Tag: tmc

tmc

  • Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বর্ধমানের পর ফের হাওড়া। চোলাই বা বিষমদ খেয়ে আবারও মৃত্যুর ঘটনা। এক মাসের মধ্যে অন্তত ১৪ জনের মারা যাওয়ার ঘটনায় ফের চর্চা শুরু হয়েছে। বছর খানেক আগে আবগারি দফতর ২৮ টাকার ‘বাংলা’ মদ চালু করেছিল। লক্ষ্য ছিল চোলাইয়ের দামে সরকারি মদ বিক্রি শুরু হলে দমানো যাবে বিষমদের কারবার। ২৮ টাকার বাংলায় মেশানো হয়েছিল মহুয়ার গন্ধও। বাজারও পেয়েছে সেই সস্তার সরকারি মদ। তারপরেও কেন এক মাসে বর্ধমান এবং হাওড়াতে বিষমদে লোকজন মারা যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, ২৮ টাকার সরকারি মদ কার্যত চোলাইয়ের থেকেও সস্তা। ২৮ টাকায় মহুয়ার গন্ধ মিশিয়ে ৩০০ মিলিলিটার বাংলা বাজারে ছাড়া হয়েছে। চোলাই যেখানে ৬০-৬৫ টাকায় ৬০০ এমএল পাওয়া যায়। ৩০০ মিলিলিটার চোলাইয়ের দাম ৩৫ টাকা। দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন তা হলে লোকে চোলাই ছাড়তে চাইছে না। আবগারি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারের সঙ্গে দামে প্রতিযোগিতায় না পেরে চোলাইয়ে কারবারিরা নেশার ‘গুণে’ নেশাড়ুদের টেনে নিচ্ছে। সরকারি মদ ৭০ডিগ্রি আপে ভিত্তিতে তৈরি। অর্থাৎ স্পিরিটের শুদ্ধতা এমন করা হয়েছে যাতে কম দামে খুব বেশি নেশাও না হয়। সরকারের এই প্রবণতাকেই চোলাই কারবারিরা হাতিয়ার করেছে। ফলে তারা এখন চোলাইয়ের ‘’টেম্পার’ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই টেম্পারের কারণেই বার বার মদে বিষক্রিয়া হচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, চোলাইয়ের কারবারিরা সরকারি বাংলা মদের চেয়েও অতিরিক্ত নেশার মদ তৈরি করতে নানা রাসায়নিক মেশাচ্ছে। ফলে এক বোতল মদে ৫-১০ টাকা বেশি দিয়েও অনেকে ২৮ টাকার বাংলা পান করছেন না, টেম্পার থাকা চোলাই বেশি পছন্দ করছে। ফলে সরকারি মদ সস্তা হওয়ার পরেও চোলাই তার বাজার ধরে রেখেছে। কর্তারা জানাচ্ছেন, হাতুড়ে পদ্ধতিতে টেম্পার বাড়াতে গিয়েই মদে বিষক্রিয়া হয়ে যাচ্ছে। প্রাণ যাচ্ছে লোকের। 

    আরও পড়ুন: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    আবগারি কর্তাদের একাংশের আরও দাবি, ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপকভাবে ছাড়া হয়নি। তা হলে সাধারণ বাংলা মদ আর বিক্রি হবে না। সেই কারণে যে সব এলাকায় চোলাইয়ের কারবার ব্যাপকভাবে চলত সেখানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রি করা হত। ফলও তাতে মিলেছে, চোলাইয়ের দাপট কমেছে। কিন্তু চোলাইওয়ালারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র ব্যাবসা ছড়িয়ে দিয়েছে। আবগারি দফতরের দাবি, বর্ধমান এবং হাওড়া দুটি স্থানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রির অনুমোদন ছিল না। ফলে সেখানে হাই টেম্পারের চোলাই বা বিষমদই ছিল সুপারহিট। এখন উপায়? এক মাসে ১৪ জন মারা যাওয়ার পর এবার ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র বিক্রির ব্যবস্থা করা হতে পারে। সস্তা দামের সঙ্গে নেশার গুণমানও(টেম্পার) কি বাড়ানো হবে? নিরুত্তর আবগারি কর্তারা। 

     

  • TMC 21 July: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    TMC 21 July: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে হাসপাতালে রক্ত মজুত রাখা হয়েছে, ধর্মতলায় রেলিং উপড়ে ফেলা, গাছ কাটা, আলো লাগানো, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় জীবাণু নাশক ছড়ানো সবই হয়েছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার প্রায় সবই স্কুলই আগামীকাল ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। 

    এর পর শেষ দফায় অন্য দফতরগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে থেমে থাকল না বিদ্যৎ দফতরও। ২১ জুলাই রাজ্যের কোথাও শাটডাউন নেওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সমস্ত সার্কেল অফিস পর্যন্ত এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও লিখিত নির্দেশ নয়, বিদ্যুৎ ভবন থেকে কর্তারা ওয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে নীচ পর্যন্ত একথা জানিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের একাংশের মতে, কখনও কখনও লোড বণ্টন, রুটিন মেরামত, লাইনের ধারে গাছ কাটা, বিদ্যুৎ লাইনে গোলমাল ধরা পড়লে লোডশেডিং করতে হয়। গ্রামেগঞ্জে রোজই কোথাও না কোথাও আধ-এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। সাধারণত মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ঈদের সময় ‘নো শাটডাউন’ অর্ডার করা হয়। এই প্রথম শাসক দলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য এমন আপৎকালীন নির্দেশ জারি করা হল।

    কর্তাদের কেউ কেউ মশকরা করে বলেছেন, আসলে ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে যা কিছু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম করেছেন। বাকি স্বাস্থ্য বা পুলিশ দফতরের মন্ত্রী তো মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রয়েছেন। ফলে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের কাজ দেখানো এবং নম্বর তোলার সুযোগ ছিল না। শেষ লগ্নে এসে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা তাই ওয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে রাজ্যে কোথাও শাটডাউন নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    যখন মমতার ভক্তকুল সকলেই প্রায় কলকাতামুখী সেখানে গ্রামে কোথায় লোডশেডিং হল তাতে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে? এক কর্তার জবাব, এত প্রশ্ন করছেন কেন, স্বাস্থ্য দফতর সারা রাজ্যে সমস্ত হাসপাতালে রক্ত মজুত রাখার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে, আর বিদ্যুৎ দফতর লোডশেডিংয়ে না করাতে ভুলটা কি করেছে?   

  • TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালন হবে শহিদ দিবস (shahid dibas)। অথচ হাসপাতালগুলিকে (Hospitals) পরিকাঠামো প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, তৃণমূলের একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশে কী এমন ঘটবে, যে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে? ব্লাড ব্যাংকে (Blood Bank) মজুত রাখতে হবে রক্ত? 

    ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিল যুব কংগ্রেস (Yuba Congress)। অভিযান হয়েছিল তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) নেতৃত্বে। তখন বাম আমল। অভিযান রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। খুন হন ১৩ জন। তাঁদের শহিদ আখ্যা দেয় কংগ্রেস। তার পর থেকে প্রতি বছর ওই দিনে শহিদ দিবস পালন করে কংগ্রেস। কংগ্রেস ভেঙে মমতা যখন তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন থেকে ফি বছর ২১ জুলাই ঘটা করে দিনটি পালন করেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছে তৃণমূলের প্রচারের হাতিয়ারে। ইদানিং শহিদরা চলে গিয়েছেন পিছনের সারিতে। সামনে চলে এসেছেন তৃণমূলের তারকারা। প্রতিবার যাদের দেখিয়ে ভোট কুড়োয় ঘাসফুল শিবির। 

    আরও পড়ুন : দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা

    এবারও ২১ জুলাই পালিত হবে শহিদ দিবস। সেই উপলক্ষে সরকারের তরফে হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হয়েছে চিঠি। তাতেই সভা চত্বরের বিভিন্ন রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। মজুত রাখতে বলা হয়েছে প্রচুর রক্ত। যা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে কি এবারের শহিদ দিবসে রক্ত ঝরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী? রাজ্য প্রশাসনের জোড়া চিঠিকে হাতিয়ার করে শাসক দলের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২১ জুলাই দিনটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে “জেহাদি” দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন শহিদ মিছিলের রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? তাঁর আরও প্রশ্ন, এটা দলের কর্মকাণ্ড না সরকারের? তাঁর মতে, এভাবে ক্ষমতায় থেকে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চরম অপব্যবহার করছে তৃণমূল। 

    [tw]


    [/tw]

    গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে দলীয় কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে সব দলেরই। তবে সেই কর্মসূচিকে ঘিরে যেভাবে রক্ত ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত বিরোধীরা। 

  • Jagdeep Dhankhar: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    Jagdeep Dhankhar: অভিষেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন! মুখ্যসচিবকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিচারবিভাগকে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মন্তব্যের জের। তৃণমূল (TMC) সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ৬ জুনের মধ্যে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

    রাজ্যপাল জানান, ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা ছোট করে দেখার বা এড়িয়ে যাওয়ার মতো বিষয় নয়। রাজ্যপাল এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এব্যাপারে একটি চিঠিও দেন। টুইটে সেই চিঠিও রাজ্যপাল অ্যাটাচ করে দিয়েছেন।

    ট্যুইটে জগদীপ ধনকড় লেখেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বিচারবিভাগের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। এরমধ্যে আছে কুখ্যাত এসএসসি কেলেঙ্কারিও (SSC Recruitment scam), যাকে কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। আপনি যেই হোন, আইন সবার থেকে বড়। এই সাংবিধানিক ধারণার সঙ্গে ওঁর মনোভাব খাপ খায় না।’

    গত শনিবার হলদিয়ার একটি জনসভা থেকে বিচারপতিদের একাংশকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বলতেও লজ্জা লাগে, বিচারব্যবস্থা একজন–দু’‌জন আছেন যাঁরা ষড়যন্ত্র করে কাজ করছেন। তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছেন। কিছু হলেই সিবিআই করে দিচ্ছেন। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দিচ্ছেন।’

    রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেই এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‌এসএসসি মামলায় সিবিআই নির্দেশ দিয়েছেন যে বিচারপতি তাঁকে আক্রমণ করা অত্যন্ত নিন্দনীয় অপরাধ। একজন সাংসদ যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বেনজিরভাবে আক্রমণ করছেন। মুখ্যসচিবকে বলছি, অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন।’‌ 

    তার জবাবে অভিষেকও ট্যুইটও করেন। বলেন, তিনি এক শতাংশ বিচারপতির কথা বলেছিলেন। কারা লাল রেখা অতিক্রম করছেন সেটা সবাই দেখছেন। এরপর সোমবার দার্জিলিং থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

     

     

  • Coal Scam: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের তলব মলয় ঘটককে! ইডির সমন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ককেও

    Coal Scam: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের তলব মলয় ঘটককে! ইডির সমন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ককেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal scam case) ফের রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে চতুর্থবার তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও (Sushanta Mahato)। তাঁদেরকে শুক্রবার সকাল ১১টায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এবং মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে মলয় ঘটকের নাম উঠে এসেছে। মলয় ঘটককে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনবার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তথ্য মিলছে না। তিনি কিছু গোপন করছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই আবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চেকপোস্টে আটকে কয়লা, “ভাইপো ভ্যাটে”র অপেক্ষায়? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি যাচাই করতে গিয়ে সুশান্ত মাহাতোরও নাম মিলেছে। এমনকী অনুপ মাজি তথা লালার দফতরে হানা দিয়ে যে নথি মেলে সেখানে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়কের নাম রয়েছে। এই কারণে তাঁকেও তলব করা হয়। প্রয়োজনে সুশান্ত মাহাতো এবং মলয় ঘটককে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে। সুশান্ত মাহাতো পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক। আর লালার বাড়ি এবং কর্মস্থল ওই এলাকায়। সেখানে একাধিক খনি রয়েছে। সুতরাং একটা যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাঁরা। 

    গতবছর ১৬ সেপ্টম্বর পুরুলিয়ায় এক সাংগঠনিক সভায় গিয়েও সুশান্তর কয়লা কাণ্ডে জড়িত থাকা নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী গত ১১ জুন  পুরুলিয়ার বলরামপুরে জনসভা করতে গিয়েও বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে সুশান্তর যোগ আছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্যি কিনা, তা ইডির জেরার পরেই বোঝা যাবে। তবে, যা রটে,তার কিছুটা তো বটে, অভিমত রাজনৈতিক মহলে।

  • Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতায় (Kolkata) জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইডি (ED) আধিকারিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police)। রাজ্য সরকার (Mamata government) ইডি  আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। কয়লা পাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার (Rujira) আবেদনের ভিত্তিতে জানালো সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু, কখন কোথায় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা ৭২-ঘন্টা আগে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। 

    এর আগে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ ইডির কাছে জানতে চায়, তৃণমূল সাংসদের দাবি মেনে কলকাতায় অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অসুবিধা কিসের? তখন ইডির পক্ষ থেকে নারদকাণ্ডে (narada case) সিবিআইয়ের (CBI) তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

    ২০২১-এর ১৮ মে সিবিআইয়ের রিজিওনাল অফিস নিজাম প্যালেস (nizam palace) ঘেরাও করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। দাবি জানান, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয় অভিষেক ও রুজিরা “রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী”। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় যাওয়া ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। রাজ্য সরকার তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ইডি আধিকারিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 

    কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপ মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। প্রতিবারই নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা।

    শেষপর্যন্ত এবছর মার্চে দিল্লিতেই ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। কিন্তু সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান, অভিষেক-পত্নী রুজিরা। গত ১১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন অভিষেক ও রুজিরা। সাংসদের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে, ২১ ও ২২ মার্চ ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে, সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান রুজিরা। এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তারই শুনানি হল বৃহস্পতিবার। তৃণমূল সাংসদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বাল।                                                                                                                                                                                                                                            

  • TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    TMC: একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আদতে বাংলাদেশি নাগরিক? বলছে হাইকোর্টের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপারের ভোটে লড়ছে ওপার বাংলার নাগরিক! 

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনেই এমন কাণ্ড ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আলো রানী সরকার। 

    তবে, বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে দু’হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। এরপরই বিতর্কের সূত্রপাত। নির্বাচনী ফলাফল মানতে রাজি হননি ভোটে হেরে যাওয়া আলো রানী। দাবি করতে থাকেন যে তিনিই জিতেছেন। তাঁর আরও দাবি যে, তাঁকে চুরি করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

    যেমন ভাবা তেমন কাজ। ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। আর এতেই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ে। তখনই জানা যায়, আলো রানী সরকার আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা! তাঁর নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়!

    জানা গিয়েছে, ওপার বাংলার বরিশাল জেলায় জন্ম আলো রানীর। তাঁর ভাই-মা সহ পরিবার এখনও বরিশালের পিরোজপুরের বাসিন্দা। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বাসিন্দা চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সরকারের সঙ্গে আলো রানীর বিয়ে হয়। 

    নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী আলো রানীর দাবি ছিল, তাঁর জন্ম হুগলির বৈদ্যবাটিতে, বিয়ের পর তাঁর নাম কোনওভাবে বাংলাদেশের ভোটার কার্ডে উঠে যায়। তিনি প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছেন। যদিও এই মর্মে কোনও প্রামাণ্য নথিই তিনি জমা করতে পারেননি আদালতে। 

    এই প্রেক্ষিতে, কলকাতা হাইকোর্ট তৃণমূল প্রার্থী আলো রানী সরকারের আবেদন খারিজ করে দিল। খারিজের কারণ হিসেবে বিচারপতি জানিয়েছেন, “আলো রানী সরকারের নাম রয়েছে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়।”

    অর্থাৎ, এরাজ্যের তো নয়ই, এমনকী এদেশের বাসিন্দাও নন তিনি। তাহলে, কোন জাদুমন্ত্রে তিনি এরাজ্যের ভোটার হলেন? শুধু তাই নয়, কী করে ভোটে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেলেন? আর কী করেই বা সেই যোগ্যতা অর্জন করলেন? 

    হাইকোর্ট তার রায়ে জানিয়েছে, ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, আলো রানী সরকারের বাংলায় তো বটেই, ভারতের কোনও প্রান্তে কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই।

    গোটা বিষয়টি ট্যুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যে রাজনৈতিক দল একজন বাংলাদেশিকে নির্বাচনে প্রার্থী করতে পারে, সে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে না কেন?

    [tw]


    [/tw]

  • anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    anubrata mandal: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন অনুব্রত মণ্ডল(anubrata mandal)!

    শেষমেশ বৃহস্পতিবার সাত সকালেই নিজাম প্যালেসে গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই(cbi) দফতরে হাজিরা দিলেন তৃণমূলের(tmc) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। বুধবার সন্ধেয় সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

    ৬ এপ্রিল গরু পাচারকাণ্ডে দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। সেদিন সকালে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়েও পরে আর সিবিআই দফতরে হাজির হননি তিনি। শারীরিক অসুস্থতার জেরে এসএসকেএম হাসপাতালের(sskm hospital) উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন তিনি। অনুব্রত তখন সিবিআইকে জানিয়েছিলেন, তারা চাইলে হাসপাতালে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরে ফের একবার সিবিআইকে চিঠি দেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি আছেন তিনি।

    পরে সিবিআইকে ফের একবার চিঠি দিয়ে তিনি জানান, ২১ মে’র পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। নির্দিষ্ট ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই বুধবার সিবিআই দফতরে ফের আইনজীবি মারফৎ চিঠি পাঠান অনুব্রত। জানিয়ে দেন, গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাজি হন তিনি। সেই মতো বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে সময় দেয় সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন তার ঢের আগেই চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি।           

    এসএসসি মামলায় বুধবার সন্ধেয় সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তার পরের দিনই সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিলেন অনুব্রত। তাঁকে জেরা করে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তের জট খুলতে পারে বলেই আশা তদন্তকারীদের।

    আরও পড়ুন : নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পার্থকে(partha chaterjee ) কেবল জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দিয়েছে সিবিআই। তার পরেই সাহস পেয়েছেন অনুব্রত। সেই কারণেই এদিন বীরভূমের(Birbhum) দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত সাত সকালে হাজির হয়েছেন সিবিআই দফতরে।

     

     

  • Amit Shah in Bengal: “প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব নয়”, বঙ্গ সফরে রাজ্যকে ‘শাহি’ তোপ

    Amit Shah in Bengal: “প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব নয়”, বঙ্গ সফরে রাজ্যকে ‘শাহি’ তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া সীমান্ত সুরক্ষা সম্ভব নয়। দু দিনের রাজ্য সফরে এসে বললেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ (Infiltration)-চোরাচালান (Smuggling) (বন্ধ করে সীমান্ত দুর্ভেদ্য (Border Security) করা বিএসএফের দায়িত্ব। কিন্তু সেটা কখনই সম্ভব নয় যদি না স্থানীয় প্রশাসন পাশে থাকে। নাম না করেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথমবার রাজ্যে এসেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের তোপ রাজ্য সরকারকে। অমিত শাহের আশ্বাস, এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, এ রাজ্যেও বিএসএফ (BSF) প্রয়োজনীয় সাহায্য পাবে। মানুষের চাপের কারণেই বাধ্য হয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে প্রশাসন।

    [tw]


    [/tw]

    বিএসএফের নজরদারির পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে রাজ্য বিধানসভায় ইতিমধ্যেই বিল পাশ করেছে রাজ্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভাল চোখে দেখছে না কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কারণ দিল্লির দাবি, রাজ্যে অনুপ্রবেশ বাড়ছে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চোরাচালান। শাসকদলের (TMC) স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠছে নিয়মিত।   

    দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) সুন্দরবন (Sunderbans) অঞ্চলে নজরদারি জোরদার করতে ৬টি ভাসমান সীমান্তরক্ষা আউট-পোস্টের আনুষ্ঠানিক উদবোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৬টি আউটপোস্ট। এর ফলে, সুন্দবনের দুর্গম খাঁড়ি এলাকাতে নজরদারি চালাতে সুবিধা হবে বিএসএফের। এরপর, হরিদাসপুর আউটপোস্টে ‘মৈত্রী সংগ্রহালয়’ একটি মিউজিয়ামের শিলান্যাস করেন অমিত শাহ। ভাসমান আউটপোস্ট ছাড়াও রাজ্যের সাহেবখালি থেকে বিহারের শামসেরনগর পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা বাড়াতে ৬টা নতুন ভাসমান অ্যাম্বুলেন্সের উদবোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Home Minister) দু’দিনের রাজ্য সফরে দক্ষিণের সঙ্গে জুড়েছেন উত্তরবঙ্গকেও (North Bengal)। আজই সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে, রেলওয়ে ইনস্টিটিউট স্পোর্টস গ্রাউন্ডে জনসভা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। ৬ মে, শুক্রবার, সফরের দ্বিতীয়দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাবেন উত্তরবঙ্গে। কোচবিহারের (Coochbehar) তিনবিঘায় বিএসএফের ঝিকড়াবাড়ি আউটপোস্ট পরিদর্শন করবেন অমিত শাহ।

     

  • Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের কোনও আদর্শ নেই। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে(chintan shivir) এহেন মন্তব্য করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের(Opposition parties) বিরাগভাজন হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul gandhi)। কংগ্রেসকে তাঁদের নয়, বরং আঞ্চলিক দলগুলিকে(regional parties) প্রয়োজন কংগ্রেসেরই, সাফ জানিয়ে দিলেন আঞ্চলিক দলগুলির নেতারা। রাহুলকে চালকের আসনে বসিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা হচ্ছিল। রাহুলের মন্তব্যে তা ধাক্কা খেল বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির ‘ক্ষোভ’ সামাল দিতে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল কংগ্রেস।

    রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয়ে গেল কংগ্রেসের। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করতেই বসেছিল শিবির। এই শিবিরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, বিজেপি শুরু কংগ্রেসকে নিয়েই কথা বলবে, কোনও আঞ্চলিক দল নয়, কংগ্রেস নেতা, কংগ্রেস কর্মীদের কথাই ঘুরেফিরে উঠে আসবে তাদের মুখে। কারণ স্ব স্ব ক্ষেত্রে শক্তিশালী হলেও, আদর্শ না থাকায় আঞ্চলিক দলগুলির যে তাদের হারানোর ক্ষমতা নেই, সে কথা জানে বিজেপি। যদিও এই শিবিরেই সমমনস্ক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন খোদ সোনিয়া গান্ধি। 

    রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের কাছ থেকে। ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসে। যৌথভাবে চলছে সরকারও। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে যথাক্রমে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হাত ধরে টিকে রয়েছে কংগ্রেস। আমাদের নীতি না থাকলে বিজেপির মতো পার্টির বিরুদ্ধে মানুষ আঞ্চলিক দলকে বেছে নিচ্ছে কেন?

    বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে কংগ্রেসের। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করেছিল রাহুল গান্ধির দল। বিহারের ওই দলের তরফে রাহুলকে সেকথা স্মরণও করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৯৯৯ সালে নেতৃত্বের প্রশ্নে নিজের দলের নেতাদের পাশে না পেলেও, লালুপ্রসাদ যাদবকে পাশে পেয়েছিলেন সোনিয়া। রাহুলের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আম-আদমি পার্টি, টিআরএস এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কড়া প্রতিক্রিয়া দৃশ্যতই জেরবার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি  ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামানো হয় শশী তারুরকে(Shashi Tharoor)। তারুর বলেন, রাহুল বলতে চেয়েছেন যে, জাতীয় রাজনীতিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। আমাদের ভাবনা গোটা দেশকে নিয়ে। আঞ্চলিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ বুঝে চলতে হয়। তিনি বলেন, আমার তো মনে হয়, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি এমনকি ডিএমকের সঙ্গেও কংগ্রেসের আদর্শের মিল রয়েছে।

    তারুরের কথায় রাজনীতির চিঁড়ে ভেজে কিনা, তাই দেখার!

     

     

     

     

     

LinkedIn
Share