Tag: tmc

tmc

  • Ration Scam: হাসপাতালের ‘সরকারি আতিথেয়তা’ শেষ, ৭ সপ্তাহ পর বালু ফের জেলে

    Ration Scam: হাসপাতালের ‘সরকারি আতিথেয়তা’ শেষ, ৭ সপ্তাহ পর বালু ফের জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হল রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। শনিবার ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালুকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, জেলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বনমন্ত্রীর ওপরে। এর পাশাপাশি সেখানে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। জেলে বালুর উপর নজরদারি চালাতে আরও বেশি সংখ্যায় সিসি ক্যামেরাও বসেছে বলে জানা গিয়েছে।

    জেলে তৃণমূলের সেল

    প্রেসিডেন্সির পহেলা বাইশ নম্বর সেল ব্লকে রয়েছেন বালু। তাঁর প্রতিবেশী হিসেবে সেখানেই রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বঞড়ার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ অন্যান্যরা। জেলের অন্দরে মন্ত্রীর গতিবিধির উপরে নজরদারি চালাতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তাই এত ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে জেলের এই সেল যেন তৃণমূলেরই সেল হয়ে উঠেছে। রেশন-দুর্নীতি ও নিয়োগ-দুর্নীতি এসে মিশে গিয়েছে প্রেসিডেন্সির এই সেলে।

    দুর্গাপুজোর পরেই গ্রেফতার হন বালু

    দুর্গাপুজোর আগে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে। তাঁর সূত্র ধরেই উঠে আসে মন্ত্রী বালুর নাম। পুজোর ঠিক পরেই জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তারপরেই গ্রেফতার হন মন্ত্রী। প্রথমে ইডি হেফাজত, পরে জেলে পাঠানো হয় তাঁকে। গত নভেম্বর মাসেই অসুস্থতার কারণে মন্ত্রী ভর্তি হন এসএসকেএম হাসপাতালে। সে নিয়েও ওঠে একাধিক প্রশ্ন! মন্ত্রী কি সত্যিই অসুস্থ এই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। হার্টে কোনও রকম সমস্যা না থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রীকে কার্ডিওলজি বিভাগে রাখে। বালুর কী অসুস্থতা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাসতেও দেখা গিয়েছে ডাক্তারবাবুদের। এসএসকেএম-এর জানলা দিয়ে বালুকেও খিলখিলিয়ে হাসতে দেখাও যায়। এবার সরকারি আতিথেয়তা শেষ হল। অবশেষে প্রায় সাত সপ্তাহ পরে বালুকে জেলে ফিরতে হল। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনে স্বামী বিবেকানন্দের গলায় মালা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা। হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি তৃণমূলের (Kamarhati)

    বৃহস্পতিবার ছিল স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সকালে বেলঘরিয়ার নন্দননগর বাজারের কাছে থাকা বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের মালা দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির যুবনেতা সুশান্ত রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে গেলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় বিবেকানন্দ নাকি ওদের। আমরা প্রতিবাদ করাই আমাদের প্রকাশ্যে স্থানীয় কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কানু দাসের ছেলে সৈকত ওরফে জয় দাস দলবল নিয়ে আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে।  বাড়িতে গিয়েও শাসিয়ে আসে এবং ফোনে হুমকি দিয়ে বলে এলাকাছাড়া করে দেবে ‘। একই অভিযোগ আর এক বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডলেরও। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলরের ছেলে ফোনে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি দেয়। বুথে এজেন্ট হয়ে বসা তো দূরের কথা বাড়ি ছাড়া করারও হুঁশিয়ারি দেয়। ঘটনায় তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারও।

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশনে বাধা!

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটির (Kamarhati) নন্দননগরেরই ওল্ড নিমতা রোডে। সেখানে একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে নরোত্তম সিংহ  নামে এক ব্যবসায়ীর। ব্যবসায়ীর বক্তব্য, সেখানে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছিলেন।  অভিযোগ আচমকা কয়েকজন এসে আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কিত কোনও যোজনার ফর্মফিলাপ করা যাবে না।  দোকানে যারা ছিল তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দুটি ঘটনাতেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।  দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারই বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।  না হলে আগামীদিনে বেলঘরিয়া জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘ যদি সত্যিই এরকম কিছু ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  দলের কেউ জড়িত থাকলে সে বিষয়টিও দলীয় স্তরে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: খুনের আশঙ্কা করতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি সোমনাথের, তৃণমূলে কি গুরুত্বহীন অর্জুন!

    Arjun Singh: খুনের আশঙ্কা করতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি সোমনাথের, তৃণমূলে কি গুরুত্বহীন অর্জুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি খুন হয়ে যেতে পারি। শুক্রবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ের একটি জুট মিলের সামনে দলীয় অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সোমনাথ শ্যাম। আর বিধায়কের এই বক্তব্যের পরই তাঁর নিরাপত্তারক্ষী অনেকটাই বৃদ্ধি করা হল। প্রসঙ্গত, এর আগে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের (Arjun Singh) মত ছিল, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের নিরাপত্তা তুলে দিক প্রশাসন। কারণ, পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া তিনি কোনও কাজ করেন না। মানুষের সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই বিধায়কের। তারপরই জগদ্দলের বিধায়কের খুন হওয়ার আশঙ্কা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধির ঘটনা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তৃণমূলেই কি গুরত্ব হারাচ্ছে অর্জুন! বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে এটা নিয়ে এখন চর্চা চলছে। কারণ, নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়ার কথা দল কোনও কানেই তুলল না। উলটে তাঁর প্রতিপক্ষের নিরাপত্তার বাড়িয়ে শক্তিবৃদ্ধি করল দল।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়ায় প্রতি দিন কোনও না কোনও গন্ডগোল হয়। এই পরিবেশের পরিবর্তন প্রয়োজন বলে আমি আওয়াজ তুলেছি। আমাদের এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছে। দেখলাম, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুখ খুলতেই ভয় পাচ্ছেন। আমি বলেছি, আমিও দল করি। আমিও খুন হয়ে যেতে পারি। কিন্তু, প্রতিবাদ করবই। সত্যের জন্য লড়াই করে যাব। আকাশ যাদব খুনের মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভিকি যাদব। তিনি খুন হয়ে গেছেন। আমি রাজ পান্ডে শ্যুট আউট সহ বিভিন্ন কেস নিয়ে সোচ্চার হয়েছি। অপরাধী এবং মাস্টারমাইন্ড এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি। আমিও যে কোন সময় খুন হয়ে যেতে পারি। তারই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাজনীতিতে রীতিমত নাড়াচাড়া পড়ে গিয়েছে। তিনি যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলছিলেন তখন তার পাশে উপস্থিত ছিলেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, মানুষের কাজ করে তৃণমূল। আমরা মানুষের পাশে থাকি। এদিন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করেন সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, জগদ্দল উৎসবের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলাম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে নৈহাটিতে অর্জুন সিং (Arjun Singh) কে নিয়ে সুব্রত বক্সি বৈঠকের জন্য গেলেও সোমনাথ শ্যাম সেই বৈঠকে যান নি।

    নিরাপত্তা বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন বিধায়ক ও মন্ত্রী?

    অর্জুনের (Arjun Singh) সঙ্গে সোমনাথের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এই অবস্থায় শুক্রবার রাতে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের খুন হওয়ার আশঙ্কার পরই শনিবার সকাল থেকেই দেখা গেল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তা বৃদ্ধি হয়েছে। শনিবার থেকে সোমনাথ এবং মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের নিরাপত্তায় আরও চার জন করে সশস্ত্র পুলিশকে নিয়োজিত করা হয়েছে। দু’জনেরই নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দশে। নিরাপত্তা বৃদ্ধির পর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, যে ভাবে তৃণমূলের কর্মীরা খুন হচ্ছেন তাতে এই নিরাপত্তা দিয়ে কোনও ভরসা নেই। অন্য দিকে, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন,আমার নিরাপত্তার বহর বেড়েছে। আর কেন নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, সেটা প্রশাসন ভাল জানে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    Purulia: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরগামী তিন সাধুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে রাজ্যে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার (Purulia) কাশিপুরে। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। পরে, কাশিপুর থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো শুক্রবার রাত্রে কাশিপুরে গিয়ে থানা থেকে তিন সাধুকে নিজের বাসভবনে নিয়ে আসেন। শনিবার তাদের পুরুলিয়ার চকবাজারের বড় কালী মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সসম্মানে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জেলা বিজেপি সূত্রে খবর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তিন সাধু উত্তরপ্রদেশ বেরিলির বাসিন্দা। সেখান থেকেই একটি গাড়ি করে বাংলায় এসেছিলেন। তাঁদের যাওয়ার কথা গঙ্গাসাগরে। সেখানে যাওয়ার পথে রাঁচির জগন্নাথ মন্দির দর্শন করেন তাঁরা। এরপর পুরুলিয়ায় (Purulia) ঢোকেন। কাশিপুরের কাছে গোবরডিঙ্গা গ্রামে আনোয়ার নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুজব তৈরি করে এলাকার মানুষদের খেপিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তিন সাধুর ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়। তাঁদের উপর শারীরিকভাবে চরম নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে থাকা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আক্রান্ত সাধুরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও পুলিশ জানতে পেরে আক্রান্ত সাধুবাবাদের উদ্ধার করে কাশিপুর থানায় নিয়ে যায়।

    আমাদের পিটিয়ে মেরে ফেলত, বললেন আক্রান্ত সাধুবাবা

    আক্রান্ত সাধুবাবা মধুর মহারাজ বলেন, আমরা কোনও ভাষা বুঝতে পারছিলাম না। তাঁর আগেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ কয়েক মিনিট দেরি করে ঘটনাস্থলে আসলে ওরা আমাদের পিটিয়ে মেরে দিত। আমাদের কী দোষ তা আমরা বুঝতেই পারিনি। অকারণে আমাদের ওপর ওরা হামলা চালাল। গাড়ি ভাঙচুর করা হল।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ট্যুইট করলেন অমিত মালব্য

    এই ঘটনার পর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়। মাফিয়াদের কাছে সাধু সন্তরাও নিরাপদ নন বলে দাবী করেন। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত বলেন, শেখ আনোয়ারের নেতৃত্বে এই গুজব ছড়িয়ে সাধুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এক তৃণমূল নেতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্ট করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গেরুয়া পোশাক পড়ে আছে বলেই বিজেপি তকমা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে। বিজেপি-র রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা আইটি সেলের সর্বভারতীয় ইনচার্জ  অমিত মালব্য মমতার পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। আনোয়ার নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ারের নেতৃত্ব এই হামলা হয়েছে বলে ট্যুইটও করেন।

     

     

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া অবশ্য এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমাদের দল এই ঘটনাকে সমর্থন করে না। সাধুদের পুলিশ রক্ষা করেছে। না হলে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।

    জেলা পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুজবকে কেন্দ্র করেই সাধুদের ওপর হামলা হয়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও প্লট করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে

    Hooghly: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও প্লট করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জমানাতে গঙ্গার চরও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কডাঙা এলাকায়। সেখানে নিচু জমি ভরাট করে অবৈধ ভাবে ‘প্লটিং’ করার অভিযোগ উঠল প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। বেআইনি এই কারবার বন্ধ করার তাঁরা দাবি জানিয়েছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কডাঙা এলাকায় আগে ইটভাটা ছিল। নিচু জমি ভরাটের জন্য মাটিবোঝাই ট্রাক যাতায়াত করছে। তার জেরে পুরসভার জলের পাইপ ফেটে জল বেরোচ্ছে। সেই জলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে তিনটি স্কুলও রয়েছে। গঙ্গার চর প্লট করে বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে এলাকার হাজার হাজার মানুষ চরম নাকাল হচ্ছেন। বেআইনি কারবার বন্ধ করার কথা বলা হলেও কেই শুনছে না। এবার এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

    নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে প্লটিংয়ের জন্য, সরব কাউন্সিলর

    তৃণমূল কাউন্সিলর রাখি সাধুখাঁ এ দিনই পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। পুরসভার তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়। কাউন্সিলর রাখি সাধুখাঁ বলেন, আগেও ওই জায়গায় বিধিবদ্ধ অনুমতি ছাড়াই প্রোমোটার গাছ কাটছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এখন সেখানে নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে প্লটিংয়ের জন্য। এ জন্য পুরসভা থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুরসভার উপ-পুরপ্রধান শান্তনু দত্ত বলেন, পুরসভা বা প্রশাসনের তরফে ওই জমিতে প্লটিংয়ের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না, দেখতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট জমা পড়লে যদি দেখা যায়, সেখানে কোনও অবৈধ কাজ হয়েছে, তা হলে নির্মাণকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ভূমি দফতরের কী বক্তব্য?

    ভূমি দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিনা অনুমতিতে মাটি বহন করা যায় না। যদি কোনও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়, সে জন্য অনুমতির প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পুলিশের বাধা ধোপে টিকল না, সুকান্তর বাইক র‍্যালিতে প্রবল উচ্ছ্বাস

    Sukanta Majumdar: পুলিশের বাধা ধোপে টিকল না, সুকান্তর বাইক র‍্যালিতে প্রবল উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল বিজেপি। কিন্তু বাইক র‍্যালির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তৃণমূলের কথাতেই বিজেপির এই কর্মসূচি বানচাল করেছিল পুলিশ। এমনই অভিযোগ ছিল গেরুয়া শিবিরের। পুলিশের সেই বাধা উপেক্ষা করেই হল বিজেপির কর্মসূচি। শুক্রবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে যুব দিবসকে সামনে রেখে বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে বাইক র‍্যালি হল গঙ্গারামপুরে।

    নাকা চেকিং করে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা পুলিশের

    এদিন দুপুরে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বাইক র‍্যালি বের হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), বালুরঘাট ও তপনের বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ী, বুধরাই টুডু, জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, জেলা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন গঙ্গারামপুর থেকে বাইক র‍্যালি বের হয়, যা তপন হয়ে বালুরঘাটে শেষ হয়। এদিনের বাইক র‍্যালিতে হাজার খানেক বাইক অংশগ্রহণ করে। এদিনের এই যাত্রাপথে বিশাল পুলিশ মোতায়েন ছিল। আগেই পুলিশের তরফে এই র‍্যালির কোনও অনুমোদন দেয়নি। শেষে বালুরঘাট হিলি মোড়ে বিবেকানন্দের মুর্তিতে মাল্যদান করেন সাংসদ। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছিল পুলিশের নাকা চেকিং। যদিও এই নাকা চেকিংকে রুটিন চেকিং বলা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে, বিজেপির অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ।

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে, তোপ সুকান্তর

    বালুরঘাট হিলি মোড়ে কর্মসূচি শেষ করেই সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, পুলিশ বিজেপিকে অনুমতি দেয় না। গত দুদিনে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে অনুমতি দেয়নি। এদিন বালুরঘাটেও অনুমতি দেয়নি। পুলিশ যদি পুলিশের কাজ করে বিজেপি তাকে সম্মান করবে। কিন্তু, পুলিশ যদি তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করে তাহলে বারবার বিজেপি এই ভাবেই পুলিশকে নতজানু হতে বাধ্য করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    ED: ইডি-র ওপর হামলার এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার দুই, খোঁজ নেই শেখ শাহজাহানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডি-র (ED) ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় এক সপ্তাহ পর টনক নড়ল পুলিশের। ওই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নবান্নে রিপোর্ট তলব করেছিল। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই হামলার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। এসবের পরও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি গঙ্গাসাগরে গিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছিলেন। তারপরও পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করেন। তারপরই হুঁশ ফিরল পুলিশের। চাপে পড়ে পুলিশ বিজেপির আন্দোলনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মেহবুব মোল্লা, সুকমল সর্দার। তবে, হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শেখ শাহজাহান এখনও ফেরার। তাঁর নাগাল পায়নি পুলিশ।

     ইডি-র (ED) ওপর হামলার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার

    সন্দেশখালিতে গত ৫ জানুয়ারি রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। ইডির দাবি, ঘটনার দিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। ইডি (ED) আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে ফেলে তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। ইডি আধিকারিকরা বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুজনকে পুলিশ চিহ্নিত করে। ঘটনার পর তারা গাঢাকা দিয়েছিল। দু’জনই ভেড়ি এলাকায় লুকিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি সরবেরিয়া এলাকায়। ইডির উপর হামলার ঘটনায় তাঁরা জড়িয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের খোঁজ মিলেছে। ন্যাজাট থানার পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। যদিও ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    ইডি-র হামলার ঘটনায় তিনটি এফআইআর

    সন্দেশখালিতে ইডি (ED) অভিযানের সময় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় এক হাজার অনুগামী। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। হামলার পর ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়। মার খাওয়া আধিকারিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মামলায় ইডির বিরুদ্ধে এফআইআরটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সুবোধের বাড়িতে অভিযানের সময় হাজির দমদম থানার আইসি, ঢুকতেই দিল না ইডি

    ED: সুবোধের বাড়িতে অভিযানের সময় হাজির দমদম থানার আইসি, ঢুকতেই দিল না ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সাত সকালে বিশাল বাহিনী নিয়ে উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটিতে হানা দেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। অভিযান চলার সময় স্থানীয় দমদম থানার আইসি তৃণমূল নেতার বাড়ির ভিতরে ঢুকতে যান। কিন্তু, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে ঢুকতে দেননি। ইডি-র অভিযান চলার সময় রাজ্য পুলিশের সেখানে নাক গলানোর চেষ্টার ঘটনা প্রথম বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। ইডি-র অভিযানের সময় থানার আইসি কেন ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    থানার আইসিকে ঢুকতে বাধা ইডি-র (ED)  

    সাত সকালে ইডির তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে দমদমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর খলিসাকোটা পল্লিতে উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতে পৌঁছেছিলেন দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস। সুবোধবাবুর বাড়ির চারদিকে তখন গিজগিজ করছেন জওয়ানরা। দমদম থানার আইসি নিজের পরিচয় দিয়ে এগিয়ে যান। খবর পেয়ে সুবোধবাবুর বাড়ির ভিতর থেকে দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন ইডির এক আধিকারিক। তাঁকে নিজের পরিচয়ও দেন বঙ্কিমবাবু। কিন্তু, ইডির (ED) কর্তা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার কোনও অনুমতি নেই। পরে, এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস বলেন, ‘এটা আমার এরিয়া। সেই কারণেই আমি এখানে এসেছিলাম। আমার জানার অধিকার রয়েছে ভিতরে কী হচ্ছে।’ যদিও ইডির তরফে ভিতরে ঢোকার অনুমতি না মেলায় হতাশ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান আইসি।

    অয়ন শীলের বাড়িতে পাওয়া ফাইলে নাম ছিল সুবোধের!

    এদিন ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীর বিরাটির খলিসাকোটা পল্লির বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে সুবোধবাবুর বিরুদ্ধে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, প্রভাব খাটিয়েই নিজের ছেলেমেয়েকে পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন কিনা, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে ইডি (ED)। গত বছর অক্টোবর মাসে সিবিআই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। পাশাপাশি রাজ্যের ১২টি জায়গায় হানা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের বাড়ি থেকে প্রথম নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, সেখানে একটি ফাইল পাওয়া গিয়েছিল। ফাইলে ছিল একটি নামের তালিকা। তাতেই সুবোধ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই এদিন ইডি হানা দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    Gangasagar: কোটালের জল ঢুকল গঙ্গাসাগর মেলায়, প্লাবিত একাধিক দোকান-ক্যাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পুণ্যস্নানের আগে বড়সড় বিপত্তি! অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলে প্লাবিত হল বেশ কয়েকটি দোকান সহ অস্থায়ী ক্যাম্প। চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারণ, মেলা চত্বরে সাগরের জল যাতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোটি কোটি খরচ করে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। সেই বাঁধের একটি অংশ ভেঙে যায়। জলে চলে যায় কোটি কোটি টাকা।

    কত দোকান প্লাবিত হল? (Gangasagar)  

    মূলত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অমাবস্যার কোটালের কারণে সাগরের জলে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) প্লাবিত হয়ে যায় ৫ নম্বর ঘাট সংলগ্ন দোকান ও অস্থায়ী স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। সব মিলিয়ে ২০টি দোকানে জল ঢুকে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাঁচটি স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্প। তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরিয়ে আনা হয় সেখানকার মানুষজনকে। তবে, পুণ্যস্নানের আগে দোকানে জল ঢুকে যাওয়ায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সমুদ্র এগিয়ে আসছে শুনেছিলাম। তবে, এভাবে দোকানে জল ঢুকে যাবে তা ভাবতে পারিনি।  

    গতবারের তুলনায় সাগর ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে

    বিপজ্জনক অবস্থায় গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম (Gangasagar)। সাগর ক্রমশ এগিয়ে আসায় এই বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। গতবারের মেলায় সাগরের যা দূরত্ব ছিল, এবার এই দূরত্ব ২০০ মিটার এগিয়ে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সাগরের আগ্রাসন ঠেকাতে পাঁচ ফুটের শালবল্লা, জিও ব্যাগ, ইট-বালি দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সাগরপাড়ে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বাঁধের কাজ করা স্থানীয় ঠিকাদার কর্মী মানিক খাঁড়া বলেন, যেভাবে সমুদ্র এগিয়ে আসছে, তাতে আগামী দিনে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। আগে আরও একটি মন্দির (Gangasagar) সমুদ্রগর্ভে চলে গিয়েছে। এবার কি এটাও যাবে? বৃহস্পতিবারের ঘটনা সেই আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে, কটাক্ষ বিজেপি-র

    এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি-র মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য যা খরচ করা হয়েছে, তা বিন্দুমাত্র কাজে লাগেনি। কাজও ঠিকমতো হয়নি। সমস্তটাই তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছে মানুষ। না হলে বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কেন্দ্র মিটিয়ে দিলেও হিলি রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে বঞ্চিত জমিদাতারা

    Dakshin Dinajpur: কেন্দ্র মিটিয়ে দিলেও হিলি রেল প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে বঞ্চিত জমিদাতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেল জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিয়ে দিয়েছে। জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনও জমিদাতাদের টাকা মেলেনি। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা মিটিয়ে দিলেও রাজ্য তা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে, জমির টাকা পেতে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট শহরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখালেন জমিদাতারা। 

    জমিদাতারা কী বললেন? (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী, ধলপাড়া, পাঞ্জুল সহ একাধিক গ্রামের শতাধিক জমিদাতারা জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনকে জমি দেওয়ার জন্য সমস্ত নথি জমা করেছেন। কিন্তু এখনও জমির টাকা মেলেনি। জমিদাতাদের অভিযোগ, টাকা না পাওয়ায় কারও মেয়ের বিয়ে আটকে, কেউ অন্যত্র জমি কিনতে পারছেন না। ফলে, তাঁরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়ছেন। এবিষয়ে হিলির ধলপাড়া এলাকার একজন জমিদাতা সুজন ঘোষ বলেন, রেলকে জমি দেওয়ার জন্য আমাদের কারও বসত জমি, কেউ আবাদি জমি দিয়েছে। এখন আমাদের টাকার প্রয়োজন। একবছর হতে চলল তবুও টাকা পাচ্ছি না। অনেকের বিবাহ যোগ্য কন্যা রয়েছে, টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারছি না। আবার কেউ অন্যত্র জমি কিনবে, তবুও পারছে না। ফলে আমরা আর্থিক সমস্যায় ভুগছি। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের যাতে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য প্রশাসনকে চিঠি করেছি।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। যাদের কাগজ ঠিকঠাক রয়েছে, টাকাও ঢুকে যাচ্ছে। তবে একই প্লটে অনেকেই রয়েছে। সেই বিষয়গুলি ফিল্ডে গিয়ে ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভালো করে সবার কাগজ দেখেই টাকাটা দেওয়া হবে। কারণ একটা ভুল হলে পুরো প্রকল্পের ক্ষতি হতে পারে। তাই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। কারও দ্রুত টাকার প্রয়োজন হলেও তা দিয়ে দেওয়া হবে।

    কেন্দ্রীয় সরকার টাকা মিটিয়ে দিলেও রাজ্য টাকা দিচ্ছে না

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা বিজেপি সভাপতি স্বরুপ চৌধুরী বলেন, রেলের তরফে প্রশাসনকে ২৯৮ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কেন এই টাকা জমিদাতাদের অ্যাকাউন্টে এখনও ঢোকেনি, সেই বিষয় প্রশাসনই বলতে পারবে। ইচ্ছে করেই দেরি করছে প্রশাসন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

     তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, টাকা যখন ঢুকতে শুরু করেছে, তাহলে সবাই টাকা পাবে। এনিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর কিছু নেই। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই মনে হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত  ২৯.৭ কিলোমিটার পথ এবং ওই পথের জন্য ৩৮৬ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে ২৯৮ কোটি টাকা প্রশাসনকে দিয়েছে রেল মন্ত্রক। এছাড়াও রেলমন্ত্রী ওই প্রকল্পের জন্য ৬৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে। এদিকে জেলাপ্রশাসনের তরফে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যেই জেলাপ্রশাসনের তরফে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা জমিদাতাদের দিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, একই প্লটে অনেকের জমি রয়েছে। সেই প্লটের কারও না কারও কাগজের সমস্যা রয়েছে। ফলে, বাকিদেরও টাকা পেতে দেরি হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share