Tag: tmc

tmc

  • Tripura: ত্রিপুরা বিধানসভায় অর্ধেক আসনে লড়বে তৃণমূল, ‘পর্যটক’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    Tripura: ত্রিপুরা বিধানসভায় অর্ধেক আসনে লড়বে তৃণমূল, ‘পর্যটক’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু অনিশ্চয়তার পর ত্রিপুরার (Tripura) বিধানসভায় অর্ধেক আসনে প্রার্থী দিল তৃণমূল। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। রবিবার রাতে আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠক করে ২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা প্রথম তালিকা প্রকাশ করা হল। আরও বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন পেলেই তালিকা প্রকাশ করে দেওয়া হবে।” এরপরই সোমবার সকালে আরও একটি তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। সেই তালিকায় পাঁচ জন প্রার্থীর নাম ছিল। এতে মোট প্রার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭- এ। পরে তালিকার বাইরে আরও পাঁচ জন মনোনয়ন পেশ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় সব নথি না থাকায় দু’জনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে ৬০ আসনের মধ্যে ত্রিপুরায় ৩০টি আসনে প্রার্থী দিল তৃণমূল।

    জয়ে নিশ্চিত বিজেপি 

    এরপরেই ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করে গেরুয়া (Tripura) শিবির। বিজেপির বক্তব্য, ভোটের লড়াই নয়, ‘পর্যটক’ হিসাবে ত্রিপুরায় এসেছে তৃণমূল। এদিকে আরও বেশি আসনে জয় নিয়ে বিশ্বাসী আসামের মুখ্যমন্ত্রী এবং উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত, বিজেপি একাই সরকার গঠন করবে।”

    এদিন ত্রিপুরায় (Tripura) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। শেষ দিন সকালে মনোনয়ন জমা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এরপর আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে  উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, তাঁরা ত্রিপুরাক ঐক্যের কথা চিন্তা করেই তারা এককভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা এবার নিজেদের মতো করেই সরকার গঠন করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে আইপিএফটি তাদের জোটসঙ্গী হিসেবে থাকবে। প্রসঙ্গত আইপিএফটিকে বিজেপি এবারের নির্বাচনে পাঁচটি আসন ছেড়েছে।

    হিমন্ত আরও বলেন, “ত্রিপুরায় (Tripura) এখন শান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে ২০১৮-র নির্বাচনের সময় সেখানে ভয়ের পরিবেশ ছিল।” ত্রিপুরায় সাধারণ মানুষ উন্নয়নের জন্য শান্তির পরিবেশ চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

  • Suvendu Adhikari: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা হাঁটলেন ৫০ মিনিট ধরে। তৃণমূলের গড়ে নিজের জাত চেনালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার ভিড়ে ঠাসা লোকজনের মাঝে লালগড় থেকে নেতাই পর্যন্ত মাত্র তিন কিমি রাস্তা শুভেন্দুর হেঁটে পৌঁছতে ৫০ মিনিট সময় লেগে যায়। শহিদ বেদির পাশে বিজেপির দলীয় পতাকা দেওয়া সভামঞ্চের ব্যাকড্রপে ছিল শুভেন্দু, নরেন্দ্র মোদি, জেপি নাড্ডা, সাংসদ কুনার হেমব্রম-সহ রাজ্য সভাপতি ও জেলা সভাপতির ছবি। 

    শুভেন্দু যা বললেন

    এদিনের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘কে রুখে দেয় আমি দেখব। আমিও জানি কী ভাবে সোজা করতে হয়। অনেক বড় বড় মাতব্বরকে সোজা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোদ্দ পুরুষও আমাকে আটকাতে পারবে না।’’ নেতাই কাণ্ডের জেলমুক্ত অভিযুক্তদের নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরা দশ-বারো বছর জেল খেটে ফিরে এসেছেন, তাঁরা ভদ্র থাকুন, ভাল থাকুন। বেশি আর লাল ঝান্ডা নিয়ে উৎপাত করবেন না। এসব করতে যাবেন না। আবার বিপদে পড়বেন। পাশে কেউ দাঁড়াবে না। এখন সব গেরুয়া ঝান্ডা হয়ে গিয়েছে। আপনারা পারবেন না তৃণমূলকে টাইট দিতে। আমরা ছাড়া কেউ পারবে না।’’ 

    সভা শেষে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের মঞ্চে ডেকে নেন শুভেন্দু। এসেছিলেন নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি দ্বারকানাথ পন্ডাও। শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘শহিদবেদিতে আমাকে মালা দিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি দ্বারকাবাবু ও নেতাইবাসী মানেননি। তাই দ্বারকাবাবুকে স্মৃতিরক্ষা কমিটি থেকে সরানো হয়েছিল। এটা বিজেপির কর্মসূচি। উনি বিজেপির সদস্য নন, তাই তাঁকে আহ্বান করতে পারি না। কিন্তু উনি নিজে এসে পুরো গ্রামের মানুষের মনের কথা বলে দিলেন।’’ এদিন অমর্ত্য সেনের উদ্দেশে বিজেপির আক্রমণের বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশংসা

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় বিচারপতি সমাজ সংস্কারের কাজ করছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণের মুখে পড়েও তিনি যে সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন, দুর্নীতির একেবারে মূল উপড়ে ফেলতে চাইছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি’। এদিনের সভায় শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে হাজির ছিলেন খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন নিজের উত্তরীয় খুলে তা দিয়ে নেতাইয়ের ‘শহিদ বেদি’ পরিষ্কার করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তার পর মাল্যদান করেন তিনি। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ ‘এইচআরএ’ বা বাড়িভাড়া ভাতার সুবিধা ভোগ করছেন কী ভাবে, প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের অর্থসচিব মনোজ পন্থকে এ নিয়ে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    পন্থকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর অভিযোগ, সরকারি বাসভবনে থাকলে তার ভাড়া সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের দিতে হয় না। সরকারের তরফেই সেই বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু সরকারি বাসভবনে থেকেও কিছু সংখ্যক ‘প্রিয়’ অফিসারকে হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বা বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হচ্ছে। কোনও সরকারি নির্দেশিকা ছাড়াই এই ধরনের ‘অবৈধ’ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর। এই ধরনের কাজ বন্ধ করার পাশাপাশি অর্থসচিবকে এই খাতে টাকা উদ্ধারের অনুরোধও করেছেন বিধানসভার বিরোধী দল নেতা। অন্যথায় এই দায় যে অর্থ দফতরের উপরেও বর্তাবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: ‘মোদির জন্যেই সম্ভব হয়েছে’, কাশ্মীরে রাহুলের পতাকা উত্তোলনের পর দাবি বিজেপির

    এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এবং এগুলো বন্ধ করার জন্য সরকারের কোনও নির্দেশিকা আছে কি না, তা-ও সাত দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপের বার্তাও দেওয়া হয়েছে তাঁর চিঠিতে। এই বিষয়ে রাত পর্যন্ত অর্থসচিব, ডিজি বা কলকাতার পুলিশ কমিশনার কারুর তরফেই কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। সরকারি ভাবে নবান্নের তরফে সেই সব প্রশ্নের কোনও জবাব এখনও পর্যন্ত মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    Abhishek Banerjee: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চে ক্ষণিকের জন্য দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে আজ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। তাঁর এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের কথায়, সরকারের অলিখিত দ্বিতীয় ব্যক্তিকে সবার সামনে আনতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    কী লক্ষ্যে বৈঠক

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক। তাই নাগরিক পরিষেবা এবং উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে এই বৈঠক করতে চান তিনি। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মানুষজন সব সামাজিক প্রকল্প পেয়েছেন কিনা এবং তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে কোনও কাজ বাকি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার বিধায়ক, জেলা পরিষদের সকল সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সকল সদস্য, পুরসভা এলাকার কাউন্সিলররা, দলীয় পদাধিকারী এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকটি হবে বজবজ–২ ব্লকে।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে মঞ্চে উঠেছিলেন ‘সাংসদ’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সরকারি কর্মসূচিতে আমন্ত্রিতদের নমস্কার জানিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মঞ্চ থেকে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। সেটা ছিল ‘হাতেখড়ি’ পর্ব। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার কেউ বলছেন, সরকারের অলিখিত দ্বিতীয় ব্যক্তিকে সবার সামনে আনতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সময় থাকতে থাকতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়কে নিজের জায়গা ছাড়তে চলেছেন বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। বিজেপির নেতারা বলছেন, বিজেপির ভয়েই তা করছেন। অন্যদিকে বামেরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তো কাউকেই বিশ্বাস করেন না, সেই কারণেই উত্তরাধিকার বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ। বাড়ি ফেরার সময় গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের লালবাগে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে মুর্শিদাবাদে শুটআউটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের লালবাগে। মৃত তৃণমূল নেতার নাম আলতাফ হোসেন। তাঁকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে খবর। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে বা তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কি প্রাণ গেল ওই ব্যক্তির? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কেশবপুর নওদাপাড়ার বাসিন্দা আলতাফ হোসেন পেশায় নওদাপাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক। তবে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নতুন প্রধান নির্বাচন ছিল। সেখানেই প্রধান নির্বাচিত হন আলতাব-ঘনিষ্ঠ সোনালি বিবি। প্রধান নির্বাচনের পর মঙ্গলবার রাতে একাই বাইক চালিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, তখনই মুর্শিদাবাদ থানার আজিমসরা এলাকায় আলতাফ হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: অধিকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন! অমর্ত্য সেনকে চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    পুলিশ সূত্রে খবর, আলতাব হোসেনের পিঠে একটা গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আলতাব। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। রাতেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে অস্ত্রোপচার করা হয় আলতাফের। বের করা হয় গুলি। তবে শেষ রক্ষা হল না। এরপর এদিন সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই তৃণমূল নেতা।

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশায় স্কুলশিক্ষক আলতাব হোসেন ২০০৮–২০১৩ সাল পর্যন্ত রানিনগর–১ ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক তিনি। তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। একাংশের ধারণা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ লাগু! মালদার সভায় বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলেই সিএএ জারি করবে কেন্দ্র। রবিবার মালদার হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পার্বতীডাঙার কর্মিসভায় বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুধু ফের নরেন্দ্র মোদির দিল্লির মসনদে ফেরার অপেক্ষা। এদিন অমর্ত্য সেন ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন,  “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া উচিত। তা নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাস কেউ কথা বলবে মানা যায় না।”

    সিএএ ইস্যু

    বরিবার, মালদহের হবিবপুর ব্লকের ১১ মাইল এলাকায় অঞ্চল কর্মী সম্মেলন হয় বিজেপির। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন উত্তর মালদা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, মালদা বিজেপির বিধায়ক গোপাল সাহা, উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। সেখানেই নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কথা বলেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “রাম মন্দির হওয়ার আগে বিরোধীরা আমাদের টিটকিরি মারত। প্রশ্ন করত কবে রাম মন্দির হবে? ২০২৪-এর পয়লা জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তেমনই এখন বিরোধীরা টিটকিরি মারছেন কবে সিএএ চালু হবে? আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। ২০২৪-এর মধ্যেই সিএএ লাগু হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কিছু করতে পারবে না। দেখবে, আর লুচির মত ফুলবে।”

    আরও পড়ুন: মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল, আজ থেকেই শুরু পরিদর্শন

    অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গ

    অমর্ত্য সেন ও বিশ্বভারতীর মধ্যে সমস্যা নিয়ে সুকান্ত এদিন বলেন, “অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। জমি মাপামাপি করলে, তবেই তো সমস্যা মিটবে। আমি নোবেল পেয়েছি মানে তো আমি কারও জমি দখল করতে পারি না। একটা অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। উনি সম্মানীয় ব্যক্তি। এই সমস্যা যত তাড়াতাড়ি মিটে যায়, ততই ভালো। তাঁর নামের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যা মানায় না।” এদিন মালদায় দুটি সভা করার পর পাকুয়াহাটে চা চক্রে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “টুয়েলভ পাশ ছেলে অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) মতো নোবেল লরিয়ট সম্পর্কে বড় বড় কথা বলছে ৷ ওঁর এমবিএ ডিগ্রিটাও তো ভুয়ো।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    SSC Scam: টানা ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদ যুব তৃণমূল নেতা শান্তনুকে! এসএসসি দুর্নীতিতে আরও কী কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার টানা ৭ ঘণ্টা ধরে ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। সূত্রের খবর, শান্তনুর হোটেল, জমি বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তির বিষয়ে ও তাঁর আয়ের উৎস নিয়েই একের পর এক প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

    কেন শান্তনুকে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে শান্তনুর যোগ ছিল কি না, সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে। ইডি হেফাজতে রয়েছেন কুন্তল। নিয়োগের নামে যে টাকা কুন্তল নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ, সেই টাকা শান্তনুর কাছে গিয়েছিল কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাপস মণ্ডলের মুখেও শান্তনুর নাম শোনা গিয়েছে। তাই দফায় দফায় তাঁকে প্রশ্ন করছেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কয়েকজন সুপারিশকারী বা মধ্যস্থতাকারী রয়েছেন। যাঁদের খোঁজ করছে ইডি। কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো কয়েকজনের নামের তালিকা মিলেছে। এবার তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘হাতেখড়ি’ হয়েছিল আলিপুরদুয়ারে, আজ ডায়মন্ড হারবারে প্রশাসনিক বৈঠক অভিষেকের!

    তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু প্রথমে জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু। তারপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইতিমধ্যেই  এই শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরেই আয়কর রিটার্ন এবং তাঁর বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি তলব করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলার চাকরি প্রাথীদের তালিকা মিলেছে শান্তনুর বাড়ি থেকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য এই অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া মামলায়  রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একই সঙ্গে যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ (কম্পট্রোলার এবং অডিট জেনারেল)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদেরও এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।  আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    মামলাকারীদের দাবি

    নবান্নের বিরুদ্ধে হিসেব ও সিবিআই তদন্ত চেয়ে  আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি করেন বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য বিজেপি নেতা হিসাবে নয় একজন সাংবাদিক হিসাবে মামলা করেছেন।  তিনি ছাড়াও মামলাকারীদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী সুমনশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ঋত্বিক পাল। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি করেছিলেন তিনি। 

    এর আগে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রের অর্থ অন্য খাতে খরচ করা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। মামলাকারীরা জানিয়েছেন, পুরসভা ও নগরোন্নন দফতরের ৩০ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসাব মেলেনি। অন্য দিকে পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও ৮১ হাজার ৮৩৯ কোটির হিসাব দেওয়া হয়নি। শিক্ষাক্ষেত্রেও হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকার খরচের হিসাবে গরমিলের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে বিজেপি নেতা

    কেন্দ্রের তরফ থেকে যে সব টাকা পাঠানো হয়েছে, তা কোন কোন খাতে খরচ হয়েছে, তার কোনও নথি নেই বলে দাবি করেছেন মামলাকারীরা। মামলাকারীর দাবি, ক্যাগ রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা করা হয়েছে। তাই ক্যাগ-কে যুক্ত করার কথা বলেছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saket Gokhale: আর্থিক অপচয়ের অভিযোগ! গুজরাট জেলে বন্দি তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করল ইডি

    Saket Gokhale: আর্থিক অপচয়ের অভিযোগ! গুজরাট জেলে বন্দি তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে এবার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে  গ্রেফতার করল ইডি (ED)। জালিয়াতি মামলায় আগেই গুজরাটের জেলে বন্দি ছিলেন তৃণমূলের জাতীয় স্তরের মুখপাত্র সাকেত গোখলে।  এবার তাঁর বিরুদ্ধে  ১.০৭ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে সাকেতের বিপক্ষে।

    ক্রাউড ফান্ডিং-এর অভিযোগ

    আর্থিক তছরূপের মামলায় বুধবার তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে একত্রিত করা লক্ষাধিক টাকার তহবিল সাকেত অপব্যবহার করেছেন। প্রসঙ্গত, সাকেতকে গত ডিসেম্বর মাসে দিল্লি থেকে অপর একটি মামলায় গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশ। সেই মামলায় এখনও জামিন পাননি তৃণমূল মুখপাত্র। গতকাল গুজরাট হাইকোর্ট সাকেতের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। আর এরই মধ্যে ইডি ফের গ্রেফতার করল সাকেত গোখলেকে। 

    আরও পড়ুন: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    কী বলছেন সাকেতের আইনজীবী

    ক্রাউড ফান্ডিং বলতে বোঝায় যখন জনসাধারণের উপকারে কোনও কাজের জন্য মানুষের থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়। পরে সেই টাকা ব্যক্তিগত কাজে বা অন্য কোনওভাবে ব্যবহার করলে সেটি আর্থিক তছরূপের আওতায় পড়ে। ইডি যে অর্থ অপচয়ের মামলায় সাকেতকে গ্রেফতার করেছে, সেই একই মামলাতে গুজরাট পুলিশের অপরাধ দমন শাখা গ্রেফতার করেছিল সাকেতকে। সেই মামলায়, গুজরাট হাইকোর্টে সাকেতের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, যে তাঁর মক্কেল অতীতে একজন আরটিআই কর্মী ও সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। যে সময়ে তিনি ক্রাউড ফান্ডিং করেছিলেন, সেই সময়ে তিনি এও জানিয়েছিলেন যে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য এবং নিজের বেঁচে থাকার জন্য টাকার প্রয়োজন। কিন্তু কোনও টাকা তিনি নয়ছয় করেননি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেই কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি গোখলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর আয়ের যাবতীয় হিসেব রয়েছে এবং তিনি নিয়মিত আয়কর জমা করেছেন বলেও দাবি করেন সাকেতের আইনজীবী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ISF: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?

    ISF: ভাঙড়ে আরাবুলের বাড়ির অদূরে মিলল বোমা, নেপথ্যে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ে (Bhangar) অশান্তির রেশ এখনও পুরোপুরি মেলায়নি। তার মধ্যেই মিলল বোমা (Bomb) উদ্ধারের খবর। রবিবার সকালে ভাঙড়ের উত্তর গাজিপুর এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু বোমা। যেখান থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে, তার কাছেই বাড়ি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন, আরাবুলের বাড়ির কাছে বোমা রেখে গেল কারা, তৃণমূলেরই লোকজন, নাকি যাদের সঙ্গে দিন কয়েক ধরে অশান্তি চলছে তৃণমূলের, সেই আইএসএফ (ISF)?

    বোমা…

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে উত্তর গাজিপুর এলাকার একটি জমিতে ব্যাগের ভিতরে বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে থাকতে দেখতে পান এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কাশীপুর থানার পুলিশ গিয়ে ঘিরে ফেলে এলাকা। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। বোমাগুলি যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার কাছেই বাড়ি তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। ওই এলাকায় বোমাগুলি কারা রেখে গিয়েছিল, তা জানতে জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের।

    আরও পড়ুুন: আইএসএফের তাণ্ডবের জেরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বাঁশ নিয়ে তাড়া পুলিশকে

    ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ের হাতিশালা এলাকায় পতাকা টাঙাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, তাঁরা এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে লাগিয়ে দেন আইএসএফের পতাকা। তার জেরে দু পক্ষে শুরু হয় সংঘর্ষ। তৃণমূলের পার্টি অফিসে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ঘটনার জের গড়ায় শনিবার ধর্মাতলা পর্যন্ত। এদিন প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা শেষে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্মতলায় অবরোধ করেন আইএসএফ (ISF) কর্মী-সমর্থকরা। অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে চেষ্টা করে। তখনই বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল এবং কাচের বোতল ছুড়তে থাকে পুলিশকে লক্ষ্য করে। পরে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, বিক্ষোভকারীদের আক্রমণে জখম হয়েছেন ১৯ জন পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ভর্তি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বাকিরা ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীরা (ISF) পুলিশের কিয়স্কে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভেঙেছে গার্ডরেলও। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষের জেরে ঘণ্টা দেড়েক ওই এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ফের শুরু হয় সন্ধে নাগাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
LinkedIn
Share