Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: পাখির চোখ পঞ্চায়েতে! রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুভেন্দুদের, ইস্যু কী কী?

    Suvendu Adhikari: পাখির চোখ পঞ্চায়েতে! রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুভেন্দুদের, ইস্যু কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। তার আগে গণ আন্দোলন শুরু করতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই আন্দোলন শুরু হবে উত্তরবঙ্গ দিয়ে। শুভেন্দু বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চুকলেই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। তিনি বলেন, আলুর অভাবি বিক্রি থেকে শুরু করে চা বাগান ও অরণ্য ধ্বংসের বিরোধিতা করে উত্তরবঙ্গ থেকে আন্দোলন শুরু হবে।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আলু চাষিরা নূন্যতম দাম পাচ্ছেন না। সম্প্রতি, গড়বেতা থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রাস্তায় আলু চাষিরা ফসলের দাম না পেয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাস্তায় আলু ঢেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। অভাবি বিক্রি বাড়ছে। সরকারের ঘোষিত সহায়ক মূল্যে আলু কিনে নেওয়া, এর পাশাপাশি তাদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন হবে। তিনি (Suvendu Adhikari) জানান, এই ইস্যুতে বিধানসভার বাইরেও আলু নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    আলুর পাশাপাশি চা বাগান, বনভূমি ধ্বংস করে আবাসন তৈরির বিষয়েও সোচ্চার হবে বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে তিনি এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন শুরু করবেন। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, চা বাগানের অতিরিক্ত জমি টি ট্যুরিজমের নামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। চা বাগানের লিজ দেওয়া জমিকে ফ্রি হোল্ড করার আইনি বৈধতা দিতে সরকার সম্প্রতি যে বিল পাশ করিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হল চা বাগানের জমিকে বাইরের ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া। এতে চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে কৌশলে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছি আমরা।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিও যে বিজেপির হাতিয়ার হতে চলেছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। সোমবার নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে যুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ছবি ও নামের তালিকা নিয়ে বিধানসভার বাইরে প্রদর্শনী করেন পদ্ম-বিধায়করা। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতা এই দুর্নীতিতে যুক্ত। রাজ্যের মানুষের কাছে আমরা এই প্রদর্শনী তুলে ধরব।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। ৩ মার্চ মধ্য রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কৌস্তুভ বাগচির (Kaustav Bagchi) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, অধীরের কন্যার আত্মহত্যা ও তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা তিনি জানেন। তিনি মুখ খুললে বিপদ হবে। এর পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ (Kaustav Bagchi)। সেই সময় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে কৌস্তুভ মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। কৌস্তুভের মন্তব্য প্ররোচনামূলক বলে উল্লেখ করে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ দায়ের হয় ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ।  

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    ওই দিন মধ্য রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে পরের দিন সকালে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতাকে। গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। ওই দিন বিকেলেই অবশ্য জামিন পান তিনি। ১০০০ টাকার বন্ডে কৌস্তুভকে জামিন দেন বিচারক। জামিন পাওয়ার পর মস্তক মুণ্ডন করেন এই কংগ্রেস নেতা। বলেন, যত দিন না মমতার সরকারকে উৎখাত করছি, ততদিন মাথায় চুল রাখব না।

    প্রসঙ্গত, ওই দিন কৌস্তুভের (Kaustav Bagchi) হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতার জামিনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, পুলিশ মাঝরাতে বাড়ি চলে যাচ্ছে। এ বার তো বিচারকদের বাড়িও চলে যাবে। আগাম কোনও নোটিশ ছাড়াই পুলিশ কীভাবে কৌস্তুভকে গ্রেফতার করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিকাশ। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মধ্যরাতে অভিযুক্তের বাড়ি গেল কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁকে সাসপেন্ড করা হলেও বহিষ্কার করা হয়নি। যেমন বহিষ্কার করা হয়নি পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বহাল তবিয়তে রয়েছেন দলে। তবে এঁদের মতো ‘কপাল’ নয় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হুগলির দুই তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষের। মঙ্গলবার তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    তৃণমূলের (TMC) শাস্তির খাঁড়া…

    এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই দুই নেতার বহিষ্কারের খবর জানান। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে শশীর পাশে ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শশী বলেন, আমরা বরাবর বলে এসেছি, আমরা এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। শশী বলেন, তৃণমূল (TMC) কখনওই দোষীদের সমর্থন করেনি। বরং তারা চায় এই দুর্নীতির তদন্তে গতি আসুক। দ্রুত এর সমাধান হোক। এই প্রক্রিয়ায় যাঁদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, দল তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করছে। তিনি বলেন, এখানেই অন্যান্য দলের সঙ্গে তৃণমূলের ফারাক। তৃণমূল অভিযুক্তদের সমর্থন করে না। অথচ বিজেপিকে দেখা গিয়েছে, স্পষ্টতই তাদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের জামিনের জন্য তদ্বির করতে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    শশীর দাবি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে বহু রাজনৈতিক দল জড়িত। বহু নেতা বিধানসভায় প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন তোমায় জেলে ভরে দেব। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দুর্নীতি সহ্য করতে করে না। শশী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে রোজ নিয়ম করে সিবিআই-ইডি তল্লাশি চালিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বদনাম করার চেষ্টা চলছে, তাতে আপত্তি রয়েছে। তিনি বলেন, একটা কথা মানতে হবে, তা হল যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা কিন্তু তৃণমূলের কোনও পার্টি অফিস (TMC) থেকে হয়নি। তা উদ্ধার হয়েছে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে। শশী বলেন, কারও বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হলে, তার দায় দলের নয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানিকাণ্ডে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়ার দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবির পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর মোদি সরকারের সমালোচনাকে। তার জেরে দু পক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। যার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল যখন সংসদে হইহট্টগোল করছে, সেই সময় ওই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা।

    উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)…

    এদিন অধিবেশনে রাহুলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, এক সংসদ সদস্য (পড়ুন রাহুল গান্ধী) যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ (Parliament) চুপ থাকতে পারে না। রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দেশের সমস্ত সাংসদ যাতে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসও। বিজেপির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর দলের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি! এ নিয়ে দু পক্ষে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    এদিকে, দ্বিতীয় দফার (Parliament) অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির, এনসিপি সহ ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস বিরোধী আম আদমি পার্টিও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে। এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। তাতে যোগ দেয় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিআরএসও। তবে এখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিরোধী ঐক্য যেন না থাকে, মোদির যেন সুবিধে হয়, এটাই করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বিরোধীদের কোনও ঐক্য নেই। কখনও হবেও না। মোদিই থাকবেন। ওরা নিজেদের ঘর বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে। সোমবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভার স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। সেখান থেকে বেরিয়েই এই হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দলবদলু মুকুল রায়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানোর দাবিতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুমকি…

    এদিন স্পিকারের ঘর থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, মুকুল রায় সম্পর্কে অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি (মুকুল) বিজেপিতেই রয়েছেন। তেমনি বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কেও অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করুন। শুভেন্দু বলেন, এতে আমাদের কোর্টে যেতে সুবিধা হবে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। বিজেপির প্রতীক থাকায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন তিনি। তার পরেই দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। তা সত্ত্বেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান মুকুল রয়েছেন বিজেপিতেই। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে মুকুল জানান, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল একা নন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে দলবদলুর তালিকা। এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, সুমন কাঞ্জিলাল সহ আরও কয়েকজন। এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির টিকিটে জিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। একুশের বিধানসভা নি্র্বাচনে ৭৭টি আসন পায় বিজেপি। যদিও পদ্ম শিবির ছেড়ে যাওয়ায় বিধানসভায় এখন বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৬৯। বিজেপি ছেড়ে যাঁরা শাসক শিবিরে গিয়ে ভিড়েছেন, তাঁদের অবস্থান জানতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের! কৃষকদের হয়ে সওয়াল শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের! কৃষকদের হয়ে সওয়াল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলুর বন্ড বিলি ঘিরে আলুচাষিদের (Potato Farmer) বিক্ষোভের ঘটনা বিধানসভা চত্বরে তুলল বিজেপি। বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বিজেপির সোনামূখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামীর ক্ষেতের আলু নিয়ে এই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিন বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আলু চাষিরা বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা ক্ষতিতে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। আমরা বিধানসভায় আজ এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। কিন্তু তার উত্তর সন্তোষজনক নয়। আমরা চাই সরকার যে এমএসপি ঘোষণা করেছে সেই এমএসপি মূল্যে আলু ক্রয় করতে হবে। এই বছরের শর্টটার্মের কৃষি ঋণ রাজ্য সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে।” বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আলু চাষিরা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের দাবি, ফলনে যে খরচা হচ্ছে সেই খরচায় তাঁদের পোশাচ্ছে না। আরও বেশি দাম আশা করেন তাঁরা। এমনকী সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কয়েকদিন আগে হুগলিতেও বড় মাপের বিক্ষোভ হয়েছিল।

    আরও পড়ুন:শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, শর্তসাপেক্ষে মিলল আদালতের অনুমতি

    চা-বাগান নিয়েও সওয়াল

    সোমবার বিধানসভার কৃষকদের অধিকারের দাবিতে বিধানসভার ভিতরে এবং পরে বিধানসভার বাইরেও বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বাধীন বিজেপির বিধায়কেরা। সেই বিক্ষোভে শুভেন্দু-সহ বিজেপির সমস্ত বিধায়কই হাজির হন হাতে আলু এবং গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে। শাসককে ধিক্কার জানিয়ে বিজেপি বিধায়করা বলেন, ‘‘এই সরকার শুধু চোর ডাকাতদের হাত মজবুত করতে জানে, কৃষকদের স্বার্থের কথা বললেই মুখে কুলুপ দেয়।’’ আলুচাষিদের পাশাপাশি শুভেন্দুদের (Suvendu Adhikari) বিক্ষোভে উঠে আসে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান এবং জঙ্গল কেটে আবাসন নির্মাণের প্রসঙ্গও।  শুভেন্দু বলেন, ‘‘জঙ্গল কেটে উষ্ণায়ন বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যাঁরা জঙ্গল কাটছেন, তাঁরা সরকারের তহবিল ভরছেন বলে তাঁদের কিছু বলা হচ্ছে না।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    Suvendu Adhikari: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন। এঁদের অনেকেই তৃণমূলের (TMC) নেতা-নেত্রীর আত্মীয়-পরিজন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই স্কুলের চাকরি জুটেছিল। এমনই দাবি করে চাকরি হারানো বেশ কয়েকজনের ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করল বিজেপি (BJP)। সোমবার ছিল এই পর্বে বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন। এদিনই বিধানসভার ২ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত ওই প্রদর্শনীতে অংশ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বিজেপির অন্য বিধায়করা।

    প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)…

    আদালতের নির্দেশে যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতর ভাই খোকন মাহাত। এদিন তাঁদের ছবি ছিল। ছবি ছিল তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্রর সঙ্গে তাঁর চাকরি খোয়ানো ভাগ্নির। চাকরি গিয়েছে বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতার ছেলেরও। রিষড়ার পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর চাকরি খোয়ানো স্ত্রীর ছবিও। এদিন যে ১২ জনের ছবি সম্বলিত পোস্টার দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রী, পঞ্চায়েত সদস্য এবং জেলা সভাপতির আত্মীয়দের নাম রয়েছে। রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইঝি বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নামও। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য এবং যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি নিজেই বেআইনিভাবে চাকরি নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে পোস্টারগুলিতে। এদিনের পোস্টার প্রদর্শনীতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা সহ বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এদিন থেকে শুরু হল এই প্রদর্শনী। রাজ্যের মানুষকে চেনানো হবে কোন চোরেদের তাঁরা মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা বানিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে নিজেদের অযোগ্য আত্মীয়-পরিজনদের চাকরি দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। রাজ্যের শাসক দলকে আরও গাড্ডায় ফেলতে কোমর কষে নামছে বিজেপি। এদিন সূচনা হল তারই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলার প্রতিটি পাড়ায় এই প্রদর্শনী করা হবে। লোককে দেখানো হবে এই হল মা-মাটি-মানুষের পার্টি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রাম দিবস। এদিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহিদ তর্পণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। নন্দীগ্রামের ওই সভায় বক্তৃতা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিজেপির দাবি, নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণের ওই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার পরেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পদ্ম শিবির। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি মান্থা তাদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় না পুলিশের…

    অবশ্য এই প্রথম নয়, শুভেন্দুর সভায় একাধিকবার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অতীতে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে একাধিক ইস্যুতে সভা করার ক্ষেত্রে বাধা এসেছে। যদিও শেষতক তাতে হার মানেনি গেরুয়া শিবির। হার মানেননি শুভেন্দু স্বয়ংও। এবারও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদ তর্পণ সভার অনুমতি না মেলায় ফের আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

    গত বছরও ১৪ মার্চ শহিদ তর্পণ উপলক্ষে একই জায়গায় আলাদা দুটি সভা করেছিল বিজেপি ও তৃণমূল। গোকুলনগরে পদযাত্রা করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর ওই দিনই সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এলাকায় সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের। তার পরেই শুরু হয় অশান্তি। শহিদ মঞ্চে মাল্যদান করার পর মূল মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, কে বক্তব্য রাখবেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছিল অশান্তি। পরে তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে।

    আরও পড়ুুন: মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকে ফি বছর ১৪ মার্চ দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। বরাবর এই কমিটির নেতৃত্বে থাকে তৃণমূল। পরে বিজেপিও দিনটি পালন করতে শুরু করে মর্যাদার সঙ্গে। এগারোর বিধানসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি হয়েছিল এই নন্দীগ্রামের আন্দোলন। যার জেরে অবসান ঘটে সাড়ে তিন দশকের বাম জমানার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিল নন্দীগ্রাম। কারণ এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে গোহারা হারান বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। সেই নন্দীগ্রামেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় না পুলিশের। তার জেরেই বিজেপির আদালত যাত্রা।

    এদিন অবশ্য শর্ত সাপেক্ষে সভার অনুমতি মেলে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, শুভেন্দুকে সভা শেষ করতে হবে দু ঘণ্টার মধ্যে। সভা করতে হবে সকাল ৮টা থেকে। তৃণমূলকে সাড়ে ১০টার মধ্যে সভার জায়গা খালি করে দিতে হবে। সভা করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। পরে ফের দল বদলে হাতে তুলে নেন তৃণমূলের ঝান্ডা। এর পরেই মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্পিকারের রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। দেশের শীর্ষ আদালত শুভেন্দুকে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলে। সেই মতো সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি পাঠায় সিঙ্গল বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলাটি রিলিজ হওয়ার পর শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ।

    তিনি তৃণমূল বিধায়ক, দাবি মুকুলের…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে আসা মুকুল রায়। বিধায়ক হওয়ার পর ওই বছরই ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। তার পরেই বিজেপির পরিষদীয় দল মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের দ্বারস্থ হন। গত ৮ জুন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মুকুল এখনও বিজেপিরই বিধায়ক। তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দিতে এসে মুকুল দাবি করেন, তিনি তৃণমূল বিধায়ক। মুকুলের এই দাবিতে যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসক দল।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) তখন অভিযোগ করেছিলেন, সংবিধানের দশম তফশিল পশ্চিমবঙ্গে অনুসৃত হয় না। প্রসঙ্গত, সংবিধানের দশম তফশিল অনুসারে, কোনও বিধায়ক দলবিরোধী আচরণ করছেন কি না, এবং সেই কারণে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে কি না, তা নির্ধারণের চূড়ান্ত অধিকার স্পিকারের। মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার বিরোধিতা করেও পৃথক একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছিল বিজেপি। তখনও পদ্ম শিবিরকে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার জেরেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলকে রুখতে সশক্তিকরণ অভিযান শুরু বিজেপির

    BJP: তৃণমূলকে রুখতে সশক্তিকরণ অভিযান শুরু বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির (BJP) বুথ সশক্তিকরণ অভিযান। এদিন বালুরঘাটে এই অভিযানের সূচনা করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সংগঠন শক্তিশালী করাই লক্ষ্য বিজেপির (BJP)…

    মাস দুয়েকের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনের কারণেই বাংলায় শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজন। প্রয়োজন তৃণমূলকে রুখে দেওয়া। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বঙ্গ বিজেপির সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় দলের বুথ পর্যায়ে সক্রিয়তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কম। সেই সব বুধে নতুন করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্ম শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ আসন। যদিও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি গেরুয়া শিবির। মাত্র ৭৭টি আসন পেয়েই থেমে গিয়েছিল বিজেপির (BJP) অশ্বমেধের ঘোড়া। সমীক্ষায় গেরুয়া শিবির দেখেছে, বিভিন্ন বুথে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি পদ্ম শিবির। সেই কারণেই শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গ বিজেপি। তার জেরেই হচ্ছে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান।

    ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ১৩ দিন ধরে চলা এই কর্মসূচিতে রাজ্যের সব সাংগঠনিক জেলায় বুথ স্তরে যাবেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা। এদিন দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খানপুর সংসদের ৮৮ নম্বর বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের সূচনা করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, বুথ আমাদের আগেও ছিল। এখনও আছে। এবার সেই বুথগুলিকে নতুন করে দেখা। নতুন লোক ঢোকানো। আরও শক্তিশালী করা। এই জন্যই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন, পরবর্তীকালে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত শক্তিশালী বুথ তৈরি করে লড়াই করা।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার গলা জড়িয়ে চটুল নাচ সুন্দরী নর্তকীর, টাকা ছড়াচ্ছেন নেতা, কোথায় দেখে নিন

    এদিন একই সঙ্গে নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি গিয়েছিলেন সোনাচূড়ার ২৭৮ নম্বর বুথে। শুভেন্দু বলেন, গোটা গ্রামে একজনও আমফানের টাকা পাননি। মোদিজি ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা তুলে নিয়েছে। ২৭৮ নম্বর বুথে একটাও শৌচালয় নেই। তিনি বলেন, এই গ্রামের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ১০টার মধ্যে একটা পাকা বাড়ি। উন্নয়ন শুধু মমতার পরিবারের হয়েছে। এদিন কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায় কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১ ও ৪৩ নম্বর বুথে যান বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share