Tag: tmc

tmc

  • TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতিল হল তৃণমূলের (TMC) দিল্লি যাত্রার বিশেষ ট্রেন। আগামীকাল শনিবার হাওড়া থেকে দিল্লিগামী তৃণমূলের জন্য ট্রেন ছাড়ছে না বলে জানা গেছে। এই নিয়ে রেলের পূর্ব রেল, আইআরসিটিসিকে স্পষ্ট ভাবে জানায় যে দিল্লি যাওয়ার জন্য যে আলাদা বগি চাওয়া হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূল অবশ্য এই ট্রেন বাতিলের বিষয়ে পাল্টা বিজপির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করছে।

    রেলের বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) রেল বাতিল নিয়ে, ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আইআরসিটিসি আমাদের কাছে ট্রেনের জন্য বলেছিল। কিন্তু তেমন বগির ট্রেন দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা সেটা আইআরসিটিসিকে জানিয়ে দিয়েছি।”

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা (TMC)

    আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) বিক্ষোভ কর্মসূচি। দাবি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করা। তৃণমূল আগে থেকেই ঘোষণা করেছিল, ট্রেন ভাড়া করে তৃণমূলের কর্মীরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করবে। সেই মতন ২২ বগির একটি এক্সপ্রেস বুক করা হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেল যে পূর্ব রেল এমন কোনও ট্রেন দিতে পারছে না। পূর্ব রেল, আইআরসিটিসকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য যেমন বগি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল (TMC) এই দিল্লি যাত্রায় ট্রেন বাতিলের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার ঘটনার কথা বলে উল্লেখ করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণেই করা হয়েছে। বিজেপি তৃণমূলের এই অভিযানকে ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে। তবে এই সব করে বিজেপি, তৃণমূলকে আটকাতে পারবে না।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) দিল্লিগামী রেল বাতিলের প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি তো রেলের মুখপাত্র নই, তাই এই নিয়ে কিছু বলার অধিকারী নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনের সফরসঙ্গীদের জন্য কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন? জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বাংলাকে পথ দেখাবে। নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব। সিপিএমকে একটা সময় পর্যন্ত সরানো অসম্ভব মনে হলেও কার্যত নন্দীগ্রামই পথ দেখিয়েছে। এভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের আগে বার্তা দিলেন। রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কর্মীদের অনুপ্রেরণা জোগালেন বলে মনে করছেন রাজনীতির এক অংশের মানুষ।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “৩৪ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটেছিল নন্দীগ্রাম থেকে। ভবিষ্যতে তৃণমূলের অবসান ঘটবে এই গ্রাম বাংলা থেকেই। নন্দীগ্রামের মানুষ হয়তো মমতাকে ভোট দিলে কয়েকটা চাকরি পেতেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ বাংলার সঙ্গে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে মমতাকে হারিয়েছেন। বাংলার মানুষ নন্দীগ্রামকে স্মরণ করলেই পরিত্রাণ পাবেন।”

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে বিরোধী দলনেতার কী ভূমিকা, তা আগে মানুষ জানতেন না। আগে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার নাম নিতেন না। এখন বাধ্য হয়ে নিতে হয়। ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল যেমন গাছে ওঠে না, ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও তাই করছেন। এই কাঁথি, তমলুক অঞ্চলের পঞ্চায়েতে যে সব কর্মীরা বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি প্রশিক্ষণ দেবো। ”

    শিল্প প্রসঙ্গে কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে। কেন্দ্রে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রাজ্যে কী কী  শিল্প এসেছে তার হিসাব জানাতে চান। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “রাজ্যে কোন কোন কারখানা বন্ধ হয়েছে, তার তালিকা দিয়ে দিতে পারব”। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ কত? রাজ্যে নেই মহার্ঘ্য ভাতা! চলছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। সফরসঙ্গীদের জন্য মমতা কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন, তাও জানতে চান শুভেন্দু।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ঘেরাও অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্যদের তীব্র বিক্ষোভ  

    Hooghly: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ঘেরাও অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্যদের তীব্র বিক্ষোভ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ করল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। ঘটনা ঘটেছে আরামবাগের গোঘাট এলাকায় (Hooghly)। জানা গেছে, পঞ্চায়েত পরিষেবা পেতে অনুমতি লাগবে স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের। আর যদি তা না হয়, তাহলে কাজ হবে না! ঠিক এই অভিযোগ খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় পর্ব থেকেই শাসক দলের অন্দরে কোন্দলের কথা বার বার কথা উঠে এসেছে। সরকারি পরিষেবা পেতে গেলে তৃণমূলের নেতাদেরকেও কাটমানি দেওয়ার কথায় সরব হতে দেখা গেছে। এমনকি বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছিল, এই জেলার তৃণমূল নেতারা টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করেছিলেন! এবার পঞ্চায়েত পরিষেবা পেতে তৃণমূলের কর্মীরাই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করলেন। আর তাকে সামাল দিতে নামতে হয়েছে পুলিশকে। তৃণমূলের কর্মী ও সদস্যদের পাশাপাশি এই বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার সাধারণ মানুষও।

    পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ (Hooghly)

    শুক্রবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের (Hooghly) কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতে। ওই পঞ্চায়েতের সদস্য ও অন্যান্য তৃণমূলের কর্মীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্রধান আল্পনা রায় কোনও কিছুই ঠিক মতো পরিষেবা দেন না। পরিষেবা দেওয়ার আগে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি ও তার অনুগামীদের অনুমতি লাগবে বলে জানান। এমনকি অভিযোগ ওঠে, সব সময় পঞ্চায়েত অফিস দখল করে বসে থাকেন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সদরু দোজ্জা। পরিষেবা পেতে গেলে টাকা চাওয়া হয় সাধারণ মানুষের কাছে। আর সেই অভিযোগ তুলে, আজ দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন, বিক্ষুব্ধ তৃণমুল কর্মী ও সদস্যরা। তার পরেই পঞ্চায়েত সদস্যদের গোষ্ঠী, প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।

    প্রধানের এবং অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    ঘটনায় এলাকার (Hooghly) পঞ্চায়েত প্রধান আল্পনা রায়, তাঁর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমাকেই অপর গোষ্ঠী পঞ্চায়েতে ঢুকতে হেনস্থা করছে”। অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সদরু দোজ্জা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা বলেছেন। তিনি বলেন, “বহিরাগত বেশ কিছু লোক ইচ্ছাকৃত ভাবে গোলমাল করার চেষ্টা করেছিল। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গোঘাট থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: শিশিরের ভোটে খেজুরিতে স্থায়ী সমিতি গঠন করল বিজেপি, তীব্র উচ্ছ্বাস কর্মীদের

    Purba Medinipur: শিশিরের ভোটে খেজুরিতে স্থায়ী সমিতি গঠন করল বিজেপি, তীব্র উচ্ছ্বাস কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ শিশির অধিকারীর ভোটেই খেজুরিতে (Purba Medinipur) পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি অবশেষে গঠন করল বিজেপি। তিনি বলেন, “খেজুরির গ্রাম উন্নয়নের পক্ষে এই ভোট”। উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে, শাসক দলের দৌরাত্ম্যে উত্তাল হয়ে উঠেছিল খেজুরির বিডিও অফিস। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ব্যাপক বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ ওঠে। সাংসদ শিশিরবাবু সেই দিন ভোট দিতে গেলে, রাস্তায় যাওয়ার পথে, তাঁর গাড়িতে ইট ছোড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তারপর থেকেই ঘটনায় তীব্র রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়।

    বিজেপি কীভাবে গঠন করল স্থায়ী সমিতি (Purba Medinipur)?

    তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার আশ্রয় নিয়েও শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে আটকানো গেল না। খেজুরি ২ (Purba Medinipur) পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি দখল করল বিজেপি। গতকাল বুধবার, তমলুকের নিমতৌড়ি এলাকায় অবস্থিত জেলা শাসকের দফতর ব্যাপক নিরাপত্তা ছিল পুলিশের। অফিসের ৫০০ মিটার এলাকায় জারি ছিল ১৪৪, প্রচুর পুলিশ মোয়াতেন করা হয়েছিল। খেজুরি ২ পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্য জেলা শাসকের অফিসে আসেন। এরমধ্যে আটজন তৃণমূলের এবং সাতজন ছিলেন বিজেপির সদস্য। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান, বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে মোট ২৪ জন ভোট দাতা উপস্থিত হন। ভোটের পরে স্থায়ী সমিতি গঠনে বিজেপি জয়ী হয় বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব থেকেই খেজুরি বেশ উত্তপ্ত ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৫ আসনের মধ্যে ৯ টি বিজেপি এবং ৬ টি তৃণমূল পায়। বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি এবং আরও এক বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপরেই শাসক-বিরোধীর মধ্যে শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। ভোট পর্ব স্থগিত হয়ে যায়। মামলা পৌঁছায় হাইকোর্টে। এরপর আদালতের নির্দেশের পর গতকাল বুধবার স্থায়ী সমিতি গঠন হয়।

    সাংসদের বক্তব্য

    কাঁথি (Purba Medinipur) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “ আমার ভোট উন্নয়নের পক্ষে ছিল। দলের কোন হুইপ থাকলে আমাকে দল জানায় নি। যাঁরা উন্নয়ন করবে তাঁদের পক্ষেই আমি ভোট দিয়েছি। তবে কেউ কেউ ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভোট আশা করতে পারেন, কিন্তু তাতে আমার কিছু করার নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতা অসিত মণ্ডল বলেন, “ নয়টি স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য ২৪ জন ভোটারের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৩ এবং তৃণমূল পেয়েছে ১১। আজ শিশিরবাবু তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে দিয়েছেন। আর এরফলেই বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়েছে। কে কাকে ভোট দিয়েছে আমরা সবই দেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের উপর তৃণমূল নেতার ব্যাপক দাদাগিরির ঘটনায় বন্ধ হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সেই সঙ্গে চলল সরকারি কর্মচারীদের ঘিরে বিক্ষোভ। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার হুমকির কথা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হতেই হুগলিতে (Hooghly) ফের রাজনৈতিক তর্জা শুরু। বিরোধী দল বিজেপি, তৃণমূল নেতার এই অভব্য আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে। অপর দিকে দলের নেতার এই আচরণে ফের অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল।

    কোথায় ঘটনা ঘটল?

    ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়ার সিমলা ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবোনা রাধারাণী হাইস্কুলে। দুয়ারে সরকারের কাজ হওয়ার কথা ছিল এই স্কুলে। পরিষেবা পেতে আসেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এরপর তৃণমূল নেতা নিজের দাবি নিয়ে ধর্না দেন। এর ফলে সরকারি কাজে বাধা পড়ে। শাসক দলের মিটিং কেন এই স্কুলে করতে দেওয়া হল না, এই নিয়ে দুয়ারে সরকারের আধিকারিক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে অত্যন্ত অভব্য আচরণ করে হুমকি দেন এই তৃণমূল নেতা। আর এই তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যের জন্য দুয়ারে সরকারের কর্মকাণ্ড বাতিল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ যাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে এসেছিলেন, তাঁরা অবশেষে বাড়ি ফিরে যান।

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বরে পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ এই দাদাগিরি করেন বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি ছিল, সরকারি কাজ বন্ধ করে দলীয় মিটিংয়ের জন্য স্কুলের হল খুলে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, এক সরকারি কর্মচারীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সঙ্গে শাসক দলের নেতা হওয়ার সুবাদে সকলকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এরপর এই ঘটনার ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কথা বলার সময় আমার গলার আওয়াজটা একটি বেশি হয়েছিল। এটা আমার বদ অভ্যাস। কথা বলার সময় আমার হাতটা একটু নাড়ানাড়ি হয়। যদি আমি কাউকে খারাপ কথা বলে থাকি, তাহলে আমি যে কোনও শাস্তি মেনে নেবো”।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মীর বক্তব্য

    স্থানীয় এক পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী প্রসেনজিত বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় দলীয় মিটিংয়ের জন্য রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন। আমরা জানাই অফিস চলার সময় দলীয় মিটিং করা যাবে না। এরপর এই তৃণমূল নেতা গালিগালাজ শুরু করেন। শেষে আমরা পাণ্ডুয়ার বিডিও সাহেবের কাছে অভিযোগ জানাই।”

    বিজেপির বক্তব্য

    হুগলির জেলা বিজেপি সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, “তৃণমূলের রাজত্বে, সরকারি কর্মীদের এখানে কাজ করার কোনও নিরাপত্তা নেই। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তিনি আরও বলেন, এখনও কেন এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “জিতলে হলদিয়ার কারখানা থেকে তৃণমূলকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উৎখাত করব” বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হলে, তৃণমূলকে হলদিয়ার কারখানা থেকে উৎখাত করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুরের টাটা স্টিল এবং টাটা পাওয়ার মজদুর সঙ্ঘের শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে ঠিক এইভাবে রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরে আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “লোকসভার ভোটে বিজেপি জয়ী হবে। হলদিয়া এবং কাঁথিতে কয়েক লাখ ভোটে জয়ী হব। তমলুকে তৃণমূল হারবে। আর তৃণমূল হারলেই মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে হলদিয়ার কারখানার গেট থেকে শাসক দলকে উৎখাত করবো”। এছাড়াও পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো লোকসভার ভোট হবে না। লোকসভার ভোটে তৃণমূল ভোট লুট করতে পারবে না”। এদিন বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক সভাপতি ও হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, আনন্দময় অধিকারী, সোমানাথ ভুঁইয়া সহ আরও অনেক মজদুর সঙ্ঘের নেতারা।

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, কলকাতার মানুষ হালদিয়ায় এসে মাতব্বরি করবে আর এই এলাকার মানুষ তাঁদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে, এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই জেলার অনেক মানুষকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছি। পড়ুয়াদের শিক্ষার সামগ্রী, দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য, রাস্তাঘাট এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপর অনেক কাজ করেছি। এছাড়াও এলাকায় অনেক গাছ লাগিয়েছি। হলদিয়া পুরসভার নির্বাচন হলে তৃণমূলের পরাজয় সুনিশ্চিত। তাই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে আমাদের সকলকে আরও একত্রিত হতে হবে।

    উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে এই উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ইস্তফা দেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় বিজেপি নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারল দুষ্কৃতীরা। তিন জন দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে, নিজেদের মুখ আড়াল করে বিজেপির নেতাকে গুরুতর আঘাত করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ঠিক কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Birbhum)?

    জানা গেছে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার তপন এবং সুরফুলা গ্রামের কাছেই এক বিজেপি কর্মীকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এই বিজেপি কর্মী যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতি। আহত কর্মীর নাম সুজিত হালদার। মুখে কাপড় বেঁধে পেছন থেকে আঘাত করলে ব্যাপক ভাবে রক্তাক্ত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    গতকাল রাত ন’টার সময় সুজিত হালদার রামপুরহাট (Birbhum) থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময়ে আচমকা চারজন দুষ্কৃতী মুখের কাপড় বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার পেছন দিকে কোপ দেয়। এছাড়াও তাঁর শরীরে আরও বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আঘাতের ফলে শরীরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুজিত হালদার বলেন, “আঘাত করার সময় দুষ্কৃতীরা বলেছে, তুই বিজেপির হয়ে সামাজিক মাধ্যমে খুব পোস্ট করছিস। খুব বড় বিজেপির নেতা হয়েছিস না। ঠিক এই কথা বলতে বলতে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে আমাকে।”

    পুলিশে অভিযোগ

    এই ঘটনার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ভাবে মাড়গ্রাম (Birbhum) থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপির দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত বিজেপির হয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। আর এই জন্যই শাসক দল তাঁকে আটকাতে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সুজিত সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল শাসকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলে তাঁকে শাসক দল নিশানা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Udayan Guha: “এখন চাকরির সঙ্কট চলছে” মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে তীব্র চাপে শাসক দল

    Udayan Guha: “এখন চাকরির সঙ্কট চলছে” মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে তীব্র চাপে শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের মন্ত্রীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসক দল। গত শনিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেন, “রাজ্যে প্রতারকদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য চলছে, জেলায় জেলায় বেকার যুবক-যুবতীদের টাকা আত্মসাত করছে প্রতারকরা।” এই মন্তব্যে রাজ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীরা বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে চাকরি দেওয়ার নাম করে গ্রুপ ডি, এসএসসি, টেট, পুরসভা ইত্যাদি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কের নাম এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এই অবস্থায় রাজ্যের মন্ত্রী চাকরি নেই, চাকরির প্রলোভন, প্রতারণা ইত্যাদি মন্তব্য করে শাসক দলকেই ফের কাঠগড়ায় তুললেন বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    কী বললেন মন্ত্রী (Udayan Guha)?

    উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেন, “উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বেকার যুবক-যুবতীরদের টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে। রাজ্যে চাকরির সঙ্কট চলছে। অনেকেই অভাবের কারণে প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। আমরা সরকারের তরফ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। বিভিন্ন সমাবেশে আমরা বারবার বলি প্রলোভনে পা দেবেন না। যাঁরা টাকা দেন তাঁরা খারাপ আর যাঁরা টাকা নিচ্ছেন তাঁরাও ভীষণ খারাপ। তবে যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁরা বোকামি করছেন।” মন্ত্রীর এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে রাজ্যের চাকরির সুযোগ অনেক কম।

    রাজ্যে চাকরির সুযোগ কম

    রাজ্যে যে চাকরির সুযোগ নেই, একথা জানিয়ে বার বার কলকাতায় বেকারদের বিক্ষোভ কর্মসূচি হতে দেখা গেছে। রাজ্যের বিধানসভায় বিরোধীরা সরকার পক্ষকে দ্রুত শূন্যপদ পূরণের দাবি জানিয়েছেন। কখনও কখনও ওয়াক ওভার, আবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। অপর দিকে দ্রুত স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করতে শাসক দলের বিরুদ্ধে কালীঘাট থেকে বিকাশ ভবন সর্বত্র আন্দোলন হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সহ একাধিক তৃণমূল বিধায়কের। আর এদিন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর (Udayan Guha) মন্তব্যে সরকারের ব্যর্থতার কথাই আরও একবার স্পষ্ট হয়।

    উত্তরবঙ্গে প্রতারকদের চক্র

    মন্ত্রীর (Udayan Guha) মন্তব্যের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি এলাকায় চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই কোম্পানিগুলি সম্প্রতি বলে যে ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে কম্পিউটার শিখিয়ে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু টাকা দিলেও অনেকেই চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে চাকরির সুযোগ কম এবং দুর্নীতি প্রসঙ্গে ব্যাপক সরগরম রাজ্য রাজনীতি।     

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum News: বীরভূমে কোন্দল শাসক দলে, কাজল শেখ দায়িত্ব পেতেই ছাঁটাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠরা?

    Birbhum News: বীরভূমে কোন্দল শাসক দলে, কাজল শেখ দায়িত্ব পেতেই ছাঁটাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্বভার রাজ্য নেতৃত্ব দিয়েছে অনুব্রতর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ছাঁটতে শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে।

    প্রথমবার জিতেই জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ

    বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ চৌধুরিকে সরিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সভাধিপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ কর্মাধ্যক্ষদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ অনুব্রত গোষ্ঠীর। এ নিয়ে তৃণমূলকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। কাজল শেখ অবশ্য বলছেন, যে কাজ করবে সেই স্থান পাবে। পুরনোরা কি সারাজীবন থেকে যাবে? নতুনরা কি চান্স পাবে না? খুব স্বাভাবিকভাবে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সরানোর সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা আকারে-ইঙ্গিতে এভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন কাজল শেখ। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে ছিলেন অনুব্রত অনুগামী নারায়ন হালদার এবং রবি মুর্মু। তাঁরা নিজেরাই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পদে থাকতে চাইছেন না। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজল শেখ (Birbhum News) ইতিমধ্যে তাই নাম ঘোষণা করেছেন নুরুল ইসলামের।

    গোষ্ঠী কোন্দল জেলা তৃণমূলে (Birbhum News)

    বীরভূম তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দল অবশ্য জনগণের কাছেও ধামাচাপা থাকেনি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিভিন্ন কাট-আউটে দেখা যেত অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। কিন্তু হাল আমলে অনুব্রতর ছবি বাদ গেছে। সর্বত্র দেখা যাচ্ছে কাজল শেখের ছবি। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার দাবি, ‘‘দাদার ভক্ত হবে না ভাইজানের ভক্ত হবে, এই লড়াই যত দিন যাবে, তত সামনে আসবে। শুধু এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাই। এই ব্যবস্থাই চলছে (Birbhum News) তৃণমূলের।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠাল ইডি। ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। প্রসঙ্গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক রয়েছে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই কমিটিতে রয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লেখেন, ‘‘১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই কমিটির আমি একজন সদস্য। অথচ একটু আগেই আমাকে ইডির তরফে নোটিস পাঠানো হল। ওইদিনই আমাকে তলব করেছে ওরা।’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ 

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। ধৃত কুন্তল ঘোষের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি। পরবর্তীকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কালীঘাটের কাকুর মারফত সন্ধান মেলে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ইডি জানতে পারে এক সময় এই সংস্থার সিইও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যদি ওই সংস্থার সিইও থাকেন, তাহলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি কোনও পদক্ষেপ কেন নিচ্ছে না?’’ বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেদিন নির্দেশ দেন, এসংক্রান্ত তথ্য ১৪ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে তাই ১৩ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, ১২ সেপ্টেম্বর স্পেন ও দুবাই সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঠিক তার পরের দিনই ডেকে পাঠানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে (Abhishek Banerjee) তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে।

    কী বলছে বিজেপি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) তলব নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই নিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা তৃণমূল বলছে, এসব শুনে মানুষ ক্লান্ত। তদন্তকারী সংস্থা কখন, কাকে ডাকবে, সেটা তো তাদেরই বিষয়। আর আমরা তো চাই ইন্ডি জোট আরও শক্তিশালী হোক। ভারতবর্ষের কোথায় কী জোট হচ্ছে, আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা চাই বাংলা থেকে এই জোট আরও শক্তিশালী হোক।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share