Tag: tmc

tmc

  • Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল (TMC) নেতার অবশেষে দেখা মিলল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। প্রায় চারমাস পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা হলেন, ডাবগ্রামের ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়কের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ ছিল, আত্মহত্যার ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। 

    Jalpaiguri জেলা বিচারক কি বললেন (TMC)?

    সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, জেলার তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আদলাতে উপস্থিত হন। সৈকত বলেন যে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন আর তাই তিনি বিচারকের কাছে গ্রফতার না করার জন্য বিশেষ রক্ষাকবচ চান। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে এই মামলা শোনার কোনও এক্তিয়ার বিচারকের নেই। জেলার সিজিএম আদালতে এই তৃণমূল নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু বারংবার তৃণমূলের এই যুব সভাপতি আবেদন করলেও, বিচারক তাঁর আবেদনকে নাকচ করে দেন। উল্লেখ্য সিজিএম আদালত তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

    মামলা কী ছিল

    সূত্রে জানা গেছে, এই বছরে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এই দম্পতি আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনার পর, জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায়, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং আরও কিছু তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। উল্লেখ্য অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সৈকতকে খুঁজে না পাওয়ায় গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়।

    মামলা গড়ায় হাইকোর্টে-সুপ্রিমকোর্টে

    গত বেশ কয়েকমাস এই তৃণমূল (TMC) নেতার খোঁজ না মেলায়, মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এই যুবনেতা নিজে হাইকোর্টে আগাম জামিন জানিয়ে আবেদন করলে, আদলাত তা বাতিল করে দেন। পুলিশ নানান জায়গায় হানা দিয়েও সৈকতের কোনও খোঁজ খবর পায়নি। অবশেষে তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়। অপর দিকে যুবনেতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে বিফল হলে, আবার আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলা আদালতে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েতে অফিসের মধ্যে দুর্নীতি-স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে ঘেরাও করে, বিক্ষোভ করল বিজেপি জয়ী সদস্যরা। প্রথমে বিজেপির জয়ী সদস্যরা, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানান। এরপর ক্রমেই বচসার জেরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে এই নিয়ে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় সাহোড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানকে কার্যত পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ১০ টি গ্ৰামের জয়ী বিরোধী সদস্যরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছে বড়ঞা থানার পুলিশকে।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপি জয়ী পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অমর দেবংশী বলেন, “আমাদের প্রধান অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত প্রধান, বিরোধী দলের সদস্যদের মতামতের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করেই বিলি করছে ত্রিপল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সাহোড়া (Murshidabad) গ্ৰাম পঞ্চায়েতে নবনিযুক্ত প্রধান, নিজের মতো করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্যকারীদের তালিকা তৈরি করছেন। ফলে সেগুলি শুধুমাত্র তৃণমূলেরাই পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সরকারি সাহায্যে থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কথায় কাজ না হলে, আজ সন্ধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রায় ৯ জন বিজেপি সদস্যরা একত্রিত হয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।

    তৃণমূল প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান গোষ্ঠ গোপাল ঘোষ বলেন, বিরোধী দলের জয়ী সদস্যদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সরকারি সুবিধা পায়, সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সদস্যরা তা করতে দিচ্ছেন না।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় পুলিশ

    শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এতটাই চাঞ্চল সৃষ্টি হয় যে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বড়ঞা থানার (Murshidabad) পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘক্ষণ কার্যত প্রধানকে পঞ্চায়েত দফতরে নিরাপত্তা দিয়ে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পঞ্চায়েত টেন্ডারেও কাটমানি নিলেন তৃণমূল প্রধান! আন্দোলনে বিজেপি

    Malda: পঞ্চায়েত টেন্ডারেও কাটমানি নিলেন তৃণমূল প্রধান! আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতে টেন্ডারে কারচুপির অভিযোগ তুলে, বৃহস্পতিবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করলেন পঞ্চায়েতের বিজেপি দলের নেতারা। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। রাজ্যে পুরসভা হোক বা পঞ্চায়েত, তৃণমূলের প্রশাসনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাটমানি, আর্থিক কারচুপির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির মামলায় শাসক দলের অনেক নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন। চলছে ধরপাকড় এবং তল্লাশি। কোনও কোনও তৃণমূল নেতা আবার গ্রেফতার হয়ে জেলে বন্দি রয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নেতারা টাকা চুরি করছে।

    মূলত অভিযোগ কী (Malda)?

    মূল অভিযোগ হল, প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার, বিরোধীদের অন্ধকারে রেখেই পাশ করেছে শাসকদল তৃণমূল। ফলে এর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অনুমান করছে বিজেপি। আর এই দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মোঃ আনোয়ার আলী এবং আরও বেশ কিছু সহ পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মী। এদিন, এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের বিরোধী দলকর্মী বিপ্লব সাহা সহ বিরোধী সদস্যরা একত্রিত হয়ে, মানিকচকের বিডিও শ্যামল মন্ডলকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান।

    বিজেপির বক্তব্য

    মালদহের (Malda) বিজেপি কর্মী বিপ্লব সাহা, এবিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান কাটমানির জন্য লুকিয়ে টেন্ডারটি পাশ করেছেন। প্রায় ছত্রিশ লক্ষ টাকার এই টেন্ডার সম্পর্কে বিরোধীদলের কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জানেনই না। যে সমস্ত এলাকায় কাজ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে, তা কেবল তৃণমূলের জয়ী সদস্যদেরই এলাকাগুলিই। বিজেপির নির্বাচিত এলাকাগুলিকে বঞ্চিত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করছেন প্রধান।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তবে বিরোধীদের তোলা এই সমস্ত অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান (Malda) মোঃ আনোয়ার আলী। তিনি বলেন, “সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা কাজের মধ্যে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার কাজ রয়েছে বিরোধী সদস্যদের এলাকাতেই। এমনকি অনলাইনে মাধ্যমে সমস্ত টেন্ডার করা হয়েছে, যার ফলে কোনও ধরনের কারচুপি করা সম্ভব নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের ছাত্র-যুব সভাপতিকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি! তীব্র শোরগোল কাকদ্বীপে

    South 24 Parganas: তৃণমূলের ছাত্র-যুব সভাপতিকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি! তীব্র শোরগোল কাকদ্বীপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার (South 24 Parganas) তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সভাপতিকে এবার গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল। আর তা নিয়েই কাকদ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় পড়ল পোস্টার। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে “দেবাশীষ তুই খুব বাড় বেড়েছিস, তুই গুলি খেয়ে মরবি”। পাশাপাশি পোস্টারে আরও উল্লেখ করা রয়েছে যে কাকদ্বীপে যদি, আবুজেল মোল্লার মতো আরেকটা ঘটনা না ঘটুক চাস, তাহলে সাবধান হো। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে বিক্ষুদ্ধদের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ছাড়া অন্য কিছুই না। তৃণমূলের নেতারাই  শাসক দলের কাছে সুরক্ষিত নয়। আর এই প্রাণনাশের হুমকির পোস্টারে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

    কেন গুলি করার পোস্টার (South 24 Parganas)

    মূলত পোস্টারে থাকা এই আবুজেল মোল্লা কাকদ্বীপ বিধানসভার (South 24 Parganas) নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এমনকি তিনি তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতিটির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে পোস্টারে আরও এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব দাসেরও নাম রয়েছে। তিনি কাকদ্বীপ বিধানসভার রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনিও আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। পোস্টারে এমন ভাবেই লেখা হয়েছে, “যদি বুদ্ধ অথবা আবুজেল মোল্লার মতো তোর অবস্থা না হয়। তাহলে আগে থেকে শুধরে যা।”

    তৃণমূল যুব সভাপতির বক্তব্য

    রীতিমতো গুলি করে খুন করার হুমকির পোস্টারকে ঘিরে এখন আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন জেলার (South 24 Parganas) ছাত্র-যুব সভাপতি দেবাশীষ দাস। এই বিষয়ে হারুর পয়েন্ট কোস্টাল থানতে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও পড়েছে পোস্টার। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী দীপিতা দাস রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি বলেন, “আমি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি কিন্তু এটাই অনেকের সহ্য হচ্ছে না। আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    বিজেপির বক্তব্য

    মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সম্পাদক কৌশিক দাস বলেন, “এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রকাশ মাত্র। এই পোস্টারের মধ্যেই স্পষ্ট যে তৃণমূল, তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত নয়। টাকার ভাগ নিয়ে নিজেরা নিজেদের সঙ্গে লড়াই করছে। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ব্যবসার বখরা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল বালি, গ্রেফতার ৪২

    TMC: ব্যবসার বখরা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল বালি, গ্রেফতার ৪২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল বালির নিশ্চিন্দা থানার কালিতলা সাহেববাগান বাগান এলাকা। ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার শুরু হয়, এরপরে জল গড়ায় হাতাহাতি, মারামারি এবং ভাঙচুর পর্যন্ত। এই সংঘর্ষ থামাতে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে উত্তেজনা থামাতে বেলুর, লিলুয় থানার পুলিশকেও মাঠে নামতে হয়। ইতি মধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৪২ জন। এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে বিশাল র‍্যাফ বাহিনী।

    কিভাবে ঘটল ঘটনা (TMC)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিতলা-সাহেব বাগান এলাকার তিন তাবড় তৃণমূল (TMC) নেতাদের মধ্যে হলেন, খোকন গায়েন, ষষ্ঠী গায়েন এবং অসিত গায়েন। তিনজনেই বিশেষ সম্পর্কে ভাই তাঁরা। মূল বিবাদ হয় খোকন-ষষ্ঠীর সঙ্গে অসিতের। সোমবার ঠিক সন্ধ্যার সময় ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রথমে মিটিং হয়। এরপর এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। শুরু হয় ব্যাপক হাতাহাতি। অসিত নিজে দারুণ ভাবে আহত হন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রে আরও জানা গেছে ঘটনার জেরে এক পানশালায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সেখানে আসা অনেক মানুষ আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। ষষ্ঠী গায়েন বলেন, “আমি বিষয় সম্পর্কে কিছু জানিনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।”

    পুলিশের ভূমিকা

    এলাকায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আশে পাশের থানা থেকেও প্রচুর পুলিশ নামানো হয়। ৪২ জনকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতের উত্তেজনা কমলেও, মঙ্গলবার সকলে ফের আক্রান্ত গোষ্ঠীর মহিলারা অপর পক্ষের বাড়িতে হামলা করে। পরিস্থিতিকে ক্ষতিয়ে দেখতে এলাকায় পৌঁছান তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।

    বিধায়কের বক্তব্য

    ডোমজুড়ের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “পুলিশ এলাকায় ভালো করে কাজ করছে না। সমাজ বিরোধীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানে প্রার্থী হয়েছিল অসিত গায়েন। বিজেপির চক্রান্তে এখানে এই গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনকে বলব দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর অফিসে যান তিনি। সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন রাজ্যপাল। বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি বোস। সোমবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল। 

    রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ

    সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের নির্যাস তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, অভিষেকর ধরনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল। বৈঠকে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে করেছেন রাজ্যপাল বোস। 

    রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা জনিত বিষয় নিয়েও রাজ্যপাল-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah Meets Ananda Bose) সাক্ষাৎ হতেই পারে। কারণ, সব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয় দেখার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। আর রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নিয়োগ করলেও, তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই রাজ্যে কাজকর্ম করতে হয়। এ ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। রাজভবন সূত্রে খবর ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে শাহ এর দরবারে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ইস্যু নিয়েই একাধিক নালিশ রাজ্যপাল  জানিয়েছেন বলেই রাজভবন সূত্রে দাবি। যার মধ্যে নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে একাধিক খুন, হিংসার ঘটনা। রাজ্যপালের মুভমেন্ট কে ট্র্যাক করা, মহিলাদের উপর নির্যাতন, ১৪৪ ধারা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে অবহেলা বিষয় নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    পাশাপাশি বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সমন্বয়ের অভাবকেও এদিন শাহের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যপাল বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বেআইনি অস্ত্র কারখানা এবং আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও এদিন উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর এখনো পর্যন্ত রাজভবনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, দুর্গাপূজোর আগেই যাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই, ইডি স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তারা তদন্তের কাজ করছে। তাই ভোটের রাজনীতির সঙ্গে তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। পশ্চিমবঙ্গে নেতা-মন্ত্রীদের ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলাটা একেবারেই মিথ্যা। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়নায় ঠিক এইভাবেই তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি।

    হিসাব দিলেই টাকা মিলবে (Purba Bardhaman)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি রায়নায় সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ ও অন্যান্য প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অথচ, তিন বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্র সরকারের কাছে এই কাজের রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্তে এই সরকারের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই কেন্দ্র সরকার প্রকল্পের টাকা রাজ্যকে দিয়ে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসর আগে শেষ ৯ বছরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে  ইউপিএ পরিচালিত কেন্দ্র সরকার যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছিল, এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসর পর, তার থেকে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ২ লাখ ৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা প্রদান করেছে। কাজেই বিজেপি সরকার, রাজ্য সরকারের প্রাপ্য অধিকার থেকে কখনই বঞ্চনা করে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন হিসাব যত তাড়াতাড়ি দেবেন, পাওনা টাকা তত দ্রুত মিলবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  হিসেব নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি।”

    আর কী বললেন?

    বিজেপি সাংসদ পঙ্কজ চৌধুরি পূর্ব বর্ধমানে আরও বলেন, “এছাড়া করোনার সময় রাজ্যকে বিশেষ সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকঠামোর বজায় রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের নেতারা সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর অপচেষ্টা করছে। আন্দোলন, ধর্না গনতন্ত্রের অধিকার। যে কেউ আন্দোলন করতেই পারে। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই। প্রয়োজনে দেশের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। আদালতের কাছে গিয়ে যে কেউ ন্যায় চাইতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: “আগে কাজ তারপর ভোট’ বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    North 24 Parganas: “আগে কাজ তারপর ভোট’ বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগে কাজ তারপর ভোট’ দেড় কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে, রাস্তার বেহাল দশা পরিদর্শন করে মন্তব্য করলেন বনগাঁ লোকসভার (North 24 Parganas) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্র জামদা আদিবাসী পাড়ার এক রাস্তার অত্যন্ত খারাপ অবস্থার কথা তুলে ধরে, তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন এই বিজেপি সাংসদ। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও বিজেপিকে কটাক্ষের ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। রাজ্যের পঞ্চায়েত-পুরসভাগুলিতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও এলাকার মানুষ নিজেরা চাঁদা তুলে রাস্তা সারাই করছেন, এমন ঘটনার কথাও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে।   

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (North 24 Parganas)?

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (North 24 Parganas) এদিন এলাকার রাস্তা পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, “আমি যদি রাস্তার অনুমোদন করে দিই, আপনাদের দায়িত্ব থাকবে পঞ্চায়েত থেকে সেই রাস্তা বের করে নিয়ে আসা। আপনারা কি পারবেন? আমি কোনও প্রতিশ্রুতি বুঝি না, আগে কাজ তারপর ভোট। কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে। আমি কাজের পক্ষপাতি। এলাকায় অত্যন্ত খারাপ রাস্তা। মানুষের সমস্যা কী তাই আমি জানতে চাই।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    বেহাল রাস্তার ফলে এলাকার (North 24 Parganas) মানুষের সমস্যা অত্যন্ত প্রবল। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া, ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া, ইত্যাদি ক্ষেত্রে গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত নয় এই রাস্তা। এই জামদা এলাকার এক স্থানীয় আশাকর্মী জয়ন্তী বসু বলেন, “অনেক গর্ভবতী নারীকে এই রাস্তায় দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই রাস্তায় বেশ কয়েকটি বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। কারণ রাস্তা খুব খারাপ। চালাচলের যোগ্য নয় এই রাস্তা। প্রয়োজনীয় কোনও গাড়ি এখানে যাতায়াত করতে পারে না। তাছাড়া রাস্তা খারাপ বলে গাড়ি চালকেরা অধিক টাকা চায়। এলাকার বেহাল রাস্তা ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজর নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বনগাঁ এলাকার সাংগঠনিক জেলার (North 24 Parganas) তৃণমূলের কংগ্রেস সহ সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “এলাকার সাংসদ ২০১৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চার বছর শো-কেসে ছিলেন। বনগাঁর কোনও মানুষ তাঁকে চোখে দেখেননি। এলাকার পঞ্চায়েতের কোনও মানুষ তাঁকে চেনে না। সামনে লোকসভার ভোট তাই এখন মাঠে নেমেছেন তিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: দিল্লি এবং কলকাতায় তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির, সরগরম রাজ্য রাজনীতি

    Bengal BJP: দিল্লি এবং কলকাতায় তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির, সরগরম রাজ্য রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে এই অবস্থান বিক্ষোভে হাজির থাকবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলকে চাপে রাখতে এবার দিল্লি এবং কলকাতা দুই জায়গাতেই পাল্টা কর্মসূচি নিল রাজ্য বিজেপি (Bengal BJP)। জানা গিয়েছে, রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিজেপি সাংসদরা (Bengal BJP) এবং কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে ডেপুটেশনের জমা দেবেন তাঁরা। ওই ডেপুটেশনে ১০০ দিনের প্রকল্পে তৃণমূল সরকার কীভাবে দুর্নীতি করেছে সেই খতিয়ানই তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি, সুকান্ত মজুমদার যখন দিল্লিতে তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন তখন কলকাতাতেই মেয়ো রোডে ধরনায় বসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার কর্মসূচিতেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কীভাবে তৃণমূল সরকার নয়-ছয় করেছে সে কথাই তুলে ধরা হবে।

    আরও পড়ুুন: ২০২৯ সালেই কার্যকর হবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি!

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘১০০ দিনের টাকায় দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি সহ কেন্দ্রীয় একাধিক প্রকল্পে শাসক দল তথা সরকার দুর্নীতি করেছে। বেআইনিভাবে উপভোক্তা নয় এমন মানুষকেও শাসক দলের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই বিস্তারিত তালিকা মন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’

    বিক্ষোভ কলকাতায়

    অন্যদিকে, কলকাতাতে কর্মসূচি পালন করবে দলের মহিলা মোর্চা (Bengal BJP)। সেখানে হাজির থাকবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে মহিলা মোর্চার (Bengal BJP) রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, ‘‘বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি আজ প্রমাণিত। এ রাজ্যের মহিলারাও সুরক্ষিত নয়। প্রতিদিন রাজ্যে মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় হয়েছে রাজ্যে। এ ছাড়াও শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এইসব কথাই আমরা বলব।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিজেপিকে অযথা আক্রমণ করা হচ্ছে। কার্যত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে। এরাজ্যে বিরোধীদের কর্মসূচি করতে গেলে কোর্টে যেতে হয়। অপর দিকে তৃণমূলকে দিল্লিতে কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়নি।। রবিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দলীয় কর্মসূচিতে এসে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন সুকান্ত (Siliguri)?

    শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরাজ্যে  লাঠি, গুলির দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচার সহ্য করছে বিজেপি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীও খুন হয়েছেন। প্রত্যেক দিন মহিলাদের শ্লীলতাহানি হচ্ছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া। এরকম অনেক প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে বিরোধীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সুস্থভাবে সকলে রাজনীতি করতে পারে। তাই তৃণমূলের ভয়ের কিছু নেই। বিজেপি, তৃণমূলের কনভয় শান্তিপূর্ণভাবে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু এরাজ্যে আমাদের কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়। দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না। এটাই পার্থক্য।”

    ট্রেন-বিমান বাতিল প্রসঙ্গে কী বললেন?

    বিজেপি তৃণমূলের ট্রেন-বিমান বাতিল করেনি। বাতিল নিয়ে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি বলেন, “বিমান প্রাইভেট সেক্টর চালায়, কেন্দ্র সরকার চালায় না। কাজেই প্রাইভেট সেক্টর এয়ার এশিয়া কেন বিমান বাতিল করেছে, সেটা বিমান সংস্থাই বলতে পারবে। ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলা হচ্ছে, কিন্তু আদৌ কি ট্রেন বুক করা হয়েছিল? সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। ট্রেনের জন্য আবেদন করেছিল, আর আবেদন করলেই ট্রেন বুক করা হয় না। তৃণমূলের এত কান্নাকাটি করার কী আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দুটো চার্টার্ড প্লেন ভাড়া নেওয়া আছে। প্রতি মাসে তার জন্য সরকারের টাকা যায়। সেই প্লেনে লোক ভরে ভরে নিয়ে যাক।

    হিসেব না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকা পেতে গেলে বিগত বছরের টাকার হিসেব ক্লাবগুলিকে দিতে হবে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে বলেন, “ক্লাবগুলিকে মদ মাংস খাইয়ে, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতেন, এই টাকায় কাজ করবে না ক্লাবগুলি। রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। তাই এখন বলছেন, হিসেব না দেওয়ার জন্য ক্লাবকে টাকা দেবেন না। এটাই তো নিয়ম হওয়া দরকার। ঠিক একই কারণে বিভিন্ন প্রকল্পে হিসেব না দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share