Tag: tmc

tmc

  • Panchayat Election: আদ্রায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, গুলিবিদ্ধ দেহরক্ষী, রাস্তা অবরোধ

    Panchayat Election: আদ্রায় তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, গুলিবিদ্ধ দেহরক্ষী, রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে ফের শুটআউট। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, নবগ্রামের পর এবার পুরুলিয়া। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  ঘটনাটি ঘটে আদ্রা থানার রামমন্দির সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে। নিহত তৃণমূল নেতার নাম ধনঞ্জয় চৌবে। তিনি আদ্রা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লাগে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হন তাঁর দেহরক্ষী শেখর দাস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে ধনঞ্জয় তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে  পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করছিলেন। আচমকা দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। তখন তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী শেখর দাস দুষ্কৃতীদের পালটা গুলি চালাতে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল নেতা ও তাঁর দেহরক্ষীকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম দেহরক্ষীকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছন। ছুটে যান তৃণমূল তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।

    শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা

    বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে আদ্রা শহর জুড়ে অঘোষিত বনধ পালিত হল। অধিকাংশ দোকানব এদিন বন্ধ ছিল। তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অবিলম্বে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, তিনি শহর তৃণমূলের সভাপতির পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) রঘুনাথপুর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘ম্যানেজ’ করে দিঘায় রাত কাটানোর প্রস্তাব গৃহবধূকে, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল

    TMC: ‘ম্যানেজ’ করে দিঘায় রাত কাটানোর প্রস্তাব গৃহবধূকে, তৃণমূল নেতার অডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক গৃহবধূকে দিঘায় বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান। সকাল থেকেই এই সংক্রান্ত কল রেকর্ডিং ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। বিরোধীদের নিশানায় শাসক শিবির। অডিও-র সত্যতা প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূলের সভাপতির।

    ঘটনা কী হয়েছে?

    সকাল থেকেই বিভিন্ন সামাজিক গণ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি অডিও রেকর্ড। ফোনের এক প্রান্তে রয়েছেন এক মহিলা, অপর প্রান্ত থেকে শোনা যাচ্ছে এক পুরুষ (TMC) কণ্ঠস্বর। দাবি করা হয়েছে, পুরুষ কন্ঠস্বরটি দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের গৌরা ১১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূলের উপ প্রধান সুশান্ত রায়ের।

    ফোনের অডিওতে কী কথা রয়েছে?

    অডিও কলে শোনা যাচ্ছে, ফোনের অপর প্রান্তে থাকা মহিলাকে দিঘায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন তৃণমূল নেতা সুশান্ত রায় (TMC)। ‘ম্যানেজ’ করে রাত কাটানোর প্রস্তাবও দিচ্ছেন তিনি। যদিও মহিলা কন্ঠের দাবি, তিনি মেয়ের সমতুল্য, তাই এই প্রস্তাব অত্যন্ত অসম্মানজনক। প্রায় ছয় মিনিটের কল রেকর্ড রীতিমতো ভাইরাল সামজিক গণমাধ্যমে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 

    বিজেপির বক্তব্য

    কল রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর রীতিমতো সুর চড়িয়েছে বিজেপিও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সম্পাদক প্রশান্ত বেরা বলেন, এভাবেই তৃণমূল (TMC) নেতারা গ্রামের মেয়েদের সাথে প্রতারণা করে। নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের সাথে এই ধরনের আচরণ করছে ওরা। সবেমাত্র একটা রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। একটু খুঁজলে এই ধরনের আরও অনেক কল রেকর্ড পাওয়া যাবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দলের নেতার নাম জড়ানোয় রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক শিবির তৃণমূল। জেলা (Paschim Medinipur) তৃণমূলের সভাপতি আশিষ হুদাইত (TMC) বলেন, এখনও পর্যন্ত এই অডিওর সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। তবে এই অডিওর সত্যতা প্রমাণ হলে কড়া পদক্ষেপ করবে দল। এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে দাসপুরের তৃণমূল নেতা সুশান্ত রায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও ভাবেই তা সম্ভব হয়নি। তবে আর যাই হোক, ভাইরাল হওয়া এই অডিও রীতিমতো মুখরোচক আলোচনায় পরিণত হয়েছে দাসপুরের অলিতে গলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: রানিগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে নির্দল হতেই আচমকা মনোনয়ন বাতিল! বিক্ষোভ

    Paschim Bardhaman: রানিগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে নির্দল হতেই আচমকা মনোনয়ন বাতিল! বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ শে জুন মনোনয়নের প্রত্যাহার পর্ব মিটে যাওয়ার পর ২১ তারিখ প্রতীক চিহ্ন নিতে গিয়ে অবাক প্রার্থী। দেখলেন, তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এরপর বিডিও অফিসের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখালেন চিন্তা কুমারী নামের ওই নির্দল প্রার্থী।

    কোথায় ঘটেছে?

    ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জ (Paschim Bardhaman) বিডিও অফিসে। নির্দল পদপ্রার্থী চিন্তা কুমারীর অভিযোগ, তিনি গতকাল পর্যন্ত তাঁর নমিনেশন জমা পড়েছে বলে তালিকায় নাম দেখে গেছেন। আজ প্রতীক চিহ্ন আনতে এলে তালিকায় তাঁর নাম নেই বলে জানতে পারেন। তিনি রানিগঞ্জের টিরাট পঞ্চায়েত থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। স্থানীয় এক যুবক বিট্টু বিশ্বকর্মা নিজেকে সমাজসেবী পরিচয় দিয়ে বলেন, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, আমরা বিডিও সাহেবের কাছে তা জানতে চাই। আর যদি সন্তোষজনক জবাব না পাই, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। পরে বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের দফতরে জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

    প্রার্থীর বক্তব্য

    নির্বাচনে প্রার্থী চিন্তাদেবী (Paschim Bardhaman) বলেন, আমি মূলত তৃণমূল দল করি। কিন্তু নির্বাচনে দল টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করি। বিডিও সাহেব আমাকে বলেন, আমি নাকি অফিসে এসে আমার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলাম। বিডিও সাহেব আরও বলেন, আমি নাকি বিশেষ কাগজে সই করে আমার নাম প্রত্যাহার করেছি! পাল্টা আমার স্বাক্ষর দেখতে চাইলে উনি আমায় কোনও কাগজ দেখাতে পারেননি বলে দাবি করেন চিন্তাদেবী। তিনি আরও বলেন, একজন তফশিলি সমাজের মহিলা প্রার্থী হিসাবে বিডিও আমার সঙ্গে অন্যায় করছেন। এই ঘটনা নির্বাচনের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করব। তিনি আরও বলেন, তাঁর প্রতি অন্যায় হয়েছে বলে বিডিও অফিসের সামনে সমর্থকদের নিয়ে বেশ কিছু সময় ধরে ধর্নায়ও বসেছিলেন। এরপর চিন্তাদেবীর সমর্থনে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা বিডিও অফিসের সামনে প্রতিবাদ মিছিল করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    Dakshin Dinajpur মন্ত্রীর খাসতালুকেই গোঁজের কাঁটা নিয়ে ভোটের ময়দানে শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই প্রার্থী দিয়েছে। ভোটের মুখে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুর ও তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায়ের ব্লক কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) শাসকদলের মধ্যেই বেলাগাম গোষ্ঠীকোন্দল সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের থেকে নিজেদের দলের গোঁজ প্রার্থীরাই ভয় ধরাচ্ছে শাসক শিবিরে।

    কুমারগঞ্জে (Dakshin Dinajpur) কারা গোঁজ প্রার্থী

    তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি কুমারগঞ্জ (Dakshin Dinajpur) ব্লকে। প্রার্থী ঘোষণার পর এই ব্লকেই তৃণমূলে বেলাগাম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। দলের টিকিট না পেয়ে কুমারগঞ্জে তিনটি, হিলিতে দুটি সহ কুশমণ্ডি, হরিরামপুর সর্বত্রই তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী ছিল। বালুরঘাট মহকুমায় অবশ্য গোঁজ প্রার্থী মফিজউদ্দিন মিয়াঁ, সুধীরচন্দ্র রায়, সুপর্ণা রায়, সৈফুল আলম মণ্ডল ও বিদ্যুৎ মালি নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। তবে কুমারগঞ্জের গোঁজ প্রার্থী ধেনা টুডুকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাতে পারেনি তৃণমূল। ওই আসনে ধেনা টুডুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী দলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাঁসদা। তাই গোঁজের কাঁটা নিয়েই সেখানে শাসকদলকে ভোটের ময়দানে নামতে হবে।

    দলের প্রতীক না পেয়ে কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর অঞ্চলে ১৭টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই নির্দল হিসাবে লড়াই করবেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। প্রধানের স্বামী বাবুন টিগ্গাও দাঁড়িয়েছেন নির্দল হয়ে। প্রধান অঞ্জলি টিগ্গা আবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। ওই অঞ্চলের উপ প্রধান জান্নাতুন বিবি মণ্ডল সহ পুরোনো তৃণমূলের সদস্যরাও এবার নির্দল প্রার্থী। অন্যদিকে, ভোঁওড় অঞ্চলের ১৪টি আসনের সাতটিতেও নির্দল প্রার্থী রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ছ’জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন। হরিরামপুর ও কুশমণ্ডিতে নির্দলের সংখ্যা অনেক।

    হরিরামপুরে কারা গোঁজ প্রার্থী

    মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের খাসতালুক হরিরামপুরে (Dakshin Dinajpur) এবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রায় ৭০ শতাংশ আসনে নির্দল কাঁটা রয়েছে তৃণমূলের। এই ব্লকের শিরশি, পুগুরি, গোকর্ণ, সৈয়দপুর সহ সর্বত্র তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এমনকী বেশ কয়েকটি আসনে তৃণমূলের চারজন প্রার্থী হয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরও দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি আসনে বিরোধীদের প্রার্থী না থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দলের নির্দল প্রার্থীদেরই লড়াই হতে চলেছে। কুশমণ্ডি ব্লকের উদয়পুর, মালিগাঁও সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও নির্দল কাঁটা ভাবাচ্ছে তৃণমূল শিবিরকে।

    জেলা তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের চেয়ারম্যান নিখিল সিংহরায় বলেন, “বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্যা রয়েছে। নির্দল প্রার্থীদের বুঝিয়ে তাঁদের দিয়ে লিফলেট বিলি করিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামানোর কথা চলছে।” এদিকে দলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের বক্তব্য, “যারা নির্দলের হয়ে লড়াই করছে, তাদের কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের প্রতীক দেখেই ভোট দেবে। তবে যেসব নির্দল প্রার্থীর জন্য দলের ক্ষতি হবে, তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। প্রয়োজনে দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: একই পরিবারে ৩ প্রার্থী, নেই রাজনৈতিক হিংসা! অন্য নজির পূর্ব মেদিনীপুরে

    Panchayat Election: একই পরিবারে ৩ প্রার্থী, নেই রাজনৈতিক হিংসা! অন্য নজির পূর্ব মেদিনীপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। প্রতিটি রাজনৈতিক দল রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ভোটপ্রচারে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের কোলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আশুরালী গ্রামে ভোটপ্রচার (Panchayat Election) একটু অন্য রকম। এই গ্রামে প্রার্থীদের মধ্যে নেই ভোট নিয়ে হিংসা, বিবাদ কিংবা প্রার্থীদের মধ্যে ভোটপ্রচার নিয়ে টক্কর। এই আসনটি ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় গ্রামের একটি পরিবারেরই তিনজন প্রার্থী নির্বাচনের ময়দানে নামতে বাধ্য হন। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিআইএম প্রার্থী নির্বাচিত হয় আশুরালী গ্রামের পাল পরিবার থেকেই। এক কথায়, পরিবারের কাকা ও দুই ভাইপো লড়ছেন আশুরালী গ্রাম থেকে। কাকা সন্ন্যাসী পাল লড়ছেন সিপিআইএম থেকে, ভাইপো শান্তনু পাল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এবং অপর ভাইপো উত্তম পাল লড়ছেন বিজেপি থেকে।

    তিনজনেরই রাজনীতিতে (Panchayat Election) হাতেখড়ি

    পেশায় তিনজনেরই ছোটখাট ব্যবসা। কাকা সন্ন্যাসী পালের দোকান রয়েছে কোলাঘাটে খড়িচক মোড়ে, তৃণমূল প্রার্থী (Panchayat Election) শান্তনু পালের ফুলের ব্যবসা এবং বিজেপি প্রার্থী উত্তম পালের বাড়ির সামনে ছোটখাট একটি দোকান। তিনজনই রাজনীতিতে সক্রিয় নন। বলা যেতে পারে, রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ভোট যেহেতু সামনে, তাই প্রাথমিক ভোটপ্রচার হিসেবে তিনপক্ষই দেওয়াল লিখন শুরু করেছে। গত নির্বাচনে এই বুথটি বামেদের দখলে ছিল। তাই এবারেও জেতার ব্যপারে আশাবাদী পরিবারের কাকু অর্থাৎ সিপিআইএম প্রার্থী সন্ন্যাসী পাল। পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী শান্তনু পালের দাবি, দিদির উন্নয়নের জোয়ারে জয় মিলবে তাঁর। অন্যদিকে অপর ভাইপো বিজেপি প্রার্থী উত্তম পালের দাবি, রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, বেকারত্বই তাঁদের জয় এনে দেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।

    সবাই চান শান্তিতে নির্বাচন (Panchayat Election) সম্পন্ন হোক

    তিন প্রার্থীই বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন ব্যবসার ফাঁকে। তবে তিন প্রার্থীই একই বাড়িতে বসবাস। নেই রাজনৈতিক বিদ্বেষ বা হিংসা। তিন প্রার্থীরই একটাই বক্তব্য, শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হোক পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। রাজনীতির ময়দানে যেই জিতুক, কোনওভাবেই হিংসার রেশ পরিবার বা গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতে না পড়ে, সেই আবেদনই করছেন তিন দলেরই প্রার্থী। তবে ভোটের পর ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে এলাকার মানুষ। কে শেষ হাসি হাসবে, তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! আব্দুল করিম চৌধুরী-কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩

    Uttar Dinajpur: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! আব্দুল করিম চৌধুরী-কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) নির্দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা হতেই করিম চৌধুরী গোষ্ঠীর নির্দল সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ছঘরিয়া এলাকায়।

    কী ঘটেছে?

    মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠী করিম ও কানাইয়া পন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় ৩ জন করিম চৌধুরীর সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁদের বর্তমানে ইসলামপুর (Uttar Dinajpur) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। আহতদের অভিযোগ, তাঁরা ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর সমর্থক। বুধবার রাতে হঠাৎই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের লোকেরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনায় সানজুর আলম, লাল মহঃ এবং নুর আলম নামে তিন জন করিম চৌধুরীর সমর্থক আহত হন। তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    করিম গোষ্ঠীর বক্তব্য

    আহত লাল মহঃ জানিয়েছেন, তাঁরা দু-তিন জন বসে গল্প করছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই করিম চৌধুরির (Uttar Dinajpur) সমর্থক। হঠাৎ আসারুল হক, সাকাওয়াতরা পেছন থেকে লাঠিসোটা নিয়ে মারধর শুরু করে কোনও কারণ ছাড়াই। আবার করিম গোষ্ঠীর নির্দল প্রার্থী লাল বানুর ছেলে মহঃ খইবুল আলম জানিয়েছেন, “তৃণমূলের প্রতীকে যারা দাঁড়িয়েছে। তাদের কোনও সংগঠন নেই। তাদের পায়ের নিচের জমি সরে যাচ্ছে। তাই তারা ভয় দেখানোর জন্য আমাদের লোকজনের ওপরে হামলা চালিয়েছে। ওরা ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন করিম গোষ্ঠীর খইবুল।

    করিম চৌধুরীর বক্তব্য

    উল্লেখ্য, বুধবার ইসলামপুরের (Uttar Dinajpur) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তাঁর সমর্থিত নির্দল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ টি আসনে, জেলা পরিষদের ২ টি আসনে, এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৪ টি আসনে তাঁর সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা লড়াই করছেন বলে জানান তিনি। পাশাপাশি নির্বাচনে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, গুলি চালনার ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তারপরই রাতের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন।

    কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য

    অপরদিকে তৃণমূলের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল টেলিফোনে জানিয়েছেন, করিম সাহেব নিজের মতো কাজ করুক। গোটা ঘটনা দলকে জানানো হয়েছে। মাটিকুন্ডা হোক কিংবা অন্য কোন জায়গা, কোথাও কোনও গন্ডগোল হতে দেবেন না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

    এখন নির্বাচন কীভাবে কাটে এলাকায়, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    BJP: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার ভাঙন তৃণমূলে। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ঝুলন মোড় এলাকায় একটি যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ যেখানে তৃণমূল ছেড়ে ২৫ টি পরিবার বিজেপিতে (BJP) যোগদান করে। সন্ধ্যায় সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২৫ টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির শক্তি বাড়ল। আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি ভালো ফলাফল করবে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উল্লেখ্য, ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় দলে দলে মানুষ বিজেপির পতাকার নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অপশাসনে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। এদিনের এই যোগদান কর্মসূচি সেই প্রবণতারই জ্বলন্ত প্রমাণ বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

    কী বলছেন যোগদানকারীরা (BJP)?

    এই বিষয়ে যোগদানকারীরা বলেন, তৃণমূল দল দুর্নীতির দল। তাই ওই পরিবেশে তাঁরা আর থাকতে পারছিলেন না। চাইছিলেন পরিবর্তন। তাই দুর্নীতির দল থেকে বেরিয়ে আজ ২৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করলেন। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির (BJP) ফল ভালো হবে বলে তাঁরা প্রত্যেকেই আশাবাদী।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কুমারগঞ্জে এদিন ২৫ টি পরিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করল। এরা বিজেপিতে যোগদান করায় বিজেপির (BJP) আরও বাড়ল ও আগামী দিনে এই এলাকায় বিজেপি আরও ভালো ফলাফল করবে।

    কী বলছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, আজ কুমারগঞ্জের সাফানগরে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গিয়েছিলেন। ৫০০ লোক বিজেপিতে যোগদান করেছে। বিজেপির লোক, বিজেপিতে যোগদান করেছে। তারা কেউ তৃণমূল করেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল! নির্দলদের হয়ে প্রচারে বিধায়ক আব্দুল করিম

    Panchayat Vote: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল! নির্দলদের হয়ে প্রচারে বিধায়ক আব্দুল করিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নো টিএমসি ওনলি নির্দল’। শুধুমাত্র নির্দল প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) আগে ফের বিস্ফোরক ইসলামপুরের বর্ষীয়ান বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তৃণমূলের রাজ্য নেতা থেকে শুরু করে জেলার নেতাদেরও এদিন এক হাত নেন ইসলামপুরের বিধায়ক। বুধবার উত্তর দিনাজপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।  নির্বাচনে যাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের নাম ঘোষণা করেন তিনি। ইসলামপুর জেলা পরিষদের ২টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ২৭টি আসনে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৪টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা লড়াই করছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল এবং ইসলামপুরের তৃণমূল  ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।

    কী বললেন আব্দুল করিম চৌধুরি?

    তিনি বলেন, ‘‘আমি ন্যায্য কথা বলি বলে, আমি বিদ্রোহী বিধায়ক।’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা ব্যানার্জিকে বলেছিলাম যে আপনার লোকগুলো আমার লোকগুলোকে মারছে। খুন করছে। কানাইলাল আগরওয়াল এবং জাকির হোসেনকে ব্যাকিং করছে তৃণমূল ভবন থেকে।’’ করিম চৌধুরির আক্ষেপ, ‘‘উপ নির্বাচনের সময় অনেকেই চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে বিশ্বাস করেননি। তৎকালীন জেলার দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে বলেছিলেন, করিমদাকে ফিরিয়ে আনো। আমি তখন ‘বাংলা বিকাশ কংগ্রেস’ নামে একটি দল শুরু করেছিলাম। তখন আমি আবার নির্বাচনে দাঁড়াই এবং প্রায় ৩৭ হাজার ভোটে জয়ী হই।’’ জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল ও ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন সম্পর্কে তাঁর মত, ‘‘ওরা টাকাপয়সা, বন্দুকবাজদের নিয়ে খেলা করে বেড়াচ্ছে। এবার যদি কোনও বন্দুকবাজের খেলা হয়, তবে আমি নিজে গাড়ি নিয়ে চলে যাব ওই বন্দুকবাজের কাছে।’’

    শাসকদলের বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে

    পুলিশ-প্রশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নীরব থেকে যায়। ভয় পেয়ে যায়। পুলিশকে বলেছি, আপনারা যখন চাকরিতে জয়েন করেছেন, তখন শপথ নিয়েছিলেন সৎভাবে কাজ করবেন।কোনও পক্ষপাতিত্ব করবেন না।  প্রশাসনকে বলব নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার  কর্মীরা ভয় পাচ্ছে যে ভোট তো হয়ে যাবে। কিন্তু কাউন্টিংয়ে স্লিপ কেড়ে নেবে এবং সার্টিফিকেট অন্য লোককে দিয়ে দেবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু, তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু্

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু, তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু্

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন নন্দীগ্রাম থেকে। দলের প্রার্থী এবং নেতানেত্রীদের নিয়ে দুর্নীতি এবং অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ইস্যুতে তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই প্রচারেই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    কীভাবে পদযাত্রা করলেন?

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ঢাক, ঢোল, মাদল বাজিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন। প্রচার যাত্রার সঙ্গে ছিল বিজেপির দলীয় পতাকা, পদ্মফুলের প্রতীক এবং গেরুয়া বেলুন। এই পদযাত্রা টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলার অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক পদযাত্রায় যোগদান করেন। শেষে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ভাষণের মধ্যে দিয়ে প্রচার শেষ হয়।

    কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্টের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। রাজ্যের নির্বাচন যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়, তার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। নির্বাচনে কোনও প্রাণহানি যাতে না ঘটে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ২০১৩ সালে ৮০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছিল। এই দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার আরও অবনমন ঘটেছে। তাই ২০১৩ সালের থেকেও ডবল বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা প্রয়োজন। কোর্টের আদেশকে মান্যতা দিয়ে বাহিনীর হাতেই রাজ্যকে ছেড়ে দিক কমিশন! নির্বাচনের প্রচার, ভোটদান, ফলাফল এবং ফলাফল ঘোষণার পরও বাহিনীকে রাজ্যে রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষিত থাকবে। তিনি আরও বলেন, ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, বসিরহাটের বিডিও এবং রাজ্যের বেশ কিছু এসপি এবং আইসি প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল পার্টির হয়ে কাজ করছেন। অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    সব মিলিয়ে নন্দীগ্রামের নির্বাচনী প্রচার এদিন ছিল বেশ জমজমাট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ মেমারিতে! অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Panchayat Vote: টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ মেমারিতে! অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) শাসক শিবিরে অন্তর্কলহ লেগেই রেয়েছে। জেলায় জেলায় যা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দলীয় প্রতীক না পাওয়ার অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-১ ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের। দলীয় প্রতীক না পেয়ে তাঁরা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন। সেই সঙ্গে মেমারি-১ ব্লক  সভাপতি নিত্যানন্দ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিক্ষুব্ধরা। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এমনিতেই দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক শিবির। তারপর দলের এই গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।

    বিদ্রোহী কর্মীদের দাবি

    বিদ্রোহীদের একাংশের দাবি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটকের সম্মতিতে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল কর্মীরা। অদৃশ্য কোনও অঙ্গুলিহেলন বা উপঢৌকনের বিনিময়ে তালিকায় পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ। দলে যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে এমন দুর্নীতি হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নেন মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। তিনি জানান, প্রথমে একটি প্রার্থী তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পুনরায় আরেকটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ ও মলয় ঘটকের নেতৃত্বে।

    পুরনো কর্মীদের টিকিট দেয়নি দল

    জানা গিয়েছে, মেমারি-১ ব্লকের ২১২টি আসনের মধ্যে ৫৯ জন রয়েছেন, যাঁরা দলের দীর্ঘদিনের কর্মী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সেই হিসাবে তাঁদের প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণবশত তাঁদের অনেকেই শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের প্রতীক পাননি। স্বাভাবিকভাবেই আদি ও নব্য তৃণমূলের এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) পড়ে কিনা, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share