Tag: tmc

tmc

  • Sukanta Majumdar: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    Sukanta Majumdar: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার অস্ত্রেই মমতা বধ! তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একটি কবিতার লাইন উদ্ধৃত করে মমতাকেই বিঁধলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃতীয়বার বাংলা জয়ের পর তৃণমূল (TMC) নেত্রী পাখির চোখ করেছিলেন ত্রিপুরাকে। ত্রিপুরা পুরনির্বাচনের মতো বিধানসভা নির্বাচনেও গোহারা হেরেছে মমতার দল। তার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে তৃণমূল নেত্রীর কবিতার লাইন, ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)…

    অথচ ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্য জয়ে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা ত্রিপুরা উড়ে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। খোদ তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রাও মাঠে মারা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, ত্রিপুরায় সাকুল্যে এক শতাংশ ভোটও পায়নি তৃণমূল। নোটার চেয়েও কম ভোট গিয়েছে ঘাসফুলের ঝুলিতে। তার পরেই ধেয়ে এল সুকান্তের (Sukanta Majumdar) খোঁচা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে সুকান্ত ত্রিপুরার ভোটের ফলের শতাংশের হিসেব তুলে ধরে বিঁধেছেন রাজ্যের শাসক দলকে।

    অন্য একটি ট্যুইট-বার্তায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, ত্রিপুরা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য মানিক সাহা এবং ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির কার্যকর্তাদের অভিনন্দন। ত্রিপুরা আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে উন্নয়ন সূচিতে পরিচালিত সরকারকে নির্বাচিত করেছে। এই জয় বিজেপির প্রতি জনগণের ক্রমবর্ধমান আস্থা দেখায়।

    পদ্ম ফুটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যুইটারে যুক্ত করে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপির তথ্য প্রযুক্তি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান এবং পশ্চিমবঙ্গের সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, বাম-কংগ্রেস জোট এবং উচ্চাভিলাষী টিএমসি থাকা সত্ত্বেও বিজেপি ত্রিপুরাকে ধরে রেখেছে। টিএমসি নোটার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। টিএমসি মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ককে নিয়েছিল। সংখ্যাটা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৫ এ। উত্তর পূর্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রত্যাখান করেছে। এর পর হবে পশ্চিমবঙ্গে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কেবল উত্তর পূর্বের তিন রাজ্য নয়, বাংলায়ও মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। হাত ছাড়া হয়েছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভার রাশও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ওরা বলছে, মর যা মোদি, দেশ বলছে, মৎ যা মোদি’’, একথা কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে যে সব শর্ত পূরণ করতে হয়, তৃণমূল তা করতে পারছে না। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এমনই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    গোয়ার পর ত্রিপুরায় ভরাডুবি। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে নোটার চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় একটি আসনেও খাতা খুলতে পারেনি জোড়াফুল শিবির। জাতীয় দলের তকমা পেতে গেলে যা যা দরকার শুভেন্দুর দাবি তার কোনওটিই পূরণ করা সম্ভব নয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, আমি ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অনুরোধ করছি, সর্বভারতীয় দল হওয়ার জন্য যে মাপকাঠি রয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা উচিত। 

    শুভেন্দু লিখেছেন, বিগত পাঁচ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ভোটে লড়েছে। ত্রিপুরায় প্রাপ্ত ভোটের হার ০.৮৮ শতাংশ, কোনও বিধায়ক নেই। গোয়ায় ৫.২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেখানেও কোনও তৃণমূল বিধায়ক নেই। মেঘালয়ে ১৩.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে, ৫ জন জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের টিকিটে। ফলে বাংলা ও মেঘালয় ছাড়া আর কোথাও তৃণমূলের ৬ শতাংশ ভোট বা অন্তত ২ বিধায়ক নেই, যা জাতীয় দলের তকমার জন্য দরকার। লোকসভা ভোটেও ২০১৯ সালে তৃণমূল চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার মাপকাঠি পূরণ করতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    এমনকী বাংলার বাইরেও কোনও সাংসদ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জেতেননি। শুভেন্দুর দাবি, জাতীয় দলের তকমা ধরে রাখতে হলে অন্তত ৪টি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Tripura Election: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    Tripura Election: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Election) প্রার্থী দিতে পেরেছিল মাত্র ২৮টিতে। তার পরেও ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব দেখতে শুরু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল (TMC)। শেষমেশ নোটার (NOTA) চেয়েও কম ভোট পেয়ে ফের একবার মুখ পোড়াল মা মাটি মানুষের দল। ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্যে কার্যত অস্তিত্বহীন হয়ে গেল মমতার দল।

    ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Election)…

    ২০১৮ সাল থেকে ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে নেমেছে তৃণমূল। সে বছর বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ২৪টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছিল ঘাসফুল শিবির। সেবার সব মিলিয়ে তারা পেয়েছিল ৬ হাজার ৯৮৯টি ভোট। এবার ২৮টি আসনে লড়ে ঘাসফুল আঁকা ঝুলিতে ভোট জুটেছে সাকুল্যে ২১ হাজারের কিছু বেশি। ত্রিপুরা পুরনির্বাচনেও জনমত যাচাইয়ের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। মুখ পুড়েছিল সেবারও। আমবাসা পুর পরিষদের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তবে দিন দুই পরে তিনিও ভিড়ে যান বিজেপিতে। ২০২২ সালের জুনে ত্রিপুরার চার বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনেও প্রার্থী দিয়েছিল মমতার দল। চারটিতেই বাজেয়াপ্ত হয় জামানত।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    অথচ এবার ত্রিপুরা (Tripura Election) জয়ের লক্ষ্যে প্রথম থেকেই মাটি কামড়ে পড়েছিল তৃণমূল। প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হয় ত্রিপুরার। ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব ব্যানার্জি বিজেপি ঘুরে ফের তৃণমূলে ফিরলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় ঘরে-বাইরে। ছুঁচো গিলতে রাজীবকে ‘পুনর্বাসন’ দেওয়া হয় ত্রিপুরায়। ত্রিপুরা যাতায়াত করতে শুরু করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় পদযাত্রা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরেও ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্যে খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল নেত্রীর দল।

    প্রত্যাশিতভাবেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির ত্রিপুরা রাজ্য সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস ট্যুইট-বার্তায় বলেন, ত্রিপুরায় নোটার থেকেও কম ভোট পাওয়ার জন্য তৃণমূলকে নৈতিক জয়ের শুভেচ্ছা। মনে হচ্ছে প্রার্থীরা নিজেরাও তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। সমবেদনা জানাতে একটি ফুটবল ও হুইল চেয়ার দিতে হবে। তৃণমূলকে (Tripura Election) নিশানা করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বঙ্গ বিজেপিও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফেসবুকে লেখেন, মা ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে নোটার কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে পরাজিত হল সর্বভারতীয় তোলামুল পার্টি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     

     

  • Tripura Election: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    Tripura Election: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Election) জয়ী বিজেপি। একটি আসনও না পেয়ে মুখ পুড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। এগিয়ে রয়েছে আরও ৫৪টি আসনে। হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। নোটার থেকেও কম ভোট পাওয়ায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ত্রিপুরা বিজেপির সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। এদিকে ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্যে সরকার গড়ার পথে এগোতেই আগরতলায় পার্টি অফিসে ভিড় করেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র প্রমুখ। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভার সিংহভাগ আসন বিজেপির ঝুলিতে গেলেও, ১৩টি আসনে জয় পেয়েছে ত্রিপুরার রাজকুমারের দল তিপ্রা মথা। বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছে ১৪টি আসন।

    ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Election)…

    এদিন সকালে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন মানিক। তার পর কার্যত নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেন ত্রিপুরার (Tripura Election) বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। সারাক্ষণ চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। তারপর যখন নিজের জয়ের খবরটা পেলেন, তখন বাড়ির সবাইকে নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন মানিক। জয়ের পরেই রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, ভোটের ফল যাই হোক না কেন, কোনও অশান্তি, গোলমাল করা চলবে না। রাজ্যে বজায় রাখতে হবে শান্তির পরিবেশ। দলের জয়ের খবর আসতেই বেরিয়ে পড়েন পার্টি অফিসের দিকে। সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রকে নিয়ে আবির খেলায় মেতে ওঠেন মানিক। একে অপরকে লাড্ডুও খাইয়ে দেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া থাকা সত্ত্বেও কোন জাদুবলে সম্ভব হল ত্রিপুরা (Tripura Election) জয়? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্রিপুরায় পালাবদলের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জমানায় তীব্র হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। নির্বাচনের মাত্র ৯ মাস আগে বিপ্লবকে সরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানিককে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাতেই বদলে যায় পাশার দান।

    বিপ্লবের রাজত্বকালে ত্রিপুরা বিজেপিতে জন্ম হয় একাধিক গোষ্ঠীর। যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভা রদবদল করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। যদিও তার পরেও বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হতে থাকে ক্ষোভের আগুন। মানিক মুখ্যমন্ত্রী হতেই আমূল বদলে যায় ছবিটা। সেই কারণেই ত্রিপুরার কুর্সিতে ফের আসীন হতে চলেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    Tmc: চাঁচলের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে একী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ চাকরি নয়, এবার দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়। অভিযোগ করছেন খোদ তৃণমূলেরই নেতা। যে সে নেতা নন, তিনি মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য। নাম মহম্মদ সামিউল ইসলাম। অভিযুক্ত চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে। তৃণমূলের (tmc) বেআব্রু চেহারা ততই প্রকট হচ্ছে। মালদহের চাঁচলে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল এবার প্রকাশ্যে। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় বিধায়কের বিবাদ তুঙ্গে। সম্পর্ক এতটাই তলানিতে ঠেকেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে দলীয় পদ বিক্রির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ করেই থামেননি। রীতিমতো চিঠি দিয়েছেন কালীঘাটে। বিধায়কও দলীয় নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, প্রকাশ্যে তোলাবাজি বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    কয়েকজন ঠিকাদার নিয়ে দল পরিচালনা করছেন চাঁচলের বিধায়ক( Tmc Mla) নীহার রঞ্জন ঘোষ। এমনকী তিনি অর্থের বিনিময়ে পদও বিক্রি করছেন। এমনই অভিযোগ আনলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ সামিউল ইসলাম। তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) কাছেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দুজনের কাজিয়া চলছে। অভিযোগ, চাঁচলের নিজের দাপট বজায় রাখতেই দলীয় প্রার্থীকেই হারাতে চেয়েছিলেন। ফলে, বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা পরিষদের এই সদস্যকে তিনি কাছে ভিড়তে দেননি। দুজনের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকেও। খবর জানতেন কালীঘাটও। মালদহের প্রশাসনিক সভাতেও মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, চাঁচল কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দুজনের বিবাদ তুঙ্গে। তার ফলেই এই চিঠি এবং পাল্টা বিবৃতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভালো অবস্থাতে যে তৃণমূল কংগ্রেস নেই তা পরিষ্কার। দুপক্ষ সক্রিয় অপর গোষ্ঠীর প্রার্থীদের হারাতে।

    প্রকাশ্যে একনেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় ক্ষুব্ধ মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কার হাতে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে, কে কত বেশি কাট মানি নিতে পারবে এই নিয়েই তৃণমূলে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির। উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই তাদের গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে টিকিট দিতে পারবে, কে কাটমানির বেশি ভাগ বাটোয়ারা পাবে, এই নিয়ে এদের মধ্যে গন্ডগোল। মানুষ আর ওদের সঙ্গে নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসলেই তা টের পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sagardighi By Election: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    Sagardighi By Election: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) ধরাশায়ী তৃণমূল (TMC)। ঘাসফুল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারালেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি বাম-কংগ্রেস জোট। তবে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত সাহা। তাঁর প্রয়াণে শূন্য হয়েছিল আসনটি। সেই আসনেই গোহারা হারল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    সাগরদিঘি উপনির্বাচন (Sagardighi By Election)…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৯ জন প্রার্থী। যদিও মূল লড়াই হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস, তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার মধ্যে। এদিন গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন। গণনা শেষে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। বাইরন জয়ী হতেই অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন সাগরদিঘির বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে বাজি পোড়াতে থাকেন কংগ্রেস কর্মীরা।

    তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না…

    সাগরদিঘি কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বাইরন। ফল ঘোষণার ঢের আগেই তিনি বলেছিলেন, জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমি জয়ী হব। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, পরিবর্তন হবে সাগরদিঘি থেকেই। এদিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ বাইরনকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই বাইরন বলেন, লিখে রেখে দিন, তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না। দরকারে তৃণমূলকে কিনে নেব।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    দলীয় প্রার্থীর জয়ে (Sagardighi By Election) দৃশ্যতই খুশি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে তো প্রভাব পড়বে। যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় থাকবেই না। এটাই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, তৃণমূল ভোট লুঠের জন্য ক্রিমিনালদের জড়ো করেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে। বাম-কংগ্রেস কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোট করেছে। অধীর বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা বুঝিয়ে দিয়েছেন দ্বিচারিতাকে কীভাবে ধাক্কা দিতে হয়। খেলা এখনও অনেক বাকি আছে। 

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের জড়িয়ে পড়াটা ভালো চোখে দেখেননি ভোটাররা। তার ফলেই ৫০ হাজারে জেতা আসনে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • ADR: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    ADR: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মোট আয়ের ৯৬ শতাংশেরও বেশি অর্থ এসেছিল নির্বাচনী বন্ড থেকে। এই হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিজেপিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। নির্বাচনী বন্ড থেকে অর্থ পাওয়া মানে কর্পোরেট সংস্থা বা বড় প্রতিষ্ঠানের থেকে আসা চাঁদা। এই চাঁদার বেশিরভাগই এসে জমা হয়েছে তৃণমূলের (TMC) ঝুলিতে।

    এডিআর (ADR)…

    নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস, সংক্ষেপে এডিআর (ADR)। বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির আয়-ব্যয়ের খতিয়ান প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। তাতেই দেখা গিয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বছরে আয়ের নিরিখে তৃণমূল ছিল বিজেপির (BJP) পরেই। কংগ্রেসকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে তৃণমূল। আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় বেড়েছিল প্রায় ৬৩৩ শতাংশ। এই আয়ের ৯৬ শতাংশেরও বেশি অর্থ এসেছিল নির্বাচনী বন্ড থেকে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনী বন্ডের বেশিরভাগ চাঁদাই বিজেপির ঝুলিতে যাচ্ছে। এডিআরের রিপোর্টে কিন্তু প্রকাশ, সিংহভাগ চাঁদা গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচন কমিশনকে ‘কলঙ্ক’মুক্ত করতে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    জানা গিয়েছে, অরুণ জেটলি যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন নির্বাচনী বন্ড (ADR) চালু করে মোদি সরকার। ওই সময় নির্বাচনী বন্ডে স্বচ্ছতা আনার দাবি করেছিল তৃণমূল। তাদের দাবি ছিল, কোন কর্পোরেট সংস্থা কোন দলকে চাঁদা দিচ্ছে, তা আনা হোক তথ্যের অধিকার আইনের আওতায়। এডিআরের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিজেপির মোট আয় ছিল প্রায় ১৯১৭ কোটি টাকা। তৃণমূলের আয় ছিল ৫৪৫.৭৫ কোটি টাকা। আর কংগ্রেসের আয় ছিল ৫৪১.২৭ কোটি টাকা। এই টাকার শতকরা ৭৪ ভাগ অর্থই খরচ করে ফেলেছে কংগ্রেস। যদিও অর্ধেক টাকা খরচ করতে হয়নি বিজেপি এবং তৃণমূলকে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে আয়েও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। ওই অর্থবর্ষে এই খাতে বিজেপি আয় করেছে ১০৩৩ কোটি টাকা। তৃণমূলের আয় ছিল ৫২৮ কোটি টাকা। আর কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ২৩৬ কোটি টাকা। এডিআরের (ADR) ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের আটটি জাতীয় দলের সম্মিলিত আয় ৩,২৮৯.৩৪ কোটি টাকা। এর ৫৮.২৮ শতাংশই গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     

     

  • Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে শাসক দলের প্রতীক থাকলে যেন সাত খুন মাফ। রাস্তায় পুলিশও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাবে না। রাজ্যে ঘাসফুল পতাকার মাহাত্ম্যই আলাদা। আর এই পতাকা ব্যবহার করেই দেদার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে অনেকেই। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে, বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ এবার সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই যেমন সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে চারচাকা গাড়িতে করে গরু নিয়ে যাওয়ার (Cattle Smuggling) জন্যই তৃণমূলের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িতে করে একটি মাত্র গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাচার না অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু, বিরোধীদের প্রশ্ন, মাত্র একটি গরু চারচাকা গাড়ি করে নিয়ে যেতেও কী শাসক দলের প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। পাচারকারীরা কী ধরেই নিয়েছে এই পতাকা থাকলে সাত খুন মাফ। এসব পাচার করতে রাস্তায় কোনও ঝক্কি পোহাতে হবে না। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Cattle Smuggling)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি দুধ সাদা গাড়ি সোদপুর ট্রাফিক মোড় ধরে যাচ্ছিল। গাড়ির পিছনের দিকে কালো কাচ তোলা ছিল। সামনের দিকে তৃণমূলের পতাকা গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের নিচে রাখা ছিল। ফলে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হতেই পারে একজন শাসক দলের কোনও হোমড়াচোমরা গাড়ির মধ্যে রয়েছেন। ফলে, গাড়ি আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। এই ভেবেই চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, গাড়ির চালচলন দেখেই সোদপুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তৃণমূলের পতাকা ব্যবহার করে রক্ষা হচ্ছে না দেখে অগত্যা চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু, জনবহুল বিটি রোডে বেশি দূর গাড়ি যেতে পারেনি। পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তার ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। পুলিশ গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে ধরে ফেলে। যদিও ততক্ষণে গাড়ির মধ্যে থাকা চালক এবং খালাসি বা পাচারকারি গাড়ি ফেলে রেখে পগার পার। আর গাড়ি খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। চারচাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরু (Cattle Smuggling)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, গরুটিকে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে, গাড়ি করে গরুটিকে কোথায় থেকে নিয়ে এসে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    এই নিয়ে কী বলছেন তৃণমূল নেতা। খড়দহ যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, একটি গরু চার চাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দলের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। আসলে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এসব করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চাই, ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।

    আর বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গরু পাচার (Cattle Smuggling), বালি পাচার সব কিছুই তৃণমূলের মদতেই ঘটছে। পাচারকারীরাও নিজেদের শাসক দলের কর্মী ভাবছেন। আমরা বার বার অভিযোগ করে এসেছি। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kakali Ghosh Dastidar: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি! দলত্যাগ পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২৩ সদস্যের

    Kakali Ghosh Dastidar: ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে ডাকা হয়নি! দলত্যাগ পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২৩ সদস্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘দিদির দূত কর্মসূচি’ ঘিরে বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল। এবারে দল থেকেই ইস্তফা দিয়ে দিলেন পঞ্চায়েত প্রধান সহ ২৩ জন সদস্য। অভিযোগ উঠেছে, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে ডাক মেলেনি তাঁদের। মঙ্গলবার ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি উপলক্ষে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar) কদম্বগাছি এলাকায় যান। সেখানেই সাংসদের অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু সাংসদ তো আসেনইনি, উল্টে অভিযোগ, তৃণমূলকে ছেড়ে আইএসএফের লোকজনকে নিয়ে দিদির দূত কর্মসূচি সেরেছেন তিনি। আর এই অভিযোগ ঘিরেই মঙ্গলবার শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের একবার প্রকাশ্যে এল।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের হেমন্ত বসু নগর এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakali Ghosh Dastidar), বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক শাহাজি, অঞ্চল সভাপতি নিজামুল কবির, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদ উদ জামান-সহ অন্যান্যরা। এর আগে ‘দিদির দূত’দের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে, তবে এবারে দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি, পঞ্চায়েত অফিসে তাঁরা বসেছিলেন সাংসদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে। কিন্তু সাংসদ সেখানে না গিয়ে একদা আইএসএফের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন। এমনকী তাঁদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। ফলে পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ তৃণমূলের ২৬ সদস্যের মধ্যে ২৩ জন তাঁদের পদত্যাগপত্র তৃণমূল ভবন এবং সাংসদকে পাঠিয়ে দেন।

    আরও পড়ুন: জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গাং

    পঞ্চায়েত প্রধানের কী বক্তব্য?

    কদম্বগাছি পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম পালদের অভিযোগ, পূর্বসূচি অনুযায়ী দুপুর ৩টের সময় পঞ্চায়েতে সংকল্প অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সাংসদের (Kakali Ghosh Dastidar) আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে দিয়ে চলে গিয়েছেন। অফিসে আর ঢোকেননি। এমনকী, ওই পঞ্চায়েতের সদস্যদের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণও করেননি। এই কারণে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।

    অন্যদিকে বারাসতের এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরশাদ উদ জামানের অভিযোগ, সাংসদের গাড়ি থেকে নামার সময় কেউ এক জন তাঁর দিকে পাথর ছুঁড়েছেন। তিনি জখম হন। এর মধ্যে সাংসদ কদম্বগাছি পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে বিশ্রাম করেন। সেখানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে যান। সাংসদ কাকলিও (Kakali Ghosh Dastidar) পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কোনও বিক্ষোভ হয়নি। তিনি সুষ্ঠুভাবেই কর্মসূচি করেছেন কদম্বগাছি এলাকায়। বারাসতের সাংসদ এও বলেন, “আমি শুনেছিলাম পঞ্চায়েত অফিসে অন্য কোনও বৈঠক চলছে। তাই আমি সেখানে যাইনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Cut Money: ‘আর কত খাবেন?’, দলীয় প্রধানকে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের

    Cut Money: ‘আর কত খাবেন?’, দলীয় প্রধানকে প্রশ্ন তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা! যে ঘাসফুল প্রতীকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি, সেই দলেরই এক পঞ্চায়েত (Panchayet) প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, আর কত খাবেন (পড়ুন কাটমানি) (Cut Money)? হাতে আর মাত্র ৩ মাস। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ বিরোধীদের। কোনও কোনও জায়গায় আবার কাটমানি ফেরতের দাবিতেও হয়েছে বিক্ষোভ। তার পরেও বন্ধ হয়নি কাটমানি খাওয়া। বিরোধী ও জনতার সেই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক। করলেন বাপবাপান্তও।

    প্রসঙ্গ কাটমানি (Cut Money)…

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন। সম্প্রতি দিদির দূত কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কাটমানি খাওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দেন দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানকে। বিধায়কের হুঁশিয়ারি-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    গিয়াসউদ্দিন বলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে রাখা হয়েছিল। প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য-কেউই আসেননি। সব সদস্যকেই সুবিধা-অসুবিধার কথা বলি। কিন্তু কেউ আসেননি। এর পরেই বিধায়ক বলেন, পঞ্চায়েত কি বাপের সম্পত্তি (Cut Money)? আর তিনটে মাস বাকি আছে। কত বাপের বেটা আমরা দেখে নেব। তিনি বলেন, বাপ সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াত। বাপ জন্ম দিয়েছে, কর্ম করেছে? কর্ম করেছে গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কর্ম করতেই সে খারাপ। আপনারা উত্তর কুসুমের লোক। আপনারা যদি ঠিক থাকেন ৩ মাস পরে পঞ্চায়েত হবে। পঞ্চায়েতের (Cut Money) বুথে বুথে আমরা ভাল এবং শিক্ষিত লোকদের টিকিট দেব।

    আরও পড়ুুন: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    উত্তর কুসুমের পঞ্চায়েত প্রধান কুতুব লস্কর বলেন, ভদ্রলোক যা বলেছেন, তা মিথ্যে কথা। আমি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সততার সঙ্গে কাজ করছি। আগামিদিনে কী হবে, তার উত্তর জনগণই দেবেন। তিনি বলেন, কে কী বলল তা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না। বিজেপির (BJP) জেলা নেতা সুফল ঘাটু বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি যে দুর্নীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে, বিধায়কের কথায়ই তা স্পষ্ট। উত্তর কুসুম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে উপপ্রধান সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share