Tag: tmc

tmc

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিজেপি (BJP) প্রার্থী। এটাই তাঁর অপরাধ। আর এই অপরাধে তাঁর বাড়িতে জল বন্ধ করল তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগরা গ্রামে। জল বন্ধের অভিযোগ পেয়ে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে যান দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে ফোন করে নালিশ জানান তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর বুথের আগড়া গ্রামের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন ভারতী দিগার। তাঁর বাবা স্বপন দিগার বলেন, মেয়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছে বলে পানীয় জল বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল আনতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করছে। আর রাতে তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে এসে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে আমি অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু, চারদিন হয়ে গেল আমরা পানীয় জল সংযোগ পাইনি।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিষয়টি জানার পর বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে আসে। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে বিজেপির জেলা সভাপতি ফোন করেন অভিযোগ জানান। পরে তন্ময়বাবু বলেন, এই গরমে পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। তৃণমূল যদি সন্ত্রাস করার চেষ্টা করে, তাহলে পাল্টা প্রতিরোধ হবে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। দলের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা গ্রামবাসীদের জোটবদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামের দুটি আসনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দয়াল কোনাই এবং সুনিতা লেট। হুমকির আশঙ্কা ছিলই। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁরা গ্রামের বাইরে ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দয়াল কোনাইয়ের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। দয়ালবাবু বলেন, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় মনোনয়ন তুলে না নিলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হবে। লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁচতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আকবার আলির (অঞ্চল সভাপতি) সঙ্গে দেখা করে আসতে বলবে”।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের আত্মীয়রা কী বললেন?

     বিজেপি (BJP) প্রার্থী দয়াল কোনাইয়ের দিদি ঠান্ডু কোনাই বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওরা প্রথমেই ভাইয়ের খোঁজ করছিল। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় মনোনয়ন তুলে না নিলে খুন করে দেওয়া হবে। সকালে যেন আকবরের সঙ্গে দেখা করে আসে।” আর এক বিজেপি প্রার্থী সুনিতা লেটের শ্বশুর সনত লেটে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে পিস্তল ছিল। বার বার তারা আকবরের নাম করছিল। বলে যায় সকাল ১০ টার মধ্যে আকবরের সঙ্গে দেখা করতে হবে। ভয়ে বউমা এখন গ্রামের বাইরে রয়েছে।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুমকির খবর পেয়ে বেলেবাড়ি গ্রামে যান বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রশ্মি দে, জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শ্রাবস্তি মুখোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল। শান্তনু মণ্ডল বলেন, “আমরা তৃণমূলের হুমকির নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন রেখেছি ভোট পর্যন্ত বহিরাগত কেউ রাতে গ্রামে ঢুকলে তাদের বেঁধে রাখুন। গ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। তবে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “দলের নির্দেশ কাউকে কোনওরকম হুমকি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলের সুপ্রিমো যতই চাপ সৃষ্টি করুক তাতে চিন্তিত নন করিমসাহেব। দলীয় নেতা কর্মীরা দলের অফিসিয়াল প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের আবেদন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। শনিবার দলের বৈঠকে নির্দল প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী বললেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

     উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও বহু তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা কর্মীরা প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ইসলামপুর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামীরা দলের প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিমুক্ত,স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গঠন করতে দলনেত্রীর কাছে স্বচ্ছভাবমূর্তি থাকা মানুষদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন। দল সেই তালিকা অনুমোদন করেনি। দলের এই ভূমিকায় হতাশ হয়ে পড়েন কর্মীরা। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে যারা আমার হয়ে নির্বাচনে পরিশ্রম করেছেন তাঁদের দলে রাখতেই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের হয়ে আমি প্রচারেও যাবে। দলের বিধায়ক হয়েও দলের কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচার বা বিরুদ্ধে কিছুই করব না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন ইসলামপুর ব্লক নিয়ে যেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তিনি। পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে নির্দল প্রার্থীদের যাতে হেনস্থা না করেন তাঁর আবেদন করেছেন বিদ্রোহী এই বিধায়ক।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, তৃণমূল (TMC)  কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা দলবিরোধী কাজ। কোনও নেতা বা বিধায়কের মদতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর উপযুক্ত প্রমাণ পেলে দল ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি, দোকান লুটপাট, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি, দোকান লুটপাট, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি। প্রার্থীর স্বামীর দোকানে লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠলো শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে  জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি ১৮/১৮৪ নম্বর বুথের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এদিন দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি প্রার্থী মিনতি সন্ন্যাসীর স্বামী বিপ্লব সন্ন্যাসী। কোতোয়ালি থানার আইসি জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থীর স্বামী?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্বের পর এবার প্রত্যাহারের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হয়ে উঠছে গ্রাম বাংলা। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানোর জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। শনিবার রাত থেকে পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি ১৮/১৮৪ নম্বর বুথের বিজেপির মহিলা প্রার্থী মিনতি সন্ন্যাসী ও তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি এলাকা থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিনতিদেবী। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই আসন থেকে মনোনয়ন পত্র তুলে ছিলেন তাঁর স্বামী বিপ্লববাবু। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমাকে মারধর করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। এবার বিজেপি নেতৃত্ব পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে স্ত্রীকে প্রার্থী করেছিলাম। শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে অত্যাচার। বাড়ি বয়ে এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন স্ত্রী। রঙধামালি বাজারের উপর আমার খাতা-পেনের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের তালা ভেঙে লুটপাট করা হয়।  এদিন দুপুরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কোতোয়ালি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানোর জন্য জলপাইগুড়ি পলাতকা, বারোপেটিয়া, পাহাড়পুর সহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে শাসক দল। প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। 

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হেমব্রম। তিনি বলেন,পুরোটাই সাজানো নাটক। একটা পারিবারিক সমস্যাকে রাজনৈতিক রঙ দিচ্ছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) বলাগড় এখন বিখ্যাত। প্রাথমিক শিক্ষার নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডের মাথা শান্তনু-কুন্তলদের খাসতালুক এই বলাগড়। এবার বলাগড় শিরোনামে মূলত পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে। প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে বেশ কিছু এলাকার মতো বলাগড়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। উঠে এসেছে টাকা দিয়ে প্রার্থী করার মতো গুরুতর অভিযোগ। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি। একে অপরের নামে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন। মূল দ্বন্দ্ব টাকা নিয়ে জেলখাটা দুষ্কৃতীদের কেন টিকিট দেওয়া হয়েছে!

    কেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছিল বলাগড়ের (Hooghly) তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। শনিবার বিকালে তার গণবিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিন হুগলির বলাগড়ের জিরাটে একটি লজে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি। আর সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের কর্মীরা। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির আগের বারের বোর্ডের ছজন বিজয়ী কর্মাধ্যক্ষ বাদ পড়েছেন, একাধিক প্রধান, উপ-প্রধান এমনকী ব্লক সভাপতি, সহ-সভাপতিদেরও টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এর পিছনে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিশেষ হাত রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল দলেরই কর্মী-সমর্থকরা।

    ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    ব্লক (Hooghly) সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি বলেন, যে কোনওদিন দল করেনি, এরকম, এমনকি বিজেপির লোককেও টিকিট দিয়েছেন বিধায়ক। এখন দল বলছে ভোট করতে হবে। কর্মীরা যারা সারা বছর কাজ করে, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দলকে সব জানিয়েছি। দেখি কী হয়। ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুজয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে। বিদায়ী বোর্ডের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বাদল সরকার বলেন, প্রথম থেকে দল করছি। প্রতি বছরই টিকিট নিয়ে এই ধরনের গন্ডগোল হয়। বাইরে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, আর ভিতরে দলের টিকিট নিয়ে লড়াই করতে হয়। তবে এবারে পঞ্চায়েতে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে, তাতে দলের কর্মীদের কথা শোনা হয়নি বলে জানান তিনি।

    বিধায়ক গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে বলাগড়ের (Hooghly) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ২৩৮ টা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৯০ টা আমি নিয়েছি। যারা আমাকে জেতাতে সাহায্য করেছিল, তাদের দেওয়া হয়েছে। আমি একটাকাও নিইনি। টাকা নিয়ে টিকিট দিয়েছে ব্লক সভাপতি স্বয়ং। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে ব্লক সভাপতি তাদের টিকিট দিতে পারছে না বলে এসব বলছেন। বিজেপিকে টিকিট ওরাই দিয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সব কানে যাচ্ছে বিজেপির। মুচকি মুচকি হাসছে তারা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, যে দলের কোনও গণতন্ত্র নেই, যে দলের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র টাকা কামানো, সেই দলের মিটিংয়ে বলাগড়ে যেটা হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক। আজ যারা টাকা দিয়েছে, তারা টিকিট পেয়েছে। আর যারা দেয়নি, তারা পায়নি। যার ফলেই ঝামেলা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • BJP: নিউ বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: নিউ বারাকপুরে বিজেপি প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর, প্রাণনাশের হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে হুমকি দেওয়া চলছিল। কিন্তু, হুমকির পরও মনোনয়ন না তোলায় বারাকপুর ২ ব্লকের বিলকান্দা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুধু বাড়ি ভাঙচুর করা নয়, যদি মনোনয়নপত্র তুলে না নেওয়া হয়, তাহলে আবারও হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। রবিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে বিজেপি নেতৃত্ব নিউ বারাকপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে বিলকান্দা ১ পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়। তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই রবিবার দুপুরে নিউ বারাকপুর থানাতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান দিতে দিতে রবিবার দুপুরে নিউ বারাকপুর থানার মধ্যে ঢুকে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) কলকাতা উত্তর শহরতলির জেলা সভাপতি আইনজীবী অরিজিৎ বক্সি বলেন, প্রার্থীদের বাড়়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ প্রশাসনকে প্রত্যেক বিজেপি প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। এলাকায় পুলিশি টহলদারি বাড়াতে হবে। পুলিশ প্রশাসন যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তৃণমূলের এই কার্যকলাপ চলবে। নিউ বারাকপুর থানা এলাকায় যে সিসিটিভি আছে, তা চেক করে দেখতে বলা হয়েছে। নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে বলে জানানো হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ। আসলে বিজেপির (BJP) কোনও সংগঠন নেই। তাই এসব নাটক করছে। এমনিতেই এই ব্লকের অর্ধেক আসনেই আমরা জয়ী হয়েছি। বাকি আসনগুলিতে লড়াই করে আমরা জয়লাভ করব। আসলে বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়ে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মনোনয়ন না তুললে শ্লীলতাহানি করে প্রাণে মারার হুমকি, অভিযুক্ত সেই তৃণমূল!

    Hooghly: মনোনয়ন না তুললে শ্লীলতাহানি করে প্রাণে মারার হুমকি, অভিযুক্ত সেই তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের (Hooghly) তিরোল অঞ্চলে খোদ আরামবাগের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএম নেতা শক্তিমোহন মালিকের গ্রামে চলল শাসক দলের ব্যাপক অত্যাচার। সিপিএম প্রার্থীকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁর চুলের মুঠি ধরে করা হয়েছে ব্যাপক মারধর। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করা হলে একঘরে করে রাখা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    কীভাবে দেওয়া হল হুমকি?

    তিরোল গ্রাম (Hooghly) পঞ্চায়েতের চণ্ডীবাটি গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। এই এলাকা থেকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন সিপিএমের মহিলা প্রার্থী নাসিমা বেগম। তাঁকেই চুলের মুঠি ধরে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল। এমনকী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে, গ্রামের সমস্ত কিছু থেকে তাঁকে বঞ্চিত করে রাখারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নাসিমা বেগমের দেওরের ডান হাত মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। হুমকি দেওয়া হয়, মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হবে। প্রয়োজনে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে বাড়ি। এদিকে ঘটনার কথা জানতে পেরে তড়িঘড়ি তাঁদের প্রার্থীর বাড়িতে হাজির হন প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক এবং সিপিএম নেতা সুশান্ত মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা-কর্মীরা। ঘটনার কথা জানিয়ে তাঁরা দ্বারস্থ হবেন থানার, এমনটাই জানা যাচ্ছে।

    সিপিএম প্রার্থীর বক্তব্য

    এই ঘটনায় নাসিমা বেগম বলেন, “আমরা ভাত খাচ্ছিলাম। তখনই একদল লোক এল। এসেই খুব খারাপ ভাষায় কথা বলতে থাকে। তারপর গোটা বাড়ি (Hooghly) তছনছ করতে থাকে। ব্যাপক মারধর করে আমাদের পরিবারের সকলকে। এমনকী মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে যায়। গত পরশু দিন শাসিয়ে গিয়েছিল। এরপর আবার গতকাল এসে একই কাজ করে গিয়েছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    আরামবাগ (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আসলে মিডিয়াতে প্রচার চাইছে ওরা। ইচ্ছা করে তৃণমূলের নামের অপপ্রচার করছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে, মনোনয়ন তোলা নিয়ে যদি এত হুমকি হয়, তাহলে ভোটের দিন কী হবে! সেই আশঙ্কা করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি! বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে তাণ্ডব, মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি! বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে তাণ্ডব, মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন এলাকা। এবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার-১ নম্বর ব্লকের কানপুর ধানবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার ধানবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথের বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, গৌরীপুরের হাসডোগরা বুথের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ মণ্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তাঁকে মারধর করা হয়। সব ক্ষেত্রেই বিজেপি প্রার্থীদের অবিলম্বে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) প্রার্থীরা?

    ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের ধনবেরিয়া কানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি (BJP) প্রার্থী মঙ্গল দাস ও জয়দেব দাসের বাড়ি শনিবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাঁদের বক্তব্য, শনিবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাড়িতে এসে হামলা চালায়। পরে, মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বাড়ির লোকজনদের নানাভাবে হুমকি দেয় তারা। অপরদিকে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের গৌরীপুরের হাসডোগরা বুথের বিজেপি প্রার্থী দীনেশ মণ্ডল বলেন, বাইক করে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়়িতে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি আমাকে মারধর করে। যদি প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে, তাহলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের থেকেও ভালো ফল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি নেতা দীপক হালদার বলেন, রাজ্যের শাসক দল ভয় পেয়েছে, সেই জন্যই দুষ্কৃতীদের দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের প্রার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা এই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাব। এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। তিনি বলেন, শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়লাভ করবে তৃণমূল। মানুষ তৃণমূলের উন্নয়নের পাশে আছে। বিজেপির (BJP) পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই উল্টোপাল্টা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে হয়েছে কারচুপি, বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ

    Paschim Medinipur: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে হয়েছে কারচুপি, বিডিওর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রীর মনোনয়নে কারচুপি ও ডিসিআর বদলানোর অভিযোগ তুলে বিরোধীরা সরব বিডিও অফিস চত্বরে। বিডিওর রুমে ঢুকে বিজেপি-সিপিএমের নেতাকর্মীরা বিডিওর সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। বিজেপি-সিপিএমের দাবি, বিডিও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠল।

    কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা?

    এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নগুলিকে পরীক্ষা করা হচ্ছিল শনিবার। সেই পরীক্ষায় এসে বাম-বিজেপি কর্মীরা জানতে পারেন, এই ব্লকের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরিদপুর দুই নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী রুমারাজ পণ্ডিত। তিনি প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতির ২২ নম্বর আসনে ১৩ই জুন মনোনয়ন করেছেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের এই প্রার্থী ১৫ই জুন আবার একই এলাকার পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করেন। দুবার মনোনয়ন, প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতি এবং পরে পঞ্চায়েতের প্রার্থী হতে চেয়েছেন রুমারাজ পণ্ডিত। এখন পরীক্ষার পর কোনটা চূড়ান্ত করবে প্রশাসন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে হয়ে সমস্যা। এখানেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন।

    অভিযোগ কী?

    বিজেপি-সিপিএমের দাবি, আইন অনুযায়ী প্রার্থী যে মনোনয়নটি আগে করবে, সেখানেই তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। তাহলে যেহেতু রুমারাজ পণ্ডিত পঞ্চায়েত সমিতিতে (Paschim Medinipur) আগে নমিনেশন করেছেন, তাহলে কী করে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হবেন! এই নিয়ে বিডিও অর্নিবাণ সাউ-এর কাছে বাম-বিজেপির কর্মীরা জানতে চান। কিন্তু বিডিও সঠিক উত্তর দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। তারপর বিডিওর অফিসঘরে শুরু হয় হট্টগোল, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গোলমাল। এরপর থেকেই বিরোধীরা বলেন, প্রশাসন নিয়ম ভেঙে তৃণমূল প্রার্থীর সুবিধার জন্য মনোনয়ন পরীক্ষা করছেন। বিজেপির দাবি, মনোনয়ন পরীক্ষায় যদি প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করে, তবে নির্বাচনের দিন কী ভাবে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবেন বিডিও?

    তৃণমূলের এবং প্রশাসনের বক্তব্য

    ঘাটাল (Paschim Medinipur) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিষ হুদাইত বলেন, রুমা প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য নমিনেশন করেছিল, পরে পঞ্চায়েত সমিতিতে করে। তিনি আরও বলেন, বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছে। দাসপুর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাউ ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সমস্ত কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে। ওই প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় নমিনেশন করলেও প্রথমে তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতই নমিনেশন  করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    Dakshin Dinajpur: তৃণমূলের ভুলে গঙ্গারামপুরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ভুলের কারণে একটি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী। অপর দিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও দুই বুথে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। শনিবার মিষ্টি মুখ করে বিজয়োল্লাসে মাতলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।

    কোন আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি?

    মনোনয়ন পত্রের পরীক্ষার শেষে দেখা যায়, গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকোইর বুথে বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে উচ্ছ্বসিত পদ্ম শিবির। এই পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের দুটি ভাগ রয়েছে। ৮ নং ও ৯ নং বুথে তৃণমূল প্রার্থীরা দুটি ক্ষেত্রেই ৯ নং বুথের উল্লেখ করেছে। যার ফলে এক জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। আর যার ফলস্বরূপ ৮ নম্বর বুথে শুধুমাত্র বিজেপি প্রার্থীরই মনোনয়ন গ্রাহ্য হয়েছে।

    কোন আসনে জয়ী তৃণমূল?

    অন্যদিকে গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) ব্লকের জাহাঙ্গিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৪ নম্বর বুথে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর বুথেও তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, দলের কর্মীদের ভুলের কারণেই বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করতে পেরেছে৷ ফর্ম ফিলাপের সময় দুজন প্রার্থী একই বুথ নম্বর দেওয়ায় একজনের নমিনেশন বাতিল হয়ে গিয়েছে। আবার জেলার সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির বলেন, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে আরও অনেক নাম প্রত্যাহার হবে। অনেক সিটেই তৃণমূল কংগ্রেস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, “শাসকদল তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে এই এলাকায়৷ আজ স্ক্রুটনি শেষে দেখা যায় গঙ্গারামপুর ব্লকের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথ বিজেপি বাদে কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী দেয়নি। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অপর্ণা বর্মন।” নির্বাচন নিয়ে জেলায় আমরা আশাবাদী বলে জানান বিজেপির এই নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share