Tag: tmc

tmc

  • West Bengal Medical Council: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    West Bengal Medical Council: বিরোধী শিবির এগোতেই রিটার্নিং অফিসার ‘বিরতি’ নিলেন, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনভর দফায় দফায় ‘উচ্চস্তরের কর্তৃপক্ষের’ সঙ্গে আলোচনা করেও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। তাই সমস্যার রফা সূত্র বেরোলো না। তাই মেডিক্যাল কাউন্সিল কার দখলে সেই প্রশ্ন অমীমাংসিত থাকলো।

    রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই বারবার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল পরিচ্ছন্ন নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। শাসক দলের সেই দাদাগিরি ভোট গণনার দিনও অব্যহত রয়েছে। অভিযোগ, বিরোধী শিবির গণনায় এগিয়ে যেতেই রিটার্নিং অফিসার গণনা বন্ধ করে দেন। ‘চোখে-মুখে জল দেওয়ার’ কথা বলে প্রায় চল্লিশ মিনিট তিনি উধাও হয়ে যান। বিরোধীরা কারচুপির একাধিক অভিযোগ করলেও তিনি সে নিয়ে স্পষ্ট মতামত জানাননি।

    গত এক মাস ধরে পোস্টাল ব্যালটে চিকিৎসক ও চিকিৎসক-শিক্ষকেরা রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু ভোট গণনার সময় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    বিরোধীদের অভিযোগ, অশিক্ষক চিকিৎসকদের ভোট দেওয়ার জন্য যে গোলাপি ব্যালট দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো অধিকাংশ জাল। ব্যালটের রং আলাদা। তেমনি বিরোধী প্রার্থীদের নাম নেই। বরং শাসক দলের একই প্রার্থীর নাম একাধিক বার রয়েছে। বিরোধী শিবিরের প্রার্থী চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত অভিযোগ করেন, একাধিক ব্যালটে তার নাম নেই। অভিযোগ শুনে প্রাথমিকভাবে রিটার্নিং অফিসার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছুই করেননি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    আদালতের নির্দেশে অবিচ্ছেদ্য ভাবে গণনা হওয়ার কথা থাকলেও, অভিযোগ, বিরোধী শিবিরের ভোট বাড়তে থাকলেই গণনা বন্ধ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। কতক্ষণ পরে ফের গণনা চালু হবে, সে বিষয়েও কিছু জানান না।

    এরপরেই বিরোধী শিবিরের চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসের সামনেই শুরু হয় প্রতিবাদ।

    যদিও শাসক দল পাল্টা জানান, যে চিকিৎসক ব্যালটে নিজের নাম না থাকার অভিযোগ এনেছেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যালটের ছবি আপলোড করেছেন। তাই তিনি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাকে প্রার্থী হিসেবে যেন আর গণ্য করা না হয়।

    বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, ছাপ্পা আর ভয় দেখানোকে হাতিয়ার করেই নির্বাচন লড়ে তৃণমূল। সেটা পঞ্চায়েত হোক কিংবা চিকিৎসক নির্বাচন তৃণমূলের একটাই স্ট্র্যাটেজি। সেটা হল গণতন্ত্রকে লঙ্ঘন করে ছাপ্পা দেওয়া।

  • Suvendu Adhikari: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না”, বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    Suvendu Adhikari: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না”, বিজয়া সম্মিলনী থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দু অধিকারীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশও তৃণমূলকে বাঁচাতে পারবে না।” বুধবার কাঁথিতে (Kanthi) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে এবার পুলিশ ও শাসক দলকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, “ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে।” এদিন কাঁথিতে সাংগঠনিক জেলা বিজেপির উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি মঞ্চে উঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তোপ দাগলেন শাসকদল ও রাজ্য পুলিশকে।

    রাজ্য পুলিশকে তিনি (Suvendu Adhikari) এদিন ‘মমতার পুলিশ’, ‘চটি চাটা পুলিশ’ ও ‘দলদাস’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “পুলিশ, মমতার পুলিশ। চটি চাটা পুলিশ। দলদাসে পরিণত হওয়া পুলিশ। তারাই ঠিকা নিয়েছে, তারাই দায়িত্ব নিয়েছে, এই তোলামূল নামক পার্টি টাকে টিকিয়ে রাখার বা বাঁচিয়ে রাখার। কিন্তু তারা আর বাঁচিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা কার্যত গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। আর কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবেন, এদের অবস্থাটা কী হবে। লড়াই করুন। সিপিএমকে কী করে উৎখাত করেছি, আমি জানি। একেও কী করে উৎখাত করতে হয় আমি জানি। শুধু সঙ্গে থাকুন।”  

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    ফলে মঞ্চ থেকেই তিনি (Suvendu Adhikari) তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যতবাণী করেছেন ও তাদের বিদায় খুব শীঘ্রই হতে চলেছে, এবিষয়ে বলেন। তিনি এদিন অনুষ্ঠানের যোগ দেওয়ার পর থেকই সুর চড়িয়েছেন শাসক দলের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, “আমরা উপরের চোরগুলোকে ধরার চেষ্টা করছি। আপনারা নিচ তলার চোর গুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করুন।” আবারা এদিন পরিবারতন্ত্র নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেন কংগ্রেস ও তৃণমূলকে।

    অন্যদিকে এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও এখনই হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার দায়িত্বে যদি রাজ্য পুলিশ থাকে, তবে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেছেন, ”এখন থেকেই বুথকে দুর্গে পরিণত করতে হবে। লড়াই করতে হবে, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। এতটুকু ছেড়ে দেওয়ার জায়গা নেই। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে সম্মিলনের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি গ্রামাঞ্চলের জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। কার্যকর্তাদের এই বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে।”

  • Debraj Chakraborty: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    Debraj Chakraborty: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব সিবিআইয়ের, দু ঘণ্টা জেরা তৃণমূলের দেবরাজকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) তলব পেয়ে মঙ্গলবার সল্টলেকের সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর ও বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী (Debraj Chakraborty)। এদিন সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ তিনি সিবিআই দফতরে হাজির হন। তার পরেই শুরু হয় জেরা। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় টানা প্রায় দু ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে দেবরাজ বলেন, আবার ডাকলে আসব।  

    দেবরাজের (Debraj Chakraborty) অন্য একটি পরিচয়ও রয়েছে। তিনি তৃণমূল বিধায়ক তথা কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সির স্বামী। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি পদেও রয়েছেন দেবরাজ। ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন দমদম পার্কের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার তলব করা হয়েছিল দেবরাজকে। দেবরাজের আগে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় জেরা করা হয়েছিল তৃণমূলের আর এক বিধায়ক পরেশ পালকেও।

    আরও পড়ুন:সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ২ মে দমদম পার্কের হরিচাঁদ পল্লির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাস খুন হন। তিনি বিজেপি কর্মী ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। বাড়ির পাশ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। প্রসেনজিৎকে খুনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দেবরাজের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই সিবিআই তলব করে দেবরাজকে। করা হয় জেরাও। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে দেবরাজ (Debraj Chakraborty) বলেন, যা যা প্রশ্ন করা হয়েছিল, সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। যা যা জানতে চেয়েছেন, সবটা জানিয়েছি। পরবর্তী সময়ে ডাকলে আবার আসব। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছি। প্রসেনজিতের ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলেন, এটা এক দেড় বছর আগের ঘটনা। কী ঘটেছিল ঠিক মনে নেই। তবে যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। সিবিআই তদন্ত করছে। কী ঘটেছিল, তা তদন্তে উঠে আসবে। যদি পরিবারকে কোনও সহযোগিতা করতে পারি, পাশে থাকব। প্রসঙ্গত, প্রসেনজিৎ খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম ছিল না দেবরাজের (Debraj Chakraborty)। পরে সিবিআই তদন্তে উঠে আসে তাঁর নাম। তার জেরেই করা হয় তলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে, সরকারি নির্দেশে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর (CM) বিজয়া সম্মিলনীতে যেসব ক্লাব ৬০ হাজার করে টাকা পেয়েছিল, তাদের ওই সম্মিলনীতে হাজির করাতে হবে বলে বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং জেলাশাসক (DM)! সরকারি একটি পদে বসে জেলাশাসক এমন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    বামেদের হঠিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যের তখতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল (TMC) সরকার। তার পরেই একের পর এক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে রাজ্য সরকারের নাম। রাজ্য সরকারের এহেন অনিয়মের অভিযোগে বারংবার সরব হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার এরকমই একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা ট্যুইট করে জানালেন শুভেন্দু। ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা তাঁদের অধস্তন এডিএম, এসডিও এবং বিডিওদের প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, দুর্গাপুজো উপলক্ষে যেসব ক্লাবকে ৬০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে, ওই সব ক্লাবের সদস্যদের আগামিকাল শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে বাধ্যতামূলকভাবে হাজির করাতে হবে। সরকারি পদে বসে জেলাশাসকের মতো একজন পদাধিকারী এহেন নির্দেশ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

    তবে প্রশ্ন উঠলেই বা কী হবে? এমন নজির রয়েছে আরও। এবং তা তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে সাজ সাজ রব। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গের একটি রিসর্টে গিয়েছিলেন তিনি। রিসর্টটি উত্তর ২৪ পরগনার মহেশতলার বিধায়ক তৃণমূলের দুলাল দাসের। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি এই রিসর্ট সংস্কার করা হয়েছে সরকারি অর্থ ব্যয়ে। সাজানো হয়েছে রিসর্ট চত্বর। রিসর্টে যাওয়ার রাস্তাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, এসবই হয়েছে সরকারি টাকা খরচ করে। মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন ভেবে সরকারি টাকায় একটি বেসরকারি রিসর্ট সাজানো যায় কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। রিসর্ট বিতর্কের রেশ মেলানোর আগেই এবার জেলাশাসকদের বার্তা নিয়ে সরব হলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।   প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীকে কর্পোরেট সম্মিলনী বলে কটাক্ষ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের কর্পোরেট সম্মিলনীর কোনও মূল্য সাধারণ মানুষের কাছে নেই। এই ধরনের সম্মিলনীতে সাধারণ মানুষ থাকে না। এখানে থাকে শুধু তোলামূল পার্টির সদস্য আর পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: এফআইআর নিচ্ছে না পুলিশ! অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে আদালতে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: এফআইআর নিচ্ছে না পুলিশ! অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে আদালতে সুকান্ত

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানে পুলিশের ধৈর্যের প্রশংসা করে গুলি চালানো নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অভিযোগ, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা নিতে চায়নি পুলিশ। অগত্যা ব্যাংকশাল কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুকান্ত।

    বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন ব্যাপক অশান্তি হয়। জখম হন এক পুলিশ কর্তাও। তাঁকে দেখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ওনাকে বলেছি, আপনাকে স্যালুট জানাই। আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম, তাহলে মাথায় গুলি করতাম। তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় আদালতের শরণ নেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে তা নেওয়া হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হলাম।

    আরও পড়ুন : বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘অশান্তি’, সিবিআই তদন্তের দাবি অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে

    আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, এদিন ব্যাংকশাল কোর্টে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই ‘গুলি’ মন্তব্য নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির দুই আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল ও অজিত মিশ্র আদালতকে বলেন, রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে কর্মীদের ওপর অত্যাচার করে পুলিশ। লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, বোম সহ নানা ধরনের পদক্ষেপ করা হয়। এর ফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আবার বিজেপি কর্মীদেরই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। এর পর অভিষেক ওই মন্তব্য করেন। এই দুই আইনজীবী বলেন, এটি এক ধরনের অপরাধমূলক মন্তব্য। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে নেওয়া হয়নি। তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে মানুষ কোথায় অভিযোগ জানাতে যাবেন? শুনানি পর্ব চলাকালীন সরকারি আইনজীবীরা আদালতে হইচই করেন বলে অভিযোগ সুকান্তর। তিনি বলেন, তবে বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    Tmc: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বাজিমাত মাত্র ১৭ কোটিতেই! জলে গিয়েছে তৃণমূলের (TMC) ৪৭ কোটি টাকা। হ্যাঁ, গোয়া (Goa) বিধানসভা নির্বাচনে জলের মতো টাকা খরচ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেও মেলেনি সাফল্য। সম্প্রতি এমনই খবর মিলেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে।

    গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে উঠেপড়ে লাগে তৃণমূল। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যের রশি হাতে নিতে একাধিকবার গোয়া উড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকবার গোয়া উড়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গোয়ার মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন, বাবুল সুপ্রিয় সহ একঝাঁক নেতানেত্রী। ভোটে বিজেপিকে মাত দিতে কংগ্রেসের ঘর ভাঙাতে শুরু করে তৃণমূল। তার পরেও ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, শেষ হাসি হেসেছে বিজেপি-ই। আরব সাগরের তীরের এই ছোট্ট রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই ফুটেছে পদ্ম।

    জানা গিয়েছে, গোয়ায় ঘাসফুল আঁকা ঝান্ডা ওড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে তৃণমূল ব্যয় করেছে ৪৭.৫৪ কোটি টাকা। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে ধরাশায়ী করে গোয়ার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। গোয়া দখল করতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের খরচ হয়েছে মাত্র ১৭.৭৫ কোটি টাকা। বড় রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে কম খরচ করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টি। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খরচ করেছে মাত্র ৩.৫ কোটি টাকা। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে ভোটের খরচের হিসাব দাখিল করেছে। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য।

    আরও পড়ুন :বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    দীর্ঘদিন গোয়ার কুর্সিতে ছিল কংগ্রেস। তবে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তারা খুব বেশি টাকা খরচ করতে পারেনি। ওই নির্বাচনে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি খরচ করেছে মাত্র ১২ কোটি টাকা। আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বিজেপি মায় তৃণমূলের চেয়েও ঢের বেশি টাকা খরচ করেছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। তারা তাদের ১১ জন প্রার্থীর প্রত্যেককে দিয়েছে ২৫ লক্ষ করে টাকা। এছাড়াও প্রচারের খরচ দিয়েছে দল। ওই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল শিবসেনাও। ১০ প্রার্থীকে জেতাতে তারা খরচ করেছিল ৯২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পুজো (Durga Pujo)। তবে এবার পুজোটা তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টকে কাটাতে হবে জেলের ঘুপচি প্রায়ান্ধকার ঘরে। কারণ বুধবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গাপুজো রয়েছে এই জোড়া যুক্তি প্রদর্শন করেন তাঁর আইনজীবী। তার পরেও মেলেনি জামিন। এদিন বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার অর্থ, এবার পুজোর দিনগুলি এই তৃণমূল নেতাকে কাটাতে হবে কারাগারেই।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর থেকে দফায় দফায় জেলেই রয়েছেন তিনি। এদিন ফের তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি। কেষ্টর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নয়। কলকাতায় থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিতে রাজি তিনি। প্রয়োজনে জেলায় ঢুকবেন না বলেও বিচারককে জানান তাঁর আইনজীবী। তিনি এও বলেন, অনুব্রতের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাড়িতে তাঁর মেয়ে একা রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এত করেও জামিন মেলেনি কেষ্টর।

    আরও পড়ুন :কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    কারণ প্রভাবশালী তত্ত্বে এদিনও জামিন মেলেনি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনুব্রত জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। বিচারককে তিনি এও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য মিলেছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজও মিলছে। তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না।

    এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৯টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৫ অক্টোবর। সেদিন অবশ্য ঢাকের বোলে বাজবে বিজয়া দশমীর বাজনা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    BJP: বন্দরে আটক ২০০ কোটি টাকার হেরোইন আসছিল তৃণমূল নেতার জন্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে কলকাতা বন্দরে (Calcutta Port) আটক হয়েছিল ২০০ কোটি টাকার হেরোইন। ওই হেরোইন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক তৃণমূল (TMC) নেতাকে সরবরাহ করার জন্যই নিয়ে আসা হয়েছিল বলে দাবি বিজেপির (BJP)। হেরোইন (Heroin) এসেছিল শরিফুল এন্টারপ্রাইজের নামে। গিয়ার বক্সে লুকিয়ে কন্টেনার ভর্তি করে নিয়ে আসা হয়েছিল মাদক। বৃহস্পতিবার দলের রাজ্য  দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

    যে পথে পাচার…

    তাঁদের দাবি, শরিফুল এন্টারপ্রাইজের মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির দাবি, শরিফুল সন্দেশখালি এক ও দুই নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা ও শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ। সম্প্রতি বন্দরে ধরা পড়ে ৪০ কিলোগ্রামে হেরোইন। যার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। বিজেপির এই দুই রাজ্য কর্তার দাবি, এই মাদক পাচারের সঙ্গে রাজ্যের দুই মন্ত্রীও যুক্ত। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।   

    আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    চলতি মাসের ৯ তারিখে গুজরাট পুলিশের এটিএফ তল্লাশি চালায় কলকাতা বন্দরে। বাজেয়াপ্ত হয় দুশো কোটি টাকার হেরোইন। বিজেপির দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ওই পরিমাণ হেরোইন বুক করা হয়েছিল। মোট ৬০৫টি প্যাকেটে এবং আড়াই হাজার কিলোগ্রাম স্পেয়ার পার্টেসের সঙ্গে লুকিয়ে আনা হয়েছিল ওই মাদক। বন্দরে মাদক পড়ে রইলেও, শরিফুল তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়ে যাননি। পদ্ম শিবিরের দাবি, দূষণ সংক্রান্ত সার্টিফিকেটের সমস্যার কথা জানিয়ে বন্দর থেকে ওই মাদক ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। পরে বাজেয়াপ্ত করা হয় কন্টেনার। বিজেপির অভিযোগ, এর পরে পরেই হাওয়া হয়ে যান শরিফুল। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।

    সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন সিবিআইয়ের থেকে রাজ্যের সিআইডি বেশি কার্যকর। সেই কারণে আমি চাইব, শরিফুল কোথায় আছেন, রাজ্যই তা খুঁজে বার করুক। জানা গিয়েছে, শরিফুলের এক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সন্দেশখালির ব্লক ২ এর তৃণমূল সভাপতি শেখ শাহজাহান রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন। দুর্নীতির কারণে সম্প্রতি ওই মন্ত্রীর দফতর বদল হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন বিজেপির ওই দুই নেতা। মাদক ব্যবসার জন্য একশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল। শরিফুল ওই টাকা কোথায় পেয়েছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার বলেও দাবি করেন সুকান্ত। শরিফুলের সঙ্গে তৃণমূলের দুই নেতার ফোনে কথাবার্তার রেকর্ডিং তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও জানান সুকান্ত ও জগন্নাথ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bengal Panchayat Polls: রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের শাখা! দাবি সুকান্তর, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী?

    Bengal Panchayat Polls: রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের শাখা! দাবি সুকান্তর, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) । ২০২৩-এর শুরুতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। তারই প্রস্তুতি শুরু করে দিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর (central force) ঘেরাটোপেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পর্যবেক্ষকদের কাছে এমনই দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্যরা। 

    রবিবার আইসিসিআর-এ বিজেপির দলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হন রাজ্য নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনের খামতি দূর করতেই এই বৈঠকের আয়োজন করে বিজেপি। খতিয়ে দেখা হয় সাংগঠনিক শক্তিও। দুই দিনের এই বৈঠক চলবে আজ, সোমবারও। বৈঠকে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা সুনীল বনসল ও মঙ্গল পান্ডে-সহ একাধিক নেতা। রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষেক মিলিয়ে বিজেপির মোট ৩ নেতা। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শীর্ষ নেতৃত্ব নয়,তালিকায় রয়েছেন রাজ্য পদাধিকারী, বিধায়ক ও জেলা সভাধিপতিরাও।

    আরও পড়ুন: ভেকুটিয়া সমবায় সমিতিতে গেরুয়া ঝড়! জানেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী লক্ষ্য বিজেপির?

    বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে করার পক্ষে  সওয়াল করেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। বৈঠকের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারা এখানে তৃণমূলের শাখায় পরিণত হয়েছে! ওখানে আবেদন করে কিছু হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য প্রয়োজনে আদালতে গিয়ে দাবি জানাতে হবে।’’ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করা যায় কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও, এমনই খবর দলের অন্দরে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপেই হয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের দাবি, মানুষ নিজের ভোট  নিজে দিলে, ফল যাবে বিজেপির অনুকূলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুবই ভালো ফল করবে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Duare Ration Scheme: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Duare Ration Scheme: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের!

    রাজ্য সরকারের সাধের দুয়ারে রেশন প্রকল্পকে (Duare Ration Scheme) অবৈধ ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। আদালতের মতে, এই প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩-র পরিপন্থী। বুধবার বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আইনের চোখে এই প্রকল্পের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। 

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতায় এলে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের কুর্সি দখল করে ডিলারদের আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে প্রকল্প চালুও করে দেয় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন ডিলাররা। তাঁদের যুক্তি, রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প খাদ্য সুরক্ষা আইনের বিরোধী। রাজ্যের রেশন ডিলারদের সংগঠন জানায়, রেশন সামগ্রী বিলি করে ডিলাররা পান নাম মাত্র কমিশন। পাড়ায় পাড়ায় রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতে গেলে বাড়তি যে খরচ হবে, তা জোগানোর ক্ষমতা নেই ডিলারদের। সংগঠনের অভিযোগে জল ঢালতে রেশন ডিলারদের গাড়ি কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি। আদালতের দ্বারস্থ হয় ডিলারদের সংগঠন।

    আরও পড়ুন : ডিএ মামলায় ফের ধাক্কা রাজ্যের! রিভিউ পিটিশন খারিজ করল হাইকোর্ট

    ডিলারদের একাংশ প্রথমে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে আবেদন করেন। মামলাকারীদের দাবি, কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারেরই প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ এবং বিতরণ করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে। নিষিদ্ধ করার ক্ষমতাও রয়েছে কেন্দ্রের হাতে। তাদের যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে। তবে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কোনও ক্ষমতা দেয়নি। তা সত্ত্বেও প্রকল্পটি চালু করেছে রাজ্য। সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল, দুয়ারে রেশন প্রকল্প বেআইনি নয়। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, এই প্রকল্প জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ২০১৩-র পরিপন্থী। আদালতের মতে, আইনের চোখে এই প্রকল্পের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই একে অবৈধ ঘোষণা করা হল। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের জেরে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েই উঠল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন!  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share