Tag: tmc

tmc

  • Narendra Modi: ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলবে না বাংলা’’! মধ্যপ্রদেশের সভায় মন্তব্য মোদির

    Narendra Modi: ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলবে না বাংলা’’! মধ্যপ্রদেশের সভায় মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নাম করে তৃণমূলের দূর্নীতির কথা জনসমক্ষে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে তৃণমূল শাসিত বাংলায় নানা দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভোটমুখী মধ্য প্রদেশে এদিন সকালে রেলের এক কর্মসূচীতে অংশ নেন নরেন্দ্র মোদি। পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর, ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির প্রধানদের এক জনসভায় অংশ নিয়েছেন তিনি। শুধু মধ্য প্রদেশের বিজেপির বুথ সমিতির প্রধানরা নন, গোটা দেশের বুথ কমিটির প্রধানরাই অংশ নেন এই সভায়।

    মোদির মন্তব্য

    এদিন কড়া ভাষায় তৃণমূলের সমালোচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রোজ ভ্যালি দুর্নীতি, সারদা দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার চলছে। বাংলার মানুষ কখনও এই দুর্নীতি ভুলতে পারবে না।’’ চলতি মাসেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’ কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৃণমূলের নাম না করে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সম্প্রতি আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন কী ভাবে ‘ক্যাশ ফর জব’ (টাকার বিনিময়ে চাকরি)-এর ঘটনা ঘটেছে। রেস্তরাঁয় রেট কার্ডের মতোই সেই রাজ্যে বিভিন্ন স্তরের সরকারি চাকরির বিভিন্ন ‘দর’ রয়েছে।’’এদিন সরাসরি তৃণমূলের নাম করে নিশানা করলেন মোদি।

    বিরোধীদের নিশানা

    সামনে লোকসভা ভোট। ২০২৪ ভোটের আগে দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি বলেন, “পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশে মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা মানুষের সামনে তুলে ধরুন। মানুষকে বোঝান, করোনা মহামারি সত্ত্বেও ভারতের অর্থনীতি বেশ ভাল অবস্থায় আছে। মোবাইল ডেটা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো আমাদের বিভিন্ন নীতির ফলে মানুষের অনেক টাকা বেঁচেও যাচ্ছে। বিজেপি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে, সব রাজ্যেই জ্বালানির দাম ১০০ টাকার নীচে রয়েছে। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন জ্বালানির দাম ১০০-র বেশি? মানুষের সামনে এই প্রশ্ন তুলুন।”

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    শুধু তৃণমূল নয়, গত ২৩ মে পটনায় নীতীশ কুমারের ডাকা বিজেপি বিরোধী বৈঠকে হাজির বিভিন্ন দলকে নিশান করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, “দিন কয়েক আগে বিরোধী দলের নেতারা ছবি তোলার একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল। সেখানে যারা ছিলেন, তাদের সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে। বিরোধীরা যারা একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের উপর রাগ নয়, দয়া করুন। এর আগে ২০১৯ সালেও আমরা শুনেছিলাম বিরোধী জোটের কথা। এবার একটু বেশি লাফালাফি করছে ওরা। আসলে এছাড়া ওদের কোনও উপায় নেই। ২০২৪ সালে আরও বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশটাই চোর’’, ভোটপ্রচারে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশটাই চোর’’, ভোটপ্রচারে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির আরামবাগ মহকুমার পুরশুড়ার পশ্চিমপাড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি নাম করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশকে চোর বলে তীব্র কটাক্ষ করেন।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘জেলাশাসককে কাজে লাগিয়ে আরামবাগ লোকসভা ভোটে কারচুপি করে জিতেছে তৃণমূল। চুরি করা ওদের অভ্যাস। গোটা পরিবারটাই চোর। ভাইপো চোর, ভাইপোর বউ চোর, ভাইপোর শালি চোর, ভাইপোর বাবা চোর, ভাইপোর মা চোর, গরু চোর, কয়লা চোর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশ চোর।’’ 

    শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা নেই। ওনার পুলিশ রাজবংশী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে মাঝ রাত্রে গুলি করে খুন করেছে। উনি একবারও শোক প্রকাশ করেননি। তাই ওনার লজ্জা থাকা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে বলছেন, গুলি চললে সরকার ও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। গুন্ডাদের মতো কথাবার্তা। জেন্ডার চেঞ্জ করে কি বলা যায়, গুন্ডিদের মতো কথাবার্তা।’’

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, যাকে ইচ্ছা চড়থাপ্পড় মেরে দেবেন। আমি বলছি, কেষ্টর মতো অবস্থা হবে। কেষ্টকে বলেছিল আমি (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আছি। যারা অপকর্ম করবে তাদের অবস্থা কেষ্টর মতো হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাইপো ছাড়া কারও জন্য নয়। আমি এই কথা বলে দিলাম।’’ 

    এদিন কংগ্রসে-সিপিএমকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “ডোমজুড়ে গুলি-বোমার লড়াই। রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস, গুলি, বোমা চলছে। কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতা রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরি যোগাযোগ করুক। পাটনায় শান্তি চুক্তি পড়েও কেন বোমা গুলি চলছে?’’

    নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকতকে সাদা পায়রা ওড়ানোর পরামর্শ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লাকে সাদা পতাকা ও সাদা পায়রা নিয়ে গ্ৰামে গ্ৰামে মিছিল করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় এক জনসভায় এসে নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লার সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে একথা বললেন বিজেপি নেতা ।

    পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। আইএসএস ও শাসকদলের সংঘর্ষে মারা গেছে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী। শান্তির রফাসূত্র খুঁজতে ইতিমধ্যেই ভাঙড় পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি ও তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ভাঙড়ের সংঘর্ষ নিয়ে একাধিকবার পরস্পর বিরোধী অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিধানসভায় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও বিধায়ক শওকত মোল্লা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি করেছে।।

    এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন জাঙ্গিপাড়ার এক সভামঞ্চ থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এই উদ্যোগটা ভালো। তবে দুজনে যদি ভাঙড়ের গ্ৰামে গ্ৰামে গিয়ে  শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তাহলে ভালো হয়। ঠান্ডা ঘরে বসে, নিরাপদ জায়গায় বসে এটা করবেন না। কারণ দু পক্ষের লোকই মারা গেছে। সব গরীব মানুষ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ভাঙড়ে ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম ‘মুছে গেল’ কীভাবে? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: ভাঙড়ে ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর নাম ‘মুছে গেল’ কীভাবে? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়টি রাজ্য নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনকে খতিয়ে দেখতে বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ভাঙড়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর যে ৮২ জন প্রার্থীর নাম ওয়েবসাইট থেকে মুছে গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের অভিযোগ আলাদা করে খতিয়ে দেখতে হবে। তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। এই পদক্ষেপ করতে হবে ২৮ জুনের মধ্যে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার এই নির্দেশই দিলেন বিচারপতি।

    অভিযোগ সত্য হলে, তাঁকে ভোটে লড়ার সুযোগ দিতে হবে

    এদিন, বিচারপতি সিনহা বলেন, নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হতে পারেন না। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে আদালতের নির্দেশে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের আইএসএফ প্রার্থীদের এসকট করে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। পথে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। বিকেল পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করে বিডিও অফিসে ঢোকেন আইএসএফ প্রার্থীরা। এর পর মনোনয়নপত্র পেশ করেন। যদিও ততক্ষণে মনোনয়ন পেশের আনুষ্ঠানিক সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। মনোয়ন পরীক্ষার কাজ শুরু হলে ওই ৮২ জন প্রার্থীর নাম কমিশনের তালিকায় দেখা যায়। কিন্তু ২০ জুন মনোয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন সন্ধ্যায় তালিকা থেকে গায়েব হয়ে যায় তাদের নাম। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ৮২ জন  প্রার্থী।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    গত বুধবার মামলার শুনানি হয়েছিল হাইকোর্টে। সেদিনই বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘একটি নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’ সোমবার এই মামলাতেই বিচারপতির নির্দেশ, ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর প্রত্যেকের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। কারও অভিযোগ সত্য হলে, তাঁকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে হবে কমিশনকে। 
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: মালদায় বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবারও উত্তপ্ত মালদার মানিকচক। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে একই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনা-১ নম্বর কলোনি এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    জানা যায় মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৮ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন সামিনা খাতুন। বিজেপি প্রার্থীর স্বামী রেজাউল হকের অভিযোগ, মনোনয়নপত্র জমা করার পর থেকেই তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হত। শুক্রবার রাতে আমাকে ফোন করে একই বুথের তৃণমূল প্রার্থী সালমা সুলতানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা এমডি আনোয়ার আলি ডেকে পাঠায়। এরপর এমডি আনোয়ার আলি সহ ছয়-সাতজন মিলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনওমতে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা হয় আমার। রাতেই বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মালদা (Malda) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে মালদা (Malda) জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, পঞ্চায়েতে সব আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। তাই, এই সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানিকচকে বাজার গরম করতে চাইছে বিজেপি। আসলে বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই তারা ভয় পাচ্ছে। মালদা জেলায় সব থেকে শান্তিপূর্ণভাবে মনোনয়ন পর্ব মিটেছে। তাই এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই ধরনের কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। নিজেরা হেরে যাওয়ার ভয়ে এই ধরনের মিথ্যা নাটক করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll 2023: জেলশাসকদের বিশেষ নির্দেশ! রাজ্যে টহলদারি শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর

    Panchayat Poll 2023: জেলশাসকদের বিশেষ নির্দেশ! রাজ্যে টহলদারি শুরু কেন্দ্রীয় বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েক দিন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll 2023)। তার আগে, শুক্রবার থেকেই একাধিক জেলায় টহলদারি শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাতেই জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নতুন করে যাতে কোনও বিতর্ক তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে দৃষ্টি রয়েছে কমিশনের। অন্য দিকে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, গণনার পর আরও ১৫ দিন থাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই দাবি তিনি জানিয়ে এসেছেন নির্বাচন কমিশনকে। 

    জেলাশাসকদের নির্দেশ কমিশনের

    কমিশন সূত্রে খবর, জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক জায়গায় মোতায়েন করতে হবে। ব্যবহার করতে হবে সঠিক সময়। যাতে চোখে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে হবে আপনাদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে জেলায় জেলায় বিশেষ নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। শনিবার থেকেই জেলাশাসকদের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ।শুক্রবার সকাল থেকেই একাধিক জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছতে শুরু করে। জেলায় জেলায় শুরু হয় রুট মার্চও। সূত্রের খবর, শনিবার রাজ্যের সব জেলাতেই এরিয়া ডমিনেশনের কাজ শুরু করে দেবে বাহিনী।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Poll 2023) আর মাত্র সপ্তাহ দুই বাকি। তার মধ্যে রাজ্য পুলিশের সহায়তায় এলাকা চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রতিটি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিকভাবে মোতায়েন করার বিষয়ে নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  শুক্রবার পর্যন্ত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অমিত শাহের মন্ত্রক।  প্রথম ধাপে যে সব জেলায় ২২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে, সেগুলি হল— আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর। শুক্রবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, আরামবাগ, বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘এরিয়া ডমিনেশন’ করতে নেমে পড়েছে। ঝাড়গ্রামে আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। তারা ঝাড়গ্রামের পঞ্চায়েত এলাকায় টহলদারি শুরু করে দিয়েছে। 

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনে শুভেন্দু

    শুক্রবার পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু দাবি করেন, গত বিধানসভা ভোট (Panchayat Poll 2023) মিটে যাওয়ার পর অভূতপূর্ব হিংসার সাক্ষী হয়েছিল বাংলা। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই যেন বাহিনী প্রত্যাহার করা না হয়। শুভেন্দু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার পর বিধানসভা ভোট পরবর্তী ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে ১৫ দিন রাজ্যে সশস্ত্র বাহিনী রাখতে হবে।’’

  • Murshidabad: পঞ্চায়েতকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রানিনগর

    Murshidabad: পঞ্চায়েতকে ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রানিনগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার চাকরানপাড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকা। কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয় পক্ষই উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে বোমা ছুড়ে হামলার অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে অগ্নিগর্ভ এলাকা।

    কী ঘটেছে

    পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস প্রার্থী রোজিনা বিবির বাড়িতে বোমা হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থী রোজিনা বিবির আত্মীয়দের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকরানপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে ইট, পাটকেল ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তার পাশাপাশি বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। হামলার সময় আতঙ্কিত হয়ে কংগ্রেস প্রার্থী তাঁর স্বামীকে নিয়ে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। অপর দিকে তৃণমূলের এক নেতার বাড়িতে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে।

    কংগ্রেস প্রার্থীর এবং তৃণমূলের বক্তব্য (Murshidabad) 

    বিরোধী দল করার জন্য শাসক দল দুষ্কৃতীদের দিয়ে এমন হামলা করছে বলে দাবি করেন কংগ্রেস প্রার্থী রোজিনা বিবি। এলাকায় যাতে ভোটের প্রচার না করা হয়, তাই বাড়িতে বোমা মারা হয় বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস প্রার্থী। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী মহিউদ্দিন সেখের বাড়িতে (Murshidabad) দলীয় সভা চলছিল, সেই সময় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ শাসক দলের। তৃণমূল কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করেও বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে যাদের বোমা মেরে পালাতে দেখা যায়, তাদের মধ্যে আছে আনারুল, ছাত্তার, ইব্রাহিম, মইদুল আরও অনেকে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই ব্যাক্তিরা প্রথমে তৃণমূল করত কিন্তু বর্তমানে কংগ্রেস এবং সিপিএম করে। এদের প্রত্যেকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।  

    প্রশাসনের ভূমিকা

    সংঘর্ষের ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছায় রানিনগর (Murshidabad) থানার পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রশাসন জানিয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধীদের ভয় দেখাতে এমন সন্ত্রাস বলে দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করেছেন এলাকার মানুষ ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ, লড়াইয়ের ময়দানে দুই জা

    Purba Medinipur: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একই পরিবারের দুই গৃহবধূ, লড়াইয়ের ময়দানে দুই জা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভোটের ময়দানে এবার দুই জা। শুরু করেছেন তাঁরা নির্বাচনী প্রচার। এমনই ছবি ধরা পড়লো মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের সতীশ সামন্ত অঞ্চলের ২০ নম্বর বুথে। নির্বাচন নিয়ে দুজনেই দুই দলের থেকে জয় বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। 

    দুই জা, পরস্পর বিরোধী দলের প্রার্থী (Purba Medinipur)

    গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই পরিবারের দু জা। একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির হয়ে, অন্যজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের হয়ে। মহিষাদলের (Purba Medinipur) সতীশ সামন্ত অঞ্চলের ২০ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী দাস এবং তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া দাস। এঁরা দুজনে একই পরিবারেরে দুই ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাৎ দুজনে সম্পর্কে জা। দুজনেই গৃহবধূ, দুজনেই এই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে। যদিও প্রত্যেকে এখন পৃথক ভাবে বসবাস করেন। তবে এই পরিবারের সবাইকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারের দুই বউমা হলেন এবারে নির্বাচনে দুই বিরোধী প্রার্থী। ইতিমধ্যে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই প্রচার শুরু করে দিয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থীদের বক্তব্য

    দুই জা-এর মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী দাস বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে যোজনা গুলি রয়েছে, সেগুলিকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে (Purba Medinipur) গিয়ে প্রচার করব। সাধারণ মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে এই তৃণমূলের আমলে, এই কথাও বলেন তিনি। মানুষকে বোঝাবো ভোট দিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলিকে দ্রুত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। শ্রাবন্তী দেবী আরও বলেন, আমরা এলাকায় নির্বাচন নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পাপিয়া দাস বলেন, পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রেখে আমরা রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। তিনি আরও বলেন, আমরা ধীরে ধীরে নির্বাচনে প্রচার শুরু করেছি। এই অঞ্চলে (Purba Medinipur) তৃণমূলের জয় বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত জানিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিরোধিতা কখনই পরিবারে প্রভাব পড়বে না বলে জানান পাপিয়া দাস ।  

    এখন দেখার বিষয় কোন জা জনগণের আর্শীবাদ পেয়ে ভোটে জিতে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মধ্যরাতে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    North 24 Parganas: মধ্যরাতে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে গেলেন বনগাঁ (North 24 Parganas) উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। এই রাজ্যে বিরোধীরা কতটা সুরক্ষিত? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি বিধায়ক।

    কোথায় ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁ ব্লকের ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাইপুর গ্রামের ৬৮ নম্বর বুথের সভাপতি দিলীপ মজুমদারের বাড়ি লক্ষ্য করে গতকাল গভীর রাতে বোমা মারার অভিযোগ উঠেছে। বুথ সভাপতি দিলীপ মজুমদারের বাড়িতে গতকাল রাতে হঠাৎ করে বিকট আওয়াজে ঘুম ভাঙ্গে তাঁদের পরিবারের, এরপর বাইরে বেরিয়ে ধোঁয়া দেখতে পান। এরপরে লক্ষ করেন যে বাড়ির পিছনের দিকে বোমের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বোম মেরেছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার পুলিশ।

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য

    এই বিষয়ে বনগাঁ উত্তরের (North 24 Parganas) বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ভাবে মোকাবেলা করা হবে বলে জানান তিনি। রাত্রি সাড়ে ১২ টার সময় এই বোমাবাজি হয়েছে বলে জানান তিনি। তারপর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনার ২ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বলে জানান অশোকবাবু। বিধায়ক বলেন, এই রাজ্যে বিরোধীরা কতটা সুরক্ষিত? মুখ্যমন্ত্রী একজন রক্ত পিপাসু মহিলা, তিনি রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার হিসাবে একজন মাতালকে বসিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে বিরোধীদের রক্ত নিয়ে খেলায় মেতেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক আরও বলেন যে কোনও প্রাণহানি ঘটলে তার দায়িত্ব নিতে হবে কমিশন এবং রাজ্যের শাসক দলকেই। এই এলাকায় বিজেপির মনোনয়নের ফলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে আর তাই আমাদের বুথ সভাপতিদের বাড়িতে গিয়ে বোমাবাজি করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই ধর্মপুকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে মত প্রকাশ করেন বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া।

    কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন?

    রাজ্যজুড়ে নির্বাচনে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছেন। ব্যারাকপুরে মনোনয়নের পর থেকে কোলের সন্তান নিয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন বিজেপির মহিলা প্রার্থীরা। মেদিনীপুরের দাসপুরে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে পাঠানো হয়েছে সাদা থান। হুমকি দেওয়া হয়েছে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। এবার অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) বনগাঁয় বোমাবাজির। বিজেপি কোনও প্রার্থী, কর্মী, নেতা কেউ নির্বাচনকে ঘিরে সুরক্ষিত নয় বলে দাবি করেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। ৮ই জুলাই, একদফা পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন, রাজ্যের নির্বাচন কমিশন কতটা শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচন করাতে পারে, সেটাই এখন দেখার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    Murshidabad: নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি মিজানুর রহমান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই নেতার অভিযোগে দলে চরম অস্বস্তি।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Murshidabad)

    ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী (Murshidabad) ব্লকের সাদিখাঁদেয়াড় অঞ্চলে। দলীয় কার্যালয়ে বসে অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা প্রার্থী হওয়ার টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি যাঁরা দলের নির্দেশে নমিনেশন জমা করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই দলের বি ফর্ম না মেলায় নির্দল হয়ে গেছেন বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই চাপে পড়ে যায় ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। টিকিট না পাওয়া এক বিক্ষুব্ধু তৃণমূল নেতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, দলের কর্মীরা যাঁকে প্রার্থী হিসবে নির্বাচন করবেন, দল তাঁকেই প্রার্থী করবে। সুতরাং ব্লকের কর্মীরা যে ব্যাক্তিদের টিকিট দিলেন, তাঁরা কেন প্রার্থী হতে পারল না? সবটা মিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট।

    কী বললেন অঞ্চল সভাপতি?  

    সাদিখাঁদেয়াড় অঞ্চল (Murshidabad) তৃণমূল সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, দলের মধ্যে অনেকদিন ধরে আমাদের একটা ক্ষোভ রয়েছে। দলের নির্দেশে আমরা নমিনেশন জমা করেছিলাম। কিন্তু কোনও প্রার্থীই বি ফর্ম দিতে পারলেন না। এইরকম ঘটনার যথার্থ কারণ কী, তাই বুঝতে পারছি না। নমিনেশন প্রত্যাহারের কথা কেন উঠছে বলেও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক জেলার নেতৃত্বদের নিয়ে একসঙ্গে বসে টিকিট বণ্টন করেন। মন্ত্রী এবং জেলার নেতাদের সামনে যে প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, মনোনয়নের পর সেই মতন কাজ হয়নি। ষড়যন্ত্র করে তালিকা বদল করে বাইরের লোককে পার্টির টিকিট দেওয়া হল কীভাবে, তাই জানতে চেয়েছেন মিজানুর রহমান। অঞ্চল সভাপতি আরও বলেন, টাকার বিনিময়ে বিধায়ক টিকিট বিক্রি করেছেন। এই অবস্থায় দলের ভরাডুবি হলে সেই দায় তাঁরা নেবেন না জানান অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: হয় মা নয় বৌমা! বিজেপির শাশুড়ি লড়ছেন তৃণমূলের বৌমার সঙ্গে

    Panchayat Election 2023: হয় মা নয় বৌমা! বিজেপির শাশুড়ি লড়ছেন তৃণমূলের বৌমার সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের ময়দানে (Panchayat Election 2023) দেখা যাবে শাশুড়ি ও বৌমাকে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগ্রা গ্রামের বৌমা ও শাশুড়ি একে অপরের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাঠে লড়াই করছেন। বৌমা মামণি মুর্মু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এবং শাশুড়ি মায়া হেমরম বিজেপির পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে এবারের নির্বাচনে লড়াই করছেন। যাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ গ্রামবাসী তথা ভোটারদের মধ্যে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে একই পরিবারের বৌমা এবং শাশুড়ির লড়াইয়ের ফলে পারিবারিক বিষয়ে কোনও রকম প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন দুই প্রার্থী। তাঁদের দাবি, রাজনীতির লড়াই রাজনীতির লড়াইতেই সীমাবদ্ধ থাকবে। নিজের নিজের দলের উন্নয়ন মুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে গ্রামবাসীর কাছে ভোট প্রচারে বেরিয়েছেন শাশুড়ি ও বৌমা দুজনেই।

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে এক গ্রামবাসী বলেন, আমাদের পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) হেমরম বাড়ির কাকিমা-শাশুড়ি ও বৌমা প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুজনেই আলাদা আলাদা দলের প্রার্থী, শাশুড়ি বিজেপির ও বৌমা তৃণমূলের। এটা বড় মজার ব্যাপার। দুজন একই পরিবারের। যে ভোটে জিতে গ্রামের উন্নয়ন করবে, আমরা তাকেই ভোট দেব।

    কী বলছেন বিজেপির প্রার্থী (শাশুড়ি) (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে বিজেপির প্রার্থী (শাশুড়ি) মায়া হেমরম বলেন, আমি আশাবাদী, আমি বিপুল ভোটে (Panchayat Election 2023) জিতবো। আমি ভোটে জিতে আগে গ্রামের উন্নয়ন করবো। আমরা শাশুড়ি বৌমা নির্বাচনে আলাদা আলাদা দলের প্রার্থী হলেও আমাদের পারিবারিক সম্পর্কটা কোনও দিন নষ্ট হবে না।

    কী বলছেন তৃণমূলের প্রার্থী (বৌমা) (Panchayat Election 2023)?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের প্রার্থী (বৌমা) মামণি মুর্মু বলেন, আমি এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) তৃণমূল থেকে প্রার্থী হয়েছি। সম্পর্কে আমার কাকিমা শাশুড়ি বিজেপির প্রার্থী হয়েছে। আমি আশাবাদী, আমি এই নির্বাচনে জয়ী হবো। আমরা একই বাড়ি থেকে শাশুড়ি-বৌমা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। লড়াই তো হবে। কিন্তু আমাদের পরিবারের মধ্যে কোনও ভাঙ্গন ধরবে না। আমাদের বৌমা-শাশুড়ির সম্পর্ক ভালোই থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share