Tag: tmc

tmc

  • Dilip Ghosh: “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল করে দোকান বানানোর অভিযোগে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা দোকানগুলিকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই পুরকর্মী এবং পুলিশ-প্রশাসন অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে। কলকাতা শহর সহ একাধিক জেলা সদরে চলছে এই উচ্ছেদ। তবে হকার ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেছেন। ঠিক এর মাঝেই মমতাকে নিশানা করে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন।”

    ঠিক কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)?

    রাণাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচারে যান প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “যেসব সরকারি জায়গায় রয়েছে, সেখানে অনেক জায়গায় অবৈধভাবে তৃণমূলের পার্টি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। নিজের দম থাকলে পার্টি অফিসগুলিকে আগে ভাঙুন। যদি আপনার কাছে বুলডোজার থাকে, তাহলে আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভেঙে দেখান। তিলজলার অফিসটা আগে ভাঙুন। রাস্তার ফুটপাত, পিডাব্লুডির জায়গা, ইরিগেশনের জায়গা, রেলের জায়গা, যেখানে যত জায়গা আছে সেখানে একটা করে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। ঝাণ্ডা লাগিয়ে জায়গা দখল করা হয়েছে। পার্টির নেতারা ওখানে বসে কেবল তোলাবাজি করে মাত্র। এই জায়গাগুলি একটা ব্যবসা করার জায়গায় পরিণত হয়েছে।” এদিন এই ভোটের প্রচারে উপস্থিত ছিলেন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, চাকদার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ, রানাঘাট উত্তর পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালত বিশ্বাস করেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    হকার উচ্ছেদে বিক্ষোভ

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কলকাতা সহ একাধিক জেলায় হকার উচ্ছেদের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। ধর্মতলা চত্বরে কার্যত হকার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে শনিবার দুপুরে। একই ভাবে সিউড়ি, রামপুরহাট, সল্টলেক, নিউটাউন সহ একাধিক জায়গায় হকার উচ্ছেদের ঘটনায় ব্যাপক অসন্তোষ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় হকারদের মধ্যে। পাশাপাশি বিজেপির বক্তব্য, আগাম নোটিশ এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কেন এই পদক্ষেপ সরকারের? তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের গলায়ও। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ (Dilip Ghosh) ঘোষও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে নির্যাতিতার কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, সিবিআই তদন্তের দাবি অগ্নিমিত্রার

    Cooch Behar: কোচবিহারে নির্যাতিতার কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, সিবিআই তদন্তের দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই নেত্রী এখন কোচবিহারের (Cooch Behar) এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। শনিবার তাঁকে দেখতে কোচবিহারে  যান বিজেপি বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। শাসকদল এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

    সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন অগ্নিমিত্রা (Cooch Behar)

    এদিন দুপুরে অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল কোচবিহারে (Cooch Behar) আসেন। নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশ লাইন চৌপথিতে পথ অবরোধ করে বিজেপি। মিনিট ১৫ অবরোধ করার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন দেয় বিজেপির মহিলা মোর্চা। এরপর বিজেপির কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে যান অগ্নিমিত্রা। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর অগ্নিমিত্রা পল বলেন,”বাংলার মা, বাংলার মেয়ে হয়ে এটা আমাদের কাছে লজ্জার। একজন সংখ্যালঘু এক বোনের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বলার কোনও ভাষা নেই।আমাদের মহিলা মোর্চা-সহ বেশ কয়েক জন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলাম। এই ঘটনায় পুলিশের ওপর আস্থা নেই। তাই, আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এদিকে এদিন নির্যাতিতা বলেন, বাড়ি ফিরতে চাইছি। আতঙ্কে ফিরতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: মালদায় জাল এসসি সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি চাকরি! প্রশাসনের কাছে নালিশ

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার (Cooch Behar) বাবা দীর্ঘ দিনের বিজেপি কর্মী। নির্যাতিতা নিজে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা কমিটির সদস্যা। অভিযোগ, তিনি মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েকজন মহিলা। এমনকী, তাঁকে বিবস্ত্র করেও পেটানো হয়। এনিয়ে ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশি তদন্ত চলছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন,”ওরা সব সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) দ্বারস্থ হন। এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। ইতিমধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়েছে। তার মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তির দাবি তুলছি আমরা। কিন্তু, বিজেপি শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য এসব করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় আদিবাসী পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর

    Khardah: খড়দায় আদিবাসী পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের জমি দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কুলীনপাড়া এলাকায়। দাদাগিরি দেখিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের এই জমি দখলের ঘটনায় আদিবাসী পরিবারের লোকজন রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁরা ইতিমধ্যে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Khardah)

    জানা গিয়েছে, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কুলীনপাড়া (Khardah) এলাকায় বহু আদিবাসী পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা এই জমিতে প্রায় ১০০ বছর ধরে বসবাস করছি। জমির কাগজপত্র নেই বলে আমরা কাউন্সিলরের কাছে দরবার করেছিলাম। আমাদের নামে কাগজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫০০ টাকা করে চেয়েছিলেন। সেই টাকা আমরা দিয়েছিলাম। কিন্তু, সেই কাগজ আমরা কেউ পাইনি। আমাদের টাকাও কাউন্সিলর ফেরত দেননি। এখন আমাদের জমিতে কাউন্সিলরের নজর পড়েছে। কোনও আলাপ-আলোচনা না করেই কাউন্সিলর আমাদের জমি দখল করার পরিকল্পনা করে। এই এলাকায় নোংরা ফেলার জন্য আমাদের জমি হাতানোর চেষ্টা করে কাউন্সিলর। এমনিতেই আমরা সামান্য জমিতে বসবাস করছি। তার ওপর যদিও কিছুটা জায়গা কাউন্সিলর দখল করে নেয়, তাহলে আমরা হাঁটাচলা করতে পারব না। বিষয়টি আমরা কাউন্সিলরকে বলার পরও কোনও কর্ণপাত করেননি। এরপর খড়দা থানায় জানাই। একইসঙ্গে আমরা চেয়ারম্যানকে জানাই। তিনি জমি দখল করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ দাস বলেন, জোর করে কোনও কিছু করা হয়নি। ওদের জানিয়ে সব কাজ করেছিলাম। আর টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে এসব করে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    আরও পড়ুন: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পুর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    পুরসভার চেয়ারম্যান (Trinamool Congress) নীলু সরকার বলেন, সরকারি জমিতেই আদিবাসী পরিবারগুলি ১০০ বছর ধরে রয়েছে। ফলে, কাগজপত্র না থাকলেও জমির মালিক তাঁরা। ওই জমি দখল করে কোনও কিছু করা হবে না। বিষয়টি জানার পরই আমি কাজ বন্ধ রেখেছি। আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: দলীয় কর্মীদের জমি দখল করে পার্টি অফিস! নদিয়ায় তৃণমূলের জুলুমবাজি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Nadia: দলীয় কর্মীদের জমি দখল করে পার্টি অফিস! নদিয়ায় তৃণমূলের জুলুমবাজি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় কর্মীদেরই জমি জোর করে দখল করে পার্টি অফিস করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন বারবার নবান্ন থেকে জমি দখল নিয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় তৃণমূলের ঝান্ডা ব্যবহার করে দলেরই কর্মীরা জোর করে জমি দখল করে পার্টি অফিস তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের ভালুকা কানাইনগর এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শাসক দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের (Nadia) ভালুকা কানাইনগর এলাকায় রোডের পাশে একটি জমি কয়েকদিন আগে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী কেনেন। সঙ্গে তৃণমূল সমর্থনকারী ব্যবসায়ীও রয়েছেন। জমিটি কেনার পর তা ফাঁকা ফেলে রেখে দিয়েছিলেন তাঁরা। কয়েকদিন আগে এলাকার কয়েকজন তৃণমুল নেতা জমিটি জলের দরে কিনতে চান। তৃণমূল কর্মীরা তাতে আপত্তি করেন। কম দামে জমি বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়ে দেন। এরপর শুক্রবার রাতে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সেখানে পার্টি অফিস তৈরি করেন। দলীয় ব্যানারসহ পতাকা লাগিয়ে জমিটি নিজেদের দখলে রাখেন। নিজেদের জমি হারিয়ে অসহায় জমি মালিকরা নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ১৫ লক্ষর টাকা জমি ৫ লক্ষ টাকায় কেনার দাবি!

    জমির মালিকরা বলেন, আমরা সকলেই তৃণমূল করি। কিন্তু, সেই দলের কর্মী হয়েও আমাদের জমি দখল করছে ওরা। আসলে আমাদের এই জমি কেনার জন্য তৃণমূলের (Trinamool Congress) কয়েকজন এসেছিল। ১৫ লক্ষ টাকার জমি ৫ লক্ষ টাকায় কিনতে চেয়েছিল। আমরা বিক্রি করতে রাজি হইনি বলে ওরা রাতের অন্ধকারে জমি দখল করে পার্টি অফিস করে দিল। দীপেন্দ্রনারায়ণ দে নামে এক জমি মালিক বলেন, আমার বাবা তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান ছিলেন। আমার মা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। আমরা দলের সক্রিয় কর্মী। এভাবে যদি জোর করে জমি দখল করে, তাহলে তৃণমূলের বদনাম হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বিক্রি! শিলিগুড়িতে মিলল বড় চক্রের হদিশ

    Siliguri: তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বিক্রি! শিলিগুড়িতে মিলল বড় চক্রের হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে জমি হাঙররা। তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বেহাত হয়েছে। এখন  জমি-মাফিয়াদের গ্রাসে চলে যাওয়া সেই সরকারি জমি উদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় ক্ষোভে ফুঁসছেন শিলিগুড়ির (Siliguri) ফুলবাড়ির পূর্ব ধনতলা। বছরের পর বছর ধরে তৃণমূল নেতাদের মদতে জমি-মাফিয়ারা এখানে জমি লুট করে বিক্রি করেছে। কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। চোখের সামনে এসব ঘটনা দেখার পরও এতদিন নীরব থেকে এখন কেন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্নেই ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার পূর্ব ধনতলার স্যাটেলাইট টাউনশিপে ৪৮৬ টি পরিবার উচ্ছেদের আশঙ্কায় ক্ষোভে ফুঁসছেন।

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? (Siliguri)  

    ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে  (Siliguri) জমি-মাফিয়াদের দাপট নিয়ে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হন ফুলবাড়ির প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি জমি লুট করে বিক্রি করে দেওয়া, জমি মাফিয়ারাজ চালানো, মারধর ও খুনের চেষ্টা অভিযোগ রয়েছে। তার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন, সরকারি জমি দখল করে যারা বসে রয়েছেন, তাঁদের জমি মিউটেশন হবে না। সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য তিনি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দেন। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেন।

    আরও পড়ুন: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

     কীভাবে লুট হয়েছে সরকারি জমি ?

    শিলিগড়ির (Siliguri) পূর্ব ধনতলার স্যাটেলাইট টাউনশিপের ৪৮৬ টি পরিবার যে জমিতে পাকাবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে, তার সামনে রাজ্য আবাসন দফতরের জমি অধিগ্রহণের সাইনবোর্ড হয়েছে। সেই সাইনবোর্ডকে কিছুটা ছেড়ে গড়ে উঠেছে বসতি। কিছু বড় ব্যবসায়ী অনেক জমি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলে রেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও তৃণমূল নেতাদের ভরসায় আমরা এক থেকে তিন লাখ টাকায় জমি কিনেছি। কিন্তু, কোনও কাগজ পাইনি, রেজিষ্ট্রিও হয়নি। মেলেনি পাট্টাও। তা সত্ত্বেও গৃহ নির্মাণ সহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পেয়েছি। সবই শাসক দলের মদতেই হয়েছে। এখন উচ্ছেদ করলে আমরা কোথায় যাব?

     মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানালেন বাসিন্দারা

    সরকারি জমিতে বসতির পাশেই রয়েছে পুলিশ আবাসন। তাহলে কীভাবে সরকারি জমি দখল পুলিশের নজর এড়াল? একই প্রশ্ন উঠেছে, আবাসন দফতরের বিরুদ্ধে। তাদের জমি ঠিক আছে কি না তা দেখার দায়িত্ব তো আবাসন দফতরের। তার থেকেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দা গোপাল মহন্ত, মধু সেন। তাঁরা বলেন, পাশেই খোলা মাঠে রয়েছে  মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড। নিয়মিত তিনি এই মাঠে সভা করেন। তখন কেন তাঁর ও সরকারি আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসনের নজরে পড়েনি সরকারি জমি দখলের ঘটনা। কয়েক বছর আগে এখানকার নতুন রাস্তা ও ড্রেনের উদ্বোধন করে আশ্বাস দিয়েছিলেন, যারা বসবাস করছে  তাদের কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। তাহলে তিনি সব জেনেও আজ কেন উল্টো কথা বলছেন? আমরা তো তৃণমূলকে (Trinamool Congress) ভোট দিয়ে এসেছি। কষ্টের উপার্জন দিয়ে জমি কিনেছি। আমাদের কী অপরাধ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা,  অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও অব্যাহত। বিজেপির বুথ এজেন্টকে মারধর করার পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান থানার মির্জাপুর এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মীর নাম বলরাম গোস্বামী। তিনি ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কেন হুমকি?(BJP)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা ভোটে বলরামবাবু বিজেপির (BJP) বুথ এজেন্ট ছিলেন। ভোটের দিন বুথের মধ্যে তৃণমূলের বেনিয়মের প্রতিবাদ করেছিলেন। তার জেরে তাঁকে বিভিন্নভাবে তৃণমূলের লোকজনের হুমকির মুখে পড়তে হয়। ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এখন তাঁকে ফের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওই বিজেপি কর্মীর।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী?

    আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মী বলেন, “ভোটে আমি বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলাম। বুথের মধ্যে তৃণমূলের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলাম। তারজন্য আমাকে কখনও হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ভয় দেখানো, কখনও বাড়িছাড়া করার হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। এসব নিয়ে আগেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। শুক্রবার আমি স্ত্রীর ডাক্তার দেখানো সংক্রান্ত প্রয়োজনে বর্ধমান শহরের দিকে যাচ্ছিলাম। সেই সময়েই আমার পথ আটকে তৃণমূলের লোকজন থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ফের হুমকি দেয়। এমনকী আমাকে মারধরও করে। থানায় ফের অভিযোগ করেছি। চরম আতঙ্কে রয়েছি।”

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের বর্ধমান জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন ‘একমাস আগে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) বলে কিছু নেই। সবাই ঘরে আছে। আমরা মানুষের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি। কারও ওপরে আমাদের রাগ নেই। এই অভিযোগ মিথ্যা। তা সত্বেও যদি তিনি মনে করেন, তাঁর ওপর দলের নাম করে কেউ কোনও অন্যায় করেছে তবে তিনি প্রশাসনের দ্বারস্থ হোন। প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির জমি কেলেঙ্কারির রহস্যভেদে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: শিলিগুড়ির জমি কেলেঙ্কারির রহস্যভেদে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমির মাফিয়ারাজ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করল বিজেপি। তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা দেবাশিস প্রামাণিক গ্রেফতার হতেই ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের মদতে জমি মাফিয়াদের সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করার ঘটনায় শিলমোহর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তাঁর এই সরব হওয়া ও দলের প্রভাবশালী নেতাকে গ্রেফতার করানোর ঘটনার পিছনে অন্য অভিসন্ধি দেখছে বিজেপি। শিলিগুড়ি জুড়ে জমি কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি।

     মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপি বিধায়ক (Siliguri)

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষও এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চান। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাব দেখাচ্ছেন তাতে মনে হয়, ২০১১ সালে তিনি শপথ নেওয়ার পর বিদেশ চলে গিয়েছিলেন। এখন ফিরে এসে তিনি জানতে পারছেন, তাঁর দলের নেতারা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিজেকে বাঁচাতে ও সৎ প্রমাণ করতে তাঁর দলের নিচুতলার কর্মীদের বলির পাঁঠা করছেন। সৎ সাহস থাকলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই জমি মাফিয়ারাজে যারা যুক্ত তাদের সকলকে গ্রেফতার করুন। শুধু আইসি-ওসি নয়, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরাও যেন রেহাই না পান।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

      ওসি, আইসিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে!

    দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেফতারের পর পুলিশ প্রথমে ঠিক করে বলতে পারেনি কোন অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে বলা হয়েছিল মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ। পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে মান্যতা দিতে জমি কেলেঙ্কারির দিকটি প্রকাশ্যে আনা হয়। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ প্রশাসনও চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। কেননা দেবাশিস ও তাঁর বাহিনী  দিনের পর দিন এভাবে সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করে দিয়েছে, তা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা জানতেন না, এটা কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটের উঁচুতলরার কর্তাদের বাঁচাতে এনজেপি থানায় এই সময়কালে যারা ওসি, আইসি ছিলেন তাদের ভূমিকা নিয়ে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

    কী বলছেন শিখা চট্টোপাধ্যায়?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিশের মদতে তৃণমূল নেতারা এখানে বুক ফুলিয়ে জমির কারবার ফেঁদেছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের শীর্ষ কর্তারা যদি বলেন, তারা জানতেন না তাহলে তারা এই চাকরি করার যোগ্য নন। সব থেকে বড় কথা,  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের পরিবার আদিগঙ্গায় জমি দখল করে রেখেছে। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছেন। তাই, শিলিগুড়ির এই জমি কেলেঙ্কারির সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Nandigram: নন্দীগ্রামে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এই ধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকে। নির্যাতিতার অভিযোগের উপর নির্ভর করে পরিবার এবং এলাকার মানুষ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মেয়েটি এখানে নিজের মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। দিল্লিতে বাবা-মায়ের কাছে থাকত এবং ওখানেই পড়াশুনা চলছিল তার। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্রীর পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্তকে রাজনৈতিক সংরক্ষণ যেন না দেওয়া হয়। কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্তকে। পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষী কেউ থাকলে শাস্তি চাই।”

    পরিবারের অভিযোগ (Nandigram)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে ছুটিতে মামার বাড়ি নন্দীগ্রামে (Nandigram) এসেছিল ছাত্রী। গত ২৫মে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। এই ব্যক্তি আবার বিবাহিত এবং এক সন্তানও রয়েছে তার। প্রথমে অভিযুক্ত ব্যক্তি, ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় করে এবং এরপর ভাব করে, তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। সেই সঙ্গে হুমকি দেয়, যদি মুখ খুলিস, তাহলে প্রাণে মেরে ফেলব। কিন্তু বাড়িতে এসে ছাত্রী ভয়ে প্রথমে কিছু না বললেও পরে সবটা খুলে বলে। এরপর নির্যাতন সম্পর্কে জেনে পরিবার এবং এলাকার মানুষ ১০ জুন নন্দীগ্রাম থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের আরও দাবি, ঘটনার পর কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকার প্রতিবেশীদের অভিযোগ, “অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ হয়তো শাসকদলের কর্মী বলেই গ্রেফতার করছে না।“

    আরও পড়ুনঃ রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দোষীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে। এই মর্মে একাধিক সামজিক সংগঠনের তরফ থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। আবার স্থানীয় (Nandigram) তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেছেন, “অভিযুক্ত কে? তাঁর রাজনীতির রং না দেখেই আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই।” অপর দিকে সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী এখন এলাকা থেকে পলাতক। রাজ্যে নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ আগেও শাসক দলের একাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছিল। ঘটনায় তৃণমূল অনেকটাই চাপের মুখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    Nadia: অপহরণ করেও ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল! বিজেপিতেই ফিরলেন পঞ্চায়েত সদস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক দলীয় পতাকা ধরানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত বিজেপি নেত্রী কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে ফেরেন। পরে, ফের বিজেপির পতাকা তুলে নেন হাতে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) গাংনাপুর থানার দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    জানা গিয়েছে, দেবগ্রাম গ্রাম (Nadia) পঞ্চায়েতের ২৪৩ নম্বর বুথের বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা সঞ্চিতা সরকার। ২৬ জুন শুভঙ্কর বারুই ওরফে হরি নামে এক যুবক তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান তৃণমূল কর্মী সুবীর ধরের বাড়িতে। সেখানে জোর করে তাঁকে তৃণমূলের পতাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, প্রাণনাশের  হুমকি দিয়ে তৃণমূলে যোগদানের ভিডিও করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু, সঞ্চিতাদেবী সেখান থেকে কোনওরকমে  পালিয়ে আসেন। এরপর তিনি দলীয় নেতৃত্বদের কাছ থেকে ফের বিজেপির পতাকা তুলে নেন। এই বিষয়ে সঞ্চিতা বলেন, ওই দুই তৃণমূল কর্মী জোরপূর্বক আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। আমি রাজি হইনি। আমি আজীবন বিজেপি করে এসেছি। ভবিষ্যতে বিজেপিতেই থাকতে চাই। তৃণমূলের ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে গাংনাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুবীর ধর বলেন, ‘তৃণমূল কোনওদিনই এরকম জোরজুলুম করে দলে যোগদান করায় না। তিনি নিজেই গাড়ি করে এসে তৃণমূলের পতাকা ধরেছিলেন।’ অপরদিকে, নদিয়ার চাকদার বিজেপি (BJP) বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে বিজেপিকে, তাই নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। তবে, ওই মহিলা অত্যন্ত সাহসী। তাই তিনি দেখিয়ে দিলেন, দলকে ভালোবাসলে দলের বিরুদ্ধে যাওয়া যায় না। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং এই ঘটনাটি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনেও জানানো হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট পুরসভার খোদ চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের ওয়ার্ডে চলছে জলাশয় ভরাট। নিজের ওয়ার্ডে ভরাট চললেও পুরকর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। সরব হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন আগেই সরকারি জায়গা দখল হওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জলাশয় ভরাট না করার কথা বলেছেন বার বার। তারপরেও পুরসভা (Balurghat) পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি।

    কীভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয়? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে কিংবা মাঝেমধ্যেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই জলাশয়ে ট্রাক্টরে করে আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের (Balurghat) মদতেই এই ডোবা ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। ওই ওয়ার্ডে রয়েছে একাধিক জলাভূমি ও ডোবা।  নানা সময়ে সেগুলি ভরাটের অভিযোগ আসে। এবার সন্তোষী মন্দিরের কাছে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ। ওই জমির চরিত্র জলাভূমি রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ফলে, সেটি কোনওভাবেই ভরাট করা যায় না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মনও। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জয়দেব পাল জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন। কারও কাছে অনুমতি নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র আমাদের রাস্তা করার জন্য এ ভরাট করেছি। রাস্তা না হলে যাতায়াত করা মুশকিল হবে।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    চেয়ারম্যান (Balurghat) অশোক মিত্র বলেন, বিজেপি নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করে থাকে। আমার কাছে এখনও এই ধরনের অভিযোগ বা তথ্য আসেনি। বিজেপি যে জায়গার কথা বলছে, সেটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। জলাশয় বলতে সেখানে কিছু নেই। আর জলাশয় ভরাট করা হলে পুরসভা বরদাস্ত করবে না। এর আগে আমার ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাটের খবর এসেছিল। সেবার পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব বিজেপি

    বিজেপির (BJP) বালুরঘাট টাউন মণ্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, চেয়ারম্যানের মদতেই তাঁর বাড়ির কাছে জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁর বাড়ির কাছে আরেকটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। সেবার আন্দোলন হওয়ায় ভরাট করতে পারেনি। আমাদের মনে হয়, কাটমানি নিয়েই এই ভরাট চলছে। আমরা এসডিও’র কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share