Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’! ভয় পেয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) চায়ের নেমতন্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)! তার পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিরোধীদের প্রশ্ন, ‘ডিসেম্বর সিনড্রোমে’র ভয়েই কি বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম…

    বুধবার শপথ নিয়েছেন নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ‘অপমানজনক’ হওয়ায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে যাওয়া দুই দলবদলু বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কৃষ্ণকল্যাণীর সঙ্গে এক পঙক্তিতে বসতে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর পর আজ, শুক্রবার বিধানসভায় সাক্ষাৎ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর। মমতাই চায়ের নেমতন্ন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পরে তিনি বলেন, শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম। আর শুভেন্দুর দাবি, চা খাওয়া হয়নি। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চা খেতে বলেছিলেন। কিন্তু বিধানসভায় অধিবেশন চলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদেরও ব্যস্ততার কারণে চা খাওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়েছিলেন বিধায়ক বিজেপির অশোক লাহিড়ি, অগ্নিমিত্রা পল ও মনোজ টিগ্গা।

    এদিন ছিল সংবিধান দিবস। সেই উপলক্ষেই বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। কিন্তু শুভেন্দুর বক্তব্য শুরু হতে না হতেই তৃণমূল বিধায়কদের বসার জায়গা থেকে গোলমাল শুরু হয়। কানে আসতেই রুখে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ বাধা দেবে না। সবাই চুপ করে থাক। কোনও কোনও তৃণমূল বিধায়ক টিকা-টিপ্পনীও কাটতে শুরু করেছিলেন। মমতা তাঁদেরও কড়া ভাষায় কথা বলতে নিষেধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই থেমে যায় গোলমাল। নির্বিঘ্নে বক্তৃতা শেষ করেন শুভেন্দু। তার পরেই আসে চায়ের নেমতন্ন। নেমতন্ন রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যান বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুন: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার পর্ব জন্ম দিয়েছে একাধিক জল্পনার। নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে মমতাকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পর থেকে দু জনের সম্পর্ক আক্ষরিক অর্থেই অহি-নকুলের। সম্প্রতি শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এই ডিসেম্বরেই পড়ে যাবে তৃণমূল সরকার। তিনি এও জানিয়েছিলেন, জোর করে সরকার ফেলবেন না তাঁরা। সরকার পড়ে যাবে আপনা থেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই মোদির ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেই একই কারণে শুভেন্দুকে করতে হচ্ছে চায়ের নেমতন্ন। তাঁকে সম্বোধন করতে হচ্ছে ‘ভাই’ বলে!

    একেই বলে ‘ডিসেম্বর সিনড্রোম’!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য?’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Recruitment Scam: ‘কমিশনকে বলব তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য?’, বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রিসভাকে পার্টি করে তৃণমূলের (TMC) প্রতীক কেড়ে নিতে বলব কি? শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gganguly)। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে গত কয়েক মাসে নজিরবিহীন বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সে সবকে ছাপিয়ে গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য। তিনি বলেন, হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে আমরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ শে মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনও হয়নি। তিনি বলেন, আমার সন্দেহ আছে যে, হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই। আর নাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শোকজ করতে পারি।

    সওয়াল জবাব…

    এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং মণীশ জৈনের দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলে আদালতে। এক প্রশ্নের উত্তরে মণীশ বলেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনিই আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

    প্রশ্ন: আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায় না?

    উত্তর: হ্যাঁ।

    প্রশ্ন: তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল?

    উত্তর: উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমার আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। আইন দফতরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়। মুখ্যসচিবকে জানানো হয়। ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়।

    প্রশ্ন: অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?

    উত্তর: না।

    প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়েছিল?

    উত্তর: আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।

    প্রশ্ন: আমি বিস্মিত যে কীভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?  যেখানে আইনে এর কোন সংস্থান নেই। আপনি কি মনে করেন যে অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার?

    উত্তর: না।

    প্রশ্ন: কোন ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত হয়?

    উত্তর:  আমরা আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি।

    প্রশ্ন: এটা কোনও রাজ্যের নীতি হতে পারে?  আবার বলা হচ্ছে, যে কারও চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোনও লিখিত নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা কেন প্রতি বছর ব্যয় করা হবে এই অযোগ্যদের জন্য?

    উত্তর: আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলেছিলাম।

    প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় না যে ক্যাবিনেট তার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে? ক্যাবিনেটের সদস্যরা সই করলেন?  কেউ তাঁদের সতর্ক করলেন না?

    উত্তর: আমি সেখানে ছিলাম না।

    এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বিধানসভায় দলনেতা মুখ্যমন্ত্রী। আর লোকসভায় দলনেতা প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য। দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায় না, হুঁশিয়ারি বিচারপতির। তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রণা বুঝতে পারি। কিন্তু কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত তারা আদালতের নামে যা ইচ্ছা বলছে। বলছে, যে নিয়োগ হলেই আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে এলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে? প্রশ্ন বিচারপতির।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এনআইএ কাজ করছে দেশদ্রোহীরা সাবধান! শাসক দলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেজুরিতে এখনও জীবিত আছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, দেশদ্রোহীরা সাবধান। বৃহস্পতিবার ‘হার্মাদ মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে মিছিলে যোগ দিয়ে শাসকদলকে  হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইডি ও সিবিআই-এর মতো সংস্থা রাজ্যে একাধিক মামলার তদন্ত করছে। এবার এনআইএ-এর কথা শোনালেন শুভেন্দু।

    হার্মাদ মুক্ত দিবস পালন

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর, খেজুরি থেকে সিপিএমকে ‘উৎখাত’ করেছিল তৃণমূল। সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তার পর থেকেই প্রতি বছর এই দিনে খেজুরিতে ‘হার্মাদ মুক্ত দিবস’ পালন করেন শুভেন্দু। তবে এখন বাংলায় বিজেপির মুখ তিনি। এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাম আমলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, একসময় বামপন্থীরা যা করেছিল, তাতে তিনি না থাকলে তৃণমূল শেষ হয়ে যেত। শুভেন্দু আরও বলেন, ‘বামপন্থীরা খারাপ নয়। এখন লজ্জা লাগে আমার। সেদিনকার বামপন্থীদের হার্মাদ বলতাম!’ তৃণমূলের নেতারা তাঁদের ছাপিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল স্কুল সার্ভিস কমিশন! এবার কি সুপ্রিম দুয়ারে যাবে রাজ্য সরকার?

    কী বললেন শুভেন্দু

    বৃহস্পতিবার খেজুরিতে বিশাল মিছিল করে বিজেপি। তারপরই সভা থেকে শাসক দলকে বার্তা দেন তিনি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘আমি ১ তারিখে খেজুরিতে আসছি। বুঝিয়ে দেব শুভেন্দু কে? আরে এনআইএ তো সবে শুরু করেছে কাজ। সমর মণ্ডল অপেক্ষা করুন, সবে তো ১২টা বাজে, এখনও তো সূর্য ডোবেনি।’ সম্প্রতি এখানে বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘খেজুরিতে কে এক জন শেখ ইয়াসিন ঘোলাবাড়ের বিজেপি কর্মী সুরজকে মেরেছে। মাননীয় ইয়াসিনবাবু, আপনার যা যা ওষুধ লাগবে ডাক্তারবাবু সব জানে। আমি এই দায়িত্বটা নিলাম।’’ গত ৩ জানুয়ারি পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে কঙ্কন করণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তার জেরে মৃত্যু হয় অনুপ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বেশ কয়েক জন জখম হন। বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। এর পর স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক তা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন। তিনি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে লিখিত আবেদনও করেন। এর পর ওই বিস্ফোরণ-কাণ্ডের তদন্তভার নেয় এনআইএ। ওই ঘটনায় জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সমরশঙ্কর মণ্ডল-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। বৃহস্পতিবার শুভেন্দুর বক্তব্যে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গই।

  • Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    Mithun Chakraborty: দুর্নীতি থেকে হিংসা, শীর্ষে বাংলা! রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে হতাশ মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি থেকে হিংসা বাংলা এখন সব কিছুতেই শীর্ষে। আগে বাঙালি বলে গর্ববোধ হতো আর এখন বাঙালি শুনলে লোকে হাসে। শহরে এসেই বাংলার সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন বাঙালির রোল মডেল মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শীতের শুরুতেই শাসক-বিরোধী দ্বন্দে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) সলতে পাকানো চলছে। এরই মধ্যে শহরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাংলায় দলের হয়ে প্রচারে এসেছেন মিঠুন। রাজ্যে পা দিয়েই এখানকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শাসক থেকে সংবাদ মাধ্যম সবাইকেই দুষলেন মহাগুরু।

    মিঠুনের কথা

    কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে মিঠুন (Mithun Chakraborty) জানান, দলের সভাপতির নির্দেশে রাজ্যে এসেছেন। যা করবেন সবাই জানতে পারবেন তিনি লুকিয়ে কিছু করবেন না। ইদানিং বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষের সুরে মিঠুন বলেন,  “বাংলার ইমেজ এখন ফাটাফাটি। সব জিনিস টপ গিয়ারে চলছে। দুর্নীতিতে নম্বর ওয়ান। হিংসায় নম্বর ওয়ান। এখন বাংলাকে হারানো মুশকিল আছে।” মিঠুনের দাবি, একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বলে গর্ববোধ করা যেত। এখন কিছু বললে সকলে হাসে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, “আগে একটা সময় ছিল যখন বাঙালি মানে গর্ববোধ করা যেত। সেটা যেন কোথায় একটা চলে গিয়েছে। যে জায়গায় চলে গিয়েছে বাংলা সেখান থেকে কী করে ফিরবে আমি জানি না। তবে এর জন্য আমরা সকলেই দায়ী।”

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা

    ক্ষোভের সুরে মিঠুন (Mithun Chakraborty) সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। বলেন, “মিডিয়া দায়ী। ভোটের পরে যে হিংসা হয়েছে, সেটা কতটুকু দেখিয়েছে মিডিয়া? দেখালে আজকে এই জায়গাটা আসত না। একটা রাজ্যে কোনও মিডিয়াই ছিল না যারা এই হিংসাকে দেখাবে। ৫৯ জন মানুষকে খুন করা হয়েছে। ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে শেষ করে দিয়েছে। কিন্তু, এক-দুজন ছাড়া কোনও সংবাদমাধ্যম সামনে আসেনি। আমি বিজেপির হয়ে কথা বলছি না। আমি এটা সাধারণ মানুষ হিসাবে বলছি।”

    বিপ্লবের ডাক

    রাজ্যে শাসক দলের দুর্নীতি দূর করতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মিঠুন (Mithun Chakraborty)। তিনি বলেন, দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারপরও হুঁশ ফিরছে না বাংলার মানুষের। তাঁর কথায়, “কোনও পলিটিক্যাল সাপোর্ট না নিয়ে রাস্তায় বসেছে, আন্দোলন করছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কোনও বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেসের সাপোর্ট নেয়নি। কিন্তু, বাংলার মানুষের হল কী? যে বাংলাকে আন্দোলনের মুখ বলা হত, বিপ্লবের মুখ বলা হত সেই মানুষরা কোথায়? কেন পার্টিদের আসতে হবে? কেন লাগবে পার্টি? কালকে সব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে যদি মাঠে মানুষ নেমে পড়ে। কিন্তু তারা কোথায়? আমি বিপ্লবের মধ্যে বড় হয়েছি। সেখানে এটা বুঝতেই পারি না কী করে হল। আমার মাথায় কিছু আসে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি কেন? প্রশ্নের মুখে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মন্ত্রী নন। হোমরাচোমরাও কেউ নন। তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনু্ব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তৃণমূল (TMC) নেত্রীর আদরের কেষ্ট। এহেন এক তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করতেন। বীরভূম থেকে তিনি যখন কলকাতায় আসতেন, কিংবা কলকাতারই এক স্থান থেকে অন্যত্র যেতেন তাঁর গাড়ির মাথায় শোভা পেত লালবাতি। বাজত হুটার। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। তার পরেই নবান্নের কাছে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, লাল-নীল কত বাতি, কতজনকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার অপব্যবহারের জন্য সরকার কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে?

    মামলার নেপথ্যে…

    গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। মামলাটি করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তাঁর যুক্তি ছিল, অনুব্রত মণ্ডল এমন কোনও পদে নেই, যাতে লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা যায়। তাহলে তিনি লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করেন কীভাবে? কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি লালবাতি লাগানো গাড়িতে পুলিশের নজর এড়িয়ে বীরভূম থেকে কলকাতায় আসেন সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেন ওই আইনজীবী। মঙ্গলবার হচ্ছিল ওই মামলার শুনানি। এদিন ওই মামলার শুনানিতেই আদালতের গুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। প্রধান বিচারপতি রাকেশ শ্রীবাস্তবের প্রশ্ন, রাজ্যজুড়ে লালবাতি, নীলবাতির গাড়ি যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে কেন? সবই কি বৈধ? প্রধান বিচারপতি এদিন শুনানির সময় বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করে পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এমন কত মামলা হয়েছে রাজ্যে? তাঁর এও প্রশ্ন, রাজ্যে মাল্টি কালার বাতির প্রচলন রয়েছে কি? এ ব্যাপারে সোমবারের মধ্যে জবাব চেয়েছে হাইকোর্ট। নবান্ন সূত্রে খবর, জেলাস্তরের বহু নেতা বিভিন্ন কমিশন বা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে গাড়িতে বিকন লাইট লাগানোর অনুমতি পেয়েছিলেন। অনুব্রতও (Anubrata Mondal) সেভাবে অনুমতি পেয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে লালবাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে বর্ধমানের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তখন তিনি এসেছিলেন স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির বোর্ড লাগানো একটি গাড়িতে চড়ে। এই গাড়ির মাথায় লাগানো ছিল লালবাতি। তবে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী, ওই পদে থেকে গাড়িতে লালবাতি ব্যবহার করা যায় না। তা সত্ত্বেও কীভাবে লালবাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরেছিলেন অনুব্রত? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চাইলেন সিবিআই (CBI) তদন্তও।

    ঘটনার সূত্রপাত…

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা- কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে।

    ঘটনা প্রসঙ্গে একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। লেখেন, মমতার পুলিশ পাঁচ পয়সার মতো দু মুখো ও অপদার্থ। এক দিকে চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্য দিকে যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গন্ডগোল বাঁধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল। এটা জেনেই যে, ওই সময় বাড়িতে আমার ৮৪ বছরের বৃদ্ধ বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা গায়ত্রী অধিকারী আছেন। ওদের উদ্দেশ্য ছিল, বাড়ির বাইরে অশ্রাব্য স্লোগান দিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বিরক্ত করা।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির বাড়ি থেকে বের হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্রিটিংস কার্ড ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে ভিড় করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন কয়েকজন। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশই তাঁদের কাছ থেকে শুভেন্দুকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রিটিংস কার্ড নেয়।

    এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। অথচ তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। এতে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC MLA on Bangladeshis: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    TMC MLA on Bangladeshis: ‘‘তৃণমূলকে সমর্থন করা বাংলাদেশিদের নামই ভোটার লিস্টে রাখুন’’, বিতর্কে বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কেবল তৃণমূল (TMC) সমর্থকদেরই নাম তুলুন! বিজেপির (BJP) লোকদের তুলবেন না! এই নিদান দিয়েছেন এ রাজ্যের এক এমএলএ (MLA)। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) খোকন দাসের এহেন মন্তব্যের জেরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটার লিস্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের টাউন হলে তৃণমূলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত বুথ ভিত্তিক এক আলোচনা সভার। এই সভায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্টরা। এই সভায়ই বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন খোকন। একজন বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) হয়ে একথা বলতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক?

    এদিনের এই সভায় বিধায়ক (TMC MLA on Bangladeshis) বলেন, অনেক নতুন ভোটার। প্রতিদিন নতুন লোক তো আসছেই। নতুন লোক মানে বুঝতে পারছেন? সব বাংলাদেশের লোক আসছেন। তাঁদের ভোট বেশি তোলা মানে তো আরও ক্ষতি। তাঁরা তো সব ভোট বিজেপিকেই দিয়ে দেন। তাই ভোটার লিস্টে নাম যে তুলবেন, দেখবেন নতুন লোক এলেও, তাঁরা আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন কিনা। যাঁরা সেটা করবেন, তাঁদেরই নাম ভোটার তালিকায় তোলার চেষ্টা করবেন। বিধায়ক বলেন, এখন সবাই আমাদের দলের সঙ্গে ভিড়ে গিয়েছেন। দু দিন পর আবার ২০১৯, ২০২১ সালের মতো হয়ে না যায়! নিজেদের জায়গা নিজেদের ছেলেদের করতে হবে। আমরাও দলকে বলেছি, যাঁরা উনিশ ও একুশের ভোটে বুক চিতিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, তাঁদেরই বিভিন্ন পদ দেওয়া হবে। অন্য কোনও লোককে আমরা কোনও পদ দেব না। তিনি বলেন, যাঁরা দলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, তাঁদেরই জায়গা দেব।

    আরও পড়ুন: অভিষেকই ‘কয়লা ভাইপো’? মেনে নিচ্ছে তৃণমূল?

    অথচ দিন কয়েক আগে উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল বিধায়কের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। ১০ নভেম্বর এক প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সবাই যাঁরা ভোটার লিস্টের কাজে আছেন, আমি রিকোয়েস্ট করব সবার নামটা তুলবেন। ১৮ বছর বয়স যাদের হচ্ছে বা হতে যাচ্ছে, তাদের নামগুলো তুলবেন ইলেকশন কমিশনের নিয়ম মেনে। কারও নাম দয়া করে অন্য ধর্মের লোক বলে বাদ দেবেন না।

    তৃণমূলের কোনটা মুখ আর কোনটা মুখোশ? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bengal Politics: ডিসেম্বরেই কি ফের ভাঙাগড়ার খেলা হবে বঙ্গ রাজনীতিতে?

    Bengal Politics: ডিসেম্বরেই কি ফের ভাঙাগড়ার খেলা হবে বঙ্গ রাজনীতিতে?

    কালাম সিহায়ি

    ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আসন্ন মরশুমের জন্য দল বদলের “ট্রেড উইন্ডো” বন্ধ হয়ে গেল। কলকাতা নাইট রাইডার্স লকি ফার্গুসন, শার্দুল ঠাকুর এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ট্রেড করে দলে নিয়েছে৷ অর্থাৎ অন্য দলের সঙ্গে খেলোয়াড় অদলা বদলি করে এদের নিয়েছে। বদলে আবার কোনও খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিয়েছে।

    খেলোয়াড় আদান-প্রদানের এই নিয়ম ফুটবল থেকে আমদানি করা। ক্লাব ফুটবলের মরশুম শুরু হওয়ার আগে অথবা মরশুম চলাকালীনও কিছু সীমিত সময়ের জন্য এই “ট্রেড উইন্ডো” বা লেনদেনের সুযোগ পায় ক্লাবগুলি। এই ভাবে নতুন খেলোয়াড় দলে নিয়ে অথবা পুরনো কাউকে বাদ দিয়ে দলকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা করে ক্লাবগুলি।

    সাতের দশকে কলকাতার ফুটবলের কত রোমহর্ষক নাটক ঘটত এই ফুটবলারদের দলবদলকে কেন্দ্র করে। কত রক্তারক্তি, বোতল ছোড়াছুড়ি, বোমার লড়াই হতো সমর্থকদের মধ্যে। দলবদলের ১৫টি দিন, ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ ফুটবল উত্তেজনার পারদ আকাশছোঁয়া হয়ে যেত।

    এবার মূল বিষয়ে আসা যাক। খেলার মাঠে দলবদল তো আকছার হয়ে থাকে, কিন্তু রাজনীতির ময়দানে যখন “খেলা হবে” স্লোগান দেওয়া রেওয়াজে পরিণত হয়েছে তখন খেলার মাঠের এই দলবদলের রীতি রাজনৈতিক ব্যক্তিরা গ্রহণ করলে দোষ কি!

    বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রে কমিউনিস্টদের মধ্যে দল ভাঙানোর প্রচলন কোনওদিনই তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষ করে যখন বাংলায় দুই দল কেন্দ্রিক রাজনীতির প্রচলন অর্থাৎ কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের মধ্যে দড়ি টানাটানি, তখন এই প্রথা লক্ষ্য করা যায়নি তেমনভাবে।

    তৃণমূল কংগ্রেস জন্ম হওয়ার পরে এই ‘কনসেপ্ট’ প্রয়োগ হয় বাংলায়। প্রথমে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মত বড় মাপের কংগ্রেস নেতা তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। মুকুল রায়ের হাত ধরে নদিয়া জেলা সহ একের পর এক পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ভাঙিয়ে নিয়ে বোর্ড দখল করে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে প্রায় একই চিত্র দেখা যায় মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। এক সময় রাজ্য রাজনীতিতে এই দল ভাঙানো বিষয়টি চমক থেকে একেবারে সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেতে থাকে যে এবার কোন কোন বিরোধী দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মঞ্চে যোগদান করতে দেখা যাবে। ২০১১ ও ২০১৬ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে জেতা বিধায়কদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে এসে ঠেকে। কেউ কেউ আবার বিধানসভার ভেতরে কংগ্রেস আর বাইরে তৃণমূল। এমনকি প্রবীণ বাম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাও যোগ দেন তৃণমূলে! ছোট বড় বহু বাম নেতা যেমন উদয়ন গুহ, পরেশ অধিকারী, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে তৃণমূলে নাম লেখান।

    তবে একটা উল্টো স্রোত বইতে শুরু করে ২০২০ সালে এসে, অর্থাৎ ২০২১-এর নির্বাচনের এক বছর আগে থেকে। এবারে শাসক তৃণমূল দলের বিধায়করা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির দিকে ভিড়তে শুরু করেন। প্রতিনিয়ত বিধায়ক, মন্ত্রী ও এমনকী শাসক দলের সাংসদও বিজেপির মঞ্চে উঠে পতাকা হাতে তুলে নেন।

    একুশের নির্বাচনের আগে যে যোগদান মেলা বিজেপি শুরু করেছিল তা একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পরে ব্যুমেরাং হয়ে যায়। একাধিক বিধায়ক–সাংসদ, যাঁরা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা নির্বাচনে পরাজয়ের পরে বিজেপির সংস্রব ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। শুভেন্দু অধিকারীর মত ব্যতিক্রমী অবশ্যই আছেন, কিন্তু তা হাতে গোনা যায়। তাই হয়তো দলবদল নিয়ে এবার বিজেপি একটু বেশি সাবধানী। বেনোজল আটকাতে কার্যকরী ফিল্টার বসাতে মরিয়া বিজেপি, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    শুভেন্দু অধিকারীর স্পষ্ট বক্তব্য যে, “পিছন দরজা দিয়ে নয়, গণতান্ত্রিকভাবে সামনের দরজা দিয়েই ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি। বাংলায় ডবল ইঞ্জিন সরকার স্থাপন হবে। তৃণমূলের ৮০ শতাংশ বিধায়কই অসৎ। এরা সকলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মিডলম্যানের ভূমিকা পালন করে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি বিক্রি করেছে। তাই এদের নিয়ে সরকার গঠন নয়। দলে আর বেনোজল ঢোকানো হবে না।”

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদাদের বার্তা হল— ‘‘তৃণমূলের নেতাদের জন্য নয়, কর্মীদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও নেতা বিজেপিতে আসতে চাইলে তাঁদের দলে নেওয়া হবে না। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তৃণমূলের সব নেতাই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই নেতা নয়, কর্মীদের আমরা দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে দরজা খোলা রাখছি। শুধু তৃণমূলই নয়, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের নেওয়ার ক্ষেত্রেই আমাদের আগ্রহ নেই। আমরা সব দলের কর্মীদের জন্য দরজা খোলা রাখছি৷’’

    তৃণমূলের কৌশল আবার একটু ভিন্ন। বিজেপিকে ভাঙাতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখেনি তারা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই বলে থাকেন যে, ‘‘অনেকেই বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে আসতে চাইছেন। তৃণমূল দরজা খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে।’’

    মঙ্গলবার আবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বলেন, ‘‘আমরা চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে ওদের ৩০টা বিধায়কও থাকবে না।’’ সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘দল ভাঙানোর খেলা খেলি না।’’ প্রসঙ্গত, আগেও হলদিয়ার জনসভায় তিনি দাবি করেন যে দরজা খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে কিন্তু উনি দরজা বন্ধ করে রেখেছেন।

    কিন্তু বিষয়টি হল যে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে অনেকেই যোগদান করবেন বলে শোনা গিয়েছিল। প্রচুর বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের নাম নিয়ে জল্পনা সৃষ্টি হলেও আদতে কেউই মঞ্চে আসেননি। আর ২২ জুলাই থেকে যেভাবে একে একে তৃণমূলের মহাসচিব, মন্ত্রী, বিধায়ক, জেলা সভাপতি জেলবন্দি হয়েছেন আর এজেন্সির জেরায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন, তাই আর কেউ ওই পথ মাড়াবেন এটা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। যদি কেউ এখনও সেই সম্ভাবনার লাভ ক্ষতি বিশ্লেষণ করে থাকেন তাহলে ওনার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হবে।

    দলবদলের রীতি যে একেবারে বন্ধ রয়েছে তা নয়। আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলবদলের কিছু টুকরো খবর প্রকাশিত হচ্ছে প্রায়শই, তবে তা একেবারে স্থানীয় স্তরে।

    ▪️মালদহের চাঁচলের অলিহণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজনগর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ফুলমণি দাস তৃণমূল দল ছেড়ে শতাধিক তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন।

    ▪️আবার অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতেরই শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল ইসলাম ওরফে মুকুল তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রায় ৫০ তৃণমূল কর্মী।

    এক মাসের ব্যবধানে শাসকদলের দু’জন পঞ্চায়েত সদস্যের দলত্যাগ করা পঞ্চায়েত ভোটের আগে যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।

    ▪️আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় ধাক্কা খেল তৃণমূল। শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসকদলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য— গণেশ দাস ও যমুনা সুব্বা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে শাসকদল।

    ▪️‘অনুব্রতহীন’ বীরভূমের মুরারই দু’নম্বর ব্লকের পাইকরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বাবুল আখতারের নেতৃত্বে কংগ্রেসে যোগ দিলেন এলাকার অন্তত দেড়শো কর্মী-সমর্থক।

    ▪️মুর্শিদাবাদের লালগোলা ব্লকের দেওয়ানসরাই পঞ্চায়েতের দখল নিল বাম কংগ্রেসের জোট। তৃণমূলের সদস্যরাই অনাস্থা নিয়ে আসে প্রধান আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।

    ▪️নির্দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসা ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন৷ যার ফলে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা চেয়েছে কংগ্রেস। আস্থা ভোটেকে বোর্ডের দখল নিতে পারে সেটাই দেখার।

    এদিকে আবার ডিসেম্বর মাসের দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। না শীতকালের আমেজ, বড়দিনের কেক অথবা চড়ুইভাতির আয়োজনের কথা ভেবে নয়। কনকনে ঠান্ডায় রাজ্যবাসী রাজনীতির উত্তাপ নেওয়ার অপেক্ষায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর পারদ নামার ইঙ্গিত দিলেও রাজনৈতিক সচেতন বাঙালি বুঝে গেছেন যে রাজনৈতিক পারদ ক্রমশ বাড়ছে। বিগত কয়েক মাস ধরে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার থেকে শুভেন্দু অধিকারী সহ মাঝারি এমনকী ছোট স্তরের সব বিজপি নেতার মুখেই শোনা গিয়েছে, ‘‘তৃণমূল সরকার ডিসেম্বরে পড়ে যাবে অথবা কার্যত থাকবে না।’’ সরকার চালাতে ব্যর্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি ২০২৩ জানুয়ারি মাসের বেতন দিতে পারবে না সরকার। আর্থিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়বে রাজ্য সরকার।

    এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও নাকি ক্যাবিনেট বৈঠকে মন্ত্রীদের সচেতন করেছেন ডিসেম্বরে বাড়তি সতর্ক থাকতে। এবার প্রশাসনিক বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাবধান করেছেন “ডিসেম্বর ধামাকার” সম্বন্ধে। এবার ডিসেম্বর নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    তাই ডিসেম্বর মাস নিয়ে অপার কৌতূহল তৈরি হলেও  রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা যেমন আইপিএলের “ট্রেড উইন্ডো” আগামী মরশুমের জন্য বন্ধ হয়ে গেল, ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলি যেমন আর সরাসরি নিজেদের মধ্যে ক্রিকেটার অদল বদল করতে পারবে না, ঠিক তেমনি আপাতত বঙ্গ রাজনীতিতে কোনও দলই অন্য দলের রাজ্যস্তরের কোনও বড় খেলোয়াড়কে “সই” করাবে না। আপাতত “ট্রেড উইন্ডো” বন্ধ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত অবৈধ। শুভেন্দুর কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে মিছিলও করতে পারবে না তৃণমূল (TMC)। মিছিল যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি…

    গত দু দিন ধরে শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চান সিবিআই তদন্তও। বুধবার হয় ওই মামলার শুনানি।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী আদালতে জানান, ভাসবাসার নাম করে ফুল নিয়ে গিয়ে বাড়ির সামনে কর্মসূচি করা হচ্ছে। তখনই শুভেন্দুর আইনজীবীকে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, হতে পারে আপনাকে তাঁরা ভালবাসে। শুভেন্দুর আইনজীবী পাল্টা বলেন, ফুল নিয়ে গিয়ে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করাকে কি ভালবাসা বলে? তখনই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, তাহলে বেশি ভালবাসবেন না। মধুমেহ (ডায়বেটিস) হয়ে যেতে পারে। এর পরই আদালত নির্দেশ দেয়, বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে জমায়েত করা যাবে না। এ রকম জমায়েত যাতে না হয়, তা কাঁথি থানাকে নিশ্চিত করতে বলবেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার। আগামী শুক্রবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত না করার নির্দেশের পাশাপাশি রাজ্যের কাছে এই ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্টও তলব করা হয়। বিচারপতি জানান, নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। পাকাতে থাকেন অশান্তি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    Suvendu Adhikari: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পেও দুর্নীতি! এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এবারে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার কারচুপি করে টাকা নয়ছয় করেছে, এমনটা অভিযোগ এনে আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর এবারে সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছেন ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি

    রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর এই নিয়ে অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল। আর এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি দাবি করেছেন যে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। কোনও কাজ না দিয়েই অন্য জায়গায় টাকা খরচ করার পর দুর্নীতি লুকোতে মানুষকে ভুল শংসাপত্র দিয়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। আর এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো চিঠিতে।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    এই ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, তথ্যে কারচুপি করা হচ্ছে। টেন্ডার না হওয়া তথ্য তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এলাকায় প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে বেশি সংখ্যক জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

    তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার আর্জি

    মামলা দায়ের করার পাশাপাশি বিষয়টির তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জিও করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য প্রশাসনের! শুভেন্দুকে সভার অনুমতি আদালতের 

LinkedIn
Share