Tag: tmc

tmc

  • Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিবাদ হয়েছিল দলেরই তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে। পরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু সেই সভা থেকে তৃণমূল প্রধানের স্বামী, দলের এই কর্মীকে সমাজচ্যুত করার নিদান দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওঁই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী প্রাণ ভয়ে আতঙ্কে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। অভিযোগের কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। ইতিমধ্যে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। দলের নেতাদের দ্বারা মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েছেন যে তৃণমূল কর্মী, তাঁর নাম হাবিবুল রহমান। ঘটনা ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি (Malda) এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিলে (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুলের চাচাতো ভাই কাসিম শেখের পরিবারের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে বিবাদ হয়। প্রথমে সালিশি সভায় হাবিবুলের কাছে ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। একই ভাবে বাড়ির কিছু অংশ জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হাবিবুল নিজের জমি ছাড়েননি। কিন্তু ইতিমধ্যে আবার সালিশি হলে তাঁকে আবার দেড়লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল প্রধানের স্বামী সানাউল আবারও সালিশি ডাকলে হাবিবুল জাননি। এরপর সনাউল এবং গ্রামের মোড়ল ভাদু শেখকে ডেকে হাবিবুলকে সামজিক বয়কট করেন। নিদান দেওয়া হয়, গ্রামে তাঁদের একঘরে করা হয়েছে, কোনও দোকান জিনিস দেবে না। অসুস্থ হলে মিলবে না ওষুধও। বন্ধ মসজিদে যাওয়া, এমনকী পরিবারের একজন মারা গেলে কেউ মাটি পর্যন্ত দিতে আসেনি। অবশেষে হাবিবুল থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। কিন্তু হাবিবুল বর্তমানে ঘরছাড়া।

    হাবিবুলের বক্তব্য

    আক্রান্ত হাবিবুল বলেছেন, “আমি থানায় (Malda) অভিযোগ জানানোর পর হামলা করেছে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। আমার বাড়িতে হামলা হয়, বাড়ি ভাঙচুর হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালায়। পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে কবরটা দিতেও আসেননি কেউ। আমরা ভয়ে গ্রামছাড়া। এখনও মূল অভিযুক্তরা অধরা। তাই ভয়ে গ্রামে ঢুকতে পারছি না।”

    আরও পড়ুনঃশান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    অভিযুক্ত মোড়লের বক্তব্য

    অভিযুক্ত গ্রামের (Malda) মোড়ল ভাদু শেখ বলেছেন, “ওঁরা সমাজের কোনও কথা শোনেনি। ওঁরা কেবল নিজেদের কথাই বলে। আমাদের কথা শোনেন না। পাঁচ বার সালিশি করেছি। সালিশির নিদান পালন করেননি। আট মাস ধরে এই ঘটনা চলছে এলাকায়। হাবিবুলকে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওঁরা ওদের ভুলটাও স্বীকার করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মথুরাপুরে। এই লোকসভার শ্রীধরনগরে শাসক দলের সন্ত্রাসে শম্ভু চরণ প্রধান নামে এক বিজেপি কর্মী পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া। বর্তমানে জয়নগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে আছেন ওই বিজেপি কর্মী। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার, কাকদ্বীপের এসডিপিওকে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের ফল বের হওয়ার পরই ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী শম্ভুচরণবাবু বলেন,”এলাকায় নিজেদের দাপট দেখাতেই তৃণমূলের লোকজন আমাদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। থানায় অভিযোগ জানানোর পর এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কাছে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ওই পরিবার গ্রাম ছেড়েছি।” অভিযোগের তালিকায় নাম আছে গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ওসি চন্দন পণ্ডিত ও সিভিক ভলান্টিয়ার তাপস মাইতির। তারা নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ। সুন্দরবন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, এই ধরনের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। উল্টে লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি কর্মীরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে দেয়নি। এখন ভোটে হেরে গিয়ে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করছে। এসব করে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে কখনও নষ্ট করা যাবে না। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার বিপ্লব নায়েক বলেন, শুধুমাত্র পাথরপ্রতিমা নয়, গোটা মথুরাপুর জুড়েই ভোটের পরে এই ভাবেই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগেও কাকদ্বীপে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে মিথ্যে মামলা দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আইনের শাসন যাদের হাতে, সেই পুলিশ অফিসার এখন তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা বিজেপি কর্মীদেরকে ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলের কথা না শুনলেই মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    Nadia: শান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক ভবন দখল করছে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। এবার এই সরকারি ভবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রশাসনের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) দফতরকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করল বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি। তৃণমূলের তরফ থেকে যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে (Nadia)।

    সুকান্ত ভবন দখল করেছে তৃণমূল (Nadia)

    নদিয়ার শান্তিপুরের (Nadia) বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় “বিডিও অফিসে অবস্থিত সুকান্ত ভবন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে নদিয়া জেলা পরিষদ সেই ভবনটিকে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। যদিও ইলেকট্রিক বিল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু ব্যয়ের অর্থ মেটাতে হয় পঞ্চায়েত সমিতিকেই। কিন্তু শাসক দল নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে সরকারি ভবনকে।” ঘটনায় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সন্দীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “আমার কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।”

    পঞ্চায়েত সমিতির বক্তব্য

    এই ভবন অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার বেলা ১১টা থেকে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দফতর গেটের সামনে ধর্নায় বসেছে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। এই অবস্থান বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অবিলম্বে যদি এই ভবন পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে না ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে লাগাতার এই আন্দোলন চলবে। আমরা হাতে গুনে সাত দিন সময় দিলাম, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ভবন যদি ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে জোরপূর্বক দখল করার রাস্তা বেছে নেবো।” অন্যদিকে আন্দোলন চলাকালীন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও ঘন্টাখানেক ধরে চলে এই অবস্থান বিক্ষোভ।

    আরও পড়ুনঃ দিঘার সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে শুরু অবৈধ হকার উচ্ছেদ, জানাল প্রশাসন

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে এই যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত নদিয়া (Nadia) জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য এবং প্রাক্তন সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু বলেছেন, “সুকান্ত ভবন সংস্কারের জন্য এখনও কাজ চলছে, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ ছিল, এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে ভবনটি সংস্কারের পরে আবার নতুন করে মানুষ পরিষেবা পাবেন। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি যে অভিযোগ করছেন সেটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন, এখানে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই করছে না বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: সমবায়ের হিসেব চাওয়া নিয়ে গোলমাল! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, উত্তপ্ত মেমারি

    TMC Conflict: সমবায়ের হিসেব চাওয়া নিয়ে গোলমাল! প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, উত্তপ্ত মেমারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের (TMC Conflict) কারণে উত্তাল হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের মেমারি। প্রকাশ্যে দলেরই দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহল ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    মেমারির আমাদপুর ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় সমিতিতে বকেয়া লোন, সমবায় ভোট, হার্ভেস্টর ট্রাক্টর-সহ একাধিক বিষয়ে হিসাবের দাবিকে কেন্দ্র করে মিটিং চলছিল রবিবার। সেখানেই মেমারির বিধায়ক মধুসূধন ভট্টাচার্য ও মেমারি-১ ব্লক সভাপতির নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা বাধে। মূলত, সমবায় সমিতির হিসেব চাওয়া নিয়ে গোলমাল (TMC Conflict)। আর তার জেরেই শাসকদলের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে গন্ডগোল থামে। হামলা প্রসঙ্গে ব্লক সভাপতির এক অনুগামী বলেন, “১১৬ নম্বর বুথের সদস্যদের সঙ্গে ঝামেলা। শুধু জিজ্ঞাসা করেছি, কী হয়েছে? তাতেই দলের বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্যের লোকজন আমাদের মারতে শুরু করল। আমরা ব্লক সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। সমবায়ের হিসেব চাইতে গেলে ব্লক সভাপতির অন্য অনুগামীদের ওপর চড়াও হয়।”

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল বিধায়ক (Memari) মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, “যে ঘটনা ঘটুক, সেটা অনভিপ্রেত। কার দোষে কী হয়েছে, পুলিশ দেখছে। তারা ব্যবস্থা নেবে। এই কো-অপারেটিভ সমিতির সঙ্গে আমি ছাত্রাবস্থা থেকে জড়িয়ে। এখানকার সাধারণ সদস্যও আমি। আমিও সেখানে ছিলাম। হঠাৎই উত্তেজনা ছড়ায়। কিছু এদিক ওদিক কথা হয়। আমরা বলি, কাজ করতে গিয়ে কোনও অসুবিধা থাকলে তা দেখার জন্য প্রশাসন আছে। সিআই, অডিটর আছেন। তাঁরা যে পরামর্শ দেবেন সে মতো সমিতি চলবে। আমরা বলি যথাযথ জায়গায় পাঠান। তারা উত্তর চাইলে দেব। ওরা রাজি হয়নি। বরং আজেবাজে কথা বলতে থাকে। আমাদের কর্মীরা কোনও হামলা চালাইনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    Nandigram: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram)। নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। আর তারপরই একটি গন্ডগোলকে ইস্যুকে করে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nandigram)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের (Nandigram) হরিপুরের প্রিয়ানগরী সমবায় সমিতিতে জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা হয়নি। পরে, কলকাতা হাইকোর্টে ২৫ মে ভোট করানোর নির্দেশ দিলেও পুলিশ যথেষ্ট বাহিনী না দিতে পারায় ফের তা পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রবিবার এই সমবায়ে নির্বাচন ছিল। দুপুরে ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ১টি  আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। বিপুল সাফল্যের পর এবার বিজেপি কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে ওই এলাকায় গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে বিজেপির অন্যান্য কর্মীরা পুলিশকে বাধা দেন। পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা বাধে। পরে, ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, লোকসভার পরে নন্দীগ্রামে (Nandigram) সমবায় নির্বাচনেও হার মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপি প্রার্থীদের জয় তাদের সহ্য হচ্ছে না। দলীয় কর্মীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। সেটা তৃণমূলের লোকজন মেনে নিতে না পেরে মিথ্যা বদনাম দিয়ে আমাদের কর্মীদের আনন্দ মাটি করার চেষ্টা করেছে। তাই, পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু, এভাবে  দমানো যাবে না। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ভোটে জয়লাভ করার পরই এলাকায় বিজেপি কর্মীরা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এতে, তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে ধরাশায়ী তৃণমূল, ব্যাপক জয় হাসিল করল বিজেপি

    Nandigram: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে ধরাশায়ী তৃণমূল, ব্যাপক জয় হাসিল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিজয় রথ এসে থমকে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরে। তমলুক, কাঁথি দুই জায়গাতেই দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। উড়েছে গেরুয়া আবির। আর এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে (Nandigram) ফের গেরুয়া ঝড়। তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে সমবায়ের ভোটে বিপুল জয় হাসিল করল বিজেপি।

    ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী বিজেপি (Nandigram)

    রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) হরিপুরে প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের ভোট ছিল। মোট ১২টি আসনে লড়াই। বিজেপি প্যানেলের পক্ষ থেকে ১২টি আসনে প্রার্থী দেয়। অন্যদিকে, তৃণমূল প্যানেলের পক্ষ থেকেও ১২টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়। দুপক্ষই ভোটের আগে প্রচার করেছিল। এদিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। সমবায়ের ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা একটি আসনে জয়ী হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    আবির খেলে উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিজেপি কর্মীরা

    লোকসভা ভোটের পর এদিনের সমবায় ভোটে কী ফল হয়, সেদিকে নজর ছিল জেলার রাজনৈতিক মহলের। নন্দীগ্রামের ১২টি আসনের এই প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে এই প্রথমবার  নির্বাচন হল। আর প্রথম বারেই ব্যাপকভাবে সাফল্য পেলেন গেরুয়া সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, সমবায় সমিতির ভোটগুলিতে কোনও রাজনৈতিক দল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। অর্থাৎ, রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীকে এখানে কোনও ভোট হয় না। তবে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই সমর্থিত প্যানেল থাকে সমবায় ভোটগুলির জন্য। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের মতে, এই সমবায় ভোটগুলি থেকে অনেক ক্ষেত্রেই এলাকায় রাজনীতির হাওয়া কোন দিকে, তার একটি আভাস পাওয়া যায়। এদিন ভোটে সাফল্য পাওয়ার পরই বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বক্তব্য, এবারই প্রথম নির্বাচন হয় এই সমবায় সমিতিতে। তৃণমূল এই সমবায় সমিতি দখল করার জন্য বহু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, ভোটে এবারও তারা ধরাশায়ী হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ব্যাঙ্কে লোন করে দেওয়ার বিনিময়ে গৃহবধূকে দিঘার হোটেলে রাত কাটানোর প্রস্তাব তৃণমূল নেতার!

    Howrah: ব্যাঙ্কে লোন করে দেওয়ার বিনিময়ে গৃহবধূকে দিঘার হোটেলে রাত কাটানোর প্রস্তাব তৃণমূল নেতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামীর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুর্গাপুরে এক গৃহবধূকে তিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাত্রিবাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরে আরও এক কীর্তিমান তৃণমূল নেতার হদিশ মিলল। ওই তৃণমূল নেতা ব্যাঙ্কে লোন করে দেওয়ার বিনিময়ে এক গৃহবধূকে শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Howrah)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগৎবল্লভপুরের (Howrah) পাতিয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য কাজি সাবির আহমেদ এক মহিলাকে ব্যাঙ্ক থেকে ৫ লক্ষ টাকা লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে ৩০,০০০ টাকা প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ। ওই গৃহবধূ বলেন, মাস ছয়েক আগে আমাকে ব্যাঙ্ক থেকে লোন করে দেবেন বলে ওই তৃণমূল নেতা প্রতিশ্রুতি দেন। এর জন্য কয়েক দফায় মোট ৩০০০০ টাকা আমি তাঁকে দিই। তাতেও কোন কাজ হয়নি। এরপর কাজি সাবির আহমেদ আমাকে ফোনে দিঘার হোটেলে রাত কাটানোর প্রস্তাব দেন। তাতে আমি রাজি হইনি। আমার সঙ্গে মোবাইলে রেকর্ডিং কথাবার্তাও প্রকাশ্যে এনেছি। সকলকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। জানা গিয়েছে, রবিবার  জগৎবল্লভপুর থানায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে ওই মহিলা আসেন। ওই তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে যাবতীয় মোবাইল রেকর্ডিং ক্লিপ জমা দেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জগৎবল্লভপুর ব্লকের তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, দলের কাছে অভিযোগ এসেছে। দল গোটা ঘটনার নজর রাখছে। যদি ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয়, দল ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কাজি সাবির আহমেদ বলেন, “এটা সিপিএম আইএসএফের রাজনৈতিক চক্রান্ত। ভোটের আগে ওই পঞ্চায়েত এলাকা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ভালো ভোটে এগিয়ে থাকার কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার গলার আওয়াজকে কম্পিউটারে কারসাজি করে বানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আমি জড়িত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”, তোপ অগ্নিমিত্রার

    Durgapur: “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”, তোপ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শনিবার দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূল সমর্থক এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূলের তিন নেতা। ঘটনায় মর্মাহত হয়ে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আজ রবিবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল মহিলাকে দেখতে গেলে গো ব্যাক স্লোগান দেয় এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এরপর ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল (Durgapur)?

    ঘটনাস্থলে (Durgapur) বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল পৌঁছে ওঁই মহিলার খোঁজ নিতে যান। এরপর সব শুনে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দুর্গাপুরেও কি সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটছে? তৃণমূলের কাছে মহিলাদের কাছে সম্মান নেই। পুলিশকে আমরা জানিয়েছি। শেখ বিল্লি আর সুকুমার নামে দুই জনকে গ্রফতার করা হয়েছে। বাকি আরও দুজনকে পুলিশ খোঁজ করছে। তৃণমূলের রাজত্বে জুয়া, মদের আড্ডা পাড়ায় পাড়ায় গজে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী যতই চেষ্টা করুন বিরোধী শূন্য করতে পারবেন না। তৃণমূলের নেতারা কুপ্রস্তাব দিয়ে দুর্গাপুরকে সন্দেশখালি করে দিয়েছেন। বিজেপি সব সময় পথে আছে। আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোড়াল হবে।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    গত দুদিন আগে দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূলের সমর্থক এক মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, এলাকায় তৃণমূল নেতাদের মদের ঠেক চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন এই মহিলা। এরপর তাঁর স্বামীর ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূলের নেতারা। পুনরায় স্বামীকে আবার কাজে যুক্ত হতে গেলে ওঁই মহিলাকে এলাকার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সহবাস করতে হবে। ঠিক এরকম কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওঁই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা করেছে পুলিশ। যদিও বাকি দুজন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দুর্গাপুরের (Durgapur) এই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য অভিযোগ, “এখানে যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। এখানে রাজনৈতিক ইস্যুকে খাড়া করতে অগ্নিমিত্রা এসেছেন। তাই এলাকাবাসী তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছে।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক ৭ লক্ষ ভোটে জিতলেও ডায়মন্ড হারবারের ৪টি ওয়ার্ডে বাজিমাত বিজেপির!

    Abhishek Banerjee: অভিষেক ৭ লক্ষ ভোটে জিতলেও ডায়মন্ড হারবারের ৪টি ওয়ার্ডে বাজিমাত বিজেপির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) পেয়েছেন ১০ লক্ষের বেশি ভোট। জয়ী হয়েছেন ৭ লক্ষ ভোটের বেশি পেয়ে। কিন্তু তবুও পুরসভা এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ডে পিছিয়ে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল, আবার পাল্টা বাজিমাত করেছে বিজেপি। শুরু হয়েছে তৃণমূলের তরফে বিশ্লেষণ। বিজেপির দাবি, যেখানে যেখানে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে সেখানে সেখানে ছাপ্পা মারতে পারেনি রাজ্যের শাসক দল।

    কোন কোন ওয়ার্ডে পিছিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    ফল প্রকাশের পর জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ২, ৬, ৯ এবং ১১ এই চারটি ওয়ার্ডে শাসকদলের থেকে বেশি ভোটে পেয়েছে। এই পুরসভার মোট ১৬টি ওয়ার্ড। এই চার ওয়ার্ড বাদে বাকি ১২টি ওয়ার্ডে অবশ্য এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। গতবার ২০১৯ সালেও বেশ কয়েকটি পুর এলাকায় পিছিয়ে ছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। কিন্তু সেই সময়ে তিনি তাঁর অনুগামীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই বারের নির্বাচনের পরও বেশ কিছু পুর এলাকায় পিছিয়ে রয়েছেন। সূত্রের খবর এই নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন এই তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শামিম আহমেদ বলেছেন, “ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করার কাজ চলছে। যে ওয়ার্ডগুলোতে আমাদের প্রার্থী (Abhishek Banerjee) পিছিয়ে রয়েছেন, তার কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। কেন সেখানকার মানুষ আমাদের ভোট দেননি, সেটাও দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখে অবশ্যই আমরা তাঁদের কাছে খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    আবার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে ছাপ্পা ও রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন আগেই। তিনি বলেন, “ওই চারটে ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ওয়ার্ডগুলোতে ভোট করতে দেয়নি তৃণমূলের গুন্ডারা। ২ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলর ছিলেন। আর এই চারটে ওয়ার্ডে ছাপ্পা মারতে পারেনি গুন্ডারা। আমাদের কমপক্ষে ১২টা ওয়ার্ডে লিড পাওয়ার কথা।”

    আরও পড়ুনঃ অয়নের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য, বাঁকুড়া থেকে আমেরিকায় পাড়ি

    কলকাতায় ৪২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি

    ২০১৪ সাল থেকে টানা তিনবারের জন্য সাংসদ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ২০১৯ সালে তিনি ৩ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এইবার ২০২৪ সালের ৪ জুন ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, মোট ভোট পেয়েছেন ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০টি ভোট। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। অভিষেকের জয়ের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০ ভোট। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি ৪২ ওয়ার্ডে এগিয়ে। অপর দিকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, “গ্রাম বাংলায় যত ভোট পেয়েছে, শহরে তত ভোট পায়নি তৃণমূল। শহরের ভোট সুইং করে।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে জেতার জন্য বালুরঘাটবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তৃণমূলকে চোর ও কাটমানির দল বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানকে চোর বলে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    পুর চেয়ারম্যানকে তোপ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান নিজেকে নবাব মনে করেন। তিনি বালুরঘাটবাসীকে ঘোলা জল খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি তো চোর। এই চোরেদের নিজেদের সিংহাসন ছেড়ে দেওয়া উচিত। এক সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া বিলের টাকা দেবার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ খেয়েছেন। এটা আমরা বলছি না, বলছেন সেই ঠিকাদার সংস্থার মালিক। নিজেরা নিজেদেরকে চোর প্রমাণিত করছে, আর ভোটেও এই ভাবে চুরি করার চেষ্টা করেছিল। এই পুরসভার  চেয়ারম্যান বালুরঘাটবাসীকে যে নোংরা, ঘোলা জল খাইয়েছে আমরাও সেই জল চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যানকে খাওয়াবো। ঠিকাদারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়া প্রসঙ্গে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ওই ঠিকাদার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইন অনুযায়ী নোটিস পাঠিয়েছি।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে স্কুল চলাকালীন পড়ুয়ার ব্যাগে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র, আতঙ্ক

    তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন

    এইদিকে দুর্গাপুরে স্বামীর চাকরি ফিরে পেতে তৃণমূল নেতাদের কুপ্রস্তাব প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা এমন না করে তাহলে তৃণমূল নেতা কি করে হল। তৃণমূল নেতারা চরিত্রহীন হবে, লম্পট হবে, চোর হবে এইটা তো তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করার বৈশিষ্ট্য। কুণাল ঘোষ এক বৈঠকে তোলাবাজি নিয়ে কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,তৃণমূল তো তোলাবাজি করবেই। তৃণমূলের এক একজনের কাউন্সিলরদের সম্পত্তি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। আমাদের এই ছোট শহরের বাসিন্দাদের যত  সম্পত্তি আছে, তত সম্পত্তি যোগ করলে কলকাতার এক একজন কাউন্সিলরদের সম্পত্তি আছে। রেজিনগর স্কুলে পিস্তল নিয়ে দাপিয়ে বেরাচ্ছে দুই ছাত্র। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,গোটা রাজ্য তো এখন আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর কুটির শিল্প হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share