Tag: tmc

tmc

  • Bomb: ফোনে ফোনে দেওয়া হচ্ছে বোমার অর্ডার! দুটি গাড়ির চালক সহ আটক ৮

    Bomb: ফোনে ফোনে দেওয়া হচ্ছে বোমার অর্ডার! দুটি গাড়ির চালক সহ আটক ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার মধ্যেই ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) সহ দুটি গাড়িকে আটক করল বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার পুলিশ। পাটরাইয়ের দিক থেকে বাঁকুড়ার ইন্দাসে যাওয়ার পথে বাঁধেরপাড় এলাকায় গাড়ি দুটিকে আটক করে তল্লাশি করতেই ব্যাগ ভর্তি বোমার হদিশ পায় পুলিশ।

    কতজনকে আটক করল পুলিশ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোনয়নে গন্ডগোল পাকাতে ইন্দাসে গাড়িতে করে বোমা (Bomb) আনা হতে পারে, এমন খবর মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এর পরই সতর্ক করা হয় ইন্দাস থানার সবকটি নাকা পয়েন্টকে। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার আশপাশে দুটি গাড়ি পাটরাইয়ের দিক থেকে ইন্দাসের দিকে যেতে দেখে সেগুলিকে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সেই সময়ই গাড়ি দুটির একটির মধ্যে থেকে এক ব্যাগ ভর্তি সুতলি বোমা উদ্ধার হয়। এর পর গাড়ি দুটিকে আটক করে ইন্দাস থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটক করা হয় দুই চালক সহ দুটি গাড়িতে থাকা আটজনকে।

    বোমা (Bomb) উদ্ধার নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বলেন, ফোনে ফোনে বরাত পেয়ে বোমাগুলি (Bomb)  ইন্দাসে আনা হচ্ছিল। কে বা কারা এবং কেন এই বোমার বরাত দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুজনের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। এই চক্রে কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    বোমা (Bomb) উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া বলেন, গাড়িগুলিতে করে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে ইন্দাসের বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় চক্রান্ত করে তৃণমূল গাড়িগুলিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গাড়িগুলিতে বোমা (Bomb) রেখে উদ্ধারের নাটক করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। ইন্দাস ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ হামিদ বলেন, যে ফেঁসে যায়, সে-ই ফাঁসানোর গল্প বলে। নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ পেয়েছে। ফলে, আমাদের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা। পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দিনহাটা বিধানসভার সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারে। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কারা পর পর চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হের স্ত্রী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। আর স্ত্রী সদস্যা হওয়ায় বকলমে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এদিন বাজারে কুর্শাহাট বাজারে তিনি আসলে তাঁকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরেন। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে নজরুলের অনুগামীরাও সেখানে জমায়েত হন। এরমধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলে। পরে, চার রাউণ্ড গুলি ছোঁড়া হয়। আর এতেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (TMC) নেতাকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নজরুল আমাদের কাছে থেকে সরকারি প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা করে তুলতে শুরু করেন। শাসক দলের নেতা বলে বিশ্বাস করে এলাকার বহু মানুষ তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন। আমরাও দিয়েছিলাম। কিন্তু, কেউ ঘর পাইনি। ওই নেতা কাউকে টাকাও ফেরত দেননি। কিন্তু, শাসক দলের নেতা বলে কেউ কিছু বলার সাহস ছিল না। তবে, এবার পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় ওই নেতা বা তাঁর স্ত্রীর ঠাঁই হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই নেতাকে ঘিরে টাকা ফেরত চেয়েছি।

    জেলা পুলিশের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্রাঞ্চের সামনে পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইতিমধ্যেই গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে আটক করেছে। গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের (TMC) দুই  গোষ্ঠীর লড়াই এবার প্রকাশ্যে এল। সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ারের কাঁঠালতলা এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতি থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের ওই গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আলিপুরদুয়ার বিবেকানন্দ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠালতলা এলাকায় একটি দলীয় কার্যালয়ে শাসক দলের (TMC) কয়েকজন নির্বাচিত সদস্যের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় দলের বিরুদ্ধে শাসক দলের অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর দলের অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত দের নেতৃত্বে একদল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা সেখানে চলে আসেন। এরপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে, বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আলিপুরদুয়ার থানার আই সি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুই গোষ্ঠীর নেতা কর্মী সমর্থকদের দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, “দীর্ঘদিন এলাকা থেকে নির্বাচিত স্বচ্ছ ভাব মূর্তির বেশ কিছু পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিকে এবারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না বলে দল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এমন প্রার্থী করা হয়েছে, যাদের সম্পর্কে অনেক অভিযোগ রয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    দলীয়ভাবে প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা না করলেও প্রার্থী নিয়ে অঞ্চল নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে ইতিমধ্যে দল একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছে। দলের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন ৫০ শতাংশের বেশি বিদায়ী জনপ্রতিনিধিকে এবারে দল টিকিট দেবে না। পারফরম্যান্স বিচার করেই প্রার্থী চয়ন করা হয়েছে। ফলের শাসকদলের টিকিট না পেয়ে এবারে অনেকেই দলের বিরুদ্ধেই যেমন লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি শাসক শিবিরও কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে, একে অপরের বিরুদ্ধে শুধু প্রচার নয়, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক জানিয়েছেন, “দল যাদেরকে প্রার্থী করবে,তাদের হয়েই সকলে লড়বেন। কেউ দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে বা অন্য কোনও দলের হয়ে লড়তে পারেন। এ নিয়ে শাসক দল বাধা দেবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই মানুষ ভোট দেবেন, এবং আমরা দলের যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করব।” আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বড় কাঁটা শাসক দলই। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলতে পারেন বিরোধীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজারে আইএসএফ কর্মীদের রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিডিও অফিসের কাছে  পুলিশের সামনেই মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন এক আইএসএফ কর্মী। তৃণমূলীদের হামলায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী জখম হন। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটান। অন্যদিকে, এদিন ক্যানিং-১ নম্বর ব্লকেও মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলীদের তাণ্ডবে রক্ত ঝরল বিজেপি প্রার্থীদের। বিডিও অফিসের ভিতরে পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলীদের বাধায় বিজেপি প্রার্থীরা কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেত্রী?

    আক্রান্ত দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, সজল ঘোষ সহ একাধিক নেতৃত্ব। বিডিও অফিসে  জমায়েত হওয়ার পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, তৃণমূল এখানে পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালাল। কাউকে ওরা মনোনয়ন জমা দিতে দিল না। এখানে আমরা আর মনোনয়ন জমা দেব না। বিরোধীদের কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। তাই, এখানকার নির্বাচন (Panchayat Election) বাতিল করার জন্য প্রশাসনকে বলব। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ রক্তাক্ত এক বিজেপি প্রার্থীকে দেখিয়ে বলেন, দলীয় প্রার্থীর অবস্থা দেখুন। ভাইপো (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন না, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে।

    কী বললেন আইএসএফ কর্মীরা?

    আইএসএফ কর্মী নাসির আলি মোল্লা বলেন, দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election)  মনোনয়ন জমা দিতে  আমরা বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। ওই চোরগুলো কুকুরের মতো করে বিডিও অফিসের রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যেতেই ওরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি বোমাবাজি করে গুলিও চালায়। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, এদিন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সেটা বানচাল করতেই আইএসএফ দুষ্কৃতীদের জমায়েত করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন আমাদের নামে মিথ্যা অফিযোগ করছে। নির্বাচনে (Panchayat Election) মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election:  উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    Panchayat Election: উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। তানিয়েও বিস্তর অভিযোগ বিরোধীদের। কোথাও প্রশাসনিক কর্তারা বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন কোথাও বা সন্ত্রাস করছে শাসক দল। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে। এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা নিয়ে এল বিশেষ নিয়ম। কমিশন জানিয়েছে, যদি ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হিসাবে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। সোমবার কমিশনের তরফে এমনই নির্দেশ এসেছে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে। প্রশাসনিক কর্তারা প্রথমে দেখে নেবেন, যিনি আবেদন প্রত্যাহার করতে এসেছেন তিনি আসল প্রার্থী কিনা! 

    আরও পড়ুন: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    বিরোধীদের চাপেই কি কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত?

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিরোধীদের লাগাতার চাপের ফলেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। রাজভবন থেকে আদালত প্রতিটি সংস্তাই এখন কড়া নজর রাখছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। নজর দিচ্ছে মানবাধিকার কমিশনও। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে, মত বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশের। ১৪৪ ধারা লাগু করার পরেও রোখা যায়নি রাজনৈতিক সন্ত্রাস। সোমবারই রাজ্যের একাধিক জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনোনয়ন ঘিরে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে মাথা ফাটে বিজেপি বিধায়কের। 

    হাইকোর্টে বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) শাসকদলকে একতরফা সুবিধা দিতেই সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন, এমন অভিযোগ বিজেপি গত কয়েকদিন ধরেই করে আসছে। ইতিমধ্যে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে হাইকোর্টের দারস্থও হয়েছে বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার হাইকোর্ট জিজ্ঞেস করে, ‘‘আইনে কি কোথাও বলা আছে মনোনয়নের জন্য ৭ দিনের সময়সীমার কথা?’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের উত্তর, ‘‘ না সেরকম কোনও আইন নেই।’’ তখনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে জানাল, ১৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত তারা।

    আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দিচ্ছে কুড়মিরা

    Panchayat Election: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দিচ্ছে কুড়মিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মি জনজাতিকে তফশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে বারবার আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজ। অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের তরফে সিআরআই রিপোর্টের ওপর কমেন্ট এবং জাস্টিফিকেশন পাঠানোর দাবিতে রেল অবরোধ, জাতীয় সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়েছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) এবার জঙ্গলমহলে শাসকদলের উপরে আরও চাপ বাড়াতে চলেছে তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের চার জেলায় প্রার্থী দিতে চলেছে কুড়মিরা। পাশাপাশি কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে “নো ভোট টু টিএমসি” বা শাসক দলকে একটিও ভোট না দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বললেন কুড়মি নেতৃত্ব?

    কিছুদিন আগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম গিয়েছিলেন। সেই সময় নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানাতে কুড়মিরা অভিষেকের কনভয়ের সামনে যান। সেই সময় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিআইডি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে কুড়মি সমাজের একাধিক নেতাকে। এমনিতেই দাবিপূরণ না হওয়ায় তৃণমূলের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল কুড়মিরা। এবার অভিষেকের কনভয়কাণ্ডে সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election)তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দিতে চাইছে কুড়়মিরা। কুড়মি সমাজের নেতা সুমন মাহাত বলেন,  “জঙ্গলমহলে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ চার জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেব। সেই মতো আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই কারা প্রার্থী হবে তা একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। জঙ্গলমহলে কুড়মি সমাজের কোনও সদস্য একটি ভোটও তৃণমূলকে দেবে না। তারজন্য সমস্ত এলাকায় প্রচার করা শুরু হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, “কুড়মিদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। জঙ্গলমহলে শাসকের পাশে সব থেকে বেশি দাঁড়াবে কুড়মি সমাজের মানুষেরাই। ফলে, কে কী বলল তা কিছু এসে যায় না। নির্বাচনের (Panchayat Election) ফলাফলে তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    BJP: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে প্রার্থী হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যার জেরে বারাকপুর মহকুমার দুটি ব্লকের একটি আসনেও এখনও প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। বিজেপি (BJP) থেকে অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। এখনও দলের নীচুতলার কর্মীরা কার হয়ে প্রচার করবে তা বুঝতে পারছেন না। ফলে, দলের অন্দরে এই বিষয় নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কবে, শাসক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা করবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল একটি আসনেও প্রার্থী দিতে না পারলেও বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথম দিন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশ আসনে আমরা প্রার্থী দিয়ে দিয়েছি। আসলে তৃণমূল এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। দলের মধ্যেই কোন্দল চলছে।” জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর-১ ব্লকে বিজেপি সহ বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু, সেখানে মাত্র একটি ডিসিআর কাউন্টার রয়েছে। ফলে, প্রার্থীদের চরম নাকাল হতে হচ্ছে। বিরোধী প্রার্থীদের বক্তব্য, ডিসিআরের কাউন্টারের সংখ্যা না বাড়ানোর কারণে মনোনয়ন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। শাসক দলের নির্দেশে প্রশাসন এসব করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় সহ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, বারাকপুর-১ এবং বারাকপুর-২ ব্লকে মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এক একটি বুথের জন্য জেলা নেতৃত্বের কাছে একাধিক নাম জমা পড়েছিল। সেই তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে, সেখান থেকে কোনও সবুজ সংকেত না আসায় জেলা নেতৃত্ব প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার তৃতীয় দিনেও তৃণমূলের কোনও প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করতে পারল না। বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েত এলাকার এক তৃণমূল কর্মী বলেন, বহুদিন ধরেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও শেষ হতে চলল। কবে, প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আমরা বুঝতে পারছি না। এলাকায় প্রচারও করতে পারছি না। এই বিষয়ে জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগ গ্রহণ করার দরকার। তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, “প্রার্থী তালিকা তৈরি রয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো রয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই আমরা তালিকা ঘোষণা করব। এক বা দুদিনের মধ্যেই সমস্ত কিছু হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    Panchayat Election: নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য জুড়ে প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনই দাবি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু, সেই দাবি যে একেবারেই ভিত্তিহীন তা প্রমাণ হয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের দেওয়ানচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, বুথের কর্মীদের মতামত না নিয়েই তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। সেই প্রার্থী পছন্দ নয়। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন ৮ জন তৃণমূল কর্মী।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীরা?

    একাধিকবার ব্লক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্ব এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হলেও প্রার্থী তালিকাতে বিস্তর ফারাক। ঘাটাল ব্লকের দেওয়ানচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের তৃণমূল কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই,  তৃণমূল কর্মীরা দল বেঁধে সোমবার ঘাটাল বিডিও অফিসে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দেওয়ানচক ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নলগেড়িয়া, রঘুনাথপুর, চকসাদি গ্রামের নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের বক্তব্য, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল করছি। এমনকী অঞ্চলের একাধিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন অনেকেই। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমাদের কথা না শুনে তৃণমূলের ব্লকস্তরের নেতা কর্মীরা তাঁদের খেয়াল খুশি মতো প্রার্থী বাছাই করেছে। তাই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েতে মোট ১৯টি আসন রয়েছে। আপাতত ৮টি আসনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আরও প্রার্থী দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিষ হুতাইত বলেন, দলগতভাবে আমাদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়নি। যারা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছে তারা আদৌ তৃণমূল করে কি না তা আমরা জানি না। ফলে, ওরা কী অভিযোগ করল তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ” চোর চোর বলে ডাকে”, ডাকযোগে বার্তা পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: ” চোর চোর বলে ডাকে”, ডাকযোগে বার্তা পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাস্তায় বের হলে চোর চোর বলে ডাকে। চায়ের দোকানে, বাজারেও গেলেও কথা শুনতে হয়। নেতৃত্ব দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।” শাসকদল সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ ব্লকের ৪ নম্বর বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) চারজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। অভিমানে তাঁরা তৃণমূল ছাড়লেন। সোমবার  অভিনব কায়দায় তাঁরা তৃণমূল দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্তরকম সম্পর্ক ত্যাগ করার পাশাপাশি তাঁদের কাছে থাকা দলের সমস্ত ফ্ল্যাগ,ফেস্টুন তাঁরা ডাকযোগে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পাঠিয়ে দেন। তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলেও তারা অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করছেন না বলে জানিয়েছেন। তবে ওই পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল অবশ্য তাদের দলে থেকে যাবার ব্যাপারে বোঝানো হবে বলে জানিয়েছেন।

    কী বললেন দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা?

    জানা গিয়েছে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস ৭ টিতে জয়ী হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনসুর আলির উদ্যোগে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। মনসুর আলির স্ত্রী লায়লা খাতুন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার বছরখানেক পর তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ ওঠার পর দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁকে ওই প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যের দূরত্ব বাড়তে থাকে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান চারজন সদস্য লায়লা খাতুন, মলয় সরকার, রুপো জালি ও উৎপলা বর্মন  প্রচুর সংখ্যক দলীয় কর্মী সমর্থক নিয়ে রায়গঞ্জের মুখ্য ডাকঘরে এসে তাদের কাছে থাকা দলীয় পতাকা, ফেস্টুন  খামে ভরে উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, আমরা একনিষ্ঠ দলীয় কর্মী হওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছুদিন ধরে দলীয় নেতৃত্ব আমাদের প্রাপ্য  সম্মান দিচ্ছে না। এলাকার কোনও উন্নয়নমূলক কাজে আমাদের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে আমরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানালেও তা আমল দেওয়া হয়নি।এর প্রতিবাদেই আমরা এদিন দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। দলত্যাগী এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মনসুর আলি জানিয়েছেন,” পাড়ায়, গ্রামে, চা এর দোকানে তাদের প্রতিনিয়ত “চোর ” বলে সম্বোধন করা হয়। নেতৃত্বকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয় নি। এলাকার দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভেই আমরা এদিন দলত্যাগ করেছি।তবে দলের প্রতীক ও পতাকার প্রতি আমাদের সন্মান রয়েছে।এগুলো যত্রতত্র পড়ে থাকার থেকে ফ্ল্যাগ,ফেস্টুনগুলির যাতে অবমাননা না হয়, সেই কারনেই আমরা সেগুলো ডাকযোগে এদিন জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ” ছোটখাটো মানঅভিমান থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যায়। আমি তাদের দলত্যাগ না করারই কথা বলবো। তবে দলীয় পতাকার অবমাননা না হওয়ার জন্য তাঁরা যে ফেরত পাঠিয়েছে, এটা প্রশংসার। “

    তৃণমূলে (TMC) ভাঙন ধরাল বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নম্বর রামপুর অঞ্চলে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি। সোমবার এই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় সরকার সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে। এদিন জেলা বিজেপির কার্যালয়ে মলয় বাবু প্রায় ৩০০ জন অনুগামী নিয়ে দলবদল করলেন। সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারি মলয় সরকার বলেন, তৃণমূল দলে ক্রমশ দুর্নীতি বেড়ে চলেছে। এই পঞ্চায়েতের অধীনেও প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতি মুক্ত করে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়তেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো মামলায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ গ্রামের মধ্যে পুলিশকে আটকে রাখা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশের চলন্ত গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী আরামবাগ থানার আইসি-র পা জড়িয়ে ধরেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলার পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকায়। শাসক দলের প্রধানের এই রূপ দেখে সকলেই হতবাক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে আরামবাগের হরিণখোলার ফড়িংখলার পূর্ব কৃষ্ণপুর  এলাকায় শেখ বাবুসোনা নামে একজনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তার নামে পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হানা দেয়। বাবুসোনা হরিণখোলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান শেখ আব্দুল আজিজ খাঁ ওরফে শেখ লাল্টু খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। দরজা খুলে ঢোকার পর বাবুসোনার স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ পুলিশ কর্মীদের গ্রামের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে, আরামবাগ থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মহিলাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের আশায় আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের গাড়ির সামনে হরিণখোলা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু খান শুয়ে পড়েন। থানার আইসি-র পা চিপে ধরেন তিনি। গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন। পরে প্রধানকে বুঝিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান?

    হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান লাল্টু খান বলেন, বাবুসোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু, সে বাড়়িতে ছিল না। বাড়িতে মহিলারা ছিল। লেডি কনস্টেবল ছাড়াই আরামবাগ থানার পুলিশ অর্থাৎ হরিণখোলা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে ফাঁড়ির ইনচার্জ শংকর কোলেকে এলাকার মানুষ আটকে রাখেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সামনে পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই, পুলিশের গাড়ির নিচে শুয়ে আমি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলাম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share