Tag: tmc

tmc

  • By Election : হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ২টি আসন পেল বিজেপি, বাংলায় চারটি আসনে জয়ী তৃণমূল

    By Election : হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ২টি আসন পেল বিজেপি, বাংলায় চারটি আসনে জয়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতটি রাজ্যের ১৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উনির্বাচনের (By Poll Election) ফল ঘোষণা হল শনিবার। বাংলায় রায়গঞ্জ মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, চার কেন্দ্রেই জয় পেয়েছে শাসকদল তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোট সেই শূন্যেই। দেশের নিরিখে পাঞ্জাবের জলন্ধরে জয়ী আপ। হিমাচলের দুটি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস শিবির। বিজেপি জিতেছে মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচলের আর একটি আসনে।

    বাংলায় উপনির্বাচনের ফল(By Poll Election)

    রায়গঞ্জে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপি-র মানস কুমার ঘোষ। তিনি ৩৬ হাজার ৪০২ ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্তর প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ১১৬। কৃষ্ণকল্যাণী ৮৬ হাজার ৪৭৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রানাঘাট দক্ষিণে মুকুমণি ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৩ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি-র মনোজ বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৪৮৫ ভোট। সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস ১৩ হাজার ৮২ ভোট পেয়েছেন। বাগদায় মধুপর্ণা ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস ৭৪ হাজার ২৫১ ভোট পেয়েছেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস ৮ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়েছেন উপনির্বাচনে। মানিকতলায় ৬২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন সুপ্তি। বিজেপি-র কল্যাণ চৌবে ১৫ হাজার ১৭৯ এবং সিপিএম-এর রাজীব মুজমদার ৭ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকাই প্রথম নয়! আর যারা রাজকীয় বিয়ের আসর বসিয়েছিলেন

    বিজেপি জয়ী মধ্যপ্রদেশে (By Poll Election)

    হিমাচল প্রদেশে দুটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। উত্তরাখণ্ডের দুটি আসনে জয়ী (By Poll Election) তারা। পাশাপাশি পাঞ্জাবে আপ একটি আসনে এবং তামিলনাড়ুর একটি আসনে জিতেছে ডিএমকে। হিমাচল প্রদেশের হারিমপুরে জয় পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ এবং মঙ্গলৌর থেকে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের আমারওয়ারা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমানেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের বড় কার্যক্রম। আর তাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার মাঠপালশা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ ইউনিস মুসলমান ভোট এবং অধিকার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না।”  

    তৃণমূল নেতা ঠিক কী বললেন (Birbhum)?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যা লঘুদের একমাত্র পথ হল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা দিদি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। কাজল শেখ নানুরে এবং সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। ৬৭ হাজার ভোটারদের মধ্যে তৃণমূল ২৭ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে। মুসলমানেরা ঢেলে ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে। তাই আমাদের সংগঠিত হতে হবে। সংখ্যাগুরু হয়ে যাঁরা বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন, তাঁদের নিয়েও ভাবতে হবে। সংখ্যালঘু মুসলমানেরা কোথায় যাবেন? এই সব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কোর কমিটি মেম্বারদের আঙুল তুলে বুঝিয়ে দিতে হবে, বুথেই জিততে পারছেন না, জেলায় আবার কীসের দায়িত্ব নেবেন। বোমা বাঁধা থেকে লাঠি সব আমরা করব, আর পদের বেলায় শুধু সংখ্যাগুরু! এই সবকিছু ভাবতে হবে। এই সিস্টেম মানা যাবে না।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) আরও বলেছেন, “যদি বিজেপি ৪০০ আসন পেতো তাহলে কি আমরা ঠিক মতো নামাজ পড়তে পারতাম? ইসলামি ধর্মীয় আচার ঠিক করে পালন করতে পারতাম তো? উত্তর প্রদেশের যোগী দাবি করেছেন এখনে মসজিদে মাইক বাজে না, রাস্তায় কেউ নামাজ পড়েন না। কিন্তু বিজেপি ২৪০ আসনে আটকে গিয়েছে। অযোধ্যা থেকে শুরু করে রামের যাত্রা পথে যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে সেখেনে হেরেছে। তাই সংখ্যাগুরুদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে। মোদি ৭৩ শতাংশ হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। আমরা কত? কোথাও ২৭ বা ২৫ শতাংশ মুসলমান, বাকি তো সব সংখ্যাগুরু। তাই ভাবতে হবে, ওরা জিতে গেলে আমাদের কী অবস্থা হতো? তৃণমূল একমাত্র আমাদের পথ।”

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি (Birbhum) ধ্রুবকুমার সাহা বলেছেন, “তার মানে নির্বাচনে তৃণমূলের অস্ত্র সংখ্যালঘু। তারাই বোমা বাঁধে, লাঠি ধরে। আসল সত্য ফাঁস হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বোধোদয় হয়েছে। ২০২৬ সালে তাদের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: প্রকাশ্যে ‘দাদাগিরি’! ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝোলালেন তৃণমূল নেতা

    Kalyani: প্রকাশ্যে ‘দাদাগিরি’! ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝোলালেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়া, আড়িয়াদহের পর এবার কল্যাণী (Kalyani) । তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’র সাক্ষী থাকলেন শহরবাসী। নিজের দাপট দেখাতে দোকানে তালা দিলেন তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণী পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির  দুলালকৃষ্ণ মজুমদারের বিরুদ্ধে দাদাগিরি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Kalyani)

    কল্যাণী (Kalyani) পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের পাশে একটি বাথরুম তৈরি করছিলেন দোকানের মালিক। আচমকা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার এসে কাজ বন্ধ করে দেন। তারপর দোকানের শাটারের ওপরে তালা লাগিয়ে দেন। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও কথা শোনেননি। দোকানের মালিকের ছেলে বলেন, তৃণমূলের নেতা বলেই যা খুশি করে যাবে। আমাদের কোনও কথা শোনা হবে না। এভাবে আমাদের দোকান কেন ওই তৃণমূল নেতা বন্ধ করলেন তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশ ও কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে সমস্ত বিষয়টি। কিন্তু, কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আসলে শাসকদলের নেতা বলে পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না। চরম আতঙ্কে রয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা এই এলাকায় ব্যবসা পর্যন্ত করতে পারব না।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা দুলালকৃষ্ণ মজুমদার কার্যত ওই দোকানে (Kalyani) তালা লাগানোর কথা স্বীকারও করে নেন। তিনি বলেন, “ওই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ করছিলেন ফার্নিচারের দোকানদার। আমি সরকারি কোনও পদে নেই তো কী হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই ওয়ার্ডের সভাপতি আমি। তাই আমার এসব দেখার দায়িত্ব আছে। সেই কারণেই দোকান বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছি”। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ওই ব্যবসায়ীকে প্রশাসনের কাছে জানাতে বলেছি। দলকেও আমি জানিয়েছি”।

    তৃণমূল নেতার দাদাগিরি নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, “এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সংস্কৃতি। রাজ্যজুড়ে তো এখন এটাই হচ্ছে। ব্যবসায়ীকে  হয়তো তোলা চেয়েছিলেন, সেটা না দেওয়ার তৃণমূল নেতা দোকানে তালা দিলেন। দোষীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: দলের নেতাই সরকারি জমি দখল করেছেন! বিস্ফোরক কাঁকসার তৃণমূল প্রধান

    Bardhaman: দলের নেতাই সরকারি জমি দখল করেছেন! বিস্ফোরক কাঁকসার তৃণমূল প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামেই সরকারি জমি দখল করেছেন তৃণমূল নেতা। দলের নেতার বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান। অবৈধ ভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিডিও অফিসে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পাল্টা তৃণমূল নেতা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Bardhaman) কাঁকসাতে।

    কীভাবে জমি দখল (Bardhaman)?

    সূত্রের খবর, ওই জমিতে কৃষি দফতরের কার্যালয় (Bardhaman) ছিল। তবে প্রায় ২০ বছর ধরে ওই জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কৃষি দফতরকে জমি দিয়েছিলেন এলাকার মুখোপাধ্যায় পরিবার। বনকাটি অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি বুদ্ধদেব রায় প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে জমির বেশ কিছুটা অংশ করিয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে স্থানীয় বিডিও ও বিএলএলআরও অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলেরই অঞ্চল প্রধান তবাসুম খাতুন। কৃষি জমি সহ আরও অনেক জমি এখন বুদ্ধদেব রায়ের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। সরকারি জমি কীভাবে তাঁর নামে উঠেছে, তাই নিয়ে শোরগোল পড়েছে। জমি যাতে সরকার ফিরে পায়, সেই দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রধান।

    প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে জমি রেকর্ড

    এদিকে যাঁরা জমি দান করেছিলেন, সেই পরিবারের পক্ষ থেকে দেবীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “বর্ধমান (Bardhaman) রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে ভূমি দফতরকে দানপত্র দলিল করেছিলেন আমার বাবা। কিন্তু সেই জমির রেকর্ড এখন এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে হয়ে গিয়েছে। যিনি জমিকে নিজের নামে করেছেন, তিনি অঞ্চল সভাপতি (TMC)। তাঁর নাম বুদ্ধদেব রায় ওরফে লালু। আবার লালুর স্ত্রী বুলু রায় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। অবিলম্বে প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”  

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (TMC) বুদ্ধদেব রায় এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার স্ত্রী কাঁকসা (Bardhaman) পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দোষী প্রমাণ হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দলীয় কর্মীর খুনিকে সাতদিনের মধ্যে ধরতে হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “দলীয় কর্মীর খুনিকে সাতদিনের মধ্যে ধরতে হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি কর্মী বন্ধুবিহারী মাহাতর খুনের ঘটনায়  আগামী সাতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে মূল অভিযুক্তকে, নাহলে এই মামলা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হস্তান্তরের জন্য আবেদন  জানাব”, শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় এসে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন খাতড়ার দেদুয়া গ্রামে প্রয়াত দলীয় কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। দেন পাশে থাকার আশ্বাসও।

    পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের (Suvendu Adhikari)

    মঙ্গলবার খাতড়ার (Bankura) দেদুয়া গ্রামে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী বন্ধুবিহারী মাহাতর। মৃতের ছেলে সনাতন মাহাত থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিজেপি কর্মী খুনে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অবিলম্বে সকল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাদল মাহাত, হারু ওরফে হারাধন মাহাত ও তারাপদ পালকে গ্রেফতার করে। কিন্তু, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে জয়জয়কার বিজেপি জোটের, ১১টির মধ্যে ঝুলিতে ৯ আসন

    বুথে তৃণমূল হেরেছে, সেই আক্রোশে বিজেপি কর্মী খুন!

    এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে খাতড়া পাম্প মোড় থেকে দাসের মোড় পর্যন্ত দলের কর্মীদের নিয়ে মিছিল করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। লাগাতার তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তদন্তের আগেই মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে ঘটনাটিকে জমি নিয়ে বিবাদে গন্ডগোল বলে দাবি করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তথা স্থানীয় তৃনমূল নেতা উত্তম মাহাতকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সাতদিনের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করানোর জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানানো হবে। এদিন মৃতের বাড়িতে দাঁড়িয়ে এই ঘটনার জন্য বাঁকুড়ার নব নির্বাচিত সাংসদ তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তীকেও একহাত নেন শুভেন্দু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “বন্ধুবিহারী  মাহাতর অপরাধ, ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিজেপি করতেন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর বুথে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। সেই আক্রোশ থেকেই এই খুন। নিহত কর্মীর পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁর বাড়ির বাইরে সিসিটিভি লাগানোর কথা বলেছি। মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যর পাশাপাশি নিয়মিত যোগাযোগ রেখে যে-কোনও সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bagda: নাইনএমএম পিস্তল হাতে তৃণমূল কর্মী? ছবি ফাঁস করে গ্রেফতারের দাবি বিজেপির

    Bagda: নাইনএমএম পিস্তল হাতে তৃণমূল কর্মী? ছবি ফাঁস করে গ্রেফতারের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইনএমএম পিস্তল হাতে এক যুবকের ছবি আনল বিজেপি। বাগদায় (Bagda) উপনির্বাচনের দিনে কার্যত এই তৃণমূল (TMC) নেতা বন্দুক হাতে নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছেন। যদিও এই মারাত্মক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ এখনও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ইতিমধ্যে সামজিক মাধ্যমে এই ছবি ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

    কেন পুলিশ গ্রেফতার করেনি (Bagda)?

    গত বুধবার ১০ জুলাই, বাগদা (Bagda) উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব ছিল। এই দিনে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের কথা সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়ে উঠেছিল। বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেছেন, “পিস্তল হাতে এই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী। এই উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছিল। ১৮৬, ১৮৭, ১৮৮ এবং মালিপোঁতা পঞ্চায়েতে হামলা হয়েছে। এই লোকটি পিস্তল নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে। আমরা কোন রাজ্যে বসবাস করছি? পুলিশকে তথ্য দিয়ে অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়নি।” আবার বিজেপি নেতা রাহুল সিন্‌হা বলেছেন, “তৃণমূল নেতারা আইনের কথা বলে দুষ্কৃতীদের উস্কানি দিচ্ছেন। দোষীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে শাসক দল।”

    সরকারি রিভলভার কীভাবে বাইর পৌঁছচ্ছে?

    অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্তা অরিন্দম আচার্য এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, “এই পিস্তল (Bagda) কারা বিক্রি করছে, আর কারাই বা বাইরে সরবরাহ করেছে, তা নম্বর দেখেই খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এই সব বিষয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত না হলে আগামীদিনে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা নেবে। সরকারি রিভলভার কীভাবে বাইরে পৌঁছচ্ছে?”

    আরও পড়ুনঃ সিকিম যাওয়ার পথে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক! বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, বিপাকে পর্যটকরা

    নির্বাচন একেবারে শান্তিপূর্ণ হয়েছে

    তৃণমূলের জেলা (Bagda) সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, “এই নির্বাচন একেবারে শান্তিপূর্ণ হয়েছে। মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দিয়েছেন। আমরা বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়ী হব বলে, বিজেপি কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি সমাজ বিরোধীদের আশ্রয় দিয়ে থাকে। দুই একজন সমাজ বিরোধীদের ছবি প্রকাশ করে কার্যত নিজেদের মুখ ঢাকতে চেষ্টা করছে। কিন্তু এই ভাবে কাজ হবে না। মানুষ আমাদের পাশে রয়েছেন।” আবার তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, “ভোটের দিনে এমন ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছিল? নির্বাচন কমিশনই কোথায় ছিল? দেবদাসবাবু কেন বাহিনীকে ডেকে ধরিয়ে দিলেন না।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    Gangasagar: কপিল মুনির আশ্রমের রাস্তায় ধস! কোটি কোটি টাকা কি জলে? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ভাঙনের কবলে অন্যতম বাংলার তীর্থ পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগর (Gangasagar)। অমাবস্যার কোটালের জেরে কপিলমুনির মন্দির (Kapil Muni Ashram) সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা ভেঙে পড়ল। গঙ্গাসাগর সমুদ্র পাড়েও দেখা দিয়েছে বড়সড়ো ধস! বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, তৃণমূল সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করলেও, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই রাস্তা ভেঙে পড়ছে। খরচের টাকা সব কি জলে? বিজপির দাবি, তৃণমূলের নেতার কাটমানি খেয়ে সরকারি টাকা লুট করছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের রাস্তা বেহাল (Gangasagar)

    সমুদ্রের জলের স্রোতে ভেঙে গেল গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মন্দির সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা। একদিকে অমাবস্যার কোটাল, তারপর দ্বিতীয়া ও তৃতীয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ছে সমুদ্রের জল। উত্তাল হয়ে পড়েছে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সমুদ্রের জলের ধাক্কা লাগছে সমুদ্রের পাশে থাকা কংক্রিটের ঢালাই রাস্তাতেও। কপিলমুনির আশ্রমের (Kapil Muni Ashram) সামনে দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নান ঘাটের রাস্তা বেহাল অবস্থা। অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল চার নম্বর সান ঘাটের ঢালাই রাস্তা। ইতিমধ্যে ভগ্ন এলাকার রাস্তাকে বেরিকেট করে ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। আতঙ্কিত ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।

    বিজেপির অভিযোগ

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুণাভ দাস বলেছেন, “তৃণমূলের উন্নয়নের পথে কপিলমুনির আশ্রম (Gangasagar) এখন বিপন্ন হওয়ার পথে। ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলট প্রজেক্ট করা হয়েছিল কাজ, কিন্তু তার সবটাই কাটমানিতে চলে গিয়েছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভেঙে সব তলিয়ে যেতে বসেছে। আগামী দিনে কপিল মুনির মন্দিরও সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে। যেখানে গঙ্গাসাগর থেকেই সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী পেয়েছে, সেখানে এমন হাল সত্যি লজ্জার বিষয়। অবিলম্বে মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।”

    কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ করা হলেও নজর নেই

    স্থানীয় বাসিন্দা দিব্যেন্দু খাটুই অভিযোগ করে বলেছেন, “গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলার সময় কয়েক কোটি টাকা খরচে অস্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ করা হলেও, সারা বছর ফিরেও তাকানো হয় না এই গঙ্গাসাগরের দিকে। আর যার ফলে একটু একটু করে ভাঙন আরও বেড়েই চলেছে গঙ্গাসাগরে। অন্যদিকে সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের আবেদন, চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা হোক এই নদী বাঁধের।”

    আরও পড়ুনঃক্ষমতার দম্ভ? মাথাভাঙায় পুলিশের সামনেই মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূলের উপ-প্রধানের

    প্রশাসনের বক্তব্য

    পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সন্দীপ কুমার পাত্র জানিয়েছে, “ট্রাটাপট পদ্ধতির মাধ্যমে যে কাজ করা হয়েছিল তা খুব বেশি কাজে আসেনি তবে নতুন করে আবার প্রজেক্ট করা হচ্ছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ক্ষমতার দম্ভ? মাথাভাঙায় পুলিশের সামনেই মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূলের উপ-প্রধানের

    Cooch Behar: ক্ষমতার দম্ভ? মাথাভাঙায় পুলিশের সামনেই মহিলাকে বেধড়ক মার তৃণমূলের উপ-প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার তৃণমূল নেতা জেসিবি, কামারহাটির জয়ন্ত সিংয়ের পর এবার কোচবিহারের (Cooch Behar) মাথাভাঙার তৃণমূলের উপ-প্রধান হাসিম আলির নাম প্রকাশ্যে এল। নিজের ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে পুলিশের সামনেই এক মহিলাকে নৃশংশভাবে মারধর করার অভিযোগ উঠল। সব কিছু দেখেও পুলিশ নীরব দর্শক ছিল বলে অভিযোগ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙার হাজরাহাটে। জখম মহিলাকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Cooch Behar)

    জানা গিয়েছে, কোনও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গন্ডগোল। তাতে ওই মহিলার নাম জড়িয়েছে। মহিলাকে উচিত শিক্ষা দিতে তৃণমূলের (Trinamool Congress) উপ-প্রধান পুলিশের সামনেই হামলা চালান। মাথাভাঙা (Cooch Behar) মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই আক্রান্ত মহিলা বলেন, আমি কোনও অন্যায় করলে তারজন্য পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। তিনি তৃণমূলের উপ-প্রধান বলেই তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পান না। এমনকী উপ প্রধান হাসিম আলি ও তাঁর ভাই মিলে আমাকে সকলের সামনে ব্যাপক মারধর করেছে। কেউ আমাকে বাঁচাতে আসেনি। সকলের সামনে আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন ওই তৃণমূল নেতা। সেই সময়ে ঘটনাস্থলে ছিল মাথাভাঙা থানার পুলিশও। পুলিশের সামনেই চলে মারধর। তৃণমূল নেতা মারধর করছে বলে ভয়ে কেউ বাঁচাতে আসেনি। আমি হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি। প্রকাশ্যে মারধর করার অভিযোগ ওঠায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    তৃণমূলের উপ-প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    যদিও তৃণমূলের (Trinamool Congress) উপ-প্রধান হাসিম আলির দাবি, ওই মহিলা স্থানীয় একটি কালী মন্দিরের পিছনের ফাঁকা জায়গা দখল করতে চেয়েছিলেন। তাতে বাধা দেওয়া হয়। এদিন অন্য একজনের দোকানে এসে ঝামেলা করাতে তাঁকে সেখান থেকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বেশি কিছু হয়নি। এমনকী মারধর করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। মিথ্যা করে আমার নাম জড়িয়ে সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন ওই মহিলা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: তোলাবাজিরই কি পরিণাম? বর্ধমানে যুবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত তৃণমূ্লেরই কর্মী

    Burdwan: তোলাবাজিরই কি পরিণাম? বর্ধমানে যুবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনে অভিযুক্ত তৃণমূ্লেরই কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বর্ধমানে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। আর তাতে নাম জড়ালো তৃণমূলের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রবি পাশোয়ান(৩৪)। তাঁর বাড়ি বর্ধমান (Burdwan) শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাটের সুকান্তপল্লি এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী শেখ ইনসান ওরফ গাবুর বাড়ি একই জায়গায়। ঘটনার পর থেকে সে উধাও। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Burdwan)

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী (Trinamool Congress) গাবুর সঙ্গে থাকতেন রবি। শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সে তোলাবাজিও করত। মাঝে দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলেও বেশ কিছুদিন ধরে তাঁরা একসঙ্গে থাকতেন। রবি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। আর গাবুর এলাকায় (Burdwan) চায়ের দোকান রয়েছে। কোনও একটি বিষয় নিয়ে রবির সঙ্গে গাবুর বচসা হয়। এরপরই তাঁকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায় গাবু। গুরুতর জখম অবস্থায় রবিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে পাড়া প্রতিবেশীরা। মৃতের স্ত্রী রাধা পাশোয়ান বলেন, আমার স্বামীকে গাবু বাঁশ দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। তাঁর ঘাড়ে ও পেটে আঘাত লাগে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বামীর মৃত্যু হয়। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মৃতের দাদা প্রেমনাথ পাশোয়ান বলেন, গাবু সব সময়ে অসামাজিক কাজকর্ম ও তোলাবাজি করত। আর তৃণমূল করত বলে কেউ কথা বলার সাহস পেত না। ভাই পরিবারে একমাত্র রোজগার করত। ও চলে যাওয়ার পর সংসার কী করে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আমরা চাই, গাবুর শাস্তি হোক।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কে কি রাজনৈতিক দল করে সেটা কোনও বিষয় নয়। আইনে অনুযায়ী পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। অপরাধী শাস্তি পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: পুরসভার অনুমতি ছাড়াই জমি দখল করে অট্টালিকা! জয়ন্তর আরও কীর্তি প্রকাশ্যে

    Kamarhati: পুরসভার অনুমতি ছাড়াই জমি দখল করে অট্টালিকা! জয়ন্তর আরও কীর্তি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার আড়িয়াদহে রাজত্ব চালাত জয়ন্ত সিং। তাঁর মুখের ওপর কথা বলার সাহস পর্যন্ত কারও ছিল না। ক্লাবে নিয়ে এসে নৃশংস অত্যাচার করার পাশাপাশি জমি দখলও করত জয়ন্তর বাহিনী। এমনকী নিজেও একটি জমি দখল করে অট্টালিকা তৈরি করছিল। পুরসভার অনুমতি নেওয়ার পর্যন্ত প্রয়োজন বোধ করেননি। আর জয়ন্তকে ঘাঁটানোর সাহস দেখাননি কেউ। জয়ন্ত গ্রেফতার হতেই তাঁর বেআইনি অট্টালিকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    জমি দখল করে অট্টালিকা (Kamarhati)

    জানা গিয়েছে, শাসকদলের মদতেই নাকি অন্যের জমি (Kamarhati) রাতারাতি দখল করে সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু করেন জয়ন্ত সিং। বছর খানেকের মধ্যেই সেই বিলাসবহুল বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বাড়ির প্রতিটি কোণ বিদেশি মার্বেল এবং কাঁচ দিয়ে মোড়া। রয়েছে দুষ্প্রাপ্য পাথরও। চোখ ধাঁধানো তিনতলা এই বাড়িতে কী নেই! দামি টিভি, ফ্রিজ, এসি থেকে আমোদ-প্রমোদের সমস্ত উপকরণই রয়েছে। আছে কয়েক লক্ষ টাকার মাহিন্দ্রা থর-এর মতো গাড়িও। ইতিমধ্যে বাইরের অংশে সিসিটিভি বসানো হয়ে গেলেও ভিতরে এখনও চলছে কাজ।

    আরও পড়ুন: শীতলকুচিতে তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া হল বোমা! রক্তাক্ত বিজেপি কর্মীর দুই মেয়ে

    তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর করে জয়ন্তর বাহিনী

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেও বাড়ি তৈরির জায়গাটি (Kamarhati) ছিল জঙ্গলে ভরা। তারপর গত বছর সেখানে অট্টালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। একবছরের মধ্যেই নাকি বাড়িটি তৈরি হয়ে যায়। তবে এই বাড়ি তৈরি নিয়েও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পুকুরের অনেকটা অংশ বুজিয়ে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বাড়ি তৈরির কোনও বৈধ অনুমতিও পুরসভার থেকে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রাক্তন কাউন্সিলর সুবীর বসু বলেন, বেআইনি নির্মাণ করছিল। বিষয়টি আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব বলেছিলাম। জয়ন্তর বাহিনী আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছিল। আসলে ওর মাথায় (Trinamool Congress) কারও হাত ছিল বলেই ওর এত সাহস বেড়ে গিয়েছিল। কেউ ওর ভয়ে কথা বলার সাহস দেখাতো না। ফলে, পুরসভার অনুমতি ছাড়াই রমরমিয়ে সে অট্টালিকা তৈরি করছিল।

    জয়ন্তর আরও এক শাগরেদ গ্রেফতার

    জয়ন্ত কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার বেলঘরিয়ার আড়িয়াদহে একটি ক্লাবের ভিতরে এক কিশোরকে বিবস্ত্র করে সাঁড়াশি দিয়ে যৌনাঙ্গ টেনে ধরার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বেলঘরিয়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম প্রসেনজিৎ দাস ওরফে লাল্টু। বুধবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে বারাকপুর মহাকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের কিশোরের ওপর যে নির্মম অত্যাচারের ভিডিও সামনে এসেছে তাতে এই লাল্টুকেই দেখা গিয়েছিল সাঁড়াশি দিয়ে ওই কিশোরের যৌনাঙ্গ টেনে ধরতে। লাল্টু জয়ন্ত ওরফে জায়ান্ট সিংয়ের শাগরেদ বলেই জানা গিয়েছে। তবে তার সঙ্গে সেসময় আর কারা কারা উপস্থিত ছিল এবং তাদের ভূমিকা কি ছিল সেদিকটিও পুলিশ ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share