Tag: tmc

tmc

  • Manish Kothari: গরু পাচারের টাকা-পয়সা কোথায়, সব জানেন মণীশ! দাবি ইডির

    Manish Kothari: গরু পাচারের টাকা-পয়সা কোথায়, সব জানেন মণীশ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় আবার অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে (Manish Kothari) মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে ইডি। মণীশকে আরও ৫ দিন ইডির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ফলে আগামী সোমবার পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতেই থাকবেন মণীশ। 

    সব জানেন মণীশ

    ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন গরু পাচারকাণ্ডের টাকা-পয়সার যাবতীয় তথ্য জানেন তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন ED-র আইনজীবী। মঙ্গলবারই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি।  তাঁকে জেরা করে গরু পাচারকাণ্ডের টাকা কোথায় যায়, সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    কে এই মণীশ

    জানা গিয়েছে, মণীশ(Manish Kothari) বোলপুরের এক ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে তাঁর ছোট থেকেই আগ্রহ ছিল। কিন্তু, মণীশ ব্যবসায়ী হতে চাননি। হিসাব রক্ষক হিসেবে তাঁর কেরিয়ার তৈরি করেন মণীশ। বীরভূমের ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায় ২০১১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবের কাজে হাত লাগান মণীশ। ধীরে ধীরে বীরভূমের এই নেতার অন্যতম বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুধু অনুব্রত নয়, তাঁর মেয়ের একাধিক সংস্থার হিসাব দেখার দায়িত্ব ছিল মণীশের উপরেই।

    আরও পড়ুন: সুকন্যাকে ফের হাজিরার নির্দেশ! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে দিল্লিতে তলব ইডির

    কেঁদে ফেলেন মণীশ

    এদিন এই মামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেঁদে ফেলেন মণীশ (Manish Kothari)। তিনি বলেন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়ে কাজ করাটাই তাঁর ভুল! এদিন ইডির আইনজীবী মণীশ কোঠারিকে হেফাজতে চেয়ে বলেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক। অনুব্রতর হয়ে তিনি এই অপরাধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন! অনুব্রতর হয়ে একাধিক শেল কোম্পানি তৈরির পাশাপাশি কর্মীও নিয়োগ করতেন তিনি। মণীশ সব জানেন। শুধু অনুব্রতই নন, সায়গল হোসেনের হয়েও তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন! এরপর মণীশের (Manish Kothari) আইনজীবী বলেন, তিনি কোনও অপরাধী নন। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন মাত্র। তাঁকে ইডি যখনই ডেকেছে, হাজিরা দিয়েছেন। পরবর্তীকালেও সহযোগিতা করবেন। তিনি অসুস্থ। গ্রেফতার করার প্রয়োজন ছিল না। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Meeting: পুরসভার বোর্ড মিটিং ওয়াকআউট ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্যের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Meeting: পুরসভার বোর্ড মিটিং ওয়াকআউট ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্যের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টিটাগড়ের পর এবার ভাটপাড়া পুরসভা। বোর্ড মিটিংয়ে (Meeting) ভাটপাড়ার পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পুরসভার বোর্ড মিটিং (Meeting)  ওয়াক আউট করলেন ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৩ মার্চ টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিলের নেতৃত্ব ১৩ জন কাউন্সিলর বোর্ড মিটিং (Meeting)  ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দলীয় কোন্দলের বিষয়টি জানতে পেরে জেলা নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে। চেয়ারম্যানের ডানা ছেঁটে ৯ জনের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। টিটাগড় পুরসভার মতো এবার বিদ্রোহ আছড়ে পড়ল ভাটপাড়ায়। কিছুদিন আগেই জিলিবি মাঠে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এমনকী দাবি আদায়ে তাঁরা রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু, এখনও সেই দাবি পূরণ হয়নি।  ফলে, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের একাংশ ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। বুধবারের ঘটনা সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল। প্রতি মাসের মতো এদিন পুরসভায় বোর্ড মিটিং (Meeting)  ডাকা হয়। সেখানে চেয়ারপার্সন রেবা রাহা, ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ এবং অমিত গুপ্তা, অরুণ ব্রহ্ম, নুরেজামাল, হিমাংশু সরকারসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মিটিং (Meeting)  শুরু হওয়ার পর পরই পাঁচজন সিআইসি সদস্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।

    বোর্ড মিটিংয়ে কী নিয়ে এত বিদ্রোহ? Meeting

    কিছুদিন আগেই আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তাদের তালিকা নিয়ে পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে সিআইসি সদস্য অরুণ ব্রহ্মের বাগবিতন্ডা হয়। তাঁকে ওই ইঞ্জিনিয়র হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে তিনি দরবার করেন। অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আর্জি জানান। কিন্তু, বেশ কিছুদিন হয়ে যাওয়ার পরও ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে, সিআইসি অরুণ ব্রহ্ম ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। এদিন বোর্ড মিটিং (Meeting) শুরু হতেই পুরসভার সিআইসি সদস্য অরুণ ব্রহ্ম বলেন, পুরসভার এক আধিকারিক আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হলে আমি এই মিটিংয়ে (Meeting)  থাকব না। তিনি বক্তব্য রাখার সঙ্গে সঙ্গে অন্য সিআইসিরা তাঁকে সমর্থন করেন। এমনকী ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পাঁচজন সিআইসি সদস্যের সঙ্গে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের এক বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, পুরসভায় চেয়ারপার্সন রেবা রাহার অনেক বয়স। তিনি পুরসভা ঠিকমতো করে চালাতে পারেন না। তাঁর ছেলে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও তাঁর ভাই পুরসভা চালান। পুরসভায় আমাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সিআইসি সদস্যদের কোনও মান সন্মান নেই। তাই, বোর্ড মিটিং (Meeting) থেকে সবাই বেরিয়ে যান। অন্যদিকে, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, পুরসভার একজন কর্মীকে নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। সামান্য বিষয়। সমস্ত বিষয়টি মিটে যাবে। দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    Mamata Banerjee: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতিতে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা রাজ্যের তৃণমূল (TMC) সরকারের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কর্মসংস্থানকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নের সভাঘরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন অন্য মন্ত্রীরাও। আর ছিলেন শিল্পপতিরা। এখানেই মমতা জানান, আগামিদিনে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অবাক হয়ে যাবেন, এমএসএমই সেক্টরে ১ লক্ষ ১৪ হাজার লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর পরেই তিনি জানান, আগামিদিনে এই ক্ষেত্রে চাকরি হবে ৪১ লক্ষ মানুষের। তিনি বলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১ কোটি মানুষের চাকরি হয়েছে। কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নিজেদের দফতর করছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে ৩০ হাজার মানুষের কাজ হবে। মমতা বলেন, শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হয়।

    কর্মসংস্থানই হাতিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)…

    এদিনের বৈঠকেই ঘোষণা করে দেওয়া হয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলেনর নির্ঘণ্ট। ২১-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ওই সম্মেলন। রাজ্যের শিল্প ও ইকোনমিক করিডর নিয়ে প্রচারের জন্য মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান তুলে ধরতে রাজ্যে মেট্রো কোচ নির্মাণ শিল্প, ওয়াগন শিল্প, খড়্গপুরে হতে চলা টাটা-হিটাচির কারখানার কথাও এদিনের বৈঠকে উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, টাটা ও হিটাচি জামশেদপুর থেকে চলে আসছে পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে। এদিনের বৈঠকে দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গও ওঠে। দিন কয়েক আগে রাজ্যে পোস্ত চাষের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের সেই প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, এখানকার কৃষকরা পোস্ত চাষ করলে লাভবান হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই বিনিয়োগের নিরিখে বাংলাকে দেশের শীর্ষ স্থানে নিয়ে যাওয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বিনিয়োগ টানতে এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয়ভাবে শিল্পোন্নয়ন বোর্ডও তৈরি করে রাজ্য। এর দায়িত্বে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বিনিয়োগ টানতে ফি বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হয়। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে হওয়া ওই সম্মেলন শেষে শোনা যায় এত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে, তত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, তার পরেও যে কাজের কাজ কিছু হয় না, রাজ্যের বেকারত্বের লেখচিত্র দেখলেই তা স্পষ্ট হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santanu Banerjee: এবার চাকরি থেকে সাসপেন্ড ‘চাকরি-বিক্রি’ চক্রের কান্ডারি শান্তনু

    Santanu Banerjee: এবার চাকরি থেকে সাসপেন্ড ‘চাকরি-বিক্রি’ চক্রের কান্ডারি শান্তনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা আগে তাড়িয়েছিল দল। এবার সাসপেন্ড করল কর্মক্ষত্রও। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হুগলির যুব তৃণমূল (Tmc) নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Santanu Banerjee) সাসপেন্ড করল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ (State Electricity Board)। বুধবার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শান্তনুকে সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয়। এই পর্ষদের কর্মী ছিলেন শান্তনু। বলাগড়ের সোমড়াবাজারের কোলড়া মোড়ে তাঁর অফিস। তাঁর বাবা জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মী। ২০০৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর সেই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন হেড ক্লার্ক। গ্র্যাজুয়েট না হওয়ায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি পান শান্তনু। প্রথমে চাকরি করতেন খানাকুলে। পরে চলে আসেন বাড়ির কাছে সোমড়াবাজারে।  

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee) উত্থান…

    স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে হুগলি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হন শান্তনু (Santanu Banerjee)। নেতা হওয়ার পর তাঁকে নিয়মিত অফিস যেতে দেখা যেত না। এলাকাবাসীর কয়েকজন বলেন, নেতা হওয়ার পর কালো এসইউভি চড়ে অফিসে যেতেন শান্তনু। সব সময় সঙ্গে থাকতেন ৪-৫ জন নিরাপত্তারক্ষী। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারকেশ্বরের জেলা পরিষদ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। হন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষও।

    আরও পড়ুুন: আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    সোমড়াবাজার বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কর্মীরা জানান, গ্রুপ ডি পদে চাকরি করতেন শান্তনু। মূলত বাড়ি গিয়ে মিটার পরীক্ষা করে বিল দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। যদিও সেই কাজ করতে তাঁকে দেখেননি কেউ। দফতরের এক কর্মী বলেন, উনি জীবনে কোনওদিন হাতে কলমে কাজ করেননি। মাসে একবার অফিসে আসতেন। লগবুকে সই করে বেরিয়ে যেতেন। অনেক সময় লগবুক তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যেত। এভাবেই প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন তুলতেন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার চার দিনের মাথায় শান্তনুকে (Santanu Banerjee) বহিষ্কার করে তৃণমূল। এবার সাসেপেন্ড করল বিদ্যুৎ পর্ষদও। এদিন শুধু সাসেপেন্ড নয়, শান্তনুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন  রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি যাওয়ার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে। আর যাঁরা দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, চাকরি না পেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, যোগ্য হয়েও পুলিশের লাঠি খেয়েছেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত নন।”

    সুকান্তর সওয়াল

    আদালতে ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির পরিমাণ ৩৫০ কোটি! এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘এটা গুনতে থাকুন শেয়ার মার্কেটের মতো বাড়বে। যত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ধরা পড়বে এটা হাজার কোটির উপরে যাবে। তাপস বলেছে কুন্তল দোষী, কুন্তল বলছে শান্তনু দোষী, একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে।’

    প্রসঙ্গত, ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলিপুর আদালত চত্বরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতে কিছু মামলায় তিনি নিজেই সওয়াল করবেন বলে ভাবছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই প্রসঙ্গে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আদালতে সওয়াল করতে চাইলে তা স্বাগত। কিন্তু চাইব তিনি চাকরি না-পাওয়া যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে কোর্টে সওয়াল করুন।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    এদিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এখন রোজ কথায় কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ। ৪ হাজার চাকরি বাদ! কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে, সংশোধনের সুযোগ পাওয়া উচিত।’’ তিনি বলেন, “আমি জীবনে জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!’’ মমতা আরও বলেন, “হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী! আমি বলছি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, ছেলে মেয়েগুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাঁদের চাকরি আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।” কিন্তু বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক, অযোগ্য ব্যক্তিদের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সওয়াল আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পাখির চোখ পঞ্চায়েতে! রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুভেন্দুদের, ইস্যু কী কী?

    Suvendu Adhikari: পাখির চোখ পঞ্চায়েতে! রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুভেন্দুদের, ইস্যু কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। তার আগে গণ আন্দোলন শুরু করতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই আন্দোলন শুরু হবে উত্তরবঙ্গ দিয়ে। শুভেন্দু বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চুকলেই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। তিনি বলেন, আলুর অভাবি বিক্রি থেকে শুরু করে চা বাগান ও অরণ্য ধ্বংসের বিরোধিতা করে উত্তরবঙ্গ থেকে আন্দোলন শুরু হবে।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আলু চাষিরা নূন্যতম দাম পাচ্ছেন না। সম্প্রতি, গড়বেতা থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রাস্তায় আলু চাষিরা ফসলের দাম না পেয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাস্তায় আলু ঢেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। অভাবি বিক্রি বাড়ছে। সরকারের ঘোষিত সহায়ক মূল্যে আলু কিনে নেওয়া, এর পাশাপাশি তাদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন হবে। তিনি (Suvendu Adhikari) জানান, এই ইস্যুতে বিধানসভার বাইরেও আলু নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    আলুর পাশাপাশি চা বাগান, বনভূমি ধ্বংস করে আবাসন তৈরির বিষয়েও সোচ্চার হবে বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে তিনি এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন শুরু করবেন। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, চা বাগানের অতিরিক্ত জমি টি ট্যুরিজমের নামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। চা বাগানের লিজ দেওয়া জমিকে ফ্রি হোল্ড করার আইনি বৈধতা দিতে সরকার সম্প্রতি যে বিল পাশ করিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হল চা বাগানের জমিকে বাইরের ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া। এতে চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে কৌশলে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছি আমরা।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিও যে বিজেপির হাতিয়ার হতে চলেছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। সোমবার নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে যুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ছবি ও নামের তালিকা নিয়ে বিধানসভার বাইরে প্রদর্শনী করেন পদ্ম-বিধায়করা। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতা এই দুর্নীতিতে যুক্ত। রাজ্যের মানুষের কাছে আমরা এই প্রদর্শনী তুলে ধরব।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। ৩ মার্চ মধ্য রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কৌস্তুভ বাগচির (Kaustav Bagchi) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, অধীরের কন্যার আত্মহত্যা ও তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা তিনি জানেন। তিনি মুখ খুললে বিপদ হবে। এর পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ (Kaustav Bagchi)। সেই সময় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে কৌস্তুভ মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। কৌস্তুভের মন্তব্য প্ররোচনামূলক বলে উল্লেখ করে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ দায়ের হয় ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ।  

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    ওই দিন মধ্য রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে পরের দিন সকালে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতাকে। গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। ওই দিন বিকেলেই অবশ্য জামিন পান তিনি। ১০০০ টাকার বন্ডে কৌস্তুভকে জামিন দেন বিচারক। জামিন পাওয়ার পর মস্তক মুণ্ডন করেন এই কংগ্রেস নেতা। বলেন, যত দিন না মমতার সরকারকে উৎখাত করছি, ততদিন মাথায় চুল রাখব না।

    প্রসঙ্গত, ওই দিন কৌস্তুভের (Kaustav Bagchi) হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতার জামিনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, পুলিশ মাঝরাতে বাড়ি চলে যাচ্ছে। এ বার তো বিচারকদের বাড়িও চলে যাবে। আগাম কোনও নোটিশ ছাড়াই পুলিশ কীভাবে কৌস্তুভকে গ্রেফতার করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিকাশ। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মধ্যরাতে অভিযুক্তের বাড়ি গেল কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁকে সাসপেন্ড করা হলেও বহিষ্কার করা হয়নি। যেমন বহিষ্কার করা হয়নি পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বহাল তবিয়তে রয়েছেন দলে। তবে এঁদের মতো ‘কপাল’ নয় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হুগলির দুই তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের। মঙ্গলবার তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    তৃণমূলের (TMC) শাস্তির খাঁড়া…

    এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই দুই নেতার বহিষ্কারের খবর জানান। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শশীর পাশে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শশী বলেন, আমরা বরাবর বলে এসেছি, আমরা এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। শশী বলেন, তৃণমূল (TMC) কখনওই দোষীদের সমর্থন করেনি। বরং তারা চায় এই দুর্নীতির তদন্তে গতি আসুক। দ্রুত এর সমাধান হোক। এই প্রক্রিয়ায় যাঁদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, দল তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করছে। তিনি বলেন, এখানেই অন্যান্য দলের সঙ্গে তৃণমূলের ফারাক। তৃণমূল অভিযুক্তদের সমর্থন করে না। অথচ বিজেপিকে দেখা গিয়েছে, স্পষ্টতই তাদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের জামিনের জন্য তদ্বির করতে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    শশীর দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক দল জড়িত। বহু নেতা বিধানসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন তোমায় জেলে ভরে দেব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দুর্নীতি সহ্য করতে করে না। শশী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে রোজ নিয়ম করে সিবিআই-ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বদনাম করার চেষ্টা চলছে, তাতে আপত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, একটা কথা মানতে হবে, তা হল যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা কিন্তু তৃণমূলের কোনও পার্টি অফিস (TMC) থেকে হয়নি। তা উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে। শশী বলেন, কারও বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলে, তার দায় দলের নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানিকাণ্ডে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়ার দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবির পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর মোদি সরকারের সমালোচনাকে। তার জেরে দু পক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। যার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল যখন সংসদে হইহট্টগোল করছে, সেই সময় ওই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা।

    উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)…

    এদিন অধিবেশনে রাহুলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, এক সংসদ সদস্য (পড়ুন রাহুল গান্ধী) যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ (Parliament) চুপ থাকতে পারে না। রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দেশের সমস্ত সাংসদ যাতে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসও। বিজেপির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর দলের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি! এ নিয়ে দু পক্ষে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    এদিকে, দ্বিতীয় দফার (Parliament) অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির, এনসিপি সহ ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস বিরোধী আম আদমি পার্টিও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে। এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। তাতে যোগ দেয় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিআরএসও। তবে এখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিরোধী ঐক্য যেন না থাকে, মোদির যেন সুবিধে হয়, এটাই করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বিরোধীদের কোনও ঐক্য নেই। কখনও হবেও না। মোদিই থাকবেন। ওরা নিজেদের ঘর বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে। সোমবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভার স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। সেখান থেকে বেরিয়েই এই হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দলবদলু মুকুল রায়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানোর দাবিতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুমকি…

    এদিন স্পিকারের ঘর থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, মুকুল রায় সম্পর্কে অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি (মুকুল) বিজেপিতেই রয়েছেন। তেমনি বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কেও অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করুন। শুভেন্দু বলেন, এতে আমাদের কোর্টে যেতে সুবিধা হবে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। বিজেপির প্রতীক থাকায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন তিনি। তার পরেই দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। তা সত্ত্বেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান মুকুল রয়েছেন বিজেপিতেই। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে মুকুল জানান, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল একা নন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে দলবদলুর তালিকা। এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, সুমন কাঞ্জিলাল সহ আরও কয়েকজন। এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির টিকিটে জিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। একুশের বিধানসভা নি্র্বাচনে ৭৭টি আসন পায় বিজেপি। যদিও পদ্ম শিবির ছেড়ে যাওয়ায় বিধানসভায় এখন বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৬৯। বিজেপি ছেড়ে যাঁরা শাসক শিবিরে গিয়ে ভিড়েছেন, তাঁদের অবস্থান জানতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share