Tag: tmc

tmc

  • Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    Kuntal Ghosh: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে ইডির আধিকারিকরা! কী জানতে চাইলেন অফিসাররা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেলেন ইডির আধিকারিকরা। নিয়োগে বেনিয়ম ও কোটি কোটি টাকার লেনদেনে কুন্তলের যোগ স্পষ্ট বলেই দাবি ইডির। তাই  আদালতের নির্দেশ মতো জেলে গিয়ে কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) জেরা করা শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কুন্তলকে জেরা

    বৃহস্পতিবার আলিপুরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে কুন্তল ঘোষকে জেরা করেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর, এর আগে কুন্তল যখন ইডির হেফাজতে ছিল, সেই সময় তাঁর কাছ থেকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর ইডি পায়নি। এরপরই গত ৩ ফেব্রুয়ারি কুন্তলকে আদালতে তোলা হলে ইডির আধিকারিকরা এ বিষয়ে বিচারককে জানান। তাঁরা আবেদন করেন, জেলে গিয়ে জেরার যেন অনুমতি দেওয়া হয়। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর এদিন কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যান ইডির আধিকারিকরা। গোপাল দলপতির বক্তব্যকে সামনে রেখে কুন্তলকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে সূত্রের খবর। সেটা রেকর্ডও করা হবে। পাশাপাশি নিয়োগ সংক্রান্ত বেনিয়মের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের কাছে গেলে তা কীভাবে যেত তাও কুন্তলকে জেরা করেই এদিন ইডি জানতে চাইতে পারে বলেই সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুুন: জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা অনুব্রতকে! কী জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা?

    ইডির দাবি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের একটি ডায়েরি তাদের হাতে এসেছে। যে ডায়েরির পাতায় পাতায় সাঙ্কেতিক অক্ষরমালা। টাকার হিসাবের পাশে নাম ও পদবির আদ্যাক্ষর লেখা বলেও দাবি সূত্রের। শুধু তাই নয়, প্রচুর গানের প্যারোডিও লেখা রয়েছে সেই ডায়েরিতে। সেই ডায়েরির রহস্য ভেদ করতেও কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি। পাশাপাশি কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে চাকরি চুরির টাকা যেত সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ইডির জেরার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত কুন্তল আর কার নাম বলেন সেটাই এখন দেখার। শাসকদলের আর কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nandini Chakraborty: রাজভবন থেকে সরানো হল নন্দিনীকে, সুকান্ত ‘এফেক্ট’?

    Nandini Chakraborty: রাজভবন থেকে সরানো হল নন্দিনীকে, সুকান্ত ‘এফেক্ট’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty)। তাঁকে সরানোর জন্য আর্জি জানিয়ে নবান্নকে বার্তা দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস। তার পরেও সরানো হয়নি তাঁকে। উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) তথা রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মঙ্গলবারই কলকাতায় ফেরেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার পরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, নন্দিনী সামলাবেন পর্যটন দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্ব।

    সুকান্ত মজুমদার…

    শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর হাতে সুকান্ত তুলে দেন একটি চিঠিও। বৈঠকের শেষে সুকান্ত দাবি করেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের রেহাই নয় বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। উনি বলেছেন জিরো টলারেন্স টু কোরাপশন। এই নীতি নিয়ে তিনি চলছেন। শুধু তাই নয়, কোরাপশনের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকে কোনওভাবে রেহাই দেওয়া হবে না।

    এদিকে, বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আনন্দের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দাবি, এই ঘনিষ্ঠতার পিছনে ছিল নন্দিনীর (Nandini Chakraborty) ভূমিকা। রাজ্যপালের শপথ, সরস্বতী পুজোর দিনে হাতেখড়ি, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অনুষ্ঠান থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে ভাষণ এসব নিয়ে নানা অভিযোগ তোলে পদ্ম শিবির। তার পরেই রাজ্যপাল-সুকান্ত বৈঠক। নন্দিনীকে সরানোর জন্য আর্জি জানিয়ে নবান্নকে বার্তা দেন রাজ্যপাল। বুধবার পদক্ষেপ করে নবান্ন।

    আরও পড়ুুন: কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি-র তলব নিউ আলিপুরের বাসিন্দাকে, উঠে এল তৃণমূলের নামও

    ১৯৯৪ ব্যাচের আইএএস অফিসার নন্দিনী (Nandini Chakraborty)। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠলেও, এক সময় তাঁর সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর দূরত্ব তৈরি হওয়ার গল্পও শোনা যায়। রাজ্যে পালাবদলের পর শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিবের মতো গুরুদায়িত্ব এক সঙ্গে সামলেছিলেন তিনি। পরে মাঝখানে তাঁর গুরুত্ব কমতে থাকে। যার জেরে নিগম থেকে নন্দিনীকে সরিয়ে পাঠানো হয় তথ্য সংস্কৃতি দফতরে। সেই দফতরও কেড়ে নিয়ে তাঁকে পাঠানো হয় স্টেট গেজেটিয়ারের এডিটর পদে। সেখান থেকে সুন্দরবন উন্নয়ন। আরও পরে প্রায় গুরুত্বহীন প্রেসিডেন্সি ডিভিশনে। বুধবার রাজভবন থেকে সরিয়ে নন্দিনীকে পাঠানো হল বাবুল সুপ্রিয়ের দফতরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Partha Chatterjee: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    Partha Chatterjee: কালো টাকা সাদা করা হয়েছে পার্থর স্ত্রীর স্কুলের মাধ্যমে, চার্জশিটে দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বিক্রির কোটি কোটি কালো টাকা (Black Money) সাদা করতে ব্যবহার করা হয়েছিল একাধিক ভুয়ো কোম্পানিকে। বেনামি সম্পত্তি কেনা, বিনিয়োগ, টাকা পাচারের মতো কাজে এই সব কোম্পানিগুলিকে ব্যবহার করতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে ইডির (ED) চার্জশিটে। আরও দাবি, চাকরি বিক্রির কালো টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামাঙ্কিত স্কুল তৈরিতেও। পিংলায় রয়েছে বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। বাবলি চট্টোপাধ্যায় মেমোরিয়াল। এই বাবলি চট্টোপাধ্যায় পার্থের প্রয়াত স্ত্রী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই স্কুলেই অভিযান চালায় ইডি। তখনই ইডি দাবি করেছিল, নিয়োগ দুর্নীতির মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামে তৈরি স্কুলে। কালো টাকা এভাবেই করা হয়েছে সাদা।

    বিসিএম…

    বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুলটি তৈরি হয়েছিল ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। স্কুলটির চেয়ারম্যান পার্থের (Partha Chatterjee) জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। চার্জশিটে ইডির দাবি, স্কুলের জন্য জমি কেনা ও ভবন নির্মাণের জন্য নগদে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছিলেন পার্থ। সেই টাকা খরচ করা হয়েছিল তাঁর জামাইয়ের মাধ্যমে। পার্থর এই জামাইকেও বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, জমি কেনার পর থেকে নির্মাণসামগ্রী কেনা, শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া সবই করা হয়েছে কাঁচা টাকায়।

    আরও পড়ুুন: ফের অস্বস্তিতে জেলবন্দি মানিক! লুক আউট নোটিশ জারি ছেলে সৌভিকের বিরুদ্ধে

    এদিকে, নিয়োগ তদন্তে ইডির নজরে একটি ধূসর ডায়েরি। গত বছর ১৫ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ডায়েরির প্রথম পাতায় লেখা রয়েছে ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য দেওয়া টাকার হিসেব। প্রাইমারির জন্য ৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে তাতে। ইডি সূত্রের দাবি, এই টাকা দেওয়া হয়েছিল যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে। টাকার অঙ্কের পাশে রিসিভড লেখার নীচে তারিখ দিয়ে কুন্তলের সই রয়েছে। আপার প্রাইমারির হিসেব রয়েছে তার পরের পাতায়। ডায়েরিতে লেখা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপার প্রাইমারিতে চাকরির জন্য কুন্তলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এখানেও স্বাক্ষর রয়েছে কুন্তলের। সই মেলাতে হস্তলিপি বিশারদদের সাহায্য নিতে চলেছে ইডি। ধূসর ওই ডায়েরি থেকে এও জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের অনলাইন ট্রানজাকশনের মাধ্যমেও কুন্তলের কাছে গিয়েছিল কোটি কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Smuggling Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত রত্নেশের ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    Coal Smuggling Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত রত্নেশের ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রত্নেশ বর্মাকে (Ratnesh Verma) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। এই রত্নেশ কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত লালার ঘনিষ্ঠ। সোমবার সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রত্নেশকে তোলা হয়েছিল আসানসোল সিবিআই আদালতে। ওই আদালতের বিচারক সেদিন রত্নেশকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআই হেফাজত শেষ হওয়ার পর ফের সোমবার তাঁকে তোলা হল আসানসোল আদালতে।

    রত্নেশ…

    জানা গিয়েছে, এদিন রত্নেশের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ তাঁর হয়ে জামিনের কোনও আবেদন করেননি। তার পরেই বিচারক রত্নেশকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও জেল হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআই আধিকারিকরা জেলে গিয়ে রত্নেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে আদালত জানিয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের নরসমুদা খনি লাগোয়া এলাকায় বাড়ি রত্নেশের। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেআইনি কয়লা পাচারের পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। চুরি হওয়া কয়লা রত্নেশের সাহায্যেই মাফিয়ারা বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত। রত্নেশের নিজের লরি ছিল। বেআইনি কয়লা পাচারের জন্য অন্যান্য লরিও নিজের কাজে ভাড়া খাটাতেন।

    আরও পড়ুুন: ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাত রাজ্যপাল আনন্দ বোসের! কী কথা হল প্রাক্তন ও বর্তমানের মধ্যে?

    জানা গিয়েছে, ভুয়ো চালান দিয়ে এই কয়লা পাচার করা হত। রত্নেশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, পাচারের পুরো কর্মকাণ্ডে লিংকম্যানের কাজ করতেন তিনি। এই মামলায় রত্নেশকে ফেরার ঘোষণা করেছিল বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। ২০১৯ ও ২০২০ সালেও রত্নেশের বিরুদ্ধে পর পর দুবার লুকআউট নোটিশ জারি হয়েছিল। অনেক দিন ধরেই তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। শেষ পর্যন্ত ৩১ জানুয়ারি আসানসোল সিবিআই আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন রত্নেশ। সেই দিনই বিচারক তাঁকে জেলা পাঠান। পরবর্তীকালে ২ ফেব্রুয়ারি রত্নেশকে ফের আদালতে তোলা হলে সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর কাছ থেকে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য এবং কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সোমবার রত্নেশকে ফের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠান। বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসানসোল জেলে। এই জেলেই রয়েছেন গরু পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত বড়ই নেতা হোক না কেন দুর্নীতি করলে ছাড় পাবেন না। হুঁশিয়ারি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। পূর্বস্থলীর সভা মঞ্চ থেকে একই সঙ্গে বাংলাকে ভাগ হতে দেবেন না বলেও জানান সুকান্ত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) পাশে বসিয়ে রাজ্যে শাসক দলের একাধিক নেতাকে বিঁলেন সুকান্ত।

    বাংলা-ভাগ প্রসঙ্গ

    এদিন সুকান্ত বললেন, “অভিষেক উত্তরবঙ্গে গিয়ে বলছে বিজেপি উত্তরবঙ্গকে না কি ভাগ করতে চায়। আমরা না কি বাংলাকে ভাগ করতে চাই। আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে এই মঞ্চ থেকে সর্ব-ভারতীয় সভাপতিকে সামনে রেখে ঘোষণা করছি বিজেপির ঘোষিত নীতি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যে রূপে বাংলাকে রাখতে চেয়েছেন আমরা সেই রূপেই রাখব। বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না। বাংলাকে ভাগ হতে দেব না।” যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। 

    দুর্নীতি ভরা

    সুকান্তর সাফ দাবি, রাজ্যজোড়া দুর্নীতি থেকে চোখ ঘোরাতেই এত নাটক করছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দেড় কোটি টাকা নিয়েও তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী মঞ্জিত সিং নামে যে ব্যক্তির কাছ থেকে ওই টাকা পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের বহু নেতার যোগাযাগ রয়েছে বলেও দাবি সুকান্তর। আর এসব থেকে নজর ঘোরাতেই বারবার বাংলাভাগের প্রসঙ্গ তুলে আম-আদমির নজর ঘোরাতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা,এমনটাই দাবি সুকান্তর। 

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা    

    নাম ধরে নেতাদের আক্রমণ

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত অভিযোগ করেন, শস্যভান্ডার বলে পরিচিত বর্ধমানে চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। হিমঘরের দরজায় তৃণমূলের লোকজনকে টাকা দিলে বন্ড পাওয়া যায়। সভায় আসা জনতার উদ্দেশ্যে সুকান্তের দাবি, ‘‘আপনাদের জেলাও কম যায় না।’’ এর পরেই তিনি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা, বালি কারবারের অভিযোগ তোলেন। ইডি-সিবিআই তাঁর দরজায় কড়া নাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি সুকান্তের। তাঁর আরও দাবি, ‘‘রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় না কি ভাল নেই। ভয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলেন। এখনও ভয় পাচ্ছেন। প্রচুর সম্পত্তিও না কি করেছেন। ঠিক করে হিসাব রাখছেন তো?’’ দাঁইহাটের প্রাক্তন পুরপ্রধান শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা ফোনে অশালীন প্রস্তাবের ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ‘‘তাঁকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কেউ এমন কাজ করলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হত।’’  এভাবেই পূর্বস্থলীর সভা থেকে একের পর এক তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    Suvendu Adhikari: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে এবার বিস্ফোরক ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি হস্তান্তরের দাবি করেছেন তিনি।

    সম্প্রতি বালিগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে (Suvendu Adhikari)। ঘটনায় কয়লা পাচার-যোগের প্রমাণ মিলেছে। এই মামলায় দুই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে একজন গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়া। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আগামী বুধবার, নথি-সহ দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে। তিনি  একটি গেস্ট হাউসের মালিক ও ধাবা ব্যবসায়ী। এই মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গেই তৃণমূল-যোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের ছবি আগেই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার ট্যুইটারে আরও একটি ছবি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাতে বেশ কিছু নাম, দলিল ও জমি হস্তান্তরের দাবি করে লেখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা        
     
    উল্লেখ্য, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, হরিশ মুখার্জি রোডের ২০৪ নম্বর প্লটে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছে, তার প্রস্তাবিত মূল্য ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩০ হাজার ১ টাকা। ডিড নম্বর ০৭০৭৭/২০১০। বিক্রেতার নাম মায়া সেন, ইন্দ্রজিৎ সেন এবং শুভ্রা মিত্র। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং মনজিৎ সিং। দ্বিতীয় সম্পত্তির ঠিকানা, ১৩৫-এ, হরিশ মুখার্জি রোড। প্রস্তাবিত মূল্য ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৩ টাকা। ডিড নম্বর ০৫২২৪/২০১৬। বিক্রেতার নাম তন্ময় সরকার। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং দলজিৎ কউর। ১৭ টার্ফ রোডে, তৃতীয় সম্পত্তির প্রস্তাবিত মূল্য ১৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮২৫ টাকা। ডিড নম্বর, ০৫৫৪৫/২০১৭। বিক্রেতা মহম্মদ রফি খোন্দকার অলিউল ইসলাম। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি, মনজিৎ সিং এবং অমরজিৎ সিং।

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, ‘সিজারের স্ত্রীকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে, কিন্তু তার সঙ্গে কার্তিক-জায়াকেও রেহাই দিতে হবে। শুধুমাত্র তিনি সম্রাজ্ঞীর আত্মীয় বা তোলামূল কাউন্সিলর বলে? “কে জানি না” থেকে শুরু করে ”হিন্দি সেলের নেতা”, তারপর ”শুধুই পরিচিত” থেকে ”পুরনো বন্ধু” আর এখন ”ব্যবসায়িক সঙ্গী” থেকে ”অপরাধের সঙ্গী”?’

    আরও একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা – সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতোই ধোঁয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো।”

     

    রহস্যময়ীর খোঁজে ইডি 

    এদিকে বালিগঞ্জ কাণ্ডে যুক্ত এক প্রভাবশালী (Suvendu Adhikari) এক মহিলাকে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। টাকা উদ্ধারের সঙ্গে এক মহিলার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, এই মহিলার সঙ্গে আমলাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এই রহস্যময়ীর খোঁজ পেলেই তদন্ত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, শরৎ বোস রোডের গেস্ট হাউস বিক্রির ‘ডিল’ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওই মহিলার। এমনকী অনেকের কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন তিনি। এখন সেই মহিলাকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রবিবার বাংলার জোড়া সভায় এক ঢিলে দুই পাখিই মারলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করেন নাড্ডা। দুই সভায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, এখানে আইনের শাসন নেই। কেন্দ্র এ রাজ্যের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যবাসীকে চাল, গম দিচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা রেশন সামগ্রী চুরি করছে।

    নাড্ডা উবাচ…

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসত চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে, তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া। তিনি (J P Nadda) বলেন, মোদিজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা, যুব, কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদিজি। নাড্ডা বলেন, আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদিজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। মোট ৪৮টি দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ। নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, জল জীবন মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই রাজ্যে সেই প্রকল্পও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মোদিজির স্বপ্ন কেউ ঝুপড়িতে থাকবেন না। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছেন মোদিজি। কিন্তু তাও বাংলা আবাস যোজনা বানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অর্থ না দিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প চুরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • National Anthem: অভিষেকের মঞ্চে ‘ভুল’ জাতীয় সঙ্গীত! ‘ভাইপো’-কে কটাক্ষ শুভেন্দু-সুকান্তর

    National Anthem: অভিষেকের মঞ্চে ‘ভুল’ জাতীয় সঙ্গীত! ‘ভাইপো’-কে কটাক্ষ শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা, তাও আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই। ভরা মঞ্চে সেই ভুল গানের সঙ্গে গলা মেলাতেও দেখা গেল অভিষেককে। এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর সেখানেই ঘটে গেল বিপত্তি। ভরা মঞ্চে গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত, আর সেটিতে অজস্র ভুল। নেই সঠিক শব্দ, নেই কোনও সুর। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিষেককে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছেন।

    জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    এইবারের ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ভুল গেয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের। গত বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে কাঁথি শহরে সভা করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা ও যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি সহ কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা নেতৃত্ব বৃন্দ। সেই মঞ্চেই উঠেছিল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করার অভিযোগ।  সভা শেষে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেছিলেন রিনা দাস।

    আর আজও ঘটল সেই একই ঘটনা। আজ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথাভাঙা সফর। মাথাভাঙা কলেজ ময়দানে সভা ছিল অভিষেকের। সেখানেই সভা শেষে শুরু হয় ভুলে ভরা জাতীয় সঙ্গীত। ‘তব শুভ নামে জাগে’- এই কথার পরিবর্তে দুবার বলা হয়েছে ‘তব শুভ আশিষ মাগে’। আবার ‘জনগণমঙ্গলদায়ক’-এর পরিবর্তে বলা হয়েছে ‘জনগণমঙ্গলনায়ক’। ফলে যেমন শব্দে ভুল রয়েছে, তেমনি নেই কোনও সুর। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যের ভুল ধরতে এগিয়ে থাকেন, অন্যের টিপ্পনি করতে ছাড়েন না, সেখানে তিনি কীভাবে নির্দ্বিধায় ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন ও তার অবমাননা করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ ‘ভাইপো’-কে

    এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এদিন মাথাভাঙায় জাতীয় সঙ্গীত ভুল গেয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “ওকে বলুন আগামী একমাস জাতীয় সঙ্গীত পড়তে আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তা বলতে। তারপরেই তিনি যেন রাজনৈতিক সভায় যান।”

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট

    মাথাভাঙায় এই ঘটনার পর কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “আপনি জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করতে এবং সঠিকভাবে গাইতেও পারেন না! এটি লজ্জার।”  

  • Suvendu Adhikari: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের এক জনসভায় এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিএম ক্লাব থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিজেপি। এই মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। আলিপুরদুয়ার শহরে রেলের ফ্লাইওভারের পাশে রেলের মাঠে হয় প্রতিবাদ সভা। সেখানেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের দলবদলু বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকেও একহাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, একটি বোলেরো গাড়ি আর কিছু টাকার জন্য আপনি দল বদল করেছেন। ওই টাকা আপনি রাখতে পারবেন না। মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বার করব।

    শুভেন্দু উবাচ…

    বিজেপি রাজ্য ভাগের পক্ষে বলে প্রচার করছে তৃণমূল। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও দিন রাজ্য ভাগের কথা বলেনি। কেউ যদি এই বিষয়ে কিছু বলে থাকেন, তাহলে তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। এটা আমরা বারবার বলেছি।

    বিজেপির এই প্রতিবাদ সভায় জেলাশাসকদেরও একহাত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার হাইওয়ে তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিচ্ছে। আর সেই টাকার সুদ জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মোচ্ছবে খরচ করছেন। শুভেন্দু বলেন, আমি এই মঞ্চ থেকে জেলাশাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, এভাবে আপনারা এই টাকা খরচ করতে পারেন না।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনার হাত রয়েছে বলেও মনে করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, সুরেন্দ্র কুমার মিনা তৃণমূলের আসল জেলা সভাপতি। সুমন কাঞ্জিলালের সঙ্গে গত এক মাসে কতবার মিটিং করেছেন, তার সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে আছে। সুমনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে গত এক মাসে এসপি আর ডিএম কী কী করেছে, সব তথ্য নিয়ে আমি কথা বলছি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, তিনি (সুরেন্দ্র কুমার মিনা) কত পাথর, কত বালি তুলেছে, কত চন্দন কাঠ পাচার করেছেন, তার সব হিসেব আমাদের কাছে আছে। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের জেলাশাসককে ঘেরাও করার নির্দেশও দেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ডিএম অফিস ঘেরাও করতে হবে। আমি নেতৃত্ব দেব। সুরেন্দ্র মিনাকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখলে তৃণমূলের ক্ষমতা অপব্যবহার করে গণতন্ত্র ধ্বংস করার কাজ অচিরেই বন্ধ হবে এবং পঞ্চায়েত ভোট গ্রামের মানুষের ভোট হবে। নিজের ভোট নিজেরাই দিতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনে হচ্ছে, ইডি (ED) একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে! এবার খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে। কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ উদ্ধারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন একটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত। তাতে লেখেন, ইডির রেইডে কোটি কোটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি! শোনা যাচ্ছে, কয়লাকাণ্ডে যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক নাকি মনজিৎ সিং গেরেওয়াল। যিনি আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি। দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দি শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন?

    দেড় কোটি টাকা উদ্ধার…

    বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ইডির পারফরমেন্সে আমি হতাশ। দেড় কোটি নয়, বাংলা দেড়শো কোটি টাকা উদ্ধারের জায়গা। সুকান্তের অভিযোগ, এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মনজিৎ সিং গেরেওয়ালের নাম উঠে আসছে। যাঁকে জিট্টি ভাই বলে সবাই ডাকে। তাঁর অফিস থেকে এবং তাঁর পরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডির দাবি।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, এই লোকটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের নিবিড় যোগাযোগ কেন? কী ধরনের লেনদেন হয় তাঁর সঙ্গে ? সুকান্ত বলেন, সমস্যায় পড়লে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পরিবারের লোককেও চিনতে পারেন না। এর পরেই তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, ইডি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এবার খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে।

    আরও পড়ুুন: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, শুনলাম, এই ভদ্রলোকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কার্তিক, গণেশ অনেকেই আছেন। এই বিষয়ে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। ইডি যেমন তদন্ত করছে করুক। কিন্তু আদালত দেখুক, ঠিকভাবে তদন্ত চলছে কিনা। তৃণমূল নেত্রীকে সুকান্তের পরামর্শ, সময় আসছে আপনারও। তাই হরি দিন তো গেল সন্ধে হল, পার কর আমারে এই গান করতে করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share