Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের এক জনসভায় এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিএম ক্লাব থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিজেপি। এই মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। আলিপুরদুয়ার শহরে রেলের ফ্লাইওভারের পাশে রেলের মাঠে হয় প্রতিবাদ সভা। সেখানেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের দলবদলু বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকেও একহাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, একটি বোলেরো গাড়ি আর কিছু টাকার জন্য আপনি দল বদল করেছেন। ওই টাকা আপনি রাখতে পারবেন না। মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বার করব।

    শুভেন্দু উবাচ…

    বিজেপি রাজ্য ভাগের পক্ষে বলে প্রচার করছে তৃণমূল। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও দিন রাজ্য ভাগের কথা বলেনি। কেউ যদি এই বিষয়ে কিছু বলে থাকেন, তাহলে তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। এটা আমরা বারবার বলেছি।

    বিজেপির এই প্রতিবাদ সভায় জেলাশাসকদেরও একহাত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার হাইওয়ে তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিচ্ছে। আর সেই টাকার সুদ জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মোচ্ছবে খরচ করছেন। শুভেন্দু বলেন, আমি এই মঞ্চ থেকে জেলাশাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, এভাবে আপনারা এই টাকা খরচ করতে পারেন না।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনার হাত রয়েছে বলেও মনে করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, সুরেন্দ্র কুমার মিনা তৃণমূলের আসল জেলা সভাপতি। সুমন কাঞ্জিলালের সঙ্গে গত এক মাসে কতবার মিটিং করেছেন, তার সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে আছে। সুমনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে গত এক মাসে এসপি আর ডিএম কী কী করেছে, সব তথ্য নিয়ে আমি কথা বলছি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, তিনি (সুরেন্দ্র কুমার মিনা) কত পাথর, কত বালি তুলেছে, কত চন্দন কাঠ পাচার করেছেন, তার সব হিসেব আমাদের কাছে আছে। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের জেলাশাসককে ঘেরাও করার নির্দেশও দেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ডিএম অফিস ঘেরাও করতে হবে। আমি নেতৃত্ব দেব। সুরেন্দ্র মিনাকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখলে তৃণমূলের ক্ষমতা অপব্যবহার করে গণতন্ত্র ধ্বংস করার কাজ অচিরেই বন্ধ হবে এবং পঞ্চায়েত ভোট গ্রামের মানুষের ভোট হবে। নিজের ভোট নিজেরাই দিতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনে হচ্ছে, ইডি (ED) একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে! এবার খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে। কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ উদ্ধারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন একটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত। তাতে লেখেন, ইডির রেইডে কোটি কোটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি! শোনা যাচ্ছে, কয়লাকাণ্ডে যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক নাকি মনজিৎ সিং গেরেওয়াল। যিনি আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি। দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দি শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন?

    দেড় কোটি টাকা উদ্ধার…

    বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ইডির পারফরমেন্সে আমি হতাশ। দেড় কোটি নয়, বাংলা দেড়শো কোটি টাকা উদ্ধারের জায়গা। সুকান্তের অভিযোগ, এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মনজিৎ সিং গেরেওয়ালের নাম উঠে আসছে। যাঁকে জিট্টি ভাই বলে সবাই ডাকে। তাঁর অফিস থেকে এবং তাঁর পরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডির দাবি।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, এই লোকটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের নিবিড় যোগাযোগ কেন? কী ধরনের লেনদেন হয় তাঁর সঙ্গে ? সুকান্ত বলেন, সমস্যায় পড়লে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পরিবারের লোককেও চিনতে পারেন না। এর পরেই তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, ইডি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এবার খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে।

    আরও পড়ুুন: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, শুনলাম, এই ভদ্রলোকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কার্তিক, গণেশ অনেকেই আছেন। এই বিষয়ে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। ইডি যেমন তদন্ত করছে করুক। কিন্তু আদালত দেখুক, ঠিকভাবে তদন্ত চলছে কিনা। তৃণমূল নেত্রীকে সুকান্তের পরামর্শ, সময় আসছে আপনারও। তাই হরি দিন তো গেল সন্ধে হল, পার কর আমারে এই গান করতে করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bankura: বাঁকুড়া থেকে অনায়াসে পৌঁছনো যাবে হাওড়া, জানুন নয়া রুট সম্পর্কে

    Bankura: বাঁকুড়া থেকে অনায়াসে পৌঁছনো যাবে হাওড়া, জানুন নয়া রুট সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি বাঁকুড়া (Bankura) থেকে হাওড়া (Howrah) জুড়তে চলেছে রেলপথে। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই বাঁকুড়ার বাসিন্দারা সরাসরি ট্রেনে চেপে আসতে পারবেন হাওড়ায়। এই খবরে খুশি বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব রেল এই পরিষেবা চালু করুক। তাহলে কেবল সাধারণ মানুষই নয়, উপকৃত হবেন দুই জেলার কৃষকরাও।

    মসাগ্রাম…

    প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন। তার পরেই ন্যারো গেজের এই রেলপথটিকে ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ শুরু করে পূর্ব রেল। ২০০০ সাল থেকে শুরু হয় সেই কাজ। বাঁকুড়া (Bankura) থেকে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার মসাগ্রাম পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হয়। মসাগ্রামকে জংশন স্টেশনে পরিণত করা হয়। নয়া এই রেলপথের উদ্বোধন হয় ২০০৫ সালে। এর পর শুরু হয় বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত ১১৮ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল পথের বৈদ্যুতিকরণের কাজ। ২০২১ সালের প্রথম দিকে সেই কাজ শেষ হয়। এবার এই রেলপথ দিয়েই যাত্রিবাহী ট্রেন যাবে বাঁকুড়া থেকে হাওড়া।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালের বক্তৃতার মাঝেই ‘চোর ধরো’ স্লোগান, উত্তপ্ত বিধানসভা, ওয়াকআউট বিজেপির

    সূত্রের খবর, পুরো কাজটি করবে পূর্ব রেল। ১০ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, লাইন সংযুক্তিকরণ কাজের জন্য খরচ হবে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গোটা দেশের মানুষের বিকাশের কথা ভাবে। তাই বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির কথা ভেবে কেন্দ্রের রেল দফতরও বাঁকুড়া ও বর্ধমান দুই জেলার মানুষের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন যেমন বাংলার রেলপথ দিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটছে, তেমনই আর কয়েক মাস পর জঙ্গলমহল বলে পরিচিত এলাকার মানুষজন এক ট্রেনে চেপেই বাঁকুড়া থেকে সোজা পৌঁছে যাবেন হাওড়া। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ তৃণমূলের (TMC) সুনীল মণ্ডল বলেন, বাঁকুড়া থেকে হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেলে চাষের সবজি নিয়ে চাষিরা হাওড়া ও কলকাতার বাজারে বিক্রি করতে যেতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সংসদের অধিবেশনে নাম না করে কটাক্ষ করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

    সুকান্ত যা বললেন

    লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলার শিক্ষকরা একসময় গোটা বিশ্বে শিক্ষা প্রদান করতেন। আজ বাংলায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী জেলে, উপাচার্য জেলে, আরও অনেককে যেতে হবে।” সুকান্তর দাবি,”তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে। মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি করলে শাস্তি হবেই।” লোকসভায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার থেকেই সংসদে মহুয়া মৈত্রর  অসংসদীয় মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সংসদ। মহুয়া ক্ষমা চান, চাইছেন বিজেপি নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানান সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও।

    উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

    সুকান্তর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা। তিনি বলেন, “আজ রাজ্যপালের উপরে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাজ্যের সরকারের বিরোধিতা করছেন রাজ্যপাল। কেন বিরোধিতা করা হবে না?” সুকান্ত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের হলেও তাঁর আচার্য রাজ্যপাল। অথচ, তাঁকে না জানিয়েই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি-র নিয়ম মানা হয়নি বলেও দাবি করেন বিজেপি সাংসদ।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অধ্যাপক ১০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলে, তবেই তিনি উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা লাভ করেন। পাশাপাশি, উপাচার্য হতে হলে তাঁর একাধিক গবেষণাপত্র থাকাও বাধ্যতামূলক। অথচ, সুকান্তর অভিযোগ, কলেজের প্রিন্সিপালকেই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম নীতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rail Projects: বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ, অথচ জমি জটে আটকে রেল প্রকল্প, খরচ কীভাবে?

    Rail Projects: বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ, অথচ জমি জটে আটকে রেল প্রকল্প, খরচ কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা দিচ্ছে না বলে নানা সময় কেন্দ্রীয় সরকারের মুণ্ডপাত করে বাংলার তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। অথচ টাকা মিললেও, যে খরচ করতে পারে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার, তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। বাংলার জন্য এবারের বাজেটে রেলে (Rail Projects) রেকর্ড পরিমাণ বরাদ্দ হয়েছে। রাজ্য পেয়েছে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। ট্রেন হোক কিংবা মেট্রো বিগত বছরগুলির তুলনায় এ বছর বাজেট বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে পশ্চিমবঙ্গ। অন্তত এমনই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রকেরও দাবি, ইউপিএ জমানার চেয়ে এবার তিনগুণ বেড়েছে বরাদ্দ অর্থরাশির পরিমাণ। তবে বরাদ্দ মিললেই হবে না, অভিযোগ, রেল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে সহযোগিতা করছে না রাজ্য।

    বিজেপি…

    রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে এ প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, শুধু রেল নয়, এখানে বিএসএফ পোস্ট তৈরি করতে পারছে না। যেখানে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন আছে, সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সহযোগিতা নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ৩ হাজার ২১৭ কোটি টাকা তাঁদের কোষাগারে ফেলে রেখেছে, খরচ করতে পারছে না। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারও দাবি করেন, জমি জট (Rail Projects) কাটাতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রচেষ্টাই করা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে বহুবার জানানো হলেও, কোনও সদর্থক উত্তর মেলেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমা চান, না হলে নবান্ন অভিযান হবে’, মতুয়া বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি পরিষদের

    জানা গিয়েছে, রাজ্যে রেলের মোট ৪৪টি প্রকল্প আটকে রয়েছে। সব মিলিয়ে আটকে থাকা প্রকল্পের মোট আয়তন ১ হাজার ২৯ কিলোমিটার। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানান, জমি জটের কারণেই আটকে রয়েছে প্রকল্প। তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে রাজ্যকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। আরও জানা গিয়েছে, জমি জটে আটকে রয়েছে শান্তিপুর-নবদ্বীপ ব্রডগেজ লাইন। অথচ অনুমোদনের পর কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। থমকে রয়েছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের কাজও। ভাবাদিঘির ৫২ বিঘা জলাশয় বাঁচানোর আন্দোলনের জেরে আটক রয়েছে এই রেল প্রকল্পও।

    রেলমন্ত্রী (Rail Projects) বলেন, শতাংশের নিরিখে বৃদ্ধি পাওয়া বাজেটের পরিমাণ ১৭৩। প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও সবকা প্রয়াসের কথা বলেন। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আমার অনুরোধ যে তারাও যেন এই প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য পূর্ণ সহযোগিতা করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নাম করে অভিযোগ করলেই মানহানির মামলা করব! মমতাকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    Suvendu Adhikari: নাম করে অভিযোগ করলেই মানহানির মামলা করব! মমতাকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম উল্লেখ করে কোনও মন্তব্য করা হলেই মানহানির মামলা করবেন বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চলতি বছরের মে মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এই আবহে বুধবার বীরভূমে এক সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, ‘কেউ কেউ সরকারে থেকে সবথেকে বেশি চুরি করেছে, সবথেকে বেশি গদ্দারি করেছে। তাঁদের মুখে এখন আবার কালো টাকার গল্প শুনি। শুনলেও হাসি পায়।’ যদিও এদিন সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    মমতা যা বলেছিলেন

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করা হলে তিনি জানতে চান তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে কি না। জানিয়ে দেন, যদি তাঁর নাম উল্লেখ করে কোনও মন্তব্য করা হয়, তাহলে তিনি মানহানির মামলা করবেন। শুভেন্দুর সংযোজন, ‘ওনাকে প্রমাণ করতে হবে। উনি আমার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছেন।’ বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    শুভেন্দুর পাল্টা

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করছেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা। বীরভূমের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি তো খুশি কয়েকটা ডাকাত গদ্দার আমার দল থেকে বিদায় নিয়েছে। পুরুলিয়ার ছেলেমেয়ের চাকরির কোটাটাই তো কেটে দিয়েছিল।’ প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর করা এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শিশির পুত্র শুভেন্দু ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন সভামঞ্চ থেকে মালদার গাজোলে মমতার সেই মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দুর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘কাকে বলছেন? নাম ধরে বলুন। আমি যদি ডাকাত বা গদ্দার হই, বিধানসভায় ডেকেছিলেন কেন?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cow Smuggling Case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    Cow Smuggling Case: গরু পাচারকাণ্ডে এবার সিবিআই নজরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা, জানেন তাঁরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবে মাত্র ‘কেষ্ট-সংস্রব’ এড়িয়ে জেলা ছেড়েছেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে পরেই গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) ফের তৎপর হল সিবিআই (CBI)। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আপ্ত সহায়ক ও তাঁর পরিচারককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার বীরভূমের বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয় অর্ক দত্ত ও বিজয় রজককে। গোয়েন্দাদের দাবি, অর্ক অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক ও বিজয় পরিচারক হিসেবে কাজ করতেন।

    সিবিআই নজরে…

    এদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বাহিরি পঞ্চায়েতের প্রধান শুভঙ্কর সাধু ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিশ্বজ্যোতি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বিশ্বজ্যোতির নামেই অনুব্রত গাড়ি কিনেছিলেন বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের কোটি টাকার লটারি জেতার নেপথ্যের কারিগর শুভঙ্কর। এর বিনিময়ে এই তৃণমূল নেতা কী পেয়েছেন, তা জানতে চায় সিবিআই। বিজয় রজক নামে আরও একজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। তাঁর নামে বেশ কয়েকটি বেনামী অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: রামলালার বিগ্রহ তৈরির জন্য নেপাল থেকে শিলা পৌঁছাল অযোধ্যায়

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের জেল বন্দি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ অর্ক দত্তকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য (Cow Smuggling Case) মিলেছে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু নথিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের হাতে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও পৌঁছেছে। অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বেনামে ওই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। গাড়ি কেনা ও ব্যাঙ্ক লেনদেনের পিছনে গরু পাচারের টাকা রয়েছে কিনা, তা জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    বুধবার বীরভূমের প্রশাসনিক সভা থেকে নাম না করে অনুব্রত ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেন, আমার দলের দু একজন নেতাকে গ্রেফতার (Cow Smuggling Case) করেছে। এমনিতেই ভোটের সময় তাঁদের বাড়ির বাইরে বের হতে দিত না। তা সত্ত্বেও মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। সে যতদিন ফিরে না আসবে, ততদিন বীরভূমের সংগঠন আমি দেখব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল নেত্রী মুখে একথা বললেও, সতেচনভাবে এই দফায় বীরভূম সফরে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন কেষ্ট-সংস্রব। কারণ তৃণমূল নেত্রীর বীরভূম সফরের জন্য যেসব পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ছাপানো হয়েছিল, তাতে কোথাও কেষ্টর নামগন্ধ পর্যন্ত নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেষ্ট অনুগামীদের দাক্ষিণ্য পেতেই কী মমতার এই সস্তা কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন? প্রশ্ন দলেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Union Budget: আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি বাজেটে, কত বাড়ল জানেন?  

    Union Budget: আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি বাজেটে, কত বাড়ল জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকায় খয়রাতি করছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। এমন অভিযোগ উঠেছে। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। কেবল বাংলা নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যেও একই অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও সকলের মাথার ওপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

    বরাদ্দ বৃদ্ধি…

    বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে আগের বছরের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেশি। ফলে এই প্রকল্পে বাজেট (Union Budget) বেড়ে হয়েছে ৭৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সীতারামন জানান, গরিব মানুষের মানোন্নয়নে মোদি সরকার সব সময় প্রস্তুত। আগামী কয়েক বছরে যাতে দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন উন্নত হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে মোদি সরকার। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এই বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে প্রধানমন্ত্রী অবাস যোজনায় বরাদ্দ হয়েছিল ৪৮ হাজার কোটি টাকা।

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Union Budget) প্রকল্পে যাঁদের স্থায়ী বাড়ি নেই, তাঁদের বাড়ি দেওয়া হয়। আবাস প্রকল্পের অধীনে তালিকা তৈরি করার সময় এটি দেখা হয় যে সুবিধাভোগীর কোনও মোটরচালিত দুই বা তিন চাকার গাড়ি নেই। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি মানদণ্ডও নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, কারও কাছে ৫০ হাজার কিংবা তার বেশি টাকার কিষান ক্রেডিট কার্ড থাকলে তিনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাবেন না। পরিবারে একজন সরকারি কর্মচারি থাকলেও, সেই পরিবারও এই প্রকল্পে বাড়ি পাবেন না। একটি পরিবারের কোনও সদস্য যদি প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করেন, তাহলে তিনিও আবাসন প্রকল্পে বাড়ি পাবেন না।

    আরও পড়ুুন: ‘ঐতিহাসিক বাজেট’! অমৃতকালের প্রথম বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদি

    কোনও পরিবারে ফ্রিজ, ল্যান্ডলাইন সংযোগ থাকলে কিংবা আড়াই একর বা তার বেশি কৃষি জমি থাকলে, তাহলেও, তিনিও ওই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে দেশের লক্ষাধিক মানুষ আবাসন পেয়েছেন। এই প্রকল্পে পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি তৈরির জন্য দেওয়া হয় এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা, আর সমতল এলাকার বাসিন্দাদের দেওয়া হয় এক লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিল নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য! মিড ডে মিল নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে রাজ্যে রয়েছে ১১ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্য সরকারের পরিকল্পনামতো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পূর্ব ঘোষিত স্কুলগুলিতে পরিদর্শনেও যাচ্ছেন। এবার তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, অসত্যকে ঢেকে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করা হচ্ছে। দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সেই সমস্ত স্কুলেই নিয়ে যাচ্ছে যাদের আগে থেকে সতর্ক করে রাখা হয়েছে। দুর্নীতি অনিয়ম লুকোতে মিড মিল স্টাফদেরও এতে সামিল করা হচ্ছে বলে দাবি শুভেন্দুর।

    শুভেন্দুর দাবি

    মঙ্গলবার এক ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু দাবি করেন, ‘মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না।’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের (Central Team) উচিত নিজেদের মতো যেমন খুশি তেমন স্কুল বেছে হানা দেওয়া। নইলে আসল ছবিটা ধরা পড়বে না। রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বাছাই করা স্কুলে মিড ডে মিল প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে নিয়ে যাচ্ছে। আগে থেকে জানানো বলে রান্নার কর্মীদের অ্যাপ্রন, গ্লাভস ও টুপি পরে দেখা যাচ্ছে। আর রান্নাঘরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যেতে হবে।”

    এই ট্যুইটের সঙ্গেই তিনি একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজেরও স্ক্রিনশট দেন। যেখানে মিড-ডে-মিলের রাঁধুনীদের জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। সোমবার থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের অনুসন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।

    আরও পড়ুন: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    এদিনই কেন্দ্রীয় দলের অনুসন্ধানে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে এমনই তথ্য় পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে এভাবেই কম বেতন নিয়ে কাজ করে আসছেন কর্মীরা। মিড ডে মিলের রান্নাঘর পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। প্রধান শিক্ষকের অফিসে গিয়ে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে রাজ্যে মিড মিলের খতিয়ান দেখার দিনেই  চন্দ্রকোণায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আরশোলা মিলেছে, বলে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Arup Chakraborty: এ কোন সংস্কৃতি! সুকান্ত-সুভাষকে কুরুচিকর আক্রমণ তৃণমূলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    Arup Chakraborty: এ কোন সংস্কৃতি! সুকান্ত-সুভাষকে কুরুচিকর আক্রমণ তৃণমূলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকান্তবাবু শুনে রাখুন, তৃণমূল কর্মীরা যেদিন হাত তুলবে, সেদিন আপনাদের জায়গা হবে হাসপাতালে। প্রকাশ্য সভায় এই ভাষায়ই বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) হুমকি দিলেন বাঁকুড়ার তালডাংরার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। সোমবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন অরূপ। পরে যোগ দেন প্রকাশ্য সভায়। সেই সভা থেকেই হুমকি দেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সুকান্ত মজুমদারকে। ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, হুমকি দিয়ে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার বাম জমানার সেই ট্র্যাডিশন চলছে তৃণমূল জমানায়ও।

    সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি…

    সোমবার বিকেলে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন অরূপ (Arup Chakraborty)। তিনি বলেন, সুকান্তবাবুকে আমি বলি, আপনি অধ্যাপক, আপনি বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। আপনি আপনাদের কর্মীদের উসকানি দিচ্ছেন। আপনি আগুনে ঘি ঢালছেন। এর পরেই তিনি বলেন, সুকান্তবাবু শুনে রাখুন, তৃণমূল কর্মীরা যেদিন হাত তুলবে, সেদিন আপনাদের জায়গা হবে হাসপাতালে।  

    এদিন সভা শেষে স্বপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে অরূপ বলেন, সুকান্তবাবুকে সংযত হওয়ার জন্য সতর্ক করা হল। আপনি নিজে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন। বাংলায় অশান্তি হলে আপনাদের দেখা পাওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারকেই তা সামলাতে হবে। অতি সম্প্রতি অরূপের (Arup Chakraborty) বিরুদ্ধে একাধিকবার প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে আবাস যোজনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিডিওকে নিশানা করেন তিনি। তার আগেও একবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তার পরেও অবশ্য অরূপ রয়েছেন বহাল তবিয়তে। কোনও পদক্ষেপ করেনি তাঁর দল। ওই মঞ্চেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি রেজাউল খাঁ নিশানা করেন  সাংসদ বিজেপির সুভাষ সরকারকে। তিনি বলেন, আপনি যদি কোথাও যান সেখানের জনগণ আপনার প্যান্ট খুলে নেবে।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরা বিধানসভায় অর্ধেক আসনে লড়বে তৃণমূল, ‘পর্যটক’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    তৃণমূল নেতা অরূপের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। পদ্ম নেতা রাহুল সিনহা বলেন, পুলিশকে পকেটে পুরে এই ধরণের বক্তব্য রাখা সহজ। পনের মিনিটের জন্য পুলিশকে সরিয়ে দিন, তার পর বোঝা যাবে অরূপবাবুদের পাশে কটা লোক আছে। তিনি বলেন, এভাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসায় কার্যত উসকানি দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। দোরগোড়ার পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওয়াকিবহালের মতে, সেই কারণেই বিরোধীদের চমকে, ধমকে এক তরফা ম্যাচ বের করতে চাইছে তৃণমূল। সেই কারণেই বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছেন অরূপের (Arup Chakraborty) মতো পুলিশ পরিবৃত শাসক দলের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share