Tag: tmc

tmc

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। বিজেপির অভিযোগ মূলত তৃণমূলের দিকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা হিংসায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ১ নম্বর ব্লকের বয়ারমারী অঞ্চলের বেশ কিছু সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টোটো ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বিজেপি ফল ভালো করায় কি আক্রমণ (Sandeshkhali)?

    বয়ারমারী (Sandeshkhali) এক নম্বর অঞ্চলের বেশ কিছু বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে। যে সমস্ত বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে সেই সমস্ত বুথের সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে টোটো চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল। একই ভাবে বিজেপিকর্মীদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান ও টোটো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবীকার প্রধান আশ্রয় এই দোকান এবং টোটো। অসহায় গরীব মানুষগুলি কোনও রকমে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার দিয়ে সংসার চালান। গত কয়েকদিন ধরে এই রোজগার বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। তাই দোকান ও টোটো চালানোর দাবিতে রবিবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ী আউটপোস্টে এসে বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Sandeshkhali) বিজেপি কর্মী জয়দেব মণ্ডল বলেছেন, “সকালে উঠে দোকান খুলতে গেলে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা বলেন, দোকান খোলা যাবেনা। কারণ জানতে চাইলে হুমকি দিয়ে বলেন, তোরা সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিস, তাই দোকান বন্ধ থাকবে। তোদের ছেলেপেলেদের নিয়ে পার্টি অফিসে দেখা কর। ক্ষমা চাইতে হবে, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না। সেই সঙ্গে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে দেয় তৃণমূলের লোকজন।” আরেক টোটো চালক উৎপল দত্ত বলেছেন, “তৃণমূল প্রধান আমাদের বেশকিছু টোটো বন্ধ করে দিয়েছে। পার্টি অফিসে দেখা করার নিদান দিয়েছেন। এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করার আমাদের জীবন-জীবীকার উপর সঙ্কট তৈরি করেছে তৃণমূল। আমরা সব কিছু স্বাভাবিক চাই। তাই, আজ থানায় ডেপুটেশন দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি যখন রাজভবনে, তখন হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। মাহেশ্বরী সদনে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন কয়েকজন ঘরছাড়া।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Post Poll Violence)

    কেন্দ্রীয় এই দলটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং বিজেপি সাংসদ কবিতা পতিদার। বিমানবন্দর থেকে (Post Poll Violence) তাঁরা সটান চলে আসেন মাহেশ্বরী সদনে। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষ। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ঘরছাড়াদের জানান, শিশু থেকে মহিলা কাউকে ছাড়ছে না তৃণমূলের গুন্ডারা।

    নির্বাচনোত্তর হিংসা

    নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে যে মানুষ ভোট দেওয়ার পর ঘরে যেতে পারছেন না? আমাদের এক কার্যকর্তার ভাইকে খুন করে ফেলেছে। এখন তাঁকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইদ পালন করতে যেতে পারছেন না। মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে?”

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগরে যাওয়ার কথা তাদের। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্যরা যাবেন কোচবিহারে। দিল্লি ফিরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিপ্লব বলেন, “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাগাতে এসেছি।” তিনি বলেন, “গত ১২-১৩ বছর ধরে তাঁর ঘুমই ভাঙছে না।” ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লিগ্যাল সেল ঘরছাড়াদের পাশে থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।” তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, তাহলে দিল্লি থেকে বিজেপির প্রতিনিধিদলের বাংলায় আসার প্রয়োজন হয় না (Post Poll Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    Sukanta Majumdar: ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূলের অত্যাচারে অনেক কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বারুইপুর পার্টি অফিসে ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এখানেই ‘আশ্রয় শিবির’ তৈরি করেছে বিজেপি। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। অনেক জায়গায় পুলিশই হামলার সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। বারুইপুরের পাশাপাশি ক্যানিং ও কুলতলিতেও যাবেন আজ। আক্রান্ত এবং ঘরছাড়াদের মধ্যে যেমন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা রয়েছে, তেমনি আরও সাধারণ খেটে খাওয়া পুরুষ-মহিলা কর্মী-সমর্থকরাও রয়েছেন। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    কর্মীদের ঘরে ফেরাতে আশ্বাস সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরানোর প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমরা চাই দলীয় কর্মীরা যাতে দ্রুত তাঁদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন। এবিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরে আবেদন জানানো হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্বরা এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যদিও রাজ্যের এই প্রশাসনের উপর কোনও ভরসা নেই আমার। অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ সরাসরি যুক্ত ছিল। প্রয়োজনে আমরা কোর্টে যাবো। আমি, রাজ্যের মা মাটি সরকারের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব এসে দেখে যান, আপনার গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারে মানুষের জীবন কতটা বিপর্যস্ত। ক্যানিংয়ে শওকত মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চলছে বিজেপি কর্মীদের উপর।” তবে তাঁর এই জেলা সফরের পর কর্মীদের মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি দলীয় কর্মীদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় দলীয় কর্মীরা যাতে নিজেদের অধিকার নিজেরা বুঝে নেন সেই বার্তাও দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুনঃআঙুলের পর আইসক্রিমে বিষাক্ত বিছে! ঢাকনা খুলতেই কিলবিল করে উঠল

    উপনির্বাচন নিয়ে কী বললেন?

    আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “দু-একদিনের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। উপনির্বাচনের তিনটি আসন বিজেপিরই ছিল, অন্যটিতেও আমরা জয় লাভের ব্যাপারে আশাবাদী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, কোথায় কোথায় যাবে জানেন?

    BJP: হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, কোথায় কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির (BJP) প্রতিনিধি দল। এই দলে রয়েছেন চার বিজেপির প্রবীণ নেতা। তাঁরা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত একাধিক এলাকায় যাবেন। হিংসায় আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং এরপর সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কাছে বিশেষ রিপোর্ট তুলে ধরবেন।

    কোথায় কোথায় যাবে দল (BJP)?

    রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসা একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজ্যের মতো বাকি অন্য রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র এরকম আর দেখা যায়নি। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছে বিজেপির প্রতিনিধি দল প্রথমে যাবে মাহেশ্বরী সদনে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া ‘ঘর ছাড়া’ এবং ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে কথা বলবেন দলের সদস্যরা। এরপর সোমবার হিংসা কবলিত এলাকা এবং মানুষের জন-জীবন খতিয়ে দেখতে, রাজ্য বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার, সন্দেশখালি, বাসন্তী ঘুরে দেখবেন সদস্যরা। এরপর দলের সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে, ওই দিন রাতেই কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এরপর সেখানে হিংসা কবলিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে আবার দিল্লি ফিরে যাবেন।

    বিজেপির দাবি

    লোকসভা নির্বাচনের পর এই রাজ্যে কেবল মাত্র ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই হিংসার কারণ বিশ্লেষণ এবং হিংসার পরিমাণ কতটা ভয়াবহ, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিজেপি (BJP) এই চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। দলের সদস্যদের নির্বাচন করেছেন দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শনিবার দিল্লির সদর দফতর থেকে এই নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে এই চার সদস্য দলের মধ্যে রয়েছেন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার সাংসদ কবিতা পাতিদার। চার সদস্যের এই দল ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তুলে দেবেন।

    “জেলা শাসক-আইপ্যাক চক্রান্ত করে নিশীথকে হারিয়েছেন”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রেস বিবৃতির বক্তব্য

    বিজেপি (BJP) এই রাজ্যের হিংসা সম্পর্কে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “গোটা দেশে এবার লোকসভা ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লোকসভা ভোট ছাড়াও চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটিতে ক্ষমতার বদলও হয়েছে। অথচ কোথাও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র বাংলায় হিংসার ঘটনা অব্যহত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবি! সরকারি পদ গেল সৌরভের, ঘুম ছুটেছে নেতাদের

    Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবি! সরকারি পদ গেল সৌরভের, ঘুম ছুটেছে নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহার বাদ দিলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। ভোটের (Election Result 2024) ফল বের হওয়ার পর দলের এমন হাল খুঁজতে উত্তরবঙ্গে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে আসেন তিনি। এরপরই উত্তরবঙ্গের এক দাপুটে নেতাকে সরকারি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর দলের এই সিদ্ধান্তে পদ হারানোর ভয়ে ঘুম ছুটেছে একাধিক নেতার।

    উত্তরবঙ্গে ভরাডুবি, পদ গেল সৌরভের (Election Result 2024)

    শুক্রবার এক নির্দেশিকায় শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এসজেডিএ এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে সৌরভ চক্রবর্তীকে। অতিরিক্ত জেলাশাসককে সেই পদ সামলানোর কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে প্রবল হইচই শুরু  হয়েছে দলের অন্দরেই। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার লোকসভা ভোটে কোচবিহারে জয় মিলেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে অল্প ভোটে (Election Result 2024) হেরেছে দল। কিন্তু, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ে চূড়ান্ত খারাপ ফলের জেরে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। শিলিগুড়ি পুরভোটে ৩৭টি ওয়ার্ডে জিতেছিল দল। কিন্তু, লোকসভায় কার্যত একটি ওয়ার্ড বাদে সব ওয়ার্ডে হেরেছে তৃণমূল। জলপাইগুড়িতেও চূড়ান্ত হতাশাজনক ফল হয়েছে। সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, দল কেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বলতে পারব না। তাছাড়া আমি শুধু একা নয়, দলের অনেক নেতার এলাকাতেই খারাপ ফল হয়েছে। সময় হলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: ভরদুপুরে সিনেমার কায়দায় বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি

    কাজ করে ফল দেখাও, নাহলে পদ ছাড়তে হবে

    শিলিগুড়িতে জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, “দলনেত্রীর নির্দেশ থাকলেও একদল নেতার বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, সম্পত্তির বৃদ্ধি ভালভাবে নিচ্ছেন না মানুষ। তাই উত্তরে হার। আসলে অভিষেকের পারফরমেন্স থিয়োরির প্রয়োগ দরকার এখানেও। হয় কাজ করে ফল দেখাও, নাহলে পদ ছাড়তেই হবে।” মেয়র গৌতম দেব বলেন, “আমি সৌরভের অপসারনের বিষয়টি জানতাম না। তবে, অভিষেকের পারফরমেন্স থিয়োরি ঠিক সিদ্ধান্ত। আমাদের পারফর্ম করতেই হবে। উত্তরের এই এলাকায় আমরা খারাপ ফল করেছি। নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি, জীবনযাত্রা পাল্টে যাওয়া, সবই দল নজরে রেখেছে এটুকু বলতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করবে’, কেন এমন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করবে’, কেন এমন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ পেয়েছে প্রায় ১০ দিন হয়ে গেল। কিন্তু জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) থামার নাম নেই। বসিরহাট লোকসভার হাড়োয়াতে বিজেপি কর্মীকে বাইক থেকে নামিয়ে মারধর, গলায় দড়ি বেঁধে টেনে নিয়ে নদীতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের নিয়ে রাজ্য়পালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও দেখা করতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। এবার আক্রান্ত কর্মীদের হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রশ্ন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর প্রশ্ন

    পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি কর্মীরা আত্মহত্যা করুন, সেটাই কি চান মুখ্যমন্ত্রী? দিল্লিতে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আক্রান্তদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের মাথা হেঁট করে দিয়েছেন বলেও এদিন দাবি করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কী চান বিজেপি কর্মীরা ডুবে মরুক, আত্মহত্যা করুক?  মুখ্যমন্ত্রী বলে দিন বিজেপি কর্মীরা ওঁর বাড়ির সামনে গিয়ে আত্মহত্যা করবে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা রাজ্যপালের কাছেও যেতে পারছে না। রাজ্যপালকে গিয়ে দেখা করতে হচ্ছে আক্রান্তদের সঙ্গে। গণতন্ত্রের পক্ষে এটা লজ্জার। মাননীয় রাজ্যপাল সঠিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যপালকে রাজভবন থেকে বেরিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে হচ্ছে। গণতন্ত্রের মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রে সংবিধানকে সংরক্ষণের দায়িত্ব রাজ্যপালের। সেখানেও যদি আক্রান্তরা পৌঁছতে না পারেন তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চানটা কী?’ 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত ৮ মাওবাদী, শহিদ ১ জওয়ান

    রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তরা রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের আগাম অনুমতি ছিল আক্রান্তদের কাছে। তার পরও ব্যারিকেড করে তাদের আটকায় পুলিশ। প্রায় ১ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফিরে আসেন শুভেন্দু-সহ আক্রান্তরা। এরপর কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। এরই  মধ্যে  রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। হিংসা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় টিম গঠন করেছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। টিমে আছেন ৪ সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, রবিশঙ্কর প্রসাদ, ব্রিজলাল এবং কবিতা পতিদার। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনও রাজ্যে, ভোট পরবর্তী হিংসার খবর নেই বলে দাবি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: দাঁইহাটে ধরাশায়ী তৃণমূল, চেয়ারম্যান-কাউন্সিলর দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    Election Result 2024: দাঁইহাটে ধরাশায়ী তৃণমূল, চেয়ারম্যান-কাউন্সিলর দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানে বিপুল ভোটে (Election Result 2024) জয়লাভ করেছে তৃণমূল। এখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আনন্দ উল্লাস করে উৎসব পালন করা দরকার। কিন্তু, ভোটের ফল মিটতেই একেবারেই অন্যচিত্র ধরা পড়ল দাঁইহাটে। লোকসভায় জয়ী হলেও এই পুসভায় তৃণমূলকে হারিয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর তারপরই পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়ের সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের বিরোধ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    দাঁইহাট পুরসভায় ধরাশায়ী তৃণমূল! (Election Result 2024)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাঁইহাট পুরসভায় ১৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। কোথাও কোনও বিরোধী সদস্য নেই এক জনও। শহরে শক্তপোক্ত সংগঠন রয়েছে, এমন দাবি করে না প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। তবুও, এই শহরে লোকসভা ভোটে (Election Result 2024) বিজেপি প্রায় আড়াই হাজার ভোটে পিছনে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। লোকসভা ভোটের পর ১৩ জুন প্রথম পুরবোর্ডের বৈঠক ডেকেছিলেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, তিনি-সহ মাত্র তিন জন সদস্য হাজির হয়েছিলেন বৈঠকে। কোরাম না হওয়ায় শেষপর্যন্ত বৈঠক বাতিল করেন চেয়ারম্যান। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে বাকিদের অনুপস্থিতির বিষয়টি তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এর আগে দুপক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। পরে, তা মিটে যায়। এবার ফের দ্বন্দ্ব সামনে চলে এসেছে।

    আরও পড়ুন: ভরদুপুরে সিনেমার কায়দায় বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি

    ভোটে হারের জন্য চেয়ারম্যান দায়ী!

    শহরে দলের ভোট-বিপর্যয়ের জন্য পুরপ্রধানকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বৈঠকে অনুপস্থিত তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিরা। শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম ঘোষ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দলজিৎ মণ্ডল বলেন, “চেয়ারম্যান সিপিএম থেকে আমাদের দলে এসে সহজেই পদ পেয়েছেন। তাই এখনও তৃণমূল হয়ে উঠতে পারেননি। তিনি বরাবরই দলীয় কাউন্সিলরদের উপেক্ষা করে বিরোধীদের হয়ে কাজ করে চলেছেন। ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি লোকসভা ভোটে (Election Result 2024) বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলেও তিনি কথা শোনেননি। পুরপ্রধানের জন্যই আজ শহরে ন’টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব সবই জানেন।”

     সরে যাওয়ার আগে ওঁদের সব দুর্নীতি ফাঁস করে দেব

    চেয়ারম্যান প্রদীপ রায় বলেন,  “আমি সিপিএম থেকে তৃণমূলে এসেছিলাম উন্নয়নের কাজ করব বলে। পদের জন্য নয়। তৃণমূল কাউন্সিলরদের একাংশের বক্তব্য, আমি নাকি বিজেপির হয়ে কাজ করছি। দলের ক্ষতি হবে বলে ভোটের আগে এ নিয়ে কিছু বলিনি। কিন্তু, এখন বলতে বাধ্য হচ্ছি, ওঁরা দলবিরোধী কাজ করে চলেছেন। আমি সরে যাওয়ার আগে ওঁদের সব দুর্নীতি ও দলবিরোধী কাজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলে যাব। এ সব দলীয় নেতৃত্বকে আগেই জানিয়ে রেখেছি।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    দাঁইহাট শহর তৃণমূল সভাপতি রাধানাথ ভট্টাচার্য বলেন, “চেয়ারম্যান বিজেপির হয়ে ভোটে কাজ করেছেন, এ কথা মানতে পারছি না। এ ভাবে আকচাআকচি না করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া উচিত কাউন্সিলদের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “দলে থেকে যাঁরা অন্য দলের হয়ে ভোট করিয়েছেন তাঁদের তাড়াব”, বিস্ফোরক শতাব্দী

    Birbhum: “দলে থেকে যাঁরা অন্য দলের হয়ে ভোট করিয়েছেন তাঁদের তাড়াব”, বিস্ফোরক শতাব্দী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) ফের আরেকবার লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বীরভূম এবং বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভালো ফল করেছে তৃণমূল। যে দুবরাজপুর বিধানসভা ২০২১ সালে বিজেপি জয়ী হয়েছিল, এবার সেখানেও তৃণমূল ঘাস ফুল ফুটেছে। আর এইবার জয়ী হয়ে সাংসদ শতাব্দী রায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দলেরই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। খয়রাশোল ব্লকের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, “দলে থেকে যাঁরা অন্য দলের হয়ে ভোট করিয়েছেন তাঁদের তাড়াব” এই মন্তব্যের ফলে দলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঠিক কী বললেন শতাব্দী (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সাংসদ একাধিকবার ভোটের আগেও তৃণমূলের অন্তর্গত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গোষ্ঠীকোন্দলকে উস্কে দিয়েছিলেন। শনিবার শতাব্দী রায় আবার বলেছেন, “দলের মধ্যে কয়েকজন বেইমান আছেন। বিজেপির জন্য যাঁরা ভোট করেছেন, তাঁদের আগে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা তো দলের জন্য ভোট করি, আগে যা হয়নি এবার থেকে তাই করা হবে। দলে থেকে দলবিরুদ্ধ আচরণ করা যাবে না। বেইমানদের আগে তাড়ানো হতো না, এইবার থেকে তাড়ানো হবে। আমিও বিরোধীদের সম্মান করি। কিন্তু দলের পদ থেকে হিন্দুদের কাছে বলব বিজেপিকে ভোট দাও, আবার মুসলমানদের বলবে কংগ্রেসকে ভোট দাও। আর জয়ী হওয়ার পর বলবে, দিদি আমি আপনার জন্য পুজো দিয়েছি। তাঁদের প্রত্যককে আমি চিনি।”

    আরও পড়ুনঃ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি

    আগেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল

    উল্লেখ্য, খয়রাশোলে (Birbhum) প্রাক্তন ব্লক সভাপতির সঙ্গে অঞ্চল সভাপতিদের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা সবাইকার জানা। একাধিক তৃণমূল নেতারা বিরোধ মেটাতে রাস্তায় নেমেছিলেন। কাজের কাজ শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। তৈরি করা হয়েছিল কোর কিমিটিও। গোষ্ঠী কোন্দলের ঝামেলা মেটেনি বললেই চলে। রাজনীতির একাংশের বক্তব্য এই কোন্দলকে ঢাল করে ২০২১ সালে বিজেপি পদ্ম ফুটিয়ে ছিল দুবরাজপুরে। একই ভাবে শতাব্দীকে লোকসভার প্রচারে, একাধিকবার আবাস যোজনার বাড়ি, কাঁচা রাস্তা, পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে জেলার গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শতাব্দীকে। আবার রামপুরহাট পুরসভার পুরনির্বাচনে ভালো ভোট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি

    Lok Sabha Election 2024: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভার ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা (Lok Sabha Election 2024) দায়ের করতে চলেছে বিজেপি। দলের তরফ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ‘ইলেকশেন-পিটিশন’ দায়ের করা হবে। প্রধান অভিযোগ করা হবে কেশপুর এবং সবং কেন্দ্র নিয়ে। এই দুই বিধানসভায় ব্যাপক ভাবে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করেছে। আদালতে এই নিয়ে তথ্য দিয়ে অভিযোগ করা হবে।

    বিজপির বক্তব্য (Lok Sabha Election 2024)

    রাজ্যের চারটি লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে দলের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীরাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করবেন। একই ভাবে ঘাটালের নির্বাচন নিয়ে আদালতে যাবে দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার-বুধবারে আমরা কোর্টে যাবো। ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিস্পত্তি করতে হবে।” আবার ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলেছেন, “কেশপুরে প্রায় পুরোটাই ছাপ্পা করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই বিধানসভার ভোট বাতিল করতে হবে। সবং এবং এই বিধানসভায় প্রচুর ভোট লুট হয়েছে। সব তথ্য আমরা সংগ্রহ করে রেখেছি। পিটিশন দিয়ে আমরা জানাবো।”

    হিরণের বক্তব্য

    বিজেপি নেতা হিরণ বলেন, “ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন কেশপুরে পাগলু ড্যান্স করেছে তৃণমূল। লুঙ্গি তুলে হাতে বাঁশ নিয়ে সর্বত্র তাণ্ডব চলেছে। এখানে ২৮২টি বুথ, ভোটের দিনে শতাধিক এজেন্ট বুথে বসতে পারেননি। নোটায় ভোট পড়লেও অনেক বুথে বিজেপিতে ভোট পড়েনি। ৩০টির বেশি বুথে ১-৯টি করে ভোট পড়ছে। তাই বিজেপি কোর্টে যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ কাঁচরাপাড়ার বুকে যেন রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া, মৃত মেয়েকে আগলে বাবা!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জেলার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেছেন, “ঘটালে সুষ্ঠভাবে ভোট (Lok Sabha Election 2024) হয়েছে। দেব ১ লাখ ৮২ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। কেশপুরে তিনি ১ লাখ ৩ হাজার এবং সবং বিধানসভায় ৩২ হাজার ৭০০ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন। দুটি বিধানসভা বাদ দিলে তৃণমূল জয়ী হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার হুমকি

    Durgapur: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভোট পরিবর্তী হিংসার ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের (Durgapur) নিউ টাউনশিপ থানায় ভ্যাম্বে কলোনি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম রঞ্জিত অধিকারী। তিনি বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    তৃণমূলের ঝান্ডা ধর, নাহলে এলাকা ছাড় (Durgapur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই পোলিং এজেন্টকে তৃণমূল কার্যালয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে দলীয় দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ, শতদল রায়ের বিরুদ্ধে। সেখানেই তৃণমূল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। পাশাপাশি বিজেপি কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ, শতদল রায় সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের (Durgapur) নিউ টাউনশিপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী রঞ্জিত অধিকারী বলেন,” নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই আমাদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যেত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আমাকে যাওয়ার জন্যও বলা হত। আমি না যাওয়াই বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দলীয় কার্যালয়ে বলা হয়, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরতে হবে, নাহলে এলাকা ছাড়তে হবে। সেখানে মারধরও করা হয়।”

    আরও পড়ুন: শনি সকালেও ঘামছে শহরবাসী, আজ বিকেল থেকে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বর্ধমান-দুর্গাপুর (Durgapur) বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন,”দিকে দিকে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া এবং আক্রান্ত। রঞ্জিতকেও পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” এদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”এইসব বিজেপির নাটক। বাংলা থেকে বিদায় হয়ে গিয়েছে ওরা। তাই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share