Tag: tmc

tmc

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রতিদিন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে, আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    বিরোধী মুখ কে? 

    আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হবেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ, এই নিয়ে চরম দ্বন্দ্বে তৃণমূল! এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, ‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে ভাইপোর হিল্লে হচ্ছে না, তাঁর চেয়ারে বসা হবে না।’ গত লোকসভা নির্বাচনে মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিল তৃণমূল। কিন্তু এবারের বিরোধী  জোটে তৃণমূলের অবস্থান ঠিক কী হবে?

    সুকান্তর কটাক্ষ 

    এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “তৃণমূল কনফিউজড তারা বুঝতে পারছে না কী করবে। মমতা না রাহুল এর মধ্যে আটকে রয়েছে। তৃণমূলের ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো অবস্থা। তারা কখনও বিরোধীদের বৈঠকে যাচ্ছে, কখনও যাচ্ছে না। কখনও কংগ্রেসের গলা জড়িয়ে ধরছে কখনও সম-দূরত্ব বজায় রাখছে। ” এরপরই কটাক্ষের সুরে সুকান্ত জানান, “যতই আলাদা দেখান না কেন আসলে পর্দার পিছনে সবই এক। অধীর-মমতা কবে হাত ধরবেন, একসাথে আয় তবে সহচরী গাইবেন, বিজেপি দেখার জন্য মুখিয়ে আছে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    রাজ্যে নারী নির্যাতন

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumder) আরও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ নারী নির্যাতনের হাব হয়ে গিয়েছে। কখনও নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ তো কখনও শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন, প্রতিনিয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও তা-ও রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে এটা লজ্জার। এটা কখনও কেউ মেনে নেবে না। সেই জায়গায় থেকে সকলকে সমবেতভাবে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। রাজ্যে যেভাবে নারীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তাতে একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। রাজ্য সরকার এ বিষয়ে উদাসীন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
     

  • TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের প্রশাসন দলদাস হয়ে গিয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে। এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম-১ ব্লকে। এই ব্লকের তৃণমূলের (TMC) সভামঞ্চে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এক আসনে বসে রয়েছেন কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল। যুব তৃণমূল ও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ডাকে শহিদ মিনার চলো প্রস্তুতির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লক অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি সভা ঘর তৈরি করা হয়। এই সভাগৃহে শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠান হয়। আর সেখানেই দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠান না হয়ে, তৃণমূলের (TMC) রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর ওই কর্মসূচিতে দেখা গেল খোদ কেতুগ্রাম -১ নম্বর ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালকে। রাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ, বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি রাজবিহারী হালদার। এই দুজনের পাশে বসে ছিলেন কেতুগ্রাম- ১ নম্বর ব্লকের বিডিও। তৃণমূলের (TMC) সেই সভামঞ্চে বিডিওর উপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিডিও? TMC

    সভাগৃহে প্রচুর তৃণমূল (TMC)  কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। সভাগৃহের পিছনের দেওয়ালে বড় ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, শহিদ মিনার চলো। আর এই ফ্লেক্সের সামনেই বসে রয়েছেন বিধায়ক ও তৃণমূলের (TMC)  যুব বর্ধমানের নেতা রাজবিহারী হালদার এবং কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের বিডিও। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের সাফাই, আসলে ওই সভাগৃহে সবসময় সরকারি অনুষ্ঠান হয়। সভাতে প্রধান, উপ প্রধানরা ছিলেন। সরকারি প্রকল্প নিয়ে প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রয়োজন ছিল। সেই মিটিং করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার পিছনে একটি দলের ফ্লেক্স লাগানো রয়েছে তা আমি দেখিনি। এটা আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। সরকারি সভাগৃহে রাজনৈতিক সভা হয় না, এখন প্রশ্ন তাহলে রাজনৈতিক সভা কি করে হল ওই সভাগৃহে? বিডিও এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, সরকারি সভাগৃহে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হয় না। কে বা কারা দলীয় ফ্লেক্স লাগিয়ে দিয়েছিল জানি না। আর বিডিও প্রধান, উপ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তৃণমূলের (TMC) দুজন নেতা সেখানে চলে আসে। আগামিদিনে ওই সভাগৃহে যাতে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান না হয় তা দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? TMC  

    বিজেপির জেলা নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, প্রশাসন আর তৃণমূল (TMC) যে এক হয়ে গিয়েছে তা এই ঘটনা প্রমাণ করে। আসলে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, প্রশাসনকে ব্যবহার করে কী করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবে তার রণকৌশল ঠিক করা হচ্ছে। আর সরকারি ভবনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হওয়ার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন, তাঁরা আজ সম্মান জানাচ্ছেন’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন, তাঁরা আজ সম্মান জানাচ্ছেন’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম বার রাজ্যে পা রেখেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁকে নাগরিক সম্মান প্রদান করা হয়েছে। তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকারের এই সম্মান প্রদর্শন নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীর বিরুদ্ধে যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, সেই তাঁরাই এখন তাঁকে সম্মান জানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। অথচ যে বিজেপি বিধায়করা দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য।

    রাষ্ট্রপতিকে সম্মান

    সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছন রাষ্ট্রপতি। রেসকোর্সে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। দ্রৌপদী মুর্মুকে উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানাতে রাজ্যের তরফে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘সরকারের আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাখা হয়েছে। আমায় কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ এর পরই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান কী ছিল, তা স্মরণ করিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেননি। যাঁরা ভোট দেননি, তাঁরা আজ তাঁকে ধামসা-মাদল উপহার দিচ্ছেন, ফুল দিচ্ছেন, শাল পরাচ্ছেন। আর বিজেপির যে ৭০ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি।’’

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    এই নিয়ে একটি ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন,  ‘‘যাঁরা জনজাতির এক প্রান্তিক মানবীকে হারাতে চেয়েছিলেন, যাঁরা তাঁর ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই তাঁরা আজ তাঁকে সম্মান জানাচ্ছেন। এটা দেখে ভাল লাগছে।’’ 

    দিল্লিতে শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন দিল্লিতে ছিলেন। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর দিল্লিযাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এদিন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে  শুভেন্দু জানান, রাম নবমী সনাতনীদের বড় উৎসব। ওই দিন ছুটি দেয়নি রাজ্য সরকার। উল্টে ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর কথায়, ‘জঙ্গলরাজের চেয়েও খারাপ অবস্থা বাংলার। রাজনীতি করার জন্য উৎসবের দিন এই ধরনের আন্দোলন করে এজেন্সিকে ভয় দেখানো, বিচারব্যবস্থাকে চাপে রাখাই উদ্দেশ্য। দুর্নীতি থেকে বিভ্রান্ত করার জন্য অগণতান্ত্রিক ধর্নার আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি বিরোধিতা করবে।’  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arijit Singh: স্টেডিয়ামে খেলা বন্ধ রেখে অরিজিৎ সিংয়ের গানের অনুষ্ঠান! ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামহল, কোথায় জানেন?

    Arijit Singh: স্টেডিয়ামে খেলা বন্ধ রেখে অরিজিৎ সিংয়ের গানের অনুষ্ঠান! ক্ষুব্ধ ক্রীড়ামহল, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সভার পর আগামী ৪ এপ্রিল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে গানের অনুষ্ঠান করতে আসছেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। আর খেলা বন্ধ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে এভাবে  ব্যবহার করার জন্য বিতর্কে জড়াল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভা। এমনিতেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে গত ২১ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য মাঠ জুড়ে গর্ত খোঁড়ায় স্টেডিয়ামটি খেলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অভিযোগে সরব হয়েছিল শহরের ক্রীড়ামহল। তারপরও আগামী ৪ এপ্রিল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের (Arijit Singh) মিউজিক কনসার্টের অনুমতি দেওয়ায় সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে অনেক দেশ-বিদেশের খেলোয়াড় এসেছেন। বহু আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচের সাক্ষী এই স্টেডিয়াম। পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রদর্শনী ম্যাচের স্মৃতি বহন করছে এই স্টেডিয়াম। শিলিগুড়ির ক্রীড়া প্রসারে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। নেহেরু কাপকে কেন্দ্র করে শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীদের আন্তরিক অংশগ্রহণ ও আর্থিক সহযোগিতায় এই স্টেডিয়াম গড়ে উঠেছিল। সেই স্টেডিয়ামে খেলা বন্ধ। 

    স্টেডিয়ামে গানের অনুষ্ঠান নিয়ে কী বললেন বিরোধীরা? Arijit Singh

    শিলিগুড়ি পুরসভার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করলেন শহরের বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, বিধানসভায় জানতে চাইবো, কাদের স্বার্থে খেলা না করে কাঞ্জনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খেলার মাঠ খেলার জন্যই ব্যবহার করা হোক। ইতিমধ্যেই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে কেন এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা জানতে চেয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনাম ওয়াংদি ভুটিয়াকে চিঠি দিয়েছেন শিলিগুড়ির বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অখিল বিশ্বাস। প্রয়োজনে তিনি মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের চারদিকে হাসপাতাল, নার্সিংহোম রয়েছে। পাশেই রয়েছে বিচারকদের আবাসন। স্টেডিয়াম লাগোয়া রাস্তাগুলি অপরিসর। কাজেই এই স্টেডিয়ামে এধরনের বড় অনুষ্ঠান করা ঠিক নয়। কার স্বার্থে খেলা বন্ধ রেখে অরিজিত্ সিংয়ের (Arijit Singh) মিউজিক কনসার্ট করা হচ্ছে, সেটা জানাতে হবে পুরসভাকে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    কী বললেন শিলিগুড়ির মেয়র? Arijit Singh

    শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম অনেক দিনের পুরানো। গ্যালারি সহ বিভিন্ন অংশ বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। এই স্টেডিয়ামের আমূল সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি। ইঞ্জিনিয়াররা স্টেডিয়াম পরীক্ষা করছেন। মে মাস থেকে সংস্কারের কাজ পুরোদমে শুরু হবে। সে কারণেই এখন খেলা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই, সংস্কারের কাজ শুরুর আগে এই সময় মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকায় একটি অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খেলা বন্ধ করে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে, এই অভিযোগ ঠিক নয়। আর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগেও এই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে একাধিক বড় বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জলসা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Udayan Guha: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Udayan Guha: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃদেব হচ্ছে মহাগুরু। কিন্তু মমতা-অভিষেকের কাছে ভাল হওয়ার জন্য নিজের স্বর্গীয় পিতৃদেবকেও চোর বলে চিহ্নিত করছেন ছেলে। এর থেকে আর লজ্জার কিছু হতে পারে না। কথাগুলি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বাম জমানার মন্ত্রী ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রয়াত কমল গুহ সম্পর্কে বেনজির মন্তব্য করেছেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে এসে মন্ত্রী হওয়া তাঁরই ছেলে উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দু বলেন…

    শুভেন্দু বলেন, রাজনীতি অনেক পরের বিষয়। যাঁরা আপনাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন সেই পিতামাতারা হচ্ছেন মহাগুরু। তাঁদের সম্পর্কে যেভাবে উদয়ন গুহ (Udayan Guha) মন্তব্য করলেন, তা ক্ষমার অযোগ্য। আমার বাবাকে নিয়ে কেউ ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করলে আমি সব সময়ই তার প্রতিবাদ করি। আর সেখানে উদয়ন গুহ নিজের বাবাকেও চোর আখ্যা দিলেন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, নিজের রাজনৈতিক উত্থান, মন্ত্রিত্ব বাঁচানো, দাদাগিরি করা, অপকর্মের ছাড়পত্র নেওয়া আর মমতা-অভিষেকের গুডবুকে থাকতেই উনি (উদয়ন গুহ) বাবাকেও চোর বলে চিৎকার করছেন। শুভেন্দু বলেন, এটাই তৃণমূলের নয়া সংস্কৃতি।

    দিন দুয়েক আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে উদয়ন (Udayan Guha) বলেন, আমি আবারও বলছি, বাম আমলে কোটা সিস্টেম ছিল। সেই সিস্টেমে বাম আমলে চাকরি হয়েছে। ফরওয়ার্ড ব্লক তার ভাগ পেয়েছে। কোচবিহারের জেলা সম্পাদক হিসেবে বাবাকেও সেই লিস্ট এনডোর্স করতে হয়েছে। তিনি বলেন, এরপর আমি যখন জেলা সম্পাদক ছিলাম তখন আমাকেও এনডোর্স করতে হয়েছে। জেনেবুঝেই করেছি। ভাল প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও দলের স্বার্থেই এটা করতে হয়েছে। তাদের চাকরি দিতে হয়েছে। আবারও বলছি, সুযোগ পেলে দলের ছেলেদের চাকরি এখনও আমরা দিই।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে

    দলবদলু উদয়ন বলেন, আমি মন্ত্রী হিসেবে দলের তিনজনকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করেছি। যদিও কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিশানা করেন উদয়নকে। তিনি বলেন, এই পৃথিবীর আলো যিনি দেখিয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে এভাবে বলা যায় না। তিনি স্বর্গত। তিনি এর সাফাই দিতে পারবেন না। তিনি এর কাউন্টারও করতে পারবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tehatta: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে

    Tehatta: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর এবার তৃণমূলেরই (TMC) তাপস সাহা (Tapas Saha)। তেহট্টের (Tehatta) এই বিধায়কের নামে স্কুল ও পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) পাশাপাশি দমকলে চাকরি দেওয়া নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে আসে একটি অডিও ক্লিপ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার তাপসের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি তাপসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তৃণমূলের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা করার আগে তরুণজ্যোতি অনুমতি চান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।

    অভিযুক্ত তাপস সাহা (Tapas Saha)…

    বিচারপতি মান্থার অনুমতি মিলতেই দায়ের হয় মামলা। মঙ্গলবার ফের বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এর আগে অভিযুক্ত হয়েছেন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই একই অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূলেরই মানিক ভট্টাচার্য। এর পর ওই কেলেঙ্কারিতেই নাম জড়াল তাপসেরও। সরকারি দফতর (Tehatta) ও স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল তাপসের বিরুদ্ধে। দিন দুয়েক আগে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতিই একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনে দাবি করেছিলেন দমকল বিভাগে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা চেয়েছেন তাপস। তরুণজ্যোতির আরও দাবি ছিল, তৃণমূলেরই নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের বঙ্গজননীর সভানেত্রী টিনা ভৌমিক সাহার কাছ থেকেও তাপস চাকরি দেওয়ার নামে টাকা চেয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ ডিএ আন্দোলনকারীরা! লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে টিনাও বলেছিলেন, বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তাপস। তরুণজ্যোতি দাবি করেছিলেন, তাপস মূলত দমকলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন। বিষয়টি দুর্নীতিদমন শাখাকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ওই বিজেপি নেতা। এদিন সেই মামলা দায়েরই অনুমতি দেন বিচারপতি মান্থা। তার পরেই দায়ের হয় মামলা। দলের (Tehatta) একের পর এক নেতার নাম নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় বিব্রত তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে হেভিওয়েট এই নেতাদের বিরুদ্ধে দল এখনই কোনও জোরালো পদক্ষেপ করছে না বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: আমি চোর হতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর নন! কেন বললেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়?

    Mamata Banerjee: আমি চোর হতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর নন! কেন বললেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। দোসর গরু পাচারকাণ্ড। একের পর এক এই সব দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দলের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল সহ একাধিক নেতা এখন জেলের ঘানি টানছেন। ইডি, সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে শাসক দলের আরও একাধিক নেতা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। এই অবস্থায় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়? Mamata Banerjee

    খড়দহের দলীয় সভায় স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সব দলেই খারাপ লোক আছে। তারজন্য গোটা দল তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে না। আমি চোর হতে পারি, কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চোর নন। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)  খুব কাছ থেকে আমি দেখেছি। তিনি প্রাণ দিয়ে বাংলার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। আর এই বাংলাকে দেশের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজ্যে পরিণত করেছেন। মমতা ঘনিষ্ঠ এই মন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, তৃণমূল দলে যে চোর রয়েছে তা মন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দুর্নীতিতে জেরবার এই দলে কর্মীরা এখন বিভ্রান্ত হয়ে রয়েছেন। তাই, দলনেত্রী (Mamata Banerjee)  সত্ প্রচার করে কর্মীদের মনোবল চাঙা করার চেষ্টা করছেন। আর বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার জড়িত নয়। আর যারা জড়িত দল তাদের সমর্থন করেনি। বরং বহিষ্কার করেছে।

    দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন মন্ত্রীর ছেলে? Mamata Banerjee

    রাস্তাঘাটে সব জায়গায় তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চলছে। মন্ত্রীর ছেলে সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই সে কথা স্পষ্ট। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আপনারা (কর্মীদের উদ্দেশে) মনে করছেন, বাসে ট্রামে কী আলোচনা হচ্ছে। সব কিছুর ভাল, খারাপ রয়েছে। রামায়ণ, মহাভারতেও ভাল, খারাপ ছিল। যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মহামান্য আদালত। আর দলের কেউ হলে হাইকমান্ড (Mamata Banerjee) ব্যবস্থা নেবে। প্রত্যেকটি মানুষকে নিয়ে এখন মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তাদের পরিবারে লোকজন রয়েছে, সে কথা তারা ভাবছেন না।

    বিরোধীরা জোটবদ্ধভাবে তৃণমূলের দুর্নীতি (Scam) নিয়ে সরব হয়েছে। তার পাল্টা হিসেবে তৃণমূল নেতৃত্ব সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি সহ একাধিক উদাহরণ তুলে ধরে বাম আমলেও দুর্নীতি হয়েছে বলে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, তাতে কর্মীদের মনোবল চাঙা হচ্ছে না তা শাসক দলের নেতারা হারে হারে টের পাচ্ছেন। বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণে কর্মীরা পাল্টা কীভাবে মোকাবিলা করবেন তার রূপরেখা দলের অন্দরেই নেই। এই অবস্থায় মন্ত্রী তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কর্মীদের চাঙা করতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc: বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে কর্মী সম্মেলন! কোথায় জানেন?

    Tmc: বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে কর্মী সম্মেলন! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসক দলের নেতা কর্মীরা সম্মেলন করবেন, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে একটি অনুষ্ঠান ভবনে তৃণমূলের (Tmc) কর্মী সম্মেলন ঘিরে দলের কোন্দল একেবারেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কারণ, কর্মী সম্মেলনে ব্যানারে লেখা রয়েছে, কুলটি ব্লকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়পন্থী বঞ্চিত তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেস কর্মী। আসলে শাসক দলের ঝান্ডা নিয়ে বুক চিতিয়ে দল করে যারা দিনের পর দিন অসন্মানিত হয়েছেন, সেই সব বঞ্চিত নেতাদের নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঞ্চিত এই তৃণমূল (Tmc)  কর্মীদের সম্মেলন করা নিয়ে সরগরম আসানসোলে রাজনৈতিক মহল।

    কাদের নেতৃত্বে হল বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন? Tmc

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেসের কর্মীদের আলাদা করে কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। মূলত, তৃণমূলেরই (Tmc) একটি অংশ কুলটিতে বঞ্চিত তৃণমূলের নাম দিয়ে একটি অনুষ্ঠান ভবনে কর্মী সম্মেলন করেন। রবিবার বঞ্চিত কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুলটি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিমান আচার্য্য, রাজ্যের প্রাক্তন যুব সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন কুলটি পুরসভায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাচ্চু রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলার রাজা চট্টোপাধ্যায় এবং ব্লকের প্রাক্তন নেতা সহ কয়েকশো কর্মী সমর্থকরা। এদিন কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা প্রকাশ্যে বলেন, এখন কুলটি ব্লকের যারা তৃণমূলের (Tmc)  দায়িত্বে আছেন তারা আমাদের মতো পুরোনো কর্মীদের কোনো পাত্তা দেন না। এই কথা জেলার নেতৃত্বদের বার বার বলেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকী আমাদের কোনও মিটিং মিছিলে পর্যন্ত ডাকা হয়না। কুলটিতে এখন কিছু চোর ডাকাতদের নিয়ে সংগঠন চলছে। এই নীতি মেনে নেওয়া যাবে না। এই কারণে বারবার কুলটি বিধানসভায় প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেসকে হারতে হয়। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আর দলের স্বার্থে আগামীদিনে বঞ্চিত কর্মীদের নিয়ে তৃণমূল ভবন এবং নবান্ন অভিযান করা হবে বলে তাঁরা জানান। এমনকী কুলটিতে তৃণমূলের (Tmc)  দলের এই দুর্দশার অবস্থা দলের সুপ্রিমোকে জানানো হবে।

    এই সম্মেলন নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার চেয়ারম্যান? Tmc

    বঞ্চিত তৃণমূল (Tmc) কর্মীদের এই সম্মেলনের বিষয়টি দলীয় নেতৃত্ব ভালোভাবে নেননি। কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের (Tmc) পশ্চিম বর্ধমান জেলার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, যারা এসব করছে, তারা সামনে দল করার কথা বললেও পিছনে সব বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রয়েছে। পুরানো কর্মীদের কাউকে বঞ্চনা করা হয় না। আমরা সব সময় বলছি, সকলে একসঙ্গে মিলে দল করতে চাই। কিন্তু, এভাবে কর্মী সম্মেলন করে দলকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। পরোক্ষে বিরোধীদের হাতকে ওরা শক্ত করছে। এসব না করে ওরা মন দিয়ে তৃণমূল দলটা করুক, আমরা এটা চাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake: পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান জাল করে অবাধে চলছে বিক্রি! কোথায় জানেন?

    Fake: পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান জাল করে অবাধে চলছে বিক্রি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিল্ডিং প্ল্যান এর নকশা জাল (Fake) করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরুলিয়া পুরসভায়। পুরসভার কর্মীদের একাংশ এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন  এর সদস্যরা  সরব হয়েছেন। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে তাঁরা পুরসভার চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। আর এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কীভাবে বিল্ডিং প্ল্যান জাল করা হচ্ছে? Fake

    পুরসভা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাধ্যমে বিল্ডিং প্ল্যান তৈরি করা হয়। সংগঠনের সদস্যরা বলেন, বিল্ডিং প্ল্যান করে যারা পুরসভায় জমা দিচ্ছে, সেই প্ল্যানের নথি আলাদা করে কপি করে সেই প্ল্যানে নতুন নাম, প্লট নম্বর দিয়ে জাল (Fake)  প্ল্যান তৈরি করে অন্য ব্যক্তিকে কম টাকায় সেই প্ল্যান বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।  এমনকী সেই প্ল্যান পুরসভা থেকে পাশও করানো হচ্ছে। আমাদের কাছে তার প্রমাণও রয়েছে। এসব করে পেশাগত কাজে বাধা সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর পুরসভার কর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরেই এই বেআইনি কাজ চলছে। কারণ, প্ল্যান পাশ হয়ে যাওয়ার পর সে প্ল্যানের নকশা যখন অ্যাপসে  আপলোড হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে তাদের করা নকশা অন্য ব্যক্তির প্ল্যানে পাশ করানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বামাপদ পুইতন্ডি বলেন,  পুরসভার কর্মী ছাড়া এই ধরনের জালিয়াতি (Fake) কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।  কারণ, আমাদের তৈরি প্ল্যান পুরসভায় জমা পড়ে। সেই জমা পড়া প্ল্যান থেকে জালিয়াতি করা হচ্ছে। পুরসভার চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামীদিনে থানা ও আদালতে যাব।

    কী বললেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা? Fake

    এই বিষয়ে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা থেকে প্ল্যান চুরি হয়ে যাচ্ছে, এটা ভাবা যায় না। পুরসভার প্ল্যান বিভাগে যারা রয়েছেন, তাঁদের সকলকে শোকজ করা দরকার। এই ধরনের বেআইনি কাজের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। পুরসভার বৈঠকে আমরা এই বিষয়টি তুলব।  

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান? Fake

    এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। প্ল্যান বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরসভায় এই ধরনের বেআইনি কাজ কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুইয়ের (Bogtui) ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘শাসক দল খুন করল, আবার তারাই শহিদদের স্মরণ করল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ের (Bogtui) নিহত সংখ্যালঘুদের নিয়ে নীরব থাকলেন।’’ বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরই আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কী করিনি ওদের জন্য। চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি, সমাজিক প্রকল্পের সুযোগ দিয়েছি। তারপরেও ওরা অন্য দলের সংস্পর্শে যাচ্ছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের বগটুইয়ে (Bogtui) গত বছরের ২১ মার্চ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ১০ জনের। ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তার এক বছর পার। নিহতদের স্মরণ করতেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। প্রথমে শহিদ বেদি তৈরি করে বিজেপি। তার কাছেই আবার রাতারাতি শহিদ বেদি তৈরি করে তৃণমূলও। পরে সেখানে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। বগটুইয়ে (Bogtui) আমরা বিগত নির্বাচনে মাত্র ১৭টি ভোট পেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে আগামী দিনেও নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব আমার।’’ সেদিনই বগটুই গ্রামের শহিদ বেদি সংলগ্ন মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য শহিদ পরিবারের সদস্যদেরও। এমনকী নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখকেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মমতার আক্ষেপ

    বীরভূম নিয়ে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানান বগটুই (Bogtui) নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মমতা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বগটুইয়ের বাসিন্দারা এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগের কারণ। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে বীরভূমের বাসিন্দারা এখনই জবাব দিয়ে দেবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share