Tag: tmc

tmc

  • Recruitment Scam: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজন মনে করলে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতির। তিনি জানান, চাইলে অয়ন শীলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২৮ এপ্রিল এই সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা করতে ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন তিনি। 

    সিবিআইকে নির্দেশ

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশির সময় পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার করে ইডি। এর পর জানা যায়, রাজ্যের অন্তত ৭০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে। যার মূল হোতা ছিলেন অয়ন শীল। নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন শ্বেতা। তাঁকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শ্বেতা চক্রবর্তী অন্তত ৮ জন প্রভাবশালীর নাম বলেছেন যাঁরা নিয়মিত অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। বিষয়টি সম্পর্কে সিবিআইকে জানায় ইডি। এর পর এই দুর্নীতির তদন্ত করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে সিবিআই। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাইলে তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    বিচারপতির  ভর্ৎসনা

    প্রসঙ্গত, এদিন অয়ন শীলের বাড়িতে উদ্ধার করা নথির তথ্য মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেয় ইডি। এরপর নির্দিষ্ট কোনও পুরসভা নয়, সামগ্রিকভাবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তভার-ই সিবিআই-এর হাতে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মাত্র ১০ হাজার টাকা আয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ১০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য খেটে মরছেন। আর এক-একজনের কাছে এত এত টাকা!  অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে? একাংশ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কোটি কোটি টাকা! আসছে কোথা থেকে? এইসব নেতাদের ছুঁলেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে দেখুন বাজারে তাদের কত দেনা আছে। সাধারণ মানুষ সব জানা উচিত। যারা এই দেশের মালিক। দুটো, চারটে, পাঁচটা ব্যাবসা থাকলেই কেউ দেশের মালিক হয়ে যায় না। দেশের আসল মালিক তার জনগণ।’ 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    ইডির প্রশংসা

    এদিন, ইডির কাজের প্রশংসা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘তুলনা করলে ইডি সিবিআইয়ের থেকে ভালো ভূমিকা গ্রহণ করছে। ইডি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভালো কাজ করছে।’এদিন সিবিআই-কেও শংসাপত্র দেন বিচারপতি। তিনি জানান, শেষ দু’মাসের থেকে এখন সিবিআই ভালো পারফরম্যান্স করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে হাওড়ার শিবপুর যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল সুকান্তকে। পরে ফের বাধা পান রিষড়া যাওয়ার পথে। এবার বাধা দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা যাওয়ার পথে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়িয়েছে বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। তদন্তকারীরা আসছেন খবর পেয়েই নিজের মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন জীবন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে বাঁচাতেই ওই কাজ করেছিলেন জীবন। পুকুরে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই পুকুর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে কান্দিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে।

    সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিশের…

    এই অনুষ্ঠান শেষেই বড়ঞার আন্দি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানকার বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি নেতাদের পথ আগলায় বড়ঞা থানার পুলিশ। ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপি নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপির দাবি, বড়ঞার পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি সভা করার জন্য পুলিশের অনুমতি মিলেছিল। শেষতক সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না থাকলে কোনও জনপ্রতিনিধিকে ভারতের কোনও স্থানে যেতে পুলিশ বাধা দিতে পারে না।

    আরও পড়ুুন: জনসংখ্যা সম্পদ! কিন্তু তা বাড়তি বোঝাও হয়ে দাঁড়ায়, মত মোহন ভাগবতের

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে পুকুর দেখতে গেলে পুকুরের মালিকের কাছে এনওসি আনতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা দেখলাম, কেউ পুকুর পাড়ে যাবে সেজন্য এনওসি দরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এরপর আমরা অপেক্ষায় আছি মুখ্যমন্ত্রী নোটিশ বার করবেন পুকুরে কেউ মাছ ধরতে গেলে, বাসন মাজতে গেলে, স্নান করতে গেলে এনওসি আনতে হবে, রাজ্য সরকারের কাছে ৫টাকা জমা দিতে হবে। সুকান্ত বলেন, জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ধরা পড়ার পর পুরো রাজ্য প্রশাসন ভয়ে তটস্থ। মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে থরথর করে কাঁপছেন। হয় পিসি নয় ভাইপো প্রতিদিন কেউ না কেউ প্রেস কনফারেন্স করছেন। সেই ভয়ের কাঁপুনি এখানেও দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবন কৃষ্ণ নামের তৃণমূল কংগ্রেসের জীবন ভ্রমরটা এখানেই লুকিয়ে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ওই মোবাইলে এমন কিছু আছে, যেটা বের হয়ে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দায়িত্বশীল বিধায়কও। তাই নিরাপত্তার খাতিরে মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আপনি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক রকম ব্যাপার থাকে। নিরাপত্তার জন্যই আপনার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনা যায় না। তাই আনছি না।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    মঙ্গলবার সিঙ্গুরের এক জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা চলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে চারবার ফোন করে হাতে পায়ে ধরেছিলেন। শুভেন্দুর সেই দাবিকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেছিলেন, সত্যি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।

    এদিনই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মমতার কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এনে সব ফাঁস করবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটির কথা ভেবে কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও তাঁর দাবি যে নিছক ভুয়ো নয়, তাও জানান শুভেন্দু। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, আপনারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। সেই মামলা করুন। কারণ সে ক্ষেত্রে মামলার সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ডিংয়ের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য হবে সংশ্লিষ্ট টেলি যোগাযোগ সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পর বুধবারই তৃণমূলের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সেই চিঠির সারমর্ম হল, শুভেন্দু ওই মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আদালতে মামলা হলেই দুধ আর জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, আপনি প্রশাসনিক কর্ত্রী। আপনার ফোনের ডিটেল, কলের ডিটেল জনসমক্ষে আনা যায় না। আমি তা জনসমক্ষে আনতেও চাই না। একমাত্র আইন বা আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা জনসমক্ষে আসে না।

    তিনি বলেন, আপনি মামলা করুন। ট্রাইকেও (TRAI) আমি পার্টি করব। ৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল আপনার দুটি ল্যান্ড ফোনের কল রেকর্ড আদালতের কাছে তারা দিতে বাধ্য হবে। তাহলেই দুধ ও জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুভেন্দু বলেন, আমি আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম, আপনিও আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের কমিটিতে চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম! শোরগোল

    TMC: তৃণমূলের কমিটিতে চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের (TMC) যুব এবং ব্লক কমিটিতে চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম! এদের একজন আবার ব্লক কমিটির সভাপতি, অপর তিনজন ব্লক কমিটির সদস্য। সদ্য প্রকাশিত তৃণমূল জেলা যুব কমিটি এবং মাস কয়েক আগে প্রকাশিত তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে কালনা ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের দায়িত্বে এলাকার চার সিভিক ভলান্টিয়ারের নামের তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এদের মধ্যে তিন সিভিক ভলান্টিয়ার কালনা থানার অধীনে কর্মরত। ওই তিনজন হলেন সঞ্জয় ঘোষ, সৈকত পূজারি এবং রেজাউল মন্ডল। বাকি একজন সৌভিক ঘোষ। ওই এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দাবি, নাম থাকতেই পারে। এর মধ্যে তিনি অন্যায় কিছু দেখছেন না। তিনি যাই বলুন, দলের কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম ওঠায় অস্বস্তিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল। 

    কী বলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের বক্তব্য, সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটির পরে রাজনীতি করতেই পারে। আসলে বিরোধীদের কোনও কাজ না থাকায় তারা এই নিয়ে খোঁচাখুঁচি করছে। গণতান্ত্রিক অধিকার তো সব মানুষেরই আছে। রাজনৈতিক দল করারও স্বাধীনতা আছে। যারা সরাসরি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী, তারা রাজনীতি করতে পারে না। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়াররা তো রাজ্য সরকারের কর্মচারী নয়। তারা মাস গেলে একটা ভাতা পায়। এরা শ্রম দেয় এবং তার বিনিময়ে সরকার তাদের কিছু মজুরি দেয়। সংবিধান বা আইনগতভাবে কোনও বাধা আছে বলে আমার মনে হয় না। বিজেপির তো পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই যতটা সম্ভব বিব্রত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    তীব্র সমালোচনায় বিজেপি

    স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এরা তো প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। তাহলে তৃণমূল (TMC) দলের পদাধিকারী হয়ে তারা কী করে নিরপেক্ষভাবে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করবে? এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা দাবি করেছি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগানো যাবে না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে সরকার যে আসলে পার্টির কাজ করায়, এই ঘটনায় সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। আসলে ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে বিরোধী দলের কোন নেতা কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, সেই সমস্ত খবরাখবর নেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই সঙ্গে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি  তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নদিয়ার শান্তিপুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে এসে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের মধ্যে এখন পিসি তৃণমূল না ভাইপো তৃণমূল, এই নিয়ে লড়াই চলছে। আগে বাবার দরবারে সব পাগল ছিল, এখন পিসির দরবারে পাগলগুলো এসেছে।”

    সুকান্তের দাবি

    বুধবার প্রথমে জাতীয় সড়কে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাইক র‍্যালিতে অংশ নেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এরপরেই শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুরে একটি বেসরকারি লজে দলীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। মুকুল রায় প্রসঙ্গে বলেন, “অনেকেরই অনেক কিছু ইচ্ছা হয়। বিষয়টা পুরো ঘোলা জলের মধ্যে রয়েছে আগে পরিষ্কার হোক। উনি এখনও অফিসিয়ালি আমাদের দলের বিধায়ক। যদিও তাঁর পদ খারিজ নিয়ে আমরাই মামলা করেছিলাম। কারণ তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।”

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে রাজ্যের শিল্প ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে যেখানে শিল্পবান্ধব পরিবেশ রয়েছে সেখানে শিল্প তৈরি করা হবে। সুকান্তের (Sukanta Majumdar) কথায়, “লাখ লাখ কোটি কোটি বেকার যুবক-যুবতীদের কেউ সরকারি চাকরি দিতে পারবে না। চাকরি হবে শিল্পের মাধ্যমে আর সেটা আমরা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এসে বলে গিয়েছেন ১৪ তারিখে আর প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন ১৭ তারিখে। তার থেকেই বোঝা যায় ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকেই তিনবার ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেন সুকান্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: ‘‘আবার বিজেপি করব’’! দিল্লিতে দাবি মুকুল রায়ের, গুরুত্ব দিতে নারাজ পদ্ম-শিবির

    Mukul Roy: ‘‘আবার বিজেপি করব’’! দিল্লিতে দাবি মুকুল রায়ের, গুরুত্ব দিতে নারাজ পদ্ম-শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনে ফের তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানালেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব, বিজেপিতে গিয়ে রাজনীতি করব। কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনিই থাকার ব্যবস্থা করেছেন। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি বিজেপি বিধায়ক, সেই হিসেবেই থাকার ব্যবস্থা করেছে দল।’

    মুকুলের দাবি

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাওয়ার পর থেকেই মঙ্গলবার রাজনৈতিক মহল থেকে নানারকম প্রতিক্রিয়া মিলেছে। মুখ খুলেছেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। শুভ্রাংশুর দাবি, তাঁর বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ। দিল্লি যাওয়ার জন্য তাঁকে কোনও একটি সূত্রে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় (Mukul Roy) বলেন, ‘শুভ্রাংশু জানে আমি কোথায়। আমার সঙ্গে ফোনে ও কথা বলেছে। বিজেপিতে এলে ভালই হবে শুভ্রাংশুর। ওর পরিবারের জন্যও ভাল হবে। শরীর ভাল ছিল না বলে কিছুদিন পুরোমাত্রায় রাজনীতি করতে পারিনি। এখন শরীরটা সুস্থ হয়েছে। তাই ফের রাজনীতির ময়দানে।’

    বিজেপি কী বলছে?

    খাতায়কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও মুকুলের সঙ্গে বিজেপির এখন দূরত্ব অনেক। তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির। যদিও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মুকুল (Mukul Roy) এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই তিনি বিজেপির বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেভাবে কেউই গেরুয়া শিবিরের অবস্থান স্পষ্ট করেননি।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলিতে সমাবেশের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুকুল রায়কে নিয়ে বাংলা বিজেপির কোনও আগ্রহ নেই।’’ অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ‘‘মুকুল রায় তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের কারণে আমাদের দল ছেড়েছেন। দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি বা অন্য কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে আলোচনাও করেননি।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘উনি তো বিধায়ক। গত ৬ মাস ওঁর কোনও খবর পেয়েছেন? উনি ‘লস্ট কেস’। ওঁকে নিয়ে মাথা ঘামানোর কারোর সময় নেই।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ফিরল মাস্ক যুগ! কাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিল নবান্ন

    তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে রয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। পরে ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তারপরে আবার ২০২১ সালে তৃণমূল ভবনে গিয়ে উত্তরীয় পরেন। যদিও তিনি দাবি করেন, তিনি কোনওদিন তৃণমূলে ফেরেননি। মমতার সামনে অভিষেকের কাছ থেকে উত্তরীয় পরেও তৃণমূলে ফেরার কথা অস্বীকার করেন। যদিও এদিন তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল আর করব না। এটা শিওর। হান্ড্রেড পার্সেন্ট করব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে এক মাসের মধ্যে সিঙ্গুরে (Singur) টাটাকে (TATA) এনে শিল্প হবে। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে এবং সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে তোলার দাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল ওই সভার। তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, এরকম স্ট্রং অপজিশন গত ১২ বছরে দেখেনি মমতা সরকার। এর আগে সিপিএমের অপজিশন লিডার সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন, সেটিং করে নিয়েছিলেন। কংগ্রেস ছিল তাকেও সেটিং করা গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপিকে করা যায়নি। তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যদি কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করা যায়, তাঁর অফিসের সবাইকে জেরা করা যায়, তাহলে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মমতা ব্যানার্জির ওপর কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিবিআই?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিন সভা হয়েছে সিঙ্গুর বিধানসভার অন্তর্গত বড়া হাওয়াখানা ময়দানে। সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ শুভেন্দু যখন জনসভায় পৌঁছন তখন মাঠে উপচে পড়া ভিড়। এদিনের মঞ্চে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, বিধায়ক বিমান ঘোষ, খগেন মুর্মুর মতো বিজেপির হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে মমতা সিঙ্গুর আন্দোলন করেননি। তিনি সব থেকে বড় সর্বনাশ করে গিয়েছেন টাটার কারখানা ধ্বংস করে। সিপিএমের জমি নীতির বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮৯৪ সালের ব্রিটিশদের জমি আইন বস্তাপচা ছিল। আমরা কিন্তু শিল্পের পক্ষে। শুভেন্দু বলেন, ১৬ দিন এখানে বসে ড্রামা করে টাটাকে তাড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে টাটাকে ফুলের মালা পরিয়ে রাজ্যে আনা হবে।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    তিনি বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি ধরা পড়েছে। জলজীবন প্রকল্পকে নিজেদের নামে করতে চায় তৃণমূল সরকার। তিনি বলেন, এখন তৃণমূলের দুয়ারে সিবিআই চলছে। শুভেন্দু বলেন, সর্বভারতীয় তকমা সরতেই মরিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে, নিয়ম মেনেই করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। ওদিকে তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন। বলছেন, ২০২৪ পর্যন্ত আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না? জবাবে অমিত শাহজি স্পষ্ট বলেছেন, আপনি তো ভোট পাননি। সেই নিয়মে আপনি আর সর্বভারতীয় নন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Jiban Krishna Saha: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    Jiban Krishna Saha: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সোমবার ভোরে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণের সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। এর পাশাপাশি রয়েছে বেনামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে ৪টি রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার নামে। তাঁর স্ত্রী টগরী সাহার নামে রয়েছে ৩টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, কত টাকাই বা রয়েছে, সে সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ব্যাঙ্কের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, কেবল মুর্শিদাবাদ নয়, তৃণমূল বিধায়কের অ্যাকাউন্ট রয়েছে বীরভূমেও। এই দুই জেলা ছাড়াও অন্য কোথাও কোনও অ্যাকাউন্ট বিধায়কের রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) সম্পত্তি…

    জানা গিয়েছে, বীরভূমের সাঁইথিয়া, তালতোড়, তাতারপুর, বাঁধগোড়া ছাড়াও মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবন (Jiban Krishna Saha) ও তাঁর স্ত্রীর নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। বোলপুরের তাতারপুর, বাঁধগোড়া, তালতোড় মৌজায় তাঁর জমি রয়েছে ১৩০ কাঠারও বেশি। জীবনের নামে এই সমস্ত জমি রেকর্ড হয়েছে ২০১৩-’২২ সালের মধ্যে।সাঁইথিয়ায় একটি চালকল, দুটি হিমঘর, একটি বাড়ি ছাড়াও সাঁইথিয়া থানার লাউটরি মৌজায় প্রায় ২২ কাঠা জমিও রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের। সব মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেশ কয়েক কোটি টাকা। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি বিক্রির দালাল হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি টাকা তুলতে শুরু করেন। সেই সময়ই তিনি প্রচুর টাকা কামান। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত জীবনকৃষ্ণ। সিবিআইয়ের দাবি, গরু পাচারেও উঠে আসছে তাঁর নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha)। কমিশনের কাছে পেশ করা এডিডেভিটে তিনি জানিয়েছিলেন, বন্ধন ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে ৪০ লক্ষের সামান্য বেশি কিছু টাকা রয়েছে তাঁর। ওই ব্যাঙ্কেই স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লক্ষ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের কুলি শাখায় তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৪ লক্ষ টাকা। বাকি অ্যাকাউন্টগুলির কোনওটায় ৮ লক্ষ, কোনওটায় বা ৫-৬ লক্ষ টাকা রয়েছে। পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার। এমতাবস্থায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কীভাবে বেশ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল কীভাবে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমকলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। অতএব নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তেহট্ট-র বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে সিবিআই। রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার হাত থেকে তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। অবিলম্বে সিবিআইকে নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কার্যকরের ওপর স্বল্প সময়ের স্থগিতাদেশ চায় রাজ্য। যদিও রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মান্থা।

    বিধায়ক হিসাবে তদন্তে প্রভাব

    এই ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির এই ক্ষেত্রেও সিবিআই তদন্ত দাবি করে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসার অনুপম দাস যোগ্যতার সঙ্গে তদন্ত করছেন। গ্রেফতার হওয়া তিন জনের জামিন আটকাতে তিনি যে রিপোর্ট দিয়েছেন নিম্ন আদালতে তাও প্রশংসনীয়। কিন্তু তাপস সাহাকে তিনি ছুঁতে পারছেন না। এখানেই হাইকোর্ট মনে করছে, বিধায়ক হিসাবে তদন্তে প্রভাব খাটাচ্ছেন তিনি।

    তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন তাপস। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা-আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। মঙ্গলবার হাই কোর্টের নির্দেশের পর আইনজীবী তিওয়ারি বলেন, ‘‘প্রাইমারি (প্রাথমিক), আপার প্রাইমারি (উচ্চ প্রাথমিক), এসএসসি, দমকল, ডব্লিউবিসিএস, আইসিডিএস-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগে দুর্নীতিতে তাপস সাহার নাম আসে। পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তাপসের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার হন। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। এক বছর ধরে চার্জশিট পেশ হয়নি। কেন তাপসকে ডাকা হয়নি, আদালতের (Calcutta High Court) এই প্রশ্নে কোনও উত্তর দিতে পারেনি তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই হবে না, জনসাধারণের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হতে হবে যে তদন্ত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই একাধিক চার্জশিট পেশ করেছে। হাইকোর্টের নজরদারিতে চলছে সিবিআই-এর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত। এই অবস্থায় প্রভাবশালী তাপস সাহার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত অন্য সংস্থা (ACB) কে দিয়ে করানো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে৷ তাই তাপস সাহার বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাত্রা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি কি অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রহস্যজনকভাবে মুকুল রায় নিখোঁজ হয়ে যান বলে খবর রটে যায়। যা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় বিষয়টি নিয়ে থানারও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও তখনও পর্যন্ত মুকুল রায়ের (Mukul Roy) অবস্থান সম্পর্কে কারও কিছু জানা ছিল না। পরে জানা যায়, তিনি দিল্লি গিয়েছেন। আর তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই মুখ খুললেন শুভ্রাংশু রায়।

    কী বললেন শুভ্রাংশু রায়?

    মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সংবাদিক সম্মেলন করে শুভ্রাংশু রায় বলেন, বাবার মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নয়। বাবার (Mukul Roy) ব্রেন অপারেশন হয়েছে। পারকিনসন, ডিমেনশিয়া রয়েছে। হাই সুগার, হাই প্রেসার। সিরোসিস অব লিভার রয়েছে। দিনে ১৮ টা ওষুধ খান। ইনসুলিন নেন। বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে কোনও বড় টাকার খেলা রয়েছে। আমাকে না জানিয়ে দুই সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি গেছে বাবা। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার দুপুরে বাবার শারীরিক অবস্থা জানতে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে। বাবাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলাম। সিআইএসএফ কোনওরকম সাহায্য করেনি। এয়ারপোর্ট থানায় বলেছি।

    বাবার কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? প্রশ্ন শুভ্রাংশু-র

    শুভ্রাংশু রায় আরও বলেন, বাবার (Mukul Roy) কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? বাবা এখন বেতন পান মাত্র একুশ হাজার টাকা। এজেন্সি একজন অবাঙালি ছেলেকে পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা বাবার (Mukul Roy) হাতে দিয়েছে। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আমাদের পরিবারের পাশে অভিষেক ব্যানার্জি যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা কোনওদিন ভুলতে পারবো না। অসুস্থ মানুষ সেটিং করতে পারে? আমি চাই, বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নাতি-নাতনি নিয়ে থাকুন। পরিবারের সঙ্গে কাটান। পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে। প্রথম কাজ বাবাকে (Mukul Roy) ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা। এয়ারপোর্ট থানা ও বিধাননগরের সিপি চেষ্টা করছেন। দিল্লি পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। আর বাবা দিল্লিতে কোথায় আছে তা জানতে পারিনি। কারণ, বাবার ফোন সুইচড অফ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share