Tag: tmc

tmc

  • Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    Panchayat Vote: ‘‘তৃণমূলকে ভোট না দিলে বঞ্চিত থাকবে এলাকাবাসী’’, হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Panchayat Vote) প্রচারে গিয়ে আবারও বিতর্কে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা উত্তরদিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। ‘‘আমার প্রার্থী না জিতলে আগামী পাঁচ বছর এই এলাকায় না হবে রাস্তা, না হবে লাইট, না হবে জলের ব্যবস্থা।’’ এমনই হুঁশিয়ারী দিতে শোনা গেল সত্যজিৎ বর্মনকে। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

    হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর… 

    নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে। ততই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। নিয়ম মতো বৃহস্পতিবারই ভোট প্রচারের শেষ দিন। আর এদিনই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের প্রচারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে স্যোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটিতে রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট না দিলে তিনি এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ আটকে দেবেন। এলাকার রাস্তা, জল, আলো সব বন্ধ করে দেবেন।

    স্ত্রীর হারের আশঙ্কায় কী এমন হুঁশিয়ারি? প্রশ্ন বিরোধীদের

    উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের স্ত্রী এবারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৬ নম্বর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। নিজের স্ত্রীকে জেতাতে কার্যত এলাকায় এলাকায় হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। দিন কয়েক আগেও সরকারি পাইলট ও লালবাতির গাড়ি  ব্যবহার করে এলাকায় এলাকায় প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সত্যজিৎ বর্মনের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ জানাতে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ সেদিন দিয়েছিলেন সত্যজিৎ বর্মন। 

    কী বলছে বিজেপি?

    ভোটারদের (Panchayat Vote) হুমকি এবং প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাইরাল ভিডিও ক্লিপ জমা করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন বাসুদেব সরকার। তিনি বলেন, ‘‘হেমতাবাদের এমএলএ বিদ্যুৎ চোর। এখনও মামলা চলছে তাঁর নামে। পুরো খানদানি চোরকে তৃণমূল শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী বানিয়েছে।’’

    কী বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    বিরোধীদের তোলা অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর প্রচারে হুমকি দেওয়া বক্তব্য ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সত্যজিৎ বাবুর দুটি সত্ত্বা রয়েছে। প্রশাসনিক সত্ত্বা নয় তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সেটি তার রাজনৈতিক সত্ত্বা। আর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন কথা বহু রাজনৈতিক নেতানেত্রী বলে থাকেন। বিরোধীরা গোটা বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল ছাড়লেন বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচার শেষ হতে না হতেই দলত্যাগ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্তের কথাই জানালেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ দল ছাড়ার হিড়িক দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সেই তালিকায় নব সংযোজন অতনু।

    আরও পড়ুন: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা ব্যানার্জি”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    কী বললেন অতনু?

    অতনু জানিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন ততদিন পর্যন্ত দলে সম্মান ছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু জেলে রয়েছেন তার পর থেকে দলের বাকি সদস্যদের আর সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এমনকি সম্মানও দেওয়া হয় না। তাছাড়া দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অতনু চট্টোপাধ্যায়। অতনুর আরও দাবি, তৃণমূলে যোগদান করার সময় তিনি জানিয়েছিলেন যে দলে থেকে তিনি কাজ করতে চান। অথচ দলের উচ্চ নেতৃত্ব আশ্বাস দিলেও সেই সুযোগ তিনি পাননি বলে বুধবার অভিযোগ করেন। রাজনৈতিক জীবন থেকে সরে আসার কোন ইচ্ছেই ছিল না। কিন্তু নেহাত বাধ্য হয়ে দল ছাড়তে হচ্ছে বলে জানান অতনু চট্টোপাধ্যায়। বুধবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়া কথা ঘোষণা করলেও গত ২৫ মে ২০২৩ তারিখে দল ছাড়ার কথা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলীয় কর্মসূচিগুলোতে গরহাজির থাকছিলেন অতনু।

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা?

    এবিষয়ে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল (TMC) দল এবার আসতে আসতে সবাই ত্যাগ করবে। যেভাবে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু চুরিতে নাম জড়াচ্ছে একের পর এক নেতার তাতে দলে আর কেউ থাকতে চাইছেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: নিশীথ প্রামাণিক চলে যেতেই বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিসে হামলা

    Bjp: নিশীথ প্রামাণিক চলে যেতেই বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিসে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার জেলার টাকাগাছ রাজারহাট অঞ্চলের  শুনশুনি বাজার এলাকায় এসেছিলেন ভোটের প্রচারে। সেখানে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৩/২১০ নম্বর বুথে পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গেছেন। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার ভোরে সেই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা তাদের (Bjp) দলীয় পতাকা জলে ফেলে দিয়েছে এবং অস্থায়ী পার্টি অফিসের কাপড় ছিড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ভোটের ঠিক মুখে এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

    কীভাবে আক্রমণ চালাল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতা (Bjp) আব্দুল কাদের এন্টনি বলেন, গতকাল দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক আমাদের এলাকায় পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করে যান। এরপর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অঙ্গুলি হেলনে দুষ্কৃতীরা গভীর রাতে আমাদের পার্টি অফিসে কাপড়গুলোকে ছিড়ে দেয়। সেই সাথে আমাদের পতাকাগুলো নিয়ে জলে ফেলে দেয়। তারা বুঝতে পেরেছে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই তারা এমন নোংরা রাজনীতি করছে। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এভাবে অত্যাচার করে বিরোধীদের দমিয়ে রাখা যাবে না। ভোটেই এর যোগ্য জবাব তারা পাবে।

    অন্যত্রও একই ধরনের হামলা (Bjp)

    অন্যদিকে ঢাংঢিংগুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মরা নদীকুঠিরের দেবিরহাট এলাকার ৩/১৩৯ এবং ১৪০ নম্বর বুথের বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিস তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করে এবং সেই সাথে দলীয় (Bjp) পতাকাগুলি নিয়ে তারা জলে ফেলে দেয়। স্থানীয় বিজেপির অঞ্চল কমিটির সদস্য অভিজিৎ দাস বলেন, পুরো এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে তাদের ফল ভালো হবে না। তাই তারা গতকাল গভীর রাতে ঢাংঢিংগুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মরা নদীকুঠির দেবিরহাট এলাকার ৩/১৩৯,১৪০ নম্বর বুথের বিজেপির অস্থায়ী পার্টি অফিস ভেঙে বিজেপির দলীয় পতাকা সব জলে ফেলে দেয়। বিজেপির বক্তব্য, ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই এই ধরনের হামলা এবং আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। আর সবই চলছে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে। ফলে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে ভাঙচুর, আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: নির্দল প্রার্থীদের বাড়িতে ভাঙচুর, আতঙ্কে ঘরছাড়া পরিবার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার একাধিক জায়গায় তৃণমূলেরই (TMC) বিক্ষুব্ধরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আর এই নির্দলরা এখন মন্তবড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, ভোটের দুদিন আগেই এলাকায় চলছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। ঘর ছাড়া নির্দল প্রার্থী সহ বেশ কয়েকটি পরিবার। এমনটাই অভিযোগ নির্দল প্রার্থী বিশু শেখের পরিবার। বুধবার রাতে নদিয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের চাঁদকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলীদের হামলায় ভাঙচুর করা হয় নির্দল প্রার্থীর বাড়ি। আতঙ্কে ঘরছাড়া নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীদের পরিবারের লোকজন?

    বান্টি খাতুন বিবি আগে তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাননি তিনি। তাই, তাঁর দেওর বিশু শেখ এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আর তারপর থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্দল প্রার্থী বিশু শেখের বউদি বান্টি খাতুন বিবি বলেন, আমার দেওর বিশু শেখ নির্দলে দাঁড়ানোর পর থেকেই তৃণমূলরা প্রতিনিয়ত আমাদের উপর ভয় দেখাচ্ছে। এদিন সকালেও তৃণমূলীরা গ্রামে ঢুকে একাধিক নির্দল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে লুটপাট চালাই তৃণমূলের কর্মীরা। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে গ্রামে ঢুকতে পারছি না। অনেক পরিবার ঘরছাড়া রয়েছে। এই ঘটনায় শান্তিপুর থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ করেছি।

    হবিবপুরেও নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর

    নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন নির্দল প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হবিবপুর পঞ্চায়েতের এলাকায়। এই প্রসঙ্গে নির্দল প্রার্থী গোপাল ঘোষের বাবা সুশান্ত ঘোষ বলেন, আমার ছেলে এই পঞ্চায়েতের দীর্ঘ কুড়ি বছরের তৃণমূল সদস্য ছিল। কিন্তু, এবার পঞ্চায়েত ভোটে দলের থেকে টিকিট না দেওয়ার কারণে সেই নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন ছেলে ছাড়াও কয়েকজনকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এমনকী আমাকেও তাঁরা মেরেছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে আমরা দল করি। আমি নিজে তৃণমূল পরিচালিত হবিবপুর পঞ্চায়েতের কুড়ি বছরের সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু, আমাকেও ওরা মারধর করতে ছাড়েনি। এই ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া গোটা পরিবার। বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে দিয়েই দিন কাটছে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের। খোঁজ নেই নির্দল প্রার্থীর। পরিবারের অভিযোগ তৃণমূল নির্দল প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতার দাবি করছেন নির্দল প্রার্থীর পরিবার।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, নির্দলদের কোথাও হামলা চালানো হয়নি। বরং,ওরা অশান্তি পাকাচ্ছে। শান্তিপুরে আমাদের কর্মীদের উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: গোপন করেছেন খুনের মামলা? তৃণমূল নেতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি

    Bjp: গোপন করেছেন খুনের মামলা? তৃণমূল নেতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে রাজ্যপাল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠাল বিজেপি (Bjp)। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের ৪ (চার) নং জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ সরকার। মৃণাল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করেননি তিনি। এই অভিযোগ তুলেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। যদিও ভোটের মাত্র দুদিন আগে এই অভিযোগের পরিণতি কী হবে, সে ব্যাপারে বিজেপি সন্দিহান। 

    বিজেপির (Bjp) অভিযোগ ঠিক কী?

    প্রদীপ সরকারের অভিযোগ, সাতটি ক্রিমিন্যাল কেসের আসামি মৃণাল সরকার কী করে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের নামে মনোনয়ন জমা করতে পারেন। ক্রিমিন্যাল কোনও কেসের আসামি হলে নির্বাচন কমিশনের  নিয়ম অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। বিজেপির (Bjp) অভিযোগ, মৃণাল সরকার তথ্য গোপন করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। ভোটের ঠিক দুই দিন আগে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে গঙ্গারামপুরে।

    কী জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জেডপি ৪ নম্বর আসনের প্রার্থী মৃণাল সরকারের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিজেপি (Bjp) আনছে, তা মিথ্যা। যে মামলা তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে, সে সবই তিনি উল্লেখ করেছেন। এগুলো সবই মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। অনেকগুলিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। যে অভিযোগ বিজেপি করছে তা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য। কারণ রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার ক্ষমতা বিজেপির নেই। সেই কারণেই পুরনো বিভিন্ন কেসকে হাতিয়ার করে তারা তাঁর বদনাম করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তলব করল আর এক তৃণমূল নেতাকে

    NIA: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তলব করল আর এক তৃণমূল নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এবার এনআইএ (NIA) তলব করল অপরেশ সাঁতরাকে। মানব পড়ুয়ার পর অপরেশ সাঁতরা। পটাশপুরের তৃণমূল নেতা তথা আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপ প্রধান অপরেশ সাঁতরাকে তলব করার ঘটনায় ভোটের মুখে ফের অস্বস্তিতে পড়ল শাসক দল। কারণ, এর আগে এই ঘটনায় ডেকে পাঠানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী মানব পড়ুয়া সহ ভগবানপুর বিধানসভা এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতাকে। নির্বাচনের ঠিক আগে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে এনআইএ ডাকার ফলে ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    তবে, সূত্রের খবর, ডাকলেও এখনই গ্রেফতার করা যাবে না অভিযুক্ত ব্যক্তিদের।  আগামী ১৫ ই জুলাই পর্যন্ত রয়েছে আদালতের রক্ষা কবচ। তবুও ভোটের আর মাত্র দুদিন আগে এই ঘটনা ঘটায় অস্বস্তি এড়াতে পারছে না শাসক দল। ব্যালট বাক্সে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সেটাই নেতৃত্বকে ভাবাচ্ছে।

    কী ঘটেছিল (NIA)?

    উল্লেখ্য, গত বছর ডিসেম্বর মাসের দু তারিখ রাতে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ ব্লকের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে। যে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন তৃণমূল কর্মীর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিদায়ী সদস্য তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের বর্তমান প্রার্থীকে নির্বাচনের তিন দিন আগে ডেকে পাঠানোর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল ভগবানপুরের রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, শুধু মানব পড়ুয়া নয়, আরও কয়েক জনকে ডেকেছে এনআইএ, যারা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বা কর্মী। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তৃণমূলের এই নেতাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।

    তৃণমূলের বক্তব্য (NIA)

    ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের এইভাবে ডাকার জন্য নিন্দা করেছিলেন ভগবানপুর দুই ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকাতে ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ ইতিমধ্যেই অস্বীকার করেছে বিজেপি। ভগবানপুর (Purba Medinipur) বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির বক্তব্য, আইন আইনের পথে চলছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তরা আজ না হয় কাল ধরা (NIA) পড়বেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”, বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

    TMC: “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”, বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বেসুরো মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। এবার নিজের দলের কর্মীদেরই চোর, ডাকাত, খুনির সঙ্গে তুলনা করলেন মগরাহাট পশ্চিমের এই বিধায়ক। শিরাকল অঞ্চলে দলীয় প্রার্থীদের (TMC) সমর্থনে এক সভায় উপস্থিত হয়ে এমনই সব বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ তৃণমূল। ভোট ঘোষণার পর থেকেই দলের মধ্যে বিবাদের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। বিধায়করা পর্যন্ত প্রকাশ্যে দল-বিরোধী মন্তব্য করছেন। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।

    ঠিক কী বললেন তিনি?

    দলের নেতাদের চোর-ডাকাতদের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”। একই সঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষীকান্তপুর এলাকায় এমন এক জনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে, যিনি তাঁর দুজন ছেলেকে খুন করেছেন। বিধায়কের (TMC) দাবি, “বাড়ি ভাঙচুর, পুকুর লুট করা ব্যক্তিদেরকেও টিকিট দিয়েছে দল”। আর এই ভাবেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন তাঁকে চিনিয়েছে, ঠিক তেমনি এই সকল কর্মীদেরকেও তিনিই রাজনীতির পথ দেখিয়েছেন। এখন তারাই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করে বাড়িঘর, জায়গ্‌ জমি কিনেছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, দলে নতুনদের জায়গা দিতে হবে, যারা নতুন দল করছে।

    অস্বস্তিতে শাসক দল (TMC)

    এর আগেও ভোটের টিকিট প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। এমনকী দলে তাঁর গুরুত্ব কমেছে বলেও জানিয়েছিলেন। ৫০ শতাংশ টিকিট দল তাঁকে দিয়েছে, এমনও দাবি করেছিলেন বিধায়ক (TMC)। আর এবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশকেই চোর, ডাকাত, খুনির সঙ্গে তুলনা করলেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিযংউদ্দিন মোল্লা। আর তাঁর এই বক্তব্যে নির্বাচনের আগে অনেকটাই অস্বস্তিতে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজের’ রোড শো-এর ঠেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাণ্ডুয়ায়

    Abhishek Banerjee: ‘যুবরাজের’ রোড শো-এর ঠেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাণ্ডুয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে পাণ্ডুয়াতে আসার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। কিন্তু তখন তা বাতিল হয়। এনিয়ে ক্ষোভ ছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এদিন তাই রোডশো করতে আসেন পাণ্ডুয়াতে। তবে তাঁর এই এক ঘন্টার রোড শো’র জেরে প্রায় ৫ ঘণ্টা জনজীবন বিপর্যস্ত হল পাণ্ডুয়াবাসীর। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় চপারে কালনা থেকে পাণ্ডুয়া ধানকল মাঠে আসেন তিনি। এরপর বিকেলে এই মেগা রোড শো শুরু হয় পাণ্ডুয়া কল বাজার থেকে কাকলি সিনেমা তলা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার। জিটি রোডের ওপর এই রোড শো’র জন্য কয়েক হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশ কর্মী দুপুর ১২ টা থেকেই ডিউটি ধরেন বিভিন্ন পজিশনে। এই কয়েক ঘণ্টায় পাণ্ডুয়ার বিভিন্ন এলাকাতে বিক্ষিপ্তভাবে লোডশেডিং হয়। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিকের কথা অনুযায়ী লাইনে কাজ হওয়ার দরুন বিদ্যুৎ পরিষেবা মাঝে মধ্যে বিঘ্নিত হয়। 

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের আমজাদ হোসেন বলেন, ‘‘অতীতে অনেক মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন পাণ্ডুয়াতে কিন্তু এরকম অবস্থা দেখেনি পাণ্ডুয়ার মানুষ। একজন সামান্য সাংসদের জন্য পুলিশ যা করেছে রাস্তা আটকে, দোকান বন্ধ করে এর জবাব ভোটবাক্সে পড়বে।’’ প্রসঙ্গত, নবজোয়ার কর্মসূচির সময়ও যে এলাকার ওপর দিয়ে তৃণমূল সাংসদের কনভয় গিয়েছে, সেখানেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল। একজন সাংসদের নিরাপত্তায় প্রশাসন যেন অতি সক্রিয়, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। 

    কী বলছে তৃণমূল?

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এদিন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শো’তে আশানুরূপ লোকও হয়নি। পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সাফাই দেন, ‘‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য লোক কম হয়েছে, তবুও যা হয়েছে তাকে জনজোয়ার আখ্যা দেওয়া যেতেই পারে।’’ এদিন এই রোড শো তে অভিষেকের গাড়িতে স্থানীয় বিধায়ক রত্না দে নাগ, সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, ধনেখালি ও চাপদানির বিধায়ক অসীমা পাত্র এবং অরিন্দম গুঁই এবং জেলার মন্ত্রী  স্নেহাশিস চক্রবর্তী হাজির  ছিলেন। যদিও কোনও স্থানীয় নেতা ওই গাড়িটিতে জায়গা পাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের দেওয়া উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের অফারও ছুড়ে ফেলেছি’’, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের দেওয়া উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের অফারও ছুড়ে ফেলেছি’’, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর উপ মুখ্যমন্ত্রী পদেরও অফার দিয়েছিল তৃণমূল। সেটাও ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি।” বক্তা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এগরার সভা থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায়, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কাছে পরাস্ত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    আরও কী বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী?

    বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-১ ব্লকের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে নির্বাচনী সভা ছিল বিজেপির। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারকে একাধিক দুর্নীতির ইস্যুতে তুলোধোনা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি বলেন, “পাঁচটা দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। শেষ পয়লা ডিসেম্বর ২০২০ সালে উপ মুখ্যমন্ত্রীর অফার দিয়েছিল। সেটাও ছুড়ে ফেলে দিয়ে চলে এসেছি। কারণ পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। রাষ্ট্রবাদকে বাঁচাতে হবে।”

    কর্মসংস্থানের প্রশ্নেও তৃণমূলকে আক্রমণ শানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের কর্মসংস্থানের করুণ চিত্রও এদিন তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে একটাও শিল্প নেই।’’ সিঙ্গুরের টাটা ন্যানো কারখানা গুজরাটে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গও এদিন টেনে আনেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কটাক্ষ, “এরাজ্যের নেত্রী বটে উনি, শিল্প বানান গুজরাটে।” 

    ভিন রাজ্যের পুলিশদের দেখে করজোড় শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নামালডিয়ায়তেও সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সেই সভা শেষে গাড়ির ওঠার সময় কয়েকজন ভিন রাজ্যের পুলিশকে দেখতে পান শুভেন্দু। আর সঙ্গে সঙ্গে হাত জোড় করে তাঁদের কাছে অনুরোধ করলেন। শুভেন্দু বললেন, ‘‘নিরপেক্ষভাবে ডিউটি করবেন।’’ শুভেন্দুর বক্তব্যের পর সেখানে ভিড়ের মধ্যে থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিও শোনা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২

    Panchayat Vote: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনা মঙ্গলবার রাত ১১ টার। বেলডাঙার সোমপাড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ঘোল্লা হাই মাদ্রাসা। এর কাছেই কোরাল পুকুরে ১৬৩ নং বুথের কংগ্রেস প্রার্থী হায়দার মল্লিকের বাড়ির ছাদে বোমা বাঁধার জন্য দুজনকে বাইরে থেকে ডাকা হয়েছিল। এদের নাম জামিরুল সেখ ও শেরফুল মোল্লা। এদের দুজনের বাড়ি সালার থানার সরমস্তপুর। বোমা বাঁধার সময় অসাবধানতা বশত তা ফেটে আহত হয় দুজনই। রাতে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকার লোকজন তাদের অবস্থা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শক্তিপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় ও পুলিশকে খবর দেয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ আহতদের মুখ থেকে সব শুনে ঘটনাস্থলে যায়। হায়দার মল্লিক ও তার ছেলে হাবিব মল্লিক, এঁদের দুজনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন অভিযুক্তের স্ত্রী?

    হায়দারের স্ত্রীর কথায়, তাঁর বাড়িতে কোনও বোমা ফাটেনি। তাঁর স্বামী কংগ্রেসের হয়ে ভোটে (Panchayat Vote) দাঁড়িয়েছে বলে শাসক দল পুলিশকে দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

    কী বলছে তৃণমূল?

    শাসক দলের ব্লক সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামাণিকের বক্তব্য, শাসক দলের এত দুর্দশা হয়নি যে বিরোধীদের ফাঁসিয়ে আমরা জিতব (Panchayat Vote)। এই ঘটনায় পুলিশ ইরফান সেখ নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শক্তিপুর থানার পুলিশ।

    ফের বোমা উদ্ধার 

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) মুখে ফের মুর্শিদাবাদের তিন জায়গায় বোমা উদ্ধার। বেলডাঙার কাজি শা এলাকায় মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ৩ ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোটের চার দিন আগে সাত সকালে হরিহরপাড়াতেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। কলাবাগান পাড়া এলাকায় পাটের জমির পাশে ঝোপের মধ্যে রাখা ছিল এক ব্যাগ ভর্তি বোতল বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোমার হদিশ পায়। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। খড়গ্রামেও উদ্ধার হয়েছে বোমা। সাদল অঞ্চলের শঙ্খপুর গ্রামে মাঠের ধারে বালতির মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল। কে বা কারা বোমা রেখে গেল, খতিয়ে দেখছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share