Tag: tmc

tmc

  • Panchayat Election 2023: শান্তিপুরের বুথে গণনায় বৈধ ভোট মাত্র ১! তাতেই বাজিমাত বিজেপির

    Panchayat Election 2023: শান্তিপুরের বুথে গণনায় বৈধ ভোট মাত্র ১! তাতেই বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজব কাণ্ড! গোটা বুথে মোট ভোট পড়ল মাত্র একটি। আর সেই একটি ভোট গণনাতেই (Panchayat Election 2023) জয়লাভ করল বিজেপি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে গোটা বুথে ভোটের সংখ্যা এক হতে পারে। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগাচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। উল্লেখ্য, গত ৮ তারিখে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলেছিল সুস্থভাবে। নিয়ম অনুযায়ী ব্যালট বাক্স সিল করে পাঠানো হয়েছিল স্টোররুমে। ১১ তারিখ ভোট গণনা শুরু হতেই ঘটল বিরল ঘটনা। ব্যালট বক্সে ভোট জমা পড়লেও ছিল না প্রিসাইডিং অফিসারের সই। সেই কারণে ভোটগুলি বাতিল করে দিতে বাধ্য হন বিডিও। যদিও একটি মাত্র বৈধ পোস্টাল ভোট পড়ায় এক ভোটে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী।

    বিশদে ঘটনা (Panchayat Election 2023)

    শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুবপুর ৩০ নম্বর বুথ। জানা যায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী প্রতিকা বর্মন তাঁর জা তৃণমূল প্রার্থী রত্না বর্মনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে (Panchayat Election 2023) কেউ কাউকে এক ফোঁটাও জায়গা ছাড়েননি। এর পরে গত ৮ই জুলাই ওই ৩০ নম্বর বুথে সকাল থেকেই সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রক্রিয়া চলছিল। পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের ব্যালট পেপারে প্রিসাইসাইডিং অফিসারের সই থাকলেও গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যালট পেপারে কোনও সই ছিল না। ভোট গণনা শুরু হতেই তা নজরে পড়ে ভোট কর্মীদের। খবর পৌঁছায় বিডিওর কাছে। আইন মোতাবেক প্রশাসন বাধ্য হয়ে ওই ভোটগুলি বাতিল বলে ঘোষণা করে। ওই এলাকায় একটিমাত্র পোস্টাল ব্যালট ভোট পড়েছিল এবং সেটা ছিল বৈধ ভোট। বিডিও, জয়েন্ট বিডিও এরপর ওই বৈধ পোস্টাল ভোটকে প্রাধান্য দিয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রতিকা বর্মনকে জয়ী ঘোষণা করেন। বিজেপির এই জয়ের খবর শুনতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জা তৃণমূল প্রার্থী রত্না বর্মন। সঙ্গে সঙ্গে বিডিওর কাছে একটি অভিযোগ জমা দেন।

    কী বলছেন তৃণমূল এবং বিজেপি প্রার্থী (Panchayat Election 2023)?

    তৃণমূল প্রার্থী রত্না বর্মনের অভিযোগ, চক্রান্ত করে প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের কাগজে সই করেনি। যেখানে ৭৯০ টি ভোট জমা পড়ল। অথচ সই না থাকার কারণে সব ভোট বাতিল করা হলেও একটি মাত্র পোস্টাল ভোটে বিজেপিকে জয়লাভ করানো হল। আমরা পুনঃনির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দাবি করছি। আর এই ঘটনার পিছনে সম্পূর্ণ দায়ী প্রিসাইডিং অফিসার। কারণ সঠিকভাবে ভোট গণনা যদি হত, তৃণমূল এখানে বিপুল ভোটে জয়লাভ করত। অন্যদিকে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি প্রার্থীর স্বামী বিশ্বজিৎ বর্মনের দাবি, সঠিকভাবে ভোট গণনা হলে এখানে বিজেপিই বিপুল ভোটে জয়লাভ করত। কারণ এই ৩০ নম্বর বুথে বিজেপির প্রভাব যথেষ্ট বেশি। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই ধরনের বিরল ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: নদিয়ায় ফের বিজেপি ও সিপিএমে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    Panchayat Election 2023: নদিয়ায় ফের বিজেপি ও সিপিএমে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে সাতদিন হয়ে গেল। কিন্তু ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা থেমে নেই। একের পর এক জায়গায় উদ্ধার হচ্ছে বৈধ ব্যালট। আর অধিকাংশতে ছাপ মারা বিজেপিতে! এবার ফের নদিয়া। নদীর ধার থেকে বিজেপি এবং সিপিএমে ছাপ দেওয়া বৈধ ব্যালট পেপার (Panchayat Election 2023) উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাথাভাঙ্গা নদী এলাকার ঘটনা। গোটা রাজ্য জুড়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। একদিন আগেই নদিয়ার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক এলাকার বিজেপির সিলমোহর লাগানো ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছিল। এবার রাত কাটতেই আবারও বিজেপি এবং সিপিএমের ব্যালট পেপার উদ্ধার হাওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল ছড়ায়।

    কীভাবে উদ্ধার হল ব্যালট (Panchayat Election 2023)?

    জানা যায়, প্রথমে ওই এলাকার এক বাসিন্দা ব্যালট পেপারগুলি দেখতে পান। খবর জানাজানি হতেই এলাকার লোকজন সেখানে ভিড় জমান। ওই ব্যালটগুলিতে দেখা যায় অধিকাংশ বিজেপির পক্ষে ছাপ দেওয়া রয়েছে। পাশাপাশি কিছু ব্যালট পেপারে সিপিএমের ছাপ রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসে বিজেপি নেতৃত্ব। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে ব্যালট পেপারগুলি (Panchayat Election 2023) উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী অভিযোগ বিজেপির (Panchayat Election 2023)?

    এ বিষয়ে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক বিজেপি কনভেনার পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের যে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে, সেই সাতটিতেই বিজেপির জয়লাভ (Panchayat Election 2023) করার কথা ছিল। পাশাপাশি এবারে মানুষের যা সমর্থন ছিল তাতে পঞ্চায়েত সমিতিও আমাদের দখলে থাকার কথা ছিল। কিন্তু এই বৈধ ব্যালট নদীর ধার থেকে উদ্ধারের ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে এসেছে, বিডিও সামনে থেকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে। আমরা চাই অবিলম্বে পুনরায় নির্বাচন হোক। অন্যদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপির সদ্য নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী লক্ষ্মী হালদার বলেন, অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে ইলেকশন কমিশনকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: মালদায় সিল করা ব্যালট বাক্স উদ্ধার! গণনা ছাড়া কীভাবে জয়ী তৃণমূল? প্রশ্ন বিজেপির

    Panchayat Vote: মালদায় সিল করা ব্যালট বাক্স উদ্ধার! গণনা ছাড়া কীভাবে জয়ী তৃণমূল? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) গণনা হয়েছে ১১ জুলাই। অথচ তার এক সপ্তাহ বাদে উদ্ধার হল সিল করা ব্যালট বাক্স। ভোটের পরে বাক্সগুলি খোলাই হয়নি। অথচ দেখা যাচ্ছে সেখানে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার গাজোলে। দুদিন আগেই মালদায় ৩ হাজার ব্যালট রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপরে মঙ্গলবার সামনে এল এমন ঘটনা।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, গাজোল ব্লকের স্ট্রং রুম ও গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল স্থানীয় এইচ এন এম হাইস্কুলে। এতদিন বন্ধ থাকার পর এদিন স্কুল খুলতে গেলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। স্কুলের কর্মচারীরা দেখতে পান, একটি বন্ধ ঘরে প্লাস্টিক মোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে তিনটি সিল করা ব্যালট বাক্স। ওই ব্যালট বাক্সগুলি গাজলের ২০৭ নম্বর বুথের বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনা সামনে আসার পরই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে উদ্ধার করে ব্যালট বাক্সগুলি (Panchayat Vote)।

    বিক্ষোভে বিজেপি

    এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গাজোলের বিজেপি বিধায়ক সহ কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। গোটা ঘটনায় (Panchayat Vote) শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে গাজোলের বিডিও ও পুলিশের প্রত্যক্ষ আঁতাতের অভিযোগ তোলেন তিনি। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে গাজোলের পথে নামেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সরাসরি এই ঘটনায় বিডিও ও প্রশাসনকে দায়ী করে এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘এই ঘটনায় প্রমাণ হল বিডিও ও প্রশাসনের কতটা গাফিলতি রয়েছে। সব জেনে শুনেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এই ঘটনায় হাইকোর্টে যাব।’’

    কী বলছে শাসক দল?

    বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গাজলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা বিজয়ী জেলা পরিষদ সদস্য (Panchayat Vote) দীনেশ টুডু জানান, পায়ের তলায় জমি না থাকাতেই তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! হাওড়ায় জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা

    Panchayat Vote: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! হাওড়ায় জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস চলছে এখনও। ১১ জুলাই মঙ্গলবার ভোট গণনার দিন থেকে বাড়ি ছাড়া হাওড়ার পাঁচলার জালালসি গ্রামের প্রায় আড়াইশো জন বাম ও বিজেপি কর্মী। খোলা আকাশের নিচে বাগানে প্রায় অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঘরছাড়াদের অভিযোগ, তাঁরা ভোটে বিরোধী দলের এজেন্ট হয়েছিলেন। তাই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে। প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় এবং ঘরবাড়িও ভাঙচুর করে। প্রাণভয়ে এখন তাঁরা বাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    গত ১১ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) গণনার দিনে পাঁচলার নয়াচক যদুনাথ ইনস্টিটিউশনে কাউন্টিং শুরু হবার আগেই বিরোধী  এজেন্টদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। বাধ্য হয়ে তাঁরা গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর ওইদিন দুপুর বেলায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ নাসিমের নেতৃত্বে তাঁদের বাড়িতে কার্যত তাণ্ডব চালায়। লাঠি সোটা, রড দিয়ে বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র ভেঙ্গে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি একটি কারখানার তিনটি অত্যাধুনিক এমব্রয়ডারি মেশিন ভেঙে ফেলা হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা। এরপরই ঘরছাড়া হয়ে যায় এলাকার বাসিন্দারা। এখন গোটা গ্রাম কার্যত পুরুষ শূন্য অবস্থায় আছে। বাড়িতে হাতে-গোনা মহিলারা আছেন। বাড়ির পুরুষেরা পাশের গ্রামের বাগানে আশ্রয় নিয়েছেন। সারাদিন তাঁরা বাগানে কাটানোর পর রাতে ঘুমোনোর জন্য আত্মীয়দের বাড়িতে যান। স্বাভাবিক কাজকর্ম সমস্ত বন্ধ। বাড়ির মেয়েরা টিফিন বাক্স করে সামান্য খাবার ছেলেদের জন্য বাগানে দিয়ে যাচ্ছেন। 

    কী বলছেন ঘরছাড়ারা?

    ঘরছাড়াদের  অভিযোগ, পুলিশ অথবা র‍্যাফ মাঝে মাঝে টহল দিলেও তাদের  নিরাপত্তার জন্য কোনও কিছু করেনি। উল্টে তৃণমূল কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখনো হুমকি দিচ্ছে। এক বিরোধী কর্মী বলেন, ‘‘ভোটের (Panchayat Vote) দিন থেকেই অত্যাচার শুরু হয়। গণনার দিন আমাদের মেরে কাউন্টিং হল থেকে বের করে দেয়। লাগাতার প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল।’’

    কী বলছে তৃণমূল?  

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। যার বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা শেখ নাসিম বলেন, ‘‘বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছে। তারা নিজের ইচ্ছাতেই বাগানে রয়েছেন। তাদের কেউ মারধর করেনি। বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ার কারণে তারা মিথ্যে অভিযোগ করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    Malda: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) দলীয় কর্মী বুরান মুর্মুকে খুনের প্রতিবাদে বিজেপির বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি আইসিকে ঝাঁটা দেখিয়ে প্রতিবাদ জানান মহিলা বিজেপি কর্মীরা। মারমুখী পুলিশকে কার্যত তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় উত্তপ্ত মালদা।

    থানা ঘেরাও কেন (Malda)?

    দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয় থানার (Malda) সামনে। পুলিশ বিক্ষোভে যোগদান করা আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। উল্লেখ্য, খুনের অভিযোগ উঠেছে মৃত বিজেপি কর্মীর ছেলের বিরুদ্ধে। ছেলে বিপ্লব মুর্মু এবং বৌমা শর্মিলা মুর্মুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আজ তাদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়। এই খুনের ঘটনায় আর যেসব তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যুক্ত রয়েছে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে বলে পুলিশের কাছে দাবি জানানো হয়।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    সাংসদ খগেন মুর্মু (Malda) বলেন, মৃত বুরন মুর্মু অনেক দিনের পুরাতন বিজেপি কর্মী। ছেলের বৌ তৃণমূলে দাঁড়ালেও নিজে দায়িত্ব নিয়ে আদিবাসী সমাজের মন জয় করে বিজেপি প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেন। এই নির্বাচন এবং জয়ের পিছনে বুরন মুর্মুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদিবাসী সমাজের কোনও ভোট তাঁর ছেলের বৌ তৃণমূলের জন্য পায়নি। তৃণমূল জয়ী হতে পারেনি বলে বুরনবাবুকে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।

    আইসিকে ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদ

    বিজেপির কর্মী-সর্মথকরা পুলিশ (Malda) ফাঁড়িতে চড়াও হয়ে খুনিদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানায় আইসির কাছে। ঝাঁটা উঁচিয়ে মহিলা বিজেপি কর্মীরা তেড়ে যান আইসির দিকে। বিজেপির অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় শাসকদলের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে বিজেপি কর্মীর বাবাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের ব্যবহারে মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে।আর সেই কারণেই এভাবে থানায় চড়াও হয়েছে তারা, দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    কেন খুন করা হয়েছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বৌমা। কিন্তু বাবা নিজে বিজেপি সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন বৌমা হেরেছে! সেই জন্য যাবতীয় আক্রোশের শিকার হন বিজেপি সমর্থক বাবা। মূলত খুনের কারণ এটাই ছিল। বাবাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিজের ছেলের বিরুদ্ধেই। মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকের মদনাবতীর কয়নাদিঘি গ্রামে। মৃতের নাম বুরন মুর্মু, অভিযুক্ত ছেলে বিপ্লব মুর্মু। বিপ্লব মুর্মুর স্ত্রী এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিল। আক্রোশের বশেই নিজের বাবাকে খুন করে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ছেলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি, তৃণমূল যুব নেতার অডিও ঘিরে শোরগোল

    Dakshin Dinajpur: ঘর পেতে ৫০ হাজার টাকা দাবি, তৃণমূল যুব নেতার অডিও ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় ঘর পেতে তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগের অডিও ক্লিপ ফাঁস। সোশ্যাল মিডিয়ায় অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটের রাজনৈতিক মহলে। অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম। বিজেপির শহর মণ্ডল সোমবার বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) মহকুমা শাসককে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দিয়েছে বলে জানা গেছে।

    কে সেই তৃণমূল যুব নেতা (Dakshin Dinajpur)?

    টাকা চাওয়ার অভিযোগ যে তৃণমূল যুবনেতার বিরুদ্ধে, সেই কল্লোল সরকার হলেন বালুরঘাট যুব তৃণমূল টাউন কমিটির সদস্য। সেই সঙ্গে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল সরকারের পুত্রও তিনি। কল্লোল সরকারের সাথে তাঁদের দলের এক কর্মীর কথাবার্তার অডিও শোনা যায়। এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৩ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে পঞ্চাশ হাজার, পরে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা দিতেই হবে বলে দাবি করতে শোনা গেছে অডিওতে। এই তৃণমূল নেতার যুক্তি, মিউনিসিপ্যালিটিতে দুজন আছেন, যাঁরা এই টাকার ভাগ নেবেন। আর বাকি টাকা দিতে হবে জেলা ট্রেজারি দফতরে। কারণ টাকাটা ওখান থেকেই অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়। অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকার ভাগ বাঁটোয়ারা কেমন হবে, সেটাও বলতে শোনা গেছে অভিযুক্ত কল্লোল সরকারের কণ্ঠে। আর এই নিয়েই বিজেপি অভিযোগ দায়ের করেছে বালুরঘাট মহকুমা শাসকের কাছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বালুঘাট (Dakshin Dinajpur)  শহর মণ্ডল প্রাক্তন সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে কল্লোল সরকারের ৫০০০০ টাকা চাওয়ার একটি অডিও ক্লিপ পাওয়া গিয়েছে। তাতে শোনা গিয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়ে ৩০ হাজার টাকার রফা হয়েছে। অডিও ক্লিপেই পরিষ্কার, কাটমানি ছাড়া গরিব মানুষের কোনও কাজ করে না তৃণমূল।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিমল সরকার বলেন, আমার দুর্নাম ছড়াতেই চক্রান্ত করে এই অডিও ক্লিপ করা হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। বালুরঘাট টাউন তৃণমূল কমিটির সভাপতি মহেশ পারেখ বলেন, অডিও ক্লিপ পরীক্ষা করে সত্যতা পাওয়া গেলে দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই যুব তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মহকুমা (Dakshin Dinajpur) শাসক সুমন দাসগুপ্ত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে প্রশাসনিক স্তরে এবং দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলকে শিখণ্ডী করে হকারে হকারে ছেয়ে যাচ্ছে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন চত্বর!

    Howrah: তৃণমূলকে শিখণ্ডী করে হকারে হকারে ছেয়ে যাচ্ছে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন চত্বর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, ততই বেড়ে চলেছে হকারের সংখ্যা। এর ফলে ক্রমশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে যাওয়ার প্রধান রাস্তা। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাস স্ট্যান্ড থেকে হকারের দৌরাত্ম্য কমাতে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেই অভিযানের সময় কয়েক দিন হকার বসা বন্ধ হয়ে গেলেও তারপর দু-চার দিন যেতে না যেতেই ফের জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে হাজির হয় হকাররা। ফলে সাধারণ রেলযাত্রীদের কাছে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড এবং স্টেশনে ঢোকার সাবওয়ে রীতিমতো যন্ত্রণার যাত্রাপথ হয়ে উঠেছে। হাওড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বর এবং সাবওয়ের ভিতরে রাস্তা দখল করে সারি সারি বাজার এবং হকার বসছে বছরের পর বছর ধরে। কখনও দু-একজন যাত্রীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এই হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কিন্তু কখনই পাকাপাকিভাবে হকার সরে না এই জায়গা থেকে।

    পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা, বলছেন হকাররা (Howrah) 

    হাওড়া স্টেশনে ঢোকার পথে হকার ঠেলে ঢোকা এক রকম অভ্যাস হয়ে গেছে যাত্রীদের। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে স্টেশন (Howrah) সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে যেসব জায়গায় হকার বসত, তার বাইরেও যেটুকু ফাঁকা অংশ আছে, সেখানেও নতুন নতুন হকারের আমদানি ঘটছে। হকারদের দাবি, তারা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই এখানে ব্যবসা করে। আবার পুলিশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের মদতে হকারদের পুরোপুরি তোলা যায় না। একটা সময় সিপিআইএম নেতা লগনদেও সিংয়ের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড, গঙ্গার ধার, মাছ বাজার এলাকায়। এখন তিনি তৃণমূলে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড চত্বরে তৈরি হয়ে গেছে বেশ কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। হাওড়া বাসস্ট্যান্ডে শরৎচন্দ্রের মূর্তির সামনে বড় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। হকারদের একাংশ জানিয়েছে, রাজনৈতিক দাদাদের সন্তুষ্ট করে তারা এখানে হকারি করে এবং সামনে পার্টি অফিস থাকায় তাদের উচ্ছেদের ভয় করতে হয় না। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযান চালালেও তারা দুদিন পরে আবার বসে পড়ে।

    কী বলছেন রেলযাত্রীরা (Howrah)?

    রেলযাত্রী তুহিন মজুমদার বলেন, অফিস যাওয়ার পথে এবং অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা চলতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। ইদানীং দেখা যাচ্ছে কলকাতা থেকে হাওড়াগামী বাসগুলি হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে যাত্রী নামানোর পর সেই যাত্রী গঙ্গার ঘাটের দিকে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে মূলত হাওড়া স্টেশনে ঢোকেন। কিন্তু স্টেশনে যাওয়ার রাস্তার মাঝখানেই বেশ কিছু ডিম, পাউরুটি, ফল এবং চায়ের দোকান বসে পড়েছে। ফলে সেইসব হকার ঠেলে তাদের হাওড়া (Howrah) স্টেশনে ঢুকতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। আরেক যাত্রী গার্গী সাহা জানান, অফিস টাইমে তো পা গলানোর জায়গা পাওয়া যায় না। রাস্তার দু’ধারে হকার বসায় সাধারণ মানুষ অফিস ফেরার সময় সেখান থেকেই কেনাকাটা করে। ফলে ট্রেনের সময় হয়ে গেলেও তাঁরা দ্রুত হাওড়া স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন না ক্রেতাদের ঠেলায়। তাই সরকারের উচিত অন্তত স্টেশনে ঢোকার রাস্তায় যাতে হকার না বসে, সেদিকে খেয়াল রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। হাওড়া সিটি পুলিশের দুটি বুথ রয়েছে হাওড়া স্টেশনের সামনে এবং ট্যাক্সিস্ট্যান্ড সংলগ্ন অনুসন্ধান কেন্দ্রের সামনে। কিন্তু তারা মূলত  ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকার ফলে হকারদের দিকে তাদের নজর নেই বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

    কী বলছে পুলিশ ও পুরসভা (Howrah)?

    যদিও পুলিশ জানিয়েছে, তারা মাঝে মধ্যেই হকার উচ্ছেদ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই হকাররা ফের বসে পড়ে। হাওড়া পুরসভার বক্তব্য, হাওড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বর মূলত কেএমডিএ-র আওতাধীন। ফলে সেখানে পুরসভা সরাসরি কিছু করতে পারে না। এদিকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনের বাইরের নিরাপত্তা দেখা বা যাত্রী নিয়ন্ত্রণ যেহেতু হাওড়া সিটি পুলিশের আওতায়, তাই রেল পুলিশও সেখানে কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ফলে সমস্যার কোনও সমাধান তো হয় না, উল্টে সমস্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ব্যালট বাক্সে জল ঢালার পরও গণনা কীভাবে হল! প্রশাসনকে প্রশ্ন বিজেপির

    Purba Bardhaman: ব্যালট বাক্সে জল ঢালার পরও গণনা কীভাবে হল! প্রশাসনকে প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাটোয়ার (Purba Bardhaman) মণ্ডলহাটের রাজমহিষী স্কুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে সরব হয়েছিল বিজেপি। শুধু তাই নয়, ব্যাপক ছাপ্পা এবং রিগিং আটকাতে প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ না হলে অবশেষে ভোট বন্ধ করতে ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থীরা জল ঢেলে দিয়েছিল ব্যালট বক্সে। গণনার সময় সেই জল ঢালা বাক্স থেকে ব্যালট গণনা করে প্রশাসন। তাই বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, জল ঢালা ব্যালট বাক্স থেকে কী করে গণনা হল! কাটোয়া ১ নম্বর ব্লক অফিসে বিডিওর কাছে এই অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন ১৩১ জন বিজেপি প্রার্থী।

    অভিযোগ কী (Purba Bardhaman)?

    ৮ই জুলাই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের দিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করে বিজেপি। অভিযোগ কাটোয়ার (Purba Bardhaman) রাজমহিষী স্কুলের বুথে নির্বাচনকে নিয়ে। তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে রাজমহিষী স্কুলের ১৫, ১৬, ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী ও এলাকার বিজেপি কর্মীরা একত্রিত হয়ে কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিলেন। সেখানে পরিষ্কার তাঁরা উল্লেখ করেছেন, তৃণমূল দুষ্কৃতীরা ব্যাপক রিগিং, সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোট করেছে নির্বাচনের দিনে। বুথের ভেতর ছাপ্পা চলায় ভোটের পর বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী জল ঢেলে দেন ব্যালট বাক্সে। বিজেপি প্রার্থীর জল ঢালার পর এলাকাবাসীরাও ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেন অন্য দুটি বুথে। বাক্সে জল ঢালার পর গণনা কীভাবে হয়েছে, এটাই প্রধান অভিযোগ।

    বিজেপির বক্তব্য

    জল ঢালার পর বাইরে থেকে অন্য ব্যালট এনে তাতে ছাপ মেরে, পুনরায় ব্যালট বক্সে ফেলে দিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। তাই বিডিওর (Purba Bardhaman) কাছে বিজেপি জানতে চেয়েছে, কী করে জল ঢালা ব্যালট বক্সের ভোট গণনা করা হল! উত্তর মেলেনি। পরে জল ঢালা ব্যালট বাক্স গণনার পর দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থীরা কোথাও ৬০০ ভোট, কোথাও ৪০০ ভোটে জয়লাভ করেছে। পুরোটাই শাসক দল কারচুপি করছে প্রশাসনের মদতে, এমনটাই অভিযোগ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের জেলা (Purba Bardhaman) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোটের পরে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ থাকলে তখন কোনও অভিযোগ জানায়নি। এরপর আরও তিনি বলেন, যদি ছাপ্পা ভোট হয়, তাহলে তো ওই এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারত না। কিন্তু ওই এলাকার মানুষও তো কোনও অভিযোগ করেনি। পাশাপাশি ওই তিনটি বুথে রাত আটটা পর্যন্ত ভোট হয়েছে। ফলে বিজেপির অভিযোগ সব মিথ্যা।

    অপর দিকে আজ ভারতীয় জনতা পার্টির মুর্শিদাবাদ দক্ষিণের উদ্যোগে পঞ্চায়েতে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে বহরমপুর থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। তৃণমূল আশ্রিত হার্মাদ বাহিনী, পুলিশ, বিডিও এবং ডিএমের অত্যাচার চলছে জেলায়। মানুষ তাঁর গণতন্ত্রের অধিকার প্রয়োগ করে যে সকল প্রার্থীদের জয় লাভ করিয়েছেন, সেই সব প্রার্থীদের যদি প্রশাসন এবং হার্মাদ বাহিনী পঞ্চায়েত গঠনে বাধা দেয়, তাহলে কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না, বললেন বহরমপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শাখারাভ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির প্রার্থী ফিরলেন দলেই

    Hooghly: জয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েও বিজেপির প্রার্থী ফিরলেন দলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ইটের জবাব বিজেপি দিল পাটকেলে। ঘটনা হুগলির (Hooghly) আরামবাগের গোঘাটের। নাটকীয় ভাবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে জয়ী বিজেপি প্রার্থী আবার নিজের ঘরেই ফিরে এসেছেন। এই নিয়ে জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য।

    কীভাবে ঘটল

    দুদিন আগে বিজেপির টিকিটে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে জয়ী হয়েছিলেন গোঘাটের (Hooghly) ভাদুর গ্রামে ২০৬ নম্বর বুথের সঞ্জয় সাঁতরা। তিনি প্রথমে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শামিল হয়েছিলেন। জয়লাভের দুদিন পরেই তাঁকে দেখা যায় ব্লক সভাপতির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিতে। তৃণমূলে যোগদান করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলে কর্মকাণ্ডের ঢালাও প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টা না কাটতে না কাটতেই ভোলবদল হল। সোমবার ফের বিজেপিতে ফিরলেন সঞ্জয়। বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের হাত ধরে আরামবাগে (Hooghly) যোগ দেন সঞ্জয় সাঁতরা। আর এই যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বোর্ড গঠনের আগেই চলছে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে টানাটানি। একজন প্রার্থী কখনও যোগ দিচ্ছে তৃণমূলে, আবার কখনও বিজেপিতে। আর তাঁকে ঘিরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। 

    বিজয়ী প্রার্থীর বক্তব্য

    জয়ী সঞ্জয় সাঁতরা পুনরায় বিজেপিতে যোগদান করে বলেন, তৃণমূল তাঁকে ভয় দেখিয়েছিল। সেই জন্য তিনি বিজেপিকে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী আমি, বিগত লোকসভা (Hooghly) নির্বাচন থেকে আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। আগামী দিনেও আমি বিজেপিতেই থাকব।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূল কোথাও ভয় দেখিয়ে আবার কোথাও টাকার লোভ দেখিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের (Hooghly) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তৃণমূল একটা বিজেপি প্রার্থীকে কেনার চেষ্টা করে, তাহলে বিজেপিও দশটা কেনার ক্ষমতা রাখে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে তৃণমূলের এই এলাকার ব্লক (Hooghly) সভাপতি ভয় দেখানোর অভিযোগকে অস্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা, যার যা ইচ্ছে সে করতে পারে। গোঘাটের ভাদুর পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৮ টি। তার মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় একাই ১৫ টি আসন তৃণমূল দখল নেওয়ার পরেও এই সঞ্জয় সাঁতরাকে ঘিরে চলছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    Alipurduar: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি শাসিত অসম রাজ্যেই অবশেষে আশ্রয় নিতে হল সদ্য বিজেপির টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধিদের। মূল অভিযোগ, শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকি-ধমকের জেরে তাঁরা গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে নয় জন, এবং সেই সঙ্গে আরও চারজন নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এসে শুক্রবার রাতে আশ্রয় নেন। ওই নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যাদের সঙ্গে শিশু-কিশোরও রয়েছে। এরপর তাঁরা সেখানেও নিরপদ নন বলে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। পীড়িত এই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা।

    কেন যেতে হল অসমে?

    গত শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Alipurduar) ঘরছাড়া ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের উপর নানা অত্যাচারের কথা শোনেন। দলীয় কার্যালয়েও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা। দলের জেলা নেতৃত্ব তাঁদেরকে নিরাপদ জায়গায় হিসেবে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর বিজেপি জেলা কার্যালয় থেকে শনিবার রাতেই তাঁদেরকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা (Alipurduar) মিডিয়া সেলের মুখপাত্র শংকর সিনহা বলেন, শাসকদলের অত্যাচারে নিজেদের বাড়িতেই বিজেপির নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যরা থাকতে পারছেন না। তাঁদেরকে শাসক দলের যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এছাড়াও নানা ধরনের হুমকি চলছেই। তাই ওই নব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের আমরা নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করেছি অসমে।

    কীভাবে ভোট হয়েছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)?

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ বিজেপির দখলেই যেতে চলেছে। তা সত্ত্বেও এখানে বিজেপি জেলা পরিষদে একটি আসনেও জয়ী হতে পারেননি। তবে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজেপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। জেলার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ওই সকল গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসক দলে টানতে নানা  ভাবে হুমকি, এমনকি প্রলোভনও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বাড়িতে থাকতে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করায়, সদ্য নির্বাচিত ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রথমে জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। এরপর জনপ্রতিনিধিদের নিরাপদ এবং সুরক্ষিত করতে প্রতিবেশী বিজেপি শাসিত অসমে পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share