Tag: tmc

tmc

  • Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কি বীরভূমে ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল? নানুরের পার্টি অফিস থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই বিষয় নিয়ে ফের চর্চা হতে শুরু করেছে। এমনিতেই কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর জেলায় কাজল শেখ গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। লোকসভা ভোটের কয়েকমাস আগেই জেলাজুড়েই অনুব্রতের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। যদিও তৃণমূল নেত্রী কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রশংসা করায় লোকসভা নির্বাচনে কেষ্ট তিহার জেলে থাকলেও তাঁর ছবি নিয়ে দড়ি টানাটানি করেননি দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। বরং, জেলাজুড়ে (Birbhum) কেষ্টর ছবিতে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Anubrata Mondal)

    ২১ জুলাই পর ২৭ জুলাই নানুরে শহিদ দিবস পালন করা হয়। যেখান ২০১১ সালে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ নিজে এসেছেন। এমনকী তিহার যাওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডলও (Anubrata Mondal) তৃণমূলের এই শহিদ স্মরণ সভার প্রধান বক্তা হিসেবে গণ্য হতেন। তবে, ২০২৪ সালে দেখা গেল অন্য চিত্র। নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল কার্যলয় থেকে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কার্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের। কেন সরে গেল অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম সফরে মুখ্যমন্ত্রী এসে কেষ্টর প্রশংসা করেছিলেন। এতদিন তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছিল না। তবে, নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর আবারও তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের মুখপাত্র জামসেদ আলি খান বলেন,অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ছবি বা পোস্টার সরিয়ে নিলে গোটা বীরভূমের (Birbhum) মানুষের মন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া অসম্ভব। এখানে অনুব্রত মণ্ডলের বাইরে কিছু নেই। কিন্তু, পার্টি অফিস থেকে কেন সরিয়ে ফেলা হল তাঁর ছবি, তা দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    Balurghat: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে পাচ্ছেন না কোনও নাগরিক পরিষেবা। ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অভিযোগ জানাতে গেলেই কাউন্সিলর বলেন সুকান্ত মজুমদারকে বলেন। এমনই অভিযোগ বালুরঘাটের (Balurghat) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত কলোনির বাসিন্দাদের। পুরসভার পরিষেবা না পেয়ে অবশেষে এলাকার বাসিন্দারা দ্বারস্থ হলেন বালুরঘাট মহকুমা শাসকের। সোমবার মহকুমা শাসকের দফতরে এলাকায় পুর পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য ডেপুটেশন দেন এলাকাবাসী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত কলোনি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। রাস্তায় ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। রাস্তায় চলাচল করতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তার আলো বন্ধ থাকছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এ বিষয়ে পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জানানো হলে তিনি বলছেন, লোকসভা ভোটে সুকান্ত মজুমদারকে ভোট দিয়েছেন, তাঁকে গিয়েই অভিযোগ করুন। জানা গিয়েছে, গত লোকসভা ভোটে বালুরঘাট পুরসভায় ব্যাপক জয় পায় বিজেপি। শুধুমাত্র বালুরঘাট পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডে ২৫ হাজার ভোটে লিড পান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত  মজুমদার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ সেই কারণেই পরিষেবা বন্ধ রেখেছে বালুরঘাট পুরসভা।  যাতে ওয়ার্ডের কাজ হয় সেই জন্য আমরা মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানালাম।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ  দত্ত বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেতার পর বালুরঘাট পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের কাছে কোনও বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তৃণমূলের কাউন্সিলররা বলেন, সুকান্ত মজুমদারের কাছে যান। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। যদি পুরসভার চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলররা যদি তাঁদের কাজ না করতে পারেন তাহলে পদ ছেড়ে দিন আমরা চালিয়ে নিচ্ছি সব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকা কাউন্সিলর মুনমুন কর বলেন, এটা পুরোটা মিথ্যে অভিযোগ। বিজেপি আলোতে থাকার জন্য এই নোংরা কাজটা করছে। আমাদের পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ ঠিকঠাক হয়। আর আমাদের কোনও কাউন্সিলর এমন কথা বলেনি বলেই আমার বিশ্বাস। এটা বিজেপির (BJP) চক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পানিহাটিতে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট! প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, এলাকায় উত্তেজনা

    North 24 Parganas: পানিহাটিতে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট! প্রতিবাদে থানা ঘেরাও, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটিতে (North 24 Parganas) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক মারপিট, অফিস ভাঙচুর এবং প্রতিবাদে খড়দা থানা ঘেরাও-এর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর এবং যুব নেতার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই কোন্দলের চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামানো হয়েছে পুলিশ।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছে (North 24 Parganas)?

    তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পানিহাটি( North 24 Parganas) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড রেল পার্ক এলাকায়। অভিযোগ, রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী রানা বিশ্বাসকে মারধর করে আরেক তৃণমূল কর্মী পরিতোষের গোষ্ঠীর লোকজন। এরপর দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে খড়দা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর ভট্টাচার্যের দলবল। কিন্তু সোমবার সকালে, পাল্টা আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বুবাই মল্লিকের অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কার্যত অফিসে ঢুকে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করে জিনিসপত্র বাইরে বের করে দেয়। চেয়ার, টেবিল, কাচের দরজায় ভাঙচুর করে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা এবং কাউন্সিলর (North 24 Parganas) প্রবীর ভট্টাচার্য এই সংঘর্ষ সম্পর্কে বলেছেন, “তৃণমূল করি তাই আমাদের দায়িত্ব আছে। এলাকার মানুষ এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন যে তার ফলাফল স্বরূপ এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া এমনই হয়। এলাকায় দুষ্কৃতীদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। তবে তৃণমূল দল এই কাজের অনুমোদন দেয় না। প্রশাসনের কাছে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা চায়। বুবাই এবং পরিতোষ এলাকার গুন্ডা। তাঁদের কারণে কোনও মা-বোন সুরক্ষিত নয়। আমরা জেলা নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ বছরে দেড় কোটি টাকার চাকরি পেয়েও বাবা-মাকে ছেড়ে আমেরিকায় গেলেন না বাংলার যুবক

    তৃণমূল যুব নেতা বুবাই মল্লিকের বক্তব্য

    আবার যুব তৃণমূল (TMC) নেতা বুবাই মল্লিক বলেছেন, “দলের একাংশ আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। আমার অফিস খুলতেও বাধা দিচ্ছে। এলাকায় (North 24 Parganas) দীর্ঘ দিন ধরে আমাকে টার্গেট করছে দলেরই কিছু দুষ্কৃতী। তৃণমূল দল যাতে আমি না করি সেই জন্য আমাকে বার বার ভয় দেখানো হচ্ছিল। আমার অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতো হুমকির মধ্যে আমি রবিবার ২১ জুলাই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    South 24 Parganas: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায় বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তাপস মণ্ডল। বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর। তাঁর বাড়ি মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারি বাগান এলাকায়। পরিবারের  দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (South 24 Parganas) সামনে ওই বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁর বাড়ির লোককে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিজেপি কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ২০২৩ সালে দোলের দিনেও তাপসকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি (BJP) করে বলেই তৃণমূলের লোকজনরা তাকে মারধর করেছে। এই বিষয়ে থানায় তখন অভিযোগ করা হয়েছিল। তাতে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি। এবারও তৃণমূলের লোকজনই তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। ইতিমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহেশতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরাও তদন্ত শুরু করে মৃত্যুর সঠিক কারণের সন্ধানে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের বক্তব্য,  এর আগেও তৃণমূল ওর ওপর হামলা করেছিল। আমরা চাই, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পুলিশ দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হবে। ওই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  •  South 24 Parganas: নামখানায় ভগ্নদশা আইসিডিএস সেন্টারের, ত্রিপল খাটিয়ে চলছে ক্লাস!

     South 24 Parganas: নামখানায় ভগ্নদশা আইসিডিএস সেন্টারের, ত্রিপল খাটিয়ে চলছে ক্লাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমফানের পর থেকেই ভগ্নদশা আইসিডিএস সেন্টারের। প্রথমে স্থানীয় একটি মন্দিরে ক্লাস শুরু হলেও রান্নার অসুবিধার কারণে মাঠের একধারে ত্রিপল খাটিয়ে চলছে বাচ্চাদের ক্লাস। প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর হয়ে গেল, এই ভাবেই চলছে আইসিডিএস সেন্টার। পাশেই খোলা আকাশের নিচে চলছে মিড ডে মিলের রান্নার কাজ। এমনই ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানা এলাকার পশ্চিম আমানাবতী এলাকায়। এই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ৪০ জন পড়ুয়া ক্লাস করে ত্রিপলের নিচে (South 24 Parganas)!

    ১৩৬ নম্বর ঠাকুরচাঁদ (South 24 Parganas) আইসিডিএস সেন্টারের আনুমানিক ছাত্রের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। কিন্তু আমফানের সময় স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়িতে অস্থায়ীভাবে স্কুলটি চললেও বাড়িটি ভেঙে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় স্কুলটি। তারপর স্থানীয় মন্দিরেই শুরু হয় স্কুল। কিন্তু সেখানেও রান্নাবান্নার অসুবিধার কারণে এলাকার মানুষজন অগত্যা মাঠের একধারে নিজেদের উদ্যোগে ত্রিপল খাটিয়ে শুরু করে স্কুলটি। রাজ্যে গত প্রায় ১৩ বছরের মা মাটি সরকারের উন্নয়নের প্রভাব কেন পড়ল না এই গ্রামে, এই প্রশ্নই এখন এলাকাবাসীর মনে।

    নিয়মিত শিক্ষকরা আসেন না

    তবে বেশিরভাগ দিনেই স্কুলের শিক্ষকরা উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। বিষয়টি নিয়ে বারবার জানানো হয়েচে প্রশাসন (South 24 Parganas) থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও। কোনও লাভ হয়নি। অগত্যা মন্ত্রীর কাছে আবেদন করলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা পরিদর্শনও করলেও আশ্বাসই সার কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। দিনের পর দিন এই ভাবেই ঝড়, বৃষ্টি, গরমকে উপেক্ষা করে ত্রিপল খাটিয়েই চলছে খোলা আকাশের নিচে স্কুল।

    আইসিডিএস কর্মীর বক্তব্য

    তবে এই অসুবিধার কথা ওই আইসিডিএস সেন্টারের (South 24 Parganas) এক কর্মী রানী স্বীকার করেছেন। রান্নার গুণগত মান নিয়েও এলাকার মানুষেরা অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “রান্নার সামগ্রী যা আসে, তেমন ভাবেই রান্না হয়। প্রশাসনকে নজর দেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ পূর্ণিমায় কোটালের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র! ফের দুর্যোগের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা

    বিজেপি-তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে স্থানীয় (South 24 Parganas) বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে বারে বারে জানানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কিন্তু তাঁরা কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।” আবার নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি বলেছেন, “নির্দিষ্ট ওই আইসিডিএস সেন্টারটির জন্য একজন জায়গা দিচ্ছেন না, ফলে জায়গার অভাবে কিছু করা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সমাধান করার। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে আর কতদিন এইভাবে খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা করতে হবে ওই এই সমস্ত শিশুদের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly By-Election 2024: বিজেপি ৫২, তৃণমূল ৯৭১! উপ নির্বাচনে শাসকের ভোট লুটের অজস্র নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে

    Assembly By-Election 2024: বিজেপি ৫২, তৃণমূল ৯৭১! উপ নির্বাচনে শাসকের ভোট লুটের অজস্র নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনেও ফাঁকা বুথ (Empty Booth), কিন্তু এতো ভোট কারা দিলেন? এই ভূতুড়ে ভোটারদের ঘিরে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। রানাঘাট দক্ষিণের উপনির্বাচনের (Assembly By-Election 2024) চিত্রটাই ছিল ঠিক এমনই। জ্ঞানদাসুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল ১২৭ নম্বর বুথ। এই ভোটকেন্দ্রে সিপিএম পেয়েছে ৮ ভোট, বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৫২ ভোট। অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৯৭১ ভোট। বুথে মোট ভোটারদের ৯৩.৬৪ শতাংশ একক ভাবে পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এই প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ দেখেই উঠছে প্রশ্ন। আবার কুঞ্জবিহারী দাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুম নম্বর ২। সেখানে সিপিএম পেয়ছে ১১ এবং বিজেপি পেয়েছে ৬৪, তৃণমূলের ভোট ৫০৯। বুথে ভোট পড়ার পরিমাণ ৮৫.৯৮ শতাংশ। এই দুই বুথ থেকেই বোঝা যাচ্ছে কীভাবে ভোট হয়েছে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, এটাই হল তৃণমূলের ‘ডায়মন্ড হারবার মডলে।’

    মাণিকতলায় তৃণমূলের ভোট শতাংশ (Assembly By-Election 2024)

    নির্বাচন কমিশনের তথ্যের সূত্র দেখে জানা গিয়েছে, রাণাঘাট দক্ষিণের অন্তত ১৪টি ভোটকেন্দ্রে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট (Assembly By-Election 2024) ৮০ শতাংশ। আবার মাণিকতলায় গত লোকসভার ভোটে তৃণমূলের থেকে বিজেপি এগিয়ে ছিল প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ভোটে। ১৬ এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আবার উপনির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে থেকেই তৃণমূলের লিড ৩৫৭০ ভোটে। ৬৩ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে মাত্র ১০০ ভোট পেলেও, সিপিএম ২৮, কিন্তু তৃণমূলের সুপ্তি পাণ্ডে পেয়েছেন ৭১৬ ভোট। আবার ৭৫ নম্বর বুথে বিজেপি পেয়েছে ৬৭ ভোট, সিপিএম পেয়েছে ৯ ভোট আর তৃণমূল ৪৭৬ ভোট। একই কেন্দ্র ১৪৫, ১৪৬, ১৪৭, ১৪৮ নম্বর বুথে বিজেপি, সিপিএমের ভোট একই। কিন্তু তৃণমূলের ভোটের ক্রমটা ৩৪২, ৩৯২, ৩৬২, ৩৬৭, ৩৪৯। দেখেই যেন মনে হবে কেউ তৃণমূলের জন্য ভোটের নম্বর মনগড়া বসিয়েছেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের ভোট (Empty Booth) নিয়ে।

    বাগদা এবং রায়গঞ্জে ভোটের পরিমাণ

    আবার বাগদা কেন্দ্রের ২৩৩, ২৩৫, ২৪০, ২৭৮ নম্বর বুথে ভোট লুট (Assembly By-Election 2024) হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। ২৩৫ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর পেয়েছেন ৮৪৪ ভোট। ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস ৩০ এবং বিজেপির বিনয় বিশ্বাস ১০। একই ভাবে ২৩৩ নম্বর বুথে তৃণমূল ৬৭৮, ফরওয়ার্ড ব্লক ৪৭ এবং বিজেপি ৫৫। আবার ২৪০ নম্বর বুথে তৃণমূল ২৮১, ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ এবং বিজেপি ৩৪। তাই ভোট কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। রায়গঞ্জের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৯৩ হাজার ৪০২ ভোট, আর তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৬ হাজার ৬৬৩ ভোট। এক মাস পরে উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে গেল ৩৬ হাজার ৪০২ ভোট আর তৃণমূল পেয়েছে ৮৬ হাজার ৪৭৯ ভোট। এই ভোট গ্রহণ এবং ফলে বিরোধীরা শাসক দলের ষড়যন্ত্র মনে করছে।

    আরও পড়ুনঃ কেউ পাননি ভাতা কারও কপালে জোটেনি ডিম-ভাত! ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “রাণাঘাট দক্ষিণে ৭০ হাজার, বাগদায় ২০ হাজার এবং রায়গঞ্জে ৫০ হাজার ভোটারকে ভোট (Assembly By-Election 2024) দিতে দেয়নি তৃণমূল। মাণিকতলায় ৮টি ওয়ার্ডে লুট করেছে তৃণমূল। সেই সঙ্গে হিন্দুদের ভোট দিতে দেয়নি।” অপর দিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, “কাউকে কোথাও ভোটে বাধা দেওয়া হয়নি। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ২১ জুলাইয়ের পোস্টার সরানোয় পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি তৃণমূল নেতার! ভাইরাল ভিডিও

    Uttar Dinajpur: ২১ জুলাইয়ের পোস্টার সরানোয় পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি তৃণমূল নেতার! ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র আর একদিন বাকি, সরকারি পূর্ত দফতরের সামনে থেকে রাজনৈতিক পোস্টার সরিয়ে দেওয়ায় কার্যত তৃণমূল নেতার হুমকির মুখে পড়লেন এক অফিসার। ২১ জুলাইয়ের পোস্টার অফিসের গেট থেকে সরিয়ে দেন এক ইঞ্জিনিয়ার অফিসার। এরপর রীতিমতো ধমক এবং তোপের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। শুধু তাই নয় তাঁকে বাধ্য করা হয় ক্ষমা চাইতে। ইতিমধ্যে ভাইরাল (Viral video) হয়েছে সেই ভিডিও। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার কর্ণজোড়া এলাকায়।

    কীভাবে ঘটেছে ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই পূর্ত দফতরের (Uttar Dinajpur) ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে ঢুকে হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এক তৃণমূল নেতা, অধিকারিককে বলেন, “আপনি একজন সরকারি কর্মচারী। এই সাব ডিভিশেনের অফিসার! ব্যানারটাই ফেলে দিলেন? হাত জোড় করে ক্ষমা চান এবং ব্যানার লাগিয়ে দিন। যতক্ষুণ পর্যন্ত ব্যানার না লাগাবেন ততক্ষুণ পর্যন্ত আপানকে আমরা ছাড়ব না। এখানে অফিসের সমানেই বসে থাকব।” এরপর দেখা যায় আধিকারিক বলেছেন, “আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দিন।” ঠিক তারপরই পোস্টার অফিসের গেটের মধ্যে লাগিয়ে দেন।

    অফিসারের বক্তব্য

    পূর্ত দফতরের আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ার বাবুন হালদার এই বিষয়ে সাংবাদিকদের পরে বলেছেন, “এটা তো সরকারি অফিস, এখানে রাজনৈতিক পোস্টার লাগানো ঠিক না। তাই আমি খুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু এই ভাবে শাসক দলের কর্মীদের হুমকি অত্যন্ত অন্যায়। আমি উচ্চ আধিকারিকদের জানিয়েছি। দেখা যাক ন্যায় বিচার পাই কিনা।”

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এই বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা উত্তম কুমার সিনহা বলেছেন, “আমরা খবর পেয়েছি কে বা কারা আমাদের পোস্টার খুলে নিয়েছে। জানতে পেরেছিলাম ওই কাজ সরকারি আধিকারিক করেছেন। এরপর প্রশ্ন করি কেন করলেন? কিন্তু কোনও রাজনৈতিক পোস্টার ছিলনা। তিনি আমাদের প্রতি অন্যায় করেছেন। তাই পোস্টার লাগাতে বাধ্য হয়েছেন।”

    আরও পড়ুনঃ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে করেছেন বিয়েও! গ্রেফতার জয়ন্তের সাগরেদ রাহুল গুপ্তা

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেছেন, “রাজ্যে তৃণমূলের প্রকাশ্যে সন্ত্রাস চলছে। ওদের দাবি মতো কাজ না করলেই মুশকিল। চাহিদা না পূরণ করলে এমন করেই ভয় দেখিয়ে ভিডিও (Viral video) করে ভাইরাল করা হবে। সরকারি আধিকারিকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। অত্যন্ত অন্যায়, তীব্র ধিক্কার জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: নাগরিক পরিষেবা বন্ধ রাখা তৃণমূল কাউন্সিলরকে ‘শিক্ষা’! বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেললেন পুরবাসী

    Balurghat: নাগরিক পরিষেবা বন্ধ রাখা তৃণমূল কাউন্সিলরকে ‘শিক্ষা’! বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেললেন পুরবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০০০ ভোটে লিড পান বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। ফল ভালো হওয়ায় বালুরঘাট পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলার প্রলয় সরকার। এলাকার যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকত। তাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন এলাকার মানুষ। নাগরিক পরিষেবা ঠিক করার জন্য বারবার বলা হয়েছিল কাউন্সিলরকে। কিন্তু, কর্ণপাত করেননি তিনি। দিনের পর দিন ওয়ার্ডের জঞ্জাল পরিষ্কার না হওয়ায় শনিবার ওয়ার্ডের জঞ্জাল তুলে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে ফেললেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এই ঘটনায় শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Balurghat)

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, লোকসভা নির্বাচনে কে কাকে ভোট দিয়েছেন তা আমাদের জানা নেই। বালুরঘাট (Balurghat) কেন্দ্রে বিজেপির সুকান্ত মজুমদার জয়ী হওয়ার পর থেকে এই ধরনের আচরণ দেখা দিয়েছে। দিনের পর দিন কাউন্সিলরকে জঞ্জাল পরিষ্কারসহ পুর পরিষেবার কথা জানানো হলেও কোনও কাজ করেন নি। বাধ্য হয়ে আমরা এই কাজ করলাম। আগামীদিনে যদি কাউন্সিলর নোংরা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ না করেন তাহলে আমরা আবার কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে এভাবেই নোংরা ফেলে যাব।

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর প্রলয় সরকার বলেন, ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালনে জেলার সব নেতৃত্ব কলকাতায় থাকায় বিজেপি এই নোংরা খেলাটি খেলেছে। আমার ওয়ার্ড প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয়। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। সবই বিজেপির চক্রান্ত।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিজেপি ভালো ফল করেছে। বেশ কিছু ওয়ার্ডের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা (Trinamool Congress)। যেমন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গত এক মাস ধরে কোনও আবর্জনা পরিষ্কার করছেন না কাউন্সিলর। আমরা এই নিয়ে সোমবার প্রমাণসহ মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেব। এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান  ইনচার্জ মুনমুন কর বলেন, পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দিনে দুবার নোংরা পরিষ্কার করা হয়। পুরোটা মিথ্যে কথা। বিজেপি রাজনীতি করার জন্য এসব করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে না গেলে আইসিডিএস কর্মীদের জরিমানার ফতোয়া জারি তৃণমূল নেতার

    Murshidabad: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে না গেলে আইসিডিএস কর্মীদের জরিমানার ফতোয়া জারি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই সমাবেশে আইসিডিএস কর্মীদের যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল হুমায়ুন কবীর নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর সমাবেশে না গেলে দাবি মতো জরিমানা দিতে হবে। এমনই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার আমতলা এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    শহিদ সমাবেশের জন্য আইসিডিএস সেন্টার থেকে জোর করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল হুমায়ুন কবীর নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির সমস্যা। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিডিও এবং সিডিপিওর দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইসিডিএস কর্মী। অভিযোগ পত্রে ফরাক্কার (Murshidabad) আমতলার ৬০ নম্বর কেন্দ্রের অঙ্গনওয়ারি কর্মী মহাশ্বেতা ঘোষ অভিযোগ করেছেন, “আমতলার  তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রোজিনা খাতুনের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর বারবার আমাকে শহিদ সমাবেশে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সমাবেশে না যাওয়ার কথা বললে জরিমানা বাবদ ১৫০০ টাকা দাবি করেন।” পরে, তিনি আরও বলেন, “ফরাক্কা এলাকায় আরও একাধিক আইসিডিএস কর্মীর কাছে ওই তৃণমূল নেতা জরিমানা  করেছেন। কারও কাছে দুহাজার টাকা, কারও কাছে আবার আড়াই হাজার টাকা দাবি করেছেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে হুমকি এবং মারধরের চেষ্টা করেন ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। তাতেই কার্যত আতঙ্কিত হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে শহিদ সমাবেশের জন্য আইসিডিএস সেন্টার থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠলেও অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা ওই আইসিডিএস কর্মীর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে আইসিডিএস কর্মী সেন্টার ঠিক মতো চালান না। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ariadaha Incident: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে করেছেন বিয়েও! গ্রেফতার জয়ন্তের সাগরেদ রাহুল গুপ্তা

    Ariadaha Incident: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে করেছেন বিয়েও! গ্রেফতার জয়ন্তের সাগরেদ রাহুল গুপ্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে আড়িয়াদহকাণ্ডে (Ariadaha Incident) জয়ন্ত সিংহের সাগরেদ রাহুল গুপ্তা (Rahul Gupta) গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আলমবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। মা এবং ছেলেকে পেটানোর ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন এই রাহুল গুপ্তা। তিনি জয়ন্তের সঙ্গে একত্রিত হয়ে একটি বাচ্চা ছেলেকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়েছিলেন। এই বিষয় ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। অপর দিকে জয়ন্ত এবং তাঁর সাগরেদদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দক্ষিণেশ্বর-রথতলা অটো চালকদের একটা বড় অংশ। তাঁরা এলাকায় ব্যাপক ভাবে জুলুমবাজি চালাতেন। জয়ন্তের আরও এক ঘনিষ্ঠ রঞ্জিত চৌধুরীও অত্যাচার করতেন।

    মোট গ্রেফতার ৮ (Ariadaha Incident)

    এতদিন পুলিশের চোখে পলাতক ছিলেন রাহুল গুপ্তা (Rahul Gupta)। ইতিমধ্যে শুক্রবার লুকিয়ে বিয়েও করেছিলেন তিনি। সন্ধ্যে বেলায় আড়িয়াদহে (Ariadaha Incident) রিসেপশনও হয়। ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ফেরার ছিলেন। পরে তাঁকে বেলঘরিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জয়ন্তর ৭ জন সঙ্গীকে আগেই ফতার করেছে পুলিশ। এবার রাহুলের গ্রেফতারির পর মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮।

    আরও পড়ুনঃ বর্ষায় অজানা পোকার কামড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু! তীব্র আতঙ্ক রায়গঞ্জে

    অটো চালকদের বক্তব্য

    এক অটো চালক বলেছেন, “রঞ্জিত, এক কথায় জয়ন্তের ডান হাত। নিজের হাতে জয়ন্তের ট্যাটু করেছেন এই অনুগামী। একসঙ্গে সব জায়গায় অত্যাচার করত ওঁরা। আড়িয়াদহ (Ariadaha Incident) দোলপিঁড়ি এলাকায় জয়ন্তের চালু করা টোটো স্ট্যান্ডের চালকেরা অটোচালকদের উপর অত্যাচার করতেন। অটোয় যাত্রী তুলতে গেলে তাঁদের জবরদস্তি করে নামিয়ে দিতেন।” আরেক অটো চালক বলেছেন, “আমরা দক্ষিণেশ্বর-রথতলা রুটে গাড়ি চালাই। আদ্যাপীঠ-রথতলার যে অটো-টোটো স্ট্যান্ড রয়েছে, তার মাথায় রয়েছেন জয়ন্ত সিংহ। ওই স্ট্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হল জয়ন্তের সঙ্গী রাহুল গুপ্ত। রাহুল আমাদের উপর জোর করে তোলাবাজি করতেন। এই বছর দোলের দিন আমাদের কিছু আটো চালকদের মারধর করেন। একই ভাবে যখন তখন মারধরও চলত আমাদের উপর। আমরা এলাকায় আতঙ্কিত। আমরা রঞ্জিতের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করুক এটাই আমরা চাই।” তবে এই দিকে জয়ন্তের খবর আসার পর থেকেই রঞ্জিতকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছেনা। পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share