Tag: tmc

tmc

  • Biswanth Chowdhury: ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    Biswanth Chowdhury: ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার! প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন প্ৰাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত হন তিনি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহল ও জেলাবাসী শোকাহত। জেলার এক রাজনৈতিক যুগের অবসান ঘটল বলে রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করছেন।

    টানা সাত বারের বিধায়ক

    বাম আমলের মন্ত্রী ছিলেন বিশ্বনাথ। টানা সাত বার বালুরঘাট থেকে আরএসপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৩৪ বছরের বাম শাসনকালের মধ্যে প্রায় আড়াই দশক ধরে মন্ত্রিত্ব সামলেছেন তিনি। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের কারা ও সমাজকল্যাণ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালে প্রথম বার বিধায়ক হন বিশ্বনাথ। ২০১১ সালে তৃণমূলের শঙ্কর চক্রবর্তীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি বালুরঘাটের একটি হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ছিলেন। গত কয়েকমাস আগে বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী মারা যান। তারপর গত কয়েকদিন আগে তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অসুস্থ থাকার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: ১৬ হাজার ফিট উচ্চতায় মোবাইল পরিষেবা, সেনাকে বিজয় দিবসের উপহার কেন্দ্রের

    শোকের ছায়া জেলার রাজনৈতিক মহলে

    এই বিষয়ে বামফ্রন্টের নেতা তথা বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর দত্ত বলেন, বিশ্বনাথদার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি আমাদের দলের এক অন্যতম মুখ ছিলেন। এই জেলার প্রতি তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কলকাতা থেকে বালুরঘাটে তাঁর নিজের বাড়িতে মরদেহ আনার ব্যাবস্থা চলছে। এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, বিশ্বনাথবাবু একজন বর্ষীয়ান নেতা, তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, রাজনৈতিক মহলে এক বড় নক্ষত্রের পতন হল। তিনি অন্য দলের হলেও তিনি তো আমাদের বালুরঘাট শহরের বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন।

    বালুরঘাটবাসী কী বললেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের (Balurghat) বাসিন্দারা বলেন, বিশ্বনাথবাবু আমাদের বালুরঘাটের এক অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বালুরঘাটের প্রতি তাঁর অবদানের কথা আমরা কোনওদিন ভুলব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র, পুলিশকে মামলা খারিজের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) অবশেষে ‘স্বস্তি’ পেলেন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানায় দায়ের করা একটি পুরনো মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ, দায়ের করা এই মামালকে খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপি অবশ্য একাধিকবার দাবি করেছে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক-বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে।

    মামলা দায়ের হয়েছিল ২০২৩ সালে (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার অন্তর্গত মানিক বাজার এলাকায় এক বিক্ষোভ আন্দোলেন ভাষণ দিয়েছিলেন সৌমিত্র (Soumitra Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, এই সভা থেকে থানার সেই সময়ের ওসির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। এরপর এই বিষ্ণুপুর সাংসদের বিরুদ্ধে হিংসা ছাড়ানো, মারধর এবং শ্লীতাহানির অভিযোগে এফএইআর দায়ের করেছিল থানার পুলিশ। সৌমিত্র যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি তাই তাঁর মামলা এতদিন শুনানি চলছিল বিধাননগর সাংসদ-বিধায়ক আদালতে। এই মামলায় একাধিকবার হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। গত ৯ জুলাই ছিল হাজিরার নির্দেশ। কিন্তু হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল পুলিশ। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃস্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    আগেও মামলা দায়ের হয়েছিল

    এই প্রসঙ্গে বলা যায় ২০১৯ সালে বাঁকুড়ার পাত্রসায়র এবং বিষ্ণুপুর থানায় সৌমিত্রের বিরুদ্ধে আগেও মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আবার আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় পুলিশ বেআইনি অস্ত্র মামলা এবং বালি পাচার মামলা রুজু হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই মামলার কারণে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে যেতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি পেয়ছিলেন। তবে সৌমিত্র পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই ভাবে শাসক দল তৃণমূলকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    Siliguri: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় অভিযোগ হতেই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির (Siliguri) খড়িবাড়ি এলাকায়। শুক্রবার সকালে খড়িবাড়ির চক্করমারি শ্মশানঘাট এলাকায় অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জগদীশ রায় (৬৫)। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বিশিষ্ট লোকশিল্পী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

     ঠিক কী হয়েছিল? (Siliguri)

    জানা গিয়েছে, এলাকার নবম শ্রেনির এক ছাত্রীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে ওই ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার বেশ কিছু পরিবর্তন ও জটিলতা দেখা দেওয়ায় অভিভাবকরা তাকে চেপে ধরতেই ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন। তারপর ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা খড়িবাড়ি থানায় (Siliguri) অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূল নেতার নাম দিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। মূলত, ওই তৃণমূল নেতা লোকশিল্পী ছিলেন। সেই সূত্র ধরে ওই ছাত্রীকে তিনি গান শেখাতেন। সেখানেই ওই ছাত্রীকে চাকরির টোপ দিয়ে তিনি ধর্ষণ করেন। পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার  সকালে অভিযুক্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস, দেশের ইতিহাসে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই দিন

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছে?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাস চারেক আগে ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা এই অপকর্ম করেন। এতদিন পর জানাজানি হতেই অভিযোগ থানা (Siliguri) পর্যন্ত গড়ায়। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না ভেবেই ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিজেপির এলাকায় উন্নয়ন বন্ধ করেছে তৃণমূল! দিনভর আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    Bankura: বিজেপির এলাকায় উন্নয়ন বন্ধ করেছে তৃণমূল! দিনভর আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা বিধানসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি। ওন্দার মেদিনীপুর পঞ্চায়েত এলাকাতেও একাধিক বুথে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করেছে গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, ভালো ফল করার জন্য বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের এলাকায় উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যরা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য? (Bankura)

    এদিন অবস্থান বিক্ষোভে মেদিনীপুর পঞ্চায়েতের ৬ জন, ওন্দা (Bankura) পঞ্চায়েত সমিতির ২ জন যোগ দেন। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের দলের যে সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য আছেন, সেখানে উন্নয়নমূলক কাজের কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামের রাস্তাঘাটের সমস্যা, পানীয় জলের সমস্যা সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে কোনওরকম কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এমনকী পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের জন্য যে সমস্ত আলোচনা সভা ডাকা হচ্ছে, সেখানেও আমাদের ডাকা হচ্ছে না। তাই, এলাকার মানুষের স্বার্থে আমরা বাধ্য হয়ে এদিন আন্দোলনে নেমেছি। এরপরও পঞ্চায়েতের টনক না নড়লে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ওন্দার (Bankura) বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলেন, তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করছে। আমরা এটা মেনে নেব না। আমাদের দাবি পূরণ না হলে মেদিনীপুর পঞ্চায়েত চাবি দিয়ে বন্ধ করে দেব। তৃণমূলের ওন্দা ব্লকের সভাপতি উত্তম বিট বলেন, কাউকে কোনও বঞ্চনা করা হয়নি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। সব এলাকায় একসঙ্গে কাজ দেওয়া সম্ভব নয়। আসলে যে এলাকায় কাজ দেওয়ার দরকার সেখানে কাজ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বিজেপি (BJP) সদস্যদের এলাকায় কাজ দেওয়া হবে। আসলে এসব করে ওরা নাটক করছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    Nabanna: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তবে নামেই! হয় তাঁর কোনও ক্ষমতা নেই, নয়তো ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফুটো বোজাতে গিয়ে সময় দিতে পারছেন না রাজ্য চালানোয়। এই (Project Management) দুই সম্ভাবনারই ছাপ স্পষ্ট নবান্নের তরফে জারি করা সরকারি এক (Nabanna) নির্দেশনামায়।

    নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন (Nabanna)

    রাজ্য প্রশাসনের প্রধান হলেন মুখ্যসচিব এবং ডিজি। তাঁরা রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সদ্য জারি করা সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব দফতরের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নজরদারি ও পরিচালনা করবেন পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন। মুখ্যসচিবের কাজ কেন পঞ্চায়েত সচিব করবেন, ইতিমধ্যেই উঠেছে সে প্রশ্ন। আধিকারিকদের একাংশেরও প্রশ্ন, তবে কি পঞ্চায়েত সচিবের ওপর কিছুটা হলেও নির্ভর করে থাকতে হবে বাকি দফতরগুলির সচিব এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের? কাজের গুণমান ঠিক না হলে দায় পড়বে কার ঘাড়ে?

    প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট

    সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের (Nabanna) মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। তাতে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (PMU) গঠন করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকার নির্যাস, কেবল দফতরগুলিই নয়, চাহিদা মতো পিএমইউ-কে তথ্য পাঠাতে ও সহযোগিতা করতে কার্যত বাধ্য থাকবে সব জেলা প্রশাসনও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত সচিব পি উলাগানাথনই পিএমইউ-কে নেতৃত্ব দেবেন। সেই শাখার বাকি আধিকারিকদের নিয়োগ করবে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোতেও রাজনীতি শাসকের! সজলের পুজোকে চিঠি পুলিশের

    নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জরুরি প্রকল্পগুলি সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক রূপায়ণ করতে গেলে বিভিন্ন দফতর, জেলা প্রশাসন, প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। তাই প্রত্যেক দফতর, জেলা প্রশাসন ও সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নির্বাচিত প্রকল্পগুলির গতি, সমস্যা ইত্যাদি সবই দেখভাল করবে পিএমইউ। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করবে তারাই। প্রকল্পগুলির অবস্থা ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে সরকারকে রিপোর্টও দেবে পিএমইউ।

    রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশের মতে, মুখ্যমন্ত্রী চলছেন ভাইপো তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনে। তার জেরে রাজ্যে হয়ে গিয়েছে অতিমুখ্যসচিব। যাঁর মাধ্যমে নবান্নে আদতে কায়েম হচ্ছে ‘ভাইপোরাজ’। তাই দিন দিন (Project Management) মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পড়ছেন ঠুঁটো। ব-কলমে রাজ্য চালাচ্ছেন ভাইপোই (Nabanna)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জোড়া খুনে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতার! পুলিশে আস্থা হারিয়ে সিবিআই চাইছে পরিবার

    South 24 Parganas: জোড়া খুনে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতার! পুলিশে আস্থা হারিয়ে সিবিআই চাইছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদের জেরে দুই বোনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঢোলাহাট থানার গুরুদাসপুরে। তিন মাস আগের সেই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা গৌরহরি মাল সহ কয়েকজনের। মৃতের পরিবারের লোকজন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে বাদ দিয়ে লোকদেখানো দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দুজনেই আবার মৃতের আত্মীয়। পুলিশ তদন্তে অসহযোগিতা করছে অভিযোগ তুলে সরব হলেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

    সিবিআই তদন্তের দাবি! (South 24 Parganas)

    মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢোলাহাট থানার (South 24 Parganas) গুরুদাসপুরে মৃত দুই বোনের নামে জমি রয়েছে। সেই সম্পত্তি জোর করে দখল করে রেখেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌরহরি মাল। সেই জায়গা তিনি ছাড়তে চাইছেন না। গত মে মাসে খুনের ঘটনার দুদিন আগে তৃণমূল নেতা গৌড়হরি মাল জোরপূর্বক তাঁদের জায়গার একটি গাছ কেটে নেয়। আর তা নিয়ে ওই দুই বোনের সঙ্গে বচসা হয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল নেতা ওই দুই বোনকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। এই খুনের পিছনে ওই তৃণমূল নেতার বড় হাত রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেনি। মৃতের এক আত্মীয় প্রসেন মণ্ডল বলেন, তৃণমূল নেতার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই, পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই। প্রকৃত অভিযুক্ত (Trinamool Congress) এখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই, খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের জন্য আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা গৌরহরি মাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। যে জমি নিয়ে বিবাদের কথা বলা হচ্ছে, মৃত দুই বোনের বাবা বেঁচে থাকতে আমি এই জায়গা কিনেছি। কাগজে সমস্ত কিছু লেখা আছে, তবে রেজিস্ট্রি করা হয়নি। দীর্ঘ বহু বছর ধরে আমি তা দখলে রেখেছি। তাই, ওই জমি আমার নামে লিখে দেওয়া উচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: রাস্তা খারাপ নিয়ে প্রশ্ন করতেই লাঠি-রড দিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার

    Bankura: রাস্তা খারাপ নিয়ে প্রশ্ন করতেই লাঠি-রড দিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পথশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। ঘটা করে এই প্রকল্প চালু করা হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না তা বাঁকুড়ার (Bankura) খাতড়া থানার মাইলি গ্রামের হতশ্রী রাস্তার অবস্থা দেখলেই বোঝা যাবে। অল্প বৃষ্টিতেই গ্রামের ওই রাস্তার অবস্থা বেহাল। রাস্তায় জমে রয়েছে কাদা। রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করতে বাসিন্দাদের চরম নাকাল হতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে রাস্তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত। রাস্তার হাল এত খারাপ কেন? স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে এমন প্রশ্ন করায় বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    লাঠি-রড দিয়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম পিন্টু সিংহ মহাপাত্র। বেহাল রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীরা (Bankura) ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রাজকুমার সিংহ মহাপাত্র এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। তাই, কেউ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বলার সাহস দেখাননি। বিজেপি কর্মী সাহস করে বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে নালিশ জানিয়েছিলেন। আর তাতেই চটে যান ওই পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগ, প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হলেও পরে ওই পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর দুই ভাই পিন্টুর ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করেন। লাঠি ও রড দিয়ে পিন্টুকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই বিজেপি কর্মী। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।

    আরও পড়ুন: গীতার গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন বিবেকানন্দ, সেই শিকাগোতে হল ১০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, অন্যায় করলেও তৃণমূলকে (Trinamool Congress) কিছু বলা যাবে না। পঞ্চায়েত সদস্যকে রাস্তা সংস্কার করে দেওয়ার জন্য যে কেউ বলতে পারেন। এলাকার বাসিন্দা হিসেবে ওই বিজেপি কর্মী নালিশ জানিয়েছিলেন। তারজন্য এই হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূল (Trinamool Congress) অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে বিষয়টিকে পারিবারিক ঝামেলা বলে দাবি করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েত সচিবকে গলা টিপে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েত সচিবকে গলা টিপে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূল পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের দাদাগিরি। এবারে সরকারি আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রশ্ন উঠছে, একজন শাসকদলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হয়ে যদি এইভাবে সরকারি কর্মীর ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করতে পারেন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    গত ২০ জুলাই পঞ্চায়েতের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে কিছু প্রস্তাবনা নিয়ে উপ-প্রধানের (Trinamool Congress) সঙ্গে পঞ্চায়েতের (South 24 Parganas) সচিব ভিক্টর মিশ্রের বিবাদ বাধে। এরপরই পঞ্চায়েত সচিবকে উপ প্রধান গলা টিপে ধরে বেধড়ক মারধর করে। হামলার সেই সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে, সেই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভিডিওটিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে চণ্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাবির মোল্লা দলবল নিয়ে এসে ওই পঞ্চায়েত সচিব ভিক্টর মিশ্রর ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। পরবর্তীতে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সাবির মোল্লার বিরুদ্ধে ঢোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, ওই আধিকারিক নিজেই মুচলেকা দিয়ে অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের চাপেই কি মুচলেকা দিয়ে সমস্ত কিছু তুলতে হল সরকারি আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: চাকরি ছেড়ে ব্যবসা, এখন ১১০০ কোটি ডলারের মালিক এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিডিও (South 24 Parganas) সৌরভ গুপ্তা বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে অবশ্যই নিন্দনীয়। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের ওই সরকারি কর্মী একটি মুচলেকা দিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, যাতে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের (Trinamool Congress) কুলপি ব্লকের (South 24 Parganas) সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয় হালদার বলেন, মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র ঠেলাঠেলি হয়েছে। আর সেখানে হাত চলাটা স্বাভাবিক। উপপ্রধানকে ১৫ দিন অঞ্চলে আসতে না বলা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে জেলার বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের সম্পাদক স্বপন হালদার বলেন, এটা শুধু কুলপিতে নয়, গোটা রাজ্যে আইনের শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আজ সেখানে পঞ্চায়েতের কর্মী মার খেয়েছেন, কালকে বিডিও মার খেতে পারেন। এটা নিয়ে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তোলা, বিপাকে পড়ুয়ারা

    South 24 Parganas: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তোলা, বিপাকে পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহ, সোনারপুরের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। স্কুলের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বিল্ডারকে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, পড়ুয়াদের সাইকেল রাখার জায়গায় কেন বালি-স্টোনচিপ, সিমেন্ট রাখা হচ্ছে?

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    জানা গিয়েছে,পাথরপ্রতিমা (South 24 Parganas) ব্লকের দক্ষিণ কাশিনগর হাইস্কুলে প্রায় হাজারের ওপরে ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সাইকেল রাখার জায়গা না পেয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তার ধারে সাইকেল রেখে ক্লাস করে। এই নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বিভিন্ন গাড়িচালক থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু, সেই স্কুলের জায়গায় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন কুমার মান্না নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখল করে ভাড়া দিয়েছেন এক ব্যবসায়ীকে। স্কুলের জায়গায় রাখা হচ্ছে, বালি, ইট, স্টোন। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সরকারি জায়গা, সমস্ত স্তরেই চলে শাসক দলের দাদাগিরি। একদিকে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল মুক্ত করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তখনই শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষমতা দেখিয়ে স্কুলের জায়গা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূলের (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্কুল কমিটির সদস্য স্বপন কুমার মান্নাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    প্রধান শিক্ষক কী বললেন?

     এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক (South 24 Parganas) সুশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, আমার অজান্তেই এসব কাজ হচ্ছে, টাকা নেওয়ার কথা আমি জানি না। তবে, এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, শাসক দল শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতেই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। টাকার বিনিময়ে স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কোন দিন দেখা যাবে ওই জায়গা বিক্রিও করে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পাঁচ বছর ধরে পড়ে পড়েই নষ্ট ৪০ লক্ষের লঞ্চ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    North 24 Parganas: পাঁচ বছর ধরে পড়ে পড়েই নষ্ট ৪০ লক্ষের লঞ্চ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের পারাপারে সুরক্ষা দিতেই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল লঞ্চ। কিন্তু, যাত্রী পরিষেবায় তা ব্যবহার করা হয়নি। গত পাঁচ বছর ধরেই সেই লঞ্চ পড়ে পড়ে নষ্ট হতে বসেছে। সরকারি অর্থের এমন ‘অপচয়’ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারকে তুলোধনা করেছেন। তৃণমূল সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও।

    ৪০ লক্ষ টাকা জলে! (North 24 Parganas)

    হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের (North 24 Parganas) নেবুখালি ও দুলদুলি জেটিঘাটের মধ্যে যাত্রী পারাপারের জন্য লঞ্চ পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নৌকো করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার বন্ধ করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই মতো ২০১৯ সালের শেষ দিকে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে একটি লঞ্চ পাঠানো হয় হিঙ্গলগঞ্জে। কিন্তু, পাঁচ বছর হতে চলল এক দিনও ওই লঞ্চ যাত্রী পারাপারের কাজে লাগানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে হিঙ্গলগঞ্জ বিডিও অফিসের পাশের খালে রাখা রয়েছে লঞ্চটি। সেখানে পড়ে থেকে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে লঞ্চটি। লঞ্চের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গিয়েছে। নদীতে জোয়ার হলে অর্ধেকের বেশি অংশ জলে ডুবে থাকে। ভাঙাচোরা লঞ্চের ভিতরে পলি জমে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ভাবে ৪০ লক্ষ টাকা জলে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। এই লঞ্চ যখন কাজে লাগল না, তখন অন্য এলাকার জন্য বরাদ্দ করে দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে আর ৪০ লক্ষ টাকা জলে যেত না।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    লঞ্চ যখন আনা হয়, সে সময়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ সভাপতি ছিলেন সুদীপ মণ্ডল। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, “দুলদুলির দিকে ভাসমান জেটিঘাট থাকলেও নেবুখালির দিকে ভাসমান জেটিঘাট আজও হয়নি। এই লঞ্চ ভাসমান জেটিঘাট ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। তাই রক্ষণাবেক্ষণ করাও সম্ভব হয়নি।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা গোবিন্দ অধিকারী বলেন, “তৃণমূল (Trinamool Congress) দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও ব্যক্তিস্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না। লঞ্চ হলে নেবুখালি-দুলদুলির মধ্যে নদী পারাপার অনেক বেশি আরামপ্রদ ও নিরাপদ হত। কিন্তু এই সরকার সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের কথা ভাবে না। সরকারি সম্পত্তি যারা নষ্ট করল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share