Tag: tmc

tmc

  • Sukanta on Anubrata: বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে, অনুব্রতর গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া সুকান্তর 

    Sukanta on Anubrata: বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে, অনুব্রতর গ্রেফতারিতে প্রতিক্রিয়া সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যেরা বনে সুন্দর, চোরেরা জেলে। খাঁচা তৈরি হয়েছে। অনেকদিন লুকোচুরি খেললেন। এখন উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন। তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতারির খবর পেয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case ) নাম জড়ানোয় বুধবার সাত সকালে সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রতকে। তৃণমূল সুপ্রিমোর আশীর্বাদপুষ্ট অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় হতাশ জেলা নেতৃত্ব। তবে শাসক শিবির যতটা মুষড়ে পড়েছে, ততটাই উৎফুল্ল পদ্ম শিবির। সুকান্ত বলেন, বিজেপি কর্মীরা গুড়, বাতাসা বিলি করবেন। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন অনুব্রত। ২০২৩ সালে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অনুব্রতর গ্রেফতারি বিজেপিকে কতটা মাইলেজ দেবে, তা বলবে সময়। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অক্সিজেন কতটা দেবে, তা সময়ই বলবে। তিনি বলেন, বিজেপি কটা আসন পাবে, সেটা বড় কথা নয়। চোরেদের ধরাটাই বড় কথা।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    পাচারকাণ্ডে যে কেবল অনুব্রত একাই নন, তাও জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের নাম ক্রমেই প্রকাশ্যে আসবে। ট্যুইটবার্তায় সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গরু পাচারকাণ্ডে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন। ধীরে ধীরে অপরাধীরা সবাই গ্রেফতার হবে। গ্রিন করিডরের মাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাচারের টাকা পৌঁছাত বলেও অভিযোগ সুকান্তর। অনুব্রতর এই গ্রেফতারি তাঁর স্বাস্থ্যোন্নতির কারক হবে বলেও মনে করেন সুকান্ত। বলেন, এতদিন অনুব্রত টেনশনে ছিলেন। এখন তিনি বিশ্রামের সময় পাবেন। ওঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হবে।

    তৃণমূল জমানায় রাজনীতির অপরাধীকরণ হয়েছে বলেও মনে করেন বিজেপি নেতৃত্ব। সুকান্ত বলেন, রাজনীতির অপরাধীকরণ হলে এবং অপরাধীরা দাপাদাপি করলে এই ধরনের ঘটনাই ঘটে। অনুব্রতর মতো লোকজন রাজনীতি থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বপ্ন সব চুরি হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন, মমতার প্রিয় তত্ত্ব হল ইউজ অ্যান্ড থ্রো। কিষেনজি থেকে শুরু করে সবাই জানে একথা। ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দাও। তৃণমূল রণে বনে জলে জঙ্গলে এবং অন্তরীক্ষেও সুযোগ পেলে চুরি করবে বলেও মনে করেন সুকান্ত।

     

  • Tax Devolution: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র    

    Tax Devolution: বঞ্চনার অভিযোগ মিথ্যা, ফের রাজ্যকে টাকা দিল কেন্দ্র    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) কর বাবদ প্রাপ্য দুই কিস্তির মোট অর্থ বাবদ ৮,৭৭৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা দিল কেন্দ্র (Centre)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যগুলি। এ ব্যাপারে সব চেয়ে বেশি সরব হয়েছে তৃণমূল (TMC) শাসিত পশ্চিমবঙ্গ। তবে সেই অভিযোগ যে নিছকই অভিযোগ, কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণ হল ফের। ১০ অগাস্ট রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দিয়েছে ১.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। দুটি কিস্তিতে ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন খাতে খরচ করতেই ওই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে অর্থমন্ত্রকের তরফে।

    অর্থমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার দু কিস্তিতে রাজ্যগুলিকে মোট ১,১৬,৬৬৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত করা হয়েছে। ১০ অগাস্ট ওই টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে করের যে লভ্যাংশ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়, তার এই খাতে তার পরিমাণ ছিল প্রতি মাসে ৫৮,৩৩২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি কেন্দ্র কর বাবদ আদায় করেছে ৪১ শতাংশ। একটি অর্থবর্ষে ১৪টি কিস্তিতে রাজ্যগুলি থেকে ওই ট্যাক্স আদায় করা হয়েছে। সেই টাকারই লভ্যাংশের একটি ভাগ দেওয়া হল রাজ্যগুলিকে।

    আরও পড়ুন : ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে কর বাবদ প্রাপ্য দুই কিস্তির মোট অর্থ ৮,৭৭৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত করেছে এদিন। এই খাতে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাকে দেওয়া হয়েছে ৮২৬ কোটি টাকা। আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম এই খাতে পেয়েছে ৩৬৪৯ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। তৃণমূল শাসিত বাংলা পেয়েছে তার চেয়েও ঢের বেশি। রাজ্যগুলির মূলধনের জোগান ও উন্নয়ন খাতে ব্যয়ের জন্য যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্র অঙ্গীকারবদ্ধ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রেই এই খবর জানানো হয়েছে।

     

  • Sukanta on Anubrata: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta on Anubrata: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, সেটা ওয়েব সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড। পরেরটা ক্রমশ প্রকাশ্য। অনুব্রতের চালকল, তার ভিতর বিলাসবহুল গাড়ির হদিশ পাওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর কটাক্ষ, “অনুব্রত মণ্ডল অনেক বড় নেতা। সুতরাং ওনার ওয়েব সিরিজ অনেক লম্বা হবে। এখনও পর্যন্ত যেটা আপনারা দেখেছেন সেটা ওয়েব সিরিজের প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড। এরকম প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাবে।”

    শনিবার উলুবেড়িয়ার (Uluberia) রঘুদেবপুরে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন সুকান্ত। পদযাত্রাতেও সামিল হন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সাধারণ ব্যবসায়ীদের মুখ থেকে যে সব গল্প শুনেছি তাতে তোলাবাজি হয় তা জানতাম। কোটিতে তোলাবাজি হয়, দামী দামী গাড়ি তোলাবাজি করে নিয়ে নেওয়া হয় শুধুমাত্র মাদক কেসের ভয় দেখিয়ে তা আমরা ভাবতেই পারছি না। বাংলার কী অবস্থা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক একজন নেতা ডাকাতের থেকেও বড় অপরাধী হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূলকে বিষাক্ত দল অ্যাখ্যা দিয়ে সুকান্ত আরও বলেন, “এইভাবে এই দলের নেতারা মানুষকে দিনের পর দিন শোষণ করে গেছেন। সমাজের বিষ তাঁরা। তাঁদের থেকে সমাজকে বাঁচানো একান্ত প্রয়োজন। তৃণমূল দলটাই আমাদের সমাজে পলিটিক্যাল পয়জন হয়ে গেছে। এই বিষকে পলিটিক্যাল সিস্টেম থেকে বের করে দেওয়া উচিত। না হলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিবেশ, পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য কোনওটাই বাঁচবে না।”

    আরও পড়ুন: আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট মণ্ডল, আবার শুনতে হল ‘গরু চোর’ স্লোগানও!

    অনুব্রতকে এদিন ফের আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়।  তিনি সিবিআইকে (CBI) তদন্তে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন এমনটাই আদালতে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ প্রসঙ্গে অনুব্রতকে ‘চোর’ কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “চোর কোনও দিন নিজে বলে নাকি যে আমি চুরি করেছি। চোর তো ভালো কথাই বলবে। এইরকম আরও প্রচুর সম্পত্তি পাওয়া যাবে। উনি সহযোগিতা করবেন না। চোর কোনওদিনও পুলিশ বা তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করে না। এটাই স্বাভাবিক। সোজা আঙুলে যদি ঘি না ওঠে তা হলে আঙুল বাঁকা করতে হবে ঘি ওঠানোর জন্য। তবেই সব ঠিক হয়ে যাবে।” 

    মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “বাংলার মানুষের কাছে এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দুদিন আগে আমি যখন বোলপুরে ছিলাম সেখানকার সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস বারবার প্রমাণ করেছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন চোরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মানুষ সেটাকে ভালোভাবে নেয়নি।”

  • Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’ লেখা পোস্টারে ছয়লাপ শহর। সেই প্রেক্ষিতেই একথা বলেন শুভেন্দু। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) তাদের কাজ করছে। তৃণমূল পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। ডিসেম্বরই তাদের ডেডলাইন।

    কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছে একাধিক হোর্ডিং। যার কোনওটায় লেখা, ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’। কোনওটায় আবার লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন’। কোনও কোনওটায় আবার লেখা হয়েছে, ‘ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়’। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই হোর্ডিং টাঙানোর কথা অস্বীকার করেছে। তবে হোর্ডিং নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েননি শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কয়লা থেকে গরু কোনও কিছু থেকে তোলাবাজি বাদ রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে যখন একের পর এক নেতা মন্ত্রী বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তখন তা থেকে দলকে বাঁচাতেই নয়া তৃণমূলের কৌশল নিয়েছে ‘তোলামূল’ পার্টি। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি যেভাবে তদন্তের গতি বড়িয়েছে, তাতে তৃণমূল দলটাই ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলা থেকে মুছে যাবে।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    এদিন দিঘায় সৈকত নগরে দিঘা তিরঙ্গা যাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন শুভেন্দু। সেখানেই তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। এর আগে ১২ অগাস্ট নন্দীগ্রামে হর ঘর তিরঙ্গা বাইক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পুলিশি বাধায় ওই কর্মসূচি আর পালন করা যায়নি। ওই ঘটনায়ও শুভেন্দু দুষছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন, হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি কোনও রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সমাবেশ কিংবা জন সমাবেশ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ওই কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্দেশ দেয় শুভেন্দু অধিকারিকে কোনও প্রচার করতে না দিতে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

     

  • Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে গরুপাচার মামলায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে আজ সকালে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। বুধবার সিবিআইয়ের দশম হাজিরা এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এর পর তাঁকে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছে কনভয়। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে চার্জশিটে তাঁর নামের উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা পৌঁছলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট? 

    এবার অনুব্রত কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতিকে অনুরোধ করেন, “যাদের নির্দেশে এই কাজ করেছেন, সেই নামগুলো দয়া করে বলে দিন।”   

    শুভেন্দু আরও বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। হাটে মাগুর মাছ বিক্রি করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সে আজকে ১,০০০ কোটি টাকার মালিক। এতো মমতা ব্যানার্জির সৃষ্টি।”   

    অনুব্রতর উদ্দেশ্যে অনুরোধের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমি আশা করব এই অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকেরা কাদের নির্দেশে গরু, কয়লা, বালি পাচার করেছে এবং বিরোধী দলের লোকেদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপরে পুরো বীরভূম জেলায় যে অত্যাচার করেছেন তাদের নাম বলে দিন।  নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কয়েক হাজার লোককে ঘরছাড়া করা, মানুষকে খুন করা, কার ইন্ধনে হয়েছে? আশা করব, তিনি যার যার নির্দেশে করেছেন, আর মুড়ির টিনে করে যাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো দয়া করে বলে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের দিকেও এদিন আক্রমণ শানান শুভেন্দু। কটাক্ষ করে বলেন, “যাদের শেষ দশ বছরের আইটি রিটার্নের ফাইল ঠিক আছে, তাদের তো ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। দেখবেন তৃণমূল নেতাদের আইটি রিটার্নের ফাইলের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও মিল খুঁজে পাবেন না। এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে নীচু স্তর থেকে। ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার থেকে নির্মাণ সহায়ক, সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক।”

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সরাসরি উল্লেখ করে বিজেপি নেতা বলেন,”নোট বন্দীর সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৪ কোটি টাকা বদলেছেন। কোথা থেকে এল এই টাকা? মেদিনীপুরের এক প্রাক্তন বিধায়ক ১৫ কোটি টাকা বদলেছেন। এই টাকার উৎস কী? খোঁজ নিয়ে দেখবেন ২০১৬ সালের পর থেকে হঠাৎ বেড়েছে এই নেতাদের সম্পত্তি।”  

     

     

     

     

        

     

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। বহু নাটকের পর অবশেষে গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় সিবিআই (CBI) আটক করল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় একাধিকবার তাঁকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। বারবার নানা অজুহাতে তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনকি অসুস্থতার অভিযোগে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁর সাস্থ্য পরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছিলেন ভর্তির কোনো প্রয়োজন নেই। তখন তিনি কলকাতা থেকে বীরভূম ফিরে যান। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বীরভূম মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক অনিয়ে জোর করে অসুস্থতার সার্টিফিকেট লিখিয়েছিলেন অনুব্রত, অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু তাতেও রেহাই পেলেন না।

    শেষপর্যন্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আটক করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বুধবার সিবিআইয়ের দশম তলব এড়িয়ে যান অনুব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়েই অনুব্রতর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।  

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এদিন সকালে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই ভিতর থেকে তাঁর বাড়ির সমস্ত গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আধিকারিকরা। বাইরে রাখা থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের। বাড়ির প্রত্যেকের এবং অনুব্রতর দেহরক্ষীদের ফোন কেড়ে নিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর তৃণমূলের (TMC) আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। ঘণ্টাখানেক পর অনুব্রতকে বাড়ি থেকে বার করা হয়। বসানো হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে।জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। 

     

  • SSC Scam: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    SSC Scam: এবার পার্থর পকেটেও কাট ছাঁট! জানেন কত হল প্রাক্তন মন্ত্রীর এখনকার বেতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে শাসকদল৷ মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলার পর দলের সমস্ত পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে৷ এমনকী তৃণমূল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রাক্তন মহাসচিবকে৷ এবার বেতনে কোপ পড়ল পার্থের৷ বিধানসভা সচিবালয় সূত্রে খবর, অন্যান্য বিধায়কদের তুলনায় ৬০ হাজার টাকা কম বেতন পাবেন তিনি৷ 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Bengal Recruitment Scam) এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এক সময় তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার দু’নম্বর ব্যক্তি হলেও এখন তিনি আর মন্ত্রী নন। সম্প্রতি বিধানসভার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিধানসভার কোনও কমিটিতে রাখা হবে না। এর প্রভাব পড়েছে তাঁর বেতনেও।  বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। প্রত্যেক বিধায়ককে ন্যূনতম দুটি কমিটিতে রাখা হয়, যাতে তাঁরা মাসে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা বৈঠক-ভাতা নিশ্চিত করতে পারেন৷ 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান

    বিধায়করা মাসিক ২১ হাজার ৮৭০ টাকা মূল বেতন পেয়ে থাকেন, কোনওরকম ভাতা ছাড়া। এরপর যদি কোনও বিধায়ক পরিষদীয় কমিটির মিটিংগুলিতে যোগদান করেন, তবে ভাতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাঁর মোট বেতন গিয়ে দাঁড়ায় ৮২ হাজার টাকা। তৃণমূল পরিষদীয় দলের এক সদস্যের কথায়, “পার্থ এখন জেলে রয়েছেন৷ উনি কবে আবার বিধানসভায় এসে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তার কোনও ঠিক নেই। তাই তাঁকে কমিটিতে রাখারও কোনও মানে হয় না৷ এর চেয়ে যে সকল বিধায়ক নিয়মিত বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন,  তাঁদেরকেই সুযোগ দেওয়া উচিত।”

    এমনিতেই সময় ভালো যাচ্ছে না রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর। ইডি (ED)-র জেরার মুখে পড়েছেন ৷ তাঁর একের পর এক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বিগত দিন যে পরিমাণ বেতন পেতেন, তাও কমেছে পার্থর। সবমিলিয়ে এখন পার্থের শিরে-সংক্রান্তি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BJP Attacks TMC: তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর

    BJP Attacks TMC: তৃণমূল ‘উদ্ধত’, ডেরেককে তোপ প্রহ্লাদ জোশীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত সময়ের চার দিন আগেই মুলতুবি হয়ে গিয়েছে  সংসদের বাদল অধিবেশন। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলেরাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien)। এবার তাঁকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi)। তৃণমূলকে (TMC) উদ্ধত (Arrogant) বলেও দাগিয়ে দেন তিনি।

    মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে বারবার বিতণ্ডার জেরে এবারের বাদল অধিবেশন মুলতুবি হয়েছে একাধিকবার। প্রথম দু সপ্তাহ কোনও বিতর্কই হয়নি। এমতাবস্থায় নির্ধারিত ১২ অগাস্টের চারদিন আগে মুলতুবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন। তার পরেই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে এই নিয়ে টানা সাতবার সংসদের অধিবেশন সংক্ষিপ্ত করা হল। সংসদকে উপহাস করবেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই প্রচেষ্টা রুখে সংসদের পবিত্রতা রক্ষা করব। অমিত শাহ এই মহান প্রতিষ্ঠানকে গুজরাট জিমখানায় (Gujarat Gymkhana) পরিণত করার যে চেষ্টা চালাচ্ছেন, তা প্রতিরোধ করব।

    আরও পড়ুন : ট্যুইটে ডেরেকের জবাব দিলেন অর্থমন্ত্রী, কী বললেন তৃণমূল সংসদকে?

    ডেরেকের তিরকে তুলোধোনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। ট্যুইট বার্তায় ডেরেককে নিশানা করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সংসদের পবিত্রতা নিয়ে তৃণমূল নেতার শিক্ষাদান বন্ধ হওয়াই উচিত। এর পরেই তৃণমূলকে উদ্ধত আখ্যা দেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রশ্ন, কতগুলি দিন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় কাজ হয়?  রাজ্য বিধানসভা মমতা জিমখানায় পরিণত হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, এ মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত চলার কথা ছিল বাদল অধিবেশন। তার আগে সোমবার বিকেলে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের উভয় কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। বিজেপি সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে দুদিন সরকারি ছুটি। একটি মহরম ও অন্যটি রাখিবন্ধনের। রাখিবন্ধনের অনুষ্ঠান পালন করতে সিংহভাগ সাংসদ স্ব স্ব এলাকায় গিয়ে এই উৎসবে অংশ নেবেন। তাই বাদল অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয় নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই।

     

  • By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও!  রবিবার উপনির্বাচন (By Elections) হয় আসানসোল পুরনিগম ও বনগাঁ (Bongaon) পুরসভার দুই ওয়ার্ডে। সকাল থেকে কিছুক্ষণের জন্য নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, অশান্তি শুরু হয় তার পরেই। কোথাও বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর, কোথাও আবার শাসক দলের বাধায় বুথেই বসতে পারলেন না বিজেপির এজেন্ট। আসানসোলে (Asansole) এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন উপনির্বাচন হয় আসানসোল পুরনিগমের ছ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পুর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি কর্মীদের মারধর ও কয়েকজন এজেন্টকে বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জেকে নাগার মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পদ্ম শিবির। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ই। বিজেপির অভিযোগ, বাবলু পাসওয়ান নামে তাদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্ণণের অভিযোগ, উপনির্বাচনেও শাসক দল সন্ত্রাস চালাচ্ছে, বুথ লুঠ করছে। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে বনগাঁ পুরসভার উপনির্বাচনেও। এদিন ভোট হয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের একটি বুথের বাইরে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারকে নিগ্রহের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে বিধায়ক এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। শনিবার বিভিন্ন বাড়িতে ফোন করে তিনি ভয় দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল।

    আরও পড়ুন : ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    এদিকে, ওই ওয়ার্ডেরই কেশবলাল বিদ্যাপীঠে ভোট দেখতে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনীয়া। তাঁকে দেখা মাত্রই চিৎকার জুড়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অশোকের দাবি, তিনি ওই বুথেরই ভোটার। উত্তেজনা চরমে পৌঁছলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেসও (Congress)। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস পালের নেতৃত্বে এদিন দুপুরে বাজার মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে সোনিয়া গান্ধির দল। সন্ত্রাসের অভিযোগে পাটার মোডে পথ অবরোধ করে বিজেপিও। ওই একই অভিযোগে রামনগর রোড সংলগ্ন এলাকায় যশোর রোড অবরোধ করে সিপিএম-ও (CPM)।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

  • Vice President Elections: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী জগদীপ ধনখড়, জানেন তিনি কত ভোট পেলেন?

    Vice President Elections: উপরাষ্ট্রপতি পদে জয়ী জগদীপ ধনখড়, জানেন তিনি কত ভোট পেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice Presidential Elections) পদে জয়ী হলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল এনডিএর (NDA) প্রার্থী  বিজেপির (BJP) জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। বিপুল ব্যবধানে তিনি হারালেন বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে (Margaret Alva)। ৭২৫টি প্রদত্ত ভোটের মধ্যে যেখানে ধনখড় পেয়েছেন ৫২৮ ভোট, সেখানে বিরোধী প্রার্থীর ঘরে পড়েছে মাত্র ১৮২ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ৭২.৮২% ভোট পেয়ে জিতলেন জগদীপ ধনখড়। 

    পেশায় আইনজীবী ধনখড়ের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৮ মে, রাজস্থানের ঝুনঝুন জেলার কিথানায়। স্কুলের পাঠ শেষে আইনবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৭৮-৭৯ সালে রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন ধনখড়। আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন রাজস্থান হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করেন তিনি। পরে আসেন রাজনীতিতে। ১৯৮৯ সালে রাজস্থানের ঝুনঝুন লোকসভায় জনতা দলের প্রার্থী হন ধনখড়। জয়ীও হন। তার পরের বছরই হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজস্থানের কিষণগড়ের বিধায়ক। ২০০৩ সালে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে ধনখড়, কেন জানেন?

    এর পর থেকে রাজনীতির পাশাপাশি চলতে থাকে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিসও। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে শপথ নেন ধনখড়। তার পর থেকে বারবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয় এনডিএ। নাম ঘোষণা হতেই রাজ্যপাল পদে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করেন ধনখড়। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এখন তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদাধিকারী।

    এদিন সকালে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ অন্যরা। ভোটে অংশ নেয়নি তৃণমূল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও এদিন ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল। যা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। যদিও, দলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী এদিনের ভোটগ্রহণে অংশ নিয়েছিলেন, যা সমান তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    এদিকে, ধনখড়ের জয়ে খুশির হাওয়া গেরুয়া শিবিরে। ধনখড়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভার হারে শোকের ছায়া বিরোধী শিবিরে।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?

LinkedIn
Share