Tag: tmc

tmc

  • Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যায় কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর মাদ্রাস গ্রামে টাকা খরচ করে পাম্প বসিয়েও সেই জল খেতে পারছেনা এলাকার মানুষ। বাধ্য হয়েই গত কয়েক বছর ধরে ভরসা কেনা জল। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অভাবী পরিবার দূর থেকে পানীয় জল এনে কাজ চালাচ্ছে বাসিন্দারা। আর্সেনিক প্রবণ গ্রামে এই ভাবেই পানীয় জলের সমস্যায় বছরের পর বছর কাটাচ্ছে কয়েকশো গ্রামবাসী।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Purba Bardhaman)

    পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman)  বাসিন্দা আনন্দ রায় বলেন, “মাটির নিচের পাইপ থেকে জল সংগ্রহ করে সেই জল পান করতাম আমরা। এরপর বাড়ির সকলেই আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আর্সেনিকের বিষের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আমার পরিবারের 8 জন। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের কলে জল পড়ে না। এলাকার মানুষের জলের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।”

    ২০০৩ সালে ট্যাপ দিলেও জল পড়ে না

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের আর্সেনিক প্রবণ মাদ্রাগ্রামে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পিএইচই দপ্তর থেকে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পরিশ্রুত জলের ট্যাপ কল দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে থেকেই সেই ট্যাপ কলে জল পড়ছে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও মিলেছে কোনও রকম সমাধান সূত্র। শুধু প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সমাধানে প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয়।। তাই দিন দিন পানীয় জলের দাবিতে ক্ষোভ বাড়ছে আর্সেনিক প্রবণ এই মাদ্রা গ্রামের গ্রামবাসীদের।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও এলাকার (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পানীয় জল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “জলের পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছাচ্ছে না। তবে দ্রুত সমস্যার কথা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

    বিজেপির বক্তব্য

    পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলকের কাজ হল পাম্প বসিয়ে টাকা খরচের হিসাব দেখিয়ে কাটমানি খাওয়া। এবার নলে জল আসুক আর না আসুক দেখতে যায় না তৃণমূল। রাজ্যে চোরেদের শাসন চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: বন্ধ হোটেলে বহাল তবিয়তে চলছিল নামী কোম্পানির ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপানো

    Asansol: বন্ধ হোটেলে বহাল তবিয়তে চলছিল নামী কোম্পানির ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপানো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের রাজত্বে সবই সম্ভব, জাল হচ্ছে লটারির টিকিট। আসানসোলের (Asansol) কুলটি থানার অন্তর্গত জামতারার পুলিশ রূপনারায়ণপুরের মিহিজাম যাওয়ার প্রধান রোডের কাছে একটি বন্ধ হোটেলে অভিযান চালায়। যেখানে ভুয়ো অবৈধ ডিয়ার লটারির টিকিট ছাপানোর কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রচুর অবৈধ টিকিট সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে সাতজনকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে লটারি আইনে মামলা করা হয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Asansol)

    জামতারা (Asansol) পুলিশ সুপার অনিমেশ নাইথানি বুধবার মিহিজাম থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কুলটি পুলিশের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে মিহিজাম থানার অন্তর্গত আমোই রেলওয়ে আন্ডারপাসের কাছে বন্ধ হোটেলে নকল লটারি ছাপানো এবং বিক্রি করা হচ্ছে। টিকিট বিক্রেতারা রাজ্য সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফার চক্র চালাচ্ছে। সেখানে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।”

    গোপন সূত্রে অভিযান

    জামতারার (Asansol) পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসডিপিও আনন্দ জ্যোতি মিঞ্জ ও থানার ইনচার্জ ভাস্কর ঝা-এর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বহু নকল লটারির টিকিট, লটারি তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আটটি ল্যাপটপ, ১২টি ডিজিটাল প্রিন্টার, বিভিন্ন সাইজের তেরশো লটারির টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    আর কী কী উদ্ধার হয়েছে?

    হোটেলে ওই বন্ধ কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু লটারির বান্ডিল, প্রিন্ট করা লটারির টিকিট সমেত সাতটি ব্যাগ, একটি ভারী কাগজের কাটিং মেশিন। তাছাড়া তিনটি ব্যবহৃত কার্তুজ, পাঁচটি বাইক ও দুটি প্রিন্টিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযানে ওই বন্ধ হোটেল থেকে মোট সাতজনকে আটক করা হয়। ধৃতরা হল জামতারা নারায়ণপুর (Asansol) ভ্যালি সিমলার কুণাল মণ্ডল, বিশাল মণ্ডল, গোবিন্দপুর বেলাতন্ডের শিবু গোপ, হেমু মল্লিক, আদিত্য মল্লিক, অন্নত মল্লিক, আস্তিক অধিকারী। তবে এই হোটেলের মালিক চন্দন ঠাকুরকেও খোঁজ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায়, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং ৭৪/২৩, ৪ লটারি আইন ১৯৯৮ এবং ৭ (৩) লটারি নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯৮ এর অধীনে সাতজন এবং অন্যান্য আরও অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূর-দূরান্ত থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি (Paddy Procurement) করতে এসে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হলেন চাষিরা। প্রথমত, সার্ভার সমস্যায় হল না ধানের বিক্রি। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ধান বিক্রি করতে প্রতি কুইন্টালে দিতে হচ্ছে ৫ কেজি ‘ধলতা’। অর্থাৎ এক কুইন্টাল ধান বিক্রির জন্য দিতে হচ্ছে ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান। চাষিদের অভিযোগ, এটা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। এটা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাষিরা। প্রতিবাদে ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। কারণ, তৃণমূলকে কাটমানি দেওয়ার জন্যই ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করেন চাষিরা। সেই ধান বিক্রির উপর নির্ভর করেই চলে তাঁদের সারাটা বছর। এবার সেই ধান সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন তাঁরা। মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা জনিত কারণে সারাদিন বসে থেকেও বিক্রি হল না ধান। প্রশ্নের মুখে মিলারদের (রাইস মিল) ভূমিকাও।

    চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন (Paddy Procurement)

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল এলাকায় সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রের সামনে ওই বিক্ষোভ হয়। চাষিদের অভিযোগ, তাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন ধান বিক্রির জন্য। ধান নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট খরচও হয়েছে। এই ধান বিক্রির (Paddy Procurement) অর্থের ওপর নির্ভর করে তাঁরা পরবর্তী চাষের খরচ জোগাবেন। কিন্তু সকাল থেকে বসে থেকেও তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না ধান। কারণ ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার জানাচ্ছেন, মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা রয়েছে। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হন চাষিরা। যদিও জানা গেছে পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে যে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের। অর্থাৎ ওই সরকারি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করছেন যে রাইস মিল মালিকরা, তাঁরাই এই ধলতা নিচ্ছেন। কিন্তু প্রতি কুইন্টালে এই অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। এতে আধিকারিকদেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা।

    তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য?

    এদিকে ৫ কেজি ধান তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য, খাদ্য-দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা বিজেপির। পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতারা এখান থেকেও কাটমানি নেয়। তাই ৫ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হচ্ছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও খোঁচা। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, চাষিদের কথা মমতা ব্যানার্জির সরকার ভাবে। তাই ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র (Paddy Procurement) করা হয়েছে। সমস্যা হলে সেটা তাঁরা মিল মালিকদের বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। বোর্ড মিটিংয়ের মধ্যেই পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার পদত্যাগ দাবি করেছেন দলেরই কাউন্সিলার সত্যেন রায়। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কাউন্সিলার এবং সিআইসি। সবমিলিয়ে এদিন বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে  প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত  (Bhatpara)

    ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৩৩ টি। সবকটি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলার বলে কেউ নেই। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভায় উন্নয়নমূলক কাজের গতি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, বাস্তবেই হয়েছে উল্টোটা। কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী রয়েছেন বেশ কিছু কাউন্সিলার। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের রয়েছে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার। পুরসভার বোর্ড গঠনের পর থেকেই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছেই। বেশ কয়েক মাস আগে তৃণমূল কাউন্সিলার সত্যেন রায়কে পুরসভার মধ্যে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দলেরই অন্যগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল ভাটপাড়ার রাজনীতি। পুরসভার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং কাউন্সিলরদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সত্যেনবাবু। সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রয়েছে পুরসভায়।

    বৈঠকে কী নিয়ে অশান্তি?

    বুধবারই পুরসভায় ছিল সিআইসি বৈঠক। সেই বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা চেয়ারপার্সনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে তাঁরা বিস্তর অভিযোগ জানান। সিআইসি সদস্যদের না জানিয়েই কাজকর্ম হচ্ছে পুরসভায়। বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা সরব হন। বৈঠক চলাকালীন সিআইসি সদস্যরা মিটিং বয়কট করেই  বেরিয়ে যান। ফলে, মাঝ পথে মিটিং ভেস্তে যায়। বৃহস্পতিবার ছিল বোর্ড মিটিং। সেই মিটিংয়ে দুই কাউন্সিলার হাজির ছিলেন। বৈঠক চলাকালীনই সত্যেন রায় পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদত্যাগ দাবি করেন, তাঁকে চেয়ারপার্সনের অনুগামীরা থামাতে গেলে বাকবিতণ্ডা বাধে। এরই মাঝে সিআইসি পূর্ত অরুণ ব্রহ্ম বলেন, আমার দফতরের কাজ পুরসভা এলাকায় হচ্ছে। অথচ পুরসভার সিআইসি সদস্য হিসেবে আমি সেই কাজ কি হচ্ছে তা জানতে পারছি না। কাজ হয়ে যাবার পর আমাকে দিয়ে ফাইলে সই করানো হচ্ছে। এটা চলতে পারে না।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দল তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় যা উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তা আগে কখনও হয়নি। কিছু মানুষ পুরসভার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি ক্যাশ এবং গয়না। মেশিন নিয়ে এসে রাতভর চলেছিল টাকা গোনার কাজ। আর তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল রাজ্যবাসীর। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের  বা়ড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তাঁর বাড়ি থেকে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যা জানাজানি হতে এলাকার মানুষও হতবাক হয়ে যান। প্রতিবেতন লেখা পর্যন্ত ৩১ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    শৌচাগারেও মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা (CBI)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীদের নজর ছিল ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের উপর। তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, জাফিকুলের দুটি কলেজ রয়েছে। তাঁর সম্পত্তি, আয় এবং যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সকাল থেকেই সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। বাড়ির পিছন থেকে দুটি ব্যাগের মধ্যে প্রচুর নথি উদ্ধার করে সিবিআই (CBI)। সেই তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। পরে, বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময় লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ পান আধিকারিকরা। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল,মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু টাকা মিলেছে জাফিকুলের বাড়ির শৌচাগার থেকে। তদন্তকারীদের একটি অংশের সূত্রে দাবি, বিধায়কের বেডরুমেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেও প্রচুর টাকার হদিশ মিলেছে।  বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় রয়েছেন। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিধায়কের বাড়ির শৌচাগারের  থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের ওই অংশের দাবি, জাফিকুলের ‘বেডরুম’ থেকেও কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

    টাকা উদ্ধার নিয়ে বিধায়কের পরিবারের লোকজন কী সাফাই দিলেন?

    যদিও এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে প্রকাশ্যে বা সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিধায়ক না থাকায় সিবিআই আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে। সেই টাকাই তাঁর বাড়িতে ছিল। অন্য কোনও বিষয়। তবে, শৌচাগারে কেন টাকা রাখা হয়েছিল সেই বিষয়ে পরিবারের লোকজন স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভা ভোট শেষ হওয়ার এতদিন পরও ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে কে বসবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। পুরসভায় বোর্ড গঠন এখনও আটকে রয়েছে আইনি জটে। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ঝালদা পুরসভার অনাস্থা ভোট নিয়ে এদিন দিনক্ষণও ঠিক করে দিয়েছেন।

    কী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক? (Jhalda)  

    বিচারক অমৃত সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আস্থাভোট করাতে হবে ঝালদায় (Jhalda)। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা ভোট করতে হবে। জেলাশাসককেই এই ভোটের দায়িত্ব নিতে হবে। আস্থাভোট করানোর পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। যতদিন না আস্থাভোট মিটছে, ততদিন যেমন পুরসভার কাজ চলছে তেমন চলবে।’ জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অপসারণের দাবিতে গত ২৩ নভেম্বর জোড়া মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। পাঁচ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু, এবার শীলাকেই সরাতে চাইছে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই। তাই আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় পিছনের পুকুরে দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিধায়ক। মেশিন লাগিয়ে পুকুরের জল মেরে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই (CBI)। এর সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সেই মুর্শিদাবাদ জেলায় হানা দিল সিবিআই। এবার প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    বাড়়ির পিছনে মিলল নথি বোঝাই দুটি ব্যাগ! (CBI)

    ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ির পিছনে মিলল নথিবোঝাই দু’টি ব্যাগ। কী রয়েছে নথিতে, এখন তা-ই পরীক্ষা করে দেখছেন সিবিআইয়ের (CBI) তিন তদন্তকারী আধিকারিক। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সিবিআইয়ের চারজন আধিকারিক বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ডও করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়ির গ্যারাজের পিছন দিকে যাচ্ছেন। সেখানে দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ব্যাগে ভরা রয়েছে নথি। ওই নথি কিসের, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে জন্য প্রতিটি নথি আলাদা আলাদা করে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের অন্তত চার জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কেন, কোন মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাতসকালে অভিযান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বড়ঞায় সিবিআই হানা নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় বড়ঞার কুলিতে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী সুজল আনসারি ওরফে ঝন্টু শেখের বাড়িতে। সূত্রের খবর, ঝন্টু নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়াও তাপস মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও ঝন্টুর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় ভিড় করেন। গাফ্ফর সেখ বলেন, ঝন্টু খুব খারাপ ছেলে। অনেক স্কুল করেছে। সিবিআই (CBI) হানা দেখতে এসেছি। আমরা চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই। কলকাতার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহার জেলায় অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে এদিন সিবিআই হানা দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, এই বিধায়কের বাড়ি সিবিআই হানা দিতে পারে। পাশাপাশি বড়ঞাতেও ঝন্টু শেখের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে।

    মানিক ঘনিষ্ঠ বিধায়ক (CBI)

    সিবিআইয়ের (CBI) চারজন আধিকারিক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে রয়েছেন। বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই হানা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    বড়ঞায় সিবিআই

    বৃহস্পতিবার সাত সকালে বড়ঞার কুলি চৌরাস্তার মোড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝনটু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁর বাড়ি। তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝন্টুর কী ভূমিকা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর কাছে বেশি নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছে তথ্য পেয়ে তা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় টিম এসেছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    কোচবিহারেও হানা দিল সিবিআই

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই (CBI) হানা দিল কোচবিহারে দু’নম্বর ব্লকের রাজারহাটের টেঙর মারির বিএলএডুকেশনের টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। সকাল সকাল সিবিআই এর ৪টি গাড়ি নিয়ে বিশাল টিম তদন্ত করতে কোচবিহারের রাজারহাটের টেংর মারির ওই বিএড কলেজে হানা দেয়। জানা যায়, এই কলেজের মালিক রয়েছেন শ্যামল কর। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও এই কলেজের মালিক রয়েছেন সজল কর এবং শ্যামল কর সহ আরও দুই ভাই। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর পরই শ্যামল গাঢাকা দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সালিশি সভায় যুবতীকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    Nadia: সালিশি সভায় যুবতীকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালিশি সভায় নিজের বাড়িতে ডেকে মহিলাদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এবং দাদা সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সদস্যর পাল্টা দাবি, তার বাড়িতে ঢুকেই আচমকা আক্রমণ চালিয়েছে অভিযোগকারিণী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া এলাকায়। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    স্থানীয় (Nadia) সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার এক যুবতী অপর এক যুবকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। যুবতীর বাড়ির তরফ থেকে নিজেদের মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই দাবি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদারের বাড়িতে একটি সালিশি সভা বসানো হয়। অভিযোগ ওঠে, সেখানে নিজেদের মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুললেই আচমকা যুবতীর পরিবারকে মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে যে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদার এবং তাঁর দাদা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার মহিলাদের মারধর করেন। মারধরের হাত থেকে রেহাই পায়নি বৃদ্ধ মহিলারাও। মারের আঘাতে এক বৃদ্ধা গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদার। তিনি বলেন, “সালিশি সভায় বসার নাম করে যুবতীরা আচমকা দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আচমকা তারা ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর আমার বাড়িতে থাকা সকল সদস্যদের মারধর করে ওই যুবতীরা। এমনকি বাড়ির এক ছোট্ট মেয়েকে মারধর করা হয়। ঘটনায় জখম হওয়া মেয়েকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়।”

    ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপক্ষই শান্তিপুর (Nadia) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share