Tag: tmc

tmc

  • Amit Shah: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    Amit Shah: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) আপাতত তিহাড় জেলের বাসিন্দা। শুক্রবার সেই জেলায়ই সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পরের দিন দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিণীর মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরবেন দিল্লি। শুক্রবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে পারেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে সাজ সাজ রব গেরুয়া শিবিরে। জানুয়ারি মাসে এ রাজ্যে আসার কথা ছিল অমিত শাহের। শেষমেশ বাতিল হয়ে যায় বঙ্গ সফর। তখনই জানিয়েছিলেন বাজেট অধিবেশনের পর আসবেন। সেই মতো চলতি সপ্তাহের শেষে দু দিনের সফরে বাংলায় আসছেন তিনি।

    অমিত শাহ (Amit Shah)…

    তাঁর এই সফরকে কাজে লাগাতে শুক্রবার বীরভূমের সিউড়িতে সভা করার কথা তাঁর (Amit Shah)। ওই দিন রাতে কলকাতায় ফিরে করবেন কোর কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাহের এই বাংলা সফর যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কেন সিউড়িতেই সভা হবে শাহের? বিজেপির একটি সূত্রের খবর, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বীরভূম লোকসভা আসনটির দিকে নজর রয়েছে পদ্ম শিবিরের। তাই জেলায় সংগঠন চাঙা করাই লক্ষ্য বিজেপি নেতৃত্বের। জনসভার বদলে ওই দিন সিউড়িতে শাহ কর্মিসভাও করতে পারেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    এর আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাজ্য বিজেপির নেতাদের। প্রধানমন্ত্রী সময় দিতে না পারায় সেই বৈঠক হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) সঙ্গে। সেই বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছিল সিএএ প্রসঙ্গ। রাজ্য বিজেপির কয়েকজন নেতা শাহের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাংলায় সিএএ কবে চালু হবে? সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করতে। সেই সময়সীমাও পার হয়ে যাবে শুক্রবার। তাই ওই জনসভায় সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু বলেন কিনা, এখন তাই দেখার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে দু দিনের ধর্নায়ও বসেন তৃণমূল নেত্রী। সিউড়ির জনসভায় সে সম্পর্কেও কিছু বলতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ঘাসফুলের ব্যাটন এখন তাঁর হাতে। তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও (Abhishek Banerjee), পাশাপাশি যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতিও তিনিই। দলে বর্ষীয়ান সাংসদরা থাকলেও যুবরাজ থাকলে কারও নাকি কথা বলারই সাহস থাকে না, এমনটাই জনশ্রুতি। অভিষেক (Abhishek Banerjee) কোনও জেলা সফরে গেলে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের থরহরিকম্প অবস্থা হয়। সভায় যাওয়ার রাস্তা খারাপ থাকলে প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তা মেরামত করে দেয়। 

    ২৯ মার্চ কী  ছিল শহিদ মিনারে?

    এবার ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে যুব তৃণমূলের সভার আয়োজন ছিল। রাজ্যের সমস্ত জেলার ছাত্র, যুব এবং মাদারের কর্মীরা সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন। আর সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের এই যুবরাজ (Abhishek Banerjee)। ফল যা হওয়ার, তাই-ই হয়েছে। পার্টির প্রোগ্রাম, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকার। তাঁর সভার ব্যারিকেড, এমনকী অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরির জন্য টেন্ডার ডেকে দেয় খোদ পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে যেভাবে টেন্ডার ডেকে যুবরাজের (Abhishek Banerjee) সভার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সভার আয়োজন প্রশাসন কী করে করতে পারে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও প্রশাসনের সাফাই, নিরাপত্তার স্বার্থেই যা করার করা হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের মিটিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেখা যাক, টেন্ডারে কী রয়েছে?

    অনুষ্ঠানের আগেই শহিদ মিনার ও রেড রোড চত্বরে অস্থায়ী প্যান্ডেল, ব্যারিকেড, বাফার ব্যারিকেড এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। ২৫ মার্চ এই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। নোটিশে শুধু ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অস্থায়ী প্যান্ডেলসহ পরিকাঠামো তৈরির কথা বলা হয়। কোনও দলের উল্লেখ নেই। তবে, ওইদিন যুবরাজের সভা ছাড়া শহিদ মিনারে আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। ফলে, নোটিশে উল্লেখ না থাকলেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভার জন্যই যে এই আয়োজন করা হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। এই ধরনের সভার জন্য দলীয় ফান্ড থেকেই খরচ করে প্যান্ডেল তৈরি করার কথা। তাহলে সরকারি টাকা খরচ করে দলীয় সভার আয়োজন করা হল কেন? উত্তর নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় সভার জন্য টেন্ডার ডাকায় পূর্ত দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রাস্তার জন্য মাথা খুঁড়ে মরছেন বাসিন্দারা। আর….!!

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় বেহাল রাস্তার জন্য গ্রামবাসীরা ভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। শুক্রবারই মালদহের গাজোলে রাস্তা না হওয়ায় বহু বাসিন্দা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে অনুন্নয়নের ছবি সামনে আসছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দলীয় সভার প্যান্ডেল করা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, দলীয় সভার জন্য পূর্ত দফতর এই ধরনের উদ্যোগ কি নিতে পারে? সরকারি টাকা জনগনের কাজে ব্যবহার হবে। তা না করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকে তুষ্ট করতে আসরে নেমেছে সরকার। এই রাজ্যে এতদিন দলদাস ছিল পুলিশ। এখন প্রশাসনও দলদাসে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষ এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী আগে কখনও হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট-কন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির, হাজিরা দেবেন সুকন্যা?

    Anubrata Mondal: কেষ্ট-কন্যাকে ফের দিল্লিতে তলব ইডির, হাজিরা দেবেন সুকন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর সঙ্গে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছে ইডি। তবে ইডির নাগাল এড়িয়ে চলছেন সুকন্যা। মার্চ মাসে প্রথমে তলব করা হয় অনুব্রতকে। সেবার হাজিরা এড়ান তিনি। প্রথমবার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে আরও কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ফের ইডি তলব করে সুকন্যাকে। নোটিশ পেয়েও ইডি দফতরে হাজিরা দেননি তিনি। তারপর আবার এবার তলব করা হল কেষ্ট-কন্যাকে। সোমবার তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। নতুন কিছু সম্পত্তিরও হদিশ মিলেছে। এর সবেই নাম রয়েছে সুকন্যার। সেসব নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফের তলব করা হয়েছে সুকন্যাকে। জানা গিয়েছে, সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলিকে দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁকে আপাতত দিল্লির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাঁকে যে কোনও সময় তলব করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    ইডির আগে সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেটা ছিল গত বছরের অগাস্ট মাস। সিবিআইয়ের দাবি, সেবার বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল সুকন্যার কাছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সুকন্যা কোনও সদুত্তর দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, সম্পত্তি সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন তাঁর বাবা (Anubrata Mondal) ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। ইডি সূত্রে খবর, সেই কারণেই কেষ্ট ও তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। তদন্তকারীদের ধারণা, তাতেই জানা যাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী। তবে সোমবারও যদি ইডির নাগাল এড়ান সুকন্যা, তাহলে বিলম্বিত হতে পারে পিতা-পুত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা। এখন দেখার, এবারও সুকন্যা ইডির নাগাল এড়ান কি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন আধার (Aadhar) কার্ডের ঘোরতর বিরোধী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করে, তখন তার কড়া সমালোচনা করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই তিনিই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে বাধ্যতামূলক করে দিলেন আধারকার্ড।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে মমতা সরকার। তখন আধার বাধ্যতামূলক ছিল না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মমতাকে ফের নিয়ে আসে নবান্নের কুর্সিতে। পরে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। ফি মাসে এক ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান দিতে হিমশিম খায় রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়ে প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) বরাদ্দ জোগান দিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হতে থাকে খয়রাতি প্রকল্পে। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ভুয়ো ডকুমেন্ট দিয়ে অনেকেই মুফতের টাকা লুটেপুটে নিতে থাকেন। তার পরেই টনক নড়ে সরকারের। যার জেরে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও বাধ্যতামূলক করা হল আধার কার্ড।

    আরও পড়ুুন: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    এর আগে ভুয়ো রেশন কার্ড ধরতে হাতিয়ার করা হয়েছিল আধার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করতেই ধরা পড়ে ৬০ লক্ষ ভুয়ো গ্রাহক। রাতারাতি ছেঁটে ফেলা হয় তাঁদের। ফি মাসে সরকারের বাঁচে কয়েক কোটি টাকা। ভুয়ো রেশন কার্ডই নয়, জাল জবকার্ড বানিয়ে লুঠে নেওয়া হচ্ছিল সরকারের কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীও ভুয়ো জবকার্ডের সাহায্যে দিব্যি চালাচ্ছিলেন লুঠের কারবার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করে সেই কারবারেও ইতি টানা হয়েছে। এক ধাক্কায় বাদ গিয়েছে প্রায় এক কোটি ভুয়ো জবকার্ড। এবার জাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) গ্রাহক ধরতে বাধ্যতামূলক করা হল সেই আধার কার্ড। এক সময় যে কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এখন দেখার, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তৃণমূলের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সরকার। বিরোধীরাও তেমন শক্তিশালী নন। এহেন আবহে ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হল তৃণমূলেরই এক নেতাকে। মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির ছোট চুপড়ি বাজারের কাছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা নিয়েও।

    নদিয়ায় (Nadia) খুন…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও বাজারে যান বড় চুপড়ির (Nadia) বাসিন্দা আমোদ। বাজার করার সময় সেখানে বাইকে চড়ে আসে দুই ব্যক্তি। আমোদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে তারা। পরে হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই আমোদকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আমোদকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। খবর পেয়ে দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। কী কারণে আমোদকে খুন করা হল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি শিশির রায় বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলে সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান বলেন, আমোদ আলি বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র। দুটি গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিনই ভোরে খুন হয়েছেন কোচবিহারের শীতলকুচির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের নীলিমা বর্মণ। খুন হয়েছেন তাঁর স্বামী বিমলচন্দ্র বর্মণ এবং এক মেয়েও। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নীলিমার আরও এক মেয়ে। রাজ্যের দু প্রান্তে একই দিনে দুই তৃণমূল নেতার খুনে উদ্বেগ শাসক শিবিরেও। 

    কেবল এই দুই খুন নয়, দিন তিনেক আগে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচা দোকানের (Nadia) সামনে খুন হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা। সাত সকালে তাঁকেও খুন করে পালিয়ে যায় খুনিরা। রাজুর খুনের আততায়ীরা এখনও অধরা। এরই মধ্যে একই দিনে পর পর দুটি খুনের ঘটনা এ রাজ্যেই। দিন দিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের ওপর কী ক্রমেই শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাশ? উঠছে প্রশ্ন।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ, উত্তাল পুরুলিয়া

    TMC: মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ, উত্তাল পুরুলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেই দুর্নীতি, সেই স্বজনপোষণের অভিযোগ। এবার বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ত্রিফলা। অকেজো হয়ে পড়া ত্রিফলার নিলাম ঘিরেই শুরু হয়েছে জলঘোলা। লোকদেখানো নিলাম ডেকে বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলারের ছেলেকে অকেজো ত্রিফলা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত পুরুলিয়া পুরসভা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শাসকদলেরই একাধিক কাউন্সিলার এনিয়ে সরব হয়েছেন। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, আইন মেনেই নিলাম হয়েছে। কাউকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রসঙ্গত, অকেজো ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের কেটে ফেলা অংশ নিলাম করা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। গত শনিবার ওই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলির নিলাম হয়। নিলামে এই সমস্ত সামগ্রী পান বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার আনোয়ারি বিবির ছেলে শেখ সাহিদ।

    দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, কী বলছে তৃণমূল ?

    পুরুলিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার রবিশঙ্কর দাস বলেন, ওই ত্রিফলা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। ত্রিফলা আলো কেটে দেওয়ার সময়ই আপত্তি করেছিলাম। কারণ কিছু ত্রিফলা খারাপ হয়ে থাকলে তা সারানো যেত। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার আনোয়ারি বিবির ছেলেই নিলামে ওই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি পেয়েছে। আর এর ফলেই উঠেছে প্রশ্ন। কাউন্সিলারের ছেলেকে এই নিলাম পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগে সরব হয়েছেন।

    এ বিষয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সমীরণ রায় বলেন, নিলাম নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই, প্রশ্ন উঠেছে আমাদের দলেরই কাউন্সিলার তথা বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তের ছেলেই নিলামে সব জিনিস পাচ্ছেন বলে। এই কারণেই সবাই দল এবং পুরসভার বিরুদ্ধে আঙুল তুলছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সুনয় কবিরাজ বলেন, নিলাম হয়তো নিয়ম মেনে হয়েছে। কিন্তু বাইরে কে কী সেটিং করেছে, সেটা বলা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি থাকলে নৈতিকভাবে এরকম নিলামে অংশগ্রহণ করতাম না।

    কী বলছেন পুরুলিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা ?

    অন্যদিকে পুরুলিয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা প্রদীপ মুখার্জি বলেন, কাউন্সিলারের ছেলে ছাড়া আর কি কোনও ব্যবসায়ী নেই শহরে? গোটা নিলাম প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে পড়ছে। একই সুর বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখার্জির গলাতেও। এবিষয়ে পুরুলিয়া পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল ও তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর আনোয়ারি বিবির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ছেলে ও বরাত পাওয়া ঠিকাদার শেখ সাহিদের ভাই সেখ সাব্বির বলেন, সমস্ত আইন মেনেই ভাই নিলামে অংশগ্রহণ করে সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে ওই সামগ্রী পেয়েছে। কাউন্সিলারের ছেলে বলে নিলামে অংশ নিতে পারবে না, এমন কোনও আইন নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। 

    অভিযোগ সঠিক নয়, দাবি করে কী যুক্তি দিলেন পুরপ্রধান ?

    পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, বিরোধীদের অভিযোগ সঠিক নয়। সমস্ত আইন মেনেই নিলাম করা হয়েছে। নিলামে পাঁচজন অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রত্যেককে নিলামের আগে ৩ লক্ষ টাকা জমাও করতে হয়েছিল। ওপেন নিলামে যে কেউ অংশ নিতেই পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    Jalpaiguri: ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে কী দাবি জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ভাই ও তাঁর স্ত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পাঁচদিন আগেই  জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরের পান্ডাপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এই ঘটনা নিয়ে সুবোধবাবুর দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় কয়েকজনের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বুধবার বিকেলে তিনি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় ফের যান। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেন অভিযুক্তরা গ্রেফতার হল না, তা তিনি জানতে চান। পরে, এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তি। তাই তিনি ওই পদে যতক্ষণ বসে থাকবেন ততক্ষণ পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না। তাই পুলিশের তদন্তের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সকলের, তাই তাঁর কাছে চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানালাম সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ যাঁরা অভিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের সরকারি এবং দলীয় পদ থেকে সরিয়ে পুলিশকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিন। অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী যেন নিজেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান।” পাশাপাশি জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আদালতের নজরদারিতে ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়। 

    সুইসাইড নোটে কোন নেতার নাম লেখা রয়েছে?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অপর্ণা ভটাচার্য এবং বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্যের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে তাঁদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও তিন জনের নাম পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, অপর্ণা ভট্টাচার্য ২০০০ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের কাউন্সিলর হিসেবে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের চাইল্ডলাইনে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী সুবোধবাবুও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির প্রাক্তন সদস্য। কয়েক বছর আগে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু পাচার কাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়েছিল। 

    এনিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে যাঁরা জমি মাফিয়া বলছে, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মনোময় সরকারের কাছ থেকে শিখা চট্টোপাধ্যায় ২১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে কোতোয়ালিতে অভিযোগ জমা পরেছে। ৪ এপ্রিল তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি চাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপির। তাই, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে “নির্মল বাংলা মিশন” এর প্রভাব এখনও পড়েনি। এই অঞ্চলের আদিবাসী পাড়ার সমস্ত মানুষকে মাঠে ঘাটে খোলা আকাশের নীচেই শৌচকর্ম করতে হয়। বছর তিনেক আগে এই জেলাকে নির্মল ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন যাতে মানুষকে মাঠে ঘাটে শৌচকর্ম করতে না যেতে হয় তারজন্য প্রচারও করেছিল। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করার জন্য জরিমানাও করতে দেখা যায় প্রশাসনকে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এই সচেতনতা মূলক অভিযান চালানো হয়। কিন্তু, এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি শৌচালয় (Toilet) করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? Toilet

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মার্ডি বলেন, যা রোজগার করি তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই। বাড়িতে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মতো আর্থিক অবস্থা আমাদের নেই। এক গৃহবধূ বলেন, “খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম করা ঠিক নয় তা জানি, কিন্তু, নিজের পয়সা দিয়ে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। শুধু বাড়িতে নয়, স্থানীয় বিদ্যালয়েও নেই শৌচাগার। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কল্পনা মণ্ডল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শৌচাগারটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে। পড়ুয়াদের চরম সমস্যা হয়।

    কী বললেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা? Toilet

    বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যা মীরা মণ্ডল বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর আমি বিজেপির সদস্য বলে এলাকায় কোনও উন্নয়ন ওরা করছে না। আমরা শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার জন্য বহুবার বলেছি। কিন্তু, ওরা কোনও কর্ণপাত করেনি। ফলে, আমার বুথে সেভাবে কোনও উন্নয়ন নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Toilet

     বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি। তিনি বলেন, বিজেপি সদস্য রয়েছে বলে ওই এলাকায় শৌচালয় (Toilet)  তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তা ঠিক নয়। এটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা। ইতিমধ্যে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো? রবিবার এই ভাষায়ই তৃণমূলের (TMC) তোলা অভিযোগের জবাব দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয় হাওড়ার কাজিপাড়া ও শিবপুরে। এদিন শিবপুরে যাওয়ার পথে প্রথমে সুকান্তের পথ আটকায় পুলিশ। পরে অবশ্য যেতে দেওয়া হয় তাঁকে। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলে তৃণমূল। তারই প্রেক্ষিতে সুকান্ত বলেন, মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিষিদ্ধ করে পুলিশ কি কখনও নির্দেশিকা দিয়েছে? একই দেশে দুই ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা নির্দেশিকা কেন?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    তাঁর প্রশ্ন, অস্ত্র নিয়ে গেলেই যদি প্ররোচনা দেওয়া হয়, তাহলে মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে হিন্দুরা প্ররোচিত হন না কেন? মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না, এটা কি পুলিশ লিখতে পারে? গতবার লেখা ছিল? বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, একই সঙ্গে দেশে একই সংবিধানে যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার পাওয়ার কথা, সেখানে দুটো ধর্ম আলাদা অধিকার পাবে কেন? সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পুলিশের উচিত ছিল যেসব বাড়ি থেকে আগে হামলা হয়েছে, সেগুলিতে তল্লাশি চালানো। ওই বাড়িগুলির ছাদে পুলিশ মোতায়েন করা। কিন্তু তা করা হয়নি। পুলিশের কাছে মনে হয় নির্দেশ ছিল, দাঙ্গাটা হতে দাও। তিনি বলেন, হাওড়ায় হিংসার ঘটনায় পুলিশও যুক্ত ছিল। এর পরেই পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, আগামী বছরও হাওড়ার ওই একই রাস্তা দিয়ে রামনবমীর শোভাযাত্রা যাবে।

    আরও পড়ুুন: রিষড়াকাণ্ডে রাজ্যপাল, শাহকে চিঠি জখম বিজেপি বিধায়কের, কড়া বিবৃতি আনন্দ বোসের

    পুলিশকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। তৃণমূলের তরফে অশান্তির কারণ হিসেবে রুট বদলের অভিযোগ খাড়া করা হয়েছে। এদিন সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও রুট বদল হয়নি। প্রত্যেক বছর এই রুটেই শোভাযাত্রা হয়। পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী এভাবে তাঁদের অপদার্থতা ঢাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, পরের বছর আবার ওই রাস্তায়ই শোভাযাত্রা হবে। হাওড়াকাণ্ডে তদন্ত করছে সিআইডি। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, শিবপুরকাণ্ডে সিআইডি কেমন তদন্ত করবে, তা জানা আছে। সিআইডি আসলে মুখ্যমন্ত্রীর পোষা কুকুর। তিনি বললে ঘেউ ঘেউ করে, না বললে করে না। বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, শিবপুরকাণ্ডের তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার জন্য, যাতে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করতে ঢুকে না যায়, তাই তড়িঘড়ি সিআইডিকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
  • Rape: তিলজলার পর মালদহের গাজোলেও হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, প্রতিবাদ বিজেপির

    Rape: তিলজলার পর মালদহের গাজোলেও হেনস্থার শিকার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার তিলজলার পর মালদহের গাজোল। স্কুলের মধ্যে ছাত্রীকে ধর্ষণের (Rape) ঘটনায় নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজ্য প্রতিনিধি দলের হাতে হেনস্থা হতে হল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের। এমনকী তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা সাগরিকা সরকার জুতো হাতে নিয়ে তেড়ে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দিকে। আর সমস্ত ঘটনাই ঘটল পুলিশের সামনে। এমনটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদের।

    এর আগে তিলজলাতেও শিশু সুরক্ষা কমিশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে একইভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় ওই দলের সঙ্গে এদিন ছিলেন ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিদের তদন্তে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক ঘটনাস্থলেই ধর্নায় বসেন। বিজেপি বিধায়ক বলেন, আমরা ওই নির্যাতিতার পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় তারজন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। তৃণমূলীরা এসে যে ভাবে তান্ডব চালাল, নির্যাতিতার বাড়ি ভাঙচুর করল তা ঠিক নয়। এই ঘটনার আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    গাজোলে ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল? Rape 

    ১৮ মার্চ গাজোলের ফতেপুর জুনিয়র হাইস্কুলের মধ্যে এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করার ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি জানাজানি হতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। নির্যাতিতার পরিবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সরকারি স্কুলের মধ্যে এরকম ধর্ষণের ঘটনার বিষয়টির তদন্তের জন্য জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়ক। শনিবার নির্যাতিতা ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে তদন্ত করতে যায় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল।

    এদিন সকালে ওই ছাত্রীর (Rape) বাড়িতে কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা গেলে দেখতে পান, সেখানে আগেই পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকতে গেলে মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যা তথা গাজলের তৃণমূল নেত্রী সাগরিকা সরকার জুতো নিয়ে তেড়ে যান। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা হাতাহাতিতে জ়ড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলীদের তান্ডবের জেরে নির্যাতিতার টিনের বাড়ির একাংশ ভেঙে যায়।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল? Rape

    কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো বলেন, ১০ দিন আগে ঘটনা ঘটেছে। এতদিন রাজ্যের প্রতিনিধিরা কেউ আসেনি। আমি সমস্ত বিষয়টি মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট সচিবকে জানিয়ে এখানে এসেছি। আর আমরা এসেছি বলেই এদিন ওরাও চলে এসেছে। আমাদের সঙ্গে নির্যাতিতাকে আলাদাভাবে কথা বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিলজলাতেও একই ঘটনা ঘটল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    কী বললেন রাজ্যের প্রতিনিধি দলের কর্তারা? Rape 

    রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা এখানে এসেছি। কেন্দ্রীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। আমাদের গেট আউট বলেন। আমরা কোনও বাধা দিইনি। আমরা একসঙ্গে তদন্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, সেটা তারা মানতে রাজি নন। আমরা কোনও হেনস্থা করিনি।

    কী বললেন নির্যাতিতা পরিবারের সদস্য? Rape 

    নির্যাতিতা পরিবারের সদস্য বলেন, মেয়ের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে এসেছে জেনে ভালো লাগছে। কিন্তু, বাড়ির ভিতরে ঢুকে যে ভাবে তাণ্ডব চালাল তা ঠিক হয়নি। আমার বাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়া হয়েছে। এখন এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? মেয়ের ঘটনা নিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এরপর এই ঘটনায় আমরা আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share