Tag: tmc

tmc

  • Madan Mitra:  রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    Madan Mitra: রাজ্য পুলিশকে একী বললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) । তিনি বেলঘরিয়ায় দলীয় সভায় প্রকাশ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশকে বলছি, আপনারা ভুলে যান তৃণমূল কংগ্রেস শাসকদলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে রথতলায় ৫০টি মাইক বেঁধে সিপিএম সভা করল। আপনার চুপচাপ বসে বসে মজা দেখছিলেন। তবে, সব পুলিশ এক নয়। পুলিশের মধ্যে কিছু চড় রয়েছে। এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,  বিজেপি বাংলার বাজার গরম করলে কিভাবে ঠান্ডা করতে হয় তৃণমূলের কাছে সেই মন্ত্র আছে। প্রয়োজনে সেই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে।বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ জেনে রাখুন আমরা বাংলা চালাই। সিপিএম, বিজেপিকে আপনারা বাবা বলে ভাবলেও ওরা কিন্তু বাবা নয়। মুখ্যমন্ত্রী একধারে পুলিশমন্ত্রীও। শাসক দলের দাপুটে এই নেতার পুলিশ নিয়ে এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কী বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ দলদাস হয়ে কাজ করছে না। কী কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য কামারহাটির কালারফুল বয় (Madan Mitra) করলেন তা তিনি খোলসা করেননি। তবে, দলের অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়নে। আসলে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরোক্ষে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।

    কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে একী বলেন তৃণমূল বিধায়ক? Madan Mitra

    সাগরদিঘিতে বিরোধীদের অশুভ আঁতাত হয়েছে বলে মদন মিত্র (Madan Mitra) বারবার সোচ্চার হয়েছেন। এবার বিরোধীদের অশুভ আঁতাতের বিরুদ্ধে কামারহাটিতে ধিক্কার মিছিল করা হয়। মিছিল শেষে সভা ছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কামারহাটির বিধায়ক( Madan Mitra) বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম মনে রাখবেন এই তিনজনকে বান্ডিলে প্যাক করে প্রয়োজনে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় কি করে তর্পন করতে হয়, ন্যাড়া করতে হয় তা আমরা জানি। এরপর কৌস্তভ বাগচির নাম না করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ন্যাড়া হয়ে   আমাদেরকে ভয় দেখাবেন না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Madan Mitra:  অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    Madan Mitra: অনুব্রতহীন বীরভূমে পঞ্চায়েত ভোটে ফল নিয়ে একী বললেন মদন মিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। কালারফুল বয়। ইদানিং তাঁর বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। দলের অন্দরেই অনেক নেতা প্রকাশ্যে সমালোচনাও করেছেন। কিছুদিন আগে তাঁর একটি বক্তব্য নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাতে ডোন্ট কেয়ার। নিজের মতো করে খোশমেজাজে থাকেন শাসক দলের দাপুটে এই কালারফুল নেতা (Madan Mitra)। অনুব্রতহীন বীরভূমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল কেমন হবে তা নিয়ে দলের অন্দরেই জোর চর্চা চলছে। দুদিন আগেই বীরভূমের নানুরে দলীয় সভায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বেলঘরিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে এসে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, অনুব্রতের নেতৃত্বে সাংগঠনিক ক্ষমতা এমন জায়গায় পৌঁচ্ছে ছিল যে ও নেই মানে অনেকেই ধরে নিয়েছে বীরভূমে আমরা হেরে যাব। এটা বলতে পারি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার বীরভূম সব থেকে ভাল রেজাল্ট দেবে। আমি তো নির্বাচনের সময় ওই জেলায় যেতে পারব না। তবে, দল অনুমতি দিলে আমি বীরভূমের সীমান্ত পর্যন্ত যাব। দল আমাকে ঢোল দিলে আমি বীরভূম সীমান্তে দাঁড়িয়ে চড়াম চড়াম করে ঢোল বাজাব। অনুব্রতের মতো করে এসব কথা বলে ভোটের  কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীদের কী দেওয়ার কথা বললেন মদন মিত্র?

    অনুব্রত মণ্ডলের সৌজন্যে গত কয়েকটি নির্বাচনের সময় গুড় বাতাসা, নকুল দানা, চড়াম চড়াম সহ নতুন নতুন অনেক শব্দে রাজনীতির ময়দানে আমদানি হয়েছিল। শুধু তৃণমূল নেতা কর্মীরা নয় বিরোধী দলের নেতারাও এই সব শব্দ ব্যবহার করে অনুব্রতকে বার বার কটাক্ষ করেছেন। এদিন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, পঞ্চায়েতে দল যেখানে দায়িত্ব দেবে সেখানে যাব। গুড় বাতাসা খারাপ জিনিস নয়। গরমে গ্রামের মানুষকে এখনও গুড় বাতাসা দেওয়া হয়। তবে, পঞ্চায়েতে আমাদের যে সব কর্মীরা গরমের মধ্যে দলের হয়ে খাটবেন, তাদের জন্য গুড় বাতাসা নয়, মিনারেল ওয়াটার দেব। চিলড ওয়াটার দেব। আর অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্যান্ত বাঘের থেকে জখম বাঘ অনেক ভয়ানক। ওরা (পড়ুন বিজেপি) যদি মনে করে একজন অনুব্রতকে আটকে রাখলেই বাংলা ফাঁকা হয়ে যাবে তাহলে ওরা ভুল করছে। কারণ, রাজ্যে একটিই মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি তার ছায়ার সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের মতো লক্ষ লক্ষ কর্মী রয়েছে। ফলে, বিজেপি যে স্বপ্ন দেখছে তা সফল হবে না। আর অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বীরভূমে তৃণমূল ভাল ফল করবে।

    সাগরদিঘিতে দলের ভরাডুবি নিয়ে তিনি (Madan Mitra) মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সাগরদিঘিতে কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম জোট হয়েছিল। রাজ্যে একটি আসন নেই। মানুষের কাছে সহানুভূতি চেয়ে ভোট আদায় করেছে। কার ভোট কোথায় গিয়েছে তা রেজাল্টে তা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। ফলে, মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। এসব জোট করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendhu Adhikari: বগটুইয়ে জমি পেল বিজেপি, ২১ মার্চ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন?

    Suvendhu Adhikari: বগটুইয়ে জমি পেল বিজেপি, ২১ মার্চ যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, কেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বগটুই গ্রামের কথা মনে আছে। বীরভূমের রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর রাতের অন্ধকারে বগটুই গ্রামের একের পর এক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালের ২১ মার্চ নৃশংস এই গণহত্যার জন্য রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল রামপুরহাট শহর লাগোয়া এই বগটুই গ্রাম। এই গ্রাম ছিল তৃণমূলের খাসতালুক। বিরোধীদের কথা বলার সাহস ছিল না।  এবার এই শহিদদের সন্মান জানাতে এই গ্রামে শহিদ বেদি তৈরি করছে বিজেপি। শুধু শহিদ বেদি তৈরি নয়, সেখানে শহিদদের সমবেদনা জানাতে সভাও করবে বিজেপি। এখন যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শহিদ বেদি তৈরির কাজ চলছে। মূলত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শহিদ পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বিজেপি নিজেদের জমি শক্ত করার চেষ্টা করছে বলে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করতে বিজেপি এই চক্রান্ত করছে। যদিও পাল্টা বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যারা শহিদ হবেন, তাঁদের এভাবে সম্মান জানানো হবে।

    ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে বিজেপির শহিদ স্মরণে কারা আসছেন? Suvendhu Adhikari

    তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা বগটুই গ্রামে তান্ডব চালিয়েছিলেন। নিরীহ মেয়ে, শিশু, বৃদ্ধাদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে গণহত্যা করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন। সেই স্বজনহারা পরিবারের সদস্য শেখ বদর নলহাটিতে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendhu Adhikari) হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। শহিদদের সন্মান জানাতেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২২ সালে ২১ মার্চ নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ২১ মার্চকে সামনে রেখে বিজেপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বগটুই গ্রামে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় শহিদ বেদি তৈরির কাজ চলছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendhu Adhikari) সহ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা গ্রামে যাবেন। বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের জেলা সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে আশপাশের চারটি গ্রামের সংখ্যালঘুরা হাজির হবেন। জানা গিয়েছে, স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির দেওয়ালে গড়ে উঠছে শহিদ বেদি। তিনি শহিদ বেদি তৈরি করার জন্যই জায়গা দিয়েছেন। মিহিলাল শেখ বলেন, “গত এক বছর আমরা শান্তি ঘুমতে পারছি না। মা-স্ত্রী-কন্যা সবাইকে হারিয়েছি। এই কষ্ট যেন আর কারও না হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে শহিদ বেদি করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাবে আমি রাজি হয়েছি। ২১ মার্চ  আমরা স্বজনদের স্মরণ করব। তাই যারা আমাদের পাশে দাঁড়াবে তাঁদের সঙ্গে আমরা আছি।

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি এখন সংখ্যালঘু তোষণে নেমেছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে তারা। একটা বিভেদ করতে চাইছে। এলাকার মানুষ জানেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বজনহারাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, তৃণমূল কর্মীরা নিজের দলের কর্মী, সমর্থকদের খুন করেছে। এই কষ্টের দিনে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাইছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের আবহে আজ, মঙ্গলবার কোচবিহারের দিনহাটায় পৌঁছলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিনহাটা পৌঁছেই পুলিশের উদ্দেশে ঝাঁঝালো বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সরাসরি পুলিশের নাম করে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বার্তা, ‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে। সেই সংবিধান মনে করাতেই এখানে আসা।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ”দিনহাটায় আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার পথে বাধা দিলে সেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া হবে।”

    পুলিশকে বিঁধলেন সুকান্ত, নিশীথ

    দিনহাটার বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় সরব সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গত শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় যাওয়ার সময় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকা। চলে গুলি, বোমাবাজি। মন্ত্রীর গাড়িতে হামলাও হয় বলে অভিযোগ। মন্ত্রীর দাবি, তাঁর গাড়িতেও গুলি লাগে। গণ্ডগোলের ঘটনায় দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতি অজয় রায় সহ ২৮ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। সোমবার রাতে ওই সমস্ত বিজেপি নেতা-কর্মীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁদের মনোবল বাড়ান।

    সুকান্ত-দিলীপ একমত

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও নিশীথ প্রামাণিকের মতোই দিনহাটার ঘটনা প্রসঙ্গে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাতে আমরা নির্বাচনে না যাই, না লড়ি। লোক যাতে ভোট না দেয় পঞ্চায়েতে। ফাঁকা মাঠে জিততে চাইছে। ওটা হবে না। মানুষ তৈরি আছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আক্রমণ তো আমাদের উপর বহুবার হয়েছে। এটা সারা দেশ দেখছে, এমন একটা রাজ্য যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও সুরক্ষিত নয়। মাননীয় নাড্ডাজিকেও আক্রমণ করা হয়েছিল। সরকার বলে কিছু নেই। প্রশাসন বলে কিছু নেই।’’

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে বিজেপিকেই এগিয়ে রাখছে বুথ ফেরত সমীক্ষা, মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু!

    রাজ্য প্রশাসনকে এক হাত নেন নিশীথও। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পুলিশ একতরফা কাজ করছে। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্যে পুলিশ পোশাকধারী তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। তারা কী উদ্দেশে আসতে চাইছিল আমাদের কাছে সন্দেহ রয়েছে। পুলিশ যারা এসেছিলেন তাদের কারোর পায়ে হাওয়াই চপ্পল, কেউ বা মাফলার পরে। আবার কারোর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ এই অবস্থায় আসতে পারে না।” পুলিশ এভাবে অত্যাচার করতে পারে না, বলে অভিমত রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজিমদারেরও (Sukanta Majumdar)। আজ দিনহাটার বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। দলের কোচবিহারের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও সুকান্ত মজুমদার বৈঠক করবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী বিজেপির বুথ এজেন্ট হতে চায়! সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী বিজেপির বুথ এজেন্ট হতে চায়! সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির জেরে যাঁরা চাকরি পাননি, সেই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের বিজেপির বুথ এজেন্ট হিসেবে বসাতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরদিঘিতে (Sagardighi) উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ঠিক এমনটাই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার সেখানে গিয়ে তৃণমূলের টাকার পাহাড়ের বিরুদ্ধে ভোট চাইলেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, যাঁদের বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তাঁদের কেন ভোট দেন?

    বহু মহিলা বুথে বসবেন

    মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির পোলিং এজেন্ট হিসেবে বহু মহিলা এগিয়ে এসেছেন। যাঁদের চাকরি না দিয়ে সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁরা বলছেন আমরা বঞ্চিত, আমরা প্রথমবার ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে এজেন্ট হিসেবে বুথে বসব। ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ বুথে বঞ্চিতদের এজেন্ট হিসেবে পেয়ে গিয়েছি আমরা। একশ শতাংশ বুথেই এজেন্ট দেওয়ার আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা নির্বাচন কমিশনারের অবজার্ভারের কাছে দাবি করেছি, বহিরাগতদের যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়। ২৬ এবং ২৭ তারিখ কোথাও যাতে অবাঞ্ছিত জমায়েত না হয়। সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ২০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস এবং অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করেছে কি না, তা দেখতে হবে।”

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    এদিন আম জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেন, “যাদের বাড়িতে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে, তাদের কেন ভোট? তৃণমূলকে ভোট দিলে এই অর্পিতা, পার্থ, মোনালিসা, হৈমন্তীদের বাড়বাড়ন্ত হবে। আপনাদেরকেই ঠিক করতে হবে তৃণমূলকে হারাতে পারবেন কি না। এবার ভোট হবে তৃণমূলের চুরির বিরুদ্ধে। ২৭ তারিখে চুরির বিরুদ্ধে, টাকার পাহাড়ের বিরুদ্ধে ভোট দিন।” বিরোধী দলনেতা বলেন, “কারো কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপ করে জানান। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বিজেপি চায় অবাধ গণতান্ত্রিক ভয়মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন হোক। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন এই নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপোকে খুশি করার জন্য নিজেদের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন।” তবে, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর কড়া জোর দেওয়া হয়েছে বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল তৃতীয় স্থান দখল করবে। শুক্রবার সাগরদিঘিতে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, ‘‘সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূল তৃতীয় স্থানে থাকবে। মানুষ যেভাবে শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে বিজেপির প্রতি আস্থা দেখাচ্ছেন তাতে অবাধে ভোট হলে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। তৃণমূলের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না।’’এদিন সাগরদিঘিতে ভোটপ্রচারে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন শুভেন্দু।

    সংখ্যালঘু ভোটও পাবে বিজেপি

    প্রচার চলাকালীন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একটি গ্রামে নেমে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন শুভেন্দু। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের কে তাড়াবে? চার-পাঁচ পুরুষ ধরে আপনারা রয়েছেন। আপনারা ভারতমাতার সন্তান। কেউ তাড়াবে না!’ বিরোধী দলনেতা এও বলেন, “আপনাদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। তৃণমূল আপনাদের এসব ভুল বুঝিয়েই ভোট নিয়েছে”। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের সমর্থনও আমরা পাব। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করার জন্য এই জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর ব্যাপারে সম্পূর্ণ দায়িত্বটাই নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে।’’

    ভুয়ো ভোটের আশঙ্কা

    আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেই উপলক্ষেই দলীয় প্রার্থী দিলীপ সাহার সমর্থনে কার্যত সাগরদিঘির মাটি কামড়ে টানা প্রচারাভিযানে অংশ নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  শুভেন্দু আশঙ্কাপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘বাংলায় কাজ না পেয়ে অনেক ভোটাররাই পেটের তাগিদে বর্তমানে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। ভোটের দিন সেই সমস্ত ভোটারদের সাগরদিঘিতে না আসার সম্ভাবনাই বেশি। শাসক দল চাইবে সেই সমস্ত ভোটারদের ‘ফলস’ ভোট করাতে। আমরা সব দিকটাই নজরে রাখছি। আমি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দাবি জানিয়েছি যে, ফলস ভোট ঠেকাতে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে বিশেষ মহিলা আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করার।’’

    আরও পড়ুুন: ‘১২টা ৪৮ মিনিটেই হাতে এসে যায়’, মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্র নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    সাগরদিঘি থানার ওসিকে সরাল কমিশন 

    মুর্শিদাবাদে উপনির্বাচনের দুদিন আগে সাগরদিঘি থানার ওসি অভিজিৎ সরকারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তিনি নির্বাচনের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। সেইসঙ্গে অন্য জেলা থেকে সাগরদিঘিতে নতুন ওসি নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে, শুভেন্দু অধিকারী জানান, শুধু সাগরদিঘি থানার ওসিকে নয়, জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডেকেও সরানো দরকার। জেপি নাড্ডার উপরে পাথর ছোঁড়া-কাণ্ডে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে ক্লোজ ছিলেন। তার অর্ডার প্রত্যাহার করাও হয়নি। আমি দাবি করব জেলাশাসক এবং জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ সুপার-এই দুজনকে ইতিমধ্যেই ক্লোজ করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য রাষ্ট্রবিরোধী ও ভিত্তিহীন! সব জানলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাজেট ঘোষণার রাতেই ‘সরকার পড়ে যাচ্ছিল’—মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন,‘‘স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের মন্তব্য করা একেবারেই উচিত হয়নি। সম্পূর্ণ রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য। আমরা যাঁরা জাতীয়তাবাদী, তাঁরা এই মন্তব্যকে গ্রহণ করি না। সরকার পড়ে যাচ্ছিল— এই মন্তব্যের ভিত্তি কী? ওঁর (মুখ্যমন্ত্রী মমতা) কথা কেউ বিশ্বাস করে না।’’

    সত্য প্রকাশ করুন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পর বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমানের সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কাল তো সরকার প্রায় পড়েই যাচ্ছিল! কেন পড়ে যাচ্ছিল? শেয়ার বাজারে ধস নেমে।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘৬-৮ জনকে ফোন করে বলেছে টাকা দাও, মানে যাঁদের শেয়ার পড়ে যাচ্ছিল, তাঁদের দাও। কাউকে বলছে ২০ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে বলেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে ১০ হাজার কোটি টাকা দাও, এই সব বলে সরকার আগলেছে… এই দিয়ে সরকার চলে?”  মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের নিন্দা করে বিরোধী দলনেতার দাবি, অনেক অবিজেপি দল শাসিত রাজ্য সরকারও এই বাজেটকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের প্রেস বিবৃতির কথাও তুলে ধরেন শুভেন্দু।  তিনি বলেন, ”কেবলমাত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যারা বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের মতো মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া বাকি সকলেই এই বাজেটকে প্রশংসা করতে বাধ্য হবে।”

    আরও পড়ুুন: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    আধারশূন্য মন্তব্য

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে আধারশূন্য হিসেবেও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘‘কাকে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনা হোক। এটা যদি উনি খুব সিরিয়াসলি বলে থাকেন একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, তা হলে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন না। কাকে কোথায় টাকা বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছিল, উনি জানান সেটা।’’ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী শুনানিতে যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। মানিক ভট্টাচার্য মামলায় (Manik Bhattacharya Case) এই বলে সিবিআইকে সতর্ক করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল মানিক ভট্টাচার্যের মামলার। ওই দিন শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। এরই প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির সময় যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  

    পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক…

    দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা। সেই মামলার শুনানি ছিল ১৮ নভেম্বর। ওই দিন শুনানিতে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে ২৬ পাতার রিপোর্ট। তদন্ত চলছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের দিকে। বামেদের হটিয়ে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসে ২০১১ সালে। তার পরের বছরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব পান মানিক। ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পদে ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় সরিয়ে দেওয়া হয় মানিককে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সরানো হয় তাঁকে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    কেবল সিবিআই নয়, মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-ও। ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা নগদ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সেলিম লড়বেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে, তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ  বামেদের

    Lok Sabha Election 2024: সেলিম লড়বেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে, তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বামেদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) আরেক দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল সিপিএম। মুর্শিদাবাদ থেকে লড়বেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। উল্লেখ্য প্রথম দফায় ১৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলে বামেরা। এরপর শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। আর ঠিক তারপর আজ শনিবার আরও চারটি আসনে লোকসভা প্রার্থী ঘোষণা করে বামেরা। আজ এই নাম ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। অবশ্য আগে থেকেই সেলিমের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আজ সিলমোহর পড়ল। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটই যে সিপিএমের পাখির চোখ, সেলিমের নাম ঘোষণাই তার প্রমাণ বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

    কোন কোন আসেন প্রার্থীরা (Lok Sabha Election 2024)?

    আজ শনিবার বাম ফ্রন্টের বৈঠকের শেষে চেয়ারম্যান বিমান বসু লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) চারটি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এই প্রার্থীদের মধ্যে হলেন— মুর্শিদবাদ কেন্দ্র থেকে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রাণাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে সুকৃতি ঘোষাল এবং বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন প্রাক্তন বিধায়িকা শ্যামলী প্রধান। এখনও পর্যন্ত মোট এই রাজ্যে ২১টি আসনের নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামেরা। এই দফায় শুধু সিপিএম প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এখনে অন্য শরীক দলের কোনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

    জোটে ভবিষ্যৎ?

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফ, কংগ্রেস এবং বামেরা সংযুক্ত মোর্চার নামে নির্বাচনে জোট করে লড়াই করেছিল। ফল স্বরূপ ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকা বামেরা একটিও আসন পায়নি। পাল্টা কংগ্রেসের ঝুলিতেও দাঁড়িয়েছিল শূন্য। শুধু আইএসএফ একটি বিধানসভায় জয়ী হয়েছিল। এইবারেও লোকসভায় বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে সামঝোতা করেই প্রার্থী ঘোষণা হচ্ছে। বিমানবাবু জানিয়েছেন, অনেক আলোচনা করে তালিকা ঘোষণা করতে হচ্ছে। তবে এই রাজ্যে বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠকে মমতা-অভিষেক এবং সীতারাম ইয়েচুরিকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। ফলে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে নির্বাচনে কতটা সরব হবেন বামেরা তা নিয়ে বিজেপি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসের মধ্যে অলিখিত জোট হয়েছে। গতকাল বলাগড়ের সভায় শুভেন্দু,অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, “সিপিএম, তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতে ভোট (Lok Sabha Election 2024) কাটার জন্য প্রার্থী দিচ্ছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ‘গনি খান চৌধুরী ঈশ্বর নন’, তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল

    Malda: ‘গনি খান চৌধুরী ঈশ্বর নন’, তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রাইহান এবার গনি খান চৌধুরি সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, “গনি খান ঈশ্বর নন, মনে আছেন ঠিক আছে, তাঁকে দেবত্বের আসনে না বসালে অপমান হবে এমন কোনও ব্যাপার নেই।” মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতা গনি খানের নামে আগের বারের তৃণমূল প্রার্থী মৌসন নুর জয়ী হয়েছিলেন। এই বিদায়ী সাংসদের পরিবারের নেতার নামে এই মন্তব্য, তৃণমূলের অন্দরে ফাটল নয় তো? রাজনৈতিক মহলে এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। যদিও মৌসুম নুর এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেননি। গনি খান আবগে ধাক্কা দিলেন না তো তৃণমূল প্রার্থী?

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী (Malda)?

    মালদা (Malda) দক্ষিণ লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রাইহান বলেন, “আমার কাছে গনি খান চৌধুরী ঈশ্বর নন। মালদায় আসলেই মাথা ঠেকাতে হবে। তিনি আমার মনে রয়েছেন। কিন্তু তাঁকে দেবত্ব বানিয়ে কেন তুমি মাজারে গেলে না, অপমান করলে, এই রকম যুক্তি মানি না।”

    তৃণমূলে কী ফাটল?

    বিগত নির্বাচনগুলিতে কংগ্রেস নেতা গনি খানের মৃত্যুর পর তাঁর নামেই পরিবারের সদস্যরা নির্বাচনে লড়াই করেছেন। গতবারের বিদায়ী লোকসভার (Malda) প্রার্থী ছিলেন এই পরিবারের সদস্যা মৌসম নূর বেনজির। যদিও তিনি মূলত কংগ্রেসের নেত্রী হলেও পরে দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করে নির্বাচনে লড়াই করে ছিলেন। এই বারে তাঁকে দলের তরফ থেকে টিকিট না দেওয়ায় এখনও নির্বাচনী প্রচারে দেখা মেলেনি। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কথা বললেও দলের বিরুদ্ধে যে অভিমান করেছেন সে কথা রাজনীতির অনেক বিশ্লেষক মনে করেছেন। কিন্তু এই আবহে তৃণমূল প্রার্থীর মুখে গনি খান সম্পর্কে মন্তব্যে দলের অন্দরের ফাটল আরও চওড়া হল না তো? প্রশ্ন এখানেই।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    মালদা (Malda) দক্ষিণ লোকসভার কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী বলেছেন, “তৃণমূল প্রার্থী মালদা সম্বন্ধে বেশি কিছু জানেন না। গনি খান একজন মানুষ। ভগবান নয়। কিন্তু সবাই ওঁকে শ্রদ্ধা করেন, ভালবাসেন। উনি মালদা জেলার জন্য অনেক কিছু করেছেন। চাকরি দিয়েছেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার বিজেপির নেতারা বলেছেন, “গনি খান মালদার (Malda) জন্য অনেক কাজ করেছেন। আমরা বিজেপি কর্মীরাও একই কথা বলব। তবে তাঁর উত্তরসুরীরা কোনও কাজ করেননি। রূপকার গনি খানকে মিথ করেছে কংগ্রেস। কাজের কাজ কিছু করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share