Tag: tmc

tmc

  • Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর  হানা, কেন জানেন?

    Murshidabad: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, ফ্যাক্টরিতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিপুরের (Jangipur) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) বাড়ি ও কারখানায় আয়কর হানা। বুধবার সকাল থেকেই এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় মুর্শিদাবাদে। এদিন দুপুরে সামশেরগঞ্জের আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরি, ধুলিয়ান পুরসভার খরবোনা এলাকাতে বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরি এবং সুতির বিধায়ক জাকিরের শিব বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    কোথায় কোথায় আয়কর হানা

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ সামশেরগঞ্জের গোবিন্দপুরের আনন্দ ফ্যাক্টরি এবং সুতিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক জাকিরের বাড়ি সংলগ্ন বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। প্রথমে বিএসএফ জওয়ানদের দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় কারখানার চারদিক। বিড়ি কারখানাগুলিতে থাকা বিভিন্ন নথিপত্র এবং সামগ্রী পরীক্ষা করে দেখেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,আনন্দ বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক ওলিউল ইসলাম এবং বিজলি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক জনৈক লায়েক আলি, এঁদের বিরুদ্ধেও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানে গেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তিনটি জায়গাই ঘিরে রেখেছে। 

    আরও পড়ুন: কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে তলব সিবিআইয়ের

    এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, আয়কর দফতরের আধিকারিকরা যখন জাকির হোসেনের বাড়িতে হানা দেন, সেই সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে ঢুকে আধিকারিকরা তৃণমূল বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ফোনগুলো নিয়ে নেন বলে প্রাথমিকভাবে খবর।  কয়েকজন আধিকারিক এরপর পৌঁছে যান জাকির হোসেনের অন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানেও তল্লাশি চলছে। কাউকে সেই জায়গায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলার অন্যতম বড় ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের বিড়ি তৈরির ব্যবসা ছাড়াও চাল, ডাল, তেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে।। সূত্রের খবর একাধিক ব্যবসা থেকে জাকির হোসেন ঠিকমত আয়কর প্রদান করেননি বলেই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের কাছে তথ্য পৌঁছেছিল। 

    কলকাতায় তৃণমূল মেয়র পারিষদের বাড়িতে আয়কর আধিকারিকরা

    তৃণমূল মেয়র পারিষদ, কলকাতার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির উদ্দিন ববির হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে কলকাতার মৌলালির ওই হোটেলে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন তাঁরা। রিপন স্ট্রিটের হোটেলের নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে, হোটেলের বিদ্যুতের বিল রয়েছে আমিরের নামে। কলকাতার মৌলালি অঞ্চলে তৃণমূল কাউন্সিলারের বিলাসবহুল হোটেল। আর সেখানেই বুধবার পৌঁছে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা (IT Raid)। হোটেলের সমস্ত তথ্য তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখেন বলে খবর। এমনকি কাগজ-পত্রও খতিয়ে দেখেন আয়কর আধিকারিকরা। এমনটাই খবর। তবে কী কারণে তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তা স্পষ্ট নয়। প্রায় ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে এই তল্লাশি। যদিও দীর্ঘ এই তল্লাশি চলাকালীন কাউন্সিলারের হোটেল সম্পূর্ণ ভাবে ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। ওই সময়ে কাউকে হোটেলে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হয়নি বলেও জানা যাচ্ছে। তৃণমূল কাউন্সিলারের হোটেলে হঠাত তল্লাশি ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Awas Yajona: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    Awas Yajona: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে এবার সরব তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। ঘাটালে এক অনুষ্ঠানে আবাস দুর্নীতি নিয়ে দেব বলেন,“যাঁদের মাথায় ছাদ নেই,তাঁরা পাচ্ছেন না। যাঁদের পাকা বাড়ি আছে, তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন।’’ এটা ঠিক নয়। আরও একধাপ এগিয়ে দেবের মন্তব্য, ‘‘যেটা ভুল,সেটা ভুল। আমার দল করুক কিংবা অন্য দল করুক। যাঁদের প্রাপ্য, যাঁরা সত্যিই গরিব মানুষ, তাঁদের পাওয়া উচিত।”

    সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুর, খেজুরির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। ভগবানপুর ১ নম্বর ব্লকে, বিডিও অফিসের সামনে, বিক্ষোভের মুখেও পড়েন তাঁরা। গাড়ি ঘিরে দেখানো হয় বিক্ষোভ! কেন্দ্রের আরও একটি প্রতিনিধি দল রয়েছে মালদায়। এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ দেবের এই মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বিজেপি নেতাদের মন্তব্য,আবাস নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেখানে তাঁর দলের লোকই যে জড়িত,তা সাংসদ বুঝতে পারছেন। তাই বিবেকবানের মতো কথা বলেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে দেবকে ভবিষ্যতে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।

    আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে রাম মন্দির, ত্রিপুরায় ঘোষণা শাহের

    হিংসার রাজনীতি নয়

    সোমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ঘাটালে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তৃণমূল সাংসদ দেব। দাসপুরে দাঁড়িয়ে রাজ্য রাজনীতির একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন টলিউড সুপাররস্টার। কয়েকদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে দেবের প্রজাপতি। এই সিনেমায় দেবের সঙ্গী ছিলেন বিজেপিতে নাম লেখান মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন নিজের দলের নীচু তলার কর্মীদের বার্তা দিতে আরও একবার সেই মিঠুনের সঙ্গে অভিনয় করার বিষয়টিই তুলে আনেন তৃণমল সাংসদ। এ দিন ফের ‘প্রজাপতি’ ছবির প্রসঙ্গ টেনে দেব বলেন, “আমরা যদি ভাল থাকতে পারি, তা হলে গ্রামের মানুষ কেন ভাল থাকবেন না? রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা। তার জন্য যদি মারপিট, রক্তারক্তি করতে হয়, সেই রাজনীতি আমি বিশ্বাস করি না।” দেবের সোজা কথা, “তুমি একটা দল করছ মানে এই নয়, বাকি দলগুলো তোমার শত্রু।” পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কোন্দল প্রসঙ্গেও এ দিন দেবকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “আমি তো দলের মুখপাত্র নই। তবে নিজেদের মধ্যে গোলমাল করবেন না। আপনার যদি শরীর খারাপ হয়, তখন আপানার পাশের লোক, তিনি যে দলই করুন, তাঁরাই প্রথমে ছুটে আসবেন।” রাজনীতি করলেও সংস্কৃতি যে মানুষকে ভালবাসতে শেখায় এদিন ফের সেই বার্তাই দিলেন অভিনেতা দেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট বদলেছিলেন ‘ভাইপো’! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোট-বাতিলের সময়ে অন্তত এক হাজার কোটি টাকার পুরনো নোট ‘ভাইপো’ বদল করিয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অতীতের মতো এ বারও সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি তিনি, সামনে রেখেছেন ‘ভাইপো’কেই। খড়গপুরের ইন্দা এলাকায় রবিবার একটি স্বাস্থ্যমেলার অনুষ্ঠানে অভিষেককে লক্ষ্য করে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু

    খড়্গপুরের অনুষ্ঠানে অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে সমবায় ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতের যদি একশো কোটির নোট বদল হয়ে থাকে, ভাইপোর এক হাজার কোটি টাকা তাঁর পি এ করিয়েছেন! কাকে কাকে এজেন্ট লাগিয়েছিলেন, তার তালিকা আমার কাছে আছে।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘পুরনো নোট বদল করেছে ভাইপো। আমি এক হাজার লোকের নাম দিয়ে দেব। পেট্রল পাম্পের মালিক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন থানার আইসি-দের মাধ্যমে বস্তা বস্তা পাঁচশো-হাজার টাকার পুরনো নোট বদল করা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে দেব!’’ পরে পূর্ব বর্ধমানে একটি সভার পরেও প্রশ্নের জবাবে এ দিন শুভেন্দু ফের বলেছেন, ‘‘মোদিজি বেআইনি টাকা আটকানোর জন্য নোটবন্দি করেছিলেন। ভাইপো তাঁর পি এ এবং ক্যাডারদের মাধ্যমে টাকা বদল করিয়েছে।’’ 

    আরও পড়ুন: শীতে জবুথবু রাজ্যবাসী, একাধিক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি

    অভিযোগের আঙুল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দিকেও

    খড়্গপুরের পর বর্ধমানের ষষ্ঠী পল্লীর মাঠে জনসভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সভায় তিনি বলেন,  গোটা পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা নোট বদল করেছেন। সিউড়ি কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক কাণ্ড তারই উদাহরণ। এই ঘটনায় বর্ধমানের এক যুবনেতার দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি। অভিযোগ তোলেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতির দিকেও। শুভেন্দুর কথায়,‘‘এই বর্ধমানেও একজন বারের মালিক আছেন যিনি তৃণমূল পার্টির যুব নেতা। তার মাধ্যমেও এখানে টাকার বদল ঘটানো হয়েছে। এটা গোটা রাজ্য জুড়েই হয়েছে। আমি তো দু’টো নাম বলছি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা পরিবর্তন করা হয়েছে বিধাননগরের ব্যাঙ্কে। প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি তৃণমূলের নেতা, তিনি ১৫ কোটি টাকা মুগবেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে বদল করেছেন। আমি তো নাম নিয়ে বলছি। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে। সব সময়মতো দেখিয়ে দেব।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘যদি ভোট দিতে না দেয়…’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কী নিদান দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘যদি ভোট দিতে না দেয়…’, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের কী নিদান দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পঞ্চায়েত ভোট বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ লড়াই। প্রতিরোধ করতেই হবে। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে দলীয় সভায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জন্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের সুর বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    পরিবর্তনের আঁতুড় ঘর…

    শুভেন্দু বলেন, এই জেলা থেকেই সব পরিবর্তনের সূচনা হয়। বামপন্থীদের আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, গীতা মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেনদের নেতৃত্বে এই জেলার আন্দোলন জমিদার ও বুর্জোয়াদের রুখে দিয়েছিল। এই জেলাতেই নন্দীগ্রাম আন্দোলন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেমন বার্লিন ছিল এপিসেন্টার, ২০১১ সালের পরিবর্তনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। বামফ্রন্ট পরাস্ত হয়েছিল। বিজেপি নেতা বলেন, ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একমাত্র এই জেলাই বিশ্বাস করে তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূলের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল। সে বিশ্বাস তারা রক্ষা করতে পারেনি। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে শপথ নিন, এই জেলা পরিষদ বিজেপিকে উপহার দেবেন। আর তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে উপহার দেবেন।    

    ডু অর ডাই…

    এদিন ফের একবার অবাধ ভোটের পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, ডু অর ডাই। এবার হবে প্রতিরোধ। যদি ভোট দিতে না দেয়, তবে তোমারও নাই, আমারও নাই। ব্যালট বাক্স ধরব আর পুকুরে ফেলব। জোট বাঁধুন, তৈরি হন। শাসক দল যে সুষ্ঠু ভোটের কথা বলছে, সেটা নিছক আইওয়াশ, দাবি শুভেন্দুর।

    সবাই চোর…

    শুভেন্দু বলেন, কেষ্ট মণ্ডল বলত, চড়াম, চড়াম, গুড় বাতাসা। এখন কী হচ্ছে? তিহার জেলের দরজাটা একটু ফাঁক হয়েছে। তার পরে আছেন রুজিরা, তার পরে আছেন ভাইপো। গোটাটাই চোরের রাজত্ব। তিনি বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর। তাই ভয় পাবেন না। পঞ্চায়েত ভোট অবাধ করতে গেলে প্রতিরোধ করতে হবে।

    মদ বন্ধে প্রতিরোধ…

    এদিন রাজ্যে মদ বন্ধে মায়েদের উদ্যোগী হতে বলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ২৮ টাকায় মেহুলের মদের বোতল, আর ডিয়ার লটারি? এটাই কি বাংলার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ? তাই মায়েরা জোট বাঁধুন। মদ বন্ধ করতে রাস্তায় নামুন। বাংলায় মদ বন্ধ করতে হবে। শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদ খাইয়ে বাংলাকে ধ্বংস করতে চাইছে।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে আমার নালিশে। আগামী সপ্তাহে রাজ্যের আরও ১৫টি জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসবে। অঞ্চল, ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েতে চোরেদের চিহ্নিত না করতে পারলে আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নয়।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে একটা বড় অংশ যাঁরা হিন্দু, তাঁদের ভোটে আমি জিতেছি, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • TMC: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    TMC: শুভেন্দুর দাবিতেই শিলমোহর তৃণমূল বিধায়কের! দল ‘কোম্পানি’, মমতা ‘ব্র্যান্ড’, বললেন গৌতমও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবিতেই শিলমোহর দিলেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক! তৃণমূলকে তিনি কোম্পানি বলে অভিহিত করলেন। তিনি এও জানালেন, এই কোম্পানির ব্র্যান্ড স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিজের দলকে কোম্পানি এবং দলের জন প্রতিনিধিদের মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক তৃণমূলের গৌতম চৌধুরী। গৌতমের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে শাসক দলকে নিশানা করতে শুরু করেছে বিজেপি।

    শুভেন্দু অধিকারী…

    ২০২০ সালে ভাবাদর্শ বদলের জেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকেই তৃণমূলকে তিনি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের দক্ষিণ ঝাঁপড়দহে দলের এক কর্মিসভায়ও তিনি ফের বলেন, তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। ওই কোম্পানির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভাইপো ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

    শুক্রবার হাওড়ায়ই দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন গৌতম। ওই বৈঠকে শুভেন্দুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনিও বলেন, তৃণমূল একটা কোম্পানি। এর পরেই গৌতমের সংযোজন, যার ব্র্যান্ড হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা কেউ কিছু নই। আমরা জন প্রতিনিধিরা একটা ওষুধ কোম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের মতো। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব।

    আরও পড়ুুন: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়’, কেন একথা বললেন বিজেপি নেতা?

    গৌতমের মন্তব্যের জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল (TMC)। গৌতমকে ইতিমধ্যেই দল সতর্ক করেছে বলে জানান হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। তিনি বলেন, গৌতম চৌধুরীর সঙ্গে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের এ বিষয়ে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, ভুলবশত এই মন্তব্য করেছেন। গৌতমের মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সত্যি কথাটাই উনি বলে ফেলেছেন। ওই দলে যাঁরা রয়েছেন, সকলেই বসের কথা শুনে কাজ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল দল গণতন্ত্র মানে না। ওই দলে গণতন্ত্র নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Abhishek Banerjee: আদালতের নির্দেশে রক্ষাকবচ রইল না অভিষেক-শ্যালিকার, পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি?

    Abhishek Banerjee: আদালতের নির্দেশে রক্ষাকবচ রইল না অভিষেক-শ্যালিকার, পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্ষাকবচ রইল না তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের (Maneka Gambhir)। মেনকার মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর জেরে মেনকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (ED) আর কোনও বাধা রইল না। মেনকার রক্ষাকবচ খারিজের দাবিতে চলতি সপ্তাহেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। আদালত মেনকার রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ায় বিপাকে অভিষেক ও তাঁর শ্যালিকা।

    গরু পাচার মামলা…

    এর আগে গরু পাচার মামলায় মেনকাকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ইডি। তখন ইডির আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায় অনুযায়ী শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ মেনকার মামলা খারিজ করে দেয়। তবে আগামিদিনে ইডির বিরুদ্ধে নতুন করে আদালতে মেনকা যাতে আবেদন করতে পারেন, সেই স্বাধীনতাও তাঁকে দিয়েছে উচ্চ আদালত। প্রসঙ্গত, আদালতের এই নির্দেশের ফলে মেনকার বিরুদ্ধে এখন যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি। আবার সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থও হতে পারবেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকা।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূলে থেকে মানুষের চোখের জল…’, নদিয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন ২০০ তৃণমূল নেতা-কর্মী

    গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। ইডির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেনকা। মেনকাকে গ্রেফতার করা যাবে না এবং দিল্লির পরিবর্তে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ইডিকে। অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে এমনই জানিয়েছিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই নির্দেশ মতো ইডির সমন কার্যকর করেন অভিষেক-শ্যালিকা। পরে বিদেশ যেতে চেয়ে ফের আদালতের শরণ নেন মেনকা। পরে অবশ্য সেই আবেদনও প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তাই আটকে গিয়েছিল তাঁর বিদেশ যাত্রাও। এদিন আদালতে ইডির তরফে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল বলেন, মেনকার দু দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। এটা থাকতে পারে না। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও পর্যবেক্ষণ বা নির্দেশ দেয়নি আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে  ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের সভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ডাকাতকে আপনারা উপড়ে নেবেন তো? এদিন রাজ্য সরকারকেও একহাত নিয়েছেন শুভন্দু। তিনি বলেন, চোরদের গ্রাম থেকে তাড়াতে হবে, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগেও এদিন সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, যাঁরা ঘর পাননি, তাঁদের একজোট করুন, জনস্বার্থ মামলা করব। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে, টাকা ফেরত করাবই।

    শুভেন্দু বলেন…

    নানা দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যে কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল  (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এহেন আবহে এদিন শুভেন্দু বলেন, এই চোরদের সাফাই  করতে হবে। বড় চোর-ডাকাতটাকে ডিসেম্বরে পারিনি, এর মধ্যে ধরব। বড় ডাকাতটাকে আমরা তুলব। ছোটগুলোকে আপনারা উপড়াবেন তো? সব গ্রাম রেডি তো? নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন (Suvendu Adhikari), সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার, ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনায় স্টিকার মেরে দিয়েছে। আশাকর্মীর ইজ্জত লুঠ করেছে তৃণমূল গুন্ডা শাহজাহানের বাহিনী। টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আমরা জনস্বার্থ মামলা করব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বঞ্চিতদের একজোট করুন। আইন হাতে না তুলে এগোতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গের ছাদহীন মানুষ এই সুবিধা পান। তৃণমূলের বড়লোক গীতাঞ্জলি, ইন্দিরা আবাস পেয়েছেন। চাকরি করেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এমন তালিকা তৈরি করুন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikar) অভিযোগ, ৪ লক্ষ ৯ হাজার ভুয়ো জবকার্ড হয়েছে। আমি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করেছি। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার করতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত, ২৪ এ লোকসভা। আমরা কাঁথি, তমলুক মোদিজিকে উপহার দেব। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি আমরা খতম করবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী থাকাকালীন তিনি কখনও ডেসট্রাক্টিভ (ধ্বংসাত্মক) কিছু করেননি। সব সময় কনস্ট্রাক্টিভ (গঠনমূলক) কাজ করেছেন। এখন বিরোধীরা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছে।  গঠনমূলক রাজনীতি চোখে পড়ছে না। নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রী আরও বলেন এ রাজ্য়ে বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে যে ধরনের কুকথার ব্য়বহার করে, তা গোটা দেশে কোথাও হয় না। 

    বিরোধীদের কটাক্ষ

    যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না করলে বিধানসভায় ভাঙচুর কারা করেছিল? বিধানসভা ভবন ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা করতে দেননি মমতা। এখন শিল্পায়নের কথা বললেও টাটা বিদায়ের জন্য মুখ্য়মন্ত্রী যা করেছিলেন তা বাংলা ভুলবে না। কামতাপুরীদের সঙ্গে নিয়ে একসময় বাংলা ভাঙারও চক্রান্ত করেছিলেন মমতা। বিরোধী আসনে থাকার সময় পাহাড়েও অশান্তির বীজ বপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এখন ক্ষমতায় এসে যদি এমন কিছু বলেন যা একশো শতাংশ মিথ্য়ে, হাস্য়কর, তাহলে তা রাজ্য়ের সম্পর্কে ধারণা আরও খারাপ করে দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা এখন কুকথার প্রসঙ্গ টানছেন। অথচ, মুখ্য়মন্ত্রী যখন বলেন, বিরোধীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব, তার থেকে বড় কুকথা আর কী হতে পারে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ রাজ্যে যা দুর্নীতি হয়েছে, ভারতবর্ষে কোথাও তা হয়নি। তৃণমূল যে দুর্নীতি করেছে, তাতে তিনটি প্রজন্মের ভবিষ্য়ৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পর তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন যে প্রকল্পই নিয়ে আসুক না কেন, মানুষ আর তা গ্রহণ করবে না।’

    উল্লেখ্য, এদিনের সভা থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নামে একটি অ্যাপের উদ্বোধন করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকার তার মতো চলবে। কিন্তু তার বাইরেও মানুষ দলের কাছে অনেক অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগ জানানোর মঞ্চ হয়ে উঠবে এই অ্যাপ। সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কি না তা জানতে এই অ্যাপ সহায়ক হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PMAY: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    PMAY: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট  (Calcutta High Court)। জানুয়ারির ১৪ তারিখের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। মঙ্গলবার তিনি ওই নির্দেশ দেন। আদালত জানিয়েছে, রাজ্য সরকার যে হলফনামা দেবে তাতে কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কত টাকা তারা পেয়েছে, এর মধ্যে কত টাকা উপযুক্ত উপভোক্তাদের মধ্যে বিলিবন্দেজ করা হয়েছে, তা জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বিজেপি।

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ…

    পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, রাজ্য সরকার দরিদ্রদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) অনুদান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। আদালতে আবেদনকারী চেয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে আদালত যেন ওই অনুদান বিলিবন্দেজ বন্ধ করতে বলে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রকৃত উপভোক্তাদের অনুদান দেওয়ার বদলে তা দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের লোকজনকে। এনিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ মিছিলল করেন বিরোধীরা। এহেন আবহে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। ঘটনার জেরে ব্যাকফুটে পড়ে যায় তৃণমূল। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাতে এই দুর্নীতির অভিযোগ ছাপ ফেলতে পারে ভেবে তড়িঘড়ি নয় সদস্যের মনিটরিং কমিটি তৈরি করে রাজ্যের পঞ্চায়েত  দফতর।

    আরও পড়ুুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMAY) দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি করেছেন বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা। আর এক বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি রায় মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভায় আবাসস দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলায় কান্দি পুরসভার কাছে রিপোর্ট তলব করেছে বেঞ্চ। কান্দি পুরসভা এলাকায় ৬৬টিরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। পুরসভার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানো  হলেও, কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও হাইকোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের পাঁচটি মামলার মতোই কাঁথির টেন্ডার দুর্নীতি মামলাতেও শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ‘রক্ষাকবচ’ আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামী ৫ জানুয়ারি টেন্ডার দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    শুভেন্দুর আইনজীবী যা বললেন 

    এদিন মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, গত ২৮ নভেম্বর তাঁর মক্কেলের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছিল। অথচ ২৮ নভেম্বর নতুন মামলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। আইনজীবীর অভিযোগ, সেই তথ্য রাজ্য সরকার গোপন করেছে আদালতে। উল্লেখ্য, তাঁর বিরুদ্ধে মোট ২৬টি এফআইআর রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। আদালতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবী জানান, এই সমস্ত মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুভেন্দুবাবুর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও মামলারই কোনও ভিত্তি নেই। অকারণে হেনস্থা করতে পুলিশকে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘নিম্নমানের, নিম্নরুচির রাজনীতিবিদ’, জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    বিচারপতির পর্যবেক্ষণ

    শুভেন্দু মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু অধিকারী একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলেনতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টাও করতে পারে। এই ইস্যুতে ২৬টি এফআইআরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে আরও কোনও এফআইআর করা যাবে না।  এরপরেও তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। যদিও এব্যাপারে নিজের বক্তব্য এদিন জানায়নি রাজ্য সরকার। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলাটির শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ রাখবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share