Tag: tmc

tmc

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে”, উল্টোরথে হাওড়ায় তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে”, উল্টোরথে হাওড়ায় তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার উল্টোরথের অনুষ্ঠানে যোগদান করে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাওড়ার সাঁকরাইলের নবঘরায় তিনি বলেছেন, “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে।” তবে তাঁর এই ভাষণের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রথযাত্রার দিনেই রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) চলা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এরপর একাধিক বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, “যদু বংশ ধ্বংসের সময় মুষল পর্ব শুরু হয়েছিল। তৃণমূলেও তাই শুরু হয়েছে। এই ভাবেই তাঁদের দল শেষ হয়ে যাবে।” শুধু তাই নয় এই বর্ষায় সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে মমতার সরকারে সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, “দেশের বিভিন্ন রাজ্য পেট্রোপণ্যের দাম কমিয়েছে। আর বাংলায় তৃণমূল সরকার অতিরিক্ত কর বসিয়েছে। গ্রাম থেকে সবজি, আনাজ, ফল গাড়িতে করে শহরে আসে। ফলে জ্বালানির দাম না কমালে সবজির দাম কমবে না, লোক দেখানো টাস্ক ফোর্স দিয়েও কমবে না।”

    আরও পড়ুনঃ রথে চড়ে তারাপীঠ ঘুরলেন মা-তারা, কেন মন্দিরের বাইরে বের হন দেবী?

    উপনির্বাচনে ব্যাপক রিগিং করেছে তৃণমূল!

    এদিন এই সভা থেকে রাজ্যে চার আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেছেন, “তৃণমূল (TMC) উপনির্বাচনে ব্যাপক ভাবে রিগিং করেছে। মাত্র এক মাস আগেই লোকসভার ভোটে যে কেন্দ্রগুলিকে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেখানে তৃণমূল কোন কাজ করল যে মানুষ এতো পরিমাণে ভোট দিল! এটা সম্পূর্ণ ভাবে রিগিং এবং ছাপ্পার ফলাফল। আগে হুগলির আরামবাগে সিপিএম নেতা অনিল বসু তিন-চার লাখ ভোটে জিতে মমতাকে পশ্চাৎদেশ দেখিয়ে ছিলেন। আজ সেই অনিল বসু এবং সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূলের অবস্থা আরও খারাপ হবে। না হলে এক একটি বুথে বিজেপি মাত্র ২-৩টি করে ভোট পায়? আগে সিপিএম যা করেছে, তৃণমূল এখন তাই করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ক্ষমতা দখলে তৃণমূলে কোন্দল চরমে, মাথা ফাটল পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির!

    Hooghly: ক্ষমতা দখলে তৃণমূলে কোন্দল চরমে, মাথা ফাটল পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত সমিতির দখলকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধুন্ধুমার খানাকুল (Hooghly) ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে। দলের এক গোষ্ঠীর মারে পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির মাথা ফেটেছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু কর্মী মারের আঘাতে আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতে লাঠি নিয়ে ময়দানে নামে পুলিশ। ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে কোন্দল চরম আকার নিয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Hooghly)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল (Hooghly) ১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডগঠন তৃণমূল (TMC) করার পর থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙার গোষ্ঠীর সঙ্গে খানাকুল ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিপেন মাইতি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দিপেনের অনুগামীরা কর্মাধ্যক্ষ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে, পঞ্চায়েত সামিতির সভাপতি শম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা করেন। এরপর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। অপর দিকে পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের একাধিপত্য ধরে রাখতে অতি সক্রিয় হয়ে পড়েন নইমুল হক ওরফে রাঙা। এরপর এই পরিস্থিতিতে রক্ষা পেতে একটি বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। অপর দিকে মিটিংয়ের বাইরে দুই পক্ষের শতাধিক লোক জমায়েত হন। শুরু হয় মারামারি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র‍্যাফ নামানো হয়। সমিতির অফিসে চলে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ভাঙচুর।

    আরও পড়ুনঃ দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি! আটক দুই মহিলা, শোরগোল কুলতলিতে

    রাঙা তোলা তুলত এখানে!

    তৃণমূলের (TMC) নইমুল হক গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে তাপস ঘোষ বলেছেন, “আমাকে মেরে পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা ম্যাডামের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পনেরো বছর ধরে এই রাঙা এখানে তোলা তুলে খাচ্ছে। আজকের এই হামলার নায়ক এই নেতা।” অপর দিকে হুগলি (Hooghly) গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায়, আরামবাগ এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, আইসি রাকেশ সিং এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়েছে। তবে দুই গোষ্ঠীকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medinipur: একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    Medinipur: একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমানেই একুশে জুলাইয়ের শহিদ সভা, তৃণমূলের (TMC) বড় অনুষ্ঠান, কিন্তু এই সভার প্রচারকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। ছেঁড়া হয়েছে মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার! ইতি মধ্যে একপক্ষ, ওপর আরেক পক্ষের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুর (Medinipur) পুরসভা এলাকায়।

    স্পিনিং মিলের রাশ কার হাতে (Medinipur)?

    সরকার পরিচালিত রাজ্যে যে ছয়টি স্পিনিং মিল রয়েছে তার মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটির তাম্রলিপ্ত কো-অপারেটিভ স্পিনিং মিল। এই মিলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব। একপক্ষ হল আইএনটিটিইউসি এবং অপর পক্ষ হল ফেডারেশন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে করা ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

    আইএনটিটিইউসি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই ঘটনার মূল অভিযোগ ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর (Medinipur) সত্য পড়িয়ার বিরুদ্ধে। স্পিনিং মিলের আইএনটিটিইউসি-র পক্ষ থেকে নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, “এই কাউন্সিলেরর নেতৃত্বে ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে টাঙানো ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয় এই ওঁর অনুগামীরা কয়েকদিন আগে মিলের মধ্যে থাকা আমাদের সংগঠনের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।”

    ফেডারেশনের গোষ্ঠীর বক্তব্য

    আইএনটিটিইউসি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পার্থ ঘনা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, “কাউন্সিলর (Medinipur) সত্যবাবু অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। তবে কেন এমন রাজনীতির অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে জেলা সভাপতি এবং রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানাবো। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।” আবার সরকারি কর্মী সংগঠন ফেডারেশনের মুখ্য উপদেষ্টা সুনীল কর বলেছেন, “সত্য পড়িয়া ফেডারেশনের কেউ নন। বিষয় কী ঘটেছে আমার জানা নেই, আমি খোঁজ নিয়ে জানাব। যদি কোনও সমস্যা থাকে, তবে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক! শোরগোল

    তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য

    মেদিনীপুর (Medinipur) পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্য পড়িয়া বলেছেন, “আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় সভা হবে তাই প্রচারের জন্য মিটিং ডাকা হয়েছিল, আমিও সেখানে গিয়ে ছিলাম। তৃণমূলের (TMC) কর্মীরা যখন যেখানে আমাকে ডাকবেন আমি সেখানে যাব। দলের হয়ে যা নির্দেশ থাকবে পালন করব। তবে ওই ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক! শোরগোল

    Cooch Behar: বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল মাত্র বিজেপি করার অপরাধে বাড়িতে এসে ঝান্ডা লাগিয়ে সামাজিক বয়কটের ডাক দিল তৃণমূল। এই রাজ্যে বিজেপি করাটাই যেন একটা বড় অন্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক এমনটাই বক্তব্য ওঁই বিজেপি কর্মীদের। লোকসভার নির্বাচনের পর জেলায় জেলায় ভোটপরবর্তী হিংসা এখনও অব্যাহত। এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের চিলাখানা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের ৭/৭১ নম্বর বুথের জায়গির চিড়িয়াখান এলাকায়। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    নাপিত, ধোপা এবং বাজার বন্ধ করা হয়েছে (Cooch Behar)!

    নির্যাতনের শিকার বিজেপি কর্মী জাকির হোসেন বলেছেন, “আমি বিজেপি করি, একই ভাবে আমাদের পাশাপাশি এই ৫টি বাড়ি বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। আমাদের দল হেরে গিয়েছে। অপরে জমি নিয়ে একটি পুরনো বিবাদ ছিল, তাকে ঘিরে বার বার তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পাল্টা আমরা পুলিশের কাছে এফআইআর করি। কিন্তু রবিবার নতুন করে অশান্তি তৈরি করেছে ওরা। তাদের নির্দেশ তৃণমূল পার্টি অফিসে যেতে হবে। না হলে খারাপ হবে। আমার বাড়ির (Cooch Behar) লোকেরা ভিডিও করেছে, সেই সঙ্গে হুমকি দিয়ে বলেছে, ভিডিও বাইরে গেলে খুব খারাপ হবে। আমাদের সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে গিয়েছে।” এলাকার আরও এক বাসিন্দা হাফিজুল হক, তিনিও বিজেপি সমর্থক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসা সম্পর্কে বলেছেন, “পুরনো একটি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায় প্রায় হুমকি দেওয়া হতো আমাদের। রবিবার বাড়িতে এসে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছে। নাপিত, ধোপা এবং বাজার বন্ধ বলে গিয়েছে। বিজেপি কারার জন্য এই ভাবে সামাজিক বহিষ্কার (Social Boycott) করার ডাক দিয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ লাইনের ধারে পাঁচিল তুলছে রেল! হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে যাত্রী সুরক্ষায় অভিনব উদ্যোগ

    তৃণমূলের বক্তব্য পারিবারিক বিবাদ!

    জেলা (Cooch Behar) তৃণমূলের পক্ষ থেকে পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। সামাজিক বয়কটের (Social Boycott) ঘটনাকে তৃণমূল কোনও মতেই অনুমোদন করে না। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। দুই পরিবারের পারিবারিক বিবাদ আর তাকে কেন্দ্র করে দলীয় পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলব ঘটনার তদন্ত করতে। তবে দলীয় পতাকার অপব্যবহার করা যাবে না।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daspur: সমবায় ভোটে জিততেও ছাপ্পা তৃণমূলের! পুলিশের সামনেই ঝরল রক্ত

    Daspur: সমবায় ভোটে জিততেও ছাপ্পা তৃণমূলের! পুলিশের সামনেই ঝরল রক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় নির্বাচনে ছাপ্পা ভোট (Co Operative Elections) দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-১ (Daspur) নম্বর ব্লকের সুলতাননগর সমবায়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর পুলিশের সামনেই চলে তুমুল ধস্তাধস্তি। তৃণমূলের হামলায় এক ব্যক্তির মাথা ফাটে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Daspur)

    দাসপুর (Daspur) জ্যোত গৌরাঙ্গ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ৩১ টি আসনে রবিবার ছিল নির্বাচন। বেলা গড়াতেই ছাপ্পা ভোট ঘিরে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, জটাধরপুর বুথে হঠাৎই দেখা যায় বেশ কিছু বহিরাগত ভোট দিতে ঢুকছে। বহিরাগতদের এনে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাতে বাধা দেন সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক কর্মীরা। এরপর পুলিশের সামনেই চলে তুমুল ধস্তাধস্তি। সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক কর্মীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নামে র‍্যাফ ও পুলিশ। শুধু তাই নয়, একজনকে তোলা হয় পুলিশ ভ্যানেও।

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সমবায় মঞ্চ বাঁচাও কমিটির এক নেতা বলেন, “সমবায় ভোটে জেতার জন্য তৃণমূলকে ছাপ্পা ভোট মারতে হচ্ছে। আসলে ওদের জনসমর্থন নেই, এটাই তার প্রমাণ। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চেয়েছিলাম। তৃণমূল সেটা হতে দিল না। বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে ভোট করেছে। এভাবে জোর করে ভোটে জিতে কোনও লাভ নেই। এদিন ঘটনাস্থলে প্রশাসন দাঁড়িয়েছিল। কোনও কাজ করেনি তারা। তিরিশটা ভোট ছাপ্পা মেরেছে তৃণমূল। এই ধরনের নির্বাচনে তৃণমূল সন্ত্রাস করতে পারে তা আমরা ভাবতে পারিনি।” এই বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “এগুলো সব অপপ্রচার। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছাপ্পা ভোট (Co Operative Elections) করার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। আসলে ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে এসব অভিযোগ করছে। এর বেশি আর কিছু বলব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lakshmi Bhandar: “লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া হবে নাম”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

    Lakshmi Bhandar: “লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া হবে নাম”, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের লক্ষ্মী ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) নিয়ে রাজনীতি তৃণমূলের। সরকারি প্রকল্পের বন্টনের ক্ষেত্রেও আবারও সেই আমরা-ওরা ইস্যুকে সামনে আনার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বক্তব্য জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Lakshmi Bhandar)

    দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) পেয়েও ভোট দেননি যাঁরা, তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, অন্ততপক্ষে আমাদের কিছু জনের নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া দরকার আছে। যে টাকাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছে, যে টাকাটা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার দিচ্ছে, সেটা নরেন্দ্র মোদির টাকা নয়, তৃণমূল সরকারের টাকা।”

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। বর্তমান টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে। যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। আর এই ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ই বাংলার রাজনীতির একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। কোচবিহার (Cooch Behar) আসনে ৩৯,২৫০ ভোটে বিজেপি প্রার্থী নিশীথকে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তারপরও তৃণমূল নেতাদের একাংশের মতে, কিছু ভোট বিজেপিতে গিয়েছে। আর তাতেই এই মন্তব্য। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বিরাজ বসু বলেন,  “বিরোধী দল করলেই তাঁকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়া যাবে না। রেশন নিতে দেওয়া যাবে না। সরকারি বিভিন্ন যে প্রকল্প রয়েছে, তার সুবিধা দেওয়া যাবে না, এটাই তৃণমূলী কালচার। এসব যত করবে, তৃণমূলের ভোট কমবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: “মমতা না পারলে আমি দেখে নেব”, অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: “মমতা না পারলে আমি দেখে নেব”, অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তমলুকের রাধামণি মিনি মার্কেটের স্টল বিলি নিয়ে অস্বচ্ছতা হয়েছে বলে এলাকার মানুষ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় স্টল পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গিয়ে বলব, সরকারি জায়গার উপর ঘর-বাড়ি ভাঙার কথা। আর মমতা না পারলে আমি দেখে নেব।”

    কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)?

    রাধামণি মিনি মার্কেট পরিদর্শন করে প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “বেশ কিছু দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সবাধান হয়ে যান। না হলে সব স্টল ভাঙা পড়বে। মুখ্যমন্ত্রী তো ঘোষণা করেছিলেন যে সরকারি জায়গায় কোনও অবৈধ নির্মাণ হলে তা ভাঙা হবে। আমি নিজে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বলব, আপনি যা ঘোষণা করেছেন তা করুন। যদি না করেন তার পরের ব্যবস্থা আমি দেখবো।” এদিন এলাকার বঞ্চিত মানুষদের পাশে থেকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই বিজেপির সাংসদ।

    আরও পড়ুনঃ ‘গদ্দারদের জন্য হেরেছি, এটা দলের পরাজয়, আমার নয়”, বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    এক একজন ছয় থেকে দশটি স্টলের মালিক!

    একই ভাবে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, “পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক একটি স্টল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এক একজন ছয় থেকে দশটি স্টলের মালিক বলেই অভিযোগ। অথচ যাঁরা ওই জায়গায় স্টল হওয়ার আগে ব্যবসা করতেন, তাঁদের আশ্বাস দিলেও কাউকেই স্টল দেওয়া হয়নি। মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চনা করে টাকার বিনিময়ে সব বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের একাংশ এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।”

    উল্লেখ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay), রাজ্যে তৃণমূল শাসকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুর দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন। তাঁর রায়ে রাজ্যের দুর্নীতির নানান বিস্ফোরক তথ্য সাধারণ মানুষের সমানে উঠে এসেছে। এই মুহূর্তে একাধিক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “গদ্দারদের জন্য হেরেছি”, সুকান্তর কাছে হেরে নিজের দলকেই ফের নিশানা বিপ্লব মিত্রের

    Balurghat: “গদ্দারদের জন্য হেরেছি”, সুকান্তর কাছে হেরে নিজের দলকেই ফের নিশানা বিপ্লব মিত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে এবারের লোকসভা ভোটে হার, মেনে পারছেন না তৃণমূল প্রার্থী তথা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। তাই, দলীয় সভাতে বার বার তাঁর পরাজয়ের জন্য দলের একাংশের বিশ্বাসঘাতকতাকে তিনি দায়ী করছেন। গদ্দারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? (Balurghat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট (Balurghat) আসনে ১২ হাজার ভোটে হারের পরে, দলের অন্দরে ‘বিরোধী’ গোষ্ঠীর নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিপ্লব। এমনিতেই এখন বালুরঘাট লোকসভার তপন, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর, হরিরামপুরে ২১ জুলাই প্রস্তুতি সভা চলছে। সেই প্রস্তুতিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, “দলের কয়েক জন গদ্দারদের জন্য হেরেছি। এটা আমার পরাজয় নয়। এটা আসলে দলের পরাজয়। দলের কয়েক জন বিজেপির থেকে টাকা খেয়ে এই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।  

    আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    জেলা তৃণমূলের নেতারা কী বলছেন?

    যদিও তৃণমূলের (Trinamool Congress) দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “বিপ্লবদা হয়তো নিজের মতো করে রিপোর্ট দিয়েছেন, কারা কারা বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন। দল নিশ্চয়ই সেই রিপোর্ট যাচাই করবে। তারপর ব্যবস্থা নেবে।” জেলার আর এক নেতা বলেন, “বিপ্লবদার ভাই গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র ওই পুরসভার কোনও ওয়ার্ডেই দলকে ‘লিড’ দিতে পারেননি। তা হলে ‘বিশ্বাসঘাতকের’ তালিকায় মন্ত্রী কি নিজের ভাইকে রাখবেন? পাশাপাশি, মন্ত্রী নিজের ওয়ার্ডে ‘লিড’ পাননি। জেলা সভাপতিও নিজের এলাকায় পিছিয়ে রয়েছেন।” এই সব ক্ষেত্রে কী করা হবে, সে প্রশ্নই ঘুরছে দলের অন্দরে। তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “প্রকাশ্যে কয়েক জনকে বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দেওয়া যায় না। তিনি যদি পর্যালোচনা চান, সবার সঙ্গে বসতে হবে। আমাদেরও প্রশ্ন রয়েছে।” ফলে, ভোটে নিজে হারের জন্য বিপ্লবের বার বার দলীয় কর্মীদের কাঠগড়ায় তোলায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল চরম অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    Uttar Dinajpur: গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, দলীয় মিটিংয়েই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন তৃণমূল নেতা, গুলিবিদ্ধ আরও এক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক তৃণমূল নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আরও এক তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাপি রায়। তিনি ইসলামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও এক তৃণমূল নেতা। তিনি রামগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তাঁর নাম মহম্মদ সাজ্জাদ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Uttar Dinajpur)

    শনিবারই উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জে ভোটের রেজাল্ট বেরিয়েছে। জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। এরই মধ্যে আবার জেলায় দুই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাকে গুলি করার ঘটনায় জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে স্থানীয় একটি হোটেলে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা আলোচনায় বসেছিলেন। ঠিক সেই সময় দশ জনের একটি দুষ্কৃতী দল প্রকাশ্যে তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন বাপি ও মহম্মদ নামে দুই তৃণমূল নেতা। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা বাপিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর গুরুতর জখম মহম্মদ সাজ্জাদকে ভর্তি করা হয়েছে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সিসি ক্যামেরর ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৮ কোটি কর্মসংস্থান! আরবিআইয়ের রিপোর্টে মুখ বন্ধ হয়েছে বিরোধীদের, তোপ মোদির

    জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিষয়টি জানার পরই হাসপাতালে পৌঁছন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনি বলেন, ” দলের একটা মিটিং চলছিল। আচমকাই গুলি করেছে। কেন হঠাৎ করে গুলি করল বুঝতে পারছি না। ওখানে সিসিটিভি আছে। পুলিশ আধিকারিকরা দেখে বিষয়টির তদন্ত করুক। তবে, রাজনৈতিক কোনও কারণ বলে মনে হচ্ছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: সিঁথির মোড়ে তোলাবাজি! নাম জড়ালো জয়ন্তর গ্যাংয়ের, শোরগোল

    Kamarhati: সিঁথির মোড়ে তোলাবাজি! নাম জড়ালো জয়ন্তর গ্যাংয়ের, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহের স্বঘোষিত ‘ডন’ জয়ন্ত সিং এখন জেলে। প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন ডিডিও প্রকাশ্যে আসছে। কখনও তালতলা স্পোটিং ক্লাবের ভিতরে নৃশংস অত্যাচার। কখনও আবার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢিল ছোড়ার ভিডিও সামনে এসেছে। এসব ভিডিও নিয়ে কামারহাটি (Kamarhati) জুড়ে জোর চর্চা চলছে। এরইমধ্যে নতুন একটি ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তোলা না দেওয়ায় জয়ন্তর বাহিনীর হামলা! (Kamarhati)

    জানা গিয়েছে, আড়িয়াদহের (Kamarhati) পাশাপাশি জয়ন্তর বাহিনী আশপাশের এলাকায় প্রোমোটারদের কাছে তোলাবাজি করত বলে অভিযোগ। সিঁথি মোড়ের এক প্রোমোটারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল জয়ন্তর বাহিনীর ছেলেরা। কিন্তু, প্রোমোটার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এরপরই প্রোমোটারের অফিসে চড়াও হয় জয়ন্তর বাহিনী। ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রোমোটারের দাবি, হামলাকারীরা কখনও জয়ন্ত সিংয়ের লোকজন বলছিল, কখনও আবার তৃণমূল নেতা অতীন ঘোষের লোকজন বলছিল। পুলিশকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    জয়ন্তর অট্টালিকা বেআইনি, ঘোষণা করল পুরসভা

    আড়িয়াদহে জয়ন্তর তিনতলা দুধ সাদা বাড়ি নিয়ে চর্চা চলছে। এরইমধ্যে শুক্রবার পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা জয়ন্তর বাড়িতে যান। পরে, ভূমি দফতরে জমির প্রকৃত মালিক কে, তা জানার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, জমির মালিক দিলীপ মুখোপাধ্যায়। জমির পরিমাণ, ১ কাটা ৪ ছটাক। একসময় টিনের চালা ছিল সেখানে। কিছুটা অংশ জুড়ে পুকুর ছিল। আর বাকি ফাঁকা জয়াগায় এলাকার ছেলেরা খেলাধূলা করত। জয়ন্তর নজর পড়তেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। সেই ফাঁকা জায়গা, পুকুরের কিছুটা অংশ বুজিয়ে তিনতলা অট্টালিকা তুলেছিলেন জয়ন্ত। কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, আমরা দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের খোঁজ করছি। জয়ন্ত ওই জমির মালিক নন। বাড়িটি বেআইনি। পুরসভার পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বিয়ে সারলেন পুলিশের খাতায় ফেরার জয়ন্ত সঙ্গী রাহুল!

    জয়ন্তর (Jayanta Singh) বাহিনীর অত্যাচার নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, পুলিশ একের পর এক জয়ন্তের গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময়ে আড়িয়াদহকাণ্ডেরই মূল অভিযুক্ত রাহুল গুপ্তা বিয়ে করলেন। আড়িয়াদহে মা ও ছেলেকে পেটানোর অভিযোগ থেকে সূত্রপাত। সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে। পুলিশের চোখে জয়ন্ত সিং ফেরার ছিলেন। তারপর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু, কেন তাঁকে গ্রেফতারিতে দেরি, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। কিন্তু, তারপর থেকে জয়ন্ত সিংয়ের গ্যাংয়ের একের পর এক কুকীর্তির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে থাকে। জয়ন্ত (Jayanta Singh), লাল্টু সহ ৮ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে এক কিশোরকে অমানবিক মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনায় যুক্ত ছিলেন রাহুল গুপ্তা। পুলিশের চোখে তিনি ফেরার। কিন্তু, শুক্রবারই সকালে কলকাতায় লুকিয়ে বিয়ে সারলেন তিনি। সন্ধ্যায় রিসেপশন হয় ঘটা করে। তাহলে পুলিশ কেন খুঁজে পাচ্ছে না, সেটাই প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share