Tag: tmc

tmc

  • Calcutta High Court: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমকলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। অতএব নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তেহট্ট-র বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে সিবিআই। রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার হাত থেকে তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। অবিলম্বে সিবিআইকে নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কার্যকরের ওপর স্বল্প সময়ের স্থগিতাদেশ চায় রাজ্য। যদিও রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মান্থা।

    বিধায়ক হিসাবে তদন্তে প্রভাব

    এই ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির এই ক্ষেত্রেও সিবিআই তদন্ত দাবি করে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসার অনুপম দাস যোগ্যতার সঙ্গে তদন্ত করছেন। গ্রেফতার হওয়া তিন জনের জামিন আটকাতে তিনি যে রিপোর্ট দিয়েছেন নিম্ন আদালতে তাও প্রশংসনীয়। কিন্তু তাপস সাহাকে তিনি ছুঁতে পারছেন না। এখানেই হাইকোর্ট মনে করছে, বিধায়ক হিসাবে তদন্তে প্রভাব খাটাচ্ছেন তিনি।

    তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন তাপস। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা-আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। মঙ্গলবার হাই কোর্টের নির্দেশের পর আইনজীবী তিওয়ারি বলেন, ‘‘প্রাইমারি (প্রাথমিক), আপার প্রাইমারি (উচ্চ প্রাথমিক), এসএসসি, দমকল, ডব্লিউবিসিএস, আইসিডিএস-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগে দুর্নীতিতে তাপস সাহার নাম আসে। পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তাপসের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার হন। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। এক বছর ধরে চার্জশিট পেশ হয়নি। কেন তাপসকে ডাকা হয়নি, আদালতের (Calcutta High Court) এই প্রশ্নে কোনও উত্তর দিতে পারেনি তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই হবে না, জনসাধারণের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হতে হবে যে তদন্ত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই একাধিক চার্জশিট পেশ করেছে। হাইকোর্টের নজরদারিতে চলছে সিবিআই-এর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত। এই অবস্থায় প্রভাবশালী তাপস সাহার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত অন্য সংস্থা (ACB) কে দিয়ে করানো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে৷ তাই তাপস সাহার বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাত্রা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি কি অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রহস্যজনকভাবে মুকুল রায় নিখোঁজ হয়ে যান বলে খবর রটে যায়। যা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় বিষয়টি নিয়ে থানারও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও তখনও পর্যন্ত মুকুল রায়ের (Mukul Roy) অবস্থান সম্পর্কে কারও কিছু জানা ছিল না। পরে জানা যায়, তিনি দিল্লি গিয়েছেন। আর তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই মুখ খুললেন শুভ্রাংশু রায়।

    কী বললেন শুভ্রাংশু রায়?

    মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সংবাদিক সম্মেলন করে শুভ্রাংশু রায় বলেন, বাবার মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নয়। বাবার (Mukul Roy) ব্রেন অপারেশন হয়েছে। পারকিনসন, ডিমেনশিয়া রয়েছে। হাই সুগার, হাই প্রেসার। সিরোসিস অব লিভার রয়েছে। দিনে ১৮ টা ওষুধ খান। ইনসুলিন নেন। বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে কোনও বড় টাকার খেলা রয়েছে। আমাকে না জানিয়ে দুই সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি গেছে বাবা। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার দুপুরে বাবার শারীরিক অবস্থা জানতে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে। বাবাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলাম। সিআইএসএফ কোনওরকম সাহায্য করেনি। এয়ারপোর্ট থানায় বলেছি।

    বাবার কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? প্রশ্ন শুভ্রাংশু-র

    শুভ্রাংশু রায় আরও বলেন, বাবার (Mukul Roy) কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? বাবা এখন বেতন পান মাত্র একুশ হাজার টাকা। এজেন্সি একজন অবাঙালি ছেলেকে পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা বাবার (Mukul Roy) হাতে দিয়েছে। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আমাদের পরিবারের পাশে অভিষেক ব্যানার্জি যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা কোনওদিন ভুলতে পারবো না। অসুস্থ মানুষ সেটিং করতে পারে? আমি চাই, বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নাতি-নাতনি নিয়ে থাকুন। পরিবারের সঙ্গে কাটান। পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে। প্রথম কাজ বাবাকে (Mukul Roy) ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা। এয়ারপোর্ট থানা ও বিধাননগরের সিপি চেষ্টা করছেন। দিল্লি পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। আর বাবা দিল্লিতে কোথায় আছে তা জানতে পারিনি। কারণ, বাবার ফোন সুইচড অফ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ও হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি হয়েছিল তা পূর্বপরিকল্পিত। এমনকি বিজেপির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে অশান্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে এর প্রমাণ দিতে হবে। না হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    সুকান্তের ট্যুইট

    সোমবার ট্যুইট করে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) হুঁশিয়ারি, ‘আমি পশ্চিবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। তিনি আজ তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। তিনি যা বলেছেন, তার প্রমাণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দিতে হবে, না হলে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে। আপনি যদি সূর্যের দিকে চেয়ে থুতু ফেলেন তবে তাতে আপনার মুখ পুড়বে।’ তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের অংশ জুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,’হাওড়া-রিষড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা পরিকল্পিত। দেশের ১০০টি জায়গায় যে অশান্তি হয়েছে তা পরিকল্পিত। বিজেপি নিজেদের মিটিং-এ বলেছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাড়াও, জাতি দাঙ্গা বাড়াও। দরকার হলে উত্তরবঙ্গে, পাহাড়ে আন্দোলনকে পরোক্ষ সমর্থন করো। কারণ যে করেই হোক আমাকে জিততে হবে। এভাবে কি জেতা যায়? গণতন্ত্রে মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়।’

    গরু পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্যের শাসক দল। সোমবারই নিয়োগ-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন মুখ্যমন্ত্রীর নামও হয়তো যুক্ত হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমায় বিজেপির সভায় যোগ দিয়ে সুকান্ত বলেন, “রাজ্যে একনায়কতন্ত্র, সরকারের অপশাসন, রাজনৈতিক হিংসায় জেরবার মানুষ। জনগন পরিবর্তন চায়। বিজেপি-ই বিকল্প পথ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) ফিরিয়ে দিচ্ছে নার্সিংহোম। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই এমনই অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী (Health Card) কার্ড নার্সিংহোমগুলি না নেওয়ার কারণেই কী সাধারণ মানুষ আর এই কার্ড করতে চাইছেন না? সদ্য সমাপ্ত ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে দার্জিলিং জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন কম পড়ায় এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মানুষ আর প্রতারিত হতে চাইছেন না বলেই কী আর নতুন করে কেউ আবেদন করছেন না?

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card) উপভোক্তারা?

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card)  সুবিধা পাচ্ছেন না গরিব মানুষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুবিধা না পাওয়ারও অনেক অভিযোগ রয়েছে। মেডিক্যাল মোড়ের বাসিন্দা বিজয় ছেত্রীর পা ভেঙেছিল। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। তার মা মীনা ছেত্রী বলেন, আমরা গরিব। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেয়নি। ধারদেনা করে ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে বাইরে থেকে প্লেট, স্ক্রু কিনে দেওয়ার পর আমার ছেলের অস্ত্রোপচার হয়। বাগডোগরার আমির ওরাওঁয়েরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, আমার বাবার স্পাইনালকর্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে না নেওয়ায় বাইরে থেকে ৫৮ হাজার টাকার প্লেট, স্ক্রু সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দিতে হয়েছে আমাকে। কার্ডে কোনও পরিষেবা মেলেনি।

    খোদ সরকারি হাসপাতালেও কেন মিলছে না এই কার্ডের (Health Card) সুবিধা ?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, যে ওষুধের দোকান এবং এজেন্সির মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা গরিব মানুষকে দিতাম তাদের প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই, সেই এজেন্সি এবং ফার্মাসি আমাদের আর ওষুধ দিচ্ছে না। এ কারণেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা আমরা দিতে পারছি না। নার্সিংহোমগুলিরও একই বক্তব্য।

    টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠানেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card)  নিয়ে কী অভিযোগ করা হল মেয়রকে?

    প্রতি শনিবার টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠান হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায়শই শুনতে হচ্ছে। ১৫ এপ্রিল শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ পায়েল দে মেয়র গৌতম দেবকে ফোনে জানান, মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে তাঁর স্বামীর হৃদরোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না নার্সিংহোম।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালম বলেন, পয়লা এপ্রিল থেকে দার্জিলিং জেলায় ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে প্রথম ন’দিনে মোট প্রায় ৬৫ হাজারের কিছু বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে মাত্র ১০ হাজারের কিছু বেশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে। গতবারের তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, রাজনৈতিক কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এরাজ্য গ্রহণ করেনি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করলেও রাজ্য সরকারের চরম আর্থিক সঙ্কটের কারণে সেই টাকা দিতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নিয়ে মানুষ চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী টাকার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন, ধর্নায় বসেন। তাহলে গরিব মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ থেকে কেন বঞ্চিত করছেন? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন সাধারণ ও গরিব মানুষকে কেন্দ্রর প্রাপ্য সুবিধা থেকে আর বঞ্চিত করবেন না। আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ নিতে দিন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নার্সিংহোম ফিরিয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। শিলিগুড়ি শহর সহ জেলার বেশকিছু নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড গ্রহণ করছে না। আমাদের সঙ্গে যেসব মানুষ যোগাযোগ করেন তাদের সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিই। কিন্তু, তারজন্য এবারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আবেদনপত্র কম জমা পড়েছে এটা ঠিক নয়। আসলে সকলেরই প্রায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বিচারপতি মৌচাকে ঢিল মেরেছেন, বাংলার মানুষ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশেই’’, মন্তব্য সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বিচারপতি মৌচাকে ঢিল মেরেছেন, বাংলার মানুষ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশেই’’, মন্তব্য সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি মৌচাকে ঢিল মেরেছেন। তৃণমূল উচ্চতর আদালতে যেতে পারে। কিন্তু এভাবে বিচারপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করে আদালত অবমাননা করা হয়েছে।’ শুক্রবার বীরভুম যাওয়ার আগে অন্ডাল বিমানবন্দরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক রায়দানে কার্যত বিপাকে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে তৃণমূল মুখপাত্র তাঁর সমালোচনা করে অভিজিৎবাবুকে রাজনৈতিক মঞ্চে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন। আর তার প্রেক্ষিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শুক্রবার বীরভুমে সভা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রন্ত্রী অমিত শাহর। এদিন দুপুর নাগাদ দিল্লি থেকে বিমানে অন্ডালের কাজি নজরুল বিমানবন্দরে নামেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে অন্ডাল বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিজেপি নেতা। 

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্তবাবু কী জানালেন?

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, “মৌচাকে ঢিল মেরেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি সহ একাধিক মামলায় যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং অভিজিৎবাবু যেরকম সৎভাবে জীবনযাপন করেন, তাতে ওনার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ওনার পাশে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আছে। তৃণমূল উচ্চতর আদালতে যেতে পারে। এভাবে একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে মন্তব্য করে আদালতকে অনমাননা করেছে তারা।” দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি বসিয়ে তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। সেই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, “দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আসাটা স্বাভাবিক। কারণ তিনিও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। দুর্নীতির আর্থিক লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীদের কাছে আছে। তাই চোখে চোখে কথা বলো মুখে কিছু বলো না। আসলে, অভিজিৎবাবু মৌচাকে ঢিল মেরেছেন।” কেন্দ্রীয় বঞ্চনা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,’পুরোনো মদ, নতুন বোতল। আগে সিপিএম বলতো, এখন একই কথা তৃণমূল বলে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Amit Shah: ২৫-এ পালাবদলের ইঙ্গিত! ‘লোকসভা ভোটে ৩৫টি আসন দিন’, বঙ্গবাসীকে আহ্বান অমিত শাহের

    Amit Shah: ২৫-এ পালাবদলের ইঙ্গিত! ‘লোকসভা ভোটে ৩৫টি আসন দিন’, বঙ্গবাসীকে আহ্বান অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে (LokSabha Election 2024) বাংলায় বিজেপির টার্গেট ঠিক করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সিউড়ির বেনীমাধব হাই স্কুলের মাঠে সভা করেন অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় বিজেপিকে ৭৭টি আসন জিতিয়ে দায়িত্ব বাড়িয়েছে বাংলা। ২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে ৩৫টিরও বেশি আসনে জেতান।’ অমিতের দাবি, লোকসভায় ৩৫এর বেশি আসন বঙ্গবাসী দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতনের জন্য ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না তাঁদের।

    পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন

    দিল্লির বিজেপি নেতৃত্বের পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন৷ এ দিন বীরভূমের সিউড়ির জনসভা থেকে তা স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজ্যবাসীর কাছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি-কে ৩৫টি আসনে জেতানোর অনুরোধ করেছেন৷ একইসঙ্গে শাহের হুঁশিয়ারি, বাংলা থেকে বিজেপি যদি ২০২৪-এ ৩৫টি বা তার বেশি আসনে জয়ী হয়, তাহলে ২০২৬ পর্যন্ত বর্তমান তৃণমূল সরকারই থাকবে না৷ অমিত শাহ বলেন, ‘আপনারা ৭৭ আসনের সঙ্গে ৩৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন৷ তার জন্য আপনাদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই৷ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনে বিজেপি-কে জিতিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ফের প্রধানমন্ত্রী করুন৷ ২৪-এ ৩৫টি আসন বিজেপি পেলেই আর ২৫-এর প্রয়োজন হবে না৷ তার আগেই দিদির রাজত্বের অবসান হবে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবে বিজেপির থেকেই। আর ২০২৪ সাল থেকে এর ট্রেলার শুরু করতে হবে।’

    বাংলায় আতঙ্কের পরিবেশ

    সিউড়ির জনসভায় শাহের (Amit Shah) প্রশ্ন, ‘বাংলায় রামনবমীর শোভাযাত্রা কেন বেরোবে না? তৃণমূলের তোষণের রাজনীতির জন্যই অশান্তি হয়েছে।’ এদিন রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘বীরভূমে এনআইএ ৮০ হাজারের বেশি ডিটোনেটর বাজেয়াপ্ত করেছে। এনআইএ এত বিস্ফোরক উদ্ধার না করলে প্রচুর মানুষের প্রাণ যেত।’ শাহের দাবি, ‘দিদির শাসনে বাংলা বোমা বিস্ফোরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যে বীরভূম স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তাতে আতঙ্কের কেন্দ্রে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিজি সারা দেশে জাতপাতের রাজনীতি আর পরিবারতন্ত্রকে বিলুপ্ত করে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেন না। বাংলার জনতার কল্যাণ ওঁর লক্ষ্য নয়। ওঁর একমাত্র লক্ষ্য হল ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। বাংলার মানুষের জন্য ওঁর কোনও চিন্তা নেই। মোদিজি যে প্রকল্পগুলি পাঠাচ্ছেন সেগুলো নিচু তলায় পৌঁছতে দেন না’।

    আরও পড়ুন: ‘আপনার উপস্থিতি অনুপ্রাণিত করে, মনোবল বাড়ায়’, শাহকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    সমাধান বিজেপি

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের মনে করালেন, ‘তৃণমূলের একের পর এক নেতা এখন জেলের গরাদের পিছনে। দিদির দাদাগিরির জন্যেই একের পর এক তৃণমূল নেতা জেলে।’ সঙ্গে সংযোজন, ‘দিদি-ভাইপোর জুটিকে হারানোর এখন একটাই রাস্তা। বিজেপি।’ শাহের কথায়, ‘চাকরি চুরি হচ্ছে, মোদিজি জেলে পাঠালেই বলে অত্যাচার হচ্ছে। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদের তো জেলে পাঠাতেই হবে। এর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও অমিত শাহ (Amit Shah) সরাসরি প্রশ্ন ছু়ড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে৷ বীরভূমে কেন এখনও গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রাখা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ এদিনের সভা থেকে বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানান অমিত শাহ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: তৃণমূল কর্মীদের হাত কেটে নেওয়ার নিদান দিলেন কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি, কেন?

    Congress: তৃণমূল কর্মীদের হাত কেটে নেওয়ার নিদান দিলেন কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ করতে এলে তৃণমূল কর্মীদের হাত কেটে নেওয়ার নিদান দিলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। বৃহস্পতিবার ইটাহারে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা কংগ্রেস (Congress) সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে মস্তান বাহিনী নিয়ে এসে তৃণমূল ভোট লুঠ করেছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটে আমরা তা করতে দেব না। পুলিশ এবং মস্তান বাহিনী নিয়ে এসে কেউ যদি মারে, তাহলে আমরাও রুখে দেব। তৃণমূল কংগ্রেস যদি মনে করে কালিয়াচক থেকে মস্তান আনবে, তাহলে আমরাও কথা বলে রেখেছি, কিশানগঞ্জ থেকে মস্তান বাহিনী এনে তৃণমূলের হাত কেটে দেব। মারের বদলা মার, না হলে তৃণমূল কংগ্রেসকে মারা যাবে না। জেলা কংগ্রেস (Congress) সভাপতির এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এক সময়ের কংগ্রেসের (Congress) গড় বলেই পরিচিত ছিল উত্তর দিনাজপুর জেলা। পরবর্তীতে সেই মাটি হাতছাড়া হয়ে শাসক দল তৃণমূল দখল করে। এবারে রাজ্য জুড়ে চলা দুর্নীতি কাণ্ডের পর মুর্শিদাবাদ সহ উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও ফের মাটি শক্ত হতে শুরু করেছে কংগ্রেসের। আর আসন্ন পঞ্চায়েতের আগে জেলা কংগ্রেস সভাপতির এই গরম গরম বক্তব্য দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াবে বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।

    তৃণমূলের ইটাহারের প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্য্যের কংগ্রেসে (Congress) যোগদান নিয়ে জল্পনা

    সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসিয়ে কংগ্রেস (Congress) বাজিমাত করেছে। ধরাশায়ী হয় তৃণমূল। এই উপ নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে দেয়, সংখ্যালঘুরা শাসক দলের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। এক সময়ে কংগ্রেসের খাসতালুক ইটাহারেও পঞ্চায়েত ভোটের আগে মাটি শক্ত হতে শুরু করেছে কংগ্রেসের (Congress)। জেলা কংগ্রেসের সভাপতির হাত ধরে অসংখ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ কংগ্রেসের পতাকা ধরেন। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া অধিকাংশ কর্মী প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্য্যের অনুগামী। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের (Congress) জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, সাগরদিঘির পর এদিন যে ভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ মিছিল করে আমাদের দলে যোগ দিলেন, তাতে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে, শাসক দলের সঙ্গে তাঁরা আর নেই। আগামীদিনে অমলবাবুও আমাদের দলে যোগ দেবেন। প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে গিয়ে তিনি যোগ দেবেন।

    জেলা কংগ্রেস (Congress) সভাপতির হুমকি প্রসঙ্গে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মোহিতবাবুকে “৭২-এর গুন্ডা” বলে পালটা কটাক্ষ করেছে শাসক শিবির। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখিয়েই আমাদের ভোট হবে। তৃণমূল গুন্ডাগিরি করে না। আমাদের কোনও গুন্ডার প্রয়োজন পড়ে না। কারা গুন্ডাগিরি করে তা কংগ্রেসের (Congress) জেলা সভাপতিই বলে দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে কোন্দল প্রকাশ্যে! গরহাজির একাধিক কাউন্সিলার

    TMC: তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে কোন্দল প্রকাশ্যে! গরহাজির একাধিক কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভায় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারদের মধ্যে কোন্দল মেটাতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে জেলা নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন। তবে, দক্ষিণ দমদম নয়, বরানগরে সেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আর সেই বৈঠকে তৃণমূল কাউন্সিলারদের হাজিরার সংখ্যায় শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রমাণ করে দিল। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশকে যে তারা আমল দিতে নারাজ তা প্রকাশ্যে চলে এল। যা নিয়ে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    জেলা নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে যাননি কতজন কাউন্সিলার?

    বৃহস্পতিবার জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দক্ষিণ দমদম পুরসভার সব কাউন্সিলারকে ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে তৃণমূলের (TMC) দমদম বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়, সাংসদ সৌগত রায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, দলের যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৫। তার মধ্যে একজন কাউন্সিলার মারা গিয়েছেন। দুজন কাউন্সিলার নির্দল। ৩২ জন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলারকে এদিন ডাকা হয়েছিল। এরমধ্যে একজন করোনা আক্রান্ত। আর একজন মহিলা কাউন্সিলার ব্যক্তিগত কারণে বৈঠকে আসতে পারেননি। বাকী ৩০ জন কাউন্সিলারের বৈঠকে থাকার কথা। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল, ১৬ জন কাউন্সিলার বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। ১৪ জন কাউন্সিলার বৈঠকে যাননি। তাদের বক্তব্য, দুই নির্দল কাউন্সিলার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রীতা রায়চৌধুরীকে ডাকতে হবে। জেলা নেতৃত্বের ডাকা বৈঠকে একসঙ্গে এতজন কাউন্সিলারের গরহাজিরার ঘটনায় দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যদিও পুরসভার চেয়ারপার্সন কস্তুরি চৌধুরী বলেন, আমরা সব ওয়ার্ডে কাজের সমবন্টন করি। কি কি কাজ হচ্ছে তাও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয় বৈঠকে। কাজের ক্ষেত্রে কাউকেই বৈষম্য করা হয় না।

    কাউন্সিলারদের গরহাজিরা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    বৈঠকে অনুপস্থিত কাউন্সিলারদের ওপরে অসন্তুষ্ট হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায়। তিনি বৈঠকে বলেন, কাউন্সিলারদের অভিযোগ নিয়েই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে এসে তাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি বলতে পারত। আমি সমস্ত বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাবো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘ডিএ দিতে পারছেন না, ৪৪০ কোটির অডিটোরিয়াম করছেন’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘ডিএ দিতে পারছেন না, ৪৪০ কোটির অডিটোরিয়াম করছেন’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠা ঠা রোদেও বকেয়া ডিএ (DA) ও কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে চলছে ধর্না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আপাতত তিন শতাংশের বেশি ডিএ দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তার পরেও চলছে আন্দোলন। ওই একই দাবিতে গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আন্দোলনকারীরা দুদিন ধরে ধর্না দিয়েছেন দিল্লির যন্তরমন্তরেও। তার পরেও অনড় অবস্থানে রয়েছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। অর্থের অভাবের যুক্তিতে যেখানে বকেয়া ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না, বৃহস্পতিবার সেখানেই ঘটা করে উদ্বোধন করা হল বিশ্বমানের অডিটোরিয়ামের। শাঁখের আকৃতির এই অডিটোরিয়াম তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪৪০ কোটি টাকা। নাম দেওয়া হয়েছে ধনধান্য।

    দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন…

    মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং উদ্বোধন করেছেন এই অডিটোরিয়ামের। তারই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি (BJP)। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দিতে পারছেন না, অথচ ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয় করে অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করছেন। উনি সারাদিন টাকা টাকা করেন কেন? সকাল হলেই টাকা, রাত হলেই টাকা। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই লোকের মনে প্রশ্ন উঠছে। ডিএর জন্য ধর্না চলছে আর এত কোটি টাকার বিল্ডিং তৈরির কী মানে হয়? তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তো কম অডিটোরিয়াম নেই। এত অডিটোরিয়াম থাকা সত্ত্বেও উনি প্যান্ডেল বেঁধে প্রশাসনিক বৈঠক করেন, তো কী হবে অডিটোরিয়াম তৈরি করে?

    আরও পড়ুুন: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, আমাদের অডিটোরিয়াম দেওয়া হয় না। কীসের জন্য এত টাকা ব্যয় করে এই অডিটোরিয়াম তৈরি করা হয়েছে? এদিন সকালে আন্দামান যাচ্ছেন দিলীপ। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। সেখানেই অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন তিনি। কেবল অডিটোরিয়ামই নয়, মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগেও সরব হন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, মিড-ডে মিলে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন বিজেপি দফতর থেকে এই রিপোর্ট লেখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব এখন বেনিফাশিয়ারিতে কত ছাত্রছাত্রীর নাম রয়েছে, আর কতজন এর সুবিধা পাচ্ছে, সেই তথ্যটা পাঠিয়ে দিন কেন্দ্রের কাছে, তাহলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
  • Recruitment Scam: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি  

    Recruitment Scam: ‘দুর্নীতির মাথা ধরতে না পারলে কী করতে হবে, জানি’, সিবিআইকে বিচারপতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা যদি এ বার না মাথায় পৌঁছতে (Recruitment Scam) পারেন, আমি জানি কী করতে হবে। বৃহস্পতিবার সিবিআইকে (CBI) একথা বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। এদিন প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) নেতা কুন্তল ঘোষের পত্রবোমা মামলার শুনানি চলাকালীন এই মন্তব্য করেন তিনি। শুনানি চলাকালীন নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নিয়োগ মামলায় যাঁদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা দালাল। অবৈধভাবে নিয়োগের টাকা আসলে কোথায় পৌঁছেছে, তা দ্রুত তদন্ত করে বের করার বার্তাও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    কোথায় গেল নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) এত টাকা?

    তিনি বলেন, কোথায় গেল নিয়োগ দুর্নীতির এত টাকা? এঁরা তো দালাল! আসল টাকা কোথায় পৌঁছল? সেটাই তো খুঁজে পেতে হবে। এত দিন ধরে কী করছেন?  এখনও অবধি কোমরের ওপরে পৌঁছতে পারেননি। আপনারা যদি এ বার মাথায় পৌঁছতে না পারেন, আমি জানি কী করতে হবে। তিনি বলেন (Recruitment Scam), দীর্ঘ দিন হয়েছে। সময় অপচয় ছাড়া কিছু হচ্ছে না। তাঁর পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর ভূমিকা ঠিক নয়। প্রয়োজনে আইনজীবী পরিবর্তন করতে হবে। সওয়ালের সময় তাঁর ভূমিকা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সিবিআই হাইকোর্টের অন্য কোনও আইনজীবীকে দিয়ে সওয়াল করাতে পারে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করতে পারবে সিবিআই এবং ইডি।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    তাঁর আরও নির্দেশ, চাইলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা ওই চিঠি নিয়ে অভিষেক ও কুন্তলকে প্রশ্ন করতে পারবেন ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, আদালতে যাওয়া আসার পথে কুন্তল বারংবার দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (Recruitment Scam)  সংস্থা তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করার জন্য চাপ দিচ্ছে। জেল থেকেও সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে চিঠিও লিখেছিলেন কুন্তল।

    এ ব্যাপারে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ বা কোনও এফআইআর করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। অভিযোগ গ্রহণ করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। বিচার প্রক্রিয়াকে শ্লথ করতে পরিকল্পনামাফিক এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। এর পরেই তিনি বলেন, অবিলম্বে এ ব্যাপারে অভিষেক ও কুন্তলকে জেরা করা উচিত ইডি এবং সিবিআইয়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share