Tag: tmc

tmc

  • Arambagh: বুথে হেরেছে শাসকদল! আরামবাগে বিজেপি কর্মীকে বাঁশপেটা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Arambagh: বুথে হেরেছে শাসকদল! আরামবাগে বিজেপি কর্মীকে বাঁশপেটা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। আর তারপর থেকেই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বহু কর্মী ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ করেছেন। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনই অভিযোগে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে, হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। আরামবাগের সালোপুর-২ পঞ্চায়েতের ডোঙ্গল এলাকায় ফের এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মেরেছে তৃণমূল।

     ঠিক কী  ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    আরামবাগের ডোঙ্গলে মাঠে কাজ করার সময় একা পেয়ে এক বিজেপি কর্মীকে লাঠি ও বাঁশপেটার অভিযোগ উঠল স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান এবং তাঁর এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে। প্রহৃত শঙ্কর রায় নামে বিজেপি কর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত রায় আরামবাগ থানায় উপপ্রধান উত্তম বেরা এবং তাঁর সঙ্গী প্রসেনজিৎ আদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশে খেতে বাদাম তোলার কাজ করছিলেন শঙ্কর। সেই সময়েই তাঁর ওপরে হামলা হয়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেন, “লোকসভায় এই পঞ্চায়েতে প্রায় ১ হাজার ভোটে বিজেপি এগিয়ে ছিল। এটাই আমাদের অপরাধ। ফল প্রকাশের পর থেকেই উপপ্রধান হুমকি দিচ্ছিলেন। বাবাকে একা পেয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।” উপপ্রধানের দাবি, “গ্রামে ওদের পরিবারগুলি নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছে। মিথ্যা আমাদের জড়ানো হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    হাসাপাতালে আহতকে দেখতে যান বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ এবং আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগ। বিমান বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে হাইকোর্টের কড়া অবস্থানের পরেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি শম্ভুনাথ বেরা বলেন, “ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। শুনেছি পাড়াগত ঝগড়া থেকে এই ঘটনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বকেয়া বিল পেতে তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকার কাটমানি ঠিকাদারের! বিজেপির বিক্ষোভ

    Balurghat: বকেয়া বিল পেতে তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকার কাটমানি ঠিকাদারের! বিজেপির বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া বিল পেতে পুরসভার চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা কাটমানি। বিদ্যুৎ দফতরের এক ঠিকাদার সংস্থার কর্তার এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে বালুরঘাট (Balurghat) শহরের রাজনীতি। ওই ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠ এক এমআইসি-র কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও একটি অডিও ক্লিপ জনসমক্ষে এনেছে ওই ঠিকাদার সংস্থা। যদিও সেই অডিও ক্লিপিংয়ের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    বিক্ষোভ বিজেপি-র (Balurghat)

    শনিবার বালুরঘাট (Balurghat) শহরের বেশ কিছু এলাকায় পথবাতি কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ ছিল, বালুরঘাট শহরে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক ভরাডুবির শাস্তি হিসেবেই বালুরঘাট পুরসভা এভাবে পথবাতি বন্ধ করেছে। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উঠে এল কাটমানি তত্ত্ব। মঙ্গলবার কাটমানি নিয়ে বালুরঘাট পুরসভা ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দেয় বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বাপি সরকার বলেন, বালুরঘাট পুরসভা তো দুর্নীতির আঁতুরঘর হয়ে গেছে। ওখানে তো সব কাজেই কাটমানি দিতে হয়। আমরা এই সব নিয়ে আমরা বালুরঘাট পুরসভায় বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দিলাম।

    আরও পড়ুন: “সুরক্ষা কবচ কোনও মাদুলি নয়”, রেল দুর্ঘটনায় মন্তব্য নিয়ে মমতাকে তুলোধনা সুকান্তর

    মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ী

    ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্তা সৌমেন সরকার বলেন, ‘খিদিরপুর শ্মশানের চুল্লির কাজের ও অন্য যে সব কাজ করেছি, তার বকেয়া দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে। ওই টাকার পেমেন্ট পেতেই চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুই দফায় দশ লক্ষ টাকা দিয়েছি। তবুও, আজ পর্যন্ত আমার কাজের বকেয়া টাকা পরিশোধ দেওয়া হয়নি। তাই, আমি কর্মীদের বেতন দিতে পারিনি। তাঁরা গত শনিবার দিন কাজ করেননি। তাই আমি ফোন করে ওই কাটমানির টাকা ফেরত চেয়েছি। আমি আর পুরসভায় কাজ করব না। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েও বিষয়টি জানিয়েছি।’

    পুরসভার এমআইসি কী বললেন?

    এই বিষয়ে এমসিআইসি বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, ‘ওই এজেন্সি কাজ বন্ধ করে রেখেছিল বলে তাঁকে ফোন করেছিলাম। কিন্তু, তিনি নাকি চেয়ারম্যানকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা ফেরানোর দায়িত্ব আমাকে নিতে বলছেন। আমি তাঁকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে বললে তিনি রাজি হননি। অর্ধসমাপ্ত অডিও ক্লিপ তিনি ভাইরাল করেছেন।’

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ‘ওই ঠিকাদার সংস্থার মালিক সম্ভবত মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। নইলে তিনি সব ব্যাপারেই ষড়যন্ত্র কেন খোঁজেন। তাঁকে যে কাজ দেওয়া হয়েছিল তা তিনি করেননি। তাই ডিফল্টার হিসেবে আমরা চিহ্নিত করব না কেন, সেই চিঠি দিয়েছি। ওই এজেন্সির মালিকের কোনও বিল বকেয়া নেই। গত দুই মাসের বিলও ট্রেজারিতে পাঠানো আছে। আসলে ওই চিঠি দেওয়ার পরই মনগড়া কথা বলছেন তিনি। আমি শহরের বাইরে কাজে আছি। ফিরেই তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “মমতা ও তাঁর দলের জন্মগত স্বভাব হল ভোটপরবর্তী হিংসা”, মন্তব্য বিজেপি কেন্দ্রীয় টিমের

    Post Poll Violence: “মমতা ও তাঁর দলের জন্মগত স্বভাব হল ভোটপরবর্তী হিংসা”, মন্তব্য বিজেপি কেন্দ্রীয় টিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতার সরকারে বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি দল রবিবার কলকাতায় এসে মাহেশ্বরী ভবনে আক্রান্তদের কাছ থেকে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের বিবরণ শোনেন। এরপর সোমবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা হয়ে কোচবিহারে গিয়েছেন। সেখানকার নিপীড়িত মানুষের বক্তব্য শুনেছেন।

    একই ভাবে গতকাল প্রায় শতাধিক আক্রান্ত মানুষকে নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

    কী বলল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল (Post Poll Violence)?

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসার প্রভাব বাংলায় কতটা পড়েছে তা নিয়ে পরিদর্শনে এসেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম। এই দলের পক্ষে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব বলেছেন, “মমতা এবং তাঁর দলের জন্মগত স্বভাব হল ভোট-পরবর্তী হিংসা। এই স্বভাবের দ্রুত বদল ঘটানো উচিত, তাতে তাঁর যেমন ভালো ঠিক তেমনি দলের জন্যও ভালো। এই আচরণে খুব একটা লাভ হবে না তৃণমূলের। এই রাজ্যের মানুষ তো তাঁরই মানুষ। দায়িত্ব সবার আগে তাঁর।”

    আরও পড়ুনঃ খড়্গপুর আইআইটি হস্টেলের ছাদে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ! চাঞ্চল্য

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল

    রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত স্থান পরিদর্শনে যান রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি এদিন বলেন, “২০২১ সালে বিজেপি ব্যাপক ভাবে ভোট পাওয়ায় মমতা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় ভোট-পরবর্তী হিংসাকে মান্যতা দিতে চাননি। এইবার লোকসভায় বিজেপি রাজ্যে আগের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। রাজ্যে ভোটের পর হিংসার চিত্র যেন একটা পরম্পরায় পরিণত হয়েছে। আমাদের কেন্দ্রীয় টিম সব জায়গায় পরিদর্শন করছেন। গতকাল কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। আজ কোচবিহারেও আমরা বক্তব্য শুনেছি। ফিরে আরেকবার কলকাতায় বসব।”

    ইতিমধ্যে কোচবিহার থেকে ডায়মন্ড হারবার সব জায়াগায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ঘর ছাড়া হয়ে আছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বারুইপুরে ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের ঘরে ফেরানোর আশ্বাস দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: বহরমপুরে বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি-বোমাবাজি! কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বোমাবাজিতে উত্তপ্ত বহরমপুরের (Murshidabad) গোয়ালজান এলাকা। ভোট-পরবর্তী সময়ে চাপা উত্তেজনা ছিলই, গতকাল রাত্রি বেলায় ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং বাড়ির মহিলাদের ব্যাপক মারধর করে। আবার এই পঞ্চায়েত এলাকা, আগে থেকেই বিজেপির দখলে ছিল, এইবার লোকসভাতে এগিয়ে রয়েছে পদ্মশিবির। ফলে তৃণমূল রাজনৈতিক হিংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এদিন। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল, দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। একই ভাবে লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই কোচবিহার থেকে ডায়মন্ড হারবার সর্বত্র অশান্তির খবর উঠে আসছে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্র খবর, বেশ কিছুদিন আগে এই এলাকায় এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু গতকাল রবিবার রাতে তাকে ঘিরে সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। পোস্টে দেখা যায় সেখানে অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। এরপরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাতে গোয়ালজান (Murshidabad) এলাকার জলকালী ক্লাব পাড়ায় বিজেপির কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। চলে ইটবৃষ্টি ও বোমাবাজি। একই সঙ্গে একাধিক বাড়ি ও বেশ কিছু বাইক ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে খবর দিলে গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। রাস্তায় এখনও লেগে রয়েছে বোমার দাগ। আবার পরের দিন সোমবার এই এলাকায় গঙ্গাপুজো ছিল। তাকে ঘিরে মন্দিরের আশেপাশে চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। যদিও ভোটের আগে থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিচ্ছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, “এই এলাকায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল পরিমাণের লিড পেয়েছে। আর তাই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। গঙ্গাপুজো উপলক্ষে রিফিউজি ফেরিঘাটের (Murshidabad) পাশে প্রতিবছর একটি বড় পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই পুজোকে বানচাল করতে তৃণমূলের গুন্ডারা বিভিন্ন রকমভাবে আক্রমণ করে। জলকালী ক্লাবের সামনে বিজেপি সমর্থকরা যেতেই তৃণমূলের লোকেরা বোমাবাজি করে। পুলিশকে খবর দিলে উল্টে তৃণমূলের হয়ে বিজেপি কর্মীদেরই ব্যাপক মারধর করে।”

    আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগকে অস্বীকার করে জেলা (Murshidabad) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয় বিজেপি তৃণমূলকে বদনাম করতে এই ধরনের কথা বলছে। তৃণমূলের কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপির অন্দরে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    Dilip Ghosh: বৈঠক শেষ করে দিলীপ ঘোষ যেতেই পাটি অফিসে হামলা, কর্মীদের মার, বাইক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বৈঠক শেষ করে এলাকা ছাড়তেই হামলা চালাল তৃণমূল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায়। দলীয় কার্যালয়ে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dilip Ghosh)

    লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রবিবার দুর্গাপুরে যান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাতে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন এলাকায় বিজেপি’র কার্যালয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সহ প্রায় সব নেতা-কর্মীরা চলে যান। অভিযোগ, কার্যালয়ে উপস্থিত থাকা কয়েকজন কর্মীর ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। কার্যালয়ে সামনে থাকা দু থেকে তিনটি বাইক ভাঙচুর করে। জখম এক বিজেপি কর্মী বলেন, দিলীপদা বৈঠক শেষ করে চলে যাওয়ার পর আমরা কয়েকজন কার্যালয়ে বসেছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। আমাকে বেধড়ক মেরেছে। বুকে, পেটে গুরুতর চোট লেগেছে। কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ওরা আমাদের বাইকগুলি ভাঙচুর করে। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি। হামলার বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা, কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা মালগাড়ির, মৃত ৫, জখম বহু যাত্রী

    হামলা নিয়ে দিলীপ ঘোষ কী বললেন?

    সোমবার সকালে সিটিসেন্টারের চতুরঙ্গ ময়দানে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ। এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। পরে, দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, নির্বাচনের প্রচারে প্রথম এই চতুরঙ্গ ময়দানে এসেছিলাম। আবার এখানকার সিনিয়র সিটিজেনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। রবিবার রাতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে আসার পরই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করে। আমরা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিস প্রশাসনকে  সব কিছু বলা হয়েছে। আস্তে আস্তে এই সব বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, মানুষ এই সব চায়না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত, বিজেপি কর্মীদের টোটো ও দোকান বন্ধের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একক ভাবে ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ফল প্রকাশের পর থেকেই জেলায় জেলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা উঠে আসছে। বিজেপির অভিযোগ মূলত তৃণমূলের দিকেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা হিংসায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ১ নম্বর ব্লকের বয়ারমারী অঞ্চলের বেশ কিছু সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের টোটো ও দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    বিজেপি ফল ভালো করায় কি আক্রমণ (Sandeshkhali)?

    বয়ারমারী (Sandeshkhali) এক নম্বর অঞ্চলের বেশ কিছু বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে। যে সমস্ত বুথে বিজেপি ভালো ফলাফল করেছে সেই সমস্ত বুথের সক্রিয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বেছে বেছে টোটো চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তৃণমূল। একই ভাবে বিজেপিকর্মীদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান ও টোটো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবীকার প্রধান আশ্রয় এই দোকান এবং টোটো। অসহায় গরীব মানুষগুলি কোনও রকমে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার দিয়ে সংসার চালান। গত কয়েকদিন ধরে এই রোজগার বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রায় অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবি বিজেপি কর্মীদের। তাই দোকান ও টোটো চালানোর দাবিতে রবিবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ী আউটপোস্টে এসে বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Sandeshkhali) বিজেপি কর্মী জয়দেব মণ্ডল বলেছেন, “সকালে উঠে দোকান খুলতে গেলে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা বলেন, দোকান খোলা যাবেনা। কারণ জানতে চাইলে হুমকি দিয়ে বলেন, তোরা সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছিস, তাই দোকান বন্ধ থাকবে। তোদের ছেলেপেলেদের নিয়ে পার্টি অফিসে দেখা কর। ক্ষমা চাইতে হবে, এলাকায় বিজেপি করা যাবে না। সেই সঙ্গে দোকান বন্ধ করে তালা মেরে দেয় তৃণমূলের লোকজন।” আরেক টোটো চালক উৎপল দত্ত বলেছেন, “তৃণমূল প্রধান আমাদের বেশকিছু টোটো বন্ধ করে দিয়েছে। পার্টি অফিসে দেখা করার নিদান দিয়েছেন। এলাকায় বিজেপি ভালো ফল করার আমাদের জীবন-জীবীকার উপর সঙ্কট তৈরি করেছে তৃণমূল। আমরা সব কিছু স্বাভাবিক চাই। তাই, আজ থানায় ডেপুটেশন দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    Post Poll Violence: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিনি যখন রাজভবনে, তখন হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। মাহেশ্বরী সদনে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ শোনেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করেন কয়েকজন ঘরছাড়া।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Post Poll Violence)

    কেন্দ্রীয় এই দলটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই দলে রয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং বিজেপি সাংসদ কবিতা পতিদার। বিমানবন্দর থেকে (Post Poll Violence) তাঁরা সটান চলে আসেন মাহেশ্বরী সদনে। কেন্দ্রীয় টিমের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, তমোঘ্ন ঘোষ। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা ঘরছাড়াদের জানান, শিশু থেকে মহিলা কাউকে ছাড়ছে না তৃণমূলের গুন্ডারা।

    নির্বাচনোত্তর হিংসা

    নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে যে মানুষ ভোট দেওয়ার পর ঘরে যেতে পারছেন না? আমাদের এক কার্যকর্তার ভাইকে খুন করে ফেলেছে। এখন তাঁকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইদ পালন করতে যেতে পারছেন না। মমতাদি আপনার রাজ্যে কী চলছে?”

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য রাজভবনের দরজা বন্ধ, বলেছেন রাজ্যপাল”, দাবি শুভেন্দুর

    এদিকে, বিজেপির এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ডায়মন্ড হারবার ও জয়নগরে যাওয়ার কথা তাদের। মঙ্গলবার ওই দলের সদস্যরা যাবেন কোচবিহারে। দিল্লি ফিরে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিপ্লব বলেন, “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাগাতে এসেছি।” তিনি বলেন, “গত ১২-১৩ বছর ধরে তাঁর ঘুমই ভাঙছে না।” ত্রিপুরার প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লিগ্যাল সেল ঘরছাড়াদের পাশে থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।” তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করে, তাহলে দিল্লি থেকে বিজেপির প্রতিনিধিদলের বাংলায় আসার প্রয়োজন হয় না (Post Poll Violence)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    Sukanta Majumdar: ‘ঘরছাড়া’ দলীয় কর্মীদের দেখতে বারুইপুর গেলেন সুকান্ত, দিলেন ঘরে ফেরানোর আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূলের অত্যাচারে অনেক কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া হয়ে রয়েছেন। যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বারুইপুর পার্টি অফিসে ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এখানেই ‘আশ্রয় শিবির’ তৈরি করেছে বিজেপি। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। অনেক জায়গায় পুলিশই হামলার সাথে যুক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। বারুইপুরের পাশাপাশি ক্যানিং ও কুলতলিতেও যাবেন আজ। আক্রান্ত এবং ঘরছাড়াদের মধ্যে যেমন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা রয়েছে, তেমনি আরও সাধারণ খেটে খাওয়া পুরুষ-মহিলা কর্মী-সমর্থকরাও রয়েছেন। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    কর্মীদের ঘরে ফেরাতে আশ্বাস সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    দলীয় কর্মীদের ঘরে ফেরানোর প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আমরা চাই দলীয় কর্মীরা যাতে দ্রুত তাঁদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন। এবিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের সর্বস্তরে আবেদন জানানো হয়েছে। দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্বরা এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। যদিও রাজ্যের এই প্রশাসনের উপর কোনও ভরসা নেই আমার। অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ সরাসরি যুক্ত ছিল। প্রয়োজনে আমরা কোর্টে যাবো। আমি, রাজ্যের মা মাটি সরকারের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব এসে দেখে যান, আপনার গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারে মানুষের জীবন কতটা বিপর্যস্ত। ক্যানিংয়ে শওকত মোল্লার নেতৃত্বে হামলা চলছে বিজেপি কর্মীদের উপর।” তবে তাঁর এই জেলা সফরের পর কর্মীদের মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি দলীয় কর্মীদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় দলীয় কর্মীরা যাতে নিজেদের অধিকার নিজেরা বুঝে নেন সেই বার্তাও দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুনঃআঙুলের পর আইসক্রিমে বিষাক্ত বিছে! ঢাকনা খুলতেই কিলবিল করে উঠল

    উপনির্বাচন নিয়ে কী বললেন?

    আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “দু-একদিনের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। উপনির্বাচনের তিনটি আসন বিজেপিরই ছিল, অন্যটিতেও আমরা জয় লাভের ব্যাপারে আশাবাদী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, কোথায় কোথায় যাবে জানেন?

    BJP: হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, কোথায় কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় আসছে বিজেপির (BJP) প্রতিনিধি দল। এই দলে রয়েছেন চার বিজেপির প্রবীণ নেতা। তাঁরা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত একাধিক এলাকায় যাবেন। হিংসায় আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন এবং এরপর সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার কাছে বিশেষ রিপোর্ট তুলে ধরবেন।

    কোথায় কোথায় যাবে দল (BJP)?

    রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসা একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাজ্যের মতো বাকি অন্য রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র এরকম আর দেখা যায়নি। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছে বিজেপির প্রতিনিধি দল প্রথমে যাবে মাহেশ্বরী সদনে। সেখানে আশ্রয় নেওয়া ‘ঘর ছাড়া’ এবং ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে কথা বলবেন দলের সদস্যরা। এরপর সোমবার হিংসা কবলিত এলাকা এবং মানুষের জন-জীবন খতিয়ে দেখতে, রাজ্য বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার, সন্দেশখালি, বাসন্তী ঘুরে দেখবেন সদস্যরা। এরপর দলের সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে, ওই দিন রাতেই কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এরপর সেখানে হিংসা কবলিত মানুষের সঙ্গে কথা বলে আবার দিল্লি ফিরে যাবেন।

    বিজেপির দাবি

    লোকসভা নির্বাচনের পর এই রাজ্যে কেবল মাত্র ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই হিংসার কারণ বিশ্লেষণ এবং হিংসার পরিমাণ কতটা ভয়াবহ, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিজেপি (BJP) এই চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। দলের সদস্যদের নির্বাচন করেছেন দলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শনিবার দিল্লির সদর দফতর থেকে এই নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে এই চার সদস্য দলের মধ্যে রয়েছেন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার সাংসদ কবিতা পাতিদার। চার সদস্যের এই দল ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তুলে দেবেন।

    “জেলা শাসক-আইপ্যাক চক্রান্ত করে নিশীথকে হারিয়েছেন”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রেস বিবৃতির বক্তব্য

    বিজেপি (BJP) এই রাজ্যের হিংসা সম্পর্কে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, “গোটা দেশে এবার লোকসভা ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লোকসভা ভোট ছাড়াও চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটিতে ক্ষমতার বদলও হয়েছে। অথচ কোথাও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র বাংলায় হিংসার ঘটনা অব্যহত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবি! সরকারি পদ গেল সৌরভের, ঘুম ছুটেছে নেতাদের

    Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবি! সরকারি পদ গেল সৌরভের, ঘুম ছুটেছে নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহার বাদ দিলে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। ভোটের (Election Result 2024) ফল বের হওয়ার পর দলের এমন হাল খুঁজতে উত্তরবঙ্গে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে আসেন তিনি। এরপরই উত্তরবঙ্গের এক দাপুটে নেতাকে সরকারি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর দলের এই সিদ্ধান্তে পদ হারানোর ভয়ে ঘুম ছুটেছে একাধিক নেতার।

    উত্তরবঙ্গে ভরাডুবি, পদ গেল সৌরভের (Election Result 2024)

    শুক্রবার এক নির্দেশিকায় শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এসজেডিএ এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে সৌরভ চক্রবর্তীকে। অতিরিক্ত জেলাশাসককে সেই পদ সামলানোর কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে প্রবল হইচই শুরু  হয়েছে দলের অন্দরেই। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার লোকসভা ভোটে কোচবিহারে জয় মিলেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে অল্প ভোটে (Election Result 2024) হেরেছে দল। কিন্তু, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিংয়ে চূড়ান্ত খারাপ ফলের জেরে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। শিলিগুড়ি পুরভোটে ৩৭টি ওয়ার্ডে জিতেছিল দল। কিন্তু, লোকসভায় কার্যত একটি ওয়ার্ড বাদে সব ওয়ার্ডে হেরেছে তৃণমূল। জলপাইগুড়িতেও চূড়ান্ত হতাশাজনক ফল হয়েছে। সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, দল কেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বলতে পারব না। তাছাড়া আমি শুধু একা নয়, দলের অনেক নেতার এলাকাতেই খারাপ ফল হয়েছে। সময় হলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: ভরদুপুরে সিনেমার কায়দায় বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি

    কাজ করে ফল দেখাও, নাহলে পদ ছাড়তে হবে

    শিলিগুড়িতে জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, “দলনেত্রীর নির্দেশ থাকলেও একদল নেতার বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, সম্পত্তির বৃদ্ধি ভালভাবে নিচ্ছেন না মানুষ। তাই উত্তরে হার। আসলে অভিষেকের পারফরমেন্স থিয়োরির প্রয়োগ দরকার এখানেও। হয় কাজ করে ফল দেখাও, নাহলে পদ ছাড়তেই হবে।” মেয়র গৌতম দেব বলেন, “আমি সৌরভের অপসারনের বিষয়টি জানতাম না। তবে, অভিষেকের পারফরমেন্স থিয়োরি ঠিক সিদ্ধান্ত। আমাদের পারফর্ম করতেই হবে। উত্তরের এই এলাকায় আমরা খারাপ ফল করেছি। নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি, জীবনযাত্রা পাল্টে যাওয়া, সবই দল নজরে রেখেছে এটুকু বলতে পারি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share