Tag: tmc

tmc

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেসের, আদালতে তৃণমূল

    Jhalda: ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেসের, আদালতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ঝালদা পুরসভায় (Jhalda) বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সনের আসনে বসলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার ৭–০ ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভা দখল করে কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটাভুটিতে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে ৭টি ভোট। তবে এতেই শেষ হয়ে যায়নি জটিলতা। আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস।     

    কীভাবে বোর্ড বঠন করল কংগ্রেস? 

    ‌আজ ঝালদা (Jhalda) পুরসভার ১২টি আসন। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন।  শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। 

    এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে শাসক দলের নেতাকে খুনের ছক কষেছিল দিল্লিতে ধৃত জঙ্গিরা!  

    এই জবা মাছুয়া, অপসারিত চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রশাসক(Jhalda) বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য সরকারের প্রশাসকের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দেন। আজ ১৬ জানুয়ারি ঝালদার পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ছিল। অবশেষে বোর্ড গঠন কংগ্রেসের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গেলে যে তৃণমূল নেতার চড় খেতে হবে, কশ্মিনকালেও তা ভাবেননি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের সাগর বিশ্বাস। মন্ত্রীর সামনে তৃণমূল নেতার হাতে সজোরে চড় খেয়ে অবশ্য সম্বিত ফিরল। বুঝতে পারলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ দিতে যে দিদির দূতেরা (Didir Doot) আসছেন, তাঁরা আসলে ‘ভূত’। সাগরের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাতে অবশ্য ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি সাগরের। তবে সাগর যাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না পারেন, তাই তৃণমূলের তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, এই কর্মসূচি রক্ষণাবেক্ষণে থাকবেন দিদির দূত। এও ঘোষণা করা হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলার ১০ কোটি মানুষ ও দু কোটি বাড়ির সমস্যা, অভাব, অভিযোগের কথা দলের শীর্ষ স্তরে, এমনকি নেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই কর্মসূচিরই নাম দেওয়া হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ।

    দলীয় কর্মসূচি পালনের নির্দেশ পেয়ে পথে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান জন প্রতিনিধিরা। এদিন ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় এই কর্মসূচিতে যোগ দেন রথীন। সেখানেই বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য সাগর। তাঁকেই কষিয়ে থাপ্পড় মারা হয়। ধাক্কা মারতে মারতে সেখান থেকে সরিয়েও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, এদিন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘুরে দেখার সময় বোলপুরের সাংসদের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় কর্মীরা। উচপুর গ্রামেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কখনও সখনও এলাকায় বিধায়কের গাড়ি দেখা যায়। তবে তিনি জানালার কাচ তুলে চলে যান। এলাকার কোনও উন্নয়নে শামিল হন না।  এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষ দু্র্নীতির কথা জানলেও, ভয়ে বলত না। আমরা সাহস জোগানোয় মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Shatabdi Roy: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Shatabdi Roy: ‘পোজ’ দিয়েই মাংস-ভাত ছেড়ে উঠে গেলেন শতাব্দী, বীরভূমের ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালপাতায় সাজানো ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত। ভাতের পাশেই সাজানো অদিনের এঁচোড়ের তরকারি, মাছ, খাসির মাংস। দাওয়ায় পাতা এই পাতের আসনে যিনি বসে রয়েছেন তিনি বীরভূমের (Birbhum)  সাংসদ তৃণমূলের (TMC) শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy)। তাঁর ডানদিক বাঁদিকের আসনে বসেছেন তৃণমূলেরই আরও কয়েকজন নেতা। নেত্রী পাতে বসেই সযত্নে টেনে নিলেন ভাতের পাতা। সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে উঠল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা।

    অস্বস্তিপর্ব…

    পোজ দেওয়া শেষ হতেই পাত ছেড়ে শতাব্দী পড়লেন উঠে। খাবেন বলে যাঁরা এতক্ষণ ভাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন, তাঁরা খানিক থমকে গেলেন। অস্বস্তিপর্ব কাটিয়ে তাঁরা অবশ্য জমিয়ে খেলেন মাংসভাত। শুক্র-দুপুরে এ দৃশ্য দেখা গেল বিষ্ণুপুরে, এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে। ঘটনার জেরে যারপরনাই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। কেন ভাত না খেয়েই পাত ছেড়ে উঠে গেলেন, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ শতাব্দীর। তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার সাফাই, দিদি হয়তো বাড়ির ভিতরে বসে খেয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: দিল্লির পাক দূতাবাসে যৌন হেনস্থা! ভিসার জন্য অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে ভারতীয় মহিলা

    এদিন দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শতাব্দী। তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে করা হয়েছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। সেখানেই দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন শতাব্দী (Shatabdi Roy)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের কথা শুনবেন দলের নেতারা। সেই অনুযায়ী ময়দানে নেমেও পড়েছেন তাঁরা। এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বীরভূমে গিয়ে দলকে বিড়ম্বনায় ফেললেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ছবি তোলার ছিল, তোলা হয়ে গিয়েছে, উঠে পড়েছেন। খেতে যে পারবেন না সে তো জানাই ছিল।

    এদিকে, এদিন দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী। রামপুরহাটের মাড়গ্রামে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন তিনি (Shatabdi Roy)। পরে বলেন, অনেকরই অভিযোগ, তাঁরা আবাস যোজনার বাড়ি, বার্ধক্যভাতা পাননি। দুয়ারে সরকারের সুবিধাও কেউ কেউ পাননি বলে জানালেন। তাঁদের কথা শুনেছি। সকলের যেমন হয়েছে, ওঁদেরও হবে। তিনি বলেন, সকলেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ হিসেবে দেখছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এবার পঞ্চায়েত ভোটে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেন সুকান্ত। একইসঙ্গে বিজেপির থেকে লোক ভাঙানো নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    পুলিশকে কটাক্ষ

    শুক্রবার কোচবিহারের এক জনসভায় পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘পাশে বসে খেলা দেখুন। খেলার মাঝখানে আসবেন না। তা হলে পদপিষ্ট হবেন।’’  পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শাসক- বিরোধী তরজা আগেই শুরু হয়েছে। এ দিন তাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মাথাভাঙায় এক দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলা পরিষদ দখল করতে হবে। কোচবিহারের জেলা পরিষদ বিজেপি দখল করবে। কোচবিহার জেলা পরিষদ বিজেপির নামে লেখা হয়েছে।’’ সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের দিকে ইঙ্গিত করে শাসকের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথা, ‘‘কী ভাবে খেলতে হয়, আমরা জানি।’’ সেই সূত্রেই পুলিশের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    দল ভাঙানো প্রসঙ্গ

    মাথাভাঙার সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দল ভাঙানোর অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সুকান্ত মজুমদার কোচবিহার জেলা সফরে গিয়ে বলেন, তৃণমূলে টানতে অভিষেকের ‘ভূত’ এসেছিল এই জেলায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে এক ‘ভূত’ এসেছিল কোচবিহার মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীলকুমার বর্মনের সঙ্গে দেখা করতে। সুকান্ত বলেন, ‘‘মাথাভাঙার বিজেপি বিধায়ক সুশীল বর্মণকে তৃণমূল তাদের দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। সুশীলদা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিজেপির পুরনো কর্মী। তিনি যখন থেকে বিজেপি করেন তখন বিজেপির ভালো সময় ছিল না। এখন ভালো সময়। তাই তাঁর দেখা করার কিছু নেই। প্রয়োজন হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কাছে গিয়ে কথা বলে যাবেন।’’ 

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের আটকাতে রাজৌরিতে গ্রামবাসীরদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিআরপিএফ

    শুক্রবার কোচবিহার শহরের সুকান্ত মঞ্চে ওবিসি মোর্চার উত্তরবঙ্গ জোনের সম্মেলনে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন গঙ্গা আরতি নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি কোচবিহারের দিনহাটা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে ‘বাঁদর গুহ’ বলে সম্মোধন করেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে এক ‘বাঁদর গুহ’ আছেন, তাঁর ভাষা শুনলে মনে হয় তিনি ডাস্টবিন থেকে উঠে রাজনীতি করতে চলে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, এর আগে বোধহয় লুঙ্গি পরে মিছিল করেছিলেন। তিনি সাবধান করে দেন, ভালো লুঙ্গি পরে বাড়িতে থাকুন। রাস্তায় হাঁটলে বিজেপির দমকা হাওয়ায় লুঙ্গি খুলে যাবে। তখন মুশকিলে পড়বেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    Suvendu Adhikari: একবছরে তৃণমূলের আয়বৃদ্ধি ১২০০ শতাংশ! ‘তালিকা আছে’, বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তৃণমূলের অডিট রিপোর্ট। আর তাতেই সামনে এসেছে চোখে কপালে ওঠার মত তথ্য। চলতি বছর ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ভাঁড়ারে জমা পড়েছে ৫২৮.১৪ কোটি টাকা। যেখানে ২০২১ সালেই এই পরিমাণ ছিল ৪২ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেসের এমন আয় বৃদ্ধিতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি প্রশ্ন করেন, কোন ‘জাদুবলে’ নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি হয়েছে? শুভেন্দুবাবুর দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাই তৃণমূলকে এই টাকা দিয়েছে। এর আগেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তৃণমূল দল নয়, একটা চোরের কোম্পানি।” আজও এই নিয়ে ফের নতুন করে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    শুভেন্দুবাবু আজ ত্রিপুরা যাওয়ার আগে বলেন, “একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, আয়করে দেখাতে হবে ওদের। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল, সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” তিনি দাবি করেছেন, “যারা টাকা দিয়েছে আমরা তো তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা খায়, স্কুলে নিম্নমানের ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে। আমি ধর্মেন্দ্র প্রধানজিকে বলব, অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাকা না দিতে। তারা সব আপাদমস্তক চোর।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের এক বছরে আয় বৃদ্ধি ১২ গুণ! ‘চোরের কোম্পানি’ বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শাসকদলের আয়বৃদ্ধি

    প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় ছিল ৪২ কোটি টাকা আর ২০২২-এ তৃণমূলের বার্ষিক আয় হয়েছে ৫৪৫.৭৪ কোটি টাকা। তৃণমূলের এই পরিমাণ আয় বৃদ্ধি দেখে চক্ষু চড়কগাছ রাজ্যবাসীর। অর্থাৎ এক বছরে আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৯৬%। আর এই তথ্য সামনে আসতেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ইলেক্টোরাল বন্ডে রোজগার বৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আগেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আজ আবার শাসকদলকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

  • Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর  হানা, কেন জানেন?

    Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিপুরের (Jangipur) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়ি ও কারখানায় আয়কর হানা। বুধবার সকাল থেকেই এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদে। এদিন দুপুরে সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরি, ধুলিয়ান পুরসভার খরবোনা এলাকাতে বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরি এবং সুতির বিধায়ক জাকিরের শিব বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    কোথায় কোথায় আয়কর হানা

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ সামশেরগঞ্জের গোবিন্দপুরের আনন্দ ফ্যাক্টরি এবং সুতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক জাকিরের বাড়ি সংলগ্ন বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় কারখানার চারদিক। বিড়ি কারখানাগুলিতে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র এবং সামগ্রী পরীক্ষা করে দেখেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক ওলিউল ইসলাম এবং বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক লায়েক আলি, এঁদের বিরুদ্ধেও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানে গেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তিনটি জায়গাই ঘিরে রেখেছে। 

    আরও পড়ুন: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা যখন জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেন, সেই সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে ঢুকে আধিকারিকরা তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনগুলো নিয়ে নেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর।  কয়েকজন আধিকারিক এরপর পৌঁছে যান জাকির হোসেনের অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানেও তল্লাশি চলছে। কাউকে সেই জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলার অন্যতম বড় ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বিড়ি তৈরির ব্যবসা ছাড়াও চাল, ডাল, তেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে।। সূত্রের খবর একাধিক ব্যবসা থেকে জাকির হোসেন ঠিকমত আয়কর প্রদান করেননি বলেই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের কাছে তথ্য পৌঁছেছিল। 

    কলকাতায় তৃণমূল মেয়র পারিষদের বাড়িতে আয়কর আধিকারিকরা

    তৃণমূল মেয়র পারিষদ, কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির উদ্দিন ববির হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে কলকাতার মৌলালির ওই হোটেলে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন তাঁরা। রিপন স্ট্রিটের হোটেলের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে, হোটেলের বিদ্যুতের বিল রয়েছে আমিরের নামে। কলকাতার মৌলালি অঞ্চলে তৃণমূল কাউন্সিলারের বিলাসবহুল হোটেল। আর সেখানেই বুধবার পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা (IT Raid)। হোটেলের সমস্ত তথ্য তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখেন বলে খবর। এমনকি কাগজ-পত্রও খতিয়ে দেখেন আয়কর আধিকারিকরা। এমনটাই খবর। তবে কী কারণে তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্পষ্ট নয়। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে এই তল্লাশি। যদিও দীর্ঘ এই তল্লাশি চলাকালীন কাউন্সিলারের হোটেল সম্পূর্ণ ভাবে ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। ওই সময়ে কাউকে হোটেলে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হয়নি বলেও জানা যাচ্ছে। তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হঠাত তল্লাশি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Awas Yajona: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    Awas Yajona: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে এবার সরব তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। ঘাটালে এক অনুষ্ঠানে আবাস দুর্নীতি নিয়ে দেব বলেন,“যাঁদের মাথায় ছাদ নেই,তাঁরা পাচ্ছেন না। যাঁদের পাকা বাড়ি আছে, তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন।’’ এটা ঠিক নয়। আরও একধাপ এগিয়ে দেবের মন্তব্য, ‘‘যেটা ভুল,সেটা ভুল। আমার দল করুক কিংবা অন্য দল করুক। যাঁদের প্রাপ্য, যাঁরা সত্যিই গরিব মানুষ, তাঁদের পাওয়া উচিত।”

    সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুর, খেজুরির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকে, বিডিও অফিসের সামনে, বিক্ষোভের মুখেও পড়েন তাঁরা। গাড়ি ঘিরে দেখানো হয় বিক্ষোভ! কেন্দ্রের আরও একটি প্রতিনিধি দল রয়েছে মালদায়। এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ দেবের এই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বিজেপি নেতাদের মন্তব্য,আবাস নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে তাঁর দলের লোকই যে জড়িত,তা সাংসদ বুঝতে পারছেন। তাই বিবেকবানের মতো কথা বলেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে দেবকে ভবিষ্যতে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।

    আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    হিংসার রাজনীতি নয়

    সোমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ঘাটালে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তৃণমূল সাংসদ দেব। দাসপুরে দাঁড়িয়ে রাজ্য রাজনীতির একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন টলিউড সুপাররস্টার। কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে দেবের প্রজাপতি। এই সিনেমায় দেবের সঙ্গী ছিলেন বিজেপিতে নাম লেখান মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন নিজের দলের নীচু তলার কর্মীদের বার্তা দিতে আরও একবার সেই মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করার বিষয়টিই তুলে আনেন তৃণমল সাংসদ। এ দিন ফের ‘প্রজাপতি’ ছবির প্রসঙ্গ টেনে দেব বলেন, “আমরা যদি ভাল থাকতে পারি, তা হলে গ্রামের মানুষ কেন ভাল থাকবেন না? রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা। তার জন্য যদি মারপিট, রক্তারক্তি করতে হয়, সেই রাজনীতি আমি বিশ্বাস করি না।” দেবের সোজা কথা, “তুমি একটা দল করছ মানে এই নয়, বাকি দলগুলো তোমার শত্রু।” পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কোন্দল প্রসঙ্গেও এ দিন দেবকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “আমি তো দলের মুখপাত্র নই। তবে নিজেদের মধ্যে গোলমাল করবেন না। আপনার যদি শরীর খারাপ হয়, তখন আপানার পাশের লোক, তিনি যে দলই করুন, তাঁরাই প্রথমে ছুটে আসবেন।” রাজনীতি করলেও সংস্কৃতি যে মানুষকে ভালবাসতে শেখায় এদিন ফের সেই বার্তাই দিলেন অভিনেতা দেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট-বাতিলের সময়ে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট ‘ভাইপো’ বদল করিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অতীতের মতো এ বারও সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি তিনি, সামনে রেখেছেন ‘ভাইপো’কেই। খড়গপুরের ইন্দা এলাকায় রবিবার একটি স্বাস্থ্যমেলার অনুষ্ঠানে অভিষেককে লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু

    খড়্গপুরের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতের যদি একশো কোটির নোট বদল হয়ে থাকে, ভাইপোর এক হাজার কোটি টাকা তাঁর পি এ করিয়েছেন! কাকে কাকে এজেন্ট লাগিয়েছিলেন, তার তালিকা আমার কাছে আছে।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘পুরনো নোট বদল করেছে ভাইপো। আমি এক হাজার লোকের নাম দিয়ে দেব। পেট্রল পাম্পের মালিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন থানার আইসি-দের মাধ্যমে বস্তা বস্তা পাঁচশো-হাজার টাকার পুরনো নোট বদল করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে দেব!’’ পরে পূর্ব বর্ধমানে একটি সভার পরেও প্রশ্নের জবাবে এ দিন শুভেন্দু ফের বলেছেন, ‘‘মোদিজি বেআইনি টাকা আটকানোর জন্য নোটবন্দি করেছিলেন। ভাইপো তাঁর পি এ এবং ক্যাডারদের মাধ্যমে টাকা বদল করিয়েছে।’’ 

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    অভিযোগের আঙুল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকেও

    খড়্গপুরের পর বর্ধমানের ষষ্ঠী পল্লীর মাঠে জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভায় তিনি বলেন,  গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা নোট বদল করেছেন। সিউড়ি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কাণ্ড তারই উদাহরণ। এই ঘটনায় বর্ধমানের এক যুবনেতার দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। অভিযোগ তোলেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির দিকেও। শুভেন্দুর কথায়,‘‘এই বর্ধমানেও একজন বারের মালিক আছেন যিনি তৃণমূল পার্টির যুব নেতা। তার মাধ্যমেও এখানে টাকার বদল ঘটানো হয়েছে। এটা গোটা রাজ্য জুড়েই হয়েছে। আমি তো দু’টো নাম বলছি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে বিধাননগরের ব্যাঙ্কে। প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি তৃণমূলের নেতা, তিনি ১৫ কোটি টাকা মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে বদল করেছেন। আমি তো নাম নিয়ে বলছি। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সব সময়মতো দেখিয়ে দেব।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘যদি ভোট দিতে না দেয়…’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কী নিদান দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘যদি ভোট দিতে না দেয়…’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কী নিদান দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পঞ্চায়েত ভোট বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ লড়াই। প্রতিরোধ করতেই হবে। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে দলীয় সভায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    পরিবর্তনের আঁতুড় ঘর…

    শুভেন্দু বলেন, এই জেলা থেকেই সব পরিবর্তনের সূচনা হয়। বামপন্থীদের আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, গীতা মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেনদের নেতৃত্বে এই জেলার আন্দোলন জমিদার ও বুর্জোয়াদের রুখে দিয়েছিল। এই জেলাতেই নন্দীগ্রাম আন্দোলন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেমন বার্লিন ছিল এপিসেন্টার, ২০১১ সালের পরিবর্তনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। বামফ্রন্ট পরাস্ত হয়েছিল। বিজেপি নেতা বলেন, ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একমাত্র এই জেলাই বিশ্বাস করে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল। সে বিশ্বাস তারা রক্ষা করতে পারেনি। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে শপথ নিন, এই জেলা পরিষদ বিজেপিকে উপহার দেবেন। আর তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে উপহার দেবেন।    

    ডু অর ডাই…

    এদিন ফের একবার অবাধ ভোটের পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, ডু অর ডাই। এবার হবে প্রতিরোধ। যদি ভোট দিতে না দেয়, তবে তোমারও নাই, আমারও নাই। ব্যালট বাক্স ধরব আর পুকুরে ফেলব। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। শাসক দল যে সুষ্ঠু ভোটের কথা বলছে, সেটা নিছক আইওয়াশ, দাবি শুভেন্দুর।

    সবাই চোর…

    শুভেন্দু বলেন, কেষ্ট মণ্ডল বলত, চড়াম, চড়াম, গুড় বাতাসা। এখন কী হচ্ছে? তিহার জেলের দরজাটা একটু ফাঁক হয়েছে। তার পরে আছেন রুজিরা, তার পরে আছেন ভাইপো। গোটাটাই চোরের রাজত্ব। তিনি বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর। তাই ভয় পাবেন না। পঞ্চায়েত ভোট অবাধ করতে গেলে প্রতিরোধ করতে হবে।

    মদ বন্ধে প্রতিরোধ…

    এদিন রাজ্যে মদ বন্ধে মায়েদের উদ্যোগী হতে বলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ২৮ টাকায় মেহুলের মদের বোতল, আর ডিয়ার লটারি? এটাই কি বাংলার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ? তাই মায়েরা জোট বাঁধুন। মদ বন্ধ করতে রাস্তায় নামুন। বাংলায় মদ বন্ধ করতে হবে। শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদ খাইয়ে বাংলাকে ধ্বংস করতে চাইছে।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে আমার নালিশে। আগামী সপ্তাহে রাজ্যের আরও ১৫টি জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসবে। অঞ্চল, ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েতে চোরেদের চিহ্নিত না করতে পারলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নয়।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁদের ভোটে আমি জিতেছি, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • TMC: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    TMC: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবিতেই শিলমোহর দিলেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক! তৃণমূলকে তিনি কোম্পানি বলে অভিহিত করলেন। তিনি এও জানালেন, এই কোম্পানির ব্র্যান্ড স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের দলকে কোম্পানি এবং দলের জন প্রতিনিধিদের মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তৃণমূলের গৌতম চৌধুরী। গৌতমের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে শাসক দলকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিজেপি।

    শুভেন্দু অধিকারী…

    ২০২০ সালে ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকেই তৃণমূলকে তিনি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহে দলের এক কর্মিসভায়ও তিনি ফের বলেন, তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। ওই কোম্পানির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভাইপো ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

    শুক্রবার হাওড়ায়ই দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন গৌতম। ওই বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনিও বলেন, তৃণমূল একটা কোম্পানি। এর পরেই গৌতমের সংযোজন, যার ব্র্যান্ড হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা কেউ কিছু নই। আমরা জন প্রতিনিধিরা একটা ওষুধ কোম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের মতো। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব।

    আরও পড়ুুন: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    গৌতমের মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল (TMC)। গৌতমকে ইতিমধ্যেই দল সতর্ক করেছে বলে জানান হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি বলেন, গৌতম চৌধুরীর সঙ্গে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, ভুলবশত এই মন্তব্য করেছেন। গৌতমের মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সত্যি কথাটাই উনি বলে ফেলেছেন। ওই দলে যাঁরা রয়েছেন, সকলেই বসের কথা শুনে কাজ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল দল গণতন্ত্র মানে না। ওই দলে গণতন্ত্র নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share