতার

    Murshidabad: শাগরেদের সঙ্গে আদালতে দেখা করাই হল খুনির কাল, পুলিশের জালে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে গত ৭ জানুয়ারিতে নির্মীয়মাণ বহুতলে উঠে তিনজন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করেছিল তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরিকে। তিন দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজনের মাথায় হেলমেট পড়া ছিল। তবে মাথা ঢাকা থাকলেও রেহাই পায়নি খুনি। শাগরেদের সঙ্গে আদলাতে দেখা করাই কাল হল খুনির। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ আদালত চত্বর থেকে ধরে ফেলে এই অভিযুক্ত খুনিকে। ধৃত দুষ্কৃতীর নাম রহিম শেখ।

    ফাঁদ পেতে পাকড়াও করা হয় খুনিকে (Murshidabad)

    বহরমপুর (Murshidabad) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরিকে খুন করতে সুপারি কিলার হিসাবে খুনিদের ভাড়া করা হয়েছিল। তাই তাকে খুন করতে অত্যন্ত কাছ থেকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুটি মোবাইল নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এরপর গ্রেফতার ঠেকাতে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিতে চেয়েছিল অভিযুক্ত প্রধান খুনি রহিম শেখ। সীমান্তের ওপারে যেতে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে আদালত চত্বরে আসে রহিম। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে ধরার জন্য ফাঁদ পেতে রাখে। আদালত চত্বরে পৌঁছালেই সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করে রহিমকে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার তাকে আদলাতে তোলা হয়। বিচারক, এই অভিযুক্ত খুনিকে ১০ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার পুলিশ প্রধান সূর্য প্রতাপ এই খুনের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, “খুনের পর ঘটনাস্থলের পাশে থাকা দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত খুনিদের তল্লাশি করার কাজ শুরু হয়েছিল। বেশ কিছু অভিযুক্তদের পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। খুনের পিছে আর কে কে আছে তাদের খোঁজ করা হচ্ছে।”

    কল লিস্ট থেকে মিলেছে তথ্য

    খুন হওয়া সত্যেনের (Murshidabad) একটি মোবাইল উদ্ধারের পর কল লিস্ট থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশের অনুমান ছিল খুনে অভিযুক্তরা নওদা হয়ে নদিয়ার সীমান্তে আত্মগোপন করে রয়েছে। পাশাপাশি মোবাইলের সূত্র ধরে নদিয়ার এক যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার নাম মুস্তাফা শেখ। এই তৃণমূল নেতার বাড়ি হল তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগরে। তিনি এই অঞ্চলের অঞ্চল যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি। এরপর বাকি অভিযুক্তদের ধরার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ। পরে অবশ্য মুস্তাফা জামিন পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য

    Hooghly: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিডিও কলে বোমা দেখিয়ে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত এক যুবক। যুবকের নাম শেখ শামিম। ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) তারকেশ্বরের কাছে নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিয়াসারা এলাকায়। পুলিশের কাছে জেরা করে ধৃত যুবকের কাছে এক ডজন আরও বোমা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Hooghly)

    ঘটনায় স্থানীয় (Hooghly) পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক এলাকায় তৃণমূল করে। গত সোমবার রাতে একটি ভিডিও কলের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, শামিম নিজের হাতে বোমা নিয়ে একজনকে দেখাচ্ছে। একই ভাবে তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে বলে অপর প্রান্তের আরেক যুবককে ইশারাও দেয়। এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক বিনিময় হয়। এরপর পুলিশ তল্লাশি করে পাকড়াও করে শামিমকে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে এলাকায় বোমা মজুত রয়েছে বলে খোঁজ মেলে এবং এরপর পুলিশ ১২ টি বোমা উদ্ধার করে। তারপরেই বালতির জলে ডুবিয়ে বোমাগুলিকে নিস্ক্রিয় করে পুলিশ। এই যুবকের সঙ্গে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের মনিরুল ইসলামের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে ঘটনায় তৃণমূল দলের মধ্যেই তীব্র অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) বিজেপি নেতা গণেশ চক্রবর্তী বলেন, “লোকসভার ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি করতে তৃণমূল এই ধরনের কাজ করছে। উপপ্রধান এই সব অসামাজিক কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের (Hooghly) মনিরুল ইসলাম অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করুক। দোষীকে আমি চিনি না।” আবার তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ বলেন, “বিষয় সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে বলব।” উল্লেখ্য এই পিয়াসারায় দুমাস আগে বিধায়ক এবং উপপ্রধান গোষ্ঠীর সঙ্গে পরস্পরের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলকায় নেমেছিল পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরি করে দাপট দেখাচ্ছে তৃণমূল, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

    North 24 Parganas: সরকারি জমিতে পার্টি অফিস তৈরি করে দাপট দেখাচ্ছে তৃণমূল, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমিতে তৃণমূলের কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠল। সরকারি জমিতে রয়েছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুল গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, স্কুলের জমি দখল করে কার্যালয় নির্মাণ করছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শাহাবুদ্দিন সর্দার। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (North 24 Parganas)  

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) লক্ষ্মীপুল শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের জমিতে তৃণমূলের কার্যালয় তৈরির ঘটনায় অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল লাগোয়া জমিতে রাজনৈতিক কার্যালয় তৈরি করলে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হবে। নির্মাণের জন্য বালির স্তূপ জড়ো করা রয়েছে স্কুলের সামনে। ফলে পড়ুয়াদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তবে তৃণমূলের যাঁরা কার্যালয়টি তৈরি করছেন, তাঁদের দাবি, স্কুলের জমি দখল করা হয়নি। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমিনা খাতুন বলেন, এ বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করিনি। তবে আমাকে বিডিও অফিস থেকে বলা হয়েছিল, নির্মীয়মাণ কার্যালয়ের ছবি পাঠাতে। আমি তা পাঠিয়েছি। জানিয়েছি, স্কুল ও দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে কতটা দূরত্ব রয়েছে।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা শাহাবুদ্দিনসাহেব বলেন, স্কুলের জমিতে নয়, জেলা পরিষদের জমিতে পার্টি অফিস তৈরি হচ্ছে। জেলা পরিষদের ৩.৫ শতক জমি স্কুলের নামে রয়েছে। সম্পূর্ণ জমি আছে ৫ শতক। স্কুলের সীমানার বাইরের জমিতে রাতে বসার জন্য পার্টি অফিস করছি। এতে কারও কোনও সমস্যা হবে না।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির কোটরা-কদম্বগাছি মণ্ডল সভাপতি কালীপদ ঘোষ বলেন, তৃণমূল তো এ রকমই করে। এটাই ওদের সংস্কৃতি। সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস হবে, সরকারি জমি দখল করে প্লটিং হবে। ওদের একেবারে উপর থেকে তলা পর্যন্ত এই জিনিস চলছে। গায়ের জোরে এই কাজ করছেন পঞ্চায়েত সদস্য। প্রশাসন উদাসীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Galsi: দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, ছুড়ে ফেলা হল পতাকা, তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    Galsi: দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, ছুড়ে ফেলা হল পতাকা, তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পর এবার গলসি (Galsi)। ফের তৃণমূলের কোন্দলের ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে ভাঙচুর হল দলীয় কার্যালয়। রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হল দলের পতাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গলসির জগুলিপাড়া মোড়ে। আর এই ঘটনার জেরে কার্যত মুখ পুড়েছে শাসকদলের নেতাদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Galsi)

    গলসি-১ (Galsi) নম্বর ব্লকে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন এবং বর্তমান ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় এবং স্থানীয় বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই এই তিন জনের তিনটি গোষ্ঠী রয়েছে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর। এর আগেও বেশ কয়েক বার গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িয়েছে তিন গোষ্ঠী। গত ২ জানুয়ারি বিধায়ক নেপালের গোষ্ঠী এবং ব্লক সভাপতি জনার্দনের লোক জনের মধ্যে গন্ডগোলে এলাকায় বোমাবাজিরও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে ফের কোন্দল সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, গলসির জাগুলিপাড়া মোড়ে তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায় সেটির উদ্বোধন করেছিলেন। তখন থেকে তাঁর অনুগামীরাই মূলত ওই কার্যালয়ে বসতেন। অভিযোগ, রবিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের ছাউনির একাংশ এবং শহিদ বেদি ভেঙে দেওয়া হয়। বসার বেঞ্চগুলো ছুড়ে বাইরে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও ব্লক সভাপতি এবং বিধায়কের মধ্যে একাধিকবার গন্ডগোলে ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এই গন্ডগোল এবং ভাঙচুর নিয়ে গলসির (Galsi) বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস অবশ্য জানান এ নিয়ে তাঁরা অবহিত। তিনি বলেন, আমরা ঘটনাটি জেনেছি। খোঁজখবর নিয়ে জানব, কারা এই কাজ করেছেন। আর দলীয় অফিস যারা ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                

  • Barrackpore: তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা

    Barrackpore: তোলা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা, বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোলার টাকা না পেয়ে ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালানোর ঘটনার ঘটেছিল। বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজার এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ী গৌরব রায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বনধের ডাক দিলেন। এদিন সদর বাজারে কোনও দোকান খোলেনি। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, হামলা চালানোর একটা অভিযোগ হয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) সদর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী  গৌরব রায়কে বেশ কিছুদিন ধরে ফোনে হুমকি দিচ্ছিল স্থানীয় যুবক সোনু সাউ। তার কাছ থেকে বারংবার টাকা দাবি করা হচ্ছিল।  কিন্তু কয়েকদিন ধরে সনুর  গৌরব রায় ফোন ধরা বন্ধ করে দেয়। রবিবার সকালে গৌরব রায় যখন নিজের কর্মস্থলে যান, সেই সময় সেখানে সনু উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী গৌরব কে  ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় তাকে ব্যারাকপুর জগদীশ চন্দ্র বসু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।  ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। আহত যুবক গৌরব রায বলেন, আমার ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। আমি এটা ফ্ল্যাট তৈরি করছি। এটাই আমার অপরাধ। কয়দিন ধরে ফোন করে আমাকে তোলা চায় সনু। আমি ওর ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ও আমার ফ্ল্যাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। মিস্ত্রিদেরকে  সেখান থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সনু কে এই ধরনের ও আচ্ছা  আচরণ করতে নিষেধ করি। উল্টে সে আমাকে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে কোপ মারে। আমার ভাই বাঁধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে। আমার এক বন্ধু সেখানে এলে তার উপরও চড়াও হয়। পরে এলাকার লোকজন  জড়ো হতে  ও পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

    ব্যবসায়ীরা কী বললেন?

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ব্যবসা করার জন্য তোলা দিতে হলে এই এলাকায় কেউ আর ব্যবসা করতে পারবে না। এটা ঠিক নয়। আমরা তাই ব্যবসা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছি। অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি-র বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই তোলাবাজির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। সারা রাজ্য জুড়ে এইভাবে তোলাবাজি চলছে। তৃণমূল নেতা সঞ্জীব সিং বলেন, ঘটনাটি ঠিক হয়নি। তবে, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল জড়িত নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    Jagannath Chatterjee: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ। সোমবার তথ্য প্রমাণ দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chatterjee) । একইসঙ্গে সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সাংসদ শতাব্দী রায়ের ১৫ বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকার খরচের ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

    ভুয়ো টেন্ডার করে এমপি ল্যাডের টাকা হাতানোর চেষ্টা! (Jagannath Chatterjee)

    বীরভূমের সিউড়ি পুরসভা এলাকায় বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। সাংসদ তহবিলের ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কাজ করা হবে। এই কাজের ভুয়ো টেন্ডারের কাগজ তুলে ধরে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক দুর্নীতি প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তিনি (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার এই ভুয়ো টেন্ডারের কাগজপত্রই প্রমাণ করে সাংসদ তহবিলের টাকা এইভাবে নয়ছয় করার চেষ্টা হয়েছে। সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করে। সুতরাং এই টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কেএমডিএ তিনজন ইঞ্জিনিয়র সই করে ভেটিং করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে একজন ই়ঞ্জিনিয়র বহুদিন আগে অবসর গ্রহণ করেছেন। দুজন ইঞ্জিনিয়রের কোনও অস্তিত্ব নেই। ফলে, সেই কাগজপত্র পুজো জাল। এই ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে সিউড়ি পুরসভা ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষেছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সাংসদ, জেলাশাসক, সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান জড়িত। আর বিষয়টি সামনে আসতেই সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি টেন্ডার বাতিল করে দেন। টেন্ডার বাতিল করলেও আমরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    ১৫ বছরের সাংসদ তহবিলের টাকার তদন্তের দাবি

    জগন্নাথবাবু (Jagannath Chatterjee) বলেন, সিউড়ি পুরসভার বাতিস্তম্ভ কেলেঙ্কারির মতো গত ১৫ বছর ধরে সাংসদ তহবিলের টাকা ভুয়ো টেন্ডার করে নয়ছয় করেছে শতাব্দী রায়। তাই, আমরা গত ১৫ বছরে ৭৫ কোটি টাকার যা কাজ হয়েছে তার তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও জানাব। ইডি, সিবিআই দিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: দলীয় মিছিলে হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন, মেমারিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Memari: দলীয় মিছিলে হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন, মেমারিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি (Memari) ব্লকে তৃণমূলের কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে। যতদিন যাচ্ছে এই এলাকায় তৃণমূলের কোন্দল তত প্রকট হচ্ছে। মেমারি ২ ব্লকের একটি বড় অংশ মন্তেশ্বর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মন্তেশ্বরের বিধায়ক হওয়ার পরে স্থানীয় তৃণমূলে আলাদা গোষ্ঠী তৈরি হয় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল শেখ ও তাঁর অনুগামী বলে পরিচিতরা পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি। একতরফাভাবে সিদ্দিকুল্লার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দলের ব্লক সভাপতি হরিসাধন ঘোষের লোকজন টিকিট পেলেও, বার বার দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন মুখ উঠছে জেলা তৃণমূলের মধ্যেও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Memari)

    শুক্র ও শনিবার রাতে মেমারি (Memari)-২ ব্লকের বোহার ১ পঞ্চায়েতের বিটরা গ্রামে পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের দু’টি পক্ষ। গত দেড় মাসের মধ্যে এই ব্লকে শাসক দলের দ্বন্দ্বের ঘটনা বার তিনেক প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বও বিড়ম্বনায় পড়ছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডুর অনুগামী বলে পরিচিত অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অনাথবন্ধু রায়ের নেতৃত্বে বিটরা গ্রামে শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি মিছিল হয়। অভিযোগ, সেই মিছিলে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জিন্নাত আলির অনুগামীরা হামলা চালান। মারধরে তিন জন জখম হন। অভিযোগ, পাল্টা আক্রমণও করা হয়। শনিবার থানায় অভিযোগ করে দু’পক্ষ। এর পরে আবার জিন্নাতদের অভিযোগ, শনিবার রাতে অনাথবন্ধুর লোকজন গ্রামে ‘বোমাবাজি’ করে।

    তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতারা কী সাফাই দিলেন?

    ময়নার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামে অনাথবন্ধুর নেতৃত্বে মোটরবাইক মিছিল হচ্ছিল। তখন আমাদের দলেরই কয়েক জন হামলা চালায়। তাতে অনাথবন্ধু-সহ তিন জন জখম হন। রাহুল শেখ নামে এক জনকে রাস্তায় মারধর করা হয়েছে। উপপ্রধান জিন্নাতের পাল্টা অভিযোগ, ওরা এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তোলাবাজি করছে। মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দলের কেউ জড়িত নয়।

    ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    মেমারি (Memari) -২ ব্লক সভাপতি হরিসাধন ঘোষ বলেন, সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই গোলমাল, তা জানার জন্য বৈঠক করার কথা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিল্মি কায়দায় একদা অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ সত্যেন চৌধুরীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সত্যেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোস্তফা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ নদিয়ার তেহট্ট থেকে গ্রেফতার করে। মোস্তফা তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে সামনে চলে এসেছে।

    অসামাজিক কাজে যুক্ত সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা (Murshidabad)

    পুলিশ সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতা সত্যেনকে খুনের পরে তিন অভিযুক্ত তেহট্ট থানার (Murshidabad) বিনোদনগর পোস্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল। খুনের আগে ও পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে মোস্তফার যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর আগে স্থানীয় শ্রীরামপুর বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে কানাইনগর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি আজিজুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তা আজিজুলের ডান কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কলার ব্যবসার আড়ালে অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ এই মোস্তফাকে দলের পদ দিতে বাধেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। কিছু দিন আগেই তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির প্যাডে দেওয়া চিঠিতে তাকে কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি সৌমিত্র সরকার বলেন, এলাকায় অনেকের আব্দার ছিল, মোস্তফাকে পদ দেওয়া হোক। তাই, দেওয়া হয়েছে পদ। গ্রেফতারের কথা শুনেছি। এ-ও জেনেছি যে, সে নির্দোষ। সন্দেহের বশে তাকে ধরা হয়েছে। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বক্তব্য, ওই অঞ্চলে যুব সভাপতি বা সহ-সভাপতি কারও সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। দলেরই এক কর্মীর দিকে গুলি ছোড়ায় জড়িত ছিল মোস্তফা। এ সব কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    সত্যেন খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথসভা করেছে কংগ্রেস। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল চোর-গুন্ডাদের পদ দিচ্ছে, যাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বাগে রাখতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার (Saokat Molla) ফের বেফাঁস মন্তব্য “জিনা হারাম করে দেব”। একজন জনপ্রতিনিধি, তাও আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রসের বিধায়ক! এমন মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? ভাঙড়ে এক প্রকাশ্য সভায় দলীয় পতাকা লাগানোকে ঘিরে গোলমাল হলে বিরোধী দলের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন তিনি। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে গণতন্ত্র নেই বলে রোজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, আর সেখানে তাঁর দলেরই এক বিধায়ক বিরোধী দলের কর্মীদের এই রকম হুমকি দিচ্ছেন! এই ঘটনা ভাঙড় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে উস্কানি দিচ্ছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    কেন করেছেন এমন মন্তব্য(Saokat Molla)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) প্রতিবাদ সভার নামে এই মন্তব্য করেন। ভাঙড়ের বোদারা অঞ্চলের খড়গাছিতে একটি প্রকাশ্য সভায় এই রকম হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। আরও জানা গিয়েছে, তৃণমূল এবং বিরোধীদের মধ্যে দলের পতাকা লাগানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এবং সেই সঙ্গে শাসক-বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছিলেন। এরপর বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন। 

    ঠিক কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকত (Saokat Molla) বলেন, “প্রশাসন যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে এই এলাকার মানুষ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। বোদরা এলাকায় তাদের জিনা হারাম করে দেব। এই কথা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি।” এই বক্তব্যে এলাকায় শাসক দলের আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় যে ফুটে উঠেছে সে কথা রাজ্যের বিরোধী দলের কর্মীরা মনে করছেন। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে মালাদা জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “বিরধিতা করলে সমাজ থেকে বহিষ্কার করে গ্রামছাড়া করা হবে।” আর এই মন্তব্যে রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    ঘটনায় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে একযোগে অত্যাচার করা হচ্ছে।” ঘটনায় আইএসএফের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “রক্তারক্তি না হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল থাকতে পারবে না। তাই আগে থেকে ভয় পেয়ে শওকত মোল্লারা (Saokat Molla) এই সব কথা বলেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ভাঙড়ে তৃণমূল একটাও ভোট পাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share