Tag: tmc

tmc

  • Amit Shah: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে সিএএ”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে সিএএ”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে কার্যকর হবে সিএএ আইন। খুব শীঘ্রই এ নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করা হবে।” এক সংবাদ মাধ্যমের গ্লোবাল সামিট অনুষ্ঠানে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সংসদে পাশ হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তার পর কেটে গিয়েছে চার বছর। এখনও লাগু হয়নি ওই আইন।

    সিএএ জারির আশ্বাস

    এ সংক্রান্ত বিলটি আইনে পরিণত হাওয়ার পর অশান্তি শুরু হয় দেশজুড়ে। বাংলায় প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। গত বছরের শেষের দিকে সিএএ জারি হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ নোটিফিকেশন অফিসিয়ালি জারি করা হবে। এ নিয়ে কারও কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এই আইন কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সিএএ এই দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। এ নিয়ে কারও মনে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। সিএএ লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস সরকারই। দেশভাগের সময় যখন লাখ লাখ উদ্বাস্তু এ দেশে এসে উঠেছিলেন, তাঁদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই কংগ্রেসই। এখন তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভুলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছে।” প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় শাহ সাফ জানিয়েছিলেন, দেশে সিএএ কার্যকর করা হবেই। পৃথিবীর কোনও শক্তি তাকে ঠেকাতে পারবে না।

    কী বললেন সরকারি কর্তা 

    নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে এক পদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইনেই আবেদন জানানো যেতে পারে। এজন্য অনলাইন পোর্টালও তৈরি হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটা অনলাইনেই করা হবে। সেখানে আবেদনকারীদের কেবল জানাতে হবে যে, কোন সালে বিনা নথিতে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও নথি চাওয়া হবে না। এ নিয়ে পদক্ষেপও করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে ১৪৪ ধারা ভাঙার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই এই সিএএ (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sandeshkhali: ‘‘হাত ধরে টানল আমার, ছুড়ে ফেলে দিল মেয়েকে’’, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব নির্যাতিতা

    Sandeshkhali: ‘‘হাত ধরে টানল আমার, ছুড়ে ফেলে দিল মেয়েকে’’, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) লাগাম টানতে জারি করা হল ১৪৪ ধারা। শুক্রবার রাত থেকে ত্রিমোহিনী বাজার-সহ সন্দেশখালি থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল পুলিশ। এমনিতেই জনতার প্রতিরোধে শেখ শাহজাহান বাহিনী কার্যত এলাকা ছাড়া। পুলিশ গ্রামে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।

    বাচ্চা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ! (Sandeshkhali)

    শুক্রবার রাতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার খুলনা পঞ্চায়েতের শিতলিয়া গ্ৰামে একাধিক ঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয়। নির্যাতিতা এক মহিলা বলেন, মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ এসে আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর বাড়ির জানলা ভেঙে  আমার হাত ধরে টানে। আমার হাতে পলা ভেঙে যায়। আমার মেয়েকে ছুড়ে ফেলে দেয়। বাড়ির দরজা- জানলা ভেঙে দেয়। পুলিশ বাড়িতে চড়াও হয়ে এসব করেছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সমাজবিরোধীদের মতো করে পুলিশ গালিগালাজ করছে। বাড়ি ভাঙচুর করছে। এভাবে গ্রামে ঢুকে পুলিশি অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। এলাকার মানুষ পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। এমনিতেই শাহজাহান বাহনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এবার ১৪৪ জারি জারি হওয়ার পর এবার পুলিশি অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার বেলার দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) জেলিয়াখালিতে শাহজাহান বাহিনীর মাতব্বর এবং মূল অভিযুক্ত শিবু হাজরার পোল্ট্রি ফার্মে এদিন উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। হামলা চালানো হয় শিবু হাজরার পৈতৃক বাড়িতেও। সব মিলিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। এদিকে ওই খবর সংগ্রহে গেলে শিবু হাজরার দলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি। পোল্ট্রি ফার্মের আগুনের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৭ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে তৃণমূল নেতাদের পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার লোকজন নিজেদের পোল্ট্রি ফার্মে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়, এমনই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। আর এই হামলার দায় ঠেলে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে ৮ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার লাঠি, বাঁশ হাতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করেন মহিলারা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মহিলারা। পর পর দুদিন তৃণমূল বিরোধী যে ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে তা এর আগে দেখেননি সন্দেশখালির মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    Arabul Islam: পুলিশি হেফাজত আরাবুল ‘কারাবুলে’র, সিঁদুরে মেঘ দেখছে জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আরাবুল ‘কারাবুলে’র (আগেও কারাবাস ভোগ করায় আরাবুলকে এই নামেই চেনেন স্থানীয়দের একটা বড় অংশ)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূলের তাজা নেতা আরাবুল ইসলামকে। পরে পাঠানো হয় গারদে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২১ ফেব্রুয়ারি। 

    আরাবুলের নামে খুনের অভিযোগ

    শুক্রবার বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হয় আরাবুলকে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পাঠানো হয় পুলিশি হেফাজতে। গত বছর জুন মাসে হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই সময় খুন হন জনৈক মহম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লা। তিনি আইএসএফের সদস্য ছিলেন। ১৫ জুন ভাঙড়-২ বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করতে গেলে গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। মৃত আইএসএফ কর্মীর বাবা কুতুবউদ্দিন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। আরাবুলের (Arabul Islam) নামে দায়ের হয় এফআইআর। আরাবুলের ছেলে হাকিমুল এবং আরও ২০ জনের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ কর্মী খুনে অভিযুক্ত আরাবুলকে। মাসখানেক আগে ভাঙড় কলকাতা পুলিশের আওতায় আসে। তার পরেই গ্রেফতার হন আরাবুল। পুলিশ জানিয়েছে, জুন মাসে খুনের ঘটনায় নাম জড়ানোয় গ্রেফতার করা হয়েছে আরাবুলকে।

    লজ্জা ঢাকতে সাদা কাপড়!

    এদিন সাদা কাপড়ে মুখ ঢেকে আদালতে ঢোকেন আরাবুল। বিরোধীদের একাংশের মতে, লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে আরাবুল তৃণমূলের ঝান্ডা নয়, মুখ লুকিয়েছেন সাদা কাপড়ের আড়ালে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর কাশীপুর থানায় তলব করা হয় আরাবুলকে। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। আদালতে তোলা হলে ঠাঁই হয় জেলে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হাজার বার বলব জয় শ্রীরাম’’, ধর্মান্ধদের কড়া জবাব মহম্মদ শামির

    তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগ থাকা সত্ত্বেও মমতার পুলিশ যেভাবে গ্রেফতার করল আরাবুলকে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সন্দেশখালির শেখ জাহাঙ্গিরের অনুগামীরা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও ঘণ্টাখানেক ধরে তালা খোলা হয়নি জাহাঙ্গিরের বাড়ির ফটকের। তার পর আচমকাই বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী (যারা জাহাঙ্গিরের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত) হামলা চালায় ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের ওপর। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পর থেকে বেপাত্তা জাহাঙ্গির। আরাবুলের (Arabul Islam) গ্রেফতারির খবর পেয়ে আদৌ তিনি আর প্রকাশ্যে আসেন কিনা, আপাতত সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    South 24 Parganas: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড়ের (South 24 Parganas) প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। তৃণমূলের এই ‘তাজা নেতাকে’ গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। আজ আরাবুলকে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করবে পুলিশ। অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনায় ভাঙড়ে শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ, লাঠিচার্জ

    দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের কোচপুকুরে ব্যাপক উত্তেজনা! আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে মূলত ঝামেলা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কোচপুকুরে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল তৃণমূল। এই ঘটনায় আইএসএফের পতকা ছিঁড়ে তৃণমূল পতাকা লাগাচ্ছিল বলে অভিযোগ আইএসএফের। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, আগে থেকেই মাটিতে ছেড়া অবস্থায় পড়েছিল আইএসএফের পতাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের ঝামেলা শুরু হলে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা যাচ্ছে।

    বোমা উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য (South 24 Parganas)

    আরাবুল ইসলাম গ্রেফতারের পর দিনই ভাঙড়ে (South 24 Parganas) উদ্ধার হল বোমা। এলাকায় পোলেরহাট থানার পোলেরহাট হাই স্কুলের পাশে আবর্জনার স্তূপে উদ্ধার হল তাজা বোমা। স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসার পথে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমে দেখতে পেয়েই স্থানীয় থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পোলেরহাট থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। তবে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষজন সহ পরীক্ষার্থীর আত্মীয় পরিজনেরা। পাশেই হাইস্কুলে পরীক্ষার সেন্টার হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল। একাধিক বার বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণ এবং হত্যার ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এবার ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal BJP: জাতীয় সঙ্গীতের বদলে রাজ্য সঙ্গীত বিধানসভায়, প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা

    West Bengal BJP: জাতীয় সঙ্গীতের বদলে রাজ্য সঙ্গীত বিধানসভায়, প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বিধানসভা। জাতীয় সঙ্গীতের বদলে শাসক দলের বিধায়করা গাইলেন রাজ্য সঙ্গীত।  প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকমাস আগেই ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গ তো আলাদা কোনও দেশ নয়, তখন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত কেন বাদ দিতে চাইছে মমতা সরকার?  বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়করা রাজ্য সঙ্গীত শুরু করতেই পাল্টা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করলেন শুভেন্দু অধিকারী সমেত অধিবেশনে উপস্থিত বিজেপি বিধায়করা (West Bengal BJP)। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বাজেট করা হয় শাসক দলের তরফে।

    বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ

    রাজ্য সঙ্গীতের পরেই বাজেট ভাষণ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই সময়েই প্রতিবাদ জানাতে থাকেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা (West Bengal BJP), নেতৃত্ব দেন খোদ বিরোধী দলনেতা। বেশ কিছুক্ষণ তুমুল হইহট্টগোল চলতে থাকে বাজেট অধিবেশনে। এনিয়ে পরে, সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ওটা রাজ্য সঙ্গীত না বলে জাতীয় সঙ্গীত বলা হয়েছে। তাই আমরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছি। দেশকে দু’ভাগ করার চেষ্টা করছে। যা খুশি চাপিয়ে দিলে কোম্পানির লোকেরা মেনে নেবেন, বিজেপি বা জনগণ মানবে না। দেশপ্রেম, রাষ্ট্রবাদ ও ভারত মাতার অবমাননা হলে বিজেপি আপস করবে না।’’

    বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    বিধানসভার অধিবেশন শেষে বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা। সেখানেও নন্দীগ্রামের বিধায়ক (West Bengal BJP) বিধানসভায় রাজ্য় সঙ্গীত গাওয়ার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘‘অধ্যক্ষ দাবি করেছেন বাংলার জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। বাংলার জাতীয় সঙ্গীত কি হয়। বাংলার স্টেট সঙ্গীত আমরা মানব না। অধ্যক্ষ অত্যন্ত আপত্তিকর কথা বলেছেন। উনি যদি বলতেন একটা সুন্দর বাংলা গান গাইব, তাতে কোনও আপত্তির বিষয় ছিল না। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী দেশ একটাই৷ ভারতবর্ষকে এভাবে দু’টুকরো করা যাবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানাতে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিভীষণ হাঁসদা। গতকাল বুধবার রাতে ট্রেনে করেই দিল্লিতে যাত্রা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন মেয়ে এবং স্ত্রী। পালটা তৃণমূলের বক্তব্য, লোকসভার আগে প্রচার পেতে চাইছে বিজেপি।

    প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Bankura)

    চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বাঁকুড়া (Bankura) সফর করার সময় চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলেন অমিত শাহ। সেই সময় নিজের বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজনের সময় বিভীষণ তাঁর মেয়ের অসুস্থার কথা জানিয়ে ছিলেন বিভীষণ হাঁসদা। আর তা শুনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই মতো ওষুধপত্র পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তাঁকেই কৃতজ্ঞতা জানাতে দিল্লি রওনা দিয়েছেন এই আদিবাসী পরিবার। গতকাল রাত আটটার ট্রেনে চেপে দিল্লির জন্য যাত্রা শুরু করেছেন তাঁরা।

    কী বলল বিভীষণের মেয়ে?

    দিল্লির জন্য ট্রেনে উঠে বিভীষণের মেয়ে রচনা হাঁসদা বলেন, “ভীষণ ভাবে আমরা এক্সাইটেড। আমার সমস্ত চিকিৎসার খরচ তিনি চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে কৃজ্ঞতা জানাবো।” আবার বিজেপির বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র বলেন, “বিভীষণের পরিবারের সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।” এলাকাবাসীর বক্তব্য দীর্ঘদিনের রোগগ্রস্থ পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়কে সমালোচনা করে জেলার (Bankura) তৃণমূল নেতা মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “ঠিক সেই সময়কার সংবাদ শিরোনামে থাকা বিভীষণের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। এখন সামনে লোকসভার ভোট, তাই তাকে হাতিয়ার করে বিশেষ প্রচার করছে হাঁসদা পরিবারকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবটাই রাজনীতির অঙ্গ।”

    রাজনৈতিক টানাটানি করেছে তৃণমূল

    ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর অমিত শাহ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাঁকুড়ায়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের মেয়ের অসুস্থার কথা শুনে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর পালটা তৃণমূল থেকেও বারবার পরিবারের কাছে সাহায্যের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে এলাকাবাসীর (Bankura) দাবি, শাসক দল রাজনীতি করতে ব্যাপক ভাবে টানাটানি করেছে পরিবারকে নিয়ে। তৃণমূলের কাছ থেকে কিছু সাহায্যও পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত মূলত বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতাই বেশি ছিল শাসক দলের।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    State Budget 2024: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বাজেট যদি জনমুখী না হয়, তাহলে বিজেপি বিধায়করা অধিবেশন কক্ষেই প্রতিবাদ জানাবেন। রাজ্য বাজেট পেশের আগেই এক প্রকার হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটেয় বিধানসভায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য বাজেট (State Budget 2024) পেশ করতে চলেছেন। 

    ভাল বাজেটের প্রত্যাশা

    শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘আমরা ভালো বাজেট (State Budget 2024) আশা করব। আশা করব যেন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ঘোষণা করা হবে। আশা করব আশা কর্মী থেকে অস্থায়ী কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে ভিলেজ পুলিশ, সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মী-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষদের সম কাজে সম বেতনের মাধ্যমে সকলের জন্য আর্থিক সুরক্ষা ঘোষণা করা হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হবে।’’ রাজ্য বাজেটে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘আমরা আশা করব অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও রান্নার গ্যাস সাড়ে চারশো টাকায় পাব। পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের যে কর রাজ্য সরকার নিচ্ছে সেটা নেবে না। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই পেট্রোপণ্যের দাম কমে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অর্থমন্ত্রী সমস্ত শূন্য পদ পূরণের ঘোষণা করবেন। আমরা এও আশা করব ওড়িশা, বিহারের মতো সমস্ত পার্ট টাইম শিক্ষক অধ্যাপক থেকে অন্যান্য শিক্ষা কর্মীদের স্থায়ীকরণের ঘোষণা করা হবে এই রাজ্য বাজেটে। উত্তর প্রদেশের মত যারা পেনশন পান তাদেরও স্পেশ্যাল ইনসেনটিভ ঘোষণা করা হবে। জমিনীতি বদল করে শিল্প ও  বাণিজ্যমুখী বাজেট হবে। সিঙ্গুরের জমিতে টাটা গোষ্ঠীকে ফিরিয়ে আনার রোড ম্যাপ চূড়ান্ত হবে।’’

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, কী রয়েছে তাতে?

    মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলে বিরোধিতা

    সাধারণত রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট (State Budget 2024) অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু, এবার রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়নি। এই বিষয়টিকে ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের জন্য যদি বাজেট পেশ না হয়, যদি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টি, তাঁদের সম্পর্কে অসংসদীয় কথা, রাজনৈতিক আক্রমণ এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবে বিজেপি। উচ্চ কণ্ঠে বিরোধিতা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মঙ্গলের পর বুধেও উত্তাল বিধানসভা, “অধিবেশন কীসের জন্য?”, প্রশ্ন পদ্মের

    BJP: মঙ্গলের পর বুধেও উত্তাল বিধানসভা, “অধিবেশন কীসের জন্য?”, প্রশ্ন পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। মঙ্গলবার সিএজি রিপোর্ট নিয়ে বিজেপির দাবি না মানায় বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনা করতে চেয়ে অধিবেশন মুলতুবির প্রস্তাব আনে বিজেপি। এদিনও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পদ্ম-বিধায়করা।

    ধর্ষকদের শাস্তির দাবি

    কিছুদিন আগেই মালদা ও দিঘায় ঘটেছে ধর্ষণের ঘটনা। ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP)। বুধবার এই নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চেয়ে অধিবেশন মুলতুবি প্রস্তাব আনেন ২ বিজেপি বিধায়িকা মালতি রাভা ও অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁদের এই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার সকলকে শান্ত থাকার আর্জি জানান। পরে বিধানসভা কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া-বিধায়করা।

    নারী সুরক্ষা তলানিতে

    অগ্নিমিত্রা বলেন, “শুধু জল বা রাস্তা নিয়ে কথা বলতে আসিনি। নারী সুরক্ষা তলানিতে ঠেকেছে। ধর্ষণ করে খুন নিয়ে বিচার হবে না আলোচনা হবে না।” তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতন হচ্ছে, শিশুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। বিধানসভায়ও আপনারা বলতে দেবেন না। তাহলে কীসের জন্য বিধানসভা রেখেছেন? সব বন্ধ করে দিন।” তাঁরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন বয়কট করবেন তাঁরা। নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিও দাবি করেছে বিজেপি। স্পিকারকে কালো পতাকাও দেখান বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং মহিলা ও শিশুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে যে এদিন মুলতুবি প্রস্তাব জমা করা হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন মালতি রাভা, সুমিতা সিনহা, চন্দনা বাউরি, শিখা চট্টোপাধ্যায়, তাপস মণ্ডল, অগ্নিমিত্রা পাল (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। যা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বালুরঘাটে। এত মাঠ থাকার পরও কেন রঞ্জি ক্রিকেট খেলার মাঠেই সভা? এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ খোলার পর থেকে গোটা মাঠে বিশালাকৃতির বড় বড় গর্ত নজরে এসেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমী থেকে বিরোধীরা। শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বা যুবভারতীতে এরকম ভাবে সভা করতে পারতেন? এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার।”

    সভার জন্য বাতিল হয়েছিল খেলা (Dakshin Dinajpur)?

    মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) প্রশাসনিক সভা প্রথমে হওয়ার কথা ছিল শহরের টাউন ক্লাব বা ফ্রেন্ডস উনিয়ন মাঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাস্থল নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট স্টেডিয়ামে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক অ্যাথলেটিক মিট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যা গত জানুয়েরির ২৯ ও ৩০ তারিখে ওই মাঠে এই খেলা ছিল। এমনকি চলতি সপ্তাহের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারিতে সিএবি-র অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই মাঠে। তাও সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়েছে। কিছু খেলা অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

    সভার পরেও বড় বড় গর্ত!

    বছর কয়েক আগে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রঞ্জি ক্রিকেট ম্যাচ। এই মাঠে রয়েছে চারটি ক্রিকেট পিচ। মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য ক্রিকেট পিচে গর্ত করা না হলেও তার চারপাশ দিয়ে বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারী ভারী লরি ওই পিচের উপর দিয়ে গেছে। যার ফলে বহু অংশে বসে গেছে পিচ। যেখানে খেলা একপ্রকার সম্ভবই নয়।

    ক্রীড়া প্রেমীদের বক্তব্য

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুঘাটের (Dakshin Dinajpur) এক ক্রীড়াপ্রেমী বলেন, “আরও অনেক মাঠ বালুরঘাটে ছিল। সেগুলোতে এই সভা করা যেত। কী কারণে বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হল তা বুঝতে পারলাম না। মাঠটি এই মরসুমে খেলার অনুপযোগী হয়ে গেল।” এবিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ বলেন, “জেলা প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করছেন। মাঠটি পূর্বের অবস্থা যাতে করা হয় তার আবেদন প্রশাসনের কাছে করব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “জেলার একমাত্র বালুরঘাট স্টেডিয়ামে রঞ্জি ম্যাচ খেলার মত পরিকাঠামো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এই মাঠে চলতি মরসুমে কোনও টুর্নামেন্ট করা যাবে না। জেলায় আসার পরও জেলাবাসী কিছু পেল না। অথচ যুব সমাজের চরম সর্বনাশ করে গেলেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “সভা হবে এটাও যেমন ঠিক তেমনি মাঠটাকে পূর্বের মত করতে হবে এটাও ঠিক। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাঠটি খেলার উপযোগী করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মোক্ষম প্রশ্নটি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ই কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত।

    দুর্নীতির নয়া পন্থা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। তিনি বলেন, “দুর্নীতির এটি একটি নয়া পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা কেউ জানে না।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তা থেকেই বোঝা যায়, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা খরচ হয়েছে কোন খাতে, খরচই বা হয়েছে কত। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি, কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় তিন হাজার চারশো কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।

    সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি

    সুকান্তর অভিযোগ, শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন ও শিক্ষা দফতরে সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “বাংলায় যা হয়েছে, তা মাদার অব অল স্ক্যাম।” কংগ্রেসের মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে টু জি স্ক্যামের অভিযোগ উঠেছিল, তার সঙ্গেও বাংলার তুলনা করেছেন গৌরব।

    আরও পড়ুুন: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share