Tag: tmc

tmc

  • Ration Scam: প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রার সন্ধান! জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ নেই দাবি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্করের  

    Ration Scam: প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রার সন্ধান! জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ নেই দাবি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্করের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) দায়ে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বা তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে কোনও যোগ নেই বলে দাবি শঙ্কর আঢ্যের। কিন্তু তাঁর মেয়ের ফেসবুক পোস্ট বলছে অন্যকথা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জন্মদিনে আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন শঙ্কর কন্যা ঋতুপর্ণা আঢ্য। জ্যোতিপ্রিয়কে ‘জ্যেঠু’ বলে ডাকেন শঙ্কর কন্যা। অথচ সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর স্পষ্ট জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে তাঁর যোগ অস্বীকার করেন।

    ইডি অফিসে শঙ্করের মেয়ে

    মঙ্গলবার সকালে ইডি দফতরে এলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ্য। রেশন বন্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে শঙ্করকে। তার নামে একাধিক এফএফএমসি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি। এমনকী তার পরিবারের অন্যান্যদের নামেও এইসব কোম্পানির হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই শঙ্কর আঢ্যর ভাইয়ের বউকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সূত্রের খবর এই বিষয়ে শঙ্কর আঢ্যর মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    শঙ্করের অফিস থেকে উদ্ধার বিদেশি মুদ্রা

    গতকাল সোমবার দিনভর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ইডির আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। বনগাঁর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এই শঙ্কর আঢ্যর চারটি সংস্থায় ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযান চালান। সেগুলি আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা দাবি করছেন, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স, ল্যাপটপ, মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় (Ration Scam) ধৃত বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর অফিস থেকে প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করেছে ইডি। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা। ইডি সূ্ত্রে খবর, মধ্য কলকাতার মারকুইজ স্ট্রিটে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচার একটি অফিস থেকে ওই টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ওই অফিসে রাখা ছিল তা খতিয়ে দেখছে ইডি। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলার তদন্তে শহরের ছ’টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করে ইডি। এর মধ্যে ছিল শঙ্করের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংয়ের অফিস। এ ছাড়াও চৌরঙ্গি এলাকায় এবং মারকুইজ স্ট্রিটে শঙ্করের ফরেক্স সংস্থার অফিসে হানা দেয় ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    North 24 Parganas: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন জন। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় মোট গ্রেফতারে সংখ্যা দাঁড়াল সাত। তবে যাঁকে কেন্দ্র করে ইডির রেশন দুর্নীতি তদন্তের তল্লাশি অভিযান হয়েছিল সেই তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল বিজেপি।

    শাহজাহানের অনুগামীরা আক্রমণ করেছিল (North 24 Parganas)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (North 24 Parganas) সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি রেশন দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে যায়। উল্লেখ্য রাজ্যের রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথমে বাকিবুর রহমান এবং এরপর তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর্থিক লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ইডি। আর এই নিয়ে তদন্তে করতে গেলে সরবেড়িয়ায় আক্রান্ত হতে হয় তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মার খেতে হয়। ভাঙা হয় গাড়ি এবং সংবাদ মাধ্যমকেও করা হয় মারধর। এলাকায় ৮০০ থেকে ১০০০ লোক যারা শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তারা হামলা চালায়। এরপর ঘটনায় প্রতিক্রিয়তা স্বরূপ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন ‘রাজ্যে জঙ্গল রাজত্ব’ চলেছে। একই ভাবে রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার, শাহজাহানকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা দেখা যায়নি। ঘটনায় নেজাট থানায় ইডি প্রথম একটি এফআইআর দায়ের করে। এরপর পুলিশ নিজে থেকে অপর আরেকটি মামলা করে এবং ইডির তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে অতিরিক্ত আরও একটি এফআইআর করা হয়। এই ঘটনায় মোট এখনও পর্যন্ত তিনটি মামলা করা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে দাবি

    সন্দেশখালি (North 24 Parganas) ঘটনার পর থেকে শাহজাহানের কোনও রকম সন্ধান না পাওয়া গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, আক্রমণের দিনে তৃণমূল নেতা নিজের বাড়িতে ছিলেন। ইডির তদন্ত থেকে বাঁচতে বিক্ষোভ-হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও আইনজীবীর মাধ্যেম এই তৃণমূল নেতা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান বলে আবেদন করেছেন তিনি। এই মামলায় তাঁর বক্তব্য কোর্ট যেন শোনে, একথাও আবেদনে উল্লেখ করেন। এই মামলায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, “শাহজাহান পুলিশের সংরক্ষণেই রয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মহিলাকে ব্যাপক বাঁশপেটা করলেন  তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য! মারধরের ভিডিও ভাইরাল

    North 24 Parganas: মহিলাকে ব্যাপক বাঁশপেটা করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য! মারধরের ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। জমি সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা করতে গিয়ে খোদ শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেই উঠল মহিলাকে বাঁশপেটানোর অভিযোগ। চলল সেই সঙ্গে লাথি এবং ঘুষিও। মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর মেয়েও। তৃণমূল নেতার মারধরের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দত্তপুকুরে।

    বাঁশ তুলে মার মহিলাকে (North 24 Parganas)

    দত্তপুকুর (North 24 Parganas) দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুল মেঠোপাড়া এলাকার ২৪২ নম্বর পার্টির তৃণমূল পঞ্চায়েত মেম্বারকে দেখা যায়, এই তৃণমূল নেতা কীভাবে তেড়ে গিয়ে মহিলাকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাচ্ছেন জমির মধ্যে। এরপর রেগেমেগে জমির মধ্যে পড়ে থাকা একটি বাঁশও তুলে নিয়ে কার্যত নিজের হাতেই মহিলাকে ব্যাপক মারধর শুরু করেন। আর সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় (North 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিয়োয় মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করছেন যে তৃণমূল নেতা, তিনি হলেন তাজউদ্দিন। তিনি দত্তপুকুরের জয়পুল মেঠোপাড়ার বাসিন্দা। তিনি শাসকদলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য। সূত্রের আরও খবর, মোসলেমা বিবির স্বামী নাসিরউদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর ভাইদের জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। পৈতৃক জমি নাসিরউদ্দিনকে না জানিয়ে সেই জমির বিক্রি বাবদ অগ্রিম টাকা নিয়ে নেয় তাঁর ভাইয়েরা। সেই কথা জানতে পেরে জমি ঘিরতে বাঁধা দেয় নাসিরউদ্দিনের পরিবার। এরপর বিবাদের উত্তাপ পৌঁছায় স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং থানাতেও।

    বিরোধী দলনেতার তীব্র আক্রমণ

    স্থানীয় (North 24 Parganas) তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরির ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে শাসকদলকে রীতিমতো বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “ওরাই তৃণমূলের রত্ন। দত্তপুকুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তাজউদ্দিন কীভাবে একজন মহিলাকে মারধর করছে দেখুন! এটা ভাবাই যায় না। ঘটনার পরেও আক্রান্ত মহিলা মোসলেমা বিবিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তারপরও দত্তপুকুর থানার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এখনও পর্যন্ত। যার জেরে ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে এখন অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন মহিলার পরিবারের সদস্যরা।”

    আক্রান্তের বক্তব্য

    ঘটনায় অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত মোসলেমা বিবি ও তাঁর মেয়ে হাসিনা বেগম। তাঁরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ঘটনার সুবিচার চাই আমরা।” পালটা যদিও মারধরের ঘটনা স্বীকার করেও গোটা পরিস্থিতির জন্য ওই মহিলাকেই দায়ী করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজউদ্দিন। ঘটনার পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ফলে মহিলাকে মারধরের পরেও সে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায় (North 24 Parganas)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’কাণ্ডে বিপাকে তৃণমূলের নুসরত, কী বলল আদালত?

    Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’কাণ্ডে বিপাকে তৃণমূলের নুসরত, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’কাণ্ডে বিপাকে বসিরহাটের তারকা সাংসদ তৃণমূলের নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এই মামলায় তৃণমূল নেত্রীকে সশরীরে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে জজ কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের তারকা নেত্রী। বিচারক জানিয়ে দেন, নিম্ন আদালতের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। তাই ফ্ল্যাট প্রতারণার মামলায় নুসরতকে হাজিরা দিতেই হবে।

    নুসরতকে জেরা ইডির

    কয়েকজনের কাছ থেকে প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে নুসরতকে তলব করে ইডি। সেই মতো সেপ্টেম্বর মাসে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। টানা প্রায় সাড়ে ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় নুসরতকে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী জানান, অভিযোগ যখন করা হয়েছে, তার ঢের আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। নুসরত (Nusrat Jahan) এও জানিয়েছিলেন, তিনি ওই কোম্পানি থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছিলেন ঋণ হিসেবে। পরে সেই ঋণ শোধও করে দিয়েছিলেন।

    প্রতারণার অভিযোগ

    তৃণমূলের তারকা সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মীদের সংগঠনের সঙ্গে চুক্তি হয় ‘সিক্সথ সেন্স ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার’ নামের একটি সংস্থার। চুক্তিতে ব্যাঙ্কের সব মিলিয়ে ৪২৯ জন কর্মীকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়। টাকা নেওয়ার সময় বলা হয়, রাজারহাটে ইকোপার্কের উল্টো দিকে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে ওই ব্যাঙ্কের কর্মীদের। যদিও বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, তাঁরা যে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়েছিলেন, পরে সেই অ্যাকাউন্টের টাকায় পাম অ্যাভেনিউয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনা হয়। ফ্ল্যাটটি নুসরতই কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যবসা হবে এক লাখ কোটি টাকার!

    তিনি ‘সিক্সথ সেন্স ইনফ্র্যাস্ট্রাকচারে’র ডিরেক্টর ছিলেন বলেও দাবি প্রতারিতদের একাংশের। নুসরতের সঙ্গে ডিরেক্টর ছিলেন জনৈক রাকেশ সিংহ। রাকেশের দেওয়া ঠিকানায় গেলে বাড়ির মালিক জানিয়ে দেন, তাঁর বাড়িটি কিছু দিনের জন্য ভাড়া নিয়েছিল একটি সিনেমা প্রযোজনা সংস্থা। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রতারিতরা। তার পরেই (Nusrat Jahan) শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে নামে ইডিও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল নেতাকে খুন করে জমিয়ে যাত্রা দেখেছে খুনিরা! চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের কাছে

    Murshidabad: তৃণমূল নেতাকে খুন করে জমিয়ে যাত্রা দেখেছে খুনিরা! চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধৃত তৃণমূল যুব নেতার কাছ থেকে চাঞ্চাল্য তথ্য মিলল। তৃণমূল নেতাকে খুন করে জমিয়ে কিরণমালা’ যাত্রা দেখেছে খুনিরা। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর (Murshidabad) থানার চালতিয়ার একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে খুন হন তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরি। তাঁকে গুলি করে বাইকে করে পালায় তিন খুনি। জেরায় আরও জানা গিয়েছে, বেলডাঙার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীও খুনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পুলিশ খোঁজ শুরু করেছে তার।

    পুলিশের সূত্রে খবর (Murshidabad)

    বহরমপুরে (Murshidabad) মাত্র তিন ঘণ্টা আগেই নিখুঁত নিশানায় খুন করে যাত্রা পালার আসরে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সেই সময় চলছিল ‘কিরণমালা’ যাত্রা পালা। গানের আসরে নায়ক রাজকুমার সদ্য রাজ্য জয় করে ফিরে এসে আলো ঝলমলে গানের তালে নায়িকা রাজকুমারীকে প্রেম নিবেদন করছে। আর ঠিক গানের এই তালে নাচে মশগুল হয়ে গিয়েছে এই তিন খুনি। বহরমপুরের তৃণমূল নেতা সত্যেন চৌধুরি খুনে তৃণমূলের যুবনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য উঠে এলো।

    সিসিটিবি ফুটেজে দেখে গিয়েছে তিন খুনিকে

    গত ৭ জানুয়ারি বহরমপুর (Murshidabad) থানার চালতিয়ায় একটি নির্মীয়মাণ বহুতলে খুন করা হয়েছে তৃণমূল নেতা সত্যেনকে। পাশের দোকানে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজ থেকে পুলিশ তথ্য পেয়ে জানতে পারেন একটি নীল-কালো নম্বরবিহীন নেমপ্লেট যুক্ত বাইকে করে আসে দুষ্কৃতীরা। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় ছিল হেলমেট। শান্ত মাথায় গুলি করে সত্যেনের কাছ থেকে দুটি মোবাইল নিয়ে পালায়। এরপর এই সূত্র ধরে পুলিশ তাল্লাশি শুরু করে। পুলিশের অনুমান খুনিরা নওদা হয়ে নদিয়া সীমান্ত হয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। সেই রাত থেকেই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল উদ্ধার করে। এরপর মোবাইলের কললিস্ট ধরে যুব তৃণমূলের এক নেতার সম্পর্কে তথ্য পায়। ঠিক তারপরেই তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগর থেকে অঞ্চলের যুব সহ-সভাপতি মুস্তাফা শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য সুপারি কিলারদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মুস্তাফার। আদতে সে কলা ব্যবসায়ী হলেও দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে। আগেও তৃণমূলের আরও এক নেতার খুনের সঙ্গে তার নাম জড়িয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মুস্তাফার অবশ্য বক্তব্য, “ওই তিনজন তার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। খুনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।”

    পুলিশের বক্তব্য

    জেলার (Murshidabad) পুলিশ অতিরিক্ত অসীম খান বলেন, “বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। তদন্ত চলছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার সকালে লালগোলায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই দিন সকালবেলায় এসে প্রথমে লালগোলা নেতাজি মোড়ে নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর রাজ্য সরকারকে একাধিক বিষয়ে আক্রমণ করেন। তিনি তৃণমূলের চুরি প্রসঙ্গে বলেন, “চুরির সাত কাহন বলে একটি রোমাঞ্চকর কাব্য লেখা উচিত।” তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সঙ্গে ছিলেন বিজেপির লালগোলা মন্ডল সভাপতি অজয় হালদার, জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ এবং সংখ্যালঘু পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-সভাপতি মাফুজা খাতুন।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বালুর আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের কাছে পাওয়া মেরুন ডায়েরিতে হিতেশ চন্দনের নাম পাওয়া গিয়েছে। রেশন দুর্নীতির ডায়েরি প্রসঙ্গ নিয়ে লালগোলায় এসে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “বাংলায় তৃণমূল এতো চুরি করেছে যে রাজ্যের চুরি প্রসঙ্গে ডায়েরি দিয়ে কিছু হবে না। চুরি নিয়ে বড় রামায়ণ-মহাভারতের মতো কাব্য নির্মাণ করা যাবে। শুনেছি কুনাল ঘোষের লেখালেখি করার অভ্যাস রয়েছে, তাই চুরির সাত কাহন বলে একটি রোমাঞ্চকর কাব্য লেখা উচিত।” শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা এখন জেলে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী যাবো যাবো করছেন। তৃণমূল দুর্নীতি করে মোবাইলের এসএমএসে চাকরি দিয়েছে। যারা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে তাদের প্রত্যেকের চাকরি যাবে।”

    ময়া বন্দর হলে কর্মসংস্থান হবে

    লালগোলার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আন্তর্জাতিক ময়া বন্দর চালু হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। আজ সেই বন্দর পরিদর্শনেও যান বালুরঘাটের সাংসদ সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন বন্দরের চারিপাশ ঘুরে দেখলেন এবং আগামী দিনে লালগোলার ময়া আন্তর্জাতিক বন্দর থেকে আমদানি-রফতানি হলে এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন ক্ষেত্র খুলে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। এলাকার প্রচুর মানুষ কাজের সুযোগ পাবে বলে দাবি করেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই এলাকা অধীর বাবুর সংসদীয় ক্ষেত্র নয়। উনি আসা যাওয়া করেন মাত্র। তৃণমূলের জোট সঙ্গী তিনি। বাস্তবে কাজ করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এসে ছিলেন, আমরাও এই বন্দর বিষয়ে বার বার প্রস্তাব দিয়েছি। কেউ কোনও দিন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: সরকারি জায়গায় সেতু নির্মাণ করে তৃণমূল নেতার তোলাবাজির ছক, সরব এলাকাবাসী

    Purba Medinipur: সরকারি জায়গায় সেতু নির্মাণ করে তৃণমূল নেতার তোলাবাজির ছক, সরব এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জায়গায় তৃণমূল নেতার নির্দেশে সেতু তৈরি করছে এক যুবক। এরপর সেই সেতু দিয়ে পারাপার করলেই দিতে হবে টাকা। এমনই ছককষা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাই এলাকার মানুষের প্রশ্ন সরকারি জায়গায় কীভবে একজন ব্যক্তিকে সেতু নির্মাণে ছাড়পত্র দিলেন? কীভাবে নেওয়া হচ্ছে টাকা। একই সঙ্গে বিজেপি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলে, পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে সেতু তৈরি করার কাজ চলছে। সেতুকে ঘিরে বেআইনি আয়ের পথ তৈরি করা হয়েছে। বেললাগাম তলাবাজি চলছে জেলায়। এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    পশ্চিম মেদিনীপুরের কোথায় সেতু নির্মাণ হয়েছে(Purba Medinipur)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কোলাঘাট ও দাসপুর-২ ব্লকের উপর দিয়ে বইয়ে গিয়েছে দূর্বাচাটি নদী। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট বৈষ্ণবচক এলাকার কলাগাছিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-২ ব্লকের জ্যোৎঘনশ্যাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্যামগঞ্জের সংযোগকারী সেতু ছিল কালাচাঁদ সেতু। এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। গত বছরের অক্টোবরে কচুরিপানায় সেতু ডুবে গিয়ে ভেঙে যায়। এরপর তৃণমূল ঘাটাল জেলা সভাপতি আশিস হুদাইতের পছন্দের এক যুবককে দিয়ে নতুন একটি স্টিলের সেতু তৈরি করেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়নি। তবে সম্পন্ন হলে এই সেতুতে শুরু হবে যাতায়তের জন্য টাকা নেওয়া।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    কোলাঘাটের (Purba Medinipur) বিডিও অর্ঘ্য ঘোষ বলেন, “সেতু তৈরির জন্য প্রশাসনের কাছে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি।” আবার বৈষ্ণবচক গ্রামের পাঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুকসাহানা পারভিন বেগম বলেছেন, “সরকারের অনুমাতি না নিয়েই কাজ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের ডেকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন তৃণমূল ঘাটাল জেলা সভাপতি আশিস হুদাইতের নির্দেশে কাজ হচ্ছে। সরকারি জায়গায় টেন্ডার ছাড়া কাজ করা যায়না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল ঘাটাল (Purba Medinipur) জেলা সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “সেচ দফতর এবং দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির অনুমতি নিয়ে এক যুবক সেতু তৈরি করছেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনি রাজস্বও জমা দেবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কোলাঘাট (Purba Medinipur) মণ্ডল ৫-এর সভাপতি বিশ্বনাথ রাম বলেন, “আমরা চাই সরকারি উদ্যোগে ওখানে সেতু তৈরি হোক। মানুষকে যাতে টাকা না দিতে হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তৃণমূলের নেতা প্রভাব খাটিয়ে স্বজনপোষণ এবং তোলাবাজি করছেন।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের শাহজাহান

    Sandeshkhali Incident: হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) পর উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার, পৌষ সংক্রান্তির দিন ‘উদয়’ হলেন তিনি। তিনি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। নিজে প্রকাশ্যে না এলেও, আইনজীবী মারফৎ জানান, সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান তিনি। কারণ, তিনি চান এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও শোনা হোক।

    ইডির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধেই সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল ইডি। শাহজাহানের আইনজীবী জানান (Sandeshkhali Incident), মামলায় যুক্ত হতে চাইলে ওকালতনামা জমা দেওয়া হোক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “ঠিক আছে। রাজ্যকে এই মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে আসতে হবে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। রেশন বিলিকাণ্ডে গ্রেফতার (Sandeshkhali Incident) হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই ঘটনায় নাম জড়ায় জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শাহজাহানের।

    ইডির ওপর হামলা

    ৫ জানুয়ারি সরবেরিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও দরজা খোলেনি শাহজাহানের বাড়ির। যদিও শাহজাহানের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায় শাহজাহান রয়েছেন বাড়ির ভেতরেই। ইডির আধিকারিকরা দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। এই সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ইডির আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। ছুড়তে থাকে ইট-পাটকেল। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “শাহজাহান কোথায়, উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে”, ফের রাজ্যপালের মন্তব্য

    পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত হাজার তিনেক মানুষ। এই ঘটনায় মাত্র চারজন গ্রেফতার কেন, পুলিশকে ভর্ৎসনা করে আদালত। গোটা ঘটনার (Sandeshkhali Incident) তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে ইডি। কেস ডায়েরি না নিয়ে আসায় বিচারপতি বলেন, “পুলিশ এতদিন ধরে কী করছে, সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব।” মঙ্গলবার কেস ডায়েরি আনতে হবে পুলিশকে। বিচারপতি পুলিশের কাছে জানতে চান, ঘটনার পরে কি পুলিশ শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেছিল? আদালত এজিকে বলেন, “সৎভাবে বিচার করার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন’ ঠিক এমন মন্তব্য করে তীব্র বিতর্ক উস্কে দিলেন বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ শতাব্দী রায়। উল্লেখ্য, মাত্র আর কয়েকটা দিন পরেই অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দির উদ্বোধন হবে। গর্ভগৃহে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশ জুড়ে এখন রাম ভক্তদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা। ঠিক এমন সময়েই তৃণমূল সাংসদ সাঁইথিয়ার রবীন্দ্রভবনে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম চন্দ্রকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। পালটা বিজেপির বক্তব্য ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা উচিত এই তৃণমূল নেত্রীকে।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Birbhum)?

    সাঁইথিয়ায় (Birbhum) তৃণমূলের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের এক সভায় বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “বিজেপি রামকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছে। রাম বোধ হয় বিপিএল! আমরা যেমন বিপিএল কার্ড দিয়ে বাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, ঠিক সেই ভাবে রামকে বাড়ি দিয়েছে বিজেপি। রামের ছেলে লব-কুশকেও একটি করে বাড়ি দেওয়া প্রয়োজন।” ভিডিওর এই বক্তব্য সর্বত্র ভাইরাল হয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের নিজের সাফাই দিয়ে শতাব্দী বলেন, “বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে আমরা রামের বাড়ি করে দিয়েছি। এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে এলো, তারা ভগবানের বাড়ি করে দিচ্ছে!”

    বিজপির বক্তব্য

    বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা তৃণমূল সাংসদকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “বীরভূমের সনাতনী মানুষকে বলব এলাকায় ভোট চাইতে এলে সাংসদ শতাব্দীকে যেন ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা হয়।” এলাকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটে শতাব্দী হারেন নি হেরেছে তৃণমূল। পুরনির্বাচনে দিদির পুলিশ, গুন্ডা বাহিনীর বোমা, কাটমানি, তোলাবাজি, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বাতাবরণের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন করতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের। ভোটাদের ভোট দিতে দেয়নি বলেই এলাকায় তৃণমূল জয়ী হতে পেরেছিল। আগামী দিনে স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED in Sujit Bose House: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    ED in Sujit Bose House: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি এবং বনগাঁর ঘটনার থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে অভিযানের সময় সাবধানী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED in Sujit Bose House)। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার সকালে তিন জায়গায় নতুন করে অভিযানে নেমেছে ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং উত্তর দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। এদিন আত্মরক্ষার জন্য বাহিনীর হাতে ছিল ঢাল এবং মাথায় হেলমেট। বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যের হাতে লাঠিও চোখে পড়েছে।

    কেন এই পদক্ষেপ

    সন্দেশখালি থেকে বনগাঁ দুর্নীতির (ED Raid) তদন্তে তল্লাশিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হামলার শিকার হয়েছিল তাদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীও (Central Force)। তাই এবার বাড়তি সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  এর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিভিন্ন অভিযানে যত সংখ্যক সিআরপিএফ দেখা যেত, এদিন সব জায়গাতেই তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযানে যাওয়া বহু জওয়ানকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেও দেখা গিয়েছে। 

    বডি প্রোটেক্টর শিল্ড

    শুক্রবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযান চলে শহরের নানা প্রান্তে। এই সময় দেখা যায়, মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) বাড়ির সামনে পাহারায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মাথায় রয়েছে হেলমেট। গায়ে বডি প্রোটেক্টর শিল্ড। উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনেও একই দৃশ্য চোখে পড়ে। সেখানে আবার সিআরপিএফ-এর সঙ্গে ছিল কাঁদানে গ্যাসও। বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapash Roy) বাড়ির সামনে ঢাল আর লাঠি নিয়ে পাহারা দিতে দেখা যায় জওয়ানদের। 

    আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    বিশেষ নির্দেশ

    ঠিক এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ, গত শুক্রবার সকালে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে বনগাঁ এবং সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু তল্লাশি অভিযানে গিয়ে কার্যত মার খেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের। আক্রান্ত হন ইডির তিন অফিসার। তাঁদের মধ্যে এক জনের আঘাত ছিল গুরুতর। সেই সময় ইডির অফিসারদের ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই একই দিনে বনগাঁতেও বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। ইডি সূত্রে খবর, সন্দেশখালি এবং বনগাঁ ‘মডেল’-এর যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই শুক্রবারের তদন্ত অভিযানে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সাবধানী কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এই ঘটনার পরই জওয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়, এই ধরনের অভিযানের সময়, মাথায় পরতে হবে হেলমেট, থাকবে বডি প্রোটেক্টর জ্যাকেট, লাঠি রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share