Tag: tmc

tmc

  • Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচারপতি মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই প্রসঙ্গেই এদিন বিচারপতি বলেন, “নিজেরাই যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে কোর্ট কী করবে? আদালতকে বার বার অসম্মান করতে গিয়ে নিজেদের যে অসম্মান হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝছেন না। বা বুঝেও সেটাই করে চলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না।”

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশ স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে পারছে না। চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এর পরেই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সিটে রয়েছেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস এবং পঙ্কজ দত্ত। এর পরেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “টিভি চ্যানেলে বিষোদ্গার করাটাই কি আসল? রাজ্যে আইপিএস অফিসার কি কম পড়েছিল?” পরে কুণাল বলেন, “এঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য ও স্বীকৃত। সবই ঠিক আছে। দময়ন্তী সেনকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু বাকিরা তো চ্যানেলে বসে বিষোদ্গার করেন। সেই কারণেই কি তাঁদের সিটের সদস্য করা হয়েছে?”

    আরও পড়ুুন:‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এ নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আর এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, ওই নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করা উচিত। এর পরেই শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দেন বিচারপতি মান্থা। তিনি ওই আইনজীবীকে জানান, এ নিয়ে যদি কিছু করতে চান, তা হলে আলাদাভাবে মামলা দায়ের করুন। আদালত বিবেচনা করবে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার একাধিক নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের কুণাল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ নিয়েও বিস্তর সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু’বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

    Post Poll Violence: ভোট-পরবর্তী হিংসার দু’বছর পরেও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছিলেন আসানসোল-বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক হিংসার জেরে আক্রান্ত হন তিনি। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী তাঁর ঘরে ঢুকে ভাঙচুর (Post poll violence) করে। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে দুমাস বাইরে ছিলেন বাপি প্রধান। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনও সুরক্ষা পাননি। তাই পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিজের বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু এখনও তৃণমূল সমর্থকরা বাপির গতিবিধি নজরে রেখে চলেছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলেই বাড়িতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

    ফলাফলের পর কী ঘটেছিল?

    আক্রান্তরা জানিয়েছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর ২ রা মে থেকে এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ শুরু করে। ফল প্রকাশের আগের দিন থেকেই শাসকদলের দৌরাত্ম্যের কারণে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয় পানুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চারটি পরিবার। স্থানীয় কৃষ্ণ সাউ, মনোজ ধীবর, বাপি প্রধান, প্রকাশ গড়াইয়ের পরিবারের প্রায় চল্লিশজন নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র পালিয়েছিলেন। এছাড়াও সুজয় গড়াই, চিত্তরঞ্জনের ডিপি সং, পাপ্পু বাল্মীকি, এল ফ্রেড রজক, পরেশ ধীবরের বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা করে। প্রায় দু-মাস ধরে শাসকদলের দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের আতঙ্কে (Post Poll Violence) বাড়ির বাইরে গিয়ে দিন কাটাতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।

    অত্যাচারের চেহারা

    বাপি প্রধান বলেন, দুষ্কৃতীরা প্রথমে বাড়ির লোহার গেট ভেঙে ঢুকে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তারপর বাড়ির আসবাবপত্র, ফসল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সবকিছু লুটপাট করে পালিয়ে যায়। কৃষ্ণ সাউ নামে এক ব্যক্তির গাড়ির চাকাগুলি সেই সময় খুলে নিয়ে চলে যায়। তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে থাকা প্রকাশ গড়াইয়ের মাকে প্রচণ্ড মারধর করে। দুষ্কৃতীরা বাপিকে বলে, একাই এসেছি তোকে মারার জন্য! তোর মাকে সরতে বল। ফেসবুকে শাসকের বিরুদ্ধে অত্যাচারের কথা বলায় মায়ের সামনেই মা-ছেলেকে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছিল বলে জানা যায়। এই চল্লিশজন ঘরছাড়াদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু শিশু, বৃদ্ধ নারী, যারা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার (Post Poll Violence) হন। অনেকে বলেছেন, নিরুপায় হয়ে বর্ডার লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে গিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। পুলিশের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়। পুলিশ-প্রশাসন সাধারণ মানুষকে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ছিল।

    অভিযুক্ত কারা?

    আক্রান্তদের অভিযোগ, এই হামলা, মারধরে প্রত্যক্ষ মদত দেয় শাসকদলের আশ্রিত তৃণমূলের দুষ্কৃতী রাজেশ মৃধা, অজিত বাউরি, পুনস খান। এছাড়াও বাড়িঘরে লুটপাটের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মহঃ আলম, তাঁর ভাই হাসিম আনসারি। বাড়ি ফিরলেই মারধর করবে বলে বিশেষ হুমকি (Post poll violence) দেয় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। তাই সকলে রাজনৈতিক হিংসার কারণে আতঙ্কিত হয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন সেই সময়।

    বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা

    পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে পরবর্তী সময় প্রতিকার চেয়ে বাড়িতে ফেরার জন্য হাইকোর্টে বিশেষ আবেদন করতে হয়েছিল আক্রান্তদের। ডিভিশন বেঞ্চের আদেশে প্রশাসন বিজেপি কর্মী বাপি প্রধান সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিজের বাড়িতে ফেরাতে বাধ্য হয়েছিল। বেশ কিছুদিন এলাকায় পুলিশ পিকেটিং বসানো হয়েছিল নিরাপত্তার কথা ভেবে। আসানসোল জেলার বিজেপির সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, পুলিশ পিকেটিং থাকা সত্ত্বেও বাপি প্রধানের বাড়িতে শাসকদল আক্রমণ (Post Poll Violence) করছিল। তিনি আরও বলেন, ভোটের পরে পরিস্থিতি ঠিক কেমন ছিল, সে কথা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দুবছর কেটে গেলেও ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার অত্যাচার থামেনি বলে এলাকার মানুষ মন্তব্য করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে বৃহস্পতিবার শনাক্ত করলেন তাঁর স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া। তমলুক আদালতে গত ৮ই মে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়। সেইমতো এদিন তমলুক সংশোধনাগারে এসে এই তিনজনকে শনাক্ত করলেন বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৭

    বিজেপি কর্মী (BJP) খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আছে পুলিশি হেফাজতে। বাকি তমলুক উপ সংশোধনাগরে থাকা এই তিনজনকে এদিন শনাক্ত করলেন তিনি। এরা হল শ্যামপদ মণ্ডল, সাগর মণ্ডল, মধুসূদন সাউ। তিনজনই তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই তিনজনকে গত ৭ তারিখে গ্রেফতার করে ৮ তারিখ তমলুক আদালতে তোলা হয়।

    কীভাবে হয়েছিল এই খুন?

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ঘরছাড়া করার অভিযোগ বারবার উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ। এখানকার প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি এবং আরও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য (TMC)। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় এফআইআর দায়ের করেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হয় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ শামসুল ইসলামকে। প্রায় দুমাস জেলে থাকার পর ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু ফেরার পর থেকেই পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন প্রধান, অভিযোগ এমনই। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে নন্দীগ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য?

    আব্বাস বেগ বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি এবং অন্য দুই পঞ্চায়েত সদস্য মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলাম শামসুল ইসলামের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করার পর দুমাসের জেল হয় শামসুল ইসলামের। জেল খেটে বাড়ি ফেরার পরই আমাকে ঘরছাড়া করা হয়। আমি শেখ সুফিয়ান সাহেবের অনুগামী। আলোচনার ভিত্তিতে আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর ফের আমাকে ঘরছাড়া হতে হয়। নানা জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। কয়েকদিন আগে দাদা মারা যাওয়ার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম। কিন্তু গত ৭ তারিখ শামসুল ইসলাম (TMC) আমাকে ফোন করে হুমকি দেয়, তোকে কেস তুলে নিতে হবে। না হলে মার্ডার করে দেব। তার অডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। আমি এ নিয়ে এফআইআর করি। তারপরই বাড়ি ঘিরে ধরে চলে হুমকি। আমি ধামসাবাদে এক আত্মীয়ের-বাড়িতে ছিলাম। সেখানেও আমাকে তাড়া করা হয়। ফলে এই মুহূর্তে আমি নন্দীগ্রামছাড়া। যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সেখ শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত। এলাকার বহু মানুষের কাছে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় নিজেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

    নবজোয়ারের আগে গৃহযুদ্ধ!

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের গ্রাম প্রধানের ফোনে কথাবার্তার অডিও রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চায়েত ভোট এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রার আগে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে শাসকদলের ভয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরই ঘরছাড়ার এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diploma Doctors: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    Diploma Doctors: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেই হওয়া যাবে চিকিৎসক! ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই নার্স! সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি দিয়ে করা হতে পারে ‘সেমি’ ডাক্তার! রাজ্যে চিকিৎসকদের ঘাটতি পূরণে এমনই একাধিক প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঘোষণায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। গরিব মানুষদের স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব সকলে।

    জীবন নিয়ে ছিনিমিনি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিভিক ভলান্টিয়ার, সিভিক টিচারের পর এবার সিভিক ডাক্তার বানাচ্ছেন। বিজেপি দাবি করছে রাজ্যকে আরও ভাল করে চালানোর জন্য সিভিক মুখ্যমন্ত্রীর পদ তৈরি করা হোক।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যকেই সিভিক বানিয়ে দিয়েছেন। খেলা মেলা আর সিভিক দিয়েই চলছে গোটা রাজ্য।” মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা তথা চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। তিনি বলেন, “এবার এই রাজ্যে ঘুরে বেড়াবে ভুয়ো চিকিৎসক। যা মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণার ফল। আর রাজ্যের তৈরি করা।” পাশাপাশি তিনি বলেন “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব

    বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে উৎকর্ষ বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিভিন্ন বণিক মহলের সদস্যরা। সেখানেই স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে, ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরির পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে কমিটি তৈরির নির্দেশও দেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘লোকসংখ্যা বাড়ছে, হাসপাতাল বাড়ছে। ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে পারি কি না দেখব, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো।’’ সাধারণত ডাক্তারি পড়ার কোর্সের মেয়াদ ৫ বছরের। সেখানে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের পর চিকিৎসক তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক মহলে। সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি দিয়ে ‘সেমি’ ডাক্তার করার কথাও বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘নার্সদের সংখ্যা কম থাকার জেরে সমস্যা হচ্ছে। নার্সিং কলেজ তৈরি করা হোক আরও। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো যেতে পারে। ১৫ দিনের প্রশিক্ষণই যথেষ্ট।’’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব নার্স সিনিয়র, যাঁদের অবসর নিতে ৫-১০ বছর বাকি রয়েছে, তাঁদের পদোন্নতি দিয়ে যদি সেমি ডাক্তার করা যায়। ডাক্তার তো করতে পারব না!’’ 

    বিজেপির সমালোচনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “ভাবনাস্তরেই বিষয়টা থেকে যাবে, বাস্তবায়িত করার সময় আর এই সরকার পাবে না। বঙ্গে শিক্ষার চরম অবক্ষয় ঘটেছে, মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছেন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। সবাই দক্ষিণ ভারত অভিমুখে ছুটছেন। এই ধরণের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চরম রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “উনি চাইলেই তো এভাবে ডাক্তার বানিয়ে দিতে পারেন না, বিদেশে পড়ে এলেও এখানে পরীক্ষা দিতে হয়। উনি তো বলেছিলেন সাতদিনে নার্স বানিয়ে দেবেন, তেমনটা হলে সে আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে?”

    আরও পড়ুন: একলাখী-বালুরঘাট স্পর্শ করল মাইলফলক, সুকান্তর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা

    বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ন্যূনতম পরিষেবা পায় না। এ বার কি মুখ্যমন্ত্রী নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত কায়দায় ডাক্তার, নার্স তৈরি করে রাজ্যে গরিব মানুষের জীবন বিপন্ন করে দেবেন? যাঁদের মাথায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এই ধরনের ভাবনা আসে, তাঁদের মানসিক চিকিৎসার দাবি করছি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নবজোয়ারের আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখালেন এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা, কেন জানেন?

    TMC: নবজোয়ারের আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখালেন এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যালট লুটের ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। এবার নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই একঝাঁক তৃণমূলের (TMC) নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি এবং পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই একসঙ্গে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের বিদ্রোহের ঘটনা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের?

    আগামীকাল পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পাননি এক ঝাঁক তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। এরপর সেখানে হাজির হলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে এই জনপ্রতিনিধিদের। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের সান ঘোষপাড়া এলাকার দলীয় পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ একাংশ। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফজলুল হক মন্ডল, তাপস দে, মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান প্রতিমা দাস, পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়, মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছালেক সেখ সহ একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন বিধায়ক। কোনও কিছুতেই আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সভায় গেলে আমাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই না কোনওরকম বিতর্ক হোক। তাই নবজোয়ার কর্মসূচিতে আমরা কেউ যাব না। তবে, দলীয় কর্মসূচিতে না গেলেও বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতির কার্য কলাপের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি আমরা দেব। সেই চিঠিও তাঁরা প্রকাশ্যে তুলে ধরেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক?

    এ প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, নবজোয়ার কর্মসূচিতে দলের সকলেই যোগ দিতে পারেন। আর আমি হুমকি দিয়েছি এইরকম কোনও প্রমাণ ওরা দেখাতে পারবে? যা বলছে সবই মিথ্যে। বিধানসভা ভোটের সময় আমাকে হারানোর পরিকল্পনা করেছিল ওরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে ভাটার টান, ক্ষুব্ধ অভিষেক কলকাতায় তলব করলেন জেলা সভাপতিকে

    Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে ভাটার টান, ক্ষুব্ধ অভিষেক কলকাতায় তলব করলেন জেলা সভাপতিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই বিধানসভা ভোটের পর থেকে শুরু হয়েছে। বিধানসভা ভোটের বিপর্যয়ের পর দলের জেলা সভাপতি হিসাবে প্রকাশ চিক বরাইককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর দুটি পুরসভা নির্বাচনে সাফল্য আসে। ফলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গুডবুকে উঠে আসেন প্রকাশ। বিজেপি থেকে আসা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা ও বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের সুনজরে রয়েছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর নেতাদের একটা দ্বন্দ্ব চলছে। এক গোষ্ঠীর নেতারা দলের কোনও কর্মসূচি করলে অপর গোষ্ঠী পাল্টা ক্ষমতা প্রদর্শনে পিছিয়ে থাকছে না। নেতৃত্বের ওই বিরোধ দলের নিচু তলাতেও প্রভাব ফেলছে। প্রভাব পড়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    প্রকাশ্যে বড় নেতারা মুখ না খুললেও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে দলীয় কর্মসূচিতে ডাকছেন না আলিপুরদুয়ার এক ব্লকের সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়। আবার বিধায়কের কর্মসূচি সম্পর্কে তিনিও নাকি কিছুই জানতে পারছেন না দাবি পীযুষের।  এ ব্যাপারে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কাছে ও রিপোর্ট গিয়েছে। অভিষেকের সভায় লোক জড়ো করার ক্ষেত্রে একাধিক ব্লক সভাপতির গা ছাড়া মনোভাব দেখিয়েছেন। তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে দলের জেলা নেতাদের একাংশের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক। নবজোয়ার কর্মসূচির আগে এপ্রিলের শুরুতে আলিপুরদুয়ারের বাবুরহাটে গ্রামীণ এলাকায় একটি সভা করেছিলেন অভিষেক। সেই সভায় জমায়েত দেখে খুশি হননি তিনি। ২৭ এপ্রিল নবজোয়ার কর্মসূচিতে জেলায় এসেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। জেলার তিনটি জায়গায় তিনি সভা করেন। অভিষেকের কর্মসূচি সফল করতে একাধিক ব্লক সভাপতি সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের অনেক ক্ষেত্রেই সমন্বয় হয়নি। একাধিক ব্লক সভাপতির কাজ করার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকর ছিল। দলের ওই কর্মসূচিকে জেলার কর্মসূচি বলে ব্লক সভাপতিদের কয়েকজন দায় এড়িয়েছেন। ফলে, নবজোয়ারে তার ভাল প্রভাব পড়েছিল। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া একটি ক্লাবের মাঠে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সেই সভায় লোকজন ভাল ছিল না। জমায়েত দেখে অভিষেক (Abhishek Banerjee) দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিষেকের নিজস্ব টিমের সদস্যরা ওই সময় জেলার সব নেতার ওপর নজরদারি চালিয়েছিলেন। তাঁদের নজরেও অসহযোগিতার বিষয়টি ধরা পড়েছে।

    নবজোয়ার কর্মসূচির পরই জেলা সভাপতিকে কলকাতায় তলব

    কয়েকমাস আগেই আলিপুরদুয়ার জেলায় ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় কি আবার রদবদল হতে চলেছে? আপাতত জেলার রাজনৈতিক মহলে এই জল্পনাই ঘোরাফেরা করছে। যদি সত্যিই রদবদল ঘটে তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর পরই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইককে কলকাতায় তলব করা হয়। তাঁর কলকাতায় যাওয়ায় শাসক দলের অন্দরে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। এসব নিয়ে একেবারেই কিছু বলতে চাইছেন না। তিনি শুধু বলছেন, দলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য কলকাতায় এসেছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লটারির টাকায় রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার তৃণমূলের! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: লটারির টাকায় রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার তৃণমূলের! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলে নবজোয়ার নামে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আর এই কর্মসূচি ঘিরে একাধিক জেলায় ব্যালট ছিনতাই, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সন্ধ্যায় হুগলির উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ডিয়ার লটারির টাকায় নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে। লটারির টাকায় তৃণমূলের নবজোয়ার। ইনকাম ট্যাক্সের রিটার্নে লটারির উল্লেখ করেছে। তৃণমূলের নির্বাচনী বন্ডে মাসে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা দেয় এই লটারি সংস্থা। আমার কাছে সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করার এই ব্যবসা বন্ধ করব। সাবধান ডিয়ার লটারি, সাবধান পশ্চিমবঙ্গের জনগন, সাবধান তৃণমূল। চলছে নবজোয়ার, যাচ্ছি আমি তিহাড়।

    দলত্যাগী এক বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে সরব শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়িতে কিছুদিন আগেই আয়কর হানা দেয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ভিতরে বিজেপি, বাইরে তৃণমূল এমন একজন বিধায়কের বাড়িতে তিনদিন ধরে আয়কর হানা দিয়েছিল। আপনারা সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছেন। কিন্তু, ফলাফলটা পাননি। শুনে রাখুন, আমি যা বলি দায়িত্ব নিয়ে বলি। ওই মমতাভক্তের বাড়ি থেকে ৩ কোটি টাকা নগদ এবং ৬ কোটি টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতরকে বলব, বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্যি হলে, সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।

    সিপিএম, কংগ্রেস কর্মীদের কী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, সিপিএম এখন সাইনবোর্ড। কয়েকদিন আগে এই জায়গায় সিপিএম মিছিল করেছে। তাদের কোনও অনুমতি লাগেনি। অথচ আমাদের হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে মিছিল করতে হচ্ছে। তাহলেই ভাবুন সেটিংটা কে করছে। তাঁর কটাক্ষ, এই সিপিএমের দোসর কংগ্রেস। তাদের দিল্লির নেতারা এই চোর সরকারদের বাঁচাতে আইনি লড়াই করছেন। ভাবতে পারেন? এরপরই সিপিএমের উদ্দেশে তিনি বলেন এদের কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের খুনের প্রতিবাদে পাবেন না, রিষড়া, শিবপুরে ইনসাফ মিছিলে পাবেন না, এই দল সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। বেশি কথা বলবনা। শুধু বলবো যে কজন এখনো আছেন তাঁরা চলে আসুন। আমরাই পারবো সাফ করতে। গত মাসের ২ তারিখে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রিষড়া এলাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। রক্তাক্ত হন পুরশুরার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ সহ অনেকেই জখম হন। পুলিশও সেদিন আক্রান্ত হন। এই রেশ দু তিনদিন ধরে চলে। ওই ঘটনার জেরে পুলিশ প্রচুর লোককে ধরপাকড় করে। যদিও পরবর্তীকালে সবাই প্রায় জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। ওই দিন যে সমস্ত রামভক্তরা মার খেয়ে, জেল খেটে বেড়িয়েছেন তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে হিন্দমোটর ধারসা মোড় থেকে উত্তরপাড়া কোতরং পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। যদিও এই মিছিলের অনুমতি স্থানীয় পুলিশ দেয়নি। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক হাইকোর্ট থেকে আইনি লড়াইয়ে অনুমতি বার করে আনেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “গীতাঞ্জলির বিকল্প কথাঞ্জলি নয়”, নাম না করে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “গীতাঞ্জলির বিকল্প কথাঞ্জলি নয়”, নাম না করে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গীতাঞ্জলির বিকল্প কথাঞ্জলি নয়”। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম না করে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার ২৫ বৈশাখ উপলক্ষে রবীন্দ্র স্মরণের আয়োজন হয়েছিল সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে। ওই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মমতাকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, এটা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির বাংলা। গীতাঞ্জলির বিকল্প কথাঞ্জলি হতে পারে না। এই সাংস্কৃতিক অবক্ষয় থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নিশানায় মমতা…

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পূণ্য হউক পূণ্য হউক পূণ্য হউক হে ভগবান…এর বিকল্প হতে পারে না এপাং ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই ড্যাং ড্যাং। এদিকে, মমতাকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। রাজ্যে দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, দ্য কেরালা স্টোরি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি একটি সিনেমা। আসলে এই ধরনের ঘটনা বাংলায়ও হয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী এই ছবি প্রদর্শন করতে দিচ্ছেন না।

    তাঁর অভিযোগ, বাংলার মেয়ে বাংলাদেশে জেএমবি-র হয়ে টাকা তুলতে গিয়ে ধরা পড়েন। তারপর (Suvendu Adhikari) তাঁকে মগজধোলাই করে, ধর্মান্তর করে বিয়ে করা হয় এবং তাঁকে জেএমবি-র কাজে লাগানো হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও জায়গায় পোস্টার লাগানো চলবে না। জোর করে এই ছবির প্রদর্শন বন্ধ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আসলে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন।

    আরও পড়ুুন: নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি! মমতাকে আইনি নোটিস বিবেক অগ্নিহোত্রীর

    বিজেপির এই অধ্যাপক নেতা বলেন, বিরোধীরাই তো বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোনও সংগঠন হয় না। কেন তাহলে মুখ্যমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে ধর্মকে জড়াচ্ছেন? এর আগেও অনেক দায়িত্ব উনি নিয়েছেন। কিন্তু কোনও দায়িত্ব উনি পালন করেননি। এখন সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ধর্মকে মিশিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের অশান্তির আশঙ্কা করছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ২০১৮ সালেই পঞ্চায়েত ভোটে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আবারও পঞ্চায়েত ভোট আসছে। সেখানেও জোর করে ভোট করানোর চেষ্টা হবে। সন্ত্রাসের আবহে ভোট হবে। তিনি বলেন, অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি চূড়ান্ত ফ্লপ। গতকালের কর্মসূচিতেও দেখা গিয়েছে চেয়ার ফাঁকা ছিল। তৃণমূলে টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি হয় বলেও অভিযোগ তাঁর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: খেজুরির ৬১ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের, দিতে হবে নিরাপত্তাও

    Calcutta High Court: খেজুরির ৬১ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের, দিতে হবে নিরাপত্তাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ঘর ছাড়া ছিলেন তাঁরা। এবার বিজেপির (BJP) ঘর ছাড়া ৬১ জন কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, দীর্ঘদিন যাঁরা ঘর ছাড়া, তাঁদের ফেরাতে উদ্যোগী হতে হবে পুলিশকেই। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপেও ছাড় দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। আদালতের নির্দেশ, ঘর ছাড়াদের মঙ্গলবারই ফেরাতে হবে খেজুরির শেরখান চকে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরানোর পর গোটা এলাকায় অন্তত ৮জন পুলিশ কর্মীকে নিরাপত্তা দিতে হবে। ঘর ছাড়াদের এলাকায় লাগাতে হবে সিসিটিভিও। মামলা চলাকালীন যাতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ডিলিট না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে শেরখানচক এলাকার ওই ৬১জন বিজেপি কর্মী ঘর ছাড়া রয়েছেন বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, তাঁদের একাধিকবার ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করা হলেও, তা সফল হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের হুমকির ফলে অনেকেই ঘরে ফিরতে পারছেন না। যদিও তৃণমূলের দাবি, হামলা চালানোর পর ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়ে বসবাস করছেন বিজেপির ওই কর্মীরা। কাউকে বাড়ি ফিরতে বাধা দেওয়া হয়নি।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    সোমবার হয় ওই মামলার শুনানি (Calcutta High Court)। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হতে হবে রাজ্যকেই। যেহেতু এলাকায় বিস্ফোরণের অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের ধারাও যুক্ত করতে হবে পুলিশকে।ঘর ছাড়াদের এলাকায় লাগাতে হবে সিসিটিভিও। মামলা চলাকালীন যাতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ডিলিট না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

    আরও পড়ুুন: “মমতা কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, পরিস্থিতি উপলব্ধি করেই কোর্ট এমন নির্দেশ দিতে বাধ্য হল। এদিন শুনানির (Calcutta High Court) সময় সরকারি আইনজীবী বলেন, যাঁরা বাড়িতে নেই, তাঁদের কারও কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, কেউ আবার ভিন রাজ্যে কাজ করেন। বিচাপতির মান্থার নির্দেশ, যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে পুলিশ আইনত পদক্ষেপ করতে পারবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share