Tag: tmc

tmc

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে ধরাশায়ী তৃণমূল, ব্যাপক জয় হাসিল করল বিজেপি

    Nandigram: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে ধরাশায়ী তৃণমূল, ব্যাপক জয় হাসিল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিজয় রথ এসে থমকে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরে। তমলুক, কাঁথি দুই জায়গাতেই দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। উড়েছে গেরুয়া আবির। আর এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে (Nandigram) ফের গেরুয়া ঝড়। তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে সমবায়ের ভোটে বিপুল জয় হাসিল করল বিজেপি।

    ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী বিজেপি (Nandigram)

    রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) হরিপুরে প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের ভোট ছিল। মোট ১২টি আসনে লড়াই। বিজেপি প্যানেলের পক্ষ থেকে ১২টি আসনে প্রার্থী দেয়। অন্যদিকে, তৃণমূল প্যানেলের পক্ষ থেকেও ১২টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়। দুপক্ষই ভোটের আগে প্রচার করেছিল। এদিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। সমবায়ের ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা একটি আসনে জয়ী হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    আবির খেলে উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিজেপি কর্মীরা

    লোকসভা ভোটের পর এদিনের সমবায় ভোটে কী ফল হয়, সেদিকে নজর ছিল জেলার রাজনৈতিক মহলের। নন্দীগ্রামের ১২টি আসনের এই প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে এই প্রথমবার  নির্বাচন হল। আর প্রথম বারেই ব্যাপকভাবে সাফল্য পেলেন গেরুয়া সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, সমবায় সমিতির ভোটগুলিতে কোনও রাজনৈতিক দল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। অর্থাৎ, রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীকে এখানে কোনও ভোট হয় না। তবে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই সমর্থিত প্যানেল থাকে সমবায় ভোটগুলির জন্য। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের মতে, এই সমবায় ভোটগুলি থেকে অনেক ক্ষেত্রেই এলাকায় রাজনীতির হাওয়া কোন দিকে, তার একটি আভাস পাওয়া যায়। এদিন ভোটে সাফল্য পাওয়ার পরই বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বক্তব্য, এবারই প্রথম নির্বাচন হয় এই সমবায় সমিতিতে। তৃণমূল এই সমবায় সমিতি দখল করার জন্য বহু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, ভোটে এবারও তারা ধরাশায়ী হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ব্যাঙ্কে লোন করে দেওয়ার বিনিময়ে গৃহবধূকে দিঘার হোটেলে রাত কাটানোর প্রস্তাব তৃণমূল নেতার!

    Howrah: ব্যাঙ্কে লোন করে দেওয়ার বিনিময়ে গৃহবধূকে দিঘার হোটেলে রাত কাটানোর প্রস্তাব তৃণমূল নেতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামীর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুর্গাপুরে এক গৃহবধূকে তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত্রিবাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরে আরও এক কীর্তিমান তৃণমূল নেতার হদিশ মিলল। ওই তৃণমূল নেতা ব্যাঙ্কে লোন করে দেওয়ার বিনিময়ে এক গৃহবধূকে শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Howrah)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগৎবল্লভপুরের (Howrah) পাতিয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কাজি সাবির আহমেদ এক মহিলাকে ব্যাঙ্ক থেকে ৫ লক্ষ টাকা লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে ৩০,০০০ টাকা প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ। ওই গৃহবধূ বলেন, মাস ছয়েক আগে আমাকে ব্যাঙ্ক থেকে লোন করে দেবেন বলে ওই তৃণমূল নেতা প্রতিশ্রুতি দেন। এর জন্য কয়েক দফায় মোট ৩০০০০ টাকা আমি তাঁকে দিই। তাতেও কোন কাজ হয়নি। এরপর কাজি সাবির আহমেদ আমাকে ফোনে দিঘার হোটেলে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেন। তাতে আমি রাজি হইনি। আমার সঙ্গে মোবাইলে রেকর্ডিং কথাবার্তাও প্রকাশ্যে এনেছি। সকলকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। জানা গিয়েছে, রবিবার  জগৎবল্লভপুর থানায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে ওই মহিলা আসেন। ওই তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে যাবতীয় মোবাইল রেকর্ডিং ক্লিপ জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জগৎবল্লভপুর ব্লকের তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, দলের কাছে অভিযোগ এসেছে। দল গোটা ঘটনার নজর রাখছে। যদি ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয়, দল ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কাজি সাবির আহমেদ বলেন, “এটা সিপিএম আইএসএফের রাজনৈতিক চক্রান্ত। ভোটের আগে ওই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ভোটে এগিয়ে থাকার কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার গলার আওয়াজকে কম্পিউটারে কারসাজি করে বানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আমি জড়িত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”, তোপ অগ্নিমিত্রার

    Durgapur: “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”, তোপ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শনিবার দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূল সমর্থক এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূলের তিন নেতা। ঘটনায় মর্মাহত হয়ে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আজ রবিবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল মহিলাকে দেখতে গেলে গো ব্যাক স্লোগান দেয় এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এরপর ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল (Durgapur)?

    ঘটনাস্থলে (Durgapur) বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল পৌঁছে ওঁই মহিলার খোঁজ নিতে যান। এরপর সব শুনে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দুর্গাপুরেও কি সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটছে? তৃণমূলের কাছে মহিলাদের কাছে সম্মান নেই। পুলিশকে আমরা জানিয়েছি। শেখ বিল্লি আর সুকুমার নামে দুই জনকে গ্রফতার করা হয়েছে। বাকি আরও দুজনকে পুলিশ খোঁজ করছে। তৃণমূলের রাজত্বে জুয়া, মদের আড্ডা পাড়ায় পাড়ায় গজে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী যতই চেষ্টা করুন বিরোধী শূন্য করতে পারবেন না। তৃণমূলের নেতারা কুপ্রস্তাব দিয়ে দুর্গাপুরকে সন্দেশখালি করে দিয়েছেন। বিজেপি সব সময় পথে আছে। আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোড়াল হবে।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    গত দুদিন আগে দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূলের সমর্থক এক মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, এলাকায় তৃণমূল নেতাদের মদের ঠেক চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন এই মহিলা। এরপর তাঁর স্বামীর ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূলের নেতারা। পুনরায় স্বামীকে আবার কাজে যুক্ত হতে গেলে ওঁই মহিলাকে এলাকার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সহবাস করতে হবে। ঠিক এরকম কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওঁই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা করেছে পুলিশ। যদিও বাকি দুজন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দুর্গাপুরের (Durgapur) এই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য অভিযোগ, “এখানে যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। এখানে রাজনৈতিক ইস্যুকে খাড়া করতে অগ্নিমিত্রা এসেছেন। তাই এলাকাবাসী তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছে।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক ৭ লক্ষ ভোটে জিতলেও ডায়মন্ড হারবারের ৪টি ওয়ার্ডে বাজিমাত বিজেপির!

    Abhishek Banerjee: অভিষেক ৭ লক্ষ ভোটে জিতলেও ডায়মন্ড হারবারের ৪টি ওয়ার্ডে বাজিমাত বিজেপির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) পেয়েছেন ১০ লক্ষের বেশি ভোট। জয়ী হয়েছেন ৭ লক্ষ ভোটের বেশি পেয়ে। কিন্তু তবুও পুরসভা এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ডে পিছিয়ে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল, আবার পাল্টা বাজিমাত করেছে বিজেপি। শুরু হয়েছে তৃণমূলের তরফে বিশ্লেষণ। বিজেপির দাবি, যেখানে যেখানে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে সেখানে সেখানে ছাপ্পা মারতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল।

    কোন কোন ওয়ার্ডে পিছিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    ফল প্রকাশের পর জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ২, ৬, ৯ এবং ১১ এই চারটি ওয়ার্ডে শাসকদলের থেকে বেশি ভোটে পেয়েছে। এই পুরসভার মোট ১৬টি ওয়ার্ড। এই চার ওয়ার্ড বাদে বাকি ১২টি ওয়ার্ডে অবশ্য এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। গতবার ২০১৯ সালেও বেশ কয়েকটি পুর এলাকায় পিছিয়ে ছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। কিন্তু সেই সময়ে তিনি তাঁর অনুগামীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই বারের নির্বাচনের পরও বেশ কিছু পুর এলাকায় পিছিয়ে রয়েছেন। সূত্রের খবর এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন এই তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদ বলেছেন, “ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করার কাজ চলছে। যে ওয়ার্ডগুলোতে আমাদের প্রার্থী (Abhishek Banerjee) পিছিয়ে রয়েছেন, তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। কেন সেখানকার মানুষ আমাদের ভোট দেননি, সেটাও দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখে অবশ্যই আমরা তাঁদের কাছে খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    আবার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন আগেই। তিনি বলেন, “ওই চারটে ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ওয়ার্ডগুলোতে ভোট করতে দেয়নি তৃণমূলের গুন্ডারা। ২ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলর ছিলেন। আর এই চারটে ওয়ার্ডে ছাপ্পা মারতে পারেনি গুন্ডারা। আমাদের কমপক্ষে ১২টা ওয়ার্ডে লিড পাওয়ার কথা।”

    আরও পড়ুনঃ অয়নের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য, বাঁকুড়া থেকে আমেরিকায় পাড়ি

    কলকাতায় ৪২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি

    ২০১৪ সাল থেকে টানা তিনবারের জন্য সাংসদ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২০১৯ সালে তিনি ৩ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এইবার ২০২৪ সালের ৪ জুন ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, মোট ভোট পেয়েছেন ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০টি ভোট। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। অভিষেকের জয়ের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০ ভোট। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ৪২ ওয়ার্ডে এগিয়ে। অপর দিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “গ্রাম বাংলায় যত ভোট পেয়েছে, শহরে তত ভোট পায়নি তৃণমূল। শহরের ভোট সুইং করে।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে জেতার জন্য বালুরঘাটবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তৃণমূলকে চোর ও কাটমানির দল বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানকে চোর বলে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    পুর চেয়ারম্যানকে তোপ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান নিজেকে নবাব মনে করেন। তিনি বালুরঘাটবাসীকে ঘোলা জল খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি তো চোর। এই চোরেদের নিজেদের সিংহাসন ছেড়ে দেওয়া উচিত। এক সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া বিলের টাকা দেবার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ খেয়েছেন। এটা আমরা বলছি না, বলছেন সেই ঠিকাদার সংস্থার মালিক। নিজেরা নিজেদেরকে চোর প্রমাণিত করছে, আর ভোটেও এই ভাবে চুরি করার চেষ্টা করেছিল। এই পুরসভার  চেয়ারম্যান বালুরঘাটবাসীকে যে নোংরা, ঘোলা জল খাইয়েছে আমরাও সেই জল চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যানকে খাওয়াবো। ঠিকাদারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়া প্রসঙ্গে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ওই ঠিকাদার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইন অনুযায়ী নোটিস পাঠিয়েছি।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে স্কুল চলাকালীন পড়ুয়ার ব্যাগে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র, আতঙ্ক

    তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন

    এইদিকে দুর্গাপুরে স্বামীর চাকরি ফিরে পেতে তৃণমূল নেতাদের কুপ্রস্তাব প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা এমন না করে তাহলে তৃণমূল নেতা কি করে হল। তৃণমূল নেতারা চরিত্রহীন হবে, লম্পট হবে, চোর হবে এইটা তো তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করার বৈশিষ্ট্য। কুণাল ঘোষ এক বৈঠকে তোলাবাজি নিয়ে কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,তৃণমূল তো তোলাবাজি করবেই। তৃণমূলের এক একজনের কাউন্সিলরদের সম্পত্তি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। আমাদের এই ছোট শহরের বাসিন্দাদের যত  সম্পত্তি আছে, তত সম্পত্তি যোগ করলে কলকাতার এক একজন কাউন্সিলরদের সম্পত্তি আছে। রেজিনগর স্কুলে পিস্তল নিয়ে দাপিয়ে বেরাচ্ছে দুই ছাত্র। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,গোটা রাজ্য তো এখন আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর কুটির শিল্প হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    Uttar Dinajpur: চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চা বাগান দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ। পুলিশের সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুজন স্থানীয় ব্যক্তি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার চোপড়ার নীচাখালি গ্রামের ডানকান-এর আনারকলি চা বাগানে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় চোপড়া থানার পুলিশ। এরপর আহতদের চোপড়া দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছে। তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭০ বিঘার এই আনারকলি চা বাগান (Uttar Dinajpur) লাভজনক না হওয়ায় বেশ কয়েকবছর আগে বাগান ছেড়ে চলে যায় ‘ডানকান’ সংস্থা। চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন বাগানের শ্রমিকরা। শ্রমিকরা তাই বাগানের একাংশে চাষ করে কোনক্রমে সংসার চালাচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে এই বাগান নিজেদের কব্জায় আনতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন চোপড়া ব্লকের ভবানীপুর এলাকার তৃণমূল নেতা হাসিবুল ইসলাম সহ তাঁর সঙ্গীরা। হাসিবুল ইসলাম স্থানীয় দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। বাগানের শ্রমিকদের উচ্ছেদ করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। বিবাদ মেটাতে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের বাড়িতে সালিশী সভা বসলেও তাতে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপর শনিবার সকালে হাসিবুল ইসলামের সহযোগিরা বাগান দখল করতে এলে, বাগান দখলে থাকা শ্রমিকরা তাঁদের বাধা দেন। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এরপর চলে গুলি।

    আরও পড়ুনঃ শিয়ালদায় আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম থেকে চলবে ১২ কামরার ট্রেন, উঠতে পারবেন হাজারেরও বেশি যাত্রী

    আহত শ্রমিকদের বক্তব্য

    আহত শ্রমিক হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বললেন, “পুলিশের উপস্থিতিতেই হাসিবুলের লোকজন আমাদের উপর গুলি চালিয়েছেন। স্থানীয় (Uttar Dinajpur) পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।” আক্রান্ত আনোয়ারা আরও বলেন, “তৃণমূল নেতা হাসিবুল, শাহিন, সামসুল সকলে মিলে আমাদের উপর পাথর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। বাগানের মালিক কোম্পানি অনেকদিন আগে চলে গিয়েছে, আমরা কোনও ক্রমে কাজ করে খাচ্ছিলাম। কিন্তু এটাই তৃণমূলের গুন্ডাদের সহ্য হচ্ছিল না। ওঁরা এসে গুলিও করেছেন।” ঠিক এরপর থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হন স্থানীয় চা শ্রমিকেরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Udayan Guha: “টাকা নেবেন, মদ-মাংস খাবেন, দলে থাকার দরকার নেই”, কড়া বার্তা উদয়নের

    Udayan Guha: “টাকা নেবেন, মদ-মাংস খাবেন, দলে থাকার দরকার নেই”, কড়া বার্তা উদয়নের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে একমাত্র কোচবিহারেই জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। কিন্তু, এই লোকসভার একাধিক বিধানসভার কিছু কিছু জায়গায় তৃণমূল খারাপ ফল করেছে। কোন কোন অঞ্চলে ফলাফল খারাপ হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে দলের নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। যা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    টাকা নেবেন মদ মাংস খাবেন, দলে থাকার দরকার নেই (Udayan Guha)

    দিনহাটার নৃপেন্দ্র নারায়ণ স্মৃতি সদনে তৃণমূলের সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন (Udayan Guha) বলেন, “আমরা কোচবিহার শহরে ভোটে হেরেছি। দিনহাটা শহরে ভোটে হেরেছি। দিনহাটা শহরে হারের পিছনে তৃণমূলের কমিটি যেমন দায়ী, তেমনই দিনহাটার নাগরিক হিসাবে আমিও ততটাই দায়ী। কিন্তু, সব থেকে বেশি দায়ী দিনহাটা পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর। তাঁরা নিজেদের গায়ে যেন কালি-না লাগে, তাঁদের মানুষ যেন কিছু না বলতে পারেন, তাঁরা ভোটটা এমন করে করেছেন যেন কারও ওপর কোনও জোর দেখাচ্ছি না। কাউকে কোনও হুমকি দিচ্ছি না। একদম সাধুর মতো ভোট করিয়েছেন। তার ফলস্বরূপ আমরা ২,০০০ ভোটে হেরেছি। না-হলে আমরা হারতাম না। এবার যাঁরা সাধুর বেশ ধারণ করেছিলেন, আগামী পুরসভা নির্বাচনে তাঁরা গায়ের জোর না দেখিয়ে কী ভাবে ভোটে জেতেন সেটাই দেখার।”আরও কড়া ভাষায় উদয়ন বলেন, “কোথাও যদি কারও দোকান বন্ধ করে দিয়ে কাউকে হুমকি দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছে, মাংস খাওয়া হচ্ছে, মদ খাওয়া হচ্ছে তাহলে তার দল করার প্রয়োজন নেই। টাকা নেবেন আপনারা, মদ খাবেন আপনারা, মাংস খাবেন আপনারা আর দুর্নাম পেতে হবে দলকে। সেটা আমরা মেনে নেব না।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা (Cooch Behar) সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “সন্ত্রাস ছাড়া তৃণমূল  জিততে পারবে না, তারা ভাল মতো জানে। এবার দলের মন্ত্রীর কথাতেই আরও তা স্পষ্ট হয়ে গেল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

    Durgapur: তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব, চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুরের বধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ছায়া এবার দুর্গাপুরে (Durgapur)। স্বামীর কাজ ফিরে পেতে হলে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে স্ত্রীকে রাত্রিবাস করতে দিতে হবে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার নবীন পল্লি এলাকায়। তৃণমূল নেতাদের চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহবধূ।

    তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে বধূকে রাত কাটানোর প্রস্তাব (Durgapur)

    তৃণমূল নেতাদের মদের দোকান বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ভোটের পরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের কাজে ফেরানোর দাবি জানিয়েছিলেন ওই যুবকের স্ত্রী। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে রাত্রিবাস করলেই স্বামীর কাজ ফিরবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই কুপ্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়াই লাগাতার হুমকি দেয় তৃণমূলের লোকজন। ভয়ে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই বধূ। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) ইন্দো-আমেরিকান মোড়ের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ঠিকাদার ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী নবীন পল্লি এলাকায় সুকুমার বাউরি, বিল্লি এবং বিশু নামে এলাকার তিন তৃণমূল নেতার অবৈধ মদের দোকান বন্ধ করার দাবি জানান। তারপরই ওই বধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেয় ২৩নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বামীর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁর স্ত্রী। তৃণমূলের তিন নেতা মিলে রিঙ্কুকে রাত্রিবাসের প্রস্তাব দেন। সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার হুমকি দেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। হুমকির ভয়েই সুইসাইট নোট লিখে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেন ওই গৃহবধূ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন: আজ প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব, এর মাহাত্ম্য জানেন?

    তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবি

    স্থানীয় বাসিন্দা অপর্ণা বাউরি বলেন,”গোটা এলাকায় মদ আর জুয়ার দোকান বাড়ছে। বিল্লি,সুকুমার,বদল এবং সুনীল নামে তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই মদের দোকান বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ওই বধূ। নির্বাচনে জিতে যেতেই এলাকায় মারধর এবং অত্যাচার শুরু করে ওরা। ওই গৃহবধূর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললে তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই বধূ।  দ্রুত তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    দুর্গাপুরের ২৩নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই বলেন,”একটা ঝামেলা হয়েছিল শুনেছিলাম। দুই পাড়ার মধ্যে মদের দোকান নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়ে। আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও এক পক্ষ আসেননি। তারপর এতকিছু হয়েছে এই জানলাম। পুলিশ কড়া ব্যাবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলেরই চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি! পুরমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল কাউন্সিলররা

    TMC Conflict: দলেরই চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবি! পুরমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল কাউন্সিলররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পুরসভার চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলরদের একটি বড় অংশ আড়াআড়িভাবে দুভাগ হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরে জলঘোলা হতে শুরু করেছে।

    চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠক বয়কট (TMC Conflict)

    এবার লোকসভা ভোটে দাঁইহাট শহরে আড়াই হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতে তৃণমূল পিছিয়ে। ১৩ জুন চেয়ারম্যান পুরসভায় বোর্ড বৈঠক ডাকেন। বিওসির আমন্ত্রণপত্রে সই করলেও মিটিংয়ে না যাওয়ায় কোরাম হয়নি। ২০ জুন ফের বিওসি-র সভা ডেকে কাউন্সিলরদের বাড়ি বাড়ি চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু, কেউ তাতে সই করেননি। চেয়ারম্যান নির্ধারিত সময়ে সভায় আসেন। সঙ্গে ছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমর সাহা ও ১৪ নম্বরের কাউন্সিলর অমরেন্দ্রনাথ দাস। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দুই কাউন্সিলর ও পুরসভার এক আধিকারিককে নিয়ে বোর্ড অব কাউন্সিলরের সভা শুরু হয়। কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ১১ জন কাউন্সিলর এই সভা বয়কট করেন। ফের কোন্দল (TMC Conflict) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    পুরমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে?

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের অপসারণের দাবিতে রাজ্যের ফিরহাদ হাকিমকে কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন কাউন্সিলরদের একাংশ। সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের কাছে। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, চেয়ারম্যানের ‘অপদার্থতার’ জন্য শহরের নাগরিক পরিষেবা লাটে উঠেছে। মানুষের আস্থা ফিরে পেতে হলে অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, “চেয়ারম্যানের অযোগ্যতার জন্য শহরে উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। ভোটে পিছিয়ে গিয়েছি। সেই কারণে তাঁর অপসারনের দাবিতে চিঠি দিয়েছি।” ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম ঘোষ বলেন, “আমরা ১১ জন কাউন্সিলর ( Trinamool Congress) বিওসি-র মিটিং বয়কট করে আগেই দলকে বার্তা দিয়েছি। এ দিন কোরাম না করে অবৈধভাবে বৈঠক করা হয়েছে।”

    দল পদে বসিয়েছে, বললে সরে যাব

    অপসারণের চিঠি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় বলেন, “দল আমাকে পদে বসিয়েছে। সরে যেতে বললে সরে যাব। কিন্তু তার আগে ওঁদের নানা কথাও বলে যাব।” আর বোর্ড মিটিং বয়কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চিঠি পাঠানোর পরেও বোর্ড মিটিংয়ে না এলে আমার কিছু করার নেই। পুর আইন মেনেই বৈঠক সম্পন্ন করে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল আমডাঙ্গা, লাঠি-বোমা-বন্দুকে রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ৪

    North 24 Parganas: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল আমডাঙ্গা, লাঠি-বোমা-বন্দুকে রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের খুড়িগাছি গ্রামে তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় উভয়পক্ষের মোট চারজন আহত হয়েছেন। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের উপর অপর আরেক গোষ্ঠী হামলা করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রসঙ্গত শাসক দলের বিধায়ক নিজে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা মানতে নারাজ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    লাঠি, বোমা, বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষ (North 24 Parganas)

    আমডাঙার (North 24 Parganas) বোদাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য রাকিবুল ইসলামের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল নেতা তৈইব মস্তান। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এলাকা রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল। দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি, বোমা, বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে আমডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অপর আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদেরকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    সংঘর্ষে আহত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিবেশী হিরামনি বিবি বলেছেন, “এলাকায় (North 24 Parganas) তৃণমূল নেতা তৈয়ব মস্তান নিজে কোনও কাজ করে না। কেবল তোলাবাজি করে খায়। দলের আড়ালে অসামাজিক কাজ-কর্ম করে। মহিলাদের কোনও সম্মান করেনা। ওর আতঙ্কে সকলে সন্ত্রস্ত। প্রতিবাদ করলে বাড়ি থেকে মা-বোনদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। হাটখোলার মুখে বাড়ি ওর, কেউ কিছু বলতে গেলে রাস্তায় ফেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আজকে আমাদের ছেলেগুলিকে বেধড়ক মারধর করেছে। মারের আঘাতে গুরুতর জখম হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওদের কাছে পিস্তল, বোমা, বন্দুক থাকায় কেউ কিছু করতে সাহস পায়নি। পুলিশ ওদের কথা কাজ করে।”

    আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রাম থানায় ১৫ দিনে ৪৭টা এফআইআর! পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা বিজেপির, অনুমতি কোর্টের

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমান। তিনি বলেন, “অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন পঞ্চায়েত (North 24 Parganas) সদস্য রাকিবুল। আগেও ওঁকে আঘাত করা হয়েছে। যে মেরেছে সে এলাকার সমাজ বিরোধী। তবে তার নাম জানি না। তৃণমূলের কোনও যোগ নেই এখানে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share