Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের টাকায় বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিলের অর্থে বগটুই গণহত্যায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য! এদিন ঠিক এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফলে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। তারপর সেইসব চেকের ছবি ট্যুইট করে সরব হন শুভেন্দু। ১০ মাস হয়ে গিয়েছে বগটুই গণহত্যার। গত বছর ২৪ মার্চ বগটুইয়ে মৃত ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। অভিযোগ, এই ক্ষতিপূরণের টাকা কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্প মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকা বগটুই কাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে দেওয়া অনুদান হিসেবে খরচ করেছে রাজ্য সরকার৷ এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সেই ট্যুইটে তিনি মেনশন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আবার ট্যুইটের মাধ্যমেই এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷

    ট্যুইটে সরব শুভেন্দু

    এদিন সকালে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আর্থিক সাহায্যের ভিডিও আপলোড করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এরপর রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “স্কুলছাত্রীদের খাদ্য ও পুষ্টির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মিড ডে মিল তহবিলে অর্থ দেয়৷ সেই অর্থ ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে! এটা একটা আর্থিক অপরাধ।” তিনি আরও লিখেছেন, বাংলার সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে৷ আপৎকালীন তহবিল ও মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে কোনও অর্থ নেই৷ তার পরও অর্থ-কম্বল প্রদান চলছে৷ সেগুলি মিড ডে মিলের তহবিল থেকে করা হচ্ছে৷ তিনি আবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে অভিযোগ জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন৷

    বীরভূমের বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহার অভিযোগ

    একই অভিযোগ নিয়ে প্রথমে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা সরব হয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি চেকের ছবি দিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকার বগটুই কাণ্ডে যে আর্থিক সাহায্য দিয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া মিড ডে মিলের টাকা থেকে। এ ব্যাপারে তিনি দুটি চেকের ছবি দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, অন্য সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মত মিড ডে মিলের প্রকল্পের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসছে ৩০ জানুয়ারি। তাঁরা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। তবে তার আগে বগটুই কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের টাকায় এই অভিযোগ আনায় ও শুভেন্দুর ট্যুইট নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চৰ্চা। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

  • 100 Days Work: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    100 Days Work: একশো দিনের প্রকল্পে ৫ কোটি টাকা আত্মসাত! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ মালদার গাজোলে। একশো দিনের প্রকল্পে গরমিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই সময়েই প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল শাসকদলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। 

    কী কী অভিযোগ

    মালদার গাজোলে তৃণমূল পরিচালিত দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে ৩৫৬টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ড্রাগন ফলের চাষ, কলাগাছ চাষ, পোল্ট্রি শেড নির্মাণ। স্থানীয়দের দাবি, কোনও কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিজিয়া এবং ফারাদ। প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ। মালদার জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। তাতে আপাতত শান্ত হয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক 

    পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি ফারাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই যাবতীয় কাজ হয়েছে।’’ পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া সুলতানার এখনও  পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোথাও রিগিং করে, কোথাও আবার সদস্যদের কিনে পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। আমরা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে জানাব। এই সব ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘দল কাউকে দুর্নীতি করার অনুমতি দেয়নি। প্রশাসন তদন্ত করবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’  ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Didir Doot: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    Didir Doot: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot)! এবারও ঘটনাস্থল সেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) খাসতালুক বীরভূম। শুক্রবার দিদির দূত হয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন সিউড়ির বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) বিকাশ রায় চৌধুরী। আবাস দুর্নীতি ইস্যুতে স্থানীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলেরই কর্মী-সমর্থকরা। বিকাশের সামনে তাঁরই বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের লোকজন। অস্বস্তি এড়াতে দ্রুত পাশ কাটিয়ে চলে যান বিকাশ। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দিদির দূত…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে সিউড়ির আলুন্দা পঞ্চায়েতের জুনিদপুর গ্রামে দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়েছিলেন বিকাশ। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য কাটমানি নিয়েছেন প্রধান। আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে যান বিধায়ক। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পাশ কাটিয়ে চলে যান তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাফাই গাইতে থাকেন প্রধান। তিনি বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। প্রধান বলেন, কে কী করছে, সেটা আমি বলতে পারব না। এখন জব কার্ড হচ্ছে না। জব কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা এখন কারও নেই। অপপ্রচার চলছে।

    আরও পড়ুুন: মোষের গাড়িতে কয়লা পাচার! পুলিশ দেখেই অন্ধকারে মিলিয়ে গেল চালকরা

    প্রধানের দাবি, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরা বিরোধী দলের সদস্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুক্ষণ পরে অবশ্য স্থানীয় একটি ক্লাবে বসে গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন বিধায়ক। প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েই এদিন তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নেতা যদি মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, দল তা নেবে।

    বিধায়কের পাশাপাশি এদিন জন-বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ তৃণমূলের শতাব্দী রায়। দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়ে এর আগেও একবার বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। এদিন পড়লেন ফের। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিউড়ির কৈখি গ্রামে তাঁর গাড়ি আটকে রাস্তা ও পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ করেন এক বৃদ্ধা। পরে গ্রামে গেলে সেখানেও সাংসদকে ঘিরে রাস্তা এবং নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জন-মন যাচাই করতে দিদির দূত কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল। তা যে এমন বুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    Meghalaya: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার (West Bengal) মতো মেঘালয়েও (Meghalaya) ভোট ‘কেনা’র পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ধাঁচে ক্ষমতায় এলে এখানেও মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফি মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল বাংলার শাসক দল। মঙ্গলবার তৃণমূলের তরফে শিলং থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে খাসো এবং গারো ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

    তৃণমূল…

    বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গোটা দেশে সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগী হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এজন্য বড় রাজ্যগুলির পরিবর্তে তারা পাখির চোখ করে ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে। সেই মতো গোয়ায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। সেখানে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বিজেপির কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে মমতার দল। তার আগে আক্ষরিক অর্থেই ‘রাম’ধাক্কা খেয়েছিল উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায়। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিপুরায় প্রার্থী দেয় তৃণমূল। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে সেখানে প্রচারে যান দলের হেভিওয়েট নেতারা। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত বার পাঁচেক প্রচারে যান ত্রিপুরায়। তার পরেও আদতে কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির কাছে গোহারা হারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একটি মাত্র আসনে যিনি তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন, তিনিও পরে যোগ দেন বিজেপিতে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ নয়ছয়! মামলায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জুড়তে বলল হাইকোর্ট

    উত্তর পূর্বের আরও একটি রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেটি মেঘালয় (Meghalaya)। মেঘের রাজ্যে পায়ের নীচে মাটি পেতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ভাঙিয়ে দল ভারী করেছে তৃণমূল। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বিজেপিকে। এ রাজ্যে বিজেপি বেশ শক্তশালী। তাই বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে নগদ অর্থের ‘টোপ’ দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মতো এখানেও ফি মাসে মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইস্তেহারে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।  

    একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলা দখল করতে মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তৃণমূল। ভোটে জয়ী হওয়ার পরে সে টাকা দেওয়াও হয়। তবে সেজন্য আগে থেকে কোনও ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি। অভিযোগ, মিড-ডে মিল সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ‘সরিয়ে’ দেওয়া হচ্ছে ‘ভাণ্ডারে’। এনিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রকে নালিশ জানিয়েছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। তার পরেও শিক্ষা হয়নি এ রাজ্যের শাসক দলের। যার জেরে ফের টাকার টোপ। রাজ্যটা অবশ্য বাংলা নয়, উপজাতি অধ্যুষিত মেঘালয়!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Didir Doot: ফের জন-বিক্ষোভের মুখে দিদির দূত, স্বামীকে নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন বিধায়ক

    Didir Doot: ফের জন-বিক্ষোভের মুখে দিদির দূত, স্বামীকে নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জন-বিক্ষোভের মুখে দিদির দূত (Didir Doot)। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ঠায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রইলেন দিদির দূত বিধায়ক তৃণমূলের ঊষারানি মণ্ডল ও তাঁরা স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ব্লক সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। তাঁদের সঙ্গে থাকায় আটকে পড়েন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এসকেন্দার গাজিও। রবিবার ঘটনাটি ঘটে বসিরহাটের মিনাখাঁর আম্লানি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর এলাকায়।

    নেপথ্য কারণ…

    এই এলাকার প্রধান রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা ব্যবহার করেন রাস্তাটি। বারংবার প্রশাসনকে রাস্তার বেহাল দশার কথা জানিয়েও সমস্যা মেটেনি। রবিবার জনসংযোগ বাড়াতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন দিদির দূত (Didir Doot) ঊষারানি, মৃত্যুঞ্জয় এবং এসকেন্দার। গ্রামে ঢোকা মাত্রই স্থানীয়রা তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের মুখে পড়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন ঊষারানি ও তাঁর স্বামী। নাগালে বিধায়ককে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিক্ষোভকারীরা। এলাকার বেহাল রাস্তার পাশাপাশি বসিরহাট উত্তরের বিধায়ক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ভোটের পর থেকে রফিকুল একবারও এলাকা পরিদর্শন করতে আসেননি। অভাব অভিযোগ জানাতে গেলেও কোনও সুরাহা হয় না। পরে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। চলে যান ঊষারানিরা। 

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

    নানা কেলেঙ্কারির পাঁকে পড়ে গিয়ে কলঙ্কিত হয়েছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হারানো ভাবমূর্তি ফেরাতে জনসংযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই মতো চালু হয় দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচি। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়েই দিকে দিকে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রী। বস্তুত দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে প্রথম থেকেই পদে পদে হোঁচট খেতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং, রামপুরহাটের মাড়গ্রামে শতাব্দী রায়, বীরভূমের বালিজুড়ির কুখুটিয়া গ্রামে দেবাংশু ভট্টাচার্য, বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, মুর্শিদাবাদে সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরে সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়, গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক জুন মাল্য। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করেন কুণাল ঘোষ। নদিয়ায় গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েন খোদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমন অভিজ্ঞার সাক্ষী হয়েছেন তৃণমূলের আরও অনেকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতাকা টাঙানো নিয়ে তৃণমূল (TMC)-আইএসএফের (ISF) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। দু পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। তার জেরে জখম হয়েছেন দু পক্ষের কয়েকজন। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ চলাকালীন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (Bhangar) হাতিশালা এলাকায়। আইএসএফের অভিযোগের নিশানায় সেই আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। ওই ঘটনায় পুলিশ দু পক্ষের চারজনকে আটক করেছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে কাশীপুর থানার পুলিশ।

    লড়াইয়ের নেপথ্যে…

    এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফের লড়াই দীর্ঘদিনের। তৃণমূলের এই খাসতালুকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে থাবা বসায় আইএসএফ। তিনি ছিলেন কংগ্রেস-সিপিএম-আইএসএফের জোট প্রার্থী। তৃণমূলকে হারিয়ে আইএসএফ জয়ী হওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে আচমকাই সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। আইএসএফ নেতা (Bhangar) আবু হোসেন মোল্লার অভিযোগ, ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আমরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলাম। সেই সময় আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের মারধর করে। তিনি বলেন, পুলিশ এসে আমাদেরই দুজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। ওরা লাঠি দিয়ে মেরেছে। আত্মরক্ষা করতে আমরা ওদের মেরেছি।

    আরও পড়ুুন: ভাটপাড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার থেকে ১৫০ কৌটো বোমা উদ্ধার হয়।

    ঘটনায় দায়ী আইএসএফ, বলছে তৃণমূল। হাকিমুল বলেন, আইএসএফের কয়েক জন নেতা দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিল। সেই সময় তারা আমাদের এক সমর্থকের বাড়িতে তাদের দলীয় পতাকা টাঙায়। তারা আরাবুল ইসলামের নামে গালাগালি দেয়। তার প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ইটবৃষ্টি করে। আমাদের কর্মীদের বন্দুকের বাঁট, ইট, রড দিয়েও মারধর করে।

    বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ভাঙড়ে (Bhangar) সংঘর্ষের ঘটনায় দু পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দু পক্ষের কয়েকজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ভাঙড়ের এই ঘটনায় চিন্তিত রাজনৈতিক মহল। তাদের আশঙ্কা, ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিরোধীদের দমাতে ততই ‘ব্যবস্থা’ নেবে রাজ্যের শাসক দল। তার ফলে হবে সংঘর্ষ। ঘটবে রক্তপাতের মতো ঘটনাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ তে ৫৭ শতাংশ মোবাইল ভারতে তৈরি হয়। অ্যাপল মোবাইলেও লেখা থাকে মেড ইন ইন্ডিয়া। ভারত আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করছে। প্রতিরক্ষা দফতরে আগে প্রচুর দুর্নীতি হত। ডুবোজাহাজ কিনতে দুর্নীতি, হেলিকপ্টার কিনতে দুর্নীতি হত। এখন ভারত বিভিন্ন দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করছে। এটাই পরিবর্তিত ভারত। নদিয়ার বেথুয়াডহরির সভায় এভাবেই মোদি সরকারের জয়গান গাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। একই সঙ্গে আবাস থেকে শুরু করে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পে রাজ্য দুর্নীতি করছে বলে দাবি করেন তিনি। নাড্ডা বলেন, “কেন্দ্র কাজের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে আর এখানে ঘোটালা হচ্ছে। গরু, বালি, কয়লা এমনকী শৌচাগার থেকেও টাকা খাচ্ছে তৃণমূল। ওরা সংবিধান পর্যন্ত মানেন না।” হুঁশিয়ারির শুরে বলেন, “সংবিধান না মানলে জনতা বিচার করবে।”

    দিদি রাগবেন না!

    নাড্ডার মতে, এখন সবকিছুতে দিদি রেগে যাচ্ছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘আবাস নিয়ে তদন্ত হলে রেগে যান। আপনারা বলেন কাজ করতে দিচ্ছে না। মনরেগায় কৃষকদের টাকা খাওয়ার তদন্ত হলে তাতেও চিন্তায় পড়ে যান। এখানে সবথেকে বেশি মানব পাচার হয় কি না বলুন? সবথেকে বেশি মহিলাদের উপর অত্যাচার হয় কি না বলুন?’’ নাড্ডা বলেন, ‘‘একটা বৈঠকে দিদি আমার পাশে বসেছিলেন। আমি বললাম, দিদি এত রেগে যাবেন না। আপনি সংবিধান মেনে কাজ করুন, নিয়ম অনুযায়ী চলুন, দুর্নীতির সঙ্গ ছাড়ুন। আপনাকে ভগবান সুযোগ দিয়েছেন। আমি দিদিকে বলতে চাই, দিদি এত রাগ করো না। স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।’’

    দুর্নীতির সরকার

    এদিনে সভায় রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির কথা তোলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডা বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা পাঠায়, এখানে দুর্নীতি হয়। আর তদন্ত হলেই মোদি সরকারের নামে বলতে থাকে। মোদি সরকার সততার সরকার, আপনার সরকার বেইমানের সরকার, এটা বুঝতে হবে।’’  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। বেথুয়াডহরি সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘পয়সা পাঠাচ্ছেন মোদি আর তুমি এখানে দুর্নীতি করছ? আর যখনই তদন্ত হবে, বলবে সরকার শত্রুতা করছে। চুরিও করবে, গায়ের জোরও খাটাবে?’’

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    নাড্ডার মতে, এসবের থেকে রাজ্যবাসীর মুক্তির একটাই পথ। তা হল, তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনা। তিনি বললেন, ‘‘এসব থেকে মুক্তির একটাই রাস্তা, তা হল বিজেপি। তা পঞ্চায়েত ভোট হোক বা লোকসভা ভোট। বলুন, লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটবে কি না?’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘‘পদ্মে ছাপ দাও, চোর ধরেও দেব, জেলে ভরেও দেব। পদ্মে ভোট দিন, বাকিটা দেখে নেব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু!  তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু! তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক শাসকদলের নেতার নাম জড়িয়ে পড়ছে। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম উঠে আসার পর আজ সকাল সকাল তাঁর জোড়া ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর পর জানা গিয়েছে, তাপস ও কুন্তলের সূত্র ধরেই এই দুর্নীতি মামলায় বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছে। ফলে শুক্রবার সকালে মোট ৪টি গাড়ি করে ১২ জন ইডি অফিসার আসেন বলাগড়ে। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। চলছে তল্লাশি। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের এই নেতাও।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসছে নতুন নতুন নাম…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল প্রথমে কুন্তল ঘোষের নাম নেন। এর পর কুন্তল ঘোষকে জেরা করার পরেই শান্তনু ব্যানার্জির নামও উঠে আসে এই দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে জানা গিয়েছে, শান্তনুর নামও তাপসই দিয়েছেন তদন্তকারীদের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের ওই নেতাও।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে ইডির হানা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে একাধিক জায়গাতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। একদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও এদিন সকালে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। দুই জায়গাতেই চলছে তল্লাশি।

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস এবং কুন্তলকে জেরা করে শান্তনুর নাম পান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, হুগলির যুবনেতা কুন্তলের খুবই ‘ঘনিষ্ঠ’ বলাগড়ের নেতা শান্তনু। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই আজ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আজ সকালে বাড়িতে শান্তনু বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না বলেই তদন্তকারীদের জানান তৃণমূল নেতার দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীরা। তবে ইডির পরিচয় জানতেই বাড়ির সমস্ত চাবি তাঁদের হাতে নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে দেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকায় জেলা সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার তাঁর অভিযোগ, মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে, সেই টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপলক্ষে বারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল ও স্যানিটাইজার, মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    ট্যুইট-বাণ…

    ফের একবার ট্যুইট-বাণে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সফরে খরচ করা হয়েছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্টের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে ওই সফরে।

    অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ভিজিটের (যা আসলে রাজনৈতিক সফর) নামে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তা মিড-ডে মিলের, এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন, সিভিল ডিফেন্স মায় এমপি ল্যাডের।

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যে রাজনৈতিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে, তাতে সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরা যে খয়রাতির দ্রব্য হাতে তুলে দিচ্ছেন, তা হচ্ছে মিড-ডে মিলের টাকায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, এটা অর্থনৈতিক অপরাধ, তদন্তের প্রয়োজন।

    শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দু দিনের ওই সফরে খরচ হয়েছে ১.৩৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার ওপরতলা থেকে বিডিও পর্যন্ত আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে ফান্ড ডাইভার্ট করে চলেছেন। মিড-ডে মিলের টাকা চুরি কল্পনাও করা যাবে না। সেই কারণেই মিড-ডে মিলে মিলছে সাপ, টিকটিকি।

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দুর এই ট্যুইট-বাণ তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। বুধবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাপস মণ্ডলের প্রতিনিধিকেও। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুন্তল নিজাম প্যালেসে পৌঁছননি। 

    কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে একাধিক বার তলব করা হয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে। তার মধ্যেই একবার নিজাম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তাপস দাবি করেন, তিনি যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি তাপসের। এছাড়া, শুধু কুন্তলই নন, এর মধ্যে আরও ছোট বড় নেতা জড়িত রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তাপস। হুগলির যুব তৃণমূল নেতা তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য ও চাকরি পাইয়ে দিতে এই টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তাপস। সিবিআইয়েরও অনুমান কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের 

    অভিষেকের ঘনিষ্ঠ কুন্তল

    সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল এর আগে ২ বার সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে একাধিক ছবিতে এবং কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে কুন্তলকে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এবার কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা একাধিক রহস্যের উন্মোচন করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে চাপে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা জেলে রয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক প্রাক্তন আধিকারিক, এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। এবার কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share