Tag: tmc

tmc

  • TMC: দলেরই প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: দলেরই প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে পেটানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা এবার টিকিট না পেয়ে নির্দলকে সমর্থন করেছিলেন। শনিবার তারা কংগ্রেসে যোগ দেন। আর তারপরই এদিন তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আক্রান্ত মহিলা ২০১৮ সালে এই এলাকায় তৃণমূলের (TMC)  পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। এবার দলের পক্ষ থেকে তিনি টিকিট পাননি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড়ায়। শাসক দলের প্রাক্তন সদস্যা সহ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থীকে তাঁরা সমর্থন করেন। ভোটের পর নির্দল অনুগামীরা সকলেই কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যাও কংগ্রেসে যোগদান করেন। আর এতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে ওই প্রাক্তন সদস্যার উপর। এদিন দুপুরে তারা এলাকায় বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক পেটানো হয়। চোখের সামনে হামলা চালাতে দেখে দুজন কংগ্রেস কর্মী বাঁচাতে যান। তৃণমূলের হামলায় তাঁরাও গুরুতর জখম হন। আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর নাম মহম্মদ বজরুল কেরিম এবং গোলাম সেখ। ঘটনায় ওই মহিলা সহ তিনজন কংগ্রেস কর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে, চিকিৎসকেরা তাঁদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা?

    আক্রান্ত তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সদস্যা বলেন, ২০১৮ সালে আমি তৃণমূলের সদস্যা ছিলাম। এখন আমরা নির্দলকে সমর্থন করেছিলাম। পরে, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। এটাই আমাদের অপরাধ। তারজন্য তৃণমূলের লোকজন আমাকে বিবস্ত্র করে সকলের সামনে পিটিয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাকে বাঁচাতে এসে দুজন আক্রান্ত হয়ছেন। তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা মাহে আলম বলেন, পারিবারিক গণ্ডগোল। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রভাবিত গ্রাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক বিরোধী ভোট পড়েছে বিজেপিতে। ঠিক এই অভিযোগে রাস্তা সারাইয়ে দ্বিচারিতা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। আর তাই বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে অবরোধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। রবিবার ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের বনগ্রাম ও গোমহল এলাকায়।

    মূল সমস্যা কী (Purba Bardhaman)?

    বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের (Purba Bardhaman) ডিভিসি ক্যানালের লকগেট থেকে পান্ডুদহ সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। সেচ ক্যানালের পাড়ে এই রাস্তার ওপর রয়েছে বনগ্রাম, গোমহল সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়াও ওই রাস্তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে কয়েকশো হেক্টর চাষজমিও। লাল মোরামের ওই রাস্তাটি একদশকের বেশি সময় ধরে বেহাল দশায়। খানাখন্দে ভর্তি। কোথাও আবার এক হাঁটু গর্ত। বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। বেহাল রাস্তায় সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগীদের। জানা গেছে, গত অর্থ বছরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটার রাস্তা পিচ করার অনুমোদন দেয়। বাকি প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অভিযোগ, ওই রাস্তার ওপর দিয়ে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টরের অবাধ আনাগোনা। দামোদর নদের শাঁকুড়ি, শালডাঙা ঘাট থেকে দিন-রাত চলে অবৈধ বালিবোঝাই ট্রাক্টর। তার জেরে মোরামের ওই রাস্তা ভেঙে পড়েছে। বছর দুয়েক আগেও গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সরব হয়েছিল। গোটা রাজ্য যখন রাস্তাশ্রী, পথশ্রীতে মাতোয়ারা, সেখানে এই চিত্র প্রতিহিংসার ছবি ছাড়া আর কিছুই না।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা (Purba Bardhaman) জানান, “গ্রামে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে, হাসপাতাল ও বাজারে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তা। বর্ষায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সাইকেল মোটরবাইক নিয়ে চলাচল দূর অস্ত, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।” বাসিন্দারা আরও জানান,”বনগ্রাম, গোমহল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দুদিকে কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় হেঁটে যেতে হয়। তারপর একটু ভালো রাস্তা পাওয়া যায়। বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কাজের কাজ হয়নি। চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসীরা।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) বিজেপি কর্মী, বর্ণালী মাজি জানান, “রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ওই রাস্তাটি পাকা হবে। ১২ বছরে এখনও পাকা হয়নি। গ্রামবাসীরা বেহাল রাস্তা নিয়ে ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছিল, ছবি তুলেও পাঠিয়েছিল। তারপরও রাস্তাটি সারানো হয়নি।” আরেক বিজেপি নেতা প্রদ্যুত মণ্ডল বলেন,”সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটেও ১১ টি গ্রাম সংসদে বিজেপির ভোট বেশি থাকায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল পরিচালিত চাকতেঁতুল (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের প্রাধান অশোক ভট্টাচার্য্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”রাস্তাটি নতুন করে তৈরির জন্য জেলায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে পিচ রাস্তা তৈরির উদ্যোগ জেলা পরিষদ নিয়েছে। ১ কিলোমিটার পিচ হয়েছে। বাকি রাস্তা খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি! মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি! মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর নিদান দিয়েছিলেন মমতা-অভিষেক। এবার এই ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় শনিবার এফআইআর করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অভিযোগপত্রে বিরোধী দলনেতার দাবি, তৃণমূলের ওই কর্মসূচিতে বিজেপি নেতাদের প্রাণহানি হতে পারে। এমনকি, তাঁরও। অভিযোগপত্রে তিনি মমতা এবং অভিষেকের বক্তৃতার অংশও তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, এই ধরনের বক্তব্য ‘ঘৃণাভাষণ’।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে আসায় তাতে অনুদান বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লি অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিষেক। পাশাপাশি তিনি, আগামী ৫ অগাস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও-এর কথাও বলেন। তিনি বলেন, ‘‘সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে রাখবেন! একদম গণঘেরাও! বাড়ির কেউ বয়স্ক থাকলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। আর কাউকে ঢুকতেও দেবেন না, বেরোতেও দেবেন না।’’ এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওই কর্মসূচিতে সামান্য বদল করেন। তিনি বলেন, বুথে নয়, প্রতি ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও হবে। তৃণমূলের এহেন কর্মসূচিকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলও বলছে, এতে নিশ্চিতভাবে হিংসা ছড়াবে। তৈরি হবে অশান্তির বাতাবরণ।

    রবীন্দ্র সরোবর থানাতেও অভিযোগ দায়ের অভিষেকের বিরুদ্ধে

    এই ইস্য়ুতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ীও। রাজর্ষির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৫ অগাস্ট সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাংলার বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের কথা বলেন। এই বক্তব্য শুধুমাত্র গণতন্ত্র বিরোধী নয়, আইনেরও লঙ্ঘন। ভারতের পবিত্র সংবিধানে দেশের প্রতিটি নাগরিককে স্বাধীনভাবে চলাফেরার করার মৌলিক অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত।’’ ঘটনাক্রমে অভিষেকের ঘোষণার পরেই রাজু হালদার নামে যুবমোর্চার এক কর্মীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজর্ষি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নারী নির্যাতনে (Violence Against Women) পশ্চিমবঙ্গ দেশের প্রথম সারিতে রয়েছে, বিরোধীদের এই দাবিকে ইতিমধ্যে সিলমোহর দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অন্যদিকে নারীদের ওপর ঘটে চলা অত্যাচারও বলছে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে ভাল নেই বাংলার মেয়েরা। মণিপুরের জন্য কেঁদে ভাসাচ্ছেন যে তৃণমূল নেত্রী, তাঁর শাসনে কেমন রয়েছেন বাংলার নারীরা? রাজনৈতিক অরাজনৈতিক মিলিয়ে মহিলা নির্যাতন যেন রুটিন কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম উঠে আসছে শাসকদলের মদতপুষ্ট সমাজ বিরোধীদের। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নারী নির্যাতনের গুরুতর অপরাধগুলিকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ট্য়ুইট সামনে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কন্যাশ্রী ও রূপশ্রীর মুখোশের আড়ালে এ কোন বাংলা? যা নারীদের বধ্যভূমি হয়ে গিয়েছে।

    বিগত ৭ বছরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ

    ২১ জুলাই ২০২৩, মালদা

    মালদার মানিকচকে প্রকাশ্যে নগ্ন (Violence Against Women) করে দুই মহিলাকে মারধরের মধ্যযুগীয় বর্বরতা সামনে আসে। সব থেকে আর্শ্চয্যজনক তথ্য হল, মমতার পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

    ৮ জুলাই ২০২৩, হাওড়া

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে নগ্ন করে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ২৬ অক্টোবর ২০২২, মুর্শিদাবাদ

    মধ্যযুগীয় বর্বরতার আরও চিত্র দেখা যায় মুর্শিদাবাদে। দুইজন সমকামী মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে।

    ২৪ জুলাই ২০২২, দক্ষিণ দিনাজপুর

    একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভিড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি স্কুলে চড়াও হয় এবং মহিলা শিক্ষিকাকে প্রায় নগ্ন করে। ওই শিক্ষিকার অপরাধ, তিনি শৃঙ্খলা শিখিয়েছিলেন ছাত্রীদের।

    ১৫ মে ২০২২, মালদা

    বাড়িতে একা পেয়ে তিন যুবক এক মহিলাকে ধর্ষণের (Violence Against Women) চেষ্টা করে। ওই মহিলা বাধা দিলে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয় এবং নানা ভাবে মানসিক নির্যাতনও চলে সঙ্গে। এই ঘটনার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীরব থাকেন।

    ১৫ জুন ২০২১, আলিপুরদুয়ার

    ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে নগ্ন করে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন এই ঘটনার পরেও।

    ১৯ অক্টোবর ২০১৯, বীরভূম

    বীরভূমে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। যারা ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে যায়, তাদের ওপরেও চড়াও হয় সমাজবিরোধীরা। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে নারীর সম্মান।

    ১৭ মে ২০১৮, কলকাতা

    কলকাতার সেন্ট পল ক্য়াথিড্রাল কলেজে এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক বিবস্ত্র করানো হয়। এবং পুরো ঘটনা ক্য়ামেরাবন্দী করে সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করা হয়।

    ১৮ মার্চ ২০১৭, কলকাতা

    কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং বিবস্ত্রের অভিযোগ ওঠে। এক রাজনৈতিক কর্মীকে চেক করার নামে এই কাজ করে পুলিশ। যদিও কোনও বিবৃতি শোনা যায়নি পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফ থেকে।

    ২৫ জুলাই ২০১৬, মালদা
     
    মালদায় এক বয়স্কা মহিলাকে বিবস্ত্র করে বাঁ হাতের দুটো আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়লেও চুপ ছিলেন রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: ‘পঞ্চায়েতে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হামলার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেই বিস্ফোরক চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক হামিদুল রহমান।  চোপড়ার বাড়িতে বসে হামিদুল বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সর্বস্তরেই টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি করেছেন জেলা সভাপতি। সেই টাকা দিয়ে জেলা সভাপতি পুলিশ প্রশাসনকে কিনে নিয়ে ভোট লুট করেছেন। পুলিশ সুপার, জেলা শাসক এবং ইসলামপুর মহকুমা শাসকের কাছে একাধিকবার তিনি অভিযোগ করেও তার কোনও ফল পান নি।

     ভোট গণনার দিন ঠিক কী ঘটেছিল?

    পঞ্চায়েতে ভোট লুট নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগ করে আসছিলেন, একই অভিযোগ করলেন চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক হামিদুল রহমান। ইসলামপুর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী একই অভিযোগ করলেও রাজ্য নেতৃত্ব কেউ আমল দেন নি। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের এই অভিযোগ সামনে আসায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বেশ খানিকটা চাপে পড়ল বলে রাজনৈতির মহল মনে করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোপড়া ব্লকে বিরোধীদের মনোনোয়নপত্র দাখিল করতেই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সব কয়টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতা জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছিলেন।এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে করিম অনুগামী হয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। অভিযোগ, ভোট গণনা কেন্দ্রে হামিদুলসাহেবের মেয়ের সঙ্গে গণনা কর্মীদের বচসা বাধে। ভোট গণনা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বিধায়কহ হামিদুল রহমান ইসলামপুর গণনা কেন্দ্রে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে পুলিশ তাঁর উপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছিলেন তিনি। ইসলামপুর হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হন হামিদুলসাহেব। যদিও চোপড়ার বিধায়ক প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: বোলপুরে তৃণমূল কাউন্সিলারকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রাখল স্থানীয় বাসিন্দারা

    Bolpur: বোলপুরে তৃণমূল কাউন্সিলারকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রাখল স্থানীয় বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বোলপুর (Bolpur) ছিল অনুব্রতর খাসতালুক। এবার সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলারকে দলীয় কার্যালয়ের আটক করে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় ১৮ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দার। তবে কেন এই আটক?  কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে জমি দখল সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। স্থানীয় মানুষজন এদিন তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তৃণমূল কাউন্সিলারকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। আবার কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের সাহায্যে এলাকাবাসীকে হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিনের ঘেরাও-এ আট থেকে আশি প্রত্যেকেই সামিল হয়। এলাকাবাসী কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলার তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ  বিবরণ 

    বোলপুর (Bolpur) পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবি, বোলপুর পৌরসভা এলাকার কাশিমবাজারের কাছে একটি সরকারি জমি পড়ে রয়েছে। সেই জমিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে জল প্রকল্প করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখান দিয়ে তাঁদের যাওয়া আসার রাস্তা রয়েছে। স্থানীয় বাচ্চারা ওই মাঠে খেলাধূলাও করে। জোরপূর্বক ওই জায়গা ঘিরতে চাইছেন কাউন্সিলার। এই সমস্ত বিষয়  নিয়েই স্থানীয় কাউন্সিলর তাপস সরকারের সঙ্গে বচসা বাধে এলাকাবাসীর। বিকালে এলাকায় গিয়ে কাউন্সিলার স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে পুলিশের সাহায্যে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁদেরকে মারধরও করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

    কাউন্সিলার ঘেরাও

    পরবর্তী সময় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের যে দলীয় কার্যালয় রয়েছে, সেই কার্যালয় রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছে স্থানীয় লোকেরা গিয়ে পার্টি অফিস দীর্ঘক্ষন ধরে ঘেরাও করে রাখে বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এলাকাতে উন্নয়ন হবে কিন্তু তা বলে হুমকি মারধর ভয় দেখানো কেন হবে? স্থানীয় কাউন্সিলর সহ বেশ কিছু ব্যক্তিকে পার্টি অফিসের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘেরাও করে রাখে এবং উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

     

    আরও পড়ুুন: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত! লজ্জা ও ঘৃণায় তৃণমূলের প্রথম নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপিতে

    BJP: সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত! লজ্জা ও ঘৃণায় তৃণমূলের প্রথম নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের আঁতাত দেখে লজ্জায় এবং ঘৃণায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন রাজ্যের প্রথম তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান স্বপন সান্যাল। এদিন জেলা সভাপতি ও বিজেপি নেতা জয় ব্যানার্জির উপস্থিতিতে পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। ১৯৯৮ সালে শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম তৃণমূলের নির্বাচিত প্রধান ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২১ শে জুলাই নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতার ধর্মতলায় ঐতিহাসিক জন সমাবেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই দিন যাদের অত্যাচারে তাঁরা শহিদ হয়েছিলেন, রাজ্যের বাইরে গিয়ে তাদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লজ্জা আর ঘৃণাতেই এবার তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

    কোথায় যোগদান করলেন বিজেপিতে (BJP)?

    এদিন একুশে জুলাই উপলক্ষে তৃণমূল  একদিকে যখন জনসভা করছে, ঠিক তার উল্টোদিকে গোটা রাজ্য জুড়ে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি (BJP)। সেই মতো নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বিডিও অফিসের কিছুটা দূরে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায় বিজেপিকে। সেখানেই নীল-সাদা পতাকা ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন পোড় খাওয়া তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা।

    কী বললেন প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান?

    এ বিষয়ে প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান স্বপন সান্যাল বলেন, যাদের অত্যাচারে আজ এই শহিদ দিবস পালন হচ্ছে, তাদের সঙ্গেই তৃণমূল জোটবদ্ধ হচ্ছে। আমি এই রাজ্যের প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ছিলাম। আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম আমার পঞ্চায়েতটিকে মডেল হিসাবে তৈরি করব। কিন্তু দুর্ভাগ্য বিজেপিকে হারানোর জন্য সব নীতিবোধ বিসর্জন দিয়ে চিরশত্রুদের সঙ্গেই তিনি জোটবদ্ধ হয়েছেন। সেই কারণেই আমি আজ বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলাম। 

    উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই সিপিএমের এক পরিবার তৃণমূলের হামলা নিয়ে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। তাঁরাও মমতার পদক্ষেপের ব্যাপারে ক্ষোভ এবং ঘৃণাই উগরে দিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করে নগ্ন করে নির্যাতন তৃণমূলের, তোলপাড় হাওড়ায়

    Howrah: মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করে নগ্ন করে নির্যাতন তৃণমূলের, তোলপাড় হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ৮ জুলাই হাওড়ার পাঁচলায় (Howrah) এক মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, এই প্রার্থীকে কাপড় খুলে নগ্ন করে অসম্মানিত করার অভিযোগও করা হয়েছে। মণিপুরের ছায়া কি বাংলাতেও! প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতারা। বর্তমানে ওই পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

    নিপীড়িত মহিলার বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলা (Howrah) জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। গত ৮ ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিনে সকাল ১১ টা নাগাদ স্থানীয় বুথে তিনি যখন ভোট দিতে যান, তখন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর কাপড় ধরে টানাটানি করা হয়। ঠিক তারপরেই ওই মহিলা দৌড়ে বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর তাঁকে নগ্ন করে নির্যাতন চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং তাঁর স্বামী তাঁকে উদ্ধার করেন। পরিবারের অভিযোগ, বুথ থেকে সব ভোট লুট করেছিল তৃণমূল। তাঁর উপর যে নির্যাতন হয়, তাতে অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর গোটা পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মেল করে পাঁচলা থানার ওসির কাছে অভিযোগ জানায় পরিবার। এরপরই তদন্তে নামে হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশ। মহিলার বেশি চোট না থাকায় তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। গোটা পরিবার এখন শান্তিতে বসবাস করতে চাইছে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।

    স্বামীর বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলার (Howrah) স্বামী জানিয়েছেন, তিনি পরপর দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচন দেখলেন। বিজেপি করার জন্য তাঁর স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে নগ্ন করে যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, সেই ঘটনার স্মৃতি মনে পড়লে তাঁরা আঁতকে উঠেছেন। তাই তাঁরা আর এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে চান না। তাঁদের পরিবার চায় বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসে রাজ্য জুড়ে এই নারী সমাজের উপর অত্যাচার, হিংসা এবং অরাজকতার অবসান ঘটাক।

    আজকেই দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মুজমদার এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির কর্মী-সমর্থক এবং প্রার্থীদের উপর অত্যাচারের কথায় সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে হাওড়ার পাঁচলায় নারী নির্যাতনের কথাকে তুলে ধরে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য যথারীতি বলেন, পাঁচলায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ডায়মন্ড হারবারে গর্ভবতী মহিলাদেরও ছাড়েনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    South 24 Parganas: ডায়মন্ড হারবারে গর্ভবতী মহিলাদেরও ছাড়েনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আজ শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবার থানার দক্ষিণ কুলেশ্বরে আহত বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অপরদিকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার ডাক দিয়েছেন। আবার মঙ্গলা হাটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূলের অন্তর্ঘাত। আর ঠিক এর পরেই হাটের পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করে সিআইডি তদন্তের অনুমতি দিলেন। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা।

    আক্রান্ত কর্মীদের পাশে শুভেন্দু (South 24 Parganas)

    রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত। বোমাবাজি, ঘরবাড়ি, সম্পত্তি লুট, মহিলাদের উপর অত্যাচার, বোমা-বন্দুক-পিস্তলের হুমকিতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে  সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি দলীয় কর্মীদের সাথে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। পুলিশের সামনে মারধর থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে মিথ্যা মামলা দেওয়া, বাড়ি ভাঙচুর করা, মারধর করার মতো একাধিক বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কর্মীদেরকে অভয় দিয়ে বলেন, আগামী দিনে কোনও হেনস্থার শিকার হতে হবে না, দল সম সময় কর্মীদের পাশে রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু তৃণমূল যুবনেতার নাম করে সাংবাদিকদের সামনে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই যুব তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আগামী দিনে কোর্টে যাব।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এই এলাকার (South 24 Parganas) মানুষ অত্যন্ত সহজ সরল। শুধু বিজেপি করার জন্যই তৃণমূলের হার্মাদরা এলাকায় অত্যাচার করেছে। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বিজেপির কর্মীদের মারধর করা হয়। বাড়ির মহিলাদের উপর চলছে অত্যাচার। এসসি মহিলাদের কাপড় ধরে টানাটানি করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। গণতন্ত্র নেই, কিমের রাজ্যের থেকেও খুব খারাপ অবস্থা এখানে। এলাকার মানুষ বাঁচতে চায়। শান্তিতে জীবন জীবিকা নিয়ে বসবাস করতে চায়। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। শুভেন্দু আরও বলেন, ভাইপো নিজে এই এলাকাকে নোংরা করেছেন। আজ, যাঁরা কলকাতায় বসে ডিমভাতের উৎসব করছেন, তাঁরা এই এলাকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছেন। স্থানীয় এক বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী গর্ভবতী, তাঁকেও পর্যন্ত অত্যাচারের শিকার হতে হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে। তিনি আরও বলেন, এই বাংলাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবে তৃণমূলের বিরুদ্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

    TMC: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই একুশে জুলাই নিয়ে যে আন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তা কি সম্পূর্ণ ভুলে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মঞ্চে ওঠার পর থেকে এক বারের জন্যও তাঁর মুখে এল না একুশে জুলাই যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন এবং একুশে জুলাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে একটা কথাও। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর (TMC) বক্তব্যে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা, প্ররোচনা এবং বিরুদ্ধাচারণ ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না।

    শুধুই কেন্দ্রের বিরুদ্ধাচারণ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৮ সালে আজকের দিনে মানুষের সচিত্র ভোটার কার্ডের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবিতে মহাকরণ ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন। আর সেখানেই এই আন্দোলনের মাঝে পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন ১৩ জন। আজ ২৫ বছর পর ২১ শে জুলাই-এর মঞ্চে একবারের জন্যও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল না সেদিনের কোনও কথা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের ঢাক পেটাতে, মিথ্যাচার করতে এবং একদিকে বিজেপি ও অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসার কথা ছাড়া কিছুই বলতে বাকি রাখলেন না। গোটা দেশের মানুষ করোনার সময় থেকে আজও বিনা পয়সায় রেশন পান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী (TMC) নিজেই দাবি করলেন, এই রেশন নাকি বিনা মূল্যে তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে আজও পৌঁছে দিচ্ছেন। পাশাপাশি বাজারদরের প্রতি তাঁর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, সে কথা স্বীকার না করে উল্টে কেন্দ্রীয় সরকারকেই এসব কিছুর জন্য দায়ী করলেন।

    এড়িয়ে গেলেন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি

    রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা না বলে সম্প্রতি মণিপুরের ঘটনার কথা তুলে ফের আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে রাজ্যের পাওনা আদায়ের জন্য দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সঠিক হিসাব দিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্য যেভাবে অশান্ত হয়ে রয়েছে, সে কথাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মাত্র তিনটে ঘটনা ঘটেছে আর তাকে নিয়েই যত রঙ্গতামাশা করছে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলো। কার্যত একুশে জুলাই যে শহিদ দিবস, সে কথাকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের কাছে দরবার করলেন রাজ্যের প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে। চেয়ারকে কেয়ার করেন না তিনি। তাই মমতার স্পষ্ট দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে দাবিদার নেই তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share