Tag: tmc

tmc

  • TMC: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে কাঠগড়ায় ৩ তৃণমূল নেতা, আগাম জামিনের আবেদন

    TMC: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনে কাঠগড়ায় ৩ তৃণমূল নেতা, আগাম জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে-পরে ব্যাপক রক্ত ঝরেছিল পশ্চিমবঙ্গে। বিরোধীদের ওপর প্রচুর অত্যাচার হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনই রাতে খুন হন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার।

    খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূলের ৩ (TMC)

    এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) তৃণমূলের স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলেরই পাপিয়া ঘোষ। সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আগাম জামিনের আবেদন করেন তাঁরা। তৃণমূলের এই নেতাদের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করার ইচ্ছে থাকলেও, সিবিআই হঠাৎই তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করায় তাঁরা আদালতের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেন। প্রসঙ্গত, সিবিআই ইতিমধ্যেই ওই তিন তৃণমূল নেতাকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, ১৬ জুলাই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওই তৃণমূল নেতাদের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হতে পারে।

    বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত তাঁরা

    কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা অভিজিৎ বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হয় ২ মে। তার পরেই কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ফেসবুক লাইভে এসে অভিজিৎ অভিযোগ করেন, তাঁর বাড়ি ও পোষ্যদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। তাতেই নাম জড়ায় ওই তিন তৃণমূল নেতার। খুনের প্রেক্ষিতে অভিজিতের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা (TMC)। সম্প্রতি চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে পরেশ, স্বপন এবং পাপিয়ার নাম।

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় জড়িত শাসক দল তৃণমূলের একাধিক নেতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু শেষমেশ সামনে আসছে সত্য। উল্লেখ্য, এর আগে ব্যাংকশাল কোর্টে হাজিরা এড়িয়েছিলেন (Calcutta High Court) তৃণমূলের এই তিন অভিযুক্ত নেতা (TMC)।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের কলেজে কলেজে ‘ভাইপো গ্যাং’! চাকরি করছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা ল কলেজে (Kasba Case) গণধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের ‘দাদাগিরি’-র ছবি। আবার বিভিন্ন কলেজে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ। এই আবহে মঙ্গলবার ‘ভাইপো গ্যাং’-র তালিকা প্রকাশ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, কসবার ল কলেজের মতো রাজ্যের প্রতিটি কলেজেই ‘ভাইপো গ্যাং’-এর সদস্যরা সক্রিয়, যারা শাসকদলের ছত্রছায়ায় মেয়েদের উপর নির্যাতন এবং টাকা তোলার মতো অপরাধে যুক্ত।

    কারা রয়েছে তালিকায়

    বিধানসভার বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, যোগ্যরা সুযোগ পায়নি। বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ৫০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই সব ছাত্ররা ভাইপোর হয়ে টাকা তোলার কাজ করে। মনোজিত মিশ্রের মতো বহু ছাত্রী নির্যাতনকারী আজ কলেজ চত্বরে ক্ষমতার রক্ষাকবচ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৫০ জনের নাম প্রকাশ করলাম। ইচ্ছে করলে আরও ১,০০০ জনের তালিকা দিতে পারি। সেই প্রস্তুতিও চলছে।’’ সেইসব ছবিতে তৃণমূল ও টিএমসিপি-র কোন কোন নেতা-নেত্রী কোথায় চাকরি পেয়েছেন সেসব তুলে ধরেন শুভেন্দু। তার মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার ছেলে পিনাকী সাঁতরা। যিনি বর্তমানে অশিক্ষক কর্মী। আবার টিএমসিপি নেত্রী শিল্পা দাস হিরালাল মজুমদার কলেজের কর্মী। আশুতোষ কলেজের টিএমসিপি-র প্রাক্তন জিএস উত্তরণ বন্দ্যোপাধ্যায় আশুতোষ কলেজের অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন জিএস লগ্নজিতা চক্রবর্তী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নাসির বাগানি সোনারপুর কলেজের কর্মী।

    কেন এই হাল

    শাসকদলকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “ প্রত্যেক কলেজে একটা করে মনোজিত রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা আজ তলানিতে ঠেকেছে। প্রশাসন সব জেনেও নিশ্চুপ, কারণ এরা সকলেই ‘ভাইপোর’ লোক। অধিকাংশ কলেজের ছাত্র সংসদ রুমগুলোকে নোংরামির জায়গায় পরিণত করেছে। এক শ্রেণির প্রিন্সিপ্যাল ভয়ে কিছু বলেন না। আরেকদল অযোগ্য হয়ে প্রিন্সিপ্যাল হয়েছে। তাই শাসকদলের ছাত্রদের চটাতে চায় না।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আজ যে ৫০ জনের তালিকা দেওয়া হল তারা প্রত্যেকেই অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছে। যার জন্য যোগ্যরা বঞ্চিত। সিপিএমের আমলেও বড়ো বড়ো ক্যাডারারও এভাবে যোগদান করেছে। সেই তালিকাও প্রকাশ করব। প্রথমে ক্যাজুয়াল ঢুকিয়ে দেয় তারপর কাজ দেখিয়ে রেগুলার করে দেয়।’’ এই তালিকায় ২-৪ জন অধ্যাপকও আছেন, যাদের জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঢুকিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু।

    পুলিশই সমস্যা

    একই দিনে কসবা ধর্ষণকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ তোলে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার ও বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং জানান, ‘‘এটাই প্রথম দেখলাম, নির্যাতিতার এফআইআরে অভিযুক্তদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বদলে দিয়ে ‘এম. জে.’ লেখা হয়েছে। পুলিশ নিজের মতো করে অভিযোগ বদলে দিচ্ছে। যেখানে অভিযোগই পালটে দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে?’’ পুলিশকে নিশানা করে এদিন শুভেন্দু বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মূল সমস্যা পুলিশ। পুলিশ নিরপেক্ষ হলে সব কিছুর সমাধান হবে।”

    নবান্ন অভিযানের ডাক

    আগামী ৯ অগস্ট তিলোত্তমাকে খুনের এক বছর পূর্ণ। ওইদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওইদিন ২ জায়গা থেকে লাখ খানেক লোক আসবে। বাস আটকালে, ট্রেনে লোক আসবে। সাঁতরাগাছি থেকে লোক আসবে। সেদিন তিলোত্তমার সেন্টিমেন্টে ও তাঁর বাবার আহ্বানে ভিড় করবে মানুষ।” তিলোত্তমার খুনের ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “সিবিআই একটি স্বশাসিত সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে জড়াবেন না। কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট রোজ মনিটরিং করেছে আরজি কর মামলা। সিবিআই নিশ্চয়ই ধোয়া তুলসি পাতা হতে পারে না। অভিজিৎ সরকারের ক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের লড়াই দেখেছি। বাধ্য হয়েছে পরেশ পালের নাম ঢোকাতে। এখানেও সিবিআই বাধ্য হবে। ১৮ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে আবার আরজি করের শুনানি রয়েছে। কেউ শিথিলতা দেখলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন।”

    উত্তরকন্যা অভিযান

    আগামী ২১ জুলাই বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযান রয়েছে। ওইদিন ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ রয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “উত্তরকন্য়া অভিযানের অনুমতি দেবে না আমি জানি। দুটো কারণ, ২১ জুলাই কোথাও কোনও কিছু হোক এই সরকার চায় না। আমাদের কর্মসূচির কাছে ওদের ২১ জুলাই যদি ফ্লপ হয়ে যায়, তাই এটা করতে চায় না। মহামান্য আদালত অনুমতি দিলে কলকাতা থেকে ৬০০ কিমি দূরে কর্মসূচি সফল হবে।”

     

     

     

     

     

  • BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    BJP leaders Death Case: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইকে ধমক আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা কি রসিকতা হচ্ছে?” ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ঠিক এই প্রশ্ন তুলেই সিবিআইকে (CBI) ধমক দিল আদালত। তথ্যপ্রমাণ জোগাড় হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগেই (BJP leaders Death Case)। তার পরেও কেন অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হল চার বছর পর? প্রশ্ন আদালতের।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন (BJP leaders Death Case)

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলায় মাত্র দু’দিন আগেই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে ১৮ জনের। তার মধ্যে আবার তিনজনই হলেন তৃণমূলের নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং কলকাতা পুরসভার দুই কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। শুক্রবার কলকাতার বিচার ভবন সেই মামলায় ১৮ জনকেই সমন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাঠাতে বলা হয়েছে চার্জশিটের প্রতিলিপিও। আদালত এদিন জানিয়ে দেয়, কেবল ওই ১৮ জনই নন, মূল চার্জশিটে যে ২০ জনের নাম রয়েছে, তাঁদেরও সমন পাঠাতে হবে।

    সিবিআইকে ধমক আদালতের

    বিচারকের এই নির্দেশের পর সিবিআইয়ের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সকলকে চার্জশিট পাঠাতে তাদের মাসখানেক সময় লাগবে। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। বলেন, “চার বছর পর সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিচ্ছেন। এটা কী ম্যাটার অফ জোক? চার বছর ধরে কী করছিলেন? চার্জশিটে তো দেখলাম তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে দু’বছর আগেই।” তিনি বলেন, “তদন্তের অধিকার দেওয়া হয়েছে মানে সেটা আপনাদের খামখেয়ালির ওপর নির্ভর করতে পারে না।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জুলাই। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ওই দিনই অভিযুক্তদের আদালতে হাজির থাকতে বলা হবে (BJP leaders Death Case)।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিজয়ী দল তৃণমূলকে। ওই সময়ই ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিজিৎ খুন হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ২ মে ফল ঘোষণার দিনই অভিজিৎকে পিটিয়ে, গলায় কেবল টিভির তার জড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অরুণ দে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন গত সপ্তাহে (BJP leaders Death Case)।

  • Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    Shamik Bhattacharya: “তলোয়ার নয়, আমরা তাদের হাতে কলম তুলে দিতে চাই,” ‘মেইডেন স্পিচে’ বললেন শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি (BJP) মুসলমান বিরোধী নয়, বরং মুসলমানদের হাত থেকে তলোয়ার কেড়ে নিয়ে কলম ধরাতে চায়।” বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটির বিশাল মঞ্চ থেকে কথাগুলি বললেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)। বস্তুত, এ রাজ্যে বিজেপি এখনও মুসলমানদের ‘কাছের লোক’ হয়ে উঠতে পারেনি। তৃণমূলের চটকদারির রাজনীতিতে (স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ পড়েন) ভুলে গিয়ে ‘স্বজাতি’কেই (পড়ুন, তমান্না খাতুন)খুন করে বসে।

    মুসলিমদের প্রতি বার্তা শমীকের (Shamik Bhattacharya)

    রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের পাল্লায় পড়ে মুসলিমদের এই বিপথগামিতা থেকে সরিয়ে আনতে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি যে আগ্রহী, এদিন সেই বার্তাই দিলেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে এদিন তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক মুসলমানদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন আন্তরিকভাবেই। এদিন শমীকের হাতে রাজ্য সভাপতির দায়িত্বের শংসাপত্র তুলে দেন গৈরিক শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাতে শংসাপত্র পাওয়ার পর বঙ্গ বিজেপির নয়া সারথি হিসেবে তাঁর ‘মেইডেন স্পিচে’ শমীক বলেন, “দিনের পর দিন বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। যারা পাথর হাতে ঘোরে, তাদের আমরা বই ধরাতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে, তাদের হাতে আমরা কলম তুলে দিতে চাই।”

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা

    হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়ে বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমরা চাই দুর্গাপুজোর বিসর্জন আর মহরমের শোভাযাত্রা একই রাস্তা দিয়ে যাক, এক সঙ্গে, সংঘর্ষ ছাড়াই। আমরা চাই সম্প্রীতির বাংলাকে (BJP) বাঁচাতে।” তিনি বলেন, “এজন্য কোনও দাঙ্গা হবে না, সংঘর্ষ হবে না। কোনও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিভাজন থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে এর বহুত্ববাদকে। এই মাটিকে রক্ষা করতে হবে। এটাই বিজেপির (Shamik Bhattacharya) লড়াই। এটা আমরা করেও দেখাব।”

    মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ

    এদিনের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শমীক বলেন, “বাংলার সংখ্যালঘু ভাইবোনেরা সৈয়দ মুজতবা সিরাজ, সৈয়দ মুস্তাফা আলি, এস ওয়াজেদ আলি, নজরুলের কথা শুনবে, না কি কোনও উগ্রপন্থীর কথা শুনবে? না কি হুমায়ুন কবীরের বক্তব্যকে গ্রহণ করবে?” তিনি বলেন, “আপনাকেই চিন্তা করতে হবে, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় বেরবে, না কি রাস্তায় পাথর ছুড়বে? মুসলমান মানেই সমাজবিরোধী! দেখুন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে। মারছে মুসলমান, মরছেও মুসলমানই। কারা এই অবস্থা তৈরি করল?” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি বলেন, “আপনারা মনে করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, গত তিন বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত খুন হয়েছে, তার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কত। ৯০ শতাংশই মুসলমান খুন হয়েছেন। যারা মারছে আর যারা মরছে, তারা সবাই মুসলমান। আর তাদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চাই।”

    ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টা

    বছর ঘুরলেই রাজ্যে বাজবে বিধানসভা নির্বাচনের ডংকা। তাই তৃণমূলকে (Shamik Bhattacharya) রাজ্য থেকে উৎখাত করতে ঘাসফুল বিরোধী সব ভোটকে পদ্মঝুলিতে ফেলার চেষ্টাও এদিন করেছেন শমীক। বঙ্গ বিজেপির দণ্ডমুণ্ডের নয়া কর্তা বামেদের উদ্দেশে (BJP) বলেন, “বামদের বলছি, ভোট কাটাকাটি করবেন না। পেছনের দরজা দিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় ফেরাবেন না। ২০২৬ সালে নির্বাচন, তৃণমূলের বিসর্জন। তাই যার যা পতাকা আছে, সেগুলি সরিয়ে রেখে আসুন এক সঙ্গে লড়ুন। সমস্ত মত-পথ ভুলে যান। এগিয়ে আসুন। তৃণমূলকে সরিয়ে দিন। তারপর আবার যে যার মত-পথে চলবেন।” তিনি বলেন, “মানুষ শিল্প চায়, চাকরি চায়। অথচ রাজ্যে তা নেই। অথচ আমাদের সোনার বাংলা ছিল। আবার সোনার বাংলা বানাতে হবে।” শমীক (Shamik Bhattacharya) বলেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি চাইছেন।”

    ছাব্বিশের ভোটে বিজেপিই জিতবে

    তবে ছাব্বিশের ভোটে যে আর তৃণমূল আর রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরবে না, এদিন সে কথাও প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়ে দেন শমীক। বলেন, “তৃণমূল শেষ হয়ে গিয়েছে। আর থাকবে না। তৃণমূলের মুখ কোথায়? মানুষ সবাইকে প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে আমরা ক্ষমতায় আসব।” তবে এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বিস্তার যে অনায়াস নয়, তা বেশ বোঝেন শমীক। বলেন, “এতদিন ধরে বিজেপি এতটা রাস্তা পেরিয়েছে। সেই রাস্তা কিন্তু মসৃণ ছিল না। আমাদের কর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কর্মীরা সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” তিনি (Shamik Bhattacharya) বলেন, “আমরা সর্বস্তরের সব নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে লড়াই করব। কোথাও কোনও ভেদাভেদ থাকবে না।” শমীক বলেন, “আগামী নির্বাচনে বিজেপিই জিতছে। পৃথিবীর কোনও শক্তি নেই, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবেন (BJP)।”

  • Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় প্রথম রায় ঘোষণা, ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতা

    Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় প্রথম রায় ঘোষণা, ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) শিকার হয়েছিল বেশ কিছু বিজেপি সমর্থক পরিবার (Malda)। দুষ্কৃতীরা রেহাই দেয়নি মালদার বছর নয়ের এক বালিকাকেও। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, করা হয়েছিল নির্যাতনও। তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যে এই প্রথম কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হল। অভিযোগ, চার বছর আগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এলাকারই প্রভাবশালী তৃণমূলের এক নেতা। তিনি আবার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় পকসো আইনে ওই নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলা আদালত।

    রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত (Post Poll Violence)

    মালদা অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের এডিজে সেকেন্ড কোর্টের বিচারক রাজীব সাহা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শুক্রবার ঘোষণা করা হবে সাজা। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় রাজ্যে এই প্রথম কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হল। আদলত চত্বরে দাঁড়িয়ে রফিকুলের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার মা বলেন, “মেয়ে বাড়ির সামনে খেলা করছিল। তাকে ফুঁসলে ঘরে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ধর্ষণ করে। বিধানসভা ভোটে বিজেপি করায় আমাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়।”

    নির্যাতিতার পরিবার বরাবরই বিজেপি সমর্থক

    স্থানীয় সূত্রে খবর, নির্যাতিতার পরিবার বরাবরই বিজেপি সমর্থক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তৃণমূল নেতা রফিকুল ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে জেলা সফরে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের মামলায় দায়িত্বভার নেয় সিবিআই। সব মিলিয়ে রাজ্যে সিবিআই মোট ৫৫টি মামলার দায়িত্বভার নেয়। তার মধ্যেই এবার প্রথম ধর্ষণের মামলায় কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হল।

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্য

    সিবিআইয়ের আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, “সিবিআই হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় মোট ৫৫টি মামলার দায়িত্বভার নেয়। তার মধ্যে মালদার ধর্ষণের মামলাটিও রয়েছে। এদিন পকসো আইনে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন (Post Poll Violence)। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করা হবে। আমরা সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানাব।” স্থানীয় সূত্রে খবর, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া রফিকুল প্রথমে সিপিএম করতেন। পরে যোগ দেন (Malda) তৃণমূলে। তার পরেই “পদস্খালন”।

    পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন

    ২০২১ সালের ২ মে ফল বের হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের। বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ফল প্রকাশ হওয়ার ঠিক তিনদিন পর থেকেই রাজ্যে বিরোধীদের ওপর শুরু হয় ব্যাপক অত্যাচার। সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় জায়গা করে নেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কাহিনি। সংবাদ মাধ্যমের রোজকার খবর হয়ে ওঠে কোথাও ধর্ষণ, কোথাও আবার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। খুন-জখম-রাহাজানির ঘটনাও ঘটতে থাকে আকছার। এর পর কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় বেশ কয়েকটি রিট পিটিশন। নির্বাচনোত্তর হিংসা মামলায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় মানবাধিকার কমিশনও।

    কলকাতা হাইকোর্ট

    আদালতে দেওয়া সাক্ষ্য এবং মানবাধিকার কমিশনের জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির  বেঞ্চ ওই বছরের ১৯ অগাস্ট ভোট (Malda) পরবর্তী হিংসার মামলাগুলি তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের কাছে পাঠানোর নির্দেশ জারি করে (Post Poll Violence)। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই ভোট পরবর্তী হিংসার বেশ কয়েকটি ঘটনা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। এজন্য সিবিআই কর্তারা একটি তদন্তকারী দলও গঠন করেছিলেন। সেই দলই তদন্ত শুরু করে। তদন্তের পর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই দাখিল করা হয়েছিল চার্জশিট। মামলার ফয়সলা যাতে দ্রুত হয়, তাই বিশেষ আইনজীবীও নিয়োগ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    সিবিআইয়ের তদন্ত

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেসব মামলার তদন্ত করেছিল, তার মধ্যে ছিল মালদার মানিকচকের ওই নাবালিকা ধর্ষণের মামলাটিও। তদন্তে জানা যায়, ওই বছরের ৪ জুন সন্ধ্যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রফিকুল ইসলাম ওরফে ভেলু (মালদারই একটি সরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ফুঁসলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নির্যাতিতা নাবালিকার খুড়তুতো বোন স্বয়ং। নির্যাতিতা ও তার বছর দশেকের খুড়তুতো বোন ধর্ষণ সম্পর্কে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তার পরেই শুরু হয় মামলা। যে মামলায় ভেলুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় বুধবার। সাজা ঘোষণা করা হবে শুক্রবার। পকসো আইনের ৬ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবি ধারার অধীনে বারো বছরের (Malda) কম বয়সী নাবালিকাকে ধর্ষণে ভেলুকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত (Post Poll Violence)।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। যুব কংগ্রেসের ব্যানারে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করতে গিয়ে (Suvendu Adhikari) বাম আমলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন যুব কংগ্রেস কর্মীর। তাঁদেরই ‘শহিদ’ (যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দেন, তাঁদের শহিদ বলে। এটা তো ছিল পার্টির প্রোগ্রাম!) আখ্যা দিয়ে ফি বছর ঘটা করে ২১ জুলাই পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করলেও, নিয়ম করে শহিদ দিবস পালন করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক (Suvendu Adhikari)

    এবারও পালিত হবে ২১ জুলাই। তৃণমূল যেদিন ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে, সেদিনই উত্তরকন্যা অভিযানের (Uttarkanya Abhiyan) ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার যুব মোর্চার এক কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানালেন, ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যার উদ্দেশে অভিযান করবে বিজেপি যুব মোর্চা। পাশাপাশি ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাকও দিলেন তিনি।

    হবে নবান্ন অভিযানও

    গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার, যিনি ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দিনটির স্মরণেই এবার হবে নবান্ন অভিযান।  শুভেন্দু বলেন, “অভয়ার চোখ দিয়ে সেদিন জল নয়, রক্ত বেরিয়েছে। হাঁসখালি থেকে বগটুই – এই সরকার ও তার বাহিনী ধর্ষকদের রক্ষাকারী। তাই এদের ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে।” এদিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বৃষ্টি তো দূরের কথা, এই সরকারকে সরাতে গুলি খেতেও রাজি আছি। আমাদের লড়াই চলবে। ২১ জুলাই ওরা কলকাতায় ডিম-ভাত খাবে, আর আমরা উত্তরকন্যায় যাব। কর্মীদের বলছি, নিজের খরচে যাবেন, ভালো করে লড়তে হবে (Uttarkanya Abhiyan)।”

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, নবান্ন অভিযানের আগে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে যাবেন অনুমতি নিতে। নবান্ন অভিযানে তাঁরা যাতে যোগ দেন, সেই অনুরোধও করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সেদিন পতাকা ছাড়াই আন্দোলনে যাব। অভয়ার স্মৃতিতেই হবে এই প্রতিবাদ। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে মমতার সরকারের পতন ঘটানোর ডাকও দেওয়া হবে।” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আগামিকালই (বৃহস্পতিবার) নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানাব। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে আসবে নতুন লড়াইয়ের কর্মসূচি।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এটা শেষ নয়, এটা ওদের শেষের শুরু।”

    গণধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল

    কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে প্রথম বর্ষের (Suvendu Adhikari) ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার মিছিল ও জনসভা করেন শুভেন্দু। রাসবিহারী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মিছিল এগিয়ে গিয়েছে কসবার দিকে। মিছিলে বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায় ঝাঁটা হাতে নিয়ে হাঁটতে। ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও। ‘কন্যা বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় (Uttarkanya Abhiyan) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কাছে। সেখানেই হয় সমাবেশ। সেই সমাবেশেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে শানিত আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বাঙালি হিসেবে অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ হয়। এ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধ হয়। তবে কোনও প্রতিকার হয় না।” সমাবেশ থেকে অনেক স্লোগান দেন শুভেন্দু। তার মধ্যে রয়েছে, ‘ঝাড়ু মেরে করো সাফ, মমতার সরকার’। ‘এক হাজার ঝাড়ু, এক হাজার মা মিছিল করেছেন।’ ‘কন্যা বাঁচাও, মমতা হটাও।’ ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, মমতার পতন দেখতে চাই।’ ‘বিজেপি কর্মীরা গুলি খেতেও তৈরি।’

    জোড়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা

    এই সমাবেশেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেন জোড়া কর্মসূচির কথা। ২১ জুলাই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন চোরেরা কলকাতায় ডিম-ভাত খেতে আসে। আর আমরা উত্তরকন্যা নড়িয়ে দেব (Uttarkanya Abhiyan)।” এর পরেই তিনি জানান, ৫ অগাস্ট তিনি যাবেন অভয়ার বাবা ও মায়ের কাছে, অনুমতি নিতে। শুভেন্দু বলেন, “৫ তারিখে পানিহাটিতে উল্টো রথে যাব। ওই দিন আমি অনুমতি নিতে অভয়ার বাবা-মায়ের কাছে যাব। তাঁদের বলব, পতাকা ছাড়া ৯ অগাস্ট অভয়ার ধর্ষণ-খুনের বর্ষপূর্তিতে নবান্ন অভিযান করতে হবে।”

    মাস আটেক পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের নামে তৃণমূল ফের একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করিয়ে নিতে চাইছে। বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দেখিয়ে দিতে চাইছে (Uttarkanya Abhiyan), তাদের শক্তি কতটা।

  • Kasba Gangrape: গণধর্ষণকাণ্ডে শহরে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, বুধে কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    Kasba Gangrape: গণধর্ষণকাণ্ডে শহরে বিজেপির তথ্যানুসন্ধানী দল, বুধে কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কসবা (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা চার সদস্যের একটি তথ্যানুসন্ধানী দল গঠন করেছেন। এই দল সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করবে। সোমবারই সেই দলের সদস্যরা একে একে কলকাতায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে শহরে এসে গিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ বিপ্লব দেব। দলের বাকি সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যপাল সিং ও মীনাক্ষী লেখী এবং রাজ্যসভার সাংসদ মননকুমার মিশ্র। তাঁদের স্বাগত জানানোর দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে গণধর্ষণকাণ্ডে আগামী ২ জুলাই কসবা অভিযানের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    পুলিশকে তোপ শুভেন্দুর (Kasba Gangrape)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই দল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর করবেন। মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে নির্যাতিতা (Kasba Gangrape) ও তাঁর পরিবারকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখেছে দিয়েছে। এনিয়ে কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে নিশানা করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “নির্যাতিতাকে কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন? বাবা-মায়ের সঙ্গেও দেখা করতে দিচ্ছেন না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”

    ২ জুলাই বুধবার যুব মোর্চার নেতৃত্বে ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক শুভেন্দুর

    অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২ জুলাই বুধবার যুব মোর্চার নেতৃত্বে ‘কসবা অভিযান’-এর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তবে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। আমরা কসবায় ঢুকবই, হাজার হাজার মানুষ নিয়ে যাবো।” তিনি আরও বলেন, “কোনও শক্তি আমাদের আটকাতে পারবে না। যেমন মহেশতলা বা ধুলিয়ানে ঢুকেছি, এখানেও ঢুকব। সত্য প্রকাশ করেই ছাড়ব।” কসবা-কাণ্ডের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ ও ধরনা।

    গণধর্ষণকাণ্ডে প্রথম থেকেই রাস্তায় বিজেপি (BJP)

    প্রসঙ্গত কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রথম থেকেই রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। শনিবার রাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে গিয়ে গ্রেফতার হন। গড়িয়াহাটে পুলিশের সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। এই প্রেক্ষিতে রবিবারই, কসবা কাণ্ডের প্রতিবাদে মশাল মিছিল সংগঠিত করে বিজেপি। গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত এই মিছিলে দলের অসংখ্য নেতা-কর্মী অংশ নেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজ্যজুড়ে ‘কন্যাসুরক্ষা যাত্রা’র ডাক বিরোধী দলনেতার

    কসবা ল’ কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অন্তত এক সপ্তাহ অন্য কোনও ইস্যুতে না গিয়ে কেবল কসবা-কাণ্ডকে ঘিরেই চলবে তাদের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি। রাজ্যজুড়ে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আন্দোলনে গতি আনতেই এই কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির। সোমবার সকালেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, আইন কলেজের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে তিনি একটি নতুন কর্মসূচি শুরু করছেন, ‘কন্যাসুরক্ষা যাত্রা’। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে সোমবার বিকেলে তিনি গোলপার্ক থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আর বাড়িতে বসে থাকলে হবে না। পার্ক স্ট্রিট, কামদুনি, হাঁসখালি, আরজি কর এবং কসবার ঘটনার প্রতিবাদে কন্যাসুরক্ষা যাত্রা চলতে থাকবে।”

    ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে অভয়ার বাবা-মাকে আর্জি শুভেন্দুর

    উল্লেখযোগ্যভাবে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রীর উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে গত বছর ‘ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে নবান্ন অভিযান সংগঠিত হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু এদিন ফের বলেন, “আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে আমি যাব কিছু দিন বাদে। তখন নির্যাতিতার বাবা-মাকে বলব, আগামী ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিন। সব নাগরিক সেখানে সামিল হবেন। রাজনীতি সরিয়ে রেখে আমিও যোগ দেব।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। কসবাকাণ্ডে এমনিতেই দলীয় যোগ উঠে আসায় বেশ কোণঠাসা তৃণমূল। এই আবহে মমতা সরকারকে চাপে ফেলতে এই ইস্যুতে লাগাতার কর্মসূচি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির (BJP)।

    আইনজীবীদের জনস্বার্থ মামলা

    এদিকে, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কসবা কাণ্ডে (Kasba Gangrape) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। তিন আইনজীবী, সৌম্যশুভ্র রায়, সায়ন দে এবং বিজয় কুমার সিংহল, বিচারপতি সৌমেন সেনের এজলাসে মামলার অনুমতি চান। তাঁরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মূলত দুইটি বিষয়ে—এক, ঘটনার তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় রাখা; দুই, রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিচারপতি সেন তাঁদের মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Kaliganj Murder Case: কালীগঞ্জে ছোট্ট ছাত্রী তামান্না খুনে গ্রেফতার মূল মাথা তৃণমূলের গাওয়াল

    Kaliganj Murder Case: কালীগঞ্জে ছোট্ট ছাত্রী তামান্না খুনে গ্রেফতার মূল মাথা তৃণমূলের গাওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিম ভোটব্যাংকে যাতে ধস না নামে, তাই শেষমেশ তামান্না খুনে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গাওয়াল শেখকে গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে গাওয়ালের (TMC) ছেলে বিমল শেখকেও। শুক্রবার রাতে বর্ধমানের কাটোয়া থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে তামান্না খুনে মোট চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ (Kaliganj Murder Case)।

    তামান্নার বাড়িতে সুকান্ত (Kaliganj Murder Case)

    গত ২৩ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বের হয়। জয়ী হয় তৃণমূল। মোলান্ডি গ্রামে বের হয় বিজয় মিছিল। সেই মিছিল থেকেই সিপিএম সমর্থক তামান্না খাতুনের বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী। খবর পেয়ে তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তামান্নার মায়ের কাছ থেকে শোনেন সেদিনের ভয়াবহ ঘটনার বর্ণনা। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে সুকান্ত বলেছিলেন তৃণমূলের হার্মাদদের জন্য হারাতে হয়েছে ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটাকে।

    গাওয়াল শেখ মাথা!

    তিনি বলেছিলেন, তামান্নার মা জানিয়েছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি গাওয়াল শেখ এদের মাথা। তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সুকান্তের ওই বক্তব্যের পরেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নাওয়ের পালের হাওয়া বিরোধীদের পালে লাগতে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি করে গ্রেফতার করা হয় গাওয়ালকে। তামান্নার মা সাবিনা বিবি প্রথম থেকেই দাবি করেছিলেন, গাওয়ালই বোমা ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনিই মূল মাথা। সেই মূল মাথাকেই গ্রেফতার করতে পুলিশের সময় লাগল দিন চারেক।

    গাওয়াল কালীগঞ্জে তৃণমূলের বুথ সভাপতির পদে রয়েছেন (Kaliganj Murder Case)। তামান্নার অকাল মৃত্যুর পর তার পরিবারের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে গাওয়াল ও তাঁর ছেলে দুজনেরই নাম ছিল। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, গাওয়াল শেখ কালীগঞ্জ বোমাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে তল্লাশি অভিযান। শীঘ্রই সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তামান্না খুনের কলঙ্কের কালি গা থেকে ঝেড়ে ফেলতে গাওয়ালকে বহিষ্কার করতে পারে তৃণমূল। তবে গাওয়ালকে (TMC) বহিষ্কার করা হলে তার প্রভাব পড়তে পারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে।

    তৃণমূল কী করে, এখন সেটাই দেখার (Kaliganj Murder Case)।

  • Assembly Bypoll Results: কালীগঞ্জে বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় ছাত্রীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Assembly Bypoll Results: কালীগঞ্জে বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমায় ছাত্রীর মৃত্যু, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের (Assembly Bypoll Results) বলি এক নাবালিকা। পশ্চিমবঙ্গের কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ঘটনা (Updates)। চার রাজ্যের ৫টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল ১৯ জুন, বৃহস্পতিবার। ফল বের হয় ২৩ জুন, সোমবার। এদিন বাংলার কালীগঞ্জ আসনেও ভোটের ফল বেরিয়েছে। ভোট গণনা চলাকালীন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বছর নয়েকের এক ছাত্রীর। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বড়চাঁদগড় এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই নাবালিকা জখম হয়। পরে তার মৃত্যু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আলিফা আহমেদ। বছর আটত্রিশের আলিফা এই কেন্দ্রের প্রয়াত বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মেয়ে।

    কী বলছেন মৃতের মা

    স্থানীয়দের একটা বড় অংশের অভিযোগ, এদিন ভোট গণনায় তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের ইঙ্গিত মিলতেই মেলেন্দি এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীরা। ওই বিজয় মিছিল থেকেই সিপিএম কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা। সেই সময় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল চতুর্থ শ্রেণির ওই নাবালিকা। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তামান্না খাতুন নামের ওই ছাত্রীর। বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের ছোড়া বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রীর। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেন, “তৃণমূল রক্তপাত ছাড়া ভোটে জিততে পারে না।” তাঁর (Assembly Bypoll Results) প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এটাই জয়ের মূল্য?” তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তামান্নার মা-ও। মৃতের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “কারা বোমা ছুড়েছে, আমি দেখেছি। আমরা সিপিএম করি। ওদের নাম না জানলেও, সকলের মুখ চেনা, সবাই তৃণমূল করে।”

    কোন কেন্দ্রে কে জয়ী

    এদিন অকাল বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে গুজরাটের কাদি এবং বিসাবদর কেন্দ্রের, পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম কেন্দ্রে এবং কেরলের নীলম্বুর কেন্দ্রে। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম আসনে জয়ী হয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আপ প্রার্থী সঞ্জীব অরোরা। নীলাম্বুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন (Updates) কংগ্রেসের আর্যদান শৌকথ। গুজরাটের দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপির কিরীট প্যাটেল ও রাজেন্দ্র চাভদা (Assembly Bypoll Results)।

  • West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    West Bengal Assembly: বিধানসভার ফ্লোরে ফেলে মার, মহিলা বিধায়কদের গায়ে হাত! বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-সকালে ধুন্ধুমারকাণ্ড বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হল বিজেপি (BJP MLAs Suspended) বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে। ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। সেদিন একটি বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। মন্ত্রীর জবাব না শুনেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন পদ্ম-বিধায়করা। সেই কারণে রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া বিধায়করা। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই ওই বিষয়ে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলেন অশোক লাহিড়ি।

    অশোকের বক্তব্য (West Bengal Assembly)

    তিনি বলেন, “কোন আইনে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হল, তা জানাতে হবে অধ্যক্ষকে।” অধ্যক্ষের বদলে এর জবাব দিতে শুরু করেন তৃণমূলের চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এর পরেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্শালের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন মনোজ। তাঁকে পাঁজাকোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়। মনোজ এবং অগ্নিমিত্রা পল, দীপক বর্মন এবং শঙ্কর ঘোষকে পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।

    কী বললেন শঙ্কর

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “বিধানসভার ভিতরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এর আগে মনোজ টিগ্গা, দেবলীনা হেমব্রম, আবদুল মান্নানদের মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আবারও আমাদের হাসপাতালে পাঠাতে চায়। মার্শাল দিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ করা হল! বাংলার এই অপশাসন থেকে যদি মুক্তি দিতে না পারি, তাহলে আমরা বিজেপি কর্মীই নই।” তিনি বলেন, “ফ্লোরের মধ্যে আমাদের ফেলে মারা হয়েছে। মহিলা বিধায়কদের গায়েও হাত তুলেছে (BJP MLAs Suspended)। তারপর টানতে টানতে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে (West Bengal Assembly)। এমনকি, আগের দিনও এরা একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।”

    তুমুল হট্টগোল

    জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্করকে ‘মেনশন’ পর্বে বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলেই স্পিকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পালটা চিৎকার শুরু করেন তৃণমূল বিধায়করা। এই সময় স্পিকার বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করার হুঁশিয়ারি দেন। অভিযোগ, এই সময় কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। তার পরেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের আবেদনের ভিত্তিতে চলতি অধিবেশনের জন্য বিজেপির চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।

    ডাকা হল মার্শাল

    সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের বিধানসভা থেকে বের করে দিতে মার্শাল ডাকেন স্পিকার। সেই সময় বিধানসভার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি হয় বলে অভিযোগ। ঠেলাঠেলির চোটে বিধানসভা কক্ষেই পড়ে যান বিধায়ক শঙ্কর। তাঁর চশমা ভেঙে যায়। বিধানসভা কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয় বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে (West Bengal Assembly)। এরই মধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির অগ্নিমিত্রা। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন অরূপ এবং বিজেপি বিধায়করা। এই হট্টগোলের মধ্যেই তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বক্তৃতা দিতে শুরু করেন। তিনি নিশানা করেন পদ্ম শিবিরকে (BJP MLAs Suspended)। এই সময় বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রাখেন বিজেপি বিধায়কদের। আলোচনা শুরু হয় নেতাজি সুভাষ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে।

    আসরে শুভেন্দু

    বিধানসভায় যখন এই সব কাণ্ড চলছে, তখন বিধানসভা কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (West Bengal Assembly)। তিনি ব্যস্ত ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবসের একটি কর্মসূচিতে। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের খবর পেয়ে বিধানসভায় চলে আসেন তিনি। এরপর পুরো ঘটনাটি শোনেন বিজেপি বিধায়কদের কাছ থেকে। তারপর তিনি বিধায়কদের ভাঙা চশমা, ঘড়ি নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অধ্যক্ষের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় শুভেন্দুকে নিজের আসনে গিয়ে বসতে বলেন অধ্যক্ষ। সে কথা কানে না তুলে নিজের বক্তব্যই পেশ করতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (West Bengal Assembly)। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর বিধানসভা কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের হাতে তখন ধরা, ‘চুপ বিধানসভা চলছে’ লেখা পোস্টার (BJP MLAs Suspended)।

    বড় অভিযোগ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “সিকিউরিটি মার্শাল আমাকে গোল করে ঘিরে রেখেছিল। ২০ জন মহিলা সিকিউরিটি দিয়ে সার্কেল করে রাখা হয়। ওরা চেয়েছিল আমি মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি করি। কিন্তু হাতদুটো ট্রাউজারের পকেটে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম। আমি ঠিক করেই রেখেছিলাম, হাত বের করব না। ১৫ মিনিট ধরে ধর্না চালিয়েছিলাম।” প্রসঙ্গত, গত সোমবারও অধিবেশন চলাকালীন (West Bengal Assembly) সাসপেন্ড করা হয়েছিল মনোজকে।

LinkedIn
Share