Tag: tmc

tmc

  • TMC: দম্পতির মৃত্যুকাণ্ডে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ

    TMC: দম্পতির মৃত্যুকাণ্ডে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান তথা জেলার যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। তাই তদন্তকে প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করা হল।

    যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁরা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি। উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। তাতে সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুর প্রতিনিধি সন্দীপ ঘোষ সহ চারজনের নাম ছিল। এদিন সৈকত সহ আরও এক অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনার পর অভিযুক্তদের দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও সৈকতবাবু অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন। শুক্রবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। শুক্রবার সৈকতবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না পুলিশের। এই মামলায় অভিযুক্ত আরও দুজন জেলে রয়েছেন। উল্লেখ্য, মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জলপাইগুড়ির ১৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জেলে যে দুজন রয়েছেন, তার মধ্যে তিনি একজন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আদালতের নির্দেশ দেখার পর ভালোভাবে বুঝে এই ব্যাপারে মন্তব্য করব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, অহংকার আর ঔদ্ধত্যের পতন হল। আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা আশা করি, পুলিশ নিশ্চয়ই আদালতের নির্দেশ মতো কাজ করবে। দোষীরা কড়া শাস্তি পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর থমথমে চোপড়া, গ্রেফতার ১৭

    Panchayat Election: গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর থমথমে চোপড়া, গ্রেফতার ১৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা। বাম-কংগ্রেসের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তার মধ্যে ৮ জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। তবে ধৃত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা নির্দোষ। কেউ আবার জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    শুক্রবার কেমন রয়েছে চোপড়া?

    বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়ে হেঁটেই মনোনয়ন জমা দিতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন কাঁঠালবাড়ি এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। সেই সময় তাঁদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সশস্ত্র হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চলে এলোপাথাড়ি গুলি। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে মনোনয়ন পর্বে এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসে কার্যত কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। গতকালের এই সন্ত্রাস ও গোলাগুলির ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে চোপড়ার বিভিন্ন এলাকা। রাস্তাঘাটে লোকজন কম রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার চোপড়া গাইসাল-২ পঞ্চায়েতের মালকাডাঙা এলাকায় নতুন করে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। সাইকেলে ধাক্কাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে পাঁচজন জখম হয়েছেন।

    কী বললেন বিরোধী দলের নেতারা?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে গ্রেফতারি দেখাতে পুলিশ আসল অপরাধীদের না ধরে নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি। সিপিএম নেতা বিদ্যুৎ তরফদার বলেন, আমাদের কেউই বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। শাসক দলের সন্ত্রাসের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে দলের প্রার্থী, নেতা ও কর্মীরা চা বাগানে আত্মগোপন করেছিলেন। অনেকের এখনও খোঁজ নেই। একই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা অশোক রায়ের। বিজেপি নেতা সুবোধ সরকার বলেন, পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য করতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই এলাকায় বিরোধীদের ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করুক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই একাধিক গোঁজ প্রার্থী, শোরগোল

    Paschim Medinipur: চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই একাধিক গোঁজ প্রার্থী, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করে ভোটের আগে শাসক দলের মধ্যেই প্রধানের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতির দ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট মেলেনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। তাঁর অনুগামীদেরও সেই মতো দেওয়া হয়নি টিকিট। মনোনয়নের শেষ দিনে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রধানের অনুগামীরা। অপরদিকে প্রধানের পক্ষে যাঁরা দলের টিকিট পেয়েছেন, এমন ৫টি আসনে নির্দল প্রার্থী খাড়া করেছেন অঞ্চল সভাপতি, এমনই দাবি খোদ প্রধানের। একাধিক নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা চন্দ্রকোনাতে (Paschim Medinipur)।

    কেমন ভাবে মনোনয়ন জমা হল?

    ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের (Paschim Medinipur) আসন সংখ্যা ২১টি। তার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইসমাইল খানের অনুগামীরা ৫টি টিকিট পেয়েছেন বলে তিনি জানান। অপরদিকে ওই অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, তিনি নাকি ১৬টি টিকিট পেয়েছেন। এই টিকিট বন্টনকে ঘিরেই উভয়ের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্য আসে। জানা যায়, পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল খানের অনুগামীরা ১৫টির উপর নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গোঁজ প্রার্থী হিসাবে। প্রধান ইসমাইল খান তাঁর অনুগামীদের নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নেন। টিকিট বন্টনে যে তিনি অসন্তুষ্ট, তাও জানান।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    ইসমাইল খান বলেন, আমি আশা করেছিলাম দল আমাকে কোথাও একটা জায়গা করে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। পাশাপাশি আমার এলাকা মহেশপুর মুড়াকাটা (Paschim Medinipur) সংখ্যালঘু এলাকা। সেখানে ৯টি আসন রয়েছে। সেখানে অন্তত আমাকে টিকিট দেবে, এই আশা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মাত্র ৫টি আসনে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে আমার দলের পুরনো কর্মীদের আমি প্রার্থী করতে পারিনি। ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা আমার থেকে সরে গিয়ে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ইসমাইল খান বলেন, যাঁকে দল ১৬টি টিকিট দিল, তিনি আমার অঞ্চলের আমার ৫টি আসনে নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    ভগবন্তপুর (Paschim Medinipur) ১ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, দল আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে নির্দলদের দলে কোনও স্থান নেই। মনোনয়নের শেষ দিনে কে কত নির্দল দিয়েছে জানি না। তিনি আরও বলেন, প্রধান ইসমাইল খান এবং আমাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল নেই। একটাই গোষ্ঠী, একটাই দল, তা হল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যদি কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ থেকে নির্দল প্রার্থী দিয়ে থাকে, তাহলে সেই ক্ষোভ প্রশমিত করার দায়িত্ব আমার বলেও জানান অঞ্চল সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: সন্ত্রাস কবলিত ভাঙড়ে রাজ্যপাল, কথা শুনলেন এলাকাবাসীর

    Bhangar: সন্ত্রাস কবলিত ভাঙড়ে রাজ্যপাল, কথা শুনলেন এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে তুমুল অশান্তি ছড়ায় ভাঙড়ে (Bhangar)। কার্যত দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে সমস্ত হিংসাকে ছাপিয়ে গেল ভাঙড়। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমা-গুলির লড়াইয়ে তিনজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়। এরপরই ভাঙড় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পূর্ব নির্ধারিত সব কর্মসূচি বাতিল করে শুক্রবার ভাঙড়ে যান তিনি। এরই মধ্যে এদিন ভাঙড় থানার পিছনে এক পুরনো বাড়ির কাছ থেকে সাতটি ব্যাগের মধ্যে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কে বা কারা সেই বোমা মজুত করে রেখেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

    ভাঙড়ের (Bhangar) হিংসা নিয়ে কী বলেছিলেন রাজ্যপাল?

    মনোনয়ন জমার শেষ বেলার হিংসা নিয়ে গতকালই কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর বার্তা ছিল, ‘নির্বাচনে জয় মৃতদেহ গণনার উপর নয়। ভোট গণনার উপর নির্ভর করা উচিত। আমাদের সংবিধান আক্রমণের মুখে। শয়তানের এই খেলা শেষ হওয়া উচিত। শেষের শুরুটা হবে পশ্চিমবঙ্গে। গণতন্ত্রে জনগণই প্ৰভু। নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ অবিচ্ছেদ্য অধিকার। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও অবস্থান নেই। যে কোনও মূল্যে হিংসা নির্মূল করা হবে।’ এদিন রাজ্যপাল আসছেন বলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষ গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশও জানিয়েছেন।

    ভাঙড়ে (Bhangar) রাজ্যপালকে পেয়ে কী বললেন আইএসএফ কর্মীরা?

    বৃহস্পতিবারই ভাঙড়ের (Bhangar) কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। চলে গুলি। খুন হন রাজনৈতিক কর্মী। শুক্রবার ভাঙড়ে ঢুকে বিজয়গঞ্জ বাজারে গাড়ি থেকে নামেন রাজ্যপাল। ঘুরে দেখেন এলাকা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যপালকে দেখেই এগিয়ে যান স্থানীয়রা। রাজ্যপাল আসবেন বলে এদিন বহু আইএসএফ কর্মী-সমর্থক সেখানে জমায়েত হন। এরই মধ্যে কয়েকজন আইএসএফ প্রার্থী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন।রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে তাঁরা বলেন, ভয় দেখিয়ে, পথ আটকে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্যানিং থেকে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙড়ে ঢুকেছিল। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকাত মোল্লার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের ওই বাহিনী ভাঙড়ে ঢুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

    কী বললেন রাজ্যপাল?

    আইএসএফ কর্মীদের কাছে নালিশ পেয়ে রাজ্যপাল নিজের অফিসারদের কাছে জানতে চান, ‘কে এই শওকত মোল্লা?” তাঁরা সিভি আনন্দ বোসকে জানান, শওকাত মোল্লা ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক। এরপরই রাজ্যপাল ভাঙড় ২ নং বিডিও অফিসে ঢুকে যান। সেখানে কর্তব্যরত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই এই ভাঙড় (Bhangar) ২ বিডিও অফিস কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে গিয়েছিল। বিডিও অফিসের গেট আটকে রেখে ভিতরে চলে মনোনয়ন জমার পর্ব। মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিরোধীরা। সেই হিংসা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি এদিন ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    Purba Medinipur: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুর (Purba Medinipur) ২ নম্বর ব্লকের আডগোয়াল অঞ্চলের পানিলালা বুথে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী সমীরণ ঋষির বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালাল তৃণমূলীরা। তাঁকে নমিনেশন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির হয়ে কেন প্রার্থী? আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে কেন কোনও কথা বলেনি? অবিলম্বে নমিনেশন তুলে ফেলতে হবে। এইভাবেই চলে হুমকি। পরিবারের আরও দাবি, নমিনেশন না তুলে নিলে যে কোনও ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকারও হুঁশিয়ারি দিয়ে গেছে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা।

    বিজেপির কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতির বক্তব্য

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পটাশপুরে (Purba Medinipur) রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নমিনেশন তুলে নেওয়ার হুমাকি দেওয়া হচ্ছে। সমীরণবাবুকে বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া হয়, নমিনেশন তুলে না নিলে বাড়ির কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটাই তৃণমূলের আসল রূপ বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, যদি বাংলায় মানুষ ঠিকঠাক নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, তাহলে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

    কেন হুমকির রাজনীতি

    মনোনয়নের আগে থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলায় শাসক দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি যত মনোনয়ন করেছে, তা সুস্থ, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তৃণমূল পায়ের নিচের মাটি একেবারেই হারিয়ে ফেলবে, বলছে বিজিপি। আর তাই এক প্রকার হারের ভয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রামে-গ্রামে, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বিজেপি পদপ্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। বিরোধী শিবিরের আরও দাবি, শাসক দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য অনেক তৃণমূল প্রার্থী বিজেপিকে ভোট দেবে। আর এই কারণে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব হারের ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। এলাকায় বিজেপির দাবি, সিপিএমের হার্মাদরা আগে বাড়িতে বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হত্যার ভয় দেখাত। আর বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস রাতের অন্ধকারে বাড়িতে গিয়ে বিরোধী দল করার জন্য বিজেপিকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই বলে জানান বিজেপির স্থানীয় নেতারা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাজের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তাঁকে রোল মডেল করার কথা বলা হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের বিজুর ১ নম্বরের এরকম একজন দক্ষ পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায়কে টিকিট দিল না তৃণমূল। তবে, ঝর্ণাদেবীও এই অপমান সহ্য করার পাত্রী নন। তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে, তিনি একা দলত্যাগ করেছেন এমন নয়। এলাকার শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তিনি দলবদল করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দোড়গোড়ায় এই ঘটনা শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন দলত্যাগী তৃণমূল প্রধান?

    শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে গাড়ি, বাড়ি হাঁকিয়ে ফেলে। চারচাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সাধারণ বিষয়। সেই শাসক দলের প্রধান হওয়ার পরও ঝর্ণা রায় পরিচারিকার কাজ করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে দুর্গাপুরে প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী ঝর্ণা রায়ের কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তাঁকে রোল মডেল করার কথাও তিনি বলেছিলেন। তাঁর আশা ছিল, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তাঁকে ফের প্রার্থী করবে। কিন্তু, দলের টিকিট না পেয়ে ঝর্ণাদেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে আমি সার্টিফিকেট পেয়েছি। দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কাছে কাজের সম্মান পাওয়ার পরও দল আমাকে প্রার্থী করার জন্য যোগ্য মনে করল না। কার নিরিখে প্রার্থী ঠিক হল, তা বুঝতে পারলাম না। আমি সততার দাম পেলাম না। তাই আমি দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলাম।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল থেকে প্রায় দু’হাজার পরিবার কংগ্রেসে যোগদান করেছে। আসলে তারা টাকা তুলে দলকে দিতে পারেনি, দলের কাছে তাদের সম্মান নেই। আগামী দিনে এরাই কংগ্রেসের হাতকে শক্তিশালী করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমরা ভাল ফল করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দলে দু’টো দিক থাকে। একটা প্রশাসনিক আর অন্যদিক হল সাংগঠনিক। তাই দল হয়তো কিছু ভেবেছিল, ঝর্ণা রায়কে সাংগঠনিক কাজে লাগাবে। কিন্তু তিনি তড়িঘড়ি দল ছেড়ে অন্য দলে চলে গেলেন। আমরাও তাঁর কাজের প্রসংশা করি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর কাজের প্রসংশা করেছিলেন।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ব্যালট পেপারের যে যুদ্ধ হতে চলেছে ৮ জুলাই, তার আগে বুলেটরাজ দেখছে বাংলা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বাংলায় ৭ জন খুন হয়েছেন। মনোনয়ন শুরু হওয়ার দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ফুলচাঁদ শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছিলেন। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নবগ্রামে গুলিবিদ্ধ হন এক কংগ্রেস প্রার্থীর বাবা। অন্যদিকে তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোজাম্মেল শেখ (৪২)। তিনি হজবিবিডাঙা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে। শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে রমজান শেখের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মাহারুল্লা শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করা হয়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের কর্মীকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহেব। নবগ্রাম থানার হজবিবিডাঙা গ্রামে প্রচারে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় মারপিট। এরপরই দু রাউন্ড গুলি চলে। তৃণমূলের (TMC) এই অঞ্চল সভাপতিকে মারধর এবং গুলি করে করে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় মোজাম্মেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। হামলা চালানোর অভিযোগ  উঠেছে কংগ্রেস-সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘দলীয় ওই নেতা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রাস্তাতে তাঁদের আটকে কংগ্রেস এবং সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। নবগ্রামে আগে কোনও রাজনৈতিক খুন দেখা যায়নি। শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বন্‌ধ ডেকেছি।’ নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অঞ্চল সভাপতি প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন। তখন কংগ্রেস-সিপিএমের হার্মাদরা ওঁর উপরে হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ-লোহার রড-গুলি করে খুন করা হয়।’

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল (TMC) ভোট বানচাল করে দিতে চাইছে। আমাদের এক দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই খুনের ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, “একজনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    Panchayat Election: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রার্থী তালিকা ঠিক করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ করে মনোনয়নের শেষ বেলায়, বৃহস্পতিবার দলীয় টিকিট না পেয়ে জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস ছাড়াও আরও পাঁচজন কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দিলেন জেলা পরিষদ আসনে। তাঁদের দাবি, তাঁরা নির্দল নয়, তৃণমূলের হয়েই মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিলেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানা-পোড়েনের পর বুধবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করেই ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১৯টি আসনে প্রার্থীদের ফোন করে গোপনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু। দলীয় সূত্রে অন্তত এমনটাই খবর। বুধবার ১৭ জন মনোনয়ন জমা দেন এবং বৃহস্পতিবার বাকি দু’জন তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    কারা বিক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দিলেন?

    অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, সুজলা তরাই (বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ), শুভ্রা মাহাত (পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ), মামণি মুর্মু (বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ), সুপ্রিয়া মাহাত (মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ) এবং তপন ব্যানার্জি (কৃষি কর্মাধ্যক্ষ) মনোনয়নপত্র জমা করেন তৃণমূলের হয়ে। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলা এসটি সেলের জেলা সভাপতি অর্জুন হাঁসদা ওরফে লাল জেলা পরিষদের আসনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূলের হয়ে। জেলা পরিষদের তালিকায় অর্জুনের নাম ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্জুনকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এদিন অর্জুন তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    কী বলছেন বিক্ষুব্ধরা (Panchayat Election)?

    তবে মাধবী ও পাঁচ কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দেওয়ায় অস্বস্তি শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষদের মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দেওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে যায় জেলা তৃণমূলের মধ্যে। এদিন মাধবী বিশ্বাস বলেন, “দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন আমাদের দাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচন হবে। দাদার কথা না রেখে দাদাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানকার রাজনৈতিক নেতারা টাকার বিনিময়ে নিজেদের মতে প্রার্থী ঠিক করেছে।  তাঁর আরও অভিযোগ,”চক্রান্ত করে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। তাই জেলা পরিষদের পুরনো একজনকেও প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। একজন জেলা সভাধিপতি, যিনি দলের মুখ, তাঁকে যেখানে টিকিট দেওয়া হল না, সেখানে কর্মাধ্যক্ষদের টিকিট দেওয়া হবে, তা কি আশা করা যায়।’’ সভাধিপতি জানান, “দলীয় প্রতীক না পাওয়া গেলে নির্দলেই লড়াই করবেন।’’ বিদায়ী বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামণি মুর্মু বলেন, ‘‘দলের হয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। এখনও কিন্তু আমি দল থেকে পদত্যাগ করিনি। দলেই রয়েছি।’’

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Panchayat Election)?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “প্রত্যেকটা মানুষেরই আশা, স্বপ্ন থাকতে পারে। কিন্তু প্রত্যেকটা স্বপ্ন পূরণ হবে, তা তো নয়। দলীয় সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন (Panchayat Election) করা হয়েছে। আমি ওঁদের অনুরোধ করব দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই ছিল মনোনয়নে শেষ দিন। ঘটনাক্রমে কয়েক মাস আগেই জাতীয় দলের তকমা খুইয়েছে ঘাসফুল শিবির। এনিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, এমন দিন আসবে যেদিন তৃণমূলকে কলাগাছ নারকেল গাছ প্রতীক হিসেব বেছে নিতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আঞ্চলিক তোলামূল দল বিজেপির সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে টক্কর দিতে গিয়েছিল। এরপর তারা জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তোলামূল পার্টির দলীয় প্রতীক চিহ্ন আঞ্চলিক দলের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।’’

    শুভেন্দু আরও লিখেছেন, ‘‘এমন দিন আসবে যখন আঞ্চলিক তোলামূল পার্টি থেকে কেউ ভোটে লড়তে চাইলে তাঁদের নৌকা, সাইকেল রিকশ, নারকেল বা কলাগাছের মতো প্রতীক চিহ্ন, যা ফ্রি সিম্বল, সেটাই বেছে নিতে হবে।’’

    পঞ্চায়েত ভোটে আঞ্চলিক দল ও জাতীয় দল

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের জন্য ৬টি জাতীয় দল রয়েছে। আম আদমি পার্টির ঝাড়ু, বহুজন সমাজ পার্টির হাতি, ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্মফুল, সিপিআই(এম)-এর কাস্তে-হাতুড়ি-তারা, কংগ্রেসের হাত ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বইয়ের চিহ্ন রয়েছে। আঞ্চলিক দলের তালিকায় তৃণমূলের ঘাসফুলের পাশাপাশি রয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের সিংহ।

     

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বদলে দেওয়া হল পার্টি অফিস। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামের তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অফিস থেকে খুলে ফেলা হল পতাকা এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স। মুছে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপগঞ্জ (Murshidabad) অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়, চূড়ান্ত তালিকায় জাহাঙ্গিরের বদলে অন্য একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাই কার্যত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। বৃহস্পতিবার সকালেই কোহেতপুর গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা সহ যাবতীয় ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুনও। মুছে দেওয়া হয় দেওয়াল লিখন এবং তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের যাবতীয় পতাকা সরিয়ে কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করার কথা ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ।

    কী বললেন এলাকার মানুষ?

    যুব সভাপতি (Murshidabad) মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ অনেক দিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, আমরা এই এলাকায় ২০০৯ থেকে তৃণমূল করি। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে বাইরের ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষকে এলাকার কাজ করার কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? বহিরাগত কোনও লোককে আমরা নেতা বলে মানতে পারব না। জাহাঙ্গির শেখ বলেন, এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আজ পদত্যাগ করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এলাকার সমস্ত তৃণমূল অফিসকে আজ থেকে কংগ্রেসের পার্টি অফিস বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share