Tag: tmc

tmc

  • Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    Murshidabad: তাড়া করছে আতঙ্ক! ভয়ে নিহতদের শ্রাদ্ধে অরাজি নাপিত-ব্রাহ্মণ, মমতাকে তুলোধনা করে ক্ষতিপূরণে না পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শৈষ চৈত্রতেই শুরু হয় তাণ্ডব। নববর্ষের মাত্র ৪ দিন আগেই। লুট, হত্যা, ভাঙচুর চলতে থাকে। তছনছ হয়ে যায় বাড়ি-দোকান। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ওয়াকফ ইস্যুতে প্রতিবাদের নামে গুণ্ডামি, তাণ্ডব, হিংসা দেখল গোটা দেশ। এমন নৈরাজ্য অনেক প্রশ্নই তুলল। নববর্ষেও থমথমে মুর্শিদাবাদ। খুশি নেই ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের মনে। নতুন বছরেও তাঁদের মনে ঘিরে ধরেছে একরাশ ভয় ও হতাশা। ওয়াকফ বিক্ষোভের মাঝেই গত ১২ এপ্রিল সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে খুন হন বাবা-ছেলে। হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুন করে মৌলবাদীরা। পরিবার তো বটেই, এমন বিভীষিকা কোনওভাবেই ভুলতে পারছেন না স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। ঘরে ঢুকে আচমকাই কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বাবা-ছেলেকে। হরগোবিন্দর বয়স ছিল ৭০ বছর, চন্দনের বয়স ছিল ৪০। ভয়ের পরিবেশে পিতা-পুত্রের শ্রাদ্ধের দিনেও জুটল না কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণ। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির ভরসা সেই বিএসএফ। বিএসএফের বিরুদ্ধে মমতা যতই অভিযোগ, যাই দাবি করুক না কেন, মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়া হিন্দুরা কিন্তু বিএসএফকেই ত্রাতার চোখে দেখছেন। তাঁরা বিলক্ষণ জানেন, বিএসএফ আছে বলেই তাঁরা প্রাণে বেঁচে রয়েছেন। তাই, বিএসএফ চলে গেলে, তাঁদের ওপর কী ত্রাস নেমে আসবে, তা ভেবেই আতঙ্কিত সকলে।

    তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন, আসতে চাননি কেউই

    প্রসঙ্গত, বুধবারই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে নিহত বাবা এবং ছেলের আদ্যশ্রাদ্ধ ছিল। অভিযোগ, পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য কোনও নাপিত বা ব্রাহ্মণকে পায়নি তাঁদের পরিবার। এরফলে নিজেদের মতো করেই কোনও রকমে কাজ সেরেছে নিহতের পরিবার। নিহতের পরিবারের দাবি, ভয়ে তাঁদের বাড়িতে কেউ আসতে চাইছেন না। তবে এগিয়ে আসেন কীর্তনের দলের সদস্যরা। কীর্তনের মধ্যে দিয়েই শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করেন পরিবারের সদস্যরা। তাই কেউ এগিয়ে আসেনি। নিহতদের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের এলাকায় তিন জন নাপিত এবং দু’জন ব্রাহ্মণ রয়েছেন। শ্রাদ্ধের কাজের জন্য তাঁদের কাছেও গিয়েছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসতে হয়েছে খালি হাতেই। ক্ষৌরকারদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংক্রান্ত কাজের জন্য যে জিনিসপত্র লাগে, তা তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। তাই পারলৌকিক কাজ করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে, দুই ব্রাহ্মণই জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে এবং বর্তমানে মামলা চলছে। তাই তাঁরা এই সংক্রান্ত কাজ করতে পারবেন না।

    ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে

    জেলার হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে পুড়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি। হিংসার আগুন শেষ করে দিয়েছে রুজিরুটিও। দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পুড়ে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন হিন্দুরা (Murshidabad)। ফের যেন দেশভাগের ছবি ফিরে এসেছে। ভিটে মাটি হারিয়ে ভয়ে কেউ গিয়েছেন ঝাড়খণ্ড, কেউ আবার বীরভূমে। বেশিরভাগ জন প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে মালদায়। তবে এখানেই শেষ নয়, উদ্বাস্তু হওয়া হিন্দু পরিবারগুলি বলছে, প্রাণভয়ে পালানোর সময়ও উগ্রপন্থীরা ট্রাকের পিছনে ধাওয়া করেছে। আতঙ্কে আবার অনেকেই মুখ খুলতেই চাইছেন না। প্রসঙ্গত, অশান্তি শুরু হয় গত শুক্রবার ১১ এপ্রিল। জুম্মা নমাজের দিনই অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। নমাজ শেষেই বেরিয়েছিল বিরাট মিছিল।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি দিচ্ছে মৌলবাদীরা

    কিন্তু পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে কীসের ভয়? মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গ্রাউন্ড জিরোতে গিয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশে তাঁদের আস্থা আগেই চলে গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা আছে বলে জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আরও বড় হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের দাবি। বাহিনী চলে গেলে কে বাঁচাবে?- এমনই হুমকি মৌলবাদীরা দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করছেন। একজোট হয়ে বসে তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন, গ্রামে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই। নাহলে অবস্থা আরও খারাপ হবে হিন্দুদের। যদিও, এলাকার বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কিত নিরাপত্তা নিয়ে। তাঁদের দাবি, প্রশাসন খাবার দিচ্ছে, ত্রিপল দিচ্ছে। নিরাপত্তার করতে হবে। এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে আবার আমরা গ্রাম ছাড়া হব। রাতে আমাদের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার (Murshidabad) ব্যবস্থা করতে হবে। এই ঘটনা বারবার করে ঘটতে থাকবে। আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে, আমরা বাঁচবো কিভাবে?’’

    নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা? ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ সামনে এসেছে। কোথাও নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে স্বামী-সন্তানের প্রাণ টিকিয়ে রাখা হয়েছে, কোথাও আবার প্রকাশ্যেই দেওয়া হচ্ছে ধর্ষণ-খুনের হুমকি। একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, সারি সারি দোকানের রয়েছে তবে তারই মাঝে বেছে বেছে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দু মালিকদের দোকান। ঘরের মজুত চাল থেকে শুরু করে নগদ টাকা, গয়না এ সব কিছুই লুটে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রতিবাদের অছিলায় হামলার সেই বিভীষিকার দৃশ্য কিছুতেই কোনওভাবই ভুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। যারা পালিয়ে বেঁচেছেন, তাঁরা কবে ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তরও নেই কারও কাছে।

    ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখান, বাবা-ভাইকে ফিরিয়ে দেবে মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন নিহতেদর দিদির

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। তবে নিহত হরগোবিন্দ এবং চন্দনের পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণ নিতে চান না কোনওভাবেই। দোষীদের কঠোর শাস্তি চান তাঁরা। নিহত চন্দন দাসের দিদি বলেন, ‘‘আমার ভাই, আমার বাবাকে কেটে খুন করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফিরিয়ে দেবে?’’ নিহত চন্দন দাসের স্ত্রীও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সাহায্য নেব না। যে মেরেছে তার শাস্তি চাই।’’

    সময়মতো পুলিশ এলে বাঁচানো যেত বাবা-ভাইকে, আক্ষেপ নিহতের দিদির

    এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রসঙ্গে হরগোবিন্দ দাসের মেয়ে বলেন, ‘‘আমরা ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ (Murshidabad Violence) চাই না। যে চলে গিয়েছে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না এই সরকার।’’ এর পাশাপাশি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়ির লোক। পুলিশ সেদিন সময়মতো এলে বাবা ও ভাইকে হারাতে হত না বলে দাবি হরগোবিন্দর মেয়ের। গ্রামের একাধিক বাড়ি-ঘরও ধ্বংস হত না বলেও জানিয়েছেন চন্দনের দিদি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফোন করেছি। পুলিশ এগিয়ে আসেনি। পুলিশের অসহযোগিতার কারণে চোখের সামনে আমাদের পরিবারের দুজনকে চলে যেতে হল। বাবাকে ও ভাইকে হারিয়েছি। গ্রামে একাধিক বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভাঙচুর করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পুলিশ আসেনি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী নিয়ে পুলিশ যখন আসে ততক্ষণে সব শেষ। আর আজকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা এই ক্ষতিপূরণ চাই না।’’

  • Sukanta Majumdar: ‘‘দম থাকলে প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে’’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘দম থাকলে প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে’’, মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বুধবার বিকালে মুর্শিদাবাদ হিংসার ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ভবানী ভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দেখা করেন রাজ্যে পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে। সুকান্তর সঙ্গে ছিলেন আরও তিন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায় ও অর্জুন সিং। প্রথমে ভবানী ভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলে সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরে তাঁদের দেখা করা অনুমতি দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু পেলাম না। আমরা একাধিক দিক তুলে ধরেছি। পুলিশ দুস্থদের খাওয়াতে পারছে না, এদিকে আমরা যখন ত্রাণ দিতে যাচ্ছি আমাদের আটকে দিচ্ছে।’’ একইসঙ্গে মমতাতে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সুকান্ত জানান, দম থাকলে উনি প্রমাণ করুন অশান্তি বিজেপি করিয়েছে।

    ভবানী ভবনের সামনে থেকে তোপ মমতাকে

    ভবানী ভবনের সামনে থেকেই এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি করেছে বলছেন উনি। আমার ফোন, আমাদের বিজেপি নেতাদের ফোন দিয়ে দিচ্ছি আমরা। দেখাক প্রমাণ করে যে আমরা করেছি। চ্যালেঞ্জ করছি আমরা, চ্যালেঞ্জ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি দম থাকে, প্রমাণ করে দেখাক যে সুকান্ত মজুমদার বা বিজেপির অন্য কোনও নেতা এই অশান্তি করিয়েছে। প্রমাণ করে দেখাক।’’

    ব্যর্থতার দায় কে নেবে প্রশ্ন তুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘আমাদের তোলা সমস্ত অভিযোগগুলিই উনি শুনেছেন ও নোট করেছেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশের প্রধান হয়েও উনি এই ঘরছাড়াদের এমন কিছু বললেন না যাতে এনারা আশ্বস্ত হয়। ডিজি শুধু বললেন, আমরা আইন মেনে কাজ করব।’’ পুলিশের ভূমিকা টেনে সুকান্ত মজুমদার (Murshidabad Violence) বলেন, ‘‘আমরা যে যে প্রশ্ন করেছি, তার উত্তর পাইনি। বিএসএফ পুলিশ পাশাপাশি রাখলে, পুলিশ সব থেকে বেশি দাঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম, ওরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এদিকে আক্রান্তরা বলছে, বিএসএফ বেশি ভালো কাজ করেছে। এদিকে ডিজি আমাদের জানিয়েছেন, পুলিশ নাকি পর্যাপ্ত ছিল না। অর্থাৎ গোয়েন্দা বিভাগ তাদের আগাম কোনও খবরই দেননি। এটার মানে একটাই, তারা ব্যর্থ। কিন্তু এই ব্যর্থতার দায়টা নেবে কে?’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘চোখের জলে শপথ নিন হিন্দু বিরোধী সরকারকে ফেলবেন’’, শহিদ দিবসে বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘চোখের জলে শপথ নিন হিন্দু বিরোধী সরকারকে ফেলবেন’’, শহিদ দিবসে বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদ জেলায় তাণ্ডব। ব্যাপক হিংসার ঘটনায় মমতা সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সরব হয়েছে দেশের একাধিক মহল। জেলার হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তাঁদেরই শ্রদ্ধা জানাতে পূর্ব ঘোষণা মতো আজ বুধবার বিজেপির তরফে পালন করা হল হিন্দু শহিদ দিবস (Hindu Martyrs Day)। দলীয়ভাবে রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে এই কর্মসূচি। একইভাবে বিধানসভার বাইরেও এই কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেল বিজেপি বিধায়কদলকে। উপস্থিত ছিলেন শঙ্কর ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ অন্যান্য বিজেপির বিধায়করা। এরপরই বিরোধী দলনেতা রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন, ‘‘চোখের জল ফেলুন। চোখের জলে শপথ নিন হিন্দু বিরোধী সরকারকে ফেলবেন, খুনীদের জেলে পুড়বেন। রাজ্যজুড়ে হিন্দুরা বাঁচার লড়াই করছে। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। মমতা খুনী।’’

    হাতে কালো পতাকা নিয়ে বিজেপি বিধায়করা সামিল হন বিক্ষোভে

    এদিন হাতে কালো পতাকা নিয়ে গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানান বিজেপির বিধায়করা। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে এদিন সুর চড়ান গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। ওঠে ‘হায় হায়’ স্লোগান। একইসঙ্গে, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় নিহত পিতা-পুত্র হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের মৃত্যুতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, ওয়াকফের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। এরপরেই সামনে আসে সামশেরগঞ্জে পিতা-পুত্রকে খুন করার ঘটনা। এই আবহে বিজেপি জানিয়ে দেয়, ১৬ এপ্রিল রাজ্যজুড়ে পালিত হবে শহিদ দিবস।

    বিজেপি বিধায়করা স্লোগান তোলেন খুনীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা হায় হায়

    এদিন বুধবার বিধানসভার বাইরে প্রথমে একটি কৃত্রিম বেদী বানানো হয়। সেখানেই হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিরোধী দলনেতা। তারপরই নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, এই মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মিথ্যাবাদী মমতা। আপনার ফরাক্কার এমএলের দাদা, কিষানগঞ্জের এমএলএ, আপনার ধুলিয়ানের চেয়ারম্যান, এরাই খুনের নায়ক।’’ গোটা বিধানসভা চত্বর এদিন সরগরম হয়ে ওঠে বিজেপির শহিদ দিবসকে (Hindu Martyrs Day) ঘিরে। বিজেপি বিধায়করা ঘন ঘন স্লোগান তুলতে থাকেন, ‘‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও, বাংলার হিন্দু এক হও, চোর মমতা হায় হায়, খুনীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা হায় হায়, খুনী মমতা বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসাথে, পুলিশ মন্ত্রী হায় হায়।’’

    ২০২১ সালের পরে যেখানেই হিন্দু আক্রান্ত, সেখানেই পৌঁছেছেন তাঁরা, দাবি শুভেন্দুর

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাংবাদিকদের সামনে হিন্দু নিরাপত্তা ও হিন্দুদের হিন্দুদের স্বার্থরক্ষার উদ্দেশে বার্তা দেন।তিনি জানান, ২০২১ থেকে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে হিন্দুরা আক্রান্ত হলে তাঁরা যাননি। এরপরেই তিনি ঘোষণা করেন মুর্শিদাবাদেও যাবেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর আরও দাবি, জেলা পুলিশকে তিনবার মেইল করেছেন তিনি, কিন্তু কোনও উত্তর পাননি তাই কোর্টে যেতে হয়েছে তাঁকে। যেদিন অনুমতি পাবেন সেদিন তিনি মুর্শিদাবাদ যাবেন বলে জানান তিনি। বিধানসভার বাইরে এদিন ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ স্লোগানও শোনা যায়। মুর্শিদাবাদ হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসের ছবি দেওয়া পোস্টার হাতেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। হিন্দু শহিদ দিবস লেখা পোস্টার হাতে নিয়ে মুর্শিদাবাদ হিংসার জন্য মমতা সরকারকেই দায়ী করেন বিরোধী দলনেতা।

    টাকা দিয়ে ইট ছুড়িয়েছে বিএসএফ, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাল্টা শুভেন্দু

    অন্যদিকে, এদিনই আবার বিধানসভায় বিজেপির বিক্ষোভের সময় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমামদের নিয়ে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে মৌলবাদীরা তাণ্ডব চালালেও ওয়াকফ অশান্তির জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি মুর্শিদাবাদে শান্তি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে, এদিন তাদেরও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে বিএসএফ। মমতার এমন মন্তব্যে ছড়িয়েছে বিতর্ক। মমতার এমন মন্তব্যে পাল্টা এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সাফ কথা, এনআইএ তদন্ত হলেই আসল রহস্য সামনে চলে আসবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই জন্যই তো এনআইএ চাই। প্রমাণ হয়ে যাবে কে করেছে। ধুলিয়ানের চেয়ারম্যান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক, ফারাক্কার বিধায়কের দাদা, এরা কী করেছে আমরা ভিডিও দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছি।’’

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদীদের তাণ্ডবের চেয়ে এদিন বিএসএফ-কেই বেশি আক্রমণ করেন মমতা। বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে তদন্ত হবে বলেও জানান তিনি। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে তুলোধনা করেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বিএসএফ দেশের গর্ব। তারা সীমান্তে প্রাণ বাজি রেখে কাজ করে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী বারবার বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এটা শুধু অপমান নয়, দেশের নিরাপত্তাকে দুর্বল করার চক্রান্ত। রাজ্য পুলিশ যেখানে ব্যর্থ, সেখানে বিএসএফ সামনে থেকে মানুষকে নিরাপত্তা দিয়েছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লাগাতার আক্রমণ করছেন। ১১ এপ্রিল শমসেরগঞ্জ ও ফারাক্কার হিংসাত্মক পরিস্থিতিতে যখন রাজ্য পুলিশ কার্যত ব্যর্থ, তখন বিএসএফই সাধারণ মানুষকে রক্ষা করেছে।’’

  • BJP: ‘‘বদলে যাচ্ছে সীমান্তের জেলাগুলির জনবিন্যাস, ছেচল্লিশের দিন ফিরিয়ে আনছেন মমতা’’, তোপ শমীকের

    BJP: ‘‘বদলে যাচ্ছে সীমান্তের জেলাগুলির জনবিন্যাস, ছেচল্লিশের দিন ফিরিয়ে আনছেন মমতা’’, তোপ শমীকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। এনিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বিজেপি (BJP) নেতার মতে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জনবিন্যাসই বদলে যাচ্ছে। এক সময় যারা ভারত ‘নাপাক’ বলে থাকতে চায়নি এদেশে, তাদেরকেই ফের টেনে আনছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এভাবেই অভ্যর্থনা জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এভাবেই তাদের রাজ্যে টেনে আনছে শাসক দল।’’

    ১৯৪৬ সালের দিন ফিরিয়ে আনছে মমতা সরকার, তোপ শমীকের

    প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে শমীক ভট্টাচার্যের (BJP) মত, সীমান্তের জেলাগুলিতে যে ধরনে অশান্তি হচ্ছে, তাতে ১৯৪৬ সালে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর প্রতিফলন ধরা পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সেই সময়ে (১৯৪৬) রাজ্যকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’’ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শমীক ভট্টাচার্য (BJP) বলেন, ‘‘সীমান্ত অঞ্চলের জনবিন্যাস সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা বর্তমানে কোথায় বাস করছি? এই জায়গা এক সময় রক্তাক্ত হয়েছিল গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সেই অবস্থাকে ফের ফিরিয়ে আনছে।’’

    মুর্শিদাবাদের হিন্দুদের ভিটেমাটি ছাড়ার ছবি সামনে এসেছে

    প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের হিংসা ব্যাপক আকার ধারণ করে। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে নামে তাণ্ডব দেখা যায় জেলাজুড়ে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন (Samik Bhattacharya)। সেখানকার স্থানীয় হিন্দুদেরকে নিজেদের ভিটেমাটিও ছাড়তে হয়েছে। তা ধরা পড়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সৌজন্যে। শুধু তাই নয়, বাড়ির ট্যাঙ্কের জলে বিষ মেশানোর অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে (মাধ্যম সত্যতা যাচাই করেনি) এমনই কথা বলতে শোনা যাচ্ছে এক মধ্যবয়সি হিন্দু মহিলাকে। তিনি বলছেন, ‘‘মৌলবাদীরা জলের ট্যাঙ্কগুলিতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। আমরা সেই জল খেতে পারিনি। কারণ তা বিষ মিশ্রিত ছিল।’’ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তরফ থেকে যে ভিডিওগুলি দেখানো হচ্ছে সেখানে দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহিলারা মুর্শিদাবাদ থেকে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে আসছেন। এমনকি মাত্র ছয় দিনের বাচ্চাকে নিয়েও পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন হিন্দুরা। এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই কারণ তারা ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছে।

  • Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    Murshidabad Violence: জ্বলছে মুর্শিদাবাদ, চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি খুঁজছেন ইউসূফ! বিজেপির নিশানায় তৃণমূল সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন নিরো! আর হিংসার আগুনে যখন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) পুড়ছে, তখন চা পানে ব্যস্ত মুর্শিদাবাদেরই বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তৃণমূলের ইউসূফ পাঠান। যা নিয়ে বিতর্কের ঝড় বাংলার রাজনীতিতে (BJP)।

    জ্বলছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াকফ সংশোধিত আইন বাতিলের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে জ্বলছে মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশ। খুন হয়েছেন তিনজন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টহল দিচ্ছে বিএসএফও। এমতাবস্থায় রবিবার বহরমপুরের সাংসদ ইউসূফ পাঠানের ইনস্টাগ্রামে দেখা যায়, তিনি মনের সুখে চা পানে ব্যস্ত। পোস্টে লিখেছেন, “আরামদায়ক বিকেলে চায়ে চুমুক, শান্তি। এই মুহূর্তে ডুবে আছি।”

    পদ্মের নিশানায় তৃণমূল

    একজন সাংসদের এহেন পোস্টে যারপরনাই চটেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে ভোটব্যাংকের অঙ্কে ইউসূফকে জিতিয়ে দিয়েছেন। তবে জেতার পর প্রাক্তন এই ক্রিকেটার নিজের সাংসদের দায়িত্ব ভুলে মজা করছেন।” যদিও হিংসা কবলিত এলাকার সিংহভাগ অংশই ইউসূফের নির্বাচনী ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে সেই জায়গাগুলো তাঁর কেন্দ্র লাগোয়া। তার জেরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও থেকে ইউসূফ পাঠান নামে একজন ক্রিকেটারকে তুলে এনে টিকিট দিয়েছিলেন। তাঁর ভোটব্যাংক ইউসূফকে বহরমপুরে (Murshidabad Violence) জয়ী করেছিল। আজ যখন বাংলা জ্বলছে, হিন্দুদের বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে, ইউসূফ পাঠান চা খেয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন…এটাই তৃণমূলের অগ্রাধিকার…দাস পরিবারকে হত্যা করা হল, বাংলা জ্বলছে আর পাঠান সাহেব চা পান করবেন এবং আনন্দ উপভোগ করবেন।”

    এর আগে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শেহজাদ পুনাওয়ালা লিখেছিলেন, “বাংলা জ্বলছে। হাইকোর্ট বলেছে যে তারা চোখ বন্ধ করে থাকতে পারছেন না এবং তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে। পুলিশ নীরব থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারিভাবে হিংসাকে উৎসাহিত করছেন! আর ইতিমধ্যে ইউসূফ পাঠান – এমপি চায়ে চুমুক দিচ্ছেন এবং হিন্দুদের হত্যার মুহূর্তটি উপভোগ করছেন…এটাই টিএমসি।”

    রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইউসূফ পাঠান একজন ক্রিকেটার। কোনও রাজনীতিক নন। তাঁকে বহরমপুরে তৃণমূল কেন টিকিট দিয়েছিল শুধু তাঁর ধর্মীয় পরিচয়টাকে ব্যবহার করার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ইউসূফের সঙ্গে রাজনীতির বা মুর্শিদাবাদ জেলার সাধারণ মানুষের জীবনের তাপ-উত্তাপের কোনও সম্পর্কই নেই। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট হাওয়া ছবি থেকেই সেটা পরিষ্কার।” তিনি বলেন, “তৃণমূল শুধু মুসলমান ভোটব্যাংক সংহত রাখতে রাজনীতি করে। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য রাজনীতি করে না (BJP)। তারই প্রমাণ হচ্ছে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদের এই ছবি (Murshidabad Violence)।”

  • Supreme Court: ত্রিপুরায় চাকরির প্যানেল বাতিলের মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের, বাংলায়ও কি পালাবদল আসন্ন?

    Supreme Court: ত্রিপুরায় চাকরির প্যানেল বাতিলের মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের, বাংলায়ও কি পালাবদল আসন্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন ১০ হাজার ৩২৩ জন। তার জেরে কুর্সি খোয়াতে হয়েছিল ত্রিপুরার (Tripura) বাম সরকারকে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। কেলেঙ্কারি হয়েছিল তাঁর আমলেই, দু’দফায়। তারই মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের। পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যায় বামেরা।

    দুর্নীতির পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে তৃণমূল! (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গেও সেই দুর্নীতির গন্ধ। যে পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। গরু পাচার, বালি পাচার, এসএসসিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারি – একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের কেষ্ট-বিষ্টুদের। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘ঢাকি সমেত’ বিসর্জন হয়ে গিয়েছে ২৬ হাজার চাকরি। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গদি খোয়ানোর আশঙ্কায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে দেশের শীর্ষ আদালতকে যা-নয়-তা-ই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কয়েকজন তাঁবেদারও আস্থা হারিয়েছেন দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কেলেঙ্কারির জেরে গদিচ্যুত হতে হয়েছিল ত্রিপুরার বাম সরকারকে, সেই একই ‘পাপে’ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা হারাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। আর যদি তা হয় তাহলে দেশের আর কোথাওই অস্তিস্ত্ব থাকবে না তৃণমূলের।

    ত্রিপুরায় পালাবদল

    ‘শিবের গীত’ বন্ধ করে ফেরা যাক খবরে। ত্রিপুরায় তখন বাম শাসন। রাজ্যের যে দিকেই চোখ যায়, সর্বত্রই লালে লাল। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে সিপিএমের মানিক সরকার। ২০১০ ও ২০১৩ সালে দু’দফায় স্কুল শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক পদে ১০ হাজার ৩২৩ জনকে নিয়োগ করেছিল মানিকের সরকার। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ওই নিয়োগ নিয়ে মামলা হয় ত্রিপুরা হাইকোর্টে। গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে (Tripura) সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ত্রিপুরার বাম সরকার। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে হাইকোর্টের রায়ই। তার পরের বছরই ছিল ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটেই কার্যত ত্রিপুরা থেকে মুছে যায় বামেরা। লাল রং বদলে ত্রিপুরা হয়ে যায় পদ্মময়। সরকার গঠন করে বিজেপি।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি

    প্রসঙ্গত, ২০১০-’১৩ সালের মধ্যে কেবল মৌখিক (Supreme Court) পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ করেছিল ত্রিপুরার তৎকালীন বাম সরকার। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কয়েকজন প্রার্থী হাইকোর্টে যান। রায় দিতে গিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি স্বপন দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ সামগ্রিক নিয়োগ পদ্ধতিকেই অবৈধ ঘোষণা করে নতুন ও স্বচ্ছ পদ্ধতি তৈরি করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল, নিয়োগ করতে হবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে।

    তৃণমূলের লাফালাফি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের সেই রায়ের পর লাফালাফি করতে শুরু করে দেয় তৃণমূল। সর্বভারতীয় দল হওয়ার লক্ষ্যে তখন ত্রিপুরায় পায়ের নীচে মাটি খুঁজে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। সেরকম একটা সময়ে চাকরি বাতিলের মতো একটা হাতিয়ার হাতে পেয়ে যারপরনাই উল্লিসিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের তৎকালীন (Tripura) চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। রাজ্যে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ নীতি আদতে শাসক দলের দুর্নীতিকে এতদিন ধরে প্রশ্রয় দিয়েছে। আজ আদালতে সেটাই প্রমাণিত হল।”

    বাংলায় মুখ আমশি!

    ত্রিপুরায় একলপ্তে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলে হওয়ার পর তৃণমূল যেমন উল্লসিত হয়েছিল, তেমনি বাংলায় ২৬ হাজারের চাকরি যেতে মুখ আমশি হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের! ত্রিপুরার ক্ষেত্রে তারা বলেছিল, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আর বাংলায় তারা বিজেপি এবং আলাদতের ‘ষড়যন্ত্রের’ (ষড়যন্ত্র শব্দটি অবশ্য উল্লেখ করেননি তৃণমূল নেতারা, তবে তাঁদের আকার-ইঙ্গিতে তেমনই অনুযোগের জল্পনা) গন্ধ পাচ্ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী চাকরি হারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করেছিলেন। সেখানে ‘আমরা যোগ্য’ লেখা কার্ড ঝুলিয়ে অনেককে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সেই সভায় তিনি এবং তাঁর স্তাবকদের দল কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করেন এবং আদালতের নির্দেশের সমালোচনা করেন বলে অভিযোগ।

    কাজ করতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধিতা!

    উত্তর-পূর্বের (Supreme Court) পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁদের রাজ্যে বাম সরকার পতনে যেভাবে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিল ১০ হাজার ৩২৩ জনের চাকরি বাতিল, সেই একই ঘটনা ঘটবে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গেও। ত্রিপুরা বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “বাংলা আর ত্রিপুরার মাটি আলাদা।” তবে একটা মৌলিক মিল রয়েছে। তা হল, দুই রাজ্যেই দীর্ঘ বামশাসনের পরে মানুষ সরকার বদলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল যেভাবে দুর্নীতি করেছে, তাতে মানুষের ক্ষোভ হিমালয়সমান জায়গায় পৌঁছেছে। চাকরি বাতিল-সহ যা যা হচ্ছে, তাতে সামনের ভোটে তাদের বিদায় আসন্ন।”

    কী বলছেন ত্রিপুরার বাম নেতা?

    ত্রিপুরার (Tripura) বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহা আবার ত্রিপুরার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিষয়টিকে এক করে দেখতে চাননি। তিনি বলেন, “ত্রিপুরা আর বাংলার বিষয়ের মধ্যে ফারাক রয়েছে। আমাদের রাজ্যে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হয়েছিল। কিন্তু বাংলায় টাকা-পয়সার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে। দুটো বিষয় এক নয়।” ত্রিপুরা সিপিএমের প্রবীণ নেতাদের একাংশের দাবি, শুধু চাকরি বাতিলের জন্য বাম সরকারের পতন হয়নি। দীর্ঘদিন সরকারে থাকার ফলে কাজ করেছিল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাও। বছর ঘুরলেই বাংলায়ও বিধানসভা নির্বাচন। তখন মমতা সরকারের ১৫ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে। তাই নিদারুণ উদ্বেগে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে নবান্নে তলব করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। শিক্ষামন্ত্রী এবং সরকারি আমলাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন, এই মামলায় তো তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) জেলে রেখে দেওয়া হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেল! একজনের অপরাধে কতজনের শাস্তি হয়?

    বলির পাঁঠা করা হল পার্থকে!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল সুপ্রিমোর এহেন বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বলির পাঁঠা করা হল পার্থকে? তাঁর দলের যেসব নেতা কিংবা তাঁদের (Supreme Court) নিয়োজিত এজেন্টরা টাকার বিনিময়ে চাকরি ‘বিক্রি’ করেছিলেন, পার্থকে বলি দিয়ে তাঁদের গায়ের কেলেঙ্কারির কালি মুছে ফেলতে চেয়েছেন মমতা! রাজনৈতিক মহলের অন্য অংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার নানা চেষ্টা করবে তৃণমূল সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতো হয়তো ‘সিভিক শিক্ষক’ও নিয়োগ করে ফেলতে পারে মমতার সরকার! কিংবা ‘শ্রী’যুক্ত কোনও ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারে রাজ্য সরকার। মোট কথা, যেন-তেন প্রকারে ফের ক্ষমতায় ফিরতে চাইবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একবার ক্ষমতায় আসার পর যে ‘রসে’র সন্ধান পেয়েছেন তৃণমূল নেতারা, সেই রসের ভাগ যাতে দীর্ঘদিন ঝোলায় পড়ে, সেই ব্যবস্থা করতে প্রাণপাত করবেন তৃণমূল নেতারা।

    তবে গণতন্ত্রে তো (Supreme Court) শেষ কথা বলে জনতা জনার্দন। তারা কী বলে, সেটাই দেখার (Tripura)!

  • Waqf Bill Protest: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস, আন্দোলনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভোট-অঙ্ক?

    Waqf Bill Protest: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে অবরুদ্ধ পার্কসার্কাস, আন্দোলনের নেপথ্যে তৃণমূলের ভোট-অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ও রাজ্যসভা – সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Bill Protest) ২০২৫। সেই বিল পাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুসলমানদের একটা বড় অংশ। অথচ, এই বিলের প্রতিবাদেই শুক্রবার পার্কসার্কাসে হল মিছিল। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মুসলিম অধ্যুষিত পার্ক সার্কাসের দখল কার্যত চলে গিয়েছিল মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনের হাতে। পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টস অবরুদ্ধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

    ‘শক্তিপরীক্ষা’ (Waqf Bill Protest)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রবিবার রামনবমী (Ramnavami)। তার আগে বস্তুত ‘শক্তিপরীক্ষা’ করে নিল মুসলিম সংগঠনের আড়ালে তৃণমূল। বছর ঘুরলেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের শাসক দল ওয়াকফ বিল তাস খেলে দিয়ে মুসলিম ভোটকে ঘাসফুলের ঝুলিতে ফেলতে চাইছে। এটা সম্ভব হলে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফের একবার গদি নিশ্চিত হয়ে যাবে তৃণমূল সুপ্রিমোর।

    জমায়েতের পিছনে তৃণমূলের ‘মস্তিষ্ক’!

    শুক্রবার জুম্মাবার। সেদিনই জমায়েতের পিছনে তৃণমূলের ‘মস্তিষ্ক’ কাজ করছে বলে ধারণা ভোট বিশেষজ্ঞদের। যদিও এদিনের সমাবেশে কোথাও তৃণমূলের নাম ছিল না, ছিল না তৃণমূলের কোনও সংগঠনের ব্যানার কিংবা ফেস্টুন। তবে পার্ক সার্কাসের ওই জমায়েতে দেখা গিয়েছে তপসিয়া, কসবা, তিলজলা এবং বেকবাগান এলাকার তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “হয়তো দলের সরাসরি নির্দেশে কোনও কর্মসূচি পালিত হয়নি। কিন্তু রামনবমীর আগে এমন জমায়েত উত্তেজনা প্রশমনের বদলে বাড়াতেই সাহায্য করবে (Waqf Bill Protest)।”

    ইদের দিনে রেড রোডে নমাজ আদায়ের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি নমাজ আদায়ও করেন। ওই জমায়েতেই তিনি বলেছিলেন, ‘কাউকে গন্ডগোল করতে দেবেন না।’ তার পরেও জুম্মাবারে যেভাবে শক্তিপ্রদর্শন হল, তাতে অশান্তির আশঙ্কা করছে তৃণমূলেরই একাংশ।

    ২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়েছিল হাওড়ায়। সেদিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ছাদ থেকে ইট-পাটকেল-বোতল ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। অশান্তি হয়েছিল হুগলির শ্রীরামপুর-সহ আরও কয়েকটি জায়গায়। এবারও সেই সব স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা করছে প্রশাসনেরই একাংশ (Ramnavami)। তার আগে পার্কসার্কাসে যেভাবে ব-কলমে জমায়েত করল তৃণমূল (!), তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রশাসনেরই বড় কর্তারা (Waqf Bill Protest)।

  • Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! এক হোন হিন্দু বাঙালিরা, আহ্বান মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেলার দেখিয়েছে বাংলাদেশ! হিন্দু বাঙালিরা এক হোন। ঠিক এই ভাষাতেই হিন্দু ঐক্যের (Hindu Unity) আহ্বান জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বৃহস্পতিবার রাজ্যে বিজেপির একটি দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই সভায় যোগদান করে হিন্দু বাঙালিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তাও দিলেন অভিনেতা। এদিন মিঠুন চক্রবর্তীর ভাষণে ছিল আগাগোড়াই হিন্দুত্বের ছোঁয়া। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি কিন্তু বলি, গর্ব করে বলো যে আমি সনাতনী। আমরা সনাতনী। যদি ভগবান সনাতনী হিসাবে জন্ম দিয়ে থাকেন তাহলে মরব সনাতন হিসাবে। কিন্তু অন্য হাতে ওই ভাবে মার খেয়ে মরব না।’’

    বারাকপুরের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আয়োজন করে বসন্ত উৎসব

    এদিন সন্ধ্যায় নিউ বারাকপুরের কৃষ্টি ভবনে বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মিলে আয়োজন করেছিলেন বসন্ত মিলন অনুষ্ঠান। সেখানেই মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ট্রেলার দেখিয়ে দিয়েছে। যদি না জিততে পারেন তাহলে পশ্চিমবাংলায় হিন্দু বাঙালি বলে কেউ থাকবে না। এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু আমাদের ভোট দেন না। এবার ওরা জিতে এলে কিন্তু নির্বংশ করে দেবে।’’ প্রসঙ্গত, এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন মিঠুন। এছাড়াও বারাকপুরে বিজেপির এই দলীয় কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ সমেত ওই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ডল ও জেলাস্তরের বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না – করবেন আমরা জানি না

    মিঠুনের (Mithun Chakraborty) সভা ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে আগ্রহ ছিল একেবারে তুঙ্গে। গোটা সভাগার ছিল ভর্তি। সভা মঞ্চ থেকে এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অন্য দলের হিন্দুরা কী করবেন, না করবেন আমরা জানি না। কিন্তু বিজেপির হিন্দু বাঙালিরা থাকবে না, এটা কিন্তু মনে করে চলবেন। এরা তৈরি হয়ে বসে আছে, আবার যদি জিতে আসি, নির্বংশ করে দেব। সেজন্য কিছু না ভেবে জিতুন।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘু সমাজের ওপর আক্রমণ আঘাত নেমে এসেছে তাতে উদ্বিগ্ন হয়েছে বিভিন্ন মহল। প্রশ্ন উঠেছে ইউনূস জমানার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েও। এই আবহে নিজের ভাষণে মিঠুন, মমতা ও ইউনূসের শাসনকে এক করে দেখাতে চাইলেন।

    এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না, আমি চিৎকার করে অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন

    বারাকপুরে দলীয় কর্মসূচি শেষ করে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ‘‘এখনও ৯ শতাংশ হিন্দু ভোট দেয় না। আমি চিৎকার করে তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট দিন। বাংলাদেশ একটা ট্রেলার দেখিয়েছে আপনাদের। এর পর পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু বাঙালি থাকবে কি না তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন আছে। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। যে ৯ শতাংশ হিন্দু এখনও ভোট করে না, তাঁদের অনুরোধ করছি, এবার ভোট করুন। নইলে আসন্ন নির্বাচনে, যদি আমরা জিততে না পারি, তাহলে হিন্দু বাঙালি যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের জন্য খুবই কষ্টের দিন আসতে চলেছে। খুব সাবধানে থাকুন। কারণ যে সব মিটিং চলছে সেগুলো আপনারা খবর রাখেন না। প্রকাশ্যে সেটা বলতে পারব না। বিজেপি বিরোধী দলগুলো যে মিটিং করছে শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে। কিছুদিন পর সব বেরিয়ে যাবে মার্কেটে। বেরিয়ে আসুন, ভোট দিন। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।’’

    হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির, তারই প্রতিধ্বনি মহাগুরুর গলায়!

    বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। এই আবহে হিন্দু ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মাঠে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতার পাশাপাশি একাধিক জেলা, শহরতলিতে হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই পোস্টারও সামনে এসেছে। একইসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের একাধিক সভায় বার্তা দেওয়া হয়েছে হিন্দু ঐক্যের। দিনকয়েক পরেই রয়েছে রামনবমী। সেই রামনবমীকে কেন্দ্র করে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবারের রামনবমীকে কেন্দ্র করে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রামনবমীর উৎসবকে সফল করতে কোমর বেঁধে নেমেছে গোটা সংঘ পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বারুইপুরে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে রামনবমী নিয়ে। বারুইপুরের সভা থেকেই ভালো করে রামবনবমী পালনের বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, হিন্দুরা জেগে গেছেন। এবার বড় করে রামনবমী হবে, তারপর পালন করা হবে হনুমান জয়ন্তী। ঠিক এই আবহে হিন্দু ঐক্যের বার্তা দিয়ে বক্তব্য রাখতে শোনা গেল মিঠুন চক্রবর্তীকেও (Mithun Chakraborty)।

  • Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    Malda: মালদার মোথাবাড়িতে হিংসা, তৃণমূল সরকারকে একযোগে নিশানা শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মোথাবাড়িতে হিংসা ছড়িয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এগুলির সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি মাধ্যম। এই ভিডিওগুলিতে দাবি করা হয়েছে যে উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী হিন্দুদের দোকান এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলিকে বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে। এই আবহে মোথাবাড়ি ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এ নিয়ে সরব হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব (West Bengal)। মোথাবাড়ি হিংসার ঘটনায় তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। একযোগে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু-সুকান্ত-মালব্য। সাংবাদিকদের সামনে দেওয়া এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ লুট ও হিংসা শুরু করে মৌলবাদীরা।

    গ্রেটার বাংলাদেশের অভিসন্ধি ক্রমশই প্রকাশ্যে, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সুকান্তর দাবি, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন।’’ সুকান্ত মজুমদারের ওই পোস্ট করা ভিডিওতে বেশ কিছু যুবককে ধর্মীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরেই ওই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে রাস্তার পাশে দোকানের ভাঙা শেড।

    হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে গাড়ি, দাবি সুকান্তর

    ভিডিওটি পোস্ট করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘‘তোষণসর্বস্ব ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্রমশ আশঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ছবি আজকের দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলের চৌরঙ্গী মোড়ের। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙে লুট করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। এলাকার হিন্দুরা ত্রস্ত, আতঙ্কিত কিন্তু এলাকায় কোনও পুলিশের দেখা নেই! সংখ্যালঘু তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরির গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। বাংলার নিপীড়িত অসহায় হিন্দুরা সম্মিলিত হয়ে এই অন্যায় তোষণ নীতির প্রতিশোধ নেবেন ২০২৬-এ।’’

    পুলিশকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকেও তুলোধনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, মোথা বাড়িতে যখন ভয়ঙ্করভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, তখনই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আশ্চর্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর আরও দাবি, ‘‘এটাই হল (মালদার মোথাবাড়ি হিংসা) নির্লজ্জ তোষণের রাজনীতির মূল্য। হিন্দুদের প্রতি অত্যাচার।’’

    মোথাবাড়ির ঘটনায় পুলিশকে নিধিরাম সর্দার বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘তোষণবাজ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলছেন। মালদা জেলার মোথাবাড়ি (Malda) অঞ্চলে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করা হয়েছে। মূল রাস্তা দখল করে জেহাদিরা যথেচ্ছাচারে কি ভাবে গাড়ি ভাঙচুর করছে দেখুন। জেহাদিদের সামনে পড়ে ‘নিধিরাম সর্দারের’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া মমতা পুলিশ কে দেখুন, হাত জোড় করে যেনো করুণা প্রার্থনা করছে !’’

    আইনি পথেই মোকাবিলা করা হবে, বললেন বিরোধী দলনেতা

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে খবরের শিরোনামে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকা। নিজের সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে ওই অঞ্চলগুলির নামও তুলে ধরেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্টে লিখেছেন, ‘‘তবে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম, এর শেষ দেখে ছাড়ব। আইনি পথে যেমন হাওড়া, শ্রীরামপুর, ডালখোলা, খিদিরপুর, রিষড়া, মোমিনপুরের জেহাদিদের বাগে এনেছি ঠিক একই ভাবে এদের কেও শিক্ষা দেবো।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্যর

    বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই ভিডিও মোথাবাড়ির সাম্প্রদায়িক হিংসার সাথে বলে দাবি করেছেন তিনি নিজের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে ওই ভিডিওটি পোস্ট করে মালব্য লিখেছেন, ‘‘দক্ষিণ মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলছে। উগ্র মৌলবাদীরা রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বেছে বেছে হিন্দু বাড়ি, দোকান এবং গাড়িতে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নিজের রাজ্যের এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রতি তিনি উদাসীন।’’

  • Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: রাজ্যসভায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের, কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ-জমানায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের অপব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পিএম- কেয়ার্স ফান্ড (PM Cares) সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য বিরোধী দলগুলিকে (Congress) কড়া ভাষায় আক্রমণও শানিয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিলের ওপর আলোচনায় রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি (Amit Shah)

    সেখানেই তিনি বলেন, দুর্যোগ ত্রাণের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে ডাইভার্টেড হয়েছিল। রাজ্যসভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিল পাশ হওয়ার সময় শাহ কংগ্রেসকে তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতা সম্পর্কে জবাব দিতে চ্যালেঞ্জ করেন এবং একটি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা চালানোর অভিযোগ তোলেন যেখানে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করতেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিনা প্রমাণে অভিযোগ করে পালিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটি সংসদ, রাস্তার প্রতিবাদ নয়। যদি আপনারা অভিযোগ করেন, তাহলে আপনাদের উত্তরও শুনতে হবে।”

    বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন

    পিএম-কেয়ার্স তহবিলে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ খণ্ডন করে দিয়ে শাহ বলেন, ‘‘এই তহবিল প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে কঠোর আর্থিক তদারকি ব্যবস্থা রয়েছে। এটি কংগ্রেসের (Congress) আমলের পিএমএনআরএফের সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি সরাসরি সদস্য ছিলেন। এটি একটি রাজনৈতিক পরিবারকে তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও নয়ছয় করার সুযোগ দিয়েছে।’’  শাহ (Amit Shah) জানান, কীভাবে ইউপিএ সরকার পিএমএনআরএফের তহবিল রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে পাচার করেছিল। এই ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে বিদেশি অনুদান, ধর্মান্তরণ গোষ্ঠী এবং পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংয়ের সঙ্গে সংযোগের অভিযোগ রয়েছে (Congress)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা স্বচ্ছতার কথা বলেন? আপনার দল জিপ থেকে বোফোর্স থেকে ২জি—এতগুলি কেলেঙ্কারিতে জড়িত। ভারতের মানুষ আপনার ইতিহাস জানেন।” বিরোধীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, কেন দুর্যোগ ত্রাণের সরকারি অর্থ নেহরু-গান্ধী পরিবার নিয়ন্ত্রিত একটি ফাউন্ডেশনে পাঠানো হচ্ছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসকেও নিশানা করেন শাহ। পশ্চিমবঙ্গে দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল বিতরণ না করার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের প্রতিনিধিদের সেই অভিযোগ খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি সরকারের আমলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারগুলির তুলনায় রাজ্যে দুর্যোগ ত্রাণ বরাদ্দ ৩০০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে (Amit Shah)। বিরোধী দলগুলির অতিরিক্ত তহবিলের দাবিকেও প্রত্যাখ্যান করে শাহ স্পষ্ট করে দেন, দুর্যোগ ত্রাণ তহবিল আসল সংকট মোকাবিলার জন্য—খয়রাতির জন্য নয়। প্রসঙ্গত, এটি পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলির দিকে সরাসরি ইঙ্গিত, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তহবিলের অপব্যবহার এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকার নাগরিকদের ত্রাণ না দেওয়ার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শাহের এই খয়রাতির অভিযোগ শোনার পরেই ওয়াকআউট করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। যদিও বলতেই থাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন (Amit Shah), “আপনাদের (TMC) ব্যাখ্যা করতে হবে কেন আপনারা আরও তহবিল চান অথচ আগে যেসব তহবিল পেয়েছেন সেগুলি বিলি করতে ব্যর্থ হন।”

    আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়?

    তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, সংশোধনীতে দুর্যোগের সংজ্ঞার অধীনে দাঙ্গাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তৃণমূলের এই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আর দাঙ্গার মধ্যে কী সম্পর্ক? এটার কারণ কি আপনাদের রাজ্যে অনেক দাঙ্গা হয়, তাই?” তাঁর এই মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে, বিশেষত তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাহীনতা ও রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যসভার সভাপতি জগদীপ ধনখড় ডিসরাপশনের অনুমতি না দেওয়ায় তৃণমূলের সাংসদরা সভা থেকে ওয়াকআউট করেন।

    ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’

    সংশোধনীটি ডিফেন্ড করতে গিয়ে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন। তিনি সভাকে স্মরণ করিয়ে দেন, মোদিকে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল, যা পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ মোকাবিলায় তাঁর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি (Amit Shah)। এদিন শাহ ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মলদ্বীপ এবং ইতালির মতো দেশগুলিকে দুর্যোগ ত্রাণে সহায়তা করে মানবিক সহায়তায় একটি বৈশ্বিক নেতা হিসেবে তার অবস্থান শক্তিশালী করেছে ভারত।

    ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লোকসভায় পাস হওয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (সংশোধনী) বিল, ২০২৪, বিরোধী দলগুলির আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় ভোটে পাশ হয়ে যায়। কংগ্রেস ও তার সহযোগীদের প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সংশোধনী সরাসরি খারিজ হয়ে যায়। শাহ বলেন, “যদি কোনও ভবন মেরামত না করা হয়, তা ধসে পড়বে। একইভাবে, আইনগুলিকেও আপডেট করতে হবে (Congress)। এতে আপত্তি করার কী আছে (Amit Shah)?”

LinkedIn
Share