Tag: tmc

tmc

  • TMC: ১৪৪ ধারা জারির পরই ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, বোমাবাজি

    TMC: ১৪৪ ধারা জারির পরই ফের উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জরি করা হয়েছিল। তাতেও রক্ষা হয় না। আইএসএফ -তৃণমূল (TMC) সংঘর্ষে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে এলাকায় বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় বিজয় মিছিল করার জন্য ইজাজ খান নামে এক তৃণমূল (TMC) নেতা ৩ লাখ টাকার দাবি করেছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে। টাকা না দেওয়ায় তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পাল্টা ওই ব্যবসায়ী সহ তাঁর লোকজন ইজাজকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর জখম ইজাজ খানকে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রথমে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার একটু বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ভোগালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন। সেই বোর্ড গঠনে তৃণমূল কর্মীদের বাঁধা দিতে বোমাবাজি করেছে আইএসএফ। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হওয়ায় পোড়া সুতলির দড়়ি উদ্ধার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ কর্মীরা।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন?

    আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) নেতা ইজাজ খানের দাদা বলেন, আইএসএফ সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এলাকায় বোমাবাজি করেছে। আমার ভাইকে রাস্তায় ফেলে ওরা মারধর করেছে। বিষয়টি জানার পর সেখানে গেলে আমাদের লক্ষ্য করে ওরা বোমাবাজি করে। ফলে, আমি পিছু হঠতে বাধ্য হই। পরে, অন্য রাস্তা দিয়ে ভাইয়ের কাছে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, আইএসএফ এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমাদের দলের লড়াকু সংগঠকের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন আইএসএফ নেতৃত্ব?

    আইএসএফের এক নেতা বলেন, এই হামলার সঙ্গে আইএসএফ কোনওভাবে জড়িত নই। আসলে তোলাবাজি করতে গিয়ে ওই তৃণমূল (TMC) নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Paschim Medinipur: পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা পুলিশ বাতিল করলেও অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। গোয়ালতোড় কলেজ (Paschim Medinipur) মাঠের পর পিংবনিতেও সভার অনুমতি বাতিল করল পুলিশ। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি। সভা বাতিল করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ বিজেপির। পাল্টা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। আজ হাইকোর্ট থেকে বিচারতি জয় সেনগুপ্ত সময় বেঁধে দিয়ে পিংবনিতে শুভেন্দুর সভা করার অনুমতি দিলেন। 

    মূল অভিযোগ কী (Paschim Medinipur)?

    উল্লেখ্য ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসের দিন, একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে সভা করবেন, ঠিক সেই সময় গোয়ালতোড়ে (Paschim Bardhaman) সভা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথমে জেলা বিজেপির তরফে গোয়ালতোড় কলেজ মাঠে সভা করার কথা ঠিক করা হয়। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এরপর পিংবনিতে এই সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির দাবি, ইচ্ছে করেই শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি প্রত্যাহার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি সহ-সভাপতি শংকর গুচ্ছাইত বলেন, পুলিশ অনৈতিক ভাবে সভা বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছেন। পিংবনির মাঠের কর্তৃপক্ষ লিখিত ভাবে আমাদের সভার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ বারবার সভাকে বাতিল কারার কথা বলছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সভা বলেই পুলিশ বাধা প্রদান করছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশ জোর করে সভাকে বাতিল করার অপচেষ্টা করছেন। বিজপির সভাকে নিয়ে দলদাস পুলিশ তৃণমূলের মতন আচরণ করছেন। এই সভায়, রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা জনজাতি সমাজের মানুষকে সম্মানিত করবেন। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সভা বাতিলের চেষ্টা করছেন পুলিশ। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা হাইকোর্টে এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করব। অবশেষে আজ হাইকোর্ট পিংবনিতে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি বলেছেন- সবার অনুমতি দেবে কি দেবে না তা পুলিশের ব্যাপার। এর সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: শিলিগুড়ির অবৈধ নির্মাণ নিয়ে সৌরভ চক্রবর্তী -গৌতম দেবের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    TMC: শিলিগুড়ির অবৈধ নির্মাণ নিয়ে সৌরভ চক্রবর্তী -গৌতম দেবের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের সঙ্গে ফের সংঘাতে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এসজেডিএ) চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী! তৃণমূল (TMC) পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে এসজেডিএ’র অভিযানে নামার সিদ্ধান্তে  এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    দীর্ঘদিনের ঠাণ্ডা লড়াই থেকে কি এই সংঘাত?

    অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি পুরসভার থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর বিল্ডিং প্ল্যান পুরসভায় অনুমোদন করে। তাই সমান্তরালভাবে পুরসভা এলাকায় এসজেডিএ’র অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার সিদ্ধান্তে গৌতম দেবের সঙ্গে সৌরভ চক্রবর্তীর দীর্ঘ দিনের ঠান্ডা লড়াই  দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা এই লড়াইয়ের কথা তৃণমূল (TMC) সহ রাজনৈতিক মহলে কমবেশি সকলেরই জানা। এই লড়াই চরমে ওঠে কয়েক মাস আগে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরকালে সৌরভ চক্রবর্তীকে সরিয়ে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর থেকে গৌতম দেবকে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান করার নির্দেশ জারি করেছিলেন। তার কয়েকদিন বাদে রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর সেই নির্দেশিকা সংশোধন করে সৌরভ চক্রবর্তীকে এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান পদে বহাল রেখে নতুন নির্দেশিকা জারি করে। উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন সৌরভ চক্রবর্তীর নিজের শহর আলিপুরদুয়ারে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ছিলেন। সৌরভ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিষেককে দিয়েই তার চেয়ারম্যান পদ রক্ষা করেছিলেন। এতে সৌরভ চক্রবর্তীর ধারণা হয়, গৌতম দেব প্রভাব খাটিয়ে তাঁকে সরিয়ে এসজেডিএর চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনায় এই দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে পুরানো ঠান্ডা লড়াই আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

    কী বললেন এসজেডিএ -র চেয়ারম্যান?

    শিলিগুড়িতে এসজেডিএ দফতরে বসে সৌরভ চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, শিলিগুড়ি পুরসভায় এলাকাতেও আমরা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযানে নামব। শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকা থেকে আমাদের কাছে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ আসছে। যদিও সৌরভ চক্রবর্তী এতে লড়াইয়ের কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, পুরসভা বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করে ঠিক কথা। কিন্তু ইউসি দেয় এসজেডিএ। তাই আমরা অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযানে নামতেই পারি।

    কী বললেন গৌতম দেব?

    গৌতম দেব প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এসজেডিএ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমার জানা নেই। আর যদি এসজেডিএ এধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েও থাকে তাহলে তা আমাকে চিঠি দিয়ে বা মৌখিকভাবেও জানাইনি। কাজেই যে বিষয়টা এখনও কিছুই জানিনা তা নিয়ে আমি  মন্তব্য করব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    Murshidabad: বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে গুলি চালিয়ে ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরে (Murshidabad) বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে গভীর রাতে হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বহরমপুরে ১৩ নম্বর সংসদের প্রার্থী উপেন মণ্ডলের বাড়িতে হামলা করে গুলি চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এর প্রতিবাদে, গভীর রাতে বহরমপুর থানায় বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই নিয়ে তীব্র শোরগোল জেলায়।

    মূল অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    মূল অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে পরাজিত হয়েছে, সেই সব জায়গায় জয়ী প্রার্থীদের বাড়িতে (Murshidabad) হামলা, গুলি চালানো, বাড়ির মেয়েদের শ্লীলতাহানি এবং অপহরণের চেষ্টা করছে তৃণমূল। গতকাল রাতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গিয়ে ভাঙচুর চালায় এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টা করে। রাতে চিৎকার চেঁচামেচিতে বাড়ির বাইরে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার জন্য ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেস হিংসার পদ্ধতি অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভূপেন মণ্ডলের বাড়িতে হামলার আগে সাত নম্বর পঞ্চায়েতের চন্দনের বাড়ি এবং বিজেপির মেম্বার মামনী সাহার বাড়িতেও হামলা করে দুষ্কৃতীরা।

    নব নির্বাচিত প্রার্থীর বক্তব্য

    জয়ী বিজেপি প্রার্থী উপেন মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে (Murshidabad) গিয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালায়। বাড়ির বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে মারধর করে, বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি করে এবং তাঁর ছেলেকে অপহরণ করার চেষ্টাও করে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। উপেন মণ্ডলের স্ত্রী সোমা মণ্ডল জানিয়েছেন, গভীর রাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে (Murshidabad) এসে হুমকি দেয় এবং বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়। বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার জানিয়েছেন, রবিবার গভীর রাতে বহরমপুর ব্লকের মণীন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’ জন বিজেপির নবনির্বাচিত সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি নির্বাচিত সদস্যের ১২ বছরের ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ওই রাতেই বিজেপি সদস্যের বাড়িতে পৌঁছায় জেলা নেতৃত্ব। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে, বিজেপির নির্বাচিত সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাত দুটো থেকে বহরমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে তাড়া করে বেধড়ক মার, ধর্না মঞ্চে শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে তাড়া করে বেধড়ক মার, ধর্না মঞ্চে শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের (TMC) ধর্না কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার খাতড়া এলাকায়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত মহাপাত্রসহ কয়েকজনকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনায় তিনজন জখম হয়েছেন। আর এই হামলার ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে ব্লক সভাপতির উপর হামলার ঘটনা সামনে আসতেই সাধারণ মানুষ রীতিমতো হাসাহাসি শুরু করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে সারা রাজ্যের পাশাপশি খাতড়া ব্লকেও ধর্না কর্মসূচির ডাক দেয় তৃণমূল (TMC)। খাতড়ার করালী মোড়ে রীতিমত মঞ্চ বেঁধে বেলা বারোটা নাগাদ শুরু হয় ধর্না। অভিযোগ, বেলা আড়াইটার আশপাশে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির ঘনিষ্ঠ কিছু তৃণমূল কর্মী আচমকাই ধর্না মঞ্চে চড়াও হয়। আক্রান্ত হতে পারেন বুঝতে পেরেই মঞ্চ ছেড়ে পাশের গলি দিয়ে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূলের খাতড়া ব্লকের সভাপতি সুব্রত মহাপাত্র। অভিযোগ, সেই অবস্থায় হামলাকারীরা ব্লক সভাপতিকে তাড়া করে গলির ভিতরে ঢুকে রাস্তায় ফেলে মারধর করতে শুরু করেন। আক্রান্ত হন সুব্রত মহাপাত্র ঘনিষ্ঠ আরও দুজন। পরে, ব্লক সভাপতি সহ আহতদের উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ নিমেষেই চেহারা নেয় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ স্থল হিসাবে। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় ধর্না মঞ্চে অংশ নেওয়া দলেরই ব্লক সভাপতি সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    জখম ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুব্রতবাবু বলেন, সম্প্রতি খাতড়া ব্লকের অঞ্চল সভাপতিদের নাম ঘোষণা নিয়েই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। তার জেরেই আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কোনও বক্তব্য মেলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Bjp: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু বঙ্গ-বিজেপির, ১৫টি জেলায় সভাপতি পদে নতুন মুখ

    Bengal Bjp: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু বঙ্গ-বিজেপির, ১৫টি জেলায় সভাপতি পদে নতুন মুখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল বঙ্গ বিজেপি (Bengal Bjp)। ঢেলে সাজানো হচ্ছে জেলায় জেলায় সংগঠনকে। রবিবার ১৫টি সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি বদল হল। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার , শিলিগুড়ি, বনগাঁ, বারাসত, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া শহর, আরামবাগ, তমলুক, কাঁথি, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, যাদবপুর এই ১৫ জায়গায় সভাপতি পদে নতুন মুখ আনা হয়েছে। বাকি জেলার সভাপতিরা অপরিবর্তিত থাকছেন। প্রসঙ্গত, বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। ২৮টি জেলায় আগের সভাপতিরা রয়ে গেলেন।

    লোকসভার আগে কোনঠাসা শাসক দল তৃণমূল

    লাগামছাড়া সন্ত্রাসের পরেও সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম সভায় বিজেপি (Bengal Bjp) ১০ হাজারের বেশি আসন জিততে সক্ষম হয়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বুথে বুথে যেভাবে বিজেপি কর্মীরা লড়াই দিয়েছেন তাতে খুশি কেন্দ্রের নেতারা। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন কয়েক পরেই বঙ্গ বিজেপির (Bengal Bjp) শীর্ষ নেতৃত্বকে দিল্লিতে তলব করা হয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা সমেত লোকসভা ভোটের রূপরেখাও তৈরি করে দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারপরেই তেড়েফুঁড়ে নামল গেরুয়া শিবির (Bengal Bjp)। জেলায় জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ শুরু হল। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি, সন্ত্রাস সমেত একাধিক ইস্যুতে কোনঠাসা রাজ্যের শাসক দল। প্রতিদিনই কোর্টে ভর্ৎসিত হচ্ছে রাজ্য। এই আবহে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যজুড়ে শাসক দলের মদতে লাগামছাড়া সন্ত্রাসও সারা দেশে খবরের শিরোনামে এসেছে। সামগ্রিক এই পরিস্থিতির প্রতিফলন লোকসভা ভোটে পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

    তৃণমূল বিরোধী ভোটের বড় অংশ বিজেপিতে যেতে পারে

    অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূলের যেভাবে আঁতাত হয়েছে জাতীয় স্তরে, তা ভালভাবে নেয়নি নিচুতলার সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীরা। কারণ এখানে তাঁদেরও রোজ মার খেতে তৃণমূলের হাতে। তৃণমূল বিরোধী ভোটের বড় অংশ আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেদিক থেকে দেখলে কেন্দ্রীয় বিজেপির (Bengal Bjp) কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বাংলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ব্যালটের পর ইভিএম খেতে তৈরি তৃণমূল’’, নন্দীগ্রামে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ব্যালটের পর ইভিএম খেতে তৈরি তৃণমূল’’, নন্দীগ্রামে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামের সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার নন্দীগ্রামের সভায় গণনায় কারচুপি নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘গণনার দিন আমরা নন্দীগ্রামের একটি জেলা পরিষদ আসন জিততে পারতাম। রাত ২ টোর সময় এডিএম বিডিওকে নিয়ে চুরি করে জিতেছে। ব্যালটের পিছনে সই না রেখে আইপ্যাকের সঙ্গে বিডিও -প্রিসাইডিং অফিসার মিলে অবৈধভাবে জেতার চেষ্টা করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ যেখানে নেই, সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবকে তদন্তের আবেদন জানিয়েছি।’’

    ব্যালটের পর ইভিএম খেতে প্রস্তুত তৃণমূল

    অন্যদিকে শাসকদলকে কটাক্ষ করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমুল কয়লা, বালির পর এখন ব্যালট খাচ্ছে। আগামীদিনে ইভিএম খাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের আসন থেকে শুভেন্দুর কাছে পরাস্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর পঞ্চায়েত ভোটেও মেলে বিপুল সাফল্য। নন্দীগ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত দখল করে গেরুয়া শিবির। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলেও রাস্তাতে ছিল। তাই এখানকার সাফল্য আশি শতাংশ। আমরা যেখানে ছিলাম না সেখানে নির্দল ছিল। আমরা সমর্থন করেছি।’’ শনিবার নন্দীগ্রামের সভায় পুলিশের বিরুদ্ধেও তীব্র আক্রমণ শানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের আইসিরা যেভাবে মিথ্যা মামলা করে ফাঁসাচ্ছে, সার্টিফায়েড কপি তুলে হাইকোর্টে যাবো।’’

    সংখ্যালঘু ভোট

    অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট বাড়ানোর লক্ষ্যে এবার সংখ্যালঘু এলাকায় সংগঠন বাড়ানোয় জোর শুভেন্দুর। নন্দীগ্রামের অন্তত ৫০টি বুথে সংগঠন বাড়ানোর কথা বলেন শুভেন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘পিসি ভাইপোকে উৎখাত না করা পর্যন্ত শান্তি নেই।’’ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন জানান, নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের জন্য ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এছাড়া বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের শুভেন্দু পরামর্শ, ‘‘এবার থেকে মিড ডে মিলে খাবার ঠিক দেওয়া হচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য রাখুন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: কুলটি বোরোতে ৮৭ লাখ টাকা উধাও, এফআইআর নিয়ে টালবাহানা মেয়রের, সরব বিজেপি

    Asansol: কুলটি বোরোতে ৮৭ লাখ টাকা উধাও, এফআইআর নিয়ে টালবাহানা মেয়রের, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের কুলটি বোরো অফিস থেকে ৮৭ লাখ টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা ওঠে, পুরনিগমের গত মাসের বোর্ড সভায়। এই বিশাল অঙ্কের টাকা উধাও হয়ে যাওয়ায় এবার বিরোধীদের নিশানায় শাসকদল তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে মেয়র থানায় এফআইআর করছেন না।

    কী ভাবে ঘটল ঘটনা (Asansol)?

    পুরনিগমের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর গুলাম সরোবর বোর্ড মিটিং এ এই টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা তোলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কুলটি বোরো অফিসের অর্থ বিভাগের প্রায় ৮৭ লাখ টাকা পুরনিগমে জমা দেয়নি। বিভাগের কর্মীরা এই টাকা খেয়ছে। এই বিষয়ে ৩ জানুয়ারি ২০২১ সালে স্থানীয় কুলটি (Asansol) থানায় জেনারেল ডায়েরি হয়েছিল। এখনও কোনও এফআইআর হয়নি কেন? জানতে চান গুলাম সরোবর। তাঁর আরও দাবি, পুরনিগমের অর্থ বিভাগের দায়িত্ব নিয়মিত পরীক্ষা করা। কিন্তু সেই দপ্তরের আধিকারিক বা কর্মীরা কেন তার উপর নজর দেয়নি! একই ভাবে সরব হয়ে প্রতিবাদী হয়েছে বেজেপি।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই অভিযোগে সরব হয়ে বিজেপির কাউন্সিলার চৈতালি তিওয়ারি জানিয়েছেন, ২০২১ সালে কুলটি বোরোতে (Asansol) ৮০-৯০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এই অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত সরকারি আধিকারিকরা কেন কোনও ব্যবস্থা নিলেন না! প্রশ্ন করেন। মেয়র সব দুর্নীতির কথা শুনে কেন সক্রিয় হননি! কেন দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাহলে কী এই টাকা চুরির মধ্যে কোনও তৃণমূলের নেতারা জড়িয়ে রয়েছেন। ঠিক এইভাবেই অভিযোগ করে বিজেপি নেত্রী কাউন্সিলার চৈতালি তিওয়ারি।

    আসানসোল মেয়রের বক্তব্য

    আসানসোল (Asansol) মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, বোর্ড মিটিংয়ে এই অভিযোগ ওঠে, তাঁর মেয়র হওয়ার বহু পূর্বে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান। বোর্ড মিটিংয়ে টাকা লোপাটের কথা ওঠায় সেই বিষয়ে তিনি জানতে পারেন। তিনি আরও বলেন, বোর্ড মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এই টাকা লোপাটের ঘটনার জন্য আসানসোল পুরনিগম থানায় এফআইআর করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC: টোল প্লাজায় গাড়ি আটকানো অপরাধ! টোল কর্মীকে গলা ধাক্কা তৃণমূল সাংসদের, ভাইরাল ভিডিও

    TMC: টোল প্লাজায় গাড়ি আটকানো অপরাধ! টোল কর্মীকে গলা ধাক্কা তৃণমূল সাংসদের, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রকাশ্যে এক পুলিশ আধিকারিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। প্রশাসনের কর্তাদের গায়ে হাত তোলার নজিরও রয়েছে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার টোল প্লাজায় কিছুক্ষণ গা়ড়ি দাঁড় করানোর ‘অপরাধে’ এক টোল কর্মীকে গলা ধাক্কা দিয়ে মারতে উদ্যত হলেন তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল। আর টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য। সিসি ক্যামেরার এই ভিডিও ফুটেজটি বৃহস্পতিবার রাতে ‘ভাইরাল’ হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাদা রঙের একটি গাড়ি টোলপ্লাজার সামনে দাঁড়ালো। টোল প্লাজার কর্মী এসইউভি গাড়িটিকে দাঁড় করান। গাড়ির চালক সঙ্গে সঙ্গে সামনে থাকা ব্যারিয়ারটিকে ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় তা পড়ে যায়। সেটি টোলকর্মী তুলে পাশে সরিয়ে রাখেন। ঠিক তার ১০ সেকেন্ড পরেই গাড়ি থেকে নীল পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা পরে থাকা এক ব্যক্তি মারমুখি অবস্থায় ছুটে আসেন। ওই টোল কর্মীকে গলায় ধাক্কা দেন। তারপর দেখা যায় তিনি কর্মীর দিকে হাত তুলে মারতে যাচ্ছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মারতে উদ্যত হওয়া ব্যক্তিটি হলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুনীল মণ্ডল। আর ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার পৌনে একটা নাগাদ দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর মেমারির পালসিট টোলপ্লাজায়।

    কী বললেন টোলপ্লাজার কর্মী?

    টোলপ্লাজার কর্মী উজ্জ্বল সিং সর্দার বলেন, আমি ভিআইপি গেটে ডিউটি করছিলাম। সেই সময় একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। গাড়ির মধ্যে কে আছে তা দেখতে চাই। তখনই গাড়ির চালক ব্যারিয়ারে ধাক্কা মারে। আমি বেরিয়ারটিকে সরিয়ে রাখতেই গাড়ি থেকে বেরিয়ে একজন এসে আমাকে গলা ধাক্কা দেন। পরে, জানতে পারি তিনি তৃণমূলের (TMC) এমপি। আমাকে ক্ষমা চাইতে হয়। আমি নিজের ডিউটি করছিলাম। কিন্তু, তিনি যে ভাবে আচরণ করলেন তাতে খুব কষ্ট পেয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলালেই দেখে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল যুব নেতার

    TMC: বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলালেই দেখে নেওয়ার হুমকি তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিজেপি সহ বিরোধীদের উদ্দেশে হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছিল। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরও চলছে হুমকি। তৃণমূলের হুগলি জেলার পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি সিপিএম নেতাদের নাম করে সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর শহিদ দিবসের দিন মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার ডাক দিয়েছিলেন। এরপর বিরোধী দলের জয়ী প্রাথীদের নিজের দলে নিয়ে আসার জন্য একাধিক জেলায় শাসক দলের নেতারা হুমকি দিয়ে চলেছেন।  এবার খোদ মুর্শিদাবাদ জেলায় বড়ঞা ব্লকের পাঁচথুপি এলাকায় বাবাই চৌধুরী নামে যুব নেতা  সোশ্যাল মিডিয়াতে বিরোধীদের হুমকি দিয়েছিলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা কী হুমকি দিয়েছেন?

    তৃণমূলের (TMC) ওই যুব নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন,’ তৃণমূল কংগ্রেসে  থেকে যারা পাঁচথুপি অঞ্চলে ভোটের সময় বা এখনও পর্যন্ত বিরোধীদের হাত মিলাচ্ছেন, সাবধান হয়ে যান। নাহলে আপনাদের বাপের দিন নাই আপনাদের কেউ বাঁচাবে। দলটার নাম তৃণমূল কংগ্রেস।’ সোশ্যাল মিডিয়াতে এইরকম হুমকি পোস্ট করার পর ওই তৃণমূল নেতা কোনও কথা বলতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) নেতা মাহে আলম বলেন, বাবাই চৌধুরী বাচ্চা ছেলে। আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি দেখেছি। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। আসলে আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে  যারা কাজ করছে তাদের বার্তা দিয়েছেন, ঠিক একইভাবে সেই বার্তার মাধ্যমে হয় তো গ্রামগঞ্জের ওই ছেলে আবেগবশত এসব বলে দিয়েছেন। এটা নিয়ে অন্য কিছু বিষয় নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যেভাবে হওয়া দরকার সেভাবে হয়নি। এখন চমকাবে,ধমকাবে,ভয় দেখাবে এটাই হচ্ছে তৃণমূল (TMC)। এখন ওদের শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভয় দেখানো, প্রশাসনের কাছে বলব এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share