Tag: tmc

tmc

  • Kurmi: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এ গিয়ে কুড়মিদের ঘেরাওয়ের মুখে জুন মালিয়া

    Kurmi: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এ গিয়ে কুড়মিদের ঘেরাওয়ের মুখে জুন মালিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কুড়মিদের ‘ঘাঘর ঘেরা’র মুখে তৃণমূল বিধায়িকা জুন মালিয়া। শুক্রবার দুপুরে মেদিনীপুর সদর ব্লকের মালবাঁধি এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান জুন মালিয়া। ঠিক সেই সময় কুড়মি সমাজের মানুষজন ঘিরে ধরেন তাঁকে। অবিলম্বে রাজ্যের তরফে সিআরআই রিপোর্টের ওপর কমেন্ট পাঠাতে হবে কেন্দ্রের কাছে। মূলত এই দাবি তুলে ধরা হয় বিধায়িকার কাছে। গোটা বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়িকা। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পরে পুলিশের তৎপরতায় ঘেরাও মুক্ত হন তৃণমূল বিধায়িকা। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গলমহলে কর্মসূচিতে গিয়ে কুড়মিদের (Kurmi) ঘেরাওয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেককেই। এবার ঠিক একই কায়দায় ঘেরাওয়ের মুখে তৃণমূল বিধায়িকা জুন মালিয়া। জঙ্গলমহলে জনপ্রতিনিধিরা এলেই তাঁদের ঘাঘর ঘেরার মুখে পড়তে হবে বলে দাবি করছেন কুড়মি সমাজের মানুষ। উল্লেখ্য, কুড়মালিতে এই ঘাঘর ঘেরার অর্থ হল কোনও রকম ফাঁক না রেখে চারদিক থেকে ঘিরে ধরা। 

    কী কী দাবিতে কুড়মিদের এই আন্দোলন?

    আদিবাসী কুড়মি (kurmi) জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে কুড়মিদের (kurmi)  পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা হচ্ছে। ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল তারা। তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। ওই সময় সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র বের হয়নি। পরে, জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক তাঁদের কাছে একটি চিঠি নিয়ে এসে ১০ এপ্রিল মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। যদিও আন্দোলনকারীরা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কুড়মিরা দাবি আদায়ে বিভিন্ন দফায় রেল অবরোধ করেছেন। তার জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই একের পর এক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এক সময় দেখা গিয়েছিল, চারদিনে প্রায় শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

    আন্দোলনের ধরন বদল?

    কুড়মি (kurmi) সংগঠনের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাত বরাবরই অভিযোগ করে আসছেন, তাঁদের আন্দোলন দুর্বল করতে প্রশাসন বহু চেষ্টা করছে। মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে এর আগে বৈঠক করে কোনও লাভ হয়নি। তাই, তাঁরা আর বৈঠক করতে রাজি নন। তবে, আগামীদিনে তাঁরা ফের আন্দোলনে নামবেন। বোঝাই যাচ্ছে, দাবি আদায়ে তাঁরা আন্দোলনের ধরন বদলে ফেলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরিয়ে দেওয়া হল থানার আইসি-কে

    Egra: এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সরিয়ে দেওয়া হল থানার আইসি-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে কোনও ঘটনায় হইচই পড়ে গেলে যা হয়, এগরায় (Egra) বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডেও সেটাই হল। সরিয়ে দেওয়া হল এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে। তাঁর জায়গায় নতুন আইসি হচ্ছেন হুগলি জেলার গ্রামীণ সাইবার ক্রাইম থানার আইসি স্বপন গোস্বামী। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবন থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বদলির নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এগরার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে পাঠানো হয়েছে হুগলির গ্রামীণ সাইবার ক্রাইম থানায়। যদিও মঙ্গলবার ঘটনা ঘটলেও এখানে এটুকু ব্যবস্থা নিতেই প্রশাসনের সময় লেগে গেল তিন দিন।

    আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু

    খাদিকুলে বিস্ফোরণ কাণ্ডে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন এগরা (Egra) থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তী। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতার হাতে মারধরের শিকার হয়েছিলেন তিনি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইসিকে শোকজ করেছিলেন। ‘আগে পুলিশ এখানে দশ হাজার টাকা তুলতো। এখন এই আইসি আসার পরে ৫০ হাজার করে মাসে তোলা হয়েছে।’ এগরার আইসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিরোধীরা কী অভিযোগ করল?

    বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, এই বদলি আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়। কারণ ওই গ্রামে পুলিশের জ্ঞাতসারেই বাজির নামে ওই কারখানায় (Egra) যে বোমা তৈরি হত, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ওই বাজি কারখানার পিছনে ছিল শাসক দল তৃণমূলেরও প্রত্যক্ষ মদত। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কারখানার মালিক রীতিমতো ভয় দেখিয়ে সেখানে গ্রামের মানুষকে কাজ করাতে বাধ্য করতেন। সে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা বলেও পরিচিত। পুলিশ এবং তৃণমূলের পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই যে ওই কারখানা রমরমিয়ে চলত, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ফলে এত বড় ঘটনায় শুধুমাত্র একজন আইসিকে সরিয়ে কাজের কাজ কিছুই হবে না। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এগরার (Egra) সাহারা অঞ্চলের খাদিকুল গ্রামে একটি বাড়িতে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বেশ কয়েকজন ঘরের ভিতরে ছিলেন। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। বাড়িটির ভিতর থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বাড়িটি শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়। বাড়ির ভিতরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন গুরুতর জখম হন। বাকিদের মৃত্যু হয়। তবে, কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করে সেইসময় এলাকাবাসী বলতে পারেননি। পরে ৯টি দেহ উদ্ধার হয়। অনেক দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছিল। আশপাশের গ্রামের মানুষও ছুটে এসেছিলেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ক্ষোভ আদিবাসী সংগঠনের

    Balurghat: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি? ক্ষোভ আদিবাসী সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে (Balurghat) প্রথম থেকেই রিপোর্টে তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আড়াল করে রাখা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। তা নিয়ে আগেই সরব হয়েছিল আদিবাসী সংগঠনগুলি। এবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার দাবিতে আগামী ২২ মে ফের বাংলা বন্‌ধের ডাক দিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।

    কেন বাংলা বন্‌ধ?

    গত মাসেই বাংলা বন্‌ধ পালন করেছে সেঙ্গেল অভিযান। কিন্তু তার প্রভাব উত্তরবঙ্গ (Balurghat) ও দক্ষিণবঙ্গের মাত্র কয়েকটি জেলাতেই পড়েছিল। তবে এখনও দণ্ডি কাণ্ডে কাউকে গ্রেফতার না করায় এবারের বন্‌ধ আরও জোরদার ভাবে পালন করতে তৈরি হয়েছে আদিবাসী সংগঠন। বালুরঘাট ব্লক সভাপতি অমল মার্ডি বলেন, এবারের সারা বাংলা বন্‌ধে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতে এর প্রভাব আপনারা দেখতে পাবেন। পুলিশ যেভাবে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে, এর জবাব এবার রাস্তাতে দেবে মানুষ, এমনটাই দাবি আদিবাসী সংগঠনের।

    আদিবাসী সংগঠনের বক্তব্য

    সংগঠনের দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলা পরগণার নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, রাজ্য জুড়ে আদিবাসীদের উপর নির্যাতন হয়, আর পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে থাকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পরে আদিবাসীদের দিয়ে দণ্ডি কাটানো নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডাকলেও তাঁকে গ্রেফতার না করেই ছেড়ে দিয়েছে। আদিবাসী সংগঠনের দাবি, নির্যাতনকারী ওই নেত্রীকে গ্রেফতার করতেই হবে। এছাড়াও আগে কুমারগঞ্জের এক আদিবাসী দম্পতিকে ডাইনি চিহ্নিত করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে ওই পরিবার বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছে। অথচ সেখানকার পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া, বাড়ি ফেরানোর ব্যাপারে কোনও উদ্যোগই নেয়নি। পুরুলিয়া ও জামবনিতেও একই ভাবে আদিবাসীদের উপে অত্যাচার হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই রাজ্যজুড়ে আদিবাসী সমাজের উপর অত্যাচারের বন্‌ধের পথে যেতে বাধ্য হচ্ছি আমরা, এমনটাই মন্তব্য করেন ওই নেতা।

    পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদিবাসীরা

    গত ৭ এপ্রিল তপনের গোফানগরের (Balurghat) কয়েকজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে মাফ চাইতে বলে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। দণ্ডি কাণ্ডের পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাষ্ট্রপতি, জাতীয় মহিলা কমিশন, এসটি কমিশন থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আর তার ভিত্তিতে জাতীয় এসটি কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করে৷ এরপর কিছুটা নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ওই তলবের পরেই পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের জামিন হয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদেই সারা রাজ্যব্যাপী বন্‌ধ ও অন্যান্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে আদিবাসী সংগঠনগুলি। বিজেপির আদিবাসী বিধায়করাও রাজ্যপালের কাছে এনিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছেন। কিন্তু তারপরেও মূল নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে সরব আদিবাসীরা। অবশেষে সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আদিবাসী মহিলাদের সাথে একান্তভাবে কথা বলেন। তার পরেই রাতারাতি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয় এবং পরে আবার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠায় তাঁকে। কিন্তু এতেও খুশি নয় আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। গ্রেফতারের দাবিতে  তাই এবার ফের বাংলা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে ওই সংগঠন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh in Egra: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh in Egra: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধীকে সঠিক সাজা দেওয়া হচ্ছে না। “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড” দেওয়া হচ্ছে। তাই এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এআইএ তদন্ত প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Egra)। এদিন তিনি কার্যত বিনা বাধাতেই এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এরপরই গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।

    এগরায় দিলীপ যা বললেন

    এদিন বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Egra) বলেন, “যে ধরনের ধারা দেওয়া হয়েছে, আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম, সাধারণ পাড়ায় মারপিট করলেও এর চেয়ে কঠিন ধারা দেওয়া হয়। আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করলে এর থেকে কঠিন ধারা আমাদের দেওয়া হয়। পুরো সমাজবিরোধী কাজ হয়েছে।” স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন, “স্থানীয়রা বলছে ২২ জন মারা গিয়েছেন। এর আগেও ওরা অপরাধ করেছে। এত বড় বিস্ফোরণ হল আর কোথাও বিস্ফোরণের ধারা নেই। দুমাস বাদে জামিন পেয়ে চলে আসবে। আবার বিজনেস শুরু হয়ে যাবে। আমার মনে হয় রাজ্য সরকার ও পুলিশ চাইছে এই ধরনের কাজ বন্ধ না হোক। পরোক্ষে ওরা সাপোর্ট করছে।”

    বিনা বাধায় ঘটনাস্থলে যান দিলীপ

    এদিন সংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh in Egra) সঙ্গে ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ কুমার চক্রবর্তী ও জেলা কমিটির সভাপতি সুদাম পন্ডিত। বোমা বিস্ফোরণে মৃত মাধবী বাগ ও অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। বুধবারই এগরায় গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া। শুনেছিলেন চোর চোর স্লোগান। কার্যত তাড়া খেয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তবে বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতাদের তেমন কোনও পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। তাঁরা এলাকায় গিয়ে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন।

    আরও পড়ুন: অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

    এগরায় বিস্ফোরণ স্থল ঘুরে দেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন তিনিও।  এমনকি আগামী দিনে এগরা থেকে মহা মিছিলের ডাক দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ব্লকে খাদিকূল গ্রামে একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা এই ঘটনায় হতাহত হন। বাজি তৈরির নাম ওই কারখানায় বোমা তৈরি হতো বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিনা নথিতে কিভাবে দিনের পর দিন এভাবে বাজি তৈরি হতো তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে”, বেসুরো অর্জুন সিং

    Arjun Singh: “পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে”, বেসুরো অর্জুন সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও বারাকপুরে কিছুটা হলেও কোণঠাসা সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে তাঁর কোন্দল এখন একেবারে প্রকাশ্যে। দলের সাংসদ হওয়ার পরও তাঁর অনুগামীরাও কার্যত কোণঠাসা। তাতে দলের প্রতিও তিনি কিছুটা অসন্তুষ্ট। এই পরিস্থিতি এগরা নিয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    এগরা বিস্ফোরণে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে কী বললেন অর্জুন (Arjun Singh)?

    বৃহস্পতিবার বারাকপুর মহকুমার রিলায়েন্স জুটমিলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, পুলিশ নিস্ক্রিয়! তাই এগরার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে আরও মানবিক হতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী বারবার পুলিশকে মানবিক হওয়ার পরামর্শ দেন। পুলিশ সেই নির্দেশ মানলে কখনও এগরার ঘটনা ঘটত না। আর এরাজ্য বলে নয়, দেশের সব রাজ্যের পুলিশকে সাধারণ মানুষ তাদের শত্রু ভাবে। তাই, কোথাও কোনও গণ্ডগোল হলে পুলিশ সময়ে গেলে বা পরে গেলে তাদের দেখে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাফিলতির জন্যই এগরার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এটা শুধু আমি বলছি না, মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন।

    এগরায় মানস ভুঁইয়াকে বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে কী বললেন বারাকপুরের সাংসদ(Arjun Singh)?

    মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াদের এগরায় বিক্ষোভ দেখানো প্রসঙ্গে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, এমনিতেই এগরায় এতবড় ঘটনা ঘটেছে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর যার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সে আমাদের দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল। ফলে, এলাকাবাসীর একটা ক্ষোভ ছিল। এতবড় ঘটনার তিন-চারদিন পর দলের নেতারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবে সবকিছু মিটে যাওয়ার পর দলের নেতাদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আমাদের গালাগালি দিচ্ছেন। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। নাহলে বারে বারে এরকম ঘটনা ঘটবে। আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে।

    এছাড়াও এদিন জুটমিল মালিকদের অর্জুন সিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোনওরকম শ্রমিক স্বার্থে আঘাত লাগলে আন্দোলন এবং ধর্মঘট চলবে। কখনও হালকা আন্দোলন, আবার কখনও শ্রমিকদের ধর্মঘট করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা, তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা, তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ভাইপোর নবজোয়ার যাত্রা তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ভাষাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাঁকুড়া সিমলাপাল রাজবাড়ি প্রাঙ্গণের জনসভায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশকে ঠুকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,  “সভাটা হলো তো”! এদিন সভায় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল।

    অভিষেককে ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

     নাম না করে অভিষেককে আক্রমণ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ” কয়লা ভাইপো বৃহস্পতিবার জেলায় আসছেন, যেখানেই যাচ্ছেন তাঁর অত্যাচারের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, যান চলাচল বিপর্যস্ত হচ্ছে। ভাইপোর বিশালাকার গাড়িকে সুরক্ষা দিতে তোলা হচ্ছে বিদ্যুতের তার। কয়লা ভাইপোর এই নবজোয়ার যাত্রা তিহারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে”। শুভেন্দুর অভিযোগ,” জেলায় জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্পের প্রত্যেকের মানুষের প্রতিদিন মাথাপিছু ৭০ লিটার বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার কথা। কিন্তু সারেঙ্গা থেকে সিমলাপাল আসার সময় দেখে এলাম একটা করে নলকূপে জল নিতে মা, বোনেরা দীর্ঘ লাইন দিচ্ছে। অথচ ভাইপোর জন্য বিদেশ থেকে জল আসছে, মিনারেল ওয়াটারে স্নান হচ্ছে। এখানে বালির ভাগের টাকা রয়েছে। তাই, ভাইপোকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সহযোগী ছিলেন বিনয় মিশ্র। ২০১৮ সালে এখানে নমিনেশন জমা দিতে দেয়নি এখানকার বিধায়ক কয়লা চক্রবর্তী সাঙ্গোপাঙ্গোরা। চাকরির দুর্নীতিতে কালেক্টর নিয়োগ করা হয়েছিল। শ্যাম মুখোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর বলেছিলেন, ৫২৮ জনের কাছ থেকে চাকরির জন্য প্রচুর টাকা নেওয়া হয়েছিল। বিনয় মিশ্রকে সেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই পরিবারগুলি আমাকে হারিয়ে দিল। একে একে চোরেরা জেলে যাচ্ছে। কোনও চিন্তা নেই এখানকার চোরেরাও একই পথের পথিক হবে” ।

     কুর্মি আন্দোলন নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন,” আদিবাসী মাকে সারা ভারতবর্ষের মা করেছেন মোদিজি। সেই আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়েছে তৃণমূল। কুর্মি মণ্ডল কমিশনের মর্যাদা পায়নি। সাম্প্রতিক রাজ্যে যে কুর্মি আন্দোলন হচ্ছে তা বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে, তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে। এখানে আসার পথে আমাকে হরিণটুলিতে কুর্মি ভাইয়েরা আমাকে থামিয়েছিলেন, আমি গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি যে রাজ্য সরকার যদি এটার বিল নিয়ে আসে তাহলে আমার ভূমিকা আছে”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আগামী দিনে যখন রাষ্ট্রবাদী সরকার গঠিত হবে তখনই রাজ্যে যেটা হবে সেটা হলো সবকা সাথ, সবকা  বিকাশ”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambag: ৭ কোটি টাকার ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে দুর্নীতি? কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

    Arambag: ৭ কোটি টাকার ‘গ্রিন সিটি’ প্রকল্পে দুর্নীতি? কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার গ্রিন সিটি প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক প্রকাশ্যে জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ কিছুই হয়নি। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ বিরোধী দলগুলির। কাজ না হওয়ায় সরকারি বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে সোলার প্যানেল খোলার আবেদন জানানো হল পুরসভাকে। পুরসভার (Arambag) বর্তমান তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিগত তৃণমূল বোর্ডের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

    বিদ্যালয়গুলি সোলার প্যানেল খুলে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে

    আরামবাগ (Arambag) পুরসভার উদ্যোগে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সহায়তায় গ্রিন সিটি প্রকল্পে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সোলার প্যানেল বসানো হয়। ৭ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার প্রকল্পে পুরসভার বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয় সহ রাস্তাঘাটে সৌর আলো লাগানো হয়। আরামবাগ পুরসভা থেকে ই টেন্ডার করে ঠিকাদারের মাধ্যমে এই কাজের বরাত দেওয়া হয়। সেইমতো আরামবাগ শহরে অবস্থিত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর কাজও হয়। কিন্তু উদ্বোধনের ফলক থাকলেও জ্বলেনি আলো, চলেনি পাখা। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়গুলি সোলার প্যানেল খুলে নেওয়ার লিখিত আবেদন জানিয়েছে আরামবাগ পুরসভায়। সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প কার্যকর না হওয়ায় বিরোধী দলগুলিও পুরবোর্ডের দিকে আঙুল তুলেছে।
    উল্লেখ্য, আরামবাগ পুরসভা এলাকার ৩৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, ১১ টি আপার প্রাইমারি ও হায়ার সেকেন্ডারি বিদ্যালয়ের ছাদে সোলার প্যানেল বসে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬৪.৪৬ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন। যা এই সমস্ত বিদ্যালয় ছাড়াও আরামবাগ পুরসভার স্টিট লাইটে ব্যবহার করা হবে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে আরামবাগ পুরসভা থেকে গ্রিন সিটি প্রকল্পে সোলার বিদ্যুৎ প্যানেলের জন্য ই টেন্ডার হয়। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কাজও শুরু হয়। অডিট রিপোর্টে দেখা যায়, ২৭.০৪.২০১৯ তারিখে গ্রিন সিটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওই তারিখেই ফাইনাল পেমেন্ট হয়ে গেছে।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    গ্রিন সিটি নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন সময় আরটিআই-এর মাধ্যমে পুরসভায় (Arambag) জানতে চেয়েছে, কত টাকা মঞ্জুর হয়েছে, কাজটি কীভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু পুরসভা থেকে কোনও RTI এর সদুত্তর দিতে পারেনি। এমতাবস্থায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে সরজমিনে তদন্ত শুরু করতেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিদ্যালয়ের ছাদে কোথাও সোলার প্যানেল লাগানো আছে। কিন্তু মেশিন ও ব্যাটারি নেই। কোথাও বা সোলার প্যানেল লাগানোই হয়নি। কোনও কোনও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। তবে আরামবাগ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশচন্দ্র রায় মুখ খুলেছেন। কয়েক মাস আগেই গ্রিন সিটির প্রকল্পের সৌর বিদ্যুতের সোলার প্যানেল খোলার দাবিতে প্রায় ৩০ টি বিদ্যালয় পুরসভাকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। বিদ্যালয় থেকে কেউ কেউ তো সরাসরি অভিযোগ করেছেন, সোলার বিদ্যুৎ পাননি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ছাদে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসানোয় ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    নয়ছয়ের অভিযোগে কী বললেন চেয়ারম্যান (Arambag)?

    ইতিমধ্যেই বিরোধী দল বিজেপি ও সিপিএম গ্রিন সিটি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি তো সরাসরি কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। যদিও এই নিয়ে আরামবাগ (Arambag) পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারি বিগত পুরবোর্ডের দিকেই আঙুল তুলেছেন। আর বিগত আরামবাগ পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান তথা বর্তমান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলা্র, আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপনকুমার নন্দী বলেছেন, এটা বিরোধীদের অপপ্রচার। তিনি বলেন, আগেই অডিট হয়েছে। সেই রিপোর্ট পুরসভায় আছে। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, যাদের যা স্বভাব তাই করেছে। তদন্ত হবে, অবশ্যই আইন অনুযায়ী দোষীরা শাস্তি পাবে। আইনের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। ইতিমধ্যেই আমরা অভিযোগ জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    TMCP: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বন্ধ হল পরীক্ষা, নিয়ন্ত্রণে কলেজে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা চলাকালীন তৃণমূলের দুই ছাত্র ইউনিয়নের (TMCP) সংঘর্ষে রণক্ষেত্র শান্তিপুর কলেজ। অবাধে চলল ভাঙচুর! পরীক্ষা দিতে পারল না একাধিক ছাত্র। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর কলেজে।

    শান্তিপুর কলেজে কী হয়েছিল?

    প্রথম সেমেস্টারের বাংলা পরীক্ষা ছিল কলেজে। কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ থেকে ১০৮০ জন ছাত্র পরীক্ষা দিতে এসেছিল শান্তিপুর কলেজে। অভিযোগ ওঠে, পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎ কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য বাইরে থেকে বেশ কিছু লোক নিয়ে জোর করে শান্তিপুর কলেজের মধ্যে প্রবেশ করতে যায়। আর তাতে কলেজে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দেয়। এরপরেই রক্ষীদের ধাক্কা মেরে জোর করে তারা কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় প্রবল হাতাহাতি। সময় গড়াতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা কলেজ চত্বর। এরপর চলে কলেজের মধ্যে ভাঙচুর। আতঙ্কে অনেকে পরীক্ষা না দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

    পরীক্ষা না দিতে পারা ছাত্রদের বক্তব্য

    কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের এক পরীক্ষার্থী সায়ন চক্রবর্তী বলেন, হঠাৎ করে শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল সমর্থকরা অধ্যাপকের সামনেই লোহার রড দিয়ে ছাত্রদের মারধর করতে আসে। অধ্যাপকরা ভয়ে চুপ করে ছিলেন। সেই কারণে আমরা ভয়ে ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারিনি।

    নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্য

    ওই কলেজের নিরাপত্তারক্ষী সুধীর্ময় ঘোষ বলেন, হঠাৎ করে প্রথমেই কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সমর্থকরা কলেজের ভিতর জোর করে ঢুকতে চায়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের সঙ্গে দাদাগিরি শুরু করে এবং ধাক্কা দিয়ে কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।

    শান্তিপুর কলেজের তৃণমূল সমর্থকদের বক্তব্য

    শান্তিপুর কলেজ ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মী তথা নদিয়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রাক্তন সভাপতি রূপম কর বলেন, যে সময় এই ঘটনাটি ঘটে, তখন আমাদের ইউনিয়নের কেউ এখানে উপস্থিত ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, পুরোটাই ভিত্তিহীন। তার কারণ, সাধারণ ভাবেই পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থী ছাড়া কলেজের ভিতর কারও প্রবেশ করার অনুমতি থাকে না। কলেজে যারা ভাঙচুর করেছে, তারা কারা! সেগুলো তদন্ত করে দেখতে হবে।

    পরীক্ষকের বক্তব্য

    কলেজে পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, যখন ঝামেলা হয়, তখন আমি ঘরের মধ্যেই ছিলাম। সুতরাং বাইরে কী নিয়ে দুপক্ষের (TMCP) ঝামেলা হয়েছে, সে বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। বাইরে এসে দেখলাম বেশ কিছু কলেজের গাছের টব এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কারা জড়িত, কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে এখনই সঠিক কিছু বলা যাবে না। তবে প্রতিদিন পুলিশ-প্রশাসন পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে উপস্থিত থাকে। আজ কেন ছিল না, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি। পরবর্তীকালে ঘটনার তদন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ করবে বলেই জানান তিনি। তবে এই ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চলাকালীন কেন প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ভরদুপুরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পোশাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক যুবক। এনিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বিজেপির কার্যকর্তারা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে যাচ্ছেন না অভিযোগ জানাতে তাঁর কাছেই আসছেন। মঙ্গলবার এই ইস্যুতে পাল্টা বিবৃতি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি বলেন, ‘‘ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ এবং তিনি রায়নার জোতশ্রীরাম গ্রামের তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য।’’ 

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    মঙ্গলবার বিধাননগরের EZCC-তে কেন্দ্রীয় সরকার একটি চাকরি মেলার আয়োজন করেছিল। সেখানেই হাজির ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে এদিন টেনে আনেন রায়নার প্রসঙ্গ। এবং বলেন, ‘‘পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় ওই ব্যক্তিকে সঙ্ঘের পোশাক পরিয়ে পাঠানো হয়েছিল। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল কারণ টুপিটাও ঠিক করে পড়তে পারেনি সে। এটা প্রশান্ত কিশোরের দুর্বল চিত্রনাট্য। এভাবে কেউ দিনদুপুরে গণবেশ পরে ঘুরে বেড়ায়না। রামগোপাল ভার্মাও এর থেকে ভালো চিত্রনাট্য লেখেন।’’ সঙ্ঘের আধিকারিকদের মতে, নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম ছাড়া গণবেশ পরার রীতি নেই। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করতেও পরতে হয়না গণবেশ। সঙ্ঘের পোশাকের আলাদা গরিমা রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন সংগঠনের আধিকারিকরা।

    সেদিনকার ঘটনা

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে পূর্ব বর্ধমানের রায়না-জামালপুর সড়কের ধারে জোতশ্রীরাম গ্রামের কাছে অভিষেকের কনভয় পৌঁছাতেই তা দাঁড় করান উজ্জল খাঁ নামের এক যুবক। যুবকের পরনে ছিল সংঘের পোশাক সাদা জামা মাথায় কালো টুপি। গাড়ি দাঁড় করিয়ে তিনি অভিষেককে জানাতে থাকেন এলাকার সমস্যা। ওই যুবক বলেন, ‘‘গ্রামের সেতুতে দীর্ঘদিন ধরে আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তবু এর কোন সুরাহা হয়নি।’’ এই ঘটনার পর এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেন যে বিজেপি কর্মীদের তাদের কাছে আসতে হচ্ছে। ঘটনায় রীতিমতো ট্যুইটও করা হয় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল পেজ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে  বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    Kaliyaganj: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি ফেরার ঘটনায় শোরগোল, বাড়িতে বিজেপি ও তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনীয় টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে না পেরে শিশুপুত্রের মৃতদেহ জামাকাপড়ের ব্যাগে ভরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি এনেছিলেন বাবা। সেই অমানবিক ও মর্মস্পর্শী ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য দফতর।

    বিজেপি জেলা সভাপতির তোপ

    রবিবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় উত্তর দিনাজপুর জেলায় (Kaliyaganj)। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার রাতে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়ায় মৃত ওই শিশুর বাড়িতে যায় জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল। পুত্রহারা পিতার কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ শোনেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ এরপরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাসুদেববাবু। তিনি আরও বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নাম হলেও বাস্তবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বলে কিছু নেই।

    তৃণমূল নেতৃত্বের আশ্বাস

    সোমবার মৃত ওই শিশুর বাড়িতে গেল তৃণমূল নেতৃত্বও। মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লতা সরকার দেবশর্মা, জেলা পরিষদের (Kaliyaganj) সদস্য দধিমোহন দেবশর্মা, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গোলাম মোস্তাক সহ অন্যান্যরা অসীম দেবশর্মার বাড়িতে যান। নিজের ছেলের মৃতদেহ ব্যাগে করে কেন আনতে হল সেই খবরও নেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল নেতৃত্ব৷

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। খবরটি পাওয়া মাত্রই আমরা ব্লক অফিসারদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। পরিবারের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, পরিযায়ী শ্রমিক হওয়ার কারণে মৃত শিশুর বাবার (Kaliyaganj) স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। আমরা সেই কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সমব্যথী প্রকল্পের টাকাও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেদিকেও প্রশাসনের নজর থাকবে বলে জানান কিংশুকবাবু।

    গাফিলতির নানা দিক

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে শিশুর মৃত্যুর পর ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়ার সময় অসীম দেবশর্মা অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্তব্যরত এক কর্মী তাঁকে জানিয়ে দেন, বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হবে। কিন্তু মৃত শিশুর (Kaliyaganj) বাবা অসীম দেবশর্মা অভিযোগ করে বলেন, ১০২ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইলে মৃতদেহ বহন করা হয় না বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। কিন্তু আইন বা নিয়ম অনুযায়ী ১০২ নম্বরে ফোন করার পর সাহায্য করা উচিত ছিল। পুরো বিষয় নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন হাসপাতালেরই ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিজস্ব কোনও মৃতদেহ বহনের গাড়ি নেই, এমনটাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

    জলপাইগুড়ির ঘটনায় শিক্ষা নেয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল

    জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কয়েক মাস আগে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ভাড়ার জুলুমের মুখে পড়তে হয় এক বাসিন্দাকে। পরে ছেলেকে বাবার মৃতদেহ কাঁধে করে নিয়ে গ্রামে ফিরতে হয়েছিল। বোঝাই যায়, বারবার একই ঘটনা ঘটলেও কেউই শিক্ষা নেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share