Tag: tmc

tmc

  • Nandigram dibas: নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Nandigram dibas: নন্দীগ্রাম শহিদ দিবসে সন্দেশখালির নারী নির্যাতন প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৪ মার্চ হল নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস (Nandigram dibas)। ২০০৭ সালে তৎকালীন বাম শাসনের রক্তচক্ষুর প্রত্যক্ষ শিকার হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। খুন, ধর্ষণ, জমি লুট কী হয়নি। আজ এই দিনকে স্মরণ করে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে নন্দীগ্রামের নারী নির্যাতনের সঙ্গে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। পাশপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামজিক মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।

    কী বলেন শুভেন্দু (Nandigram dibas)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) সেই দিন মা-বোনের ভূমিকা দেখেছি। এখন তৃণমূলের শাসনে সন্দেশখালিতে মা-বোনদের অবস্থা দেখেছি। সেই দিনও জোর করে জমি দখল করা হয়েছিল। আজও জোর করে চাষের জমি দখল করে নিয়েছে। খেজুরি থানায় কয়েকশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ। মমতা পুলিশ আর বামশাসনের পুলিশের মধ্যে কোনও আচরণ গত পার্থক্য নেই। নির্যাতনই তাঁদের শেষ কথা।”

    কী ঘটেছিল

    ২০০৭ সালে রাজ্যে বাম শাসন চরম শিখরে। এরপর কেটে গিয়েছে ১৬ টি বছর। নন্দীগ্রামে (Nandigram dibas) ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনকারীদের উপর বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ নির্মম গুলি চালিয়েছিল। মারা গিয়েছে ১৪ জন মানুষ। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই দিনকে নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস পালন করা হয়। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি, তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলে, নন্দীগ্রামে যেমন বাম শাসকেরা অসহায় মা-বোনের উপর অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ করেছে, ঠিক এক দশকের বেশি সময় ধরে মা-মাটি-সরকারও এই রাজ্যে একই আচরণ করে চলেছে। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ছবিটাও নন্দীগ্রামের চিত্রকেই উপস্থাপন করে।

    কী বললেন মমতা?

    আজ নন্দীগ্রামের শহিদ (Nandigram dibas) দিবসে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলেন, “সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীর অত্যাচারে নিহত সকল শহিদদের প্রণাম জানাই। কৃষক ভাইবোন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। নন্দীগ্রামের এই শহিদ দিবস, কৃষক দিবস হিসাবেও পালিত হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদে, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অঞ্চল সম্মেলন করেন। বস্তুতপক্ষে, এদিনের অঞ্চল সম্মেলন পাড়া বৈঠকের রূপ নেয়। এদিন বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকায় সুকান্ত মজুমদার দেওয়াল লিখন করেন। এরপর কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী প্রচারও সেরে নেন তিনি।

     অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাতে জায়গা দেব না (Sukanta Majumdar)

    এদিন একইভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে অঞ্চল সম্মেলনের পাশাপাশি পাড়া বৈঠক ও নির্বাচনী প্রচার করেন তিনি। এদিন এই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তিনি কথা বলেন। সিএএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। CAA মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও নাগরিকত্বতা নষ্ট হবে না। সব থেকে কথা হচ্ছে CAA হচ্ছে অপশনাল। আপনি চাইলেই আবেদন করতে পারেন, না চাইলে আপনি আবেদন করবেন না। কিন্তু, আমাদের বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। CAA লাগু হয়েছে, যাদের ইচ্ছে হবে তারা CAA তে আবেদন করবে। বাংলায় অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলাতে শরণার্থীরা স্বাগত। কিন্তু, অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাতে জায়গা দেব না। এই দেশ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল, এটাই সত্যি। আর এটাই আমাদেরকে মানতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    ফের শাহজাহানকে নিয়ে তৎপর ইডি

    সন্দেশখালিতে ইডি হানা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “শেখ শাহজাহান তো বিশাল বড় একটা চক্র চালাত। দেখতে পাচ্ছেন না শাহাজানকে বাঁচানোর জন্য কত চেষ্টা। এখন ইডি ধরেছে। এখন শেখ শাহাজানকে তাজমহল দেখাবে ইডি। দেখবেন সব বেরিয়ে আসবে। শাহজাহানের টাকা বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। কারণ, চিটফান্ডের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাওয়ার অভাব আছে, বাংলার মানুষকে বোকা পেয়েছেন নাকি। ৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাঁদের খাওয়ার অভাব? খাওয়ার অভাব এসে দেখুক, বাংলার গ্রামে গঞ্জের মানুষদের। সুখে আছেন তো বুজতে পারছেন না, গরিব সাজার নাটক করছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: তৃণমূলকে হারিয়ে তমলুকের সমবায়ে বিজেপির বিরাট জয়

    Tamluk: তৃণমূলকে হারিয়ে তমলুকের সমবায়ে বিজেপির বিরাট জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তমলুক (Tamluk) লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি বনাম তৃণমূলের ব্যাপক লড়াই। আসন্ন লোকসভার দিন তারিখ ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক উত্তেজানার পারদ এখন চরম তুঙ্গে এই লোকসভা কেন্দ্রে। এই আবহের মধ্যে ধাক্কা খেল তৃণমূল, জয়ী হল বিজেপি। তমলুক শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পদুমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল বুধবার। মোট ১২টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। এই নির্বাচনে বিজেপির জয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। 

    ৮ আসনে জয় বিজেপির (Tamluk)

    শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পদুমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জানা গিয়েছে মোট ৮টি আসনে জয় লাভ করেছে বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছে ৪ টি। তমলুকের (Tamluk) পদুমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪৫। মোট ৫ টি গ্রাম, যার মধ্যে হল পদুমপুর, ঘোড়াঠাকুরিয়া, ধূর্পা, রাজগোদা এবং পোলন্দা। সবকটাই এই সমবায় সমিতির মধ্যে পড়ে।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Tamluk) বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই জয় সম্পর্কে বলে হয়েছে, “আসন্ন লোকসভার আবহে এই জয় বিজেপির জন্য দারুণ খুশির খবর। লোকসভায় এই কেন্দ্রে বিজেপির ফল ভালো হবে। তৃণমূলকে ব্যাপক মার্জিনে হারতে হবে। তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অত্যচার মানুষকে ভিতর থেকে জাগিয়ে তুলেছে। মানুষ তৃণমূলকে বর্জন করবে।”

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তমলুক সফর

    তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও বিজেপির তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও নাম ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রাক্তন বিচারপতি তমলুকে (Tamluk) গিয়ে দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শুরু করেছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ‘তৃণমূলকে একটিও ভোট নয়’ বলে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ফলে এই সমবায়ের জয় বিজেপিকে ব্যাপক অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।  

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেবে না, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেবে না, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুনের (Babun Banerjee) ‘ব্যক্তিগত কাজিয়া’য় বিজেপিকে যাতে না জড়ানো হয়, তা নিয়ে ‘সতর্ক’ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার বিকেলে নদিয়ার রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে প্রচার সভা শেষে শুভেন্দু জানান, বাবুনের জন্য কখনওই বিজেপির দরজা খোলা ছিল না। বাবুন চাইলেও তাঁকে দলে নেবে না বিজেপি৷ 

    কী বললেন শুভেন্দু

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় গত দু’দিন ধরে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে তিনি দাবি করলেন, বাবুনের বিজেপি যোগের সব প্রমাণ তাঁর মোবাইল ফোনে আছে। বিজেপির বিরুদ্ধে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করলেই তিনি সেই প্রমাণ ফাঁস করে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘চোরেদের পরিবারের কাউকেই বিজেপি নেবে না! বাবুন বলছে, আমি বিজেপিতে যাব না। আমি বলছি, বিজেপি (BJP) আপনাকে নেবে না। বিজেপি ওই পরিবারকে চোর বলেছে, ওই পরিবারের কাউকে বিজেপি নেবে না। গত দু’দিন বিজেপির সঙ্গে আপনি যা করেছেন, তার সবই আমার মোবাইল ফোনে রয়েছে। আপনি যদি বিজেপিকে নিয়ে কোনও কথা বলেন, হাটে এমন হাঁড়ি ভাঙব, পরের দিন আর মুখ দেখাতে পারবেন না।’’

    বাবুন-মমতা বিরোধ

    হাওড়া কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ নয়, বলে প্রকাশ্যে মত দেন বাবুন। তিনি বলেন, সেখানে অনেক যোগ্য প্রার্থী ছিল। তাই হাওড়া কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়াবেন তিনি। বাবুনের এই মন্তব্যের পরই তাঁর দিদি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ভাইয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছেন তিনি৷ বাবুনের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অতীতেও অভিযোগ এসেছে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া অবস্থানের পর অবশ্য সুর বদলায় বাবুনের৷ এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাবুনকে বলেছিল, ভাই তোকে এমপি (সাংসদ) করব! ভাইয়ের সঙ্গে চুক্তি ছিল, ২০২১ সালে তাঁকে এমপি করবে। ২০২৪ সালে ভাইকে এমপি টিকিট দেয়নি। একটু ভাগ বাটোয়ারায় কম পড়েছে। তাই এ সব বলছে। আর বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা কথা বলে দিই— পিসিকে যা বলার বলুন। মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আর দিদি নেই। যখন দিদি ছিলেন তখন আমি ওঁর দলে ছিলাম, এখন উনি পিসি। ঠগি পিসিকে যা পারেন বলুন, বিজেপির কথা তুলবেন না।’’

    আরও পড়ুন: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    মমতার পরিবারতন্ত্র

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পরিবারতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেন তার উদাহরণ দিয়ে এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘২০১১ সালের (Lok Sabha Election 2024) পরে কালীঘাট রোড ও হরিশ মুখার্জির স্ট্রিট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার দখল করেছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ কোনও পদে ছিলেন না। একে একে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা পেয়েছেন। তৃণমূলের স্পোর্টস সেলের সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাউন্সিলর করেছে, ভাইপোকে দিল্লি থেকে উড়িয়ে নিয়ে এসে প্রথমে সাংসদ, পরে মালিক করে দিয়েছে, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অফ কোম্পানি করে দিয়েছে। এর সঙ্গে যত স্পোর্টসের জায়গা আছে, মোহনবাগান ক্লাব বলুন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বলুন, বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশন বলুন, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেককে বসিয়েছে। খেলাধুলার মানুষদের সরিয়ে দিয়েছে। হকির মাঠ থেকে শুরু করে এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে দখল করেনি এই পরিবার এবং সম্পূর্ণ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kajal Sheikh: লোকসভা ভোটের সময় কীভাবে ভোট করাবে তৃণমূল? কেষ্টকেই কি অনুসরণ কাজল শেখের?

    Kajal Sheikh: লোকসভা ভোটের সময় কীভাবে ভোট করাবে তৃণমূল? কেষ্টকেই কি অনুসরণ কাজল শেখের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট করানোর কৌশলে কাজল শেখ (Kajal Sheikh) কি অনুব্রতকেই অনুসরণ করবেন? ব্যক্তি বদলে গেলেও তৃণমূলের কৌশলের কোনও বদল হচ্ছে না। গরু পাচারকাণ্ডে তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ভোটের মুখে তাঁর মুখেই শোনা যেতো ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে, চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে।’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমে ভোট হবে এই নিয়ে জেলার রাজনীতির আঙ্গিনায় শোরগোল পড়ছে। তবে কেষ্ট বিহনে দলের দায়িত্ব কাজল শেখের হাতেই যে থাকবে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও কীভাবে ভোট হবে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন কাজল। আজ কঙ্কালিতলায় তৃণমূল কর্মীদের নিদান দিলেন ঠিক কী কী করতে হবে।

    কী বললেন কাজল (Kajal Sheikh)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের আসন ভোট প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (Kajal Sheikh) বলেন, “ভোটের সময় আমাদের টার্গেট কী হবে আপনারা শুনুন। কীভবে ভোট করতে হবে আগের দিন আমরা জানিয়ে দেবো। এই বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলানায় ১০ হাজার করে লিড বেশি লাগবে। সকলে প্রস্তুত থাকুন। সকলকে এক ছাতার তলায় এসে থাকতে হবে।” ফলে এই মন্তব্যে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন ২০২১ সালের বিধান সভার নির্বাচনের পর রাজ্যে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল সেই পরিবেশ তৈরি হবে না তো! অবশ্য বিজেপি মনে করছে তৃণমূল অঞ্চলে অঞ্চলে সন্ত্রাস না চালালে ১০ হাজার করে লিড দেওয়া সম্ভব নয় তৃণমূলের পক্ষে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বীরভূমে নির্বাচনকে ঘিরে শাসক দলের দৃষ্টিভঙ্গির যে অবস্থান বদল হচ্ছে না তা বিজেপি বুঝতেই পেরেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এক নেতা বলেন, “আগের দিন আর পরের দিন সম্পর্কে স্পষ্ট করে বুঝুন। ওঁর (Kajal Sheikh) ক্ষমতা মমতা বুঝে গিয়েছেন। তাই দলের কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। মানুষ ওঁদের যোগ্য জবাব দেবে। জেলায় বিজেপি বিরাট মার্জিনে জয়ী হবে। ভোটাররা যদি বুথে যেতে না পারে, তার জন্য কী করতে হবে বিজেপি খুব ভালো করেই জানে। ওঁদের সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করবে সাধারণ মানুষ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: অভিযোগ জানাতে লম্বা লাইন, জমি কি আদৌ ফেরত পাবেন সন্দেশখালির সর্বহারারা?

    Sandeshkhali: অভিযোগ জানাতে লম্বা লাইন, জমি কি আদৌ ফেরত পাবেন সন্দেশখালির সর্বহারারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি ফিরে পেতে বিএলআরও অফিসে শত শত মানুষ অভিযোগ নিয়ে লাইনে। আন্দোলনের চাপে সময় বদলাচ্ছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali)। আগে এলাকার মানুষের কোনও অভিযোগ প্রশাসনের কর্তারা শুনতেন না। এমনকী বিএলআরও অফিসের আধিকারিকের কাছে জমি নিয়ে অভিযোগ জানালে সেসব গ্রাহ্যই করা হত না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল। এবার বিএলআরও অফিসে অভিযোগ জানাতে লম্বা লাইন পড়তে শুরু করেছে। ফলে এখন মানুষের অভিযোগ-সমস্যা জানানোর অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। সন্দেশখালির ত্রিমণি বাজার সংলগ্ন এলাকায় ভূমি রাজস্ব দফতরে জমিহারা মানুষ জমি ফেরত পেতে অভিযোগপত্র জমা করছেন। ফলে রাজস্ব দফতরের অফিসের পাশে থাকা ফটোকপির দোকানে ব্যাপক ভিড়।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য (Sandeshkhali)

    এলাকার জমিহারা এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, “প্রত্যেক বছর যতবার দুয়ারে সরকার করা হয়েছে, তাতে হাঁটু পরিমাণ ধূলো জমে গিয়েছে কিন্তু একটাও ফাইল খুলে কাজ করেনি সরকারের আধিকারিকেরা। কোনও পাট্টা দেওয়া হয়নি। এমনকী টাকা দিয়েও কোনও কাজ করা যায়নি।” এলাকার আরও এক ভুক্তভোগী বলেন, “বিএলআরও নিজেই ঠিক করে কাজ করে না। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনও খাজনার রশিদ দেওয়া হয়নি আমাদের। আমি নিজে ২ বিঘা জমি বিক্রি করেছি। কিন্তু আমার রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে ৪ বিঘা জমি বাদ দেওয়া হয়েছে। আসলে সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।”

    জমি ফিরে পাওয়ার আশা!

    একই ভাবে এলাকার (Sandeshkhali) আরও এক ব্যক্তি বলেন, “বিরাট দুর্নীতি এবং জবরদখল হয়েছে এলাকায়। ১৪৩ বিঘা জমির মালিক আলমগীর কীভাবে হলেন? শেখ শাহজাহান এবং তাঁর মেয়ে সুমায়ার নামে কীভাবে বিপুল পরিমাণ জমি রেকর্ড হল? ঝুপখালি এবং বেড়মজুর এলাকার অনেক মানুষের জমির রেকর্ড বদলে গিয়েছে। অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হত না। কিন্তু এখন কিছুটা হলেও বদল ঘটছে। ফলে জমি ফিরে পাওয়ার একটা আশা রয়েছে।”

    বিডিও-র বক্তব্য

    ত্রিমণি বাজারে গেলেই দেখা যাচ্ছে বিএলআরও অফিসের পাশে বসে এলাকার মানুষেরা নিজেদের অভিযোগ জানাচ্ছেন। জমি ফিরে পাওয়ার আশা দেখতে পাচ্ছেন এলাকার একাংশের মানুষ। কিন্তু কবে এই প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হবে তা এখনও প্রশাসন জানায়নি। অপর দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিডিও বলেছেন, “বিএলআরও অন্যায় করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি সব রিপোর্ট করে দিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: আসন্ন ভোটে বাংলায় আসন সংখ্যায় বৃহত্তম দল হবে বিজেপি, ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র

    Lok Sabha Election 2024: আসন্ন ভোটে বাংলায় আসন সংখ্যায় বৃহত্তম দল হবে বিজেপি, ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ভোট রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিকে নিয়ে করলেন বড় ভবিষ্যদ্বাণী। ‘পিকে’ (এই নামেই বেশি পরিচিত) জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) পশ্চিমবঙ্গে অভূতপূর্ব সাফল্য পেতে চলেছে বিজেপি। বাংলায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজেপি উঠে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দেবে বলেও মত প্রশান্ত কিশোরের। তাঁর আরও বক্তব্য, তৃণমূলের জন্য কঠিন দিন আসছে। এই ধরনের বিবৃতি দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কর্মীরা যে তাঁকে বিজেপির এজেন্ট বলে তোপ দাগবেন সে কথাও বলতে ভোলেননি, একদা তৃণমূলের এই ‘স্ট্র্যাটেজি মেকার’।

    ‘‘বঙ্গে বিজেপির চমৎকার সাফল্য দেখতে তৈরি থাকুন’’

    হায়দরাবাদে ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন প্রশান্ত কিশোর। এবং সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি অনুমান করছি যে বিজেপি সমস্ত দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের থেকে খুব ভালো ফল করবে। আগামী লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বাংলা থেকে বিজেপির চমৎকার সাফল্য দেখতে সবাই তৈরি থাকুন। আমার মনে হয় যে আগামী লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে উঠে আসবে। এই কথা বলার কারণে অনেকে আমাকে বিজেপির এজেন্ট বলবে। কিন্তু যদি আমি এই আসল সত্য না বলি তাহলে এটা ভুল হবে। কারণ আমি একজন পেশাদার। নিজের পেশার ক্ষেত্রে আমি সৎ।’’

    তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কঠিন সময়

    প্রশান্ত কিশোর এরপরে আরও বলেন, ‘‘আমি কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র নই যে আমাকে পার্টি যেটা বলে দেয় সেটা বলতে হয়। কিন্তু এটা তথ্য আছে আমার কাছে। আমি দেখতে পাচ্ছি যে বিজেপি অনেক বড় কামব্যাক করতে চলেছে বাংলায়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জন্য অত্যন্ত নিরাশাজনক খবর হবে সেটা। আমি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কঠিন সময় (Lok Sabha Election 2024) দেখতে পাচ্ছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: প্রার্থী কি অপছন্দ? উত্তর মালদায় প্রসূনের প্রচারে দেখা গেল না তৃণমূলের বড় নেতাদের

    Malda: প্রার্থী কি অপছন্দ? উত্তর মালদায় প্রসূনের প্রচারে দেখা গেল না তৃণমূলের বড় নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের পক্ষ থেকে চরম অসহযোগিতা চোখে পড়ল উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে। দেখাই গেল না জেলার বড় নেতাদের। তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী ঘোষণার পর গত সোমবারই মালদায় এসেছেন প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মঙ্গলবার জেলার একাধিক জায়গায় বৈঠক এবং নির্বাচনী প্রচার করলেও দেখে মেলেনি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বড় মুখদের। তাহলে দলের অন্দরে কি প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে? উঠেছে প্রশ্ন।

    বহিরাগত প্রার্থী (Malda)?

    প্রার্থী কি অপছন্দ? বিজেপি তৃণমূলের প্রার্থীকে বহিরাগত বলে অভিযোগ করেছে। এবার কি উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল নেতারাও সেটাই মনে করছেন? মঙ্গলবার প্রচারে বেরিয়ে কার্যত জেলার বড় নেতাদের অসহযোগিতার চিত্রই চোখে পড়ল। প্রার্থী নিজেই দেওয়াল লিখনে অংশগ্রহণ করলেন। সেই সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করলেন এদিন। অবশ্য তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব আব্দুর রহিম বক্সি, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় প্রমুখ নেতাদের এদিন প্রচারে দেখাই গেল না। তাহলে কি তৃণমূলের প্রার্থী পছন্দ নয়? এই রকম অনেক প্রশ্ন উঠছে রাজনীতির একাংশের মধ্যে।

    বিজেপির বক্তব্য

    উত্তর মালদার (Malda)  প্রার্থী প্রসঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, “তৃণমূলের কর্মীরা আসলে হতাশ, কারণ এই জেলার দুই কেন্দ্রে বহিরাগতদের প্রার্থী করা হয়েছে।” অপর দিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিমের দাবি, “দলে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই।  আমাদের উত্তর মালদার প্রার্থী ওল্ড মালদায় থাকবেন এবং এখান থেকেই তিনি প্রচারের কাজ করবেন। সকলেই আমরা তাঁর সঙ্গে আছি।”

    কী বললেন প্রার্থী?

    তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার (Malda) কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে গতকাল নির্বাচনের প্রচার করেন। তিনি বলেন, “সবেমাত্র প্রচার শুরু করলাম। আলাপচারিতার মাধ্যমে সকলের সঙ্গে দেখা হবে। টাউনের প্রেসিডেন্টরা সঙ্গে রয়েছেন। সকলেই আমার পাশে রয়েছেন। সকলের সঙ্গে আলাপ করব। যেখানে বিজেপির লোকেরা জয়ী হয়েছেন এবার সেখানে তৃণমূল জয়ী হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা চাইতে পারে না, দাবি লোকসভার সচিবালয়ের

    Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা চাইতে পারে না, দাবি লোকসভার সচিবালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অপরাধে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ করা নিয়ে মামলা চলছে শীর্ষ আদালতে। এ প্রসঙ্গে লোকসভার সচিবালয়কে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই লোকসভার সচিবালয়ের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে এই বিষয়টি নিয়ে আদালত কোনও ব্যাখ্যা চাইতে পারে না। কারণ ১২২ নম্বর ধারা অনুসারে সংবিধান নির্দিষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে যে সংসদ তাদের অভ্যন্তরীন কাজকর্মে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে আদালতের কোনও হস্তক্ষেপ চলবে না।

    লোকসভার সচিবালয়ের যুক্তি

    ঘুষ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকসভা থেকে মহুয়ার (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের বরখাস্ত তৃণমূল সাংসদ। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই মামলা শুনছিলেন। আগামী ৬ মে ফের এই মামলার দিন পড়েছে। তার আগেই লোকসভার সচিবালয়ের তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে,‘‘ভারতীয় সংবিধানে আইনসভা এবং বিচারবিভাগের ক্ষমতা এবং এক্তিয়ারের সুস্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। তাই সংসদের কার্যপদ্ধতি (এবং সিদ্ধান্ত) সংক্রান্ত পদ্ধতির কোনও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে না শীর্ষ আদালত। হাউস (এ ক্ষেত্রে লোকসভা) নিজেই এর বৈধতার একমাত্র বিচারক।’’

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    মহুয়ার ধাক্কা

    একের পর এক ক্ষেত্রে ধাক্কা খাচ্ছেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টেও ধাক্কা খেয়েছিলেন মহুয়া। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় দেহাদ্রাই যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ‘ভুয়ো ও মানহানিকর’ বিষয়বস্তু পোস্ট বা প্রচার না করেন সেটা থেকে বিরত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র আবেদন করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। এবার ফের রাস্তায় নেমে গ্রামের মহিলারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার যেমন করা হয়েছে, একই ভাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সিরাজউদ্দিনকেও গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং তাঁর অনুগামীরা এলাকায় মানুষের চাষের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও নানা অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। গতকাল এলাকার বেড়মজুরের ঝুপখালিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা।

    তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর উত্তপ্ত (Sandeshkhali)

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে মমতার জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূলের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম। ঠিক পরের দিন সোমবার থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুরু হয়েছে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। বেড়মজুর এলাকার ঝুপখালিতে নিপীড়িত মহিলারা রাস্তায় নেমে টায়ার, গাছের ডালপালা পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এলাকার মানুষের দাবি, “শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন এবং আলমগিরকে গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং আলমগির উভয়েই এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছে। বাড়ির মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছে। তাই তাঁদের শাস্তি চাই আমরা।”

    দুই মাস ধরে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করার জন্য ফের একবার বিক্ষোভের পথে। অপর দিকে গতকাল এই তৃণমূল নেতার ডান হাত জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে সিবিআই নিজেম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে। গত দুই মাস ধরে কার্যত ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা সন্দেশখালি। এলাকার মহিলাদের অভিযোগ ছিল বেছে বেছে হিন্দু ঘরের মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে রাতভর গণধর্ষণ করত এই শাহজাহানেরা। ইতিমধ্যে এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজ্য তথা সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় দেখা গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গেলে বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়। ইতিমধ্যে বারাসতে মোদির সভায় নির্যাতিতা মহিলাদের একটা অংশের মানুষ নিজেদের উপর ঘটা অত্যাচারের কথা বলেন। মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের সঙ্গে এখন তার অনুগামীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফের একবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share