Tag: tmc

tmc

  • Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Hooghly: বাঁশবেড়িয়ায় দলের পুর-চেয়ারম্যানে অনাস্থা! পদত্যাগ করলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) তৃণমূল পরিচালিত বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই ১২ জন কাউন্সিলর এর আগে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। যদিও কাউন্সিলরদের দাবি মেনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে এবার পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন বাঁশবেড়িয়ার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ভোটে তৃণমূল হারতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! (Hooghly)

    লোকসভা ভোটে বাঁশবেড়িয়া (Hooghly) পুরসভা এলাকায় সাড়ে ১১ হাজার ভোটে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরই দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশ চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেন। সূত্রের খবর, যারা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, তাঁরা মিটিং ডাকেন না। তাই প্রথম বোর্ড মিটিংয়ে বিভিন্ন দফতরের ৬ ‘টি স্ট্যান্ডিং কমিটি তৈরি হলেও তা নিষ্ক্রিয়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার শাসকদলের কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বারবার এই ধরনের পদক্ষেপ করায় দল বিড়ম্বনায় পড়ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “চেয়ারম্যান আমাদের কথা শোনেন না। নিজের পছন্দের কয়েকজন লোক দিয়ে কাজ করান। আমাদের কোনও গুরুত্ব দেন না। চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে নিজেদের ওয়ার্ডে পরিষেবা দিতে পারি না। যার ফলে লোকসভা ভোটে আমাদের হার হয়েছে। এমনকী আমরা কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার কোনও কাজ করতে পারছি না। স্ট্যান্ডিং কমিটি আমাদের কাছে অলঙ্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, স্ট্যান্ডিং কমিটির কোনও মিটিং হয় না। যা কিছু সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান নিজেই নেন।” কাউন্সিলর (Trinamool Congress) প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, “তিনটি স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথায় রয়েছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, তিনিও কোনও মিটিং ডাকেন না। সমস্ত বিষয়ে আমরা দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি, তারা নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    Bankura: তৃণমূল কার্যালয়ে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ! গোষ্ঠী কোন্দলে অস্বস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে ২৯টি আসন পেয়ে রাজ্যে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তবুও দলের মধ্যে কোন্দল যেন থামছেই না। জেলায় জেলায় একাধিক গোষ্ঠী কোন্দলের খবর উঠে এসেছে। এবার বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা ব্লকের তৃণমূল কার্যালয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ উঠেছে। কার্যালয়ে (TMC office) ঢুকে রীতিমতো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে দলের কর্মীরাই। ঘটনায় মূল অভিযোগের তির তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ খাঁ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

    মিছিল এবং পাল্টা মিছিলে উত্তাল (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ২১ জুলাই নিয়ে সমাবেশের প্রস্তুতি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ওন্দার ওই তৃণমূলের কার্যালয়ে। কিন্তু এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অরূপ খাঁ এবং ওন্দার ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুমার বীটের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। রীতিমতো দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে মিছিল এবং পাল্টা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দুই মিছিল পরস্পর মুখোমুখি হলেই সাময়িক ভাবে উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো পুলিশ (Bankura) ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়।

    লাঠি, ইট, পাথর ছুড়ে আক্রমণ

    পুলিশ সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলে আবার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পক্ষ, আরেক পক্ষকে চেয়ার, লাঠি, ইট, পাথর ছুড়ে আক্রমণ করে। এরপর চলে কার্যালয়ে ব্যাপক (TMC office) ভাঙচুর। তবে অবশেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু দুই পক্ষকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর দিতে চাননি কেউই। অপরে জেলা (Bankura) তৃণমূলও তীব্র অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা ১৫০ বছরের পুরাতন, জানুন তার ইতিহাস

    আগেও হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল

    তৃণমূলের জেলায় জেলায় (Bankura) গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত। গত এক সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জায়গায় তৃণমূলের নবীন এবং প্রবীণ নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। পুরুলিয়া লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো দলের কোন্দল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের গলায় দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য শোনা গিয়েছে। কামারহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর নিজে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোলাবাজির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। একই সঙ্গে বারাকপুর তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক দলের কর্মীদের তোলাবাজির বিরুদ্ধে বলেছেন যে কেউ ১ টাকা চাইলে জেলে ঢোকাবো। ফলে শাসক দলের অন্দরে কোন্দল এবং বিস্ফোরক মন্তব্যের কারণে চরম অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পোলিং এজেন্টকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার হাতে থেকে বাদ যাননি পোলিং এজেন্টের স্ত্রী এবং পুত্র। শনিবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরের চৌহাটি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম গোবিন্দ অধিকারী। গোবিন্দের স্ত্রী নমিতা অধিকারী এবং পুত্র গৌরব অধিকারীও গুরুতর জখম হন। প্রথমে তিন জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পরে, সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কুকুর মারা নিয়ে বিজেপি কর্মী গোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সুভাষ দেবনাথের  ঝামেলা হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। শনিবারের রাজনীতির কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে, না এর সঙ্গে কুকুর নিয়ে ঝামেলার যোগ রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। শনিবার ভোর ৩টের পর বিজেপি কর্মীর বাড়িতে (South 24 Parganas) দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে এবং পুত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। বাড়িতে গোবিন্দের কন্যাও ছিলেন। তবে তাঁর ওপর হামলা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আটক করা হয়েছে আক্রান্তদের প্রতিবেশী সুভাষ দেবনাথ এবং তাঁর পুত্র সুমিত দেবনাথকে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা দেবনাথ চক্রবর্তী বলেন, “ভোটে গোবিন্দ আমাদের দলের পোলিং এজেন্ট হয়েছিলেন। আমাদের ওয়ার্ডে বিজেপি (BJP) এগিয়েও ছিল। যাঁরা গোবিন্দদের মেরেছেন, তাঁরা তৃণমূল করেন। সন্ত্রাস করতেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।” অন্যদিকে,তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব পুরোহিত বলেন, “একটি কুকুর মারাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। সুভাষ দেবনাথের নামে গোবিন্দ অধিকারী মামলা করেছিল। সোনারপুর থানা বিষয়টি দেখেছে। শনিবার ভোরে আমার কাছে ফোন আসে গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবারকে চপার দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে শুনেছি। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। দুই পরিবারের বিবাদ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jute Mill: বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল, কাজ হারালেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক

    Jute Mill: বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল, কাজ হারালেন সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল (Jute mill) । শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে সাসপেনশনের নোটিশ দেখতে পান। এরপরই কারখানার গেটের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ হারালেন।

    কী কারণে বন্ধ করা হল মিল? (Jute mill)

    জানা গিয়েছে, আচমকা সাময়িক সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা বন্ধের নোটিশ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বন্ধের নোটিশে উৎপাদনের ঘাটতিকেই দায়ী করেছে মালিক পক্ষ। নোটিশে লেখা রয়েছে, এস ফোর তাঁত বিভাগের শ্রমিকদের একাংশ ঠিকমতো কাজ করছেন না। হেল্পারদের কাজে লাগিয়ে তারা দীর্ঘক্ষণ টিফিনের জন্য সময় ব্যয় করে।  এতে উৎপাদন ঘাটতি হচ্ছে। শ্রমিকরা বলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই মিল (Jute mill) কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে মিল খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, জুটমিলে স্থায়ী শ্রমিকের বদলে অস্থায়ী শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন। তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে মিলে কাজের পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে, মিল কর্তৃপক্ষ এসব শ্রমিক নিয়ে মিল চালাতে পারছে না। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার অনেক অর্ডার দিচ্ছে। ঠিকা শ্রমিকরা কাজ করতে চাইছে না। রাজ্য সরকারের উদাসীনতা এরজন্য দায়ী। তৃণমূল বিধায়ক (Jagaddal) সোমনাথ শ্যাম বলেন,  মিলে মালের অর্ডার নেই। তাই সাময়িক বন্ধ রেখেছেন মালিক পক্ষ। অর্ডার মিললে ফের ঠিকমতো মিল চলবে। আসলে এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। আর কোনও কারণ নেই। অর্ডার না থাকায় কোনও মিল (Jagaddal) সাত দিন চলছে না। যত দিন যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার অর্ডার কমিয়ে দিচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purulia: পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    Purulia: পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় (Purulia) লোকসভা নির্বাচনে হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের কথা উঠে আসল। তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলির মধ্যে কোন্দল, সমন্বয়ের অভাব, এবং বুথস্তরে জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াই অন্যতম বিপর্যয়ের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বুধবার দলের জেলা কমিটির পর্যালোচনায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ফলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

    বৈঠকে গরহাজির একাধিক তৃণমূল নেতা (Purulia)!

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্লক ও শহর কমিটির সভাপতি এবং জেলা তৃণমূলের প্রাথমিক পর্যালোচনা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। দলের নির্বাচন পর্যবেক্ষক তন্ময় ঘোষ বলেছেন, “কিছু ত্রুটি আমাদের নজরে এসেছে। দলের কাছে পেশ করা রিপোর্টে সবটাই জানানো হবে। রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব নিশ্চই সিদ্ধান্ত নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।” উল্লেখ্য এদিন পুরুলিয়ায় (Purulia) বৈঠকে গরহাজির থেকে বিতর্ক বাড়িয়েছেন লোকসভা প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো, লোকসভার নির্বাচনী কোর কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ছাত্র, যুব এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ইচ্ছে করেই তাঁরা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। ফলে এই কোন্দলের কারণে দল নির্বাচনে হেরেছে বলে মনে করেছেন দলেরই একাংশ।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    জেলার (Purulia) এক তৃণমূল (TMC) নেতার বক্তব্য, “আজকের বৈঠকে কিছু মঞ্চপ্রেমী নেতা-নেত্রী ও অনেক শাখা সংগঠনের প্রধানদের দেখতে পেলাম না। এর কারণ কী? লোকসভা নির্বাচনে হারের লজ্জা না কি গ্লানি? জেলা তৃণমূলের কর্মী হিসাবে আমি মনে করি অবিলম্বে পুরুলিয়া জেলা কমিটিতে বড় পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে। মঞ্চে ওঠা তথাকথিত নেতাদের বাদ দিয়ে কাজের নেতাদের স্থান দিন।” একই ভাবে বৈঠকে বুথস্তরে আর্থিক সহায়তা ঠিক করে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

    আরও পড়ুনঃ হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    কী বললেন শান্তিরাম?

    বৈঠকে যোগদান না করে পুরুলিয়ার (Purulia) প্রার্থী শান্তিরাম বলেছেন, “আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বলেই বৈঠকে যাইনি। অন্তর্ঘাতের বিষয়টি যখন উঠে এসেছে তখন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।” আবার সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এই দিন যে সাংগঠনিক বৈঠক বলা হচ্ছে, তা ভোটের আগেই করা উচিত ছিল। যদি ২১ জুলাইের প্রস্তুতি এবং ফলাফল পর্যালোচনার বিষয় আলোচনায় থাকত, তবে যেতাম।” আবার এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেছেন, “সুজয় বাবু সহ একাধিক নেতাকে আমি ফোন করে মিটিং-এর কথা বলেছিলাম। তবুও কেন আসেননি আমার কাছে স্পষ্ট নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • East Burdwan: সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ প্রৌঢ় দম্পতির

    East Burdwan: সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ প্রৌঢ় দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের জের মিটতে না মিটতেই এবার ফের একই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জামালপুর থানা এলাকার কুবাজপুর গ্রামে। সালিশি সভা ডাকার পর সেখানে না যাওয়ার জন্য বাড়িতে গিয়ে এক প্রৌঢ় দম্পতি ও তাঁদের ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার শাগরেদদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (East Burdwan)

    জামালপুর (East Burdwan) ব্লকের চকদিঘি পঞ্চায়েতের কুবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রৌঢ় দম্পতি শেখ বোরহান আলি এবং সাহানারা বিবি। তাঁদের সঙ্গেই থাকেন তাঁদের বড় ছেলে বসির আলিও। মূলত কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারটি। অভিযোগ, বসিরের বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে একটি বিচারাধীন মামলার বিচার করতে সালিশি সভা ডেকেছিলেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আজাদ রহমান। গত ১৪ জুন চকদিঘির তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাকা ওই সালিশি সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয় ওই দম্পতি ও তাঁদের পুত্র বসিরকে। তৃণমূল নেতার শাগরেদরা এ-ও জানিয়ে যায় যে, যদি আজাদ রহমানের বিচার সভায় হাজিরা না দেয়,তবে ওরা বাড়িঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেবে। এমনকী, প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় ওরা।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    লাঠি-ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা

    সালিশি সভায় না যাওয়ায় তৃণমূল নেতার শাগরেদরা লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। এর পরেই ওই দম্পতির পুত্র বসিরকে মারধর করতে থাকে তারা। বাধা দিতে গিয়ে মার খান প্রৌঢ় দম্পতিও। পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে জামালপুর (East Burdwan) ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। আর বসিরকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই ঘটনার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানা কোনও পদক্ষেপ না করায় আতঙ্কে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন তিন জনেই। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন প্রৌঢ় দম্পতি

    অসহায় অবস্থায় ওই দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, “এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ডাকা সালিশি সভায় না যাওয়ায় তাঁর শাগরেদরা বাড়িতে এসে মারধর করেছেন আমাদের। খুনের হুমকিও দিয়ে গিয়েছেন। প্রাণের ভয়ে গবাদি পশু, ক্ষেত-খামার ফেলে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।”  একই চিঠি ‘লিখিত অভিযোগ’ হিসাবে তাঁরা পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে। দম্পতির ছেলে বসির বলেন, এমনিভাবে চলতে থাকলে আমাদের সপরিবারে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের (Trinamool Congress) চকদিঘির অঞ্চল সভাপতি আজাদ রহমান বলেন, “বসির আলির পরিবারকে আমি চিনি। তাঁদের যে মামলার বিচার আদালতে চলছে, তার বিচারের জন্য আমি কোনও বিচার সভা বা সালিশি সভা ডাকিনি। তবে, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, বসিরের পরিবারের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, তা গ্রাম্য বিবাদ জনিত ঘটনা। ওই ঘটনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার নাম জড়ানো হয়েছে।” জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে, আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখব। অভিযোগ সত্য হলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    Bolpur: হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমিতে অবৈধ দখল বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়ে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে কলকাতা সহ জেলায় জেলায় পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসন হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পড়েছে, কিন্তু এই উচ্ছেদ অভিযানে তৃণমূল কার্যালয় এখনও অক্ষত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বোলপুরে (Bolpur) উচ্ছেদ অভিযানে ফুটপাত থেকে সরকারি জায়গা উদ্ধার করতে গেলে, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়কে উচ্ছেদ না করার অভিযোগ করে সরব হয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? এই প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।

    অবৈধ নির্মাণ ছিল তৃণমূল কার্যালয় (Bolpur)!

    বৃহস্পতিবার বোলপুর শহর জুড়ে চলেছে বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান। দখল করা রাস্তার জমি পুনরুদ্ধার কাজে নেমেছে পুরসভা। শান্তিনিকেতনের ভুবনডাঙায় পে-লোডার নামিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বহু দোকান। কিন্তু রাস্তার উপরে নির্মাণ করা তৃণমূলের পার্টি অফিসকে ভাঙা হয়নি। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে এই অবৈধ নির্মাণ হয়েছিল। সমস্ত দোকান ভাঙা হলেও এই তৃণমূল কার্যালয়ে হাত দেওয়া হয়নি!

    প্রশাসনকে ধিক্কার বিজেপির

    বিজেপির বোলপুর (Bolpur) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেছেন, “এই কাজ অত্যন্ত বেআইনি। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় (Tmc party office) রেখে দিয়ে বাকি সমস্ত কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, এই ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়। ভাঙলে এক সঙ্গে সব ভেঙে দেওয়া উচিত। পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ায় এই ভাবে মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি বোলপুর পুরসভা ও প্রশাসনকে ধিক্কার জানাই।”

    আরও পড়ুনঃকুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    পুর-প্রতিনিধির বক্তব্য

    বোলপুর (Bolpur) পুরসভার পুর-প্রতিনিধি এবং দলীয় কার্যালয়ের (Tmc party office) দায়িত্বে থাকা সুকান্ত হাজরা বলেছেন, “ইতিমধ্যেই আমরা দলীয় কার্যালয়ের উপর টিনের ছাউনি থেকে শুরু করে ভিতরের জিনিসপত্র সরাতে শুরু করে দিয়েছি। দোকান যখন ভাঙা পড়েছে, ঠিক এই পার্টি অফিসও ভাঙা পড়বে। বিরোধীদের উচিত রাজনীতি না করে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আমাদের পাশে দাঁড়ানো।” আবার বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেছেন, “দলীয় পার্টি অফিস হোক বা অন্য নির্মাণ, যা কিছুই সরকারি জায়গা দখল করে থাকবে, সেটাই ভাঙা পড়বে। এখানে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    South 24 Parganas: কুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) একটি সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। কুলপিতে প্রকাশ্য সংবর্ধনা সভায় বিধায়ক ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির কাজিয়া প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগেও একাধিক বার মাদার বনাম যুব তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    দলের শৃঙ্খলা নিয়ে দ্বন্দ্ব (South 24 Parganas)!

    কুলপিতে মথুরাপুর (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদের সংবর্ধনা সভায় তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার দিন কুলপির পথের সাথী গেস্ট হাউসে নবনির্বাচিত সাংসদ বাপি হালদারের সংবর্ধনা সভা আয়োজন করা হয়। একদিকে যখন বিধায়ক দলের শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে ব্লক সভাপতির নাম না করেই একাধিক বক্তব্য রাখলেন, ঠিক উল্টোদিকে ব্লক সভাপতিও বিধায়কের নাম না করে দলের শৃঙ্খলা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন। ফলে উভয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।

    তৃণমূল বিধায়কর বক্তব্য

    কুলপি (South 24 Parganas) বিধানসভার বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেছেন, “দলের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগাচ্ছে। আমি যদি সাম্প্রদায়িক হতাম তাহলে চারবারের বিধায়ক হতে পারতাম না। মানুষ সব জানে আমি তাঁদের জন্য কী করেছি। দল থাকলে তবেই কর্মীরা থাকবে, দলের মধ্যে থাকলে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে সকলকে।” কিন্তু সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বিধায়ক বলেন, “এখানে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই, তবে সম্প্রদায়িকতার বিষয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার করে করছেন।”

    তৃণমূল ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    অন্যদিকে কুলপি (South 24 Parganas) বিধানসভার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি সুপ্রিয় হালদার, বিধায়কের নাম না করে দলের সাংসদের সামনেই বলেন, “দলের মধ্যে থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনকে কেউ যদি আলাদা আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, তা হলে মানা হবে না। কোনও ব্যক্তির জন্য যদি অপর কোনও ব্যক্তির সম্মানহানি হয়, সেই বিষয়টিও বিধায়ক ও সাংসদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করা একান্ত প্রয়োজন।” দ্বন্দ্ব নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি আরও বলেন, “যাঁরা দলের মধ্যে থেকে ভুল কাজ করছে সেই বিষয়টি আমি বিধায়কের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি। অন্যদিকে দল যাঁকেই টিকিট দিক না কেন, দলের মধ্যে থেকে শৃঙ্খলা পরায়ণ হয়ে কাজ করা উচিত তাঁর।”

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে মথুরাপুর (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার বলেছেন, “দল বড় হলে তার মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে, তবে তা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে যাঁরা দলের মধ্যে থেকে বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে দল।”

    আরও পড়ুনঃ চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কুলপি (South 24 Parganas) ব্লকের শ্রমিক ইউনিয়নের বিজেপি সভাপতি স্বপন হালদার বলেছেন, “বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে লেনদেনের ভাগ-বাটোয়ারা ঠিকঠাক না হওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটছে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সর্বোচ্চ তোলাবাজের দল। আর সেখানে বিধায়ক বেশি খাবে, নাকি ব্লক সভাপতি বেশি খাবে তা নিয়েই এই দ্বন্দ্ব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহাড় জেলে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহাড় জেলে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে ভোট দিলে কৃষ্ণ কল্যানীর সঙ্গে দেখা করতে তিহাড় জেলে যেতে হবে। তাই আপনারা সাবধান হন, সতর্ক হন। লড়াইটা হবে সরাসরি। যারা চোরেদের পক্ষে তাঁরা কৃষ্ণ কল্যানী পক্ষে। কৃষ্ণবাবু আপনাকে হারতেই হবে, কারণ এরপর আপনি কয়েক বছর পরে জেলেই থাকবেন। বৃহস্পতিবার বিকালে রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষের সমর্থনে প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই সভাতে বিরোধী দলনেতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ কার্তিক পাল, বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ আরও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

    কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এবারের রায়গঞ্জ লোকসভায় হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি ও রায়গঞ্জে আমাদের লিড হয়েছে। আপনাদের জেলায় ৪ টি বিধানসভায় আমরা লিড করতে পেরেছি। মালদা ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা লিড করেছি। আপনারা আশ্বস্ত থাকুন আমাদের লড়াই চলছে, আগামীতেও চলবে। ২০২১ সালের পর থেকে আমরা রাজ্যে বিরোধী দল হিসাবে লড়ছি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি। রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু বলেন, আমি মোহিতবাবুকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তিনি ভোট কাটার জন্য এই বিধানসভা উপ-নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আমি মোহিত বাবুকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, দিল্লি থেকে কোনও নেতাকে নিয়ে এসে সভা করিয়ে দেখান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা শব্দ বলাতে পারবেন না আপনি। আপনাদের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী, সোনিয়া গান্ধিকে ডেকেছিলেন, সোনিয়া গান্ধি আসেননি। রাহুল গান্ধিকে ডেকেছিলেন তিনিও আসেননি। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেগে যাবেন, ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে যাবে। তাই, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    কৃষ্ণ কল্যাণীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহার জেলে!

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জ বিধানসভায় ৪৭০০০ ভোটে হেরেছিলেন আপনি। যারা বিধানসভায় আপনাকে জিতিয়ে ছিলেন, তাঁরা আপনাকে জয়ী করেননি, পদ্মফুলকে জিতিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার জন্য জিতিয়েছিলেন, আর রায়গঞ্জে এইমস এর জন্য জিতিয়েছিলেন। কৃষ্ণবাবু দশ বছর ধরে ইনকাম ট্যাক্স দেয়নি। ৫০ কোটি টাকা ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। ভোট দিলে কৃষ্ণ কল্যানীর সঙ্গে দেখা করতে হলে তিহাড় জেলে যেতে হবে। কৃষ্ণ কল্যাণী ৩৩ লক্ষ টাকার গাছ সাপ্লাই করেছেন। ২২ টাকার আম গাছের চারা কল্যাণী বাবু ৮৫ টাকায় সাপ্লাই দিয়েছেন। ৪০ টাকা নারিকেল গাছের চারা ২৫০ টাকায় দিয়েছেন।

    রাজ্যে লোকসভায় বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি

    পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় ২২ টি আসন পেলে খুশি হতাম। ১২ তে আটকে গিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোট গণতান্ত্রিকভাবে হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে এবার লোকসভায় আমরা (BJP) বেশি ভোট পেয়েছি। ২০১৯ এ ২ কোটি ৩০ লক্ষ ছিল। এবারে লোকসভায় ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ভোট ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে (BJP)। ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ভোটে একটুকু জল মেশানো নেই। এবারের লোকসভায় পঞ্চম ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় কি হয়েছে আপনারা জানেন না। লুটের ভোট হয়েছে এবারে লোকসভায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় জোর করে জমি দখল করে ইটভাটা! দাপট দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা

    Malda: মালদায় জোর করে জমি দখল করে ইটভাটা! দাপট দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বসে জমি দখল করা যাবে না বলে বার্তা দিচ্ছেন। সেই নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূলের লোকজনই জোর করে জমি দখল করছেন। ইটভাটা তৈরির নাম করেই গৃহস্থের জমি রীতিমতো দাদাগিরি করেই দখল করছে জমি মাফিয়ারা। আর তাতে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালদার (Malda) কালিয়াচকের ভবানীপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    কালিয়াচক (Malda) থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াডাঙা এলাকায় বসবাস করেন প্রদীপ পোদ্দার,অমিত পোদ্দারের পরিবার। ২০২২ সালে ভবানীপুর এলাকায় ৩৫ কাটা জমি কেনেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের একটি কলকারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিছুদিন ধরেই পোদ্দার পরিবারের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বরজাহা শেখের মদত রয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতাসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি, জমির মালিক পোদ্দার পরিবারের সদস্যরা ভূমি রাজস্ব দফতর, কালিয়াচক থানা থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু, পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দফতর কোনও সহযোগিতা না করায় অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোর হুমকি দিয়েছেন কালিয়াচকের পোদ্দার পরিবারের সদস্যরা। প্রদীপ পোদ্দার নামে পরিবারের এক সদস্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যে জমি দখল করা যাবে না। সেখানে তৃণমূলের লোকজনই আমাদের জমি জোর করে দখল করছেন। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু, লাভ হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে জেল তৃণমূল   (Trinamool Congress) নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল কোনও ভাবেই পাশে থাকবে না”। অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা বরজাহা শেখ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share