Tag: tmc

tmc

  • Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরের (Post Poll Violence) ঘটনায় ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিউড়ি আদালত। গত বৃহস্পতিবার, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। হামলার সঙ্গে চলে ব্যাপক ভাবে বাড়ি ভাঙচুর। সেই সঙ্গে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের উপর করা হয় অত্যাচার। ঘটনা ঘটেছিল বীরভূমের সদাইপুরের সাহাপুরে।

    বিজেপির বক্তব্য (Post Poll Violence)

    স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই শুরু হয় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence)। বীরভূম বিজেপি নেতা দেবব্রত ঘোষের বাবা এবং ভাইকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডারা। দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ভাবে বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। ঘটনায় মোট আটজন তৃণমূল দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন সিউড়ি আদালতের বিচারক। এই হামলা এবং মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সদাইপুর পুলিশের কাছে।

    আরও পড়ুনঃভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    ফলাফল ঘোষণার পর থেকে শুরু সন্ত্রাস

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্র জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র লুটপাট করেছে। প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে অনেক কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যের সন্ত্রাস আটকানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করেছে রাজ্য সরকারকে। প্রয়োজন হলে পাঁচ বছর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে এমন মন্তব্যও করেছে কোর্ট। কিন্তু তাতেও মমতার হেলদোল নেই।

    উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রচুর পরিমাণে অভিযোগপত্র জমা পড়েছিল। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট হয়েছিল ব্যাপক। মামলা কলকাতা হাইকোর্টে গেলে তদন্তের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়। সেই মামলা এখনও চলছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি”, প্রসূণকে তোপ মনোজের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Howrah: “আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি”, প্রসূণকে তোপ মনোজের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জয়ী হওয়ার পরও হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের কোন্দল থামছে না। আর আক্রমণের তির এবারও সেই সদ্য জয়ী তৃণমূল সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। ভোট মিটতেই এবার শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ তেওয়ারির রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের ঘরোয়া দ্বন্দ্ব একাবারে সামনে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন মনোজ তেওয়ারি? (Howrah)

    লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে গিয়ে আদি তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল হাওড়া (Howrah) লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার দলীয় বিধায়কের রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তেওয়ারি বলেন, ভোটের সময় আমরা প্রসূনকে জেতাতে যথেষ্ট সহায়তা করেছিলাম। কিন্তু, নির্বাচন মিটতেই আর নাকি যোগাযোগ রাখেননি হবু সাংসদ। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন মনোজ। তাতে তিনি বলেন, “প্রসূনদা আপনি ফোন বন্ধ রেখেছেন। ৮ তারিখ হয়ে গেল একটা ফোন এল না। এটা ঠিক করলেন না। যতটা সম্মান করতাম আর হয়ত করতে পারবো না। আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি।” প্রসঙ্গত, এই নিয়ে চতুর্থবার হাওড়া সদর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিন থেকেই তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী- সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, এলাকায় দেখা যায় না প্রসূনকে। এই নিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন তিনি। প্রার্থীকে নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও ছিল। মনোজ তিওয়ারি আরও বলেন, এই সব কিছু উপেক্ষা করেই আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা প্রসূনদাকে জেতাতে দিনরাত এক করে প্রচার করেছিলাম। ২০১৯ এর তুলনায় অনেক বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন তিনি। এমনকী, শিবপুর কেন্দ্র থেকেও এবারে ভোটের মার্জিন অনেকটাই বেশি রয়েছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর থেকে ভাবী সাংসদের পক্ষ থেকে আর যোগাযোগ করা হয়নি আমার সঙ্গে। পরিবর্তে তৃণমূল সাংসদ তাঁদের বেশি সময় দিচ্ছেন যাঁরা নির্বাচনের আগে তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা (Howrah) তৃণমূলের এক নেতা বলেন, বিষয়টি কী হয়েছে তা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে, দলীয় বিধায়কের এই ভিডিও বার্তা শাসক দল বেশ কিছুটা চাপে রয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার এই লোকসভা নির্বাচনে পারাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে। বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভার নিরিখে সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে তৃণমূল। কিন্তু জেতার পরও গলায় কাঁটা তৃণমূলের। এই লোকসভার শহর অঞ্চলের পুর এলাকাগুলিতে একদম দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল। বাজিমাত করেছে বিজপি। কিন্তু কেন এমন হাল হল তৃণমূলের? এই নিয়ে অন্তর্ঘাত শুরু হয়েছে দলের মধ্যে।

    ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি (Bankura)

    বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে, পুরসভার ২৪টি ওয়র্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে আছে বিজেপি। আবার বাঁকুড়া বিধানসভার সাপেক্ষে তৃণমূলের থেকে বিজেপি মোট ১৬৩১২ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে। যেখানে লোকসভা ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, সেখানে এই কেন্দ্রে কীভাবে এই পুর ও শহর এলাকায় তৃণমূল ধারশায়ী হয়েছে, তা নিয়ে দলের তরফ থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বাঁকুড়ার (Bankura) পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, “শহর অঞ্চলে আমাদের ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না, কেন এমনটা হল। গত আড়াই বছর ধরে এলাকায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল, ড্রেন সহ নানা পরিষেবায় আমরা অনেক কাজ করেছি। হয়তো দলের কোনও সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তবে দলের মধ্যে অন্তর্ঘাত দেখা দিলে আমরা দলের মধ্যে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।

    আরও পড়ুনঃ নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    বিজপির বক্তব্য

    বাঁকুড়া (Bankura) সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেছেন, “মোদি সরকারের আমলে দেশের বিদেশনীতি, সুরক্ষানীতি, অর্থনীতি মানুষের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শহরের মানুষ এই বিষয়গুলিকে ভালো ভাবে গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি মানুষকে বিপক্ষে ভোট দান করতে প্রভাব ফেলেছে। তবে সামগ্রীক ভাবে কীভাবে বিজেপির পরাজয় হয়েছে তা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভায় জয়ের পরই তান্ডব শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এমনকী গন্ডগোল থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির মাঝে পড়ে রক্ত ঝরল এক পুলিশ কর্মীর। জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পরও কেন এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝামেলার সূত্রপাত। সেই গন্ডগোল থেকেই রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এসে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি ইট ছোড়া হয়। রক্তাক্ত হন এএসআই পদমর্যাদার এক আধিকারিক। আহত ওই আধিকারিকের নাম বরুণকুমার বাগ। তাঁর মাথায় চোট লাগে। উর্দিতেও রক্তের ছিটে লাগে। ৫ জন বিজেপি কর্মী, ২ মহিলা ও পুলিশ আধিকারিককে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন”, রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের আগে থেকেই বারবার আরামবাগ (Arambagh) সহ গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ এসেছে। ভোট মিটলেও সেই ছবি বদলায়নি। বিজেপির এক নেতা বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও গোঘাট বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ভাল ফল করেছে। এটাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি এলাকায় অশান্তি করছে। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। অকারণে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে”, ভোটে হেরে বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    Balurghat: “অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে”, ভোটে হেরে বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের মুখ থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। ২০০৯ সালের পর ফের লোকসভায় ভোটে নিজের হারের পিছনে এবার অন্তর্ঘাত দেখছেন বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তাঁর অভিযোগের তির মূলত দলের অন্য গোষ্ঠীর দিকে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে (Balurghat)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে লড়াই বলে বালুরঘাট আসনে নজর ছিল রাজ্যবাসীর। সেই যুদ্ধে গণনা শুরুর প্রথম থেকেই আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন বিপ্লব। প্রথম রাউন্ড থেকে শুরু করে ৭ম রাউন্ড পর্যন্ত লিড ধরে রাখেন। তখন থেকেই জয়ের আশা জাগতে শুরু করে তৃণমূল শিবিরে। ৮ম রাউন্ডে এগিয়ে যান সুকান্ত। ১৩ রাউন্ডে গিয়ে ফের সুকান্তকে টক্কর দিয়ে এগিয়ে যান বিপ্লব। ১৪ রাউন্ডের পর পিছিয়ে যেতে থাকে রাজ্যের শাসকদল। বালুরঘাট (Balurghat), গঙ্গারামপুর ও তপন বিধানসভায় লিড বাড়ে সুকান্তর। বিপ্লবের গড় বলে পরিচিত গঙ্গারামপুরে শাসকদল দাঁত ফোটাতে পারেনি। হারের পর বিপ্লব মিত্র বলেন, বিজেপি এমন কোনও কাজ করেনি যে তারা জিতবে। আমরা জেতার মতো জায়গায় ছিলাম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছি। জেলায় যা উন্নয়ন হয়েছে, সব রাজ্য সরকার করেছে। দলে নিশ্চয়ই অন্তর্ঘাত হয়েছে। রয়েছে। এনিয়ে আর বিতর্কের জায়গা নেই। আমরা পর্যালোচনা করব। বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে। রাজ্য থেকে আমার কাছে হারের কারণ জানতে চাওয়া হলে অন্তর্ঘাতের বিষয়টি তখন ব্যাখ্যা করব।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন

    দলীয় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব সামনে আনলেও ঠিক কোনদিকে ইঙ্গিত করছেন জেলার বর্ষীয়ান নেতা বিপ্লব মিত্র , সেই অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন দলের ভোট ম্যানেজাররা। জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জেলার প্রাক্তন দুই সভাপতি রয়েছেন তপন ও গঙ্গারামপুর বিধানসভা এলাকায়। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনের আগে থেকেই অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন বিপ্লব। নির্বাচনে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পৌঁছেছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পরে, বালুরঘাটে (Balurghat) সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরও সবকিছু যে ঠিক হয়নি, বিপ্লবের দাবিতে সেকথা স্পষ্ট।

    দলীয় প্রার্থীর হার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতারা?

    এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম দাস বলেন, আমি তো দলের একজন সামান্য কর্মী। দল মনে করেছে বড় জায়গায় কাজ করতে পারব না, সেজন্য ছোট জায়গায় কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। সেই মতো  দলের কাজ করেছি। কে কী মন্তব্য করেছেন, আমার জানা নেই। প্রার্থীর হার নিয়ে নিশ্চয় পর্যালোচনা হবে। আবার জেলা তৃণমূলের আর এক প্রাক্তন সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী যেমন কাজ করতে বলেছেন, সেভাবেই চলেছি। কে অন্তর্ঘাত  করেছেন, দলীয়স্তরে তার পর্যালোচনা  করা হোক। গঙ্গারামপুর শহরে দলের বিপর্যয় কেন হল, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    Hooghly: রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে (Hooghly) জয়ের পরও চুঁচুড়া বিধানসভায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা ইস্তফা দিলেন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয় লাভ করেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই পদত্যাগের ঘটনায় দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্র কি আরও একবার স্পষ্ট হল?

    তিনটি বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি (Hooghly)

    হুগলিতে (Hooghly) সাতটি বিধানসভার মধ্যে তিনটিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। রচনা জয়যুক্ত হয়েছেন ৭৬৮৫৩ ভোটে। কিন্তু ওই তিনটি বিধানসভার মধ্যে লকেট ৮২২৮৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তবে দলের প্রার্থী জয়ী হলেও চুঁচুড়াতে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। হারের কারণ খোঁজ করতে গিয়ে বিশ্লেষণে বসে জেলা নেতৃত্ব। ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর, কোদালিয়া-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং চুঁচুড়া পুরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেখানে প্রধান, উপপ্রধান এবং জন প্রতিনিধিদের চরম অপমান করেন এই বিধায়ক। এরপর পঞ্চায়েতগুলির প্রধান এবং উপপ্রধানেরা মগরা বিডিও অফিসে গিয়ে পদত্যাগ করেন।

    পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য

    তৃণমূলের (Hooghly) বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, “রচনা তিনটি বিধানসভায় কম ভোট পেয়েছেন বলে গরু-ছাগলের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের অপমান করা হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুচেতা মান্না পাল বলেন, “আমাদের উপর কোনও চাপ ছিল না। তবে দলের পরাজয়ের দায় নিয়ে আমি পদত্যাগ করলাম।“ আবার চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে, দলের কর্মী এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের ফল এই পরাজয়।

    আরও পড়ুনঃ তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    অসিত মজুমদারের বক্তব্য

    বিধায়ক (Hooghly) অসিত মজুমদার বলেন, “ওঁদের বিবেক আছে। ওঁরা থাকা অবস্থায় দলের পরাজয় হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তবে কেন দিয়েছেন, তা নিয়ে বসে পর্যালোচনা করব আমরা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    Tamluk: তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে হেরে বেজায় চটেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তমলুক (Tamluk) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু শুক্রবার ভোটে হারার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই জেলায় অনেকে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন।” দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে এই মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Tamluk)?

    তমলুকে (Tamluk) নিজের হারের কথা বলতে গিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে দেবাংশু বলেন, “আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। অনেকে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আমি দেখেছি, এই জেলায় অনেকে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন। সেই জন্য ভোটে প্রভাব পড়েছে। যাঁরা এই দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন, তাঁদের আমি চিহ্নিত করতে পেরেছি। তবে এই ভাবে চলতে পারে না। দুই দিকে থাকব আবার দলের হয়ে কাজ করব, এমনটা চলতে পারে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    ৭৭ হাজার ভোটে পরাজিত দেবাংশু

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের টিকিটের জন্য বিস্তর জল্পনা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে দল দেবাংশুকে টিকিট দেয়নি। এইবারে লোকসভা নির্বাচনে তমলুক থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেখানে নির্বাচনে লড়াই করেন। কিন্তু বিজেপির কাছে ৭৭ হাজার ভোটে পরাজিত হন। তবে নির্বাচনের সময় নানা জায়গায় প্রচার করতে গেলে চোর চোর শ্লোগান শুনতে হয়েছিল তাঁকে। এই বিষয়ে একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু আজ নিজে ভোটে হেরে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    যদিও এই তমলুক (Tamluk) লোকসভা থেকে একটা সময় সিপিএম নেতা লক্ষণ শেঠকে পরাজিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এবার লোকসভার নির্বাচনে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে পরাজয় হতে হয়েছে দেবাংশুকে। তবে এই নির্বাচনে, এই কেন্দ্র ছিল বিরাট হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধীশূন্য পুরসভা অঞ্চলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। আবার একই সঙ্গে শহর অঞ্চল বা ব্লকেগুলিতে তৃণমূল থেকে অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। লোকসভার ফলাফলে (Election Result 2024) তৃণমূলের বিপক্ষে এই জনমত বিজেপির জন্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক পুরসভায় বাজিমাত করেছে বিজেপি। অপর দিকে হিরণ, ঘাটালে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস বন্ধ করতে নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করলেন সামজিক মাধ্যমে।

    তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জনতা (Election Result 2024)

    রাজ্যের ২০২১ সালের পুরসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাতেই বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। এইবারের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে শহরের জনতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের কাছ থেকে। ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) দেখা যাচ্ছে পাঁচটি পুরসভার মধ্যে চারটি পুরসভা অঞ্চলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন অনেক বেশি পরিমাণে। গত দুই বছরের তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতি একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। তৃণমূল কথিত পুরসভার উন্নয়নমুখী কাজ কি দুর্নীতি ইস্যুর সামনে একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? এই প্রশ্ন এখন সব জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

    কোন কোন পুরসভায় এগিয়ে বিজেপি?

    পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকার ঘাটাল মহকুমার মধ্যে একমাত্র চন্দ্রকোনা পুরসভায় জয়কে অব্যাহত রাখতে পেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপর দিকে ঘাটাল, খড়ার, ক্ষীরপাই এবং রামজীবনপুর পুরসভায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। গতবারের পুর নির্বাচনে বিরোধীশূন্য ছিল এই পুরসভাগুলি। এবার এই এলাকাগুলিতে বাজিমাত করেছে বিজেপি। সামগ্রিক ভাবে এগিয়ে থাকা পুর এলাকাগুলির মধ্যে কোথাও এক হাজার আবার কোথাও দেড় হাজার ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    ফেসবুকে সন্ত্রাস বন্ধের আবেদন হিরণের

    ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরবর্তী হিংসা (Election Result 2024) নিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস বন্ধ করতে সামজিক মাধ্যমে নিজের আবেদন রেখেছেন হিরণ। তিনি নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করে বলেন, “আমি হেরে গিয়েছি। আমি হার স্বীকার করেছি। আমাকে প্রয়োজনে শাস্তি দিন। কিন্তু আমার কর্মীদের অত্যাচার করবেন না। গরিব অসহায় মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ করেদিন। রাজনৈতিক অধিকারকে রক্ষা করে বেঁচে থাকার অধিকারে দয়া করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Titagar: প্রকাশ্যে বোমাবাজি, চলল গুলি! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত টিটাগড়

    Titagar: প্রকাশ্যে বোমাবাজি, চলল গুলি! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত টিটাগড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বের হতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল টিটাগড় (Titagar) । তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বোমাবাজির সঙ্গে কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagar)

    বারাকপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। সেই আনন্দে বৃহস্পতিবার খড়দার টিটাগড় (Titagar) ডোমপট্টি এলাকায় তৃণমূলের এক পক্ষ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাতে সেখানে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানের বাইরে কালু ও রামু গোষ্ঠীর এক যুবককে মারধরের অভিযোগ ওঠে অর্জুন বাঁশফোড় গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সেই সময় খবর পেয়ে রামু ও কালুর গোষ্ঠীর দলবল সেখানে যায়। তারপর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ ধস্তাধস্তি- সংঘর্ষের মাঝে চার রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে খড়দা থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    দুপক্ষই তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন

    অর্জুন বাঁশফোড় ঘনিষ্ঠ আকাশ বাঁশফোড় বলেন, অনুষ্ঠান শেষে টিটাগড়ে (Titagar) খাওয়া দাওয়া চলছিল। পাড়ার মহিলারা তখন খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। সেই সময় রামুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। আমাদের লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। সবাই খাবার ফেলে ভয়ে পালিয়ে যায়। রামুরা সব বিজেপি কর্মী। যদিও রামু বাঁশফোড় বলেন, আমরা বিজেপি করি না। তৃণমূল দল করি। পার্থ ভৌমিকের মিটিংয়ে আমরা গিয়েছিলাম। বরং, অর্জুন, আকাশরা বিজেপি করে। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা কোনও গুলি চালাইনি। বোমাবাজি করিনি। ফাঁসানোর জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বারাকপুরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, ফল বের হওয়ার পর মাত্র তিনটে ঘটনা ঘটেছিল। আর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই সব ঘটনা দলের অনুমোদন নেই। পুলিশ প্রশাসন দেখছে। বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়়িত নই। এটা তৃণমূলের দলীয় কোন্দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    Election Result 2024: বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ এবং রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের দুই মন্ত্রী সহ চার বিধায়ক। তাঁরা হলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টপাধ্যায়, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ইতিমধ্যে ভোটের পর জামিন পেয়েছেন। বাকি তিনজন এখনও জেলে। লোকসভার ফলাফলকে (Election Result 2024) এবার বিধানসভা নিরিখে খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, দুই জন তৃণমূল প্রতিনিধি নিজের কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছেন। এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। 

    বিধানসভায় পিছিয়ে জীবনকৃষ্ণ (Election Result 2024)

    মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার বিধানসভা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা (Election Result 2024) কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জনকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠান। বড়ঞার বিধানসভায় জীবনকৃষ্ণ ৫০০ ভোটে কংগ্রেসের কাছে পিছিয়ে রয়েছেন। এই বিধানসভায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অধীর। আর তৃণমূল বিধায়ক হয়েছেন তৃতীয়। এক নম্বরের উঠে এসেছেন বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা। ফলে তৃণমূলের দুর্নীতি, এই কেন্দ্রে একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে বলা যেতে পারে লোকসভায় তৃণমূল জয়ী হলেও বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক পিছিয়ে পড়েছেন।

    হাবড়ায় পিছিয়ে জ্যোতিপ্রিয়

    রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা কেন্দ্র হল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া। এই বিধানসভা বারাসত কেন্দ্রের অন্তর্গত। তৃণমূল প্রার্থী কাকালি ঘোষ দস্তিদার হাবড়া কেন্দ্রে ২৯ হাজার ভোটে (Election Result 2024) পিছিয়ে পড়েছেন। ফলে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল মন্ত্রী নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়েছেন। আবার জেল সূত্রে খবর, জেলের মধ্যে গণনার সময় পার্থ টিভির সমানে যাননি, বালু-মানিক উভয়ে টিভিতে ফলাফল দেখেছেন। বালু উচ্ছ্বসিত হলেও, মানিক খুব একটা ভাব প্রকাশ করেননি।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটের সব ওয়ার্ডে তৃণমূল কুপোকাত, আরও শক্তি বৃদ্ধি পেল সুকান্তর

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের পক্ষে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “এই ফলাফলকে (Election Result 2024) সরলীকরণ করা যাবে না। সবটাই স্থানীয় প্রভাব পড়েছে। নিচুতলা থেকে সব কিছু ভালো করে দেখতে হবে। কারণ কী ছিল এবং ফলাফলকে ভাল করে পর্যালোচনা করতে হবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share