Tag: tmc

tmc

  • Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (Post Poll Violence) ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল ২৯টি আসনে জয়ের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ছাড়া করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুষ্কৃতীরা লাঠি, বন্দুক, বাঁশ নিয়ে বাসিন্দাদেরকে হুমকি দিচ্ছে অনবরত। আক্রান্ত বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, “তৃণমূল হুমকি দিয়ে বলে গিয়েছে, এলাকায় থাকতে গেলে বিজেপি করা যাবে না।” অপর দিকে ক্যানিংয়ে বিজেপি নেত্রীর মায়ের চোখ মেরে ফাটিয়ে দিল তৃণমূল। উল্লেখ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিরোধীরা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল।

    ক্যানিংয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা (Post Poll Violence)

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী অসীম কুমার দাস ও মা অনিতা সিনহা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী বলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।”

    মধ্যমগ্রামে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ১০-১২টি বাড়ি ভাঙচুর (Post Poll Violence) হয়েছে মধ্যমগ্রাম বিধানসভার নেতাজী পল্লী এলাকায়। গতকাল রাতে ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদারের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর এই এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাতে লোহার রড বাস বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালায়। বিজেপির কার্যালয়ের সাটারে লাগাতার লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে এবং সেই সঙ্গে ওই বাড়ি ভাঙচুর চালায় গুন্ডারা। কখনও মহিলাদের বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেওয়া হয় হুমকি। আবার কখনও বিজেপি করার অপরাধে লাগাতার কিল ঘুষি চড় মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে। বাহিনী চলে যাবার পরে আবার দুষ্কৃতীরা এসে তাণ্ডব চালায়, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুনঃ গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    নিউটাউনে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এবার নিউটানে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাংচুর হয়েছে। অভিযোগ মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে নিউটাউনের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ১২ থেকে ১৪ জন পাথর, লাঠি ও মদের বোতল নিয়ে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় ২টি বাইক ভাঙচুর করা হয়। মদের বোতল মেরে বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় বিজেপির মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Post Poll Violence: গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত (Post Poll Violence) ভাটপাড়া সহ গোটা বারাকপুর। ফলাফল ঘোষণার পর গভীর রাত পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর চলে অত্যাচার। যথেষ্টই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন হয়েছে পুলিশ।

    নৈহাটিতে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)

    গতকাল মঙ্গলবার লোকসভার ভোটের ফলাফলে এক তরফা জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বারাকপুরের বাবুনগরে সারারাত বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ (Post Poll Violence) চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের বাড়ির দরজা, জানালা ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। কাচের জিনিস থেকে শুরু করে চেয়ার, টেবিল এবং দরকারি জিনিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আবার নৈহাটিতে বিজেপির মহিলা কর্মী অনিন্দিতার বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী রাজু শ্রীবাস্তবের গাড়ি টিএমসির গুন্ডারা ভেঙে দিয়েছে। বিজেপি কর্মী শুভেন্দু চ্যাটার্জির বাবা এবং জেঠি মাকে তৃণমূলের আশ্রিত গুন্ডারা যেমন ছোটন দাস, আশিস শাউ এবং অন্যান্যরা পিটিয়েছে৷

    ভাটপাড়ায় হিংসা

    আবার ভাটপাড়ার তালা কলোনির এক সাধারণ ভোটারের বাড়িতে চারটি বোমা মারা (Post Poll Violence) হয়। বাড়ির মা বলেছেন, “বড় ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। ভয়ে ছেলেকে মাসির বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ছোট ছেলে বাড়িতে রয়েছে কিন্তু তাঁকেও মারবে বলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হুমকি দিয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে আমরা রয়েছি।”

    অর্জুনের বক্তব্য

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “আমি নির্বাচন কমিশন এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহজিকে এই আক্রমণগুলি (Post Poll Violence) বন্ধ করতে এবং বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জীবন, সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”

    আরও পড়ুনঃ পুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    হিংসার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন পার্থ

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসা আবার শুরু হয়েছে বারাকপুর জুড়ে। বিজেপির দাবি, জাতীয় হিউম্যান রাইটস কমিশন-এর রিপোর্টে ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক, তিনি আবার সক্রিয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর নির্দেশে আবার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: দার্জিলিংয়ে বিজয়রথ বিজেপির, প্রায় দুলক্ষ ভোটে জয়ী হলেন রাজু বিস্তা

    Raju Bista: দার্জিলিংয়ে বিজয়রথ বিজেপির, প্রায় দুলক্ষ ভোটে জয়ী হলেন রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং বিজেপিকে চায়। এবারের লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্টে সেটাই প্রমাণ করল। পরপর চারবার দার্জিলিং আসনে জিতল বিজেপি। পরপর দু’বার জিতলেন রাজু বিস্তা (Raju Bista) । এবার রাজু বিস্তা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫২৫ ভোট জয়ী হয়েছেন। আর তার এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আর একটি দিক উঠে এল, যে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুঙ্গ এখনও প্রাসঙ্গিক।

    উন্নয়নের জয় (Raju Bista)

    এই জয় দার্জিলিং কেন্দ্রের পাহাড় ও  সমতল মানুষের জয়,  উন্নয়নের জয় বলে জানিয়েছেন রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ উন্নয়ন চায়। সে কারণেই এখানে মানুষ বিজেপিকে জিতিয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো সামান্য ভাতার ওপর ভরসা করেনি। এখানকার মানুষ সচেতন বলেই তাঁরা এই সাহস দেখিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি। এতে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। গত লোকসভা নির্বাচনে চার লাখেরও বেশি ভোটেন ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। এবার তার লড়াই কঠিন ছিল। ব্যবধান কমবে জানতেন রাজু বিস্তা (Raju Bista)। পাহাড়ের শাসকদল অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্রের মোর্চার সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তৃণমূল। অনিত থাপার কাঁধে ভর দিয়ে পাহাড়ের বিপুল ভোটে লিড পাওয়ার আশায় ছিল তৃণমূল। এর পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থী মুণিশ তামাংকে পাহাড়ে অজয় এডওয়ার্ডের দল হামরো পার্টি সমর্থন করোছিল। তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কার্শিয়াং বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মার নির্দল প্রার্থী হওয়া। এতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে এবার পাহাড়ের ভোট ভাগাভাগি হবে। তাতে রাজু বিস্তার ব্যবধান কমবে। এতকিছুর পরেও রাজু বিস্তা পাহাড় থেকে প্রায় এক লক্ষ ভোটে লিড পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে তারা চায় না। পাহাড়ের মানুষ উন্নয়নের জন্য বিজেপিকেই ভরসা করে। 

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    অনিতের চাপ বাড়াল বিমল গুরুঙ্গ

    অনিত থাপা জিটিএর দায়িত্বে রয়েছেন। দার্জিলিং পুরসভাও তাঁর দখলে। পাহাড়ের পঞ্চায়েতও অনিত থাপার দলের দখলে। সব মিলিয়ে পাহাড়ে অনিত থাপাই শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। বিমল গুরুঙ্গ পাহাড়ের রাজনীতি থেকে হারিয়ে গিয়েছে, সেই প্রচারও ছিল। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটে কালিম্পংয়ে রাজু (Raju Bista) ২৩৬৩২ ভোটে  লিড পেয়েছেন। দার্জিলিঙে ৩১৩৪৫, কার্শিয়াংয়ে ৩৮৫০৮ ভোটে লিড পেয়েছেন। এবার রাজু বিস্তাকে সমর্থন করেছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, পাহাড়ে অনিত থাপাকে পিছনে ফেলে রাজু বিস্তার লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিমল গুরুংয়ের সমর্থন একটা ফ্যাক্টর। কার্যত বিমলের কাছে হেরে গেলেন অনিত থাপা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: “পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি”, ভোটে হেরে বললেন দিলীপ ঘোষ

    Election Result 2024: “পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি”, ভোটে হেরে বললেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই বার বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল ১৮টি আসন। এইবারে ২০২৪ সালে নিজের জেতা কেন্দ্র মেদিনীপুর ছেড়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে ভোটে হেরেছেন (Election Result 2024) তিনি। বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন। নিজে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি লড়াই করেছি, পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি।” অপরে বর্তমান বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “পার্টির মধ্যে অবশ্যই আলোচনা করব। রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায় তো আমারই। কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্যই হয়তো হেরে গেলেন দিলীপদা।”

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Election Result 2024)?

    নিজের কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে হেরে (Election Result 2024) গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যখন বিজেপিতে আসি তখন পার্টি নতুন ছিল, আমি নতুন ছিলাম। কিন্তু পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এখন সারা ভারতে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সামনে ছিলেন, তাঁর ফলও আগের মতো ভাল হয়নি। আমি লড়াই করেছি, পরিশ্রম করেছিল। সফল হতে পারিনি, এটাই বলব। রাজনীতিতে ওঠানামা চলতে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি কোথায় ছিল, নীচে চলে গিয়েছিল। আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন, সরকারও গঠন করেছেন। লোকসভায় হেরেছেন, আবার উঠেছেন। আপডাউন মেনে নিতে হবে। বিশ্লেষণ করতে হবে। তবে পার্টির ভূমিকা থাকে। কিন্তু কার ভূমিকা ছিল আমি জানি না। পার্টি বলেছে আমি শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী। আমাকে পার্টি নির্বাচনে লড়াই করতে বলেছে। আমি লড়াই করেছি।”

    আরও পড়ুনঃপুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    কী বললেন সুকান্ত

    বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট কেন্দ্রের জয়ী সাংসদ বিজেপির ফলাফল (Election Result 2024) নিয়ে বলেছেন, “পার্টির মধ্যে অবশ্যই আলোচনা করব। রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায় তো আমার রয়েছে। তবে সব সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারিনি। কিন্তু দায় তো আমাকেই নিতে হবে। আমি পিছু পা হব না। সিদ্ধান্ত হয়তো অন্য কেউ নেবে। তবে দায় আমাকেই নিতে হবে। আমার বিশ্বাস ছিল দিলীপদা জিতে যাবেন। তিনি আমাদের সকলের নেতা। আমরা সকলকে শ্রদ্ধা করি। তাঁর কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্যই হয়ত হেরে গেলেন।” আবার নিশীথ প্রমাণিকের হার সম্পর্কে বলেছেন, “কোনও কারণে হয়তো হেরে গিয়েছেন, তবে ভেবে ছিলাম জয়ী হবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: রানাঘাটে ফের বাজিমাত করল বিজেপি, জগন্নাথ জয়ী হতেই উল্লাসে মেতে উঠলেন দলীয় কর্মীরা

    Ranaghat: রানাঘাটে ফের বাজিমাত করল বিজেপি, জগন্নাথ জয়ী হতেই উল্লাসে মেতে উঠলেন দলীয় কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপি পুনরায় পরাজিত হলেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলেন নদিয়ার রানাঘাট (Ranaghat) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন সকালে প্রথম থেকেই বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। পরে, কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও জগন্নাথ ফের তৃণমূল প্রার্থীর থেকে এগিয়ে যায়। কয়েক রাউন্ডের পর থেকে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান ক্রমশ বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি এগিয়েছিলেন।

    আবির খেলায় মেতে উঠলেন বিজেপি কর্মীরা (Ranaghat)

    রানাঘাট (Ranaghat) কেন্দ্র নিয়ে দীর্ঘ জল্পনা চলছিল। একদা বিজেপির বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী দল ছাড়ার পর তৃণমূল তাঁকে রানাঘাট কেন্দ্রে জগন্নাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে। মতুয়া সমাজের আধিপত্য রয়েছে মুকুটমণির ওপর। সেই কারণেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল, গত বছরের তুলনায় এ বছর রানাঘাট কেন্দ্রে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। এই আসন নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা ছিল। তবে, ভোটের কয়েকদিন আগে তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়ে জগন্নাথ সরকারকে জয়ের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু, সব জল্পনা উড়িয়ে আবারও গেরুয়া আবিরে মেতে উঠল রানাঘাট লোকসভা এলাকা। এদিন জয়ের পর দলীয় কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় মিছিল করেন। কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতড়ণ করা হয়।

    আরও পড়ুন: তমলুকে জয়ী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কাঁথিতেও ফুটল পদ্ম, ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের

    সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলেন জয়

     এ বিষয়ে রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই জয় সাধারণ মানুষের জয়। এই জয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়। তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে যে লাগাম ছাড়া দুর্নীতি করেছে, সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ রায় দিয়েছেন। তাই, আমি মানুষকে এই জয়ের কারণ হিসেবে করজোড়ে প্রণাম জানাই। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে প্রার্থী তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁকে সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। গত পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন আমি গোটা লোকসভা কেন্দ্রে করেছি, আগামী পাঁচ বছরও মানুষের জন্য কাজ করে যাব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: শুভেন্দু-গড় তমলুক-কাঁথিতে ফুটল পদ্ম, জিতলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমেন্দু অধিকারী

    Election Result 2024: শুভেন্দু-গড় তমলুক-কাঁথিতে ফুটল পদ্ম, জিতলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমেন্দু অধিকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্রে ৬২ হাজার ভোটে জয়ী (Election Result 2024) হয়েছেন বিজেপির চমকপ্রদ প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সকাল থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে একবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। ওপর দিকে কাঁথি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জয়ী সৌমেন্দু অধিকারী। তিনি প্রায় ২৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    অভিজিৎকে জয়ী করেছেন তমলুকবাসী (Election Result 2024)

    এমনিতেই পূর্ব মেদিনীপুর ‘অধিকারী গড়’ বলে পরিচিত ছিল। এই কেন্দ্রে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Election Result 2024) প্রার্থী করে বিরাট নজর কেড়ে নিয়েছিল বিজেপি। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রায়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির বিরাট পর্দা ফাঁস হয়েছিল। তাঁর দেওয়া নির্দেশে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্থ একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা জেলে ঢুকেছেন। দুর্নীতি বিষয়ে সরব হয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। দুর্নীতির বিষয়ে সংগ্রাম আরও কঠোর করতে নিজের বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগদান করেন। তমলুকবাসীর ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। ওপর দিকে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। 

    আরও পড়ুনঃবনগাঁয় জয় নিশ্চিত হতেই শান্তনুকে ঘিরে ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    কাঁথিতে জয়ী সৌমেন্দু

    কাঁথি লোকসভায় ২০১৯ সালের জয়ী প্রার্থী ছিলেন শিশির অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দু ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তারপর থেকে সমীকরণ বদলে যায়। শিশির অধিকারী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে তোপ দেগেছেন। এই বার লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী করা হয় শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। ভোটের আগে এই কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল বিজেপি কর্মীদের। কিন্তু শত চেষ্টা করেও জয় আটকানো গেল না। একই ভাবে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামে আরও একবার তৃণমূলকে কয়েক হাজার ভোটে হারিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: গণনা কেন্দ্রে অর্জুনের ওপর হামলা, জয়ের পর তান্ডব তৃণমূলের,  ১০০টি বাড়ি ভাঙচুর

    Arjun Singh: গণনা কেন্দ্রে অর্জুনের ওপর হামলা, জয়ের পর তান্ডব তৃণমূলের, ১০০টি বাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে জয়ী হওয়ার পর বারাকপুর জুড়ে তান্ডব শুরু করল তৃণমূল। বীজপুর, ভাটপাড়া সহ একাধিক বিধানসভায় প্রায় ১০০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ খোদ বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।

    গণনা কেন্দ্রের ভিতরে অর্জুনের গায়ে হাত তুললেন এক তৃণমূল কর্মী (Arjun Singh)

    বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এক সময় অর্জুন সিং (Arjun Singh) ছিলেন শেষ কথা। ২০১৯ সালে মোদি হাওয়ার সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের ব্যক্তিগত ক্যারিশমার জোরে তৃণমূলের দখলে থাকা বারাকপুর লোকসভা ছিনিয়ে নিয়ে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে অর্জুন ফের বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার নির্বাচনের দিন কাঁচরাপাড়া বনি নামে এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে অর্জুন বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অর্জুনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল কর্মী। এদিন গণনা কেন্দ্রে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন। পরে, গণনা কেন্দ্রের ভিতরে অর্জুনের সঙ্গে তৃণমূল নেতা সনৎ দে-র বচসা বাধে। পরে, তৃণমূল কর্মী বনি অর্জুনকে গালে চড় মারে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে, পরাজয় নিশ্চিত জেনে অর্জুন গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল কর্মীরা “জয় বাংলা” স্লোগান দেন।

    আরও পড়ুন: গণনার আগে বারাকপুরে গণনাকেন্দ্রে বিজেপি-তৃণমূল ধস্তাধস্তি, ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ

    কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর নিয়ে সরব অর্জুন

    এদিন জয় নিশ্চিত হওয়ার পর তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত যার মাথায় রয়েছে, তিনি হলেন সিংহ। আর যার মাথা থেকে তৃণমূল নেত্রী হাত তুলে নিয়েছেন, তিনি নেংটি ইঁদুরে পরিণত হয়েছেন। বন্ধু অর্জুন কে বলব ঠিক পথে চলতে। অর্জুন সিং (Arjun Singh) এদিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আমার চোখে পড়েনি। ভোটে জয়ের পরেই তৃণমূল তাণ্ডব শুরু করেছে। বীজপুর, ভাটপাড়া সমস্ত এলাকায় প্রায় ১০০ জন দলীয় কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টা দেখার জন্য বলব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: বনগাঁয় জয় নিশ্চিত হতেই শান্তনুকে ঘিরে ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    Election Result 2024: বনগাঁয় জয় নিশ্চিত হতেই শান্তনুকে ঘিরে ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে শান্তনু ঠাকুরের জয় নিশ্চিত হতেই এদিন বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রের মূলগেটের সামনে বিজয় উৎসব পালন করতে দেখা গেল বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের। ভোটে জয়ী (Election Result 2024) হয়ে শান্তনু বলেন, “এই জয় মানুষের জয়, আপামর জন সাধারণের জয়। সকলকে উৎস্বর্গ করলাম।”

    কী বললেন শান্তনু?

    ভোটে (Election Result 2024) জয় নিশ্চিত বুঝেই শান্তনু ঠাকুর বলেন, “এই সংসদীয় ক্ষেত্রের সকল মানুষকে আমি জয় অর্পণ করলাম। প্রত্যকে কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে এই সাফল্য এসেছে। সকলের ভালোবাসায় এই জয় এসেছে। আমাদের এই আসনে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭২ হাজার মার্জিনে এগিয়ে রয়েছি আমরা। মতুয়া সমাজের আশাপূর্ণ হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে মাত্র ১০ হাজার ভোটে মার্জিন ছিল বিজেপির। কিন্তু এবার সেটা মোটামুটি ৮০ হাজারের ওপর হবে। তাই আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা জয় নিয়ে আগে থেকেই ভীষণ আশাবাদী ছিলাম। প্রচারের জন্য আমরা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলাম।” কেন্দ্রে এই লোকসভা নির্বাচনের পর তৃতীয় বারের জন্য এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসতে চলেছে। দেশ ব্যাপী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।

    আরও পড়ুনঃ জয়ের পথে অভিজিৎ, গণনাকেন্দ্রে সন্দেহজনক গাড়ি নজরে আসতেই শোরগোল

    ভোটে সিএএ বড় সাফল্য এনেছে (Election Result 2024)

    অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফলাফল (Election Result 2024) প্রকাশে আরেক বার জয়ী হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এই বারের নির্বাচনে বিজেপির কাছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। উদ্বাস্তু হিন্দু শরণার্থীদের জন্য ভোটের আগেই কার্যকর হয়েছে এই আইন। বাংলাদেশ থেকে আসা ভারতেও বেশ কিছু হিন্দু মানুষকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছে ভারত সরকার। এই সিএএ ছিল লোকসভা ভোটে বনগাঁ কেন্দ্রে একটি বড় বিষয়। এবার দ্বিতীয় বারের জন্য সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হতে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে ঘিরে কর্মী-সমর্থদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: জয়ের পথে অভিজিৎ, গণনাকেন্দ্রে সন্দেহজনক গাড়ি নজরে আসতেই শোরগোল

    Election Result 2024: জয়ের পথে অভিজিৎ, গণনাকেন্দ্রে সন্দেহজনক গাড়ি নজরে আসতেই শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ইভিএম কারচুপির কথা আগেই ঘোষণা করেছিল বিজেপি। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত ফলাফলের যা গতি-প্রকৃতি ছিল তাতে বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জয়ের পথে। কিন্তু ইতিমধ্যে গণনাকেন্দ্রের (Election Result 2024) বাইরে দুটি সন্দেহজনক গাড়ি নজরে আসতেই কোলাঘাটের কেটিপিপি হাইস্কুলের গণনাকেন্দ্রে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ গণনাকে প্রভাবিত করতে চাইছে তৃণমূল।

    বিজেপির অভিযোগ (Election Result 2024)

    তমলুক লোকসভার গণনাকেন্দ্রে (Election Result 2024) বিকেল সাড়ে তিনটের পর ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে। গণনা কেন্দ্রের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের স্টিকার মারা একটি গাড়ি এবং অন্য আরেকটি পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখে বিজেপি কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। এরপর ঘটনাস্থলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান বিজেপির কর্মীরা। বিজেপির দাবি, এই গাড়িতে করে ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইভিএম লুট করতে এসেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। দুই গাড়ির মধ্যে থাকা লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তারা। এরপর গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ চলে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তিনি বলেন, “তৃণমূল চক্রান্ত করে কারসাজি করতে চেয়েছিল। গণনাকে চুরি করতেই তৃণমূল এই কাজ করেছে।”

    আরও পড়ুনঃ কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে একাধিক ব্যালট ইউনিটে সই নেই এজেন্টদের, বদল হয়েছে ইভিএম! বিস্ফোরক বিজেপি

    আকর্ষণীয় কেন্দ্র তমলুক

    লোকসভা কেন্দ্রের (Election Result 2024) মধ্যে আকর্ষণীয় কেন্দ্র হল তমলুক কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি হিসাবে তিনি তৃণমূল সরকারের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর রায়ে একাধিক তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতাকে জেলে যেতে হয়েছে। বিচারপতির পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁর রাজনীতিতে যোগদান এবং বিজেপির প্রার্থী হওয়া এই লোকসভার ভোটে ব্যাপক চমক ছিল। গণনায় তিনি এবার জয়ের পথে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: অভব্যতার চূড়ান্ত নিদর্শন! জয়ের আগেই রেখা পাত্রকে তাড়া তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের

    Lok Sabha Elections 2024: অভব্যতার চূড়ান্ত নিদর্শন! জয়ের আগেই রেখা পাত্রকে তাড়া তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবে গণনার কিছু ঘণ্টা পেরিয়েছে। আর এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এগিয়ে থাকার খবরে বিজয় উৎসব শুরু করেছে তৃণমূল। একাধিক এলাকা থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠে আসছে। শুধু তাই নয় এবারের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে দেখা মাত্রই তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। সাময়িকভাবে এলাকায় তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিস্থিতি। রেখাকে তাড়া করে গণনাকেন্দ্রের পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। 

    রেখাকে দেখে তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা

    এখনও পর্যন্ত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে কিছু ভোটে (Lok Sabha Elections 2024) পিছিয়ে রয়েছেন সন্দেশখালির রেখা পাত্র। জয়ের পথে এগিয়ে হাজি নুরুল ইসলাম। আর সেজন্যই বিজেপি প্রার্থীকে দেখে রে রে করে তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। 
    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে সন্দেশখালি জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। সন্দেশখালি আন্দোলন, নারী নির্যাতনের অভিযোগ রীতিমতো শোরগোল ফেলেছিল গোটা বাংলায়। সেসময় রেখা পাত্র বাচ্চা কোলে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তৃণমূল নেতৃত্ব ও পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। সেই রেখা পাত্রকেই টিকিট দেয় বিজেপি। গণনা শুরুর প্রথম দিকে রেখা এগিয়ে থাকলেও, পড়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। এরপর গণনাকেন্দ্র (Election Result) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রেখার গাড়ির পেছনে কার্যত তাড়া করেন তৃণমূলের কর্মীরা। তাঁকে দেখে জয় বাংলা স্লোগানও দেওয়া শুরু হয়।

    একই ঘটনা দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও  

    অন্যদিকে এই একই ছবি দেখা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রেও। সেখানেও তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের থেকে কিছু ভোটে (Lok Sabha Elections 2024) পিছিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আর এদিন রাস্তায় দিলীপ ঘোষকে দেখেও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।

    আরও পড়ুন: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ

    অন্যদিকে ফলাফল (Election Result) প্রকাশের আগেই সন্দেশখালির সড়বেড়িয়ায় বড় আজগরা, ভাটিদহ, ঝারিপাড়া, রামপুর বাগদি পাড়া-সহ একাধিক এলাকায় অশান্তির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে সড়বেরিয়ার বড় আজগরায় চার জন বিজেপি সমর্থকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।  
    অর্থাৎ বলা যেতে পারে রাজ্যজুড়ে চলছে একেবারে চূড়ান্ত অরাজকতার বাতাবরণ। ফলাফল ঘোষণার আগেই এভাবে বিজয় উৎসব ও বিরোধীদলের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর একের পরে হামলার ঘটনা রাজ্য জুড়ে সৃষ্টি করছে উত্তপ্ত পরিস্থিতির। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share